নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

বৃটিশদের গাল লাল করা আইন ও হাসিনা সরকারের ভ্যাট।

১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩৩

১) এক স্কুল ছাত্র রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছে হটাৎ এলাকার এক শক্তিশালী লোক তারা মাথায় বড় একটা বুঝা উঠায় দিলো। এখন ছেলে তো হাটতে পারে না। অনেক কাকুতি মিনতি করার পরও বুঝা নামায় না। অবশেষে ছাত্রটির বন্ধুরা সবাই এক হয়ে তীব্র আন্দোলন করে রাস্তাঘাট কিছুদিন আটকায় রাখলো। ক্ষমতাবান লোকটি বুঝতে পারলো যে জনমানুষ সবাই বুঝে ফেলছে এটা অন্যায় হইছে, তাই ছেলেটির উপর থেকে ভ্যাট, ওহ সরি বুঝা উঠায় নিল। এখন ঐ বুঝা সরায় নেয়ার কারণে ক্ষমতাবান লোকটির কি প্রশংসা করতে হবে না কি ভৎসনা করতে হবে সেটা নিয়ে কিছু লোক চিন্তায় পরে গেল, কারণ ক্ষমতাবান লোকটি বুঝা সরায় নিছে।

২) যাই হোক, বৃটিশরা যখন আমাদের গোলাম বানিয়ে রাখছিলো তখন ভারত বংশে কোন শিশু জন্ম নিলে গোলামী মানসিকতা নিয়ে জন্ম নিত। ধীরে ধীরে শিশুটি বড় হতো, লেখা পড়া শিখতো কিন্তু বৃটিশদের টেকনিকের কাছে হার মেনে গোলামী মানসিকতা থেকে বের হতে পারতো না। পড়ালেখা করেও সর্বোচ্য চকিদারের চাকরী পেত। তখনকার সময়ের অনেক গল্পকাহীনী লেখা আছে বিভিন্ন বইতে কিংবা মানুষের মুখে মুখে। প্রচলিত আছে যে: সেই সময় ভারতবর্ষের কোথাও কোথাও এমন আইন চালু ছিল যে: গ্রামের প্রত্যেককে প্রতিদিন সকাল বিকেল সরকারী অফিসে গিয়ে কর্তার হাতে দুইটা করে থাপ্পর খেয়ে আসতে হবে। শিক্ষিত অশিক্ষিত ছেলে বুড়ো সবাই বিনা সংকুচে গিয়ে গিয়ে প্রতিদিন কর্তার হাতে থাপ্পর খেয়ে গাল লাল করে আসতো। কারণ, তারা মনে করত এটাই আইন। এটাই নিয়ম। এটাই মানতে হবে। যাই হোক এমন ঘোর অন্ধকারও সরে গেছে......

মন্তব্য ১ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২২

ছাসা ডোনার বলেছেন: দশে মিলে করি কাজ , হারি জিতি নেহী লাজ। সাবাস ছাত্র সমাজ। এভাবেই দেশকে ঘুষখোর দুর্নীতিবাজদের হাত থেকে রক্ষা করতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.