নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সকাল থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরাইলি হামলার বেশ কিছু ভিডিও দেখলাম এবং ফেসবুকে অনেক লেখা পড়লাম আর ছবি দেখলাম। সব দেখে মাথার ভিতর মোটামোটিভাবে গাজার পরিস্থিতির একটা ছবি গেথে যায়। ততক্ষনে দুপুরের খাবারের সময় হয়ে এলো। প্লেটে ভাত নিয়ে খেতে বসলাম কিন্তু মাথার ভিতরের ঐ গাজাবাসির অবস্থা তখনো কাজ করছিল।
মনটা খারাপ হয়ে গেল। গাজার এত কাছে থেকেও কিছুই করতে পারছি না। ভাত মাখাচ্ছি আর মনের অজান্তেই চিন্তা করছি যদি গাজা কায়রো থেেকে আরেকটু কাছে হতো তাহলে প্রত্যেক বেলা অন্তত একজন অভুক্তকে সাথে নিয়ে খেতে পারতাম। এই গড়মে ঠান্ডা পানি ছাড়া খেতে পারি না অথচ জীবন বচানোর পানির জন্য যুদ্ধ করছে যেই গাজাবাসি তাদের না হয় আমার বোতল থেকে অর্ধেক পানি দিতাম। ভাল তরকারির ব্যাবস্থা না করতে পারলেও শুধু ডাল আর ভাত দিয়েই অনেকের প্রাণ বাচাতে পারতাম। এসব চিন্তা করতে করতে লিবিয়ার রিফিউজী ক্যাম্পে আটকে পরা বাংলাদেশীদের অবস্থার কথা মনে পড়তে লাগল। যুদ্ধে অবরুদ্ধ একটা দেশে নারী শিশুরা যে কতটা অসহায় সেটা পরিস্থিতির স্বীকার না হলে কখনোই উপলব্ধি করা যাবে না। যুক্তি দিয়ে হয়ত মেনে নেয়া যাবে কিন্তু সেই ব্যাথা পাওয়া যাবে না। ফিলিস্তিনের বিষয়টা আরেকটু ভিন্ন। এখানে শিশুরা না হয় অবুঝ কিন্তু নারীরাতো অবুঝ নয়। তারা তো বুঝে যে আমার নিজের ভূমি দখল করে নিয়ে যাচ্ছে হানাদারেরা। কত যতনে গড়া নিজের বাপ দাদার ভিটা খুন করে দখল করে নিজের ভাই স্বামি সন্তানকে হত্যা করছে যারা তাদের ভয়ে দেশ ছেড়ে পালাতে চাইবে কোন বা নারী। কিন্তু অপরাগ নারীর চোখের পানি ফেলা ছাড়া কি ই বা করার আছে। এই সব যুদ্ধ বিগ্রহের হিসেব আমার মত ছোট মাথায় ধরবে না। এবং যুদ্ধ থামাতে আমার কোন পরিকল্পনাও কাজে আসবে না। কিন্তু যেটা আমার করার সামর্থ আছে যেটাও যে করতে পারছি না। ঢাকায় কত মানুষের রক্তের ব্যাবস্থা করতে কত মানুষের স্ট্যাটাস শেয়ার দিলাম। কত মানুষের প্রয়োজনীয় রক্তের ব্যাবস্থা করে দিলাম অথচ কত শিশু মারা যাচ্ছে অথচ রক্ত চেয়ে একটা স্ট্যাটাসও দিতে পারলাম না। পকেটে যা টাকা আছে তা দিয়ে হয়ত কিছুই হবে না তাইবলে তো টাকার অভাবে চোখের সামনে শিশু মারা যাবে এটা মেনে নিতে পারব না। টাকার জন্য না হয় ভিক্ষা করতাম। ফেসবুকে, ব্লগে ক্যাম্পেইন করলে আমার বাঙালি ভাইয়েরা অনেক সাহায্য করবে এতে কোন সন্দেহ নাই। কত শিতার্থের পাশে দাড়ায় আমার ভাই বোন বন্ধুরা। কত বস্ত্রহিনদের বস্ত্রের ব্যাবস্থা করে মানব প্রেমী অনলাইন এ্যাক্টিভিস্টরা। অনলাইনে আমার কত বন্ধু আছেন যারা নিজেদের মাসিক খরচা থেকে টাকা বাচিয়ে স্কুল চালায়। অনেক কে রিক্সা কিনে দেয়, ভ্যান কিনে দেয়। এত বড় বড় আত্নার অধিকারী শত শত বন্ধু থাকতেও আজ নিস্প্রাণ হয়ে ঘরে বসে আছি। এই নেটওয়ার্ক থেকেই বা কি লাভ। কি ই বা কাজে আসলো যখন চোখের সামনে শিশু মারা যাচ্ছে আর ঘরে বসে বসে ফেবুতে স্ট্যাটাস দিচ্ছি। ধিক নিজেকে। ধিক সভ্য সমাজকে। ধিক ইউনিসেফ। ধিক জাতিসংঘ। ধিক আমরেকা। ধিক সউদি আরব, ধিক আরব আমিরাত। ধিক মিশর। এখানে মিশর সরকার এত কড়াকড়ি যে আমি যদি কোন ক্যাম্পেইন করে গাজার দিকে মানবিক সাহায্য দিতে এগিয়ে যাই নিশ্চিত আমাকে বন্দি করা হবে। গুম করে ফেলা হবে বাকি জীবনের জন্য। তারপরও ভাবছি অতি দ্রুত রাফা ক্রসিং সংলগ্ন কোন হাসপাতালে যাবে দু একজন রোগির খোজ খবর নিতে। অতি দ্রুতই যাব।
২| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ১০:২৯
যুবায়ের বলেছেন: কিভাবে যাবেন ভাই?.
শুনলাম গাজায় প্রবেশদ্বার রাফা ক্রসিংতো মিসর সরকার
বন্ধ করে দিয়েছে!.
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা আগস্ট, ২০১৪ রাত ৯:১৯
মুদ্দাকির বলেছেন: সাবধানে যাবেন ভাই!!! রাফায় নাকি আক্রমন হয়েছে!! গেলে রক্ত দান করে আইসেন, যেই গ্রুপই হোক না কেন, কাজে লাগবে।