নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

সমাজের চোখে নারী ও রাস্ট্রের চোখে নারী...

১১ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১৬

পহেলা বৈশাখে নারীর গায়ে যারা হাত দিছে তাদের নিয়ে আমার তেমন টেনশন নাই, কারণ আমি মনে করি কুকুর প্রত্যেক সমাজেই আছে এবং থাকবে। আমার টেনশন হৈলো ঐসমস্ত লোকদের নিয়ে যারা এই ঘটনা দেখছে অথচ প্রতিবাদ করে নাই বা করার সাহস পায় নাই। এর দ্বারা এটাই প্রমাণ হয় সমাজে কুকুরের পাওয়ার মানুষের পাওয়ারের চেয়ে বেড়ে গেছে, এর মানে হলো সমাজের অবক্ষয় চড়ম ভাবে ঘটেছে। তেমনি ভাবে গতকালের ঘটনায় মেয়েটির পুলিশের গারিতে ঢিল ছুড়া ঠিক হয় নাই মানলাম কিন্তু সমস্ত ঘটনা ও ভিডিও দেখার পরও যারা যারা মেয়েটিকে দোষারোপ করছে আমার ঠিক একই উপলব্ধি হচ্ছে যে সমাজের অবক্ষয় ঠিক কতটা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে।

- প্রথমত মেয়েটি কোন হরতাল কিংবা পিকেটিং করতে ওখানে যায় নাই তাহলে কেন পুলিশের গারিতে ঢিল মারলো? ঢিল মারছে কারন হলো এর ঠিক আগের মুহুর্তে তার বন্ধুদের যেইভাবে পুলিশ পিটিয়েছে এটা সে সহ্য করতে পারে নাই, সে রাগে ক্ষোভে ঢিল মারছে। তাও কিন্তু সে চলন্ত জল কামানে ঢিল মারছে। পুলিশকে মারাই যদি তার ইচ্ছে হত তাহলে তার আশে পাশেই পুলিশ ছিল তাদের মারতে পারত কিন্তু সে সেটা করে নাই... ঢিল মারার কাজটা সে আবেগায়ীত হয়ে করে ফেলছে। এখানে ঢিলটি কোন পুলিশের গায়েও লাগে নাই। এবং ঢিলটি ছুড়ার সময় মেয়েটি একাই ছিল, তার সাথে কোন গ্যাং ছিল না যে তাদের লাঠি পিটা করে ছত্রভংগ করতে হবে। বরং, মেয়েটি ঢিল ছুড়ার পর ভয়ে যেইভাবে দৌড় দিয়েছিল তাকে কিছু না বলা হলে সে এক দৌড়ে বাসায় চলে যেত। সেটা না করে পাঁচ সাতজন পুলিশ তাকে যেই ভাবে ধাওয়া ও লাঠি উঠিয়ে হুংকার ছাড়ছিল মেয়েটি যে ভয়ে হার্টফেইল করে নাই সেটাই অনেক কিছু।

- দ্বিতীয়ত: পুলিশের ৫০ টি মুলনীতি পড়লেই পুলিশের কোথায় ভুল হয়েছে সেটা প্রকাশ হয়ে যাবে। পুলিশের মুল মন্ত্রই হল নিজের জান বাজি রেখে জনসাধারণের জান রক্ষা করা। তীব্র আন্দোলনের সময়েও যদি তাদের উপর হালকা আক্রমন আসে তথাপিও তাদের ধৈর্য ধরে যেতে বলা হয়। তবেই জনগনের ট্যক্সের টাকা খাওয়া তাদের জন্য হালাল হয়। অথচ, মেয়েটি একা একা চলন্ত গারিতে একটা ঢিল মারলো আর সাথে সাথে তার উপর চলে আসল অমানসিক নির্যাতন। এর দ্বারা এটাই প্রমান হয় যে পুলিশ নিজেদের রক্ষার্থে কতটা হিংস্র। একবার চিন্তা করুন, এই ছোট্ট একটি ঘটনায় মেয়েটিকে যেইভাবে বুট দিয়ে লাথি দেয়া হলো যেদি ঘটনাটি বিরোধীদলের কোন ছেলে ঘটাতো তাহলে কি হতো? পুলিশ নিশ্চয়ই টেনে নিয়ে গুলি করতো.... আর আপনারা বলতেন পুলিশের গায়ে ঢিল মারলে পুলিশ কি বসে থাকবে? তাদের বন্দুক দেয়া হয়েছে কি হাডুডু খেলতে? সর্বোপরি, এই মেয়েটির হাতে যদি কয়েকজন পুলিশ আহতও হত তবুও কোন পুরুষ পুলিশ নারীর গায়ে হাত তুলতে পারে না বা পারবে না। এই ঘটনা এত বড় কোন ঘটনা না তবে এই থেকে যা উপলব্ধি করা যায় সেটা অনেক ভয়াবহ। ঐ উপরের একই শিক্ষা পাওয়া যায় এখান থেকেও, সেটা হল সমাজের অবক্ষয়। পুলিশ যখন বিবেকহিন হয় তখন সমাজে ইনসাফ কোথা থেকে আসবে? সচেতন হন, সবাই সচেতন হন। সমাজকে সচেতন করে এক সাথে সবাই সোচ্চার হোন প্রতিবাদ করুন, তা না হলে সামনে অনেক ভয়াবহ দিন অপেক্ষা করছে.......

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৫ সন্ধ্যা ৭:০৭

মোঃ শিলন রেজা বলেছেন: ভাই বলা সহজ করাটা অনেক কঠিন। দেখবেন রাস্তার সামনের আপনার এলাকার বড় ভাই যার কোন কাজ নাই কোন ছোট ভাই কে র‍্যাগিং করতেছে, আপনি সামনে দিয়ে যাবেন কিন্তু দেখবেন এড়িয়ে যাচ্ছেন নিজের অজান্তেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.