নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আজ পরন্ত বিকেলে দিপিকা পাডুকনের সাথে কিছুক্ষন:

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১০:৫৫


- বাংলাদেশ দুতাবাস থেক বের হয়ে ধাই ধাই করে হেটে দুক্কি মেট্রো স্টেশনের দিকে যাচ্ছিলাম। হটাৎ পিছন থেকে ঘারের উপর কারো একজনের আলতো করে হাতের ছুয়া অনুভব করলাম। তাও নরম হাতের স্পর্শ্ব। দুক্কি এলাকাটায় বিদেশী লোকজনের আনাগুনা একটু বেশী। ভাবলাম হয়তো পরিচিত কেহ হবে ভাবতে ভাবতে পিছনের দিকে তাকাতেই ছোখ ছানাবরা। হার্টবিট ও বেরে গেলো হু হু করে। একি দেখছি আমি!!! দিপিকা পাডুকন আমার গতিরোধ করছে!!! এত অবাক হওয়ার কি ই বা আছে? আমিও কি কম যাই!! আমার জায়গায় আমিই শাহরুখ খান। ভাবতে ভাবতে দিপিকার মুখের দিকে ভাল করে নজর দিলাম। দিপিকা আরো সুন্দর হয়েছে। তার গায়ের রঙ আরো উজ্জল হয়েছে। সেই টানা টানা চোখ, দুষ্ট সব এটিটিউড সবই ছবির সাথে মিলে যাচ্ছে। তবে শরীরের প্রতি যত্নটা ইদানিং কম নেয়া হচ্ছে মনে হলো। চুলগুলো উস্ক সুস্ক, দাতগুলোও হলদে হয়েগেছে। পোশাক আসাক ও নরমাল সাধারণ দশজনের মতই। বরং একটু বেশী নরমাল ই মনে হলো। আর ফিগার!!! আগের চেয়ে অনেক বেশী স্লিম। ফিগারের যত্নটা ঠিক ঠাক মতই করেছে। মনে হয় শ্যুটিং নিয়ে বেশি ব্যস্ত তাই খাওয়া দাওয়া ঠিক মত করা হচ্ছেনা। এটা কিন্তু ঠিক না দিপিকা। যাই কর আর না কর খাওয়া ঠিক মত খাওয়া উচিত তোমার। একটু মুটিয়ে গেলে গেলে তবুও খাওয়ায় অবহেলা আমার একদম পছন্দ না। দিপিকার চোখের দিকে ভাল করে তাকিয়ে মনে হলো আমার কাছে কিছু একটা চাচ্ছে। বিদেশের মাটিতে কোন গভির বিপদে পরে আমাকে তার তাদের পাশের বাড়ির ছেলে মনে হয়েছে তাই হয়তো আমার গতিরোধ করেছে। আমি এমন অনেক মানুষের হেল্প করি। আর দিপিকার বেলায় না হয় স্পেশাল সার্ভিসই দিলাম। চিন্তা করে দেখলাম মানিব্যাগে ২০০ ডলার ও রাখা আছে। প্রয়োজনে ২০০ দলার দিয়া দিমু। সাথে না হয় একটা সেলফি তুলে রাখমু। চিন্তা করতে করতে দিপিকাকে বললাম, হ্যায়। কেমন আছো? কিছু লাগবে তোমার?? উত্তরে সে বললো, হ লাগবো। ২ ডা টাকা দেও। আমার বাড়ি সিরিয়া, আমার কিছুই নাই। সিরিয়া ছাইরা মিশরে আইসা ভিক্ষা করে খাই। ঐ দেখ আমার মা, বইন, ছোট ভাই সবাই এই রৌদ্রের মধ্যে ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে জীবন বাচাই রাখছি বলতে বলতেই ব্যাগ থেকে শুকনো ভুট্টার রুটি বের করে দেখাইলো আর কইলো এই খাবার কিনমু দুইডা টেকা দেও। আমি এক পাউন্ডের কয়েন বের করে দিয়ে বল্লাম, ফুট এইখান থেকে। বলেই রাস্তা মাপা শুরু করলাম কিন্তু নাছোর বান্দি ছাড়ে না। কয়, আরেক টাকা দে.............. আমি কইলাম ভাংতি নাই তুই দৌড়ের উপ্রে থাক....কিন্তু সে বেলেহাজের মত টি শার্ট টানা শুরু করলো... তখন পকেটে থেকে টাকা বের করার নামে কৌশলে মোবাইল অপেন করে সেলফির পরিবর্তে গোপন ক্যামেরার মত একটা ছবি তুলে রাখলাম আর আরেকটা কয়েন দিয়ে আমি নিজেই দৌড়ের উপরে থাকলাম।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫২

মিজভী বাপ্পা বলেছেন: :| :| :| :|

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ১১:৫৮

সুপ্ত আহমেদ বলেছেন: সেও ভালো । প্রথমে তো আমি ঘাবড়ে গেছিলাম ।

৩| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৫ রাত ৯:০৬

ফা হিম বলেছেন: |-)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.