নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

নিলনদ

মাহমুদুল হাসান কায়রো

যাযাবর, অান্তর্জাতিক যাযাবর।

মাহমুদুল হাসান কায়রো › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি গর্বিত ব্লগার.

২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১৫

ছবিগুলি শেয়ার করার কথা ছিলো আরো চারদিন আগে, কিন্তু ব্যস্ততার কারনে পারিনি. শুধু ফেসবুকে নয়, শেয়ার করার কথা ছিলো ব্লগেও, হ্যা আবার বলছি ছবি গুলি সামহয়ারইনব্লগে ও শেয়ার করার কথা ছিলো. সত্যি বলতে ব্লগিং করে কে কতটা সম্মান পেয়েছে জানি না, তবে আমি বিশ্বের বিভিন্ন বড় বড় শহরে বড় বড় মানুষদের থেকে অনেক অনেক সম্মান পেয়েছি. একমাত্র ব্লগার পরিচয়ের কারণে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাননীয় কাউন্সেলর বাসা থেকে খাবার এনে লাঞ্চ করিয়েছিলেন, সেই কথা মনে থাকবে অনেকদিন. এরপর ব্লগ ও ব্লগার নিয়ে অনেক জল ঘোলা হলেও আমি গর্বের সাথেই সর্বত্র ব্লগার পরিচয় দিয়ে এসেছি. অনেক জাগায় নেগেটিভ এফেক্ট পরার সম্ভাবনা সৃষ্টি হলেও নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে কাটিয়ে উঠেছি, আবার অনেক জায়গায় অনেক সম্মান পেয়েছি. সর্বশেষ সম্মান পেলাম নিউইয়র্কে, চারদিন আগে. আর সেটা যেন তেন মানুষদের থেকে নয়. এমন কিছু মানুষদের থেকে সম্মান পেলাম যাদেরকে প্রকৃত অর্থেই জাতির সুর্য সন্তান বলা যায়. যাদের নিয়ে গর্ব করার এবং তাদের থেকে শিক্ষা নেয়ার অনেক কিছুই আছে. তারা হলেন নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশী অফিসার.
গত সমবার সকালের দিকে আমার কর্মস্থলে চারজন হ্যান্ডসাম (বাংলাদেশী) ভদ্রলোক এসেই তাদের আইডি দেখিয়ে বললেন: আমরা (NYDP) নিউইয়র্ক পুলিশের লোক. আমি থতমত খেয়ে গেলাম. ভদ্রভাবে বললাম আপনাদের জন্য কি করতে পারি স্যার? একজন বললেন আপনাদের কম্পানির মালিক কোথায়? আমি বললাম দুইটার পরে আসবে. কোনকিছু বলার থাকলে আমাকে বলতে পারেন. তখন তারা বললেন: নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে আমরা প্রায় ৩০০ জন পুলিশ অফিসার আছি, আমরা একটা এসোসিয়েশন করেছি. আমরা নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কাছে পুলিশ ডিপার্টমেন্টের সেবা বেশি করে পৌছে দিতে আজ বিকেলে একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছি. এছাড়া আমরা একটা ফেসবুক পেইজ ও টুইটারে একাউন্ট খুলেছি এবং কিছু স্টিকার ও ব্যানার বানিয়েছি যার আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করবো. তাদের কথা শুনে আমার উত্তেজনা বেড়ে গেলো. আমি বললাম, ব্রাদার বেয়াদবি না নিলে ছোট্ট একটি কথা বলতে চাই. তারা ব্ব্লেন অবশ্যি বলবেন, বলেন. আমি বললাম: গত তিনদিন আগে আপনাদের পেইজে আমার একটি লেখা শেয়ার করা হয়েছিলো. আমি খুব খুশি হয়েছিলাম. জানিনা কে করেছিল কিন্তু যেই করেছিলেন তার জন্য অনেক অনেক রেসপেক্ট.

ভদ্রলোকের নাম কবির. কবির সাহেবও উত্তেজিত হয়ে গেলেন মনে হলো.

বললেন আপনার আইডি কি?

বললাম: কায়রো, মাহমুদুল হাসান কায়রো.

কবির সাহেব বললেন: ওহমাইগড, আপনিই সেই ব্যক্তি. আপনি ব্লগিং করেন না?

আমি বললাম হ্যা, টুকটাক করার চেষ্টা করি.

আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম: আপনি চিনলেন কিভাবে?
লেখাটাকি আপনি পড়েছিলেন?

আমাকে অবাক করে দিয়ে কবির সাব বললেন: আরে ভাই আমি পড়ব কি! আমি নিজেইতো আপনার লেখা শেয়ার করেছি.

আমি ওই পেইজের অ্যাডমিন প্লাস এই এসোসিয়েসনের সভাপতি.

তখন তিনি তার আরো কলিগদের ডেকে পরিচয় করিয়ে দিলেন.
আমি ছোট্ট মানুষ হলেও তারাও মনে হলো আমার সাথে পরিচিত হয়ে খুশিই হলেন.

তারপর আরো অনেক কথা হলো, তারা বললেন যদি পরেন আমাদের ফেসবুক পেইজটা সকলের নিকট ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা কইরেন. আমি বললাম, ভাই আমাকেও একটু সুযোগ করে দিয়েন. আমি নিউইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশীরা যাতে আওয়ামীলীগ বিএনপি নিয়ে মারামারি না করে আমেরিকান পলিটিক্সে সময় দেয় সেই বিষয় নিয়ে কাজ করতে চাই.
তারা একে অপরের দিকে তাকিয়ে এমন ভাবে মৃদু হাসলেন তাতে মনে হলো আমি তাদের ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা না জেনেই বলে দিছি. কবির ভাই বললেন, আপনি কোন লেখা লিখলে আমাকে ইনবক্স কইরেন আমি পোষ্ট করে দিবো. সবাই তাদের নম্বর দিয়ে বললেন কোন দরকার কিংবা সমস্যা হলে নির্দিধায় ফোন দিবেন. এবং বিকেলে অনুষ্ঠানে থাকার জন্য ইনভাইট করলেন.

বিকেল বেলা আমি আর অনুষ্ঠানে যেতে পারি নি. কিন্তু দূর থেকে আমাকে ডেকে পাঠালেন. মিষ্টি খাওয়ালেন, সকলের সাথে পরিচয় করে দিলেন. ছবি তুললেন, আর বললেন আপনাদের ব্লগে শেয়ার দিয়েন. উপস্থিত মেহমানদের একজন বললেন আমি নিউইয়র্কের সাপ্তাহিক বর্ণমালা পত্রিকার এডিটর. আমরা আপনাদের সামহয়ার ব্লগ থেকে অনেক লেখা কপি করি. আপনি নিউইয়র্ক নিয়ে কোন লেখা লিখলে আমাকে দিয়েন পত্রিকায় ছাপাবো. বলার আছে অনেক কথা, লেখার আছে অনেক কিছুই কিন্তু একটু চিন্তা করে গুছিয়ে লেখার মত পরিস্থিতি ঠিক এই মুহুর্তে নাই. সে জন্য অপেক্ষা করতে হবে বেশ কিছুদিন.

উল্লেখ্য যে: নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের বাংলাদেশী পুলিশ অফিসাররা বাংলাদেশীদের আরো কাছে গিয়ে তাদের সেবা করতে একটি ফেসবুক পেইজ খুলেছেন. এই পেইজের মাধ্যমে সরাসরি প্রশ্নের জবাব, কংবা সব ধরনের সেবা দেয়া হয়. আপনার চাইলে পেইজটি শেয়ার ও লাইক দিয়ে সকলের সাথে থাকতে পারেন. এবং উত্সাহী অফিসারদের কাজে উত্সাহ দিতে পারেন. সবাইকে ধন্যবাদ.
পেইজের লিংক: Bangladeshi American Police Association

মন্তব্য ৯ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (৯) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৩

ব্লগ সার্চম্যান বলেছেন: শুভেচ্ছা থাকলো মাহমুদুল হাসান কায়রো ভাই ।

২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৯

রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: ভালো ।

৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০

ধমনী বলেছেন: আপনার সম্মানে আমরা আনন্দিত।

৪| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:২৯

আমি তুমি আমরা বলেছেন: অ্যাঁ

৫| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:৪৬

দিশেহারা রাজপুত্র বলেছেন: গর্বের ভাগিদার হলাম।

৬| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:২৪

ধ্রুব নয়ন চৌধুরী বলেছেন: শরিক হতে পেরে ভাল লাগছে

৭| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৭

আরজু পনি বলেছেন: !:#P

৮| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:১৮

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আরিফ আর হুসেইনের পেইজেও এমন লেখা পড়ছিলাম যেখানে তাকেও এমন সম্মান জানানো হইছে। এই মূহুর্তে লিংক টা দিতে পারলাম না মোবাইল থেকে লগিন বলে। এই ঘটনা যে আসলে কার সাথে ঘটছে বুঝা মুশকিল। আগামিকাল লিংক টা দিচ্ছি অপেক্ষা করেন।

৯| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: এই যে এখানে লিঙ্ক দিলাম view this link

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.