নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সবার নিশ্চয়ই মনে আছে দিল্লির চিরিয়াখানার বাঘ আর মানুষের কাহিনি। যেখানে একটি মানুষ হটাৎ বাঘের খাচায় ঢুকে পড়ে। বাঘটি ১৫ মিনিট মানুষটির দিকে তাকিয়ে থাকে অতপর আশের পাশের মানুষ ইট পাথর ছুড়ে মানুষটিকে বাচাঁতে চেষ্টা করে কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি। বাঘটি মানুষটিকে মেরে ফেলে। এই পর্যন্ত আমরা সবাই জানি। কিন্তু ঘটনার ভিতরের ঘটনা আমরা অনেকেই জানি না।
চিরিয়াখানা কর্তৃপক্ষ উপরোক্ত ঘটনাটি গবেষণা করে এক চমৎকার তথ্য বের করেছে। তারা মৃত ব্যাক্তিটির পোষ্টমার্টেম করে রিপোর্ট নিয়ে একদল বাঘ গবেষক এর নিকট যায় এবং তাদের নিকট তদন্তের ভাড় দেয়। তারা বাঘটির উপর স্ট্যাডি এবং মৃত ব্যাক্তির পোষ্টমার্টেরম রিপোর্ট নিয়ে গবেষণা করে নতিজায় পৌছেন যে: বাঘটি আসলে মানুষটিকে মারতে চায়নি। বরং উল্টা যারা বাঘের দিকে ইট পাটকেল ছুড়ছিল এবং চিৎকার চেচামেচি করছিল তাদের হাত থেকে মানুষটিকে রক্ষা করতে মানুষটিকে নিরাপদ স্থান অর্থাৎ বাঘটির থাকার ঘরে নিয়ে যেতে চাইছিল। বাঘটি মনে করেছিল লোকটি ঐসব মানুষের হাত থেকে রক্ষা পেতে তার সামনে এসে পড়েছে। গবেষকরা আরো বলেন: একটি মা বাঘ তার সন্তানকে যেইভাবে যেই স্থানে ধরে উচু করে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় নিয়ে যায় এই বাঘটিও মানুষটিকে ঠিক সেইভাবেই ধরেছিল। কিন্তু মানুষের শরীর নরম ও চামরা পাতলা হওয়াতে লোকটির মৃত্যু ঘটে। গবেষকরা বলেন, মা বাঘ সাধারণত বাচ্চা বাঘের নাকের ছিদ্রে থাবা দিয়ে ধরে উচু করে। কিন্তু, বাঘের নাকের চামরা অনেক বেশি পুরু ও পশম অনেক ঘন থাকায় বাচ্চার কোন ক্ষতি হয় না। কিন্তু মানুষের বেলায় ঠিক উল্টোটা হয়েছে। গবেষকরা আরো বলেন, বাঘটি যদি মানুষটিকে খেতেই চাইতো তাহলে মানুষটিকে ছিরে ফেরে খেয়ে ফেলতো। কিন্তু সে তা করে নি।
২| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আসলেই চমৎকার? মৃত্যু খুব চমৎকার বিষয় !!
গাড়োল গবেষক জানেনা জেনেটিক হ্যাবিট সম্পর্কে ।
বাঘটি শিশু অবস্থায় এখানে এসেছে কিন্তু শিকার ধরার কৌশল তার সহজাত বলেই ঘাড় কামড়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেছে। সকালে বাঘটি ৮ কেজি মাংস খেয়েছে। কামড়ে তাৎক্ষনিক মৃত্যু হয়না হয় ঘাড় ভেঙ্গে গেলে । ক্ষুধার্ত থাকলে তখনি খেত । ও ঝোপের আড়ালে রেখেছে পড়ে খাওয়ার আশায়। একজন প্রহরী থাকলে ও বেচে যেত। প্রহরিরা ২০ মিনিট পরে এসেছে , কি ডিউটি রে বাবা।
চিড়িয়াখানায় দর্শকদের পর্যাপ্ত নিরাপদ বেষ্টনী নেই সেটা ভিডিও দেখলেই বুঝবেন। প্রহরিদের ধর্ষণের ট্রেনিং নিশ্চয়ই আছে নেই শুধু কিভাবে বাঘকে হটিয়ে মানুষ বাচাতে হয়। বন্দে মাতরম !!
৩| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ দুপুর ১২:১৩
সাপিয়েন্স বলেছেন:
আমার কোন ব্যাঘ্রবিদ্যা জানা নেই। কিন্তু বিভিন্ন ভিডিও দেখে ঠিক এ কথাই মনে হয়েছে, যে বাঘটি তার সীমিত বুদ্ধিতে লোকটিকে বাঁচাতেই চেয়েছিল। দিল্লীর মত একটি খ্যাত চিড়িয়াখানায় প্রশিক্ষিত মানুষ না থাকা পীড়াদায়ক। অবশ্যই প্রধান কর্মকর্তার চাকুরী যাওয়া উচিত।
৪| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৭
ইলুসন বলেছেন: ভাই, যেভাবেই লোকটা মারা যাক আমি অবাক হয়েছি এটা দেখে যে এতক্ষণ ধরে একটা মানুষ খাঁচার ভেতরে পড়ে ছিল তাকে বাঁচানোর জন্য চিড়িয়াখানার কোন লোক আসেনি। একটা ট্রাংকুলাইজার গান যদি সময়মত আনা যেত তাহলে লোকটাকে হয়ত বাঁচানো যেত।
©somewhere in net ltd.
১| ০৫ ই অক্টোবর, ২০১৪ সকাল ১১:২৩
শাহ আজিজ বলেছেন: আসলেই চমৎকার? মৃত্যু খুব চমৎকার বিষয় !!
গাড়োল গবেষক জানেনা জেনেটিক হ্যাবিট সম্পর্কে ।
বাঘটি শিশু অবস্থায় এখানে এসেছে কিন্তু শিকার ধরার কৌশল তার সহজাত বলেই ঘাড় কামড়ে নিরাপদ জায়গায় নিয়ে গেছে। সকালে বাঘটি ৮ কেজি মাংস খেয়েছে। কামড়ে তাৎক্ষনিক মৃত্যু হয়না হয় ঘাড় ভেঙ্গে গেলে । ক্ষুধার্ত থাকলে তখনি খেত । ও ঝোপের আড়ালে রেখেছে পড়ে খাওয়ার আশায়। একজন প্রহরী থাকলে ও বেচে যেত। প্রহরিরা ২০ মিনিট পরে এসেছে , কি ডিউটি রে বাবা।
চিড়িয়াখানায় দর্শকদের পর্যাপ্ত নিরাপদ বেষ্টনী নেই সেটা ভিডিও দেখলেই বুঝবেন। প্রহরিদের ধর্ষণের ট্রেনিং নিশ্চয়ই আছে নেই শুধু কিভাবে বাঘকে হটিয়ে মানুষ বাচাতে হয়। বন্দে মাতরম !!