নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আজ আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব মিশরের একটি অতি পরিচিত খাবার ভুট্টার রুটির সাথে। আরবী ভাষায় একে বলে 'খুবজ বালাদী' মিশরের লোকাল ভাষায় বলে 'আয়েশ বালাদী' বা সংক্ষেপে বলে 'এশ'। এই ধরনের রুটি আরব বিশ্বের সব দেশেই পাওয়া গেলেও আমাদের অঞ্চলে সাধারণত দেখা যায় না। এই রুটিগুলি স্বাদে তেমন পার্থক্য না হলেও এর ব্যাবহারিক পার্থক্য অনেক। প্রথমত দামে অনেক সস্তা।
- মুলত সরকারী অর্থায়নে এই ধরনের ফ্যাক্টরি তৈরি করা হয়ে থাকে ফলে খুবই সস্তায় এই রুটি জণসাধারণের কাছে পৌছানো সম্ভব হয়ে থাকে। এই রুটিগুলি তিন প্রকারের হয়ে থাকে। আকারে বড় এবং অপেক্ষাকৃত ভাল আটা দিয়ে তৈরি রুটি গুলির খুচরা মুল্য মিশরি ৫০ পয়সা। বা বাংলাদেশের পাঁচটাকার মত। আকারে এর থেকে একটু ছোটরুটি ১ পাউন্ডে পাওয়া যায় ৪ টি। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো তৃতীয় প্রকারের রুটি গুলি ১ টাকায় পাওয়া যায় ২০ টি। মানে একটি রুটি বাংলাদেশের পন্চাশ পয়সা। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ৫০ পয়সায় একটি রুটি কল্পনাও করা যায় না। রুটির ক্যাটাগরি তিনটি থাকলেও এর গুনগত মান স্বাদ সব প্রায় একই। এই একটাকার ২০ রুটি দিয়ে ৪/৫ সদস্যের একটি পরিবার একদিন খুব ভাল করেই চলতে পারে। ফলে গরিব শ্রেণীর মানুষদের অন্তত খাবার নিয়ে অত চিন্তা করতে হয় না। আমাদের অঞ্চলসমুহে এই রুটির ব্যাবস্থা যদি সরকার করতে পারতো তবে গরিব মানুষদের ক্ষুধার জ্বালা অনেকটাই কমে যেত।
দামে সস্তা ছাড়াও এই রুটির নানাবিধ সুবিধা রয়েছে। যেমন:
- এই রুটি অনেক সময় ধরে পেটে থাকে তাই শহজে ক্ষুধা লাগে না।
- দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে। ফ্রিজ ছড়াই ২/৩ দিন খাওয়া যায়।
- কখনো পচে না। কোথাও ফেলে রাখলে শুকিয়ে কাঠের মত হয়ে যাবে কিন্তু পচে দুর্গন্ধ তৈরি করবে না।
- শহজে ক্যারি করা যায়। এই রুটিতে কখনো ধুলা বালি লেগে থাকে না। মাটিতে কিংবা রাস্তায় পরে গেলেও ঝাড়া দিলে ক্লিন হয়ে যায়। ফলে খুব শহজেই এক স্থান থেকে আরেকস্থানে আনা নেয়া করা যায়। যত্রতত্র রেখে খাওয়া যায়।
- বিভিন্ন ধরনের খাবারের সাথে এই রুটি খাওয়া যায়। যেমন: সব্জি, মুরগি, গরুর মাংসের সাথে খাওয়া যায়। অথবা চিজ কিংবা দুধ দিয়ে খাওয়া যায়। মিশরের রাস্তা ঘাটে কিংবা বাজারে ছোট ছোট টং দোকানের মত করে এই রুটি দিয়ে গরুর কলিজা কিংবা লিভার দিয়ে স্যান্ডউইচ বানিয়ে সারা দিন সারা রাতই বিক্রি করতে দেখা যায়। এছাড়াও গড়ম গড়ম রুটি কোন কিছু ছাড়াও খাওয়া যায়। আমরা বাংগালিরা গরু ভুনার সাথে গড়ম গড়ম এই রুটি অনেকটা পার্টির মত করে খেয়ে থাকি
- এই রুটির ফ্যক্টরি সাধারণত সকাল থেকে শুরু করে রাত ১১/১২ টা পর্যন্ত চালু থাকে। এছাড়াও এই সব ফ্যাক্টরি থেকে রুটি কিনে নিয়ে শহরের অন্যন্য আধুনিক রুটির দোকান গুলি কিংবা সাধারণ মুদি দোকান গুলি বিক্রি করে থাকে, যা সারা রাতই পাওয়া যায়।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:২০
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ইচ্ছে করলে খুবই শহজ...
২| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:৩৫
কলাবাগান১ বলেছেন: সব কিছুই সরকার কে কেন করতে হবে!!!! ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগেই তো করা সম্ভব।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:১০
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ব্যক্তিগত উদ্দোগে রুটির দাম অনেক বেশি পরবে.....
৩| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:২২
জাফরুল মবীন বলেছেন: চমৎকার তথ্য জানলাম।
ধন্যবাদ আপনাকে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৮:৩৫
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ওয়েলকাম মবীন ভাই
৪| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ১১:১৫
মাথা ঠান্ডা বলেছেন: আমাদের দেশে এই রুটি দরকার।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৭
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: হ্যা ভাই, আমাদের দেশে এইধরনের কিছু চালু করতে পারলে ক্ষুধার জ্বালা কমানো যেতো......
৫| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: ভালো লাগলো জেনে। তবে এই রুটিতে কখনো ধুলা বালি লেগে থাকে না। মাটিতে কিংবা রাস্তায় পরে গেলেও ঝাড়া দিলে ক্লিন হয়ে যায়। ব্যাপারটা বুঝি নি।
আর প্রিয় কায়রো ভাই, অনুগ্রহ করে সরাসরি পোস্টে ব্যক্তিগত ফেসবুক লিংক বা অন্য কোণ সাইটের লিংক দেয়াকে আমরা বর্তমানে অনুমোদন করছি না। অনুগ্রহ করে লিংকটি সরিয়ে নিন।
ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা রইল।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:০৯
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: আামার এফবিতে অনেক গুলা পিক আছে, দেখলেই ক্লিয়ার হবে বিষয়টা, এখানে পিক আপলোড হতে চায় না, ভেজাল করে।
আর এফবি লিন্ক শেয়ারের বিষয়টা জানতাম না, সরিয়ে দিছি।
৬| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ বিকাল ৪:১৩
নাজমুল হাসান মজুমদার বলেছেন: আমাদের দেশে এইরকম কিছু করা উচিত ।
পোস্টটি ভালো লাগলো
শুভেচ্ছা ভাই আপনাকে ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: একটা বিষয় ভাবা উচিত, সরকার আমাদের মানুষের জন্য এমন একটা কাজ কি করেছে যা দেখে বৃদ্ধ গরিব কোন মানুষ বলতে পারবে যে, 'আল্লাহ আমাগো সরকারকে জান্নাত নসিব করুক'।
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫০
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
চমৎকার তথ্য শেয়ার ধন্যবাদ।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৫
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: কষ্ট করে পড়ার জনয় আপনাকেও ধন্যবাদ।
৮| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫১
তার ছিড়া আমি বলেছেন: ব্যাপরটা জেনে খুবই ভাল লাগলো।
তবে আমাদের সরকার গরিবের স্বার্থে এমন কিছু করবে বলে মনে হয় না। সরকার ইচ্ছা করলে অনেক কিছুই করতে পারে, কিন্তু সরকার থাকে অন্য ধান্দায়, গরিবের খোজ নেয় কে?
আর ব্যাক্তিগত উদ্যোগে করতে গেলে দাম বেশি পড়বে।
২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:০১
মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: সরকারের একটু সদেচ্ছা থাকলেই সব সম্ভব। একা একা নিজস্বউদ্যোগে ব্যবসার জন্য এটা করা যায় কারন তখন দাম অনেক বেশি পরবে।
৯| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:৫৬
মনিরা সুলতানা বলেছেন: দুবাইতে ও আমরা এই খুবজ খুব ভালো পাই ...
সবচাইতে সুবিধা দুই তিন দিন ভাল থাকে ...
এখানকার ইন্ডি গুলা আঁচার দিইয়ে ও খায় ।
তবে এতকিছু জানতাম না
১০| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ রাত ৮:১৮
মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: ভুট্টার রুটি খাইতে মঞ্চায়
ফেসবুকে দেখেছিলাম দুপুরের দিকে। আমাদের দেশে এমন হলে মন্দ হয় না
ভালো থাকুন। শুভেচ্ছা রইল
১১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১০:৫০
হলুদ বাঁশ বলেছেন: লোভ হয় রে............ভাই .
©somewhere in net ltd.
১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৫ সকাল ৭:০৭
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: কবে যে এমন একটা রুটির কারখানা দেশে হবে ?