নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

দেখা হল তিনটি অসাধারণ সিনেমা!

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১:৫৬

1.My Sassy Girl:


আমার দেখা প্রথম অসাধারন রোমান্টিক কোরিয়ান মুভি।

হো সিক কিমের নিজের জীবনের কাহিনী নিয়ে একটি বই বের করেন । নিজের এবং তার প্রেমিকার সাথে পরিচয় , তাদের প্রেমের মুহূর্তগুলো উঠে আসে সেই প্রেমের বইয়ে । কোরিয়ার বেস্ট সেলিং সেই বইয়ের গল্প নিয়েই পরবর্তীতে কোরিয়ান ভাষায় My Sassy Girl চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন নির্মাতা ও স্ক্রিপ রাইটার Kwak Jae-yong ।

একটি বোকাটে সরল-সোজা ছেলে আর একটি পাগলাটে মেয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পরা নিয়ে এই মুভি’র কাহিনী গড়ে উঠেছে। মেয়েটির সংস্পর্শে এসে ছেলেটি কি করে পরিণত হয়ে উঠে, এবং পাগলাটে আর ‘রাফ-এন্ড-টাফ’ মেয়েটি কি করে নিজের ভেতরের কোমল আর অসহায় দিক গুলো আবিস্কার করে তাই নিয়ে গড়ে উঠেছে এই ছবির কাহিনী। ভালোবাসা, মায়া, পরিবর্তন আর জীবনের গোপন ক্ষত গুলো কাটিয়ে উঠে আবার নতুন করে জীবনে ফিরে আসার কষ্ট গুলো সুন্দর আর সহজ ভাবে ফুটে উঠেছে এই মুভিতে।

এশিয়ার টাইটানিক খ্যাত এই মুভিটি হলিউড,বলিউড,টলিউডে এবং জাপানিজ,চাইনিজ ভাষায় রিমেক হয়েছে।

2.City Of God:

City of God (পর্তুগিজ ভাষায়: Cidade de Deus) ; অস্কার মনোনীত ব্রাজিলীয় চলচ্চিত্র। ১৯৯৭ সালে প্রকাশিত পাউলো লিন্‌স-এর উপন্যাস "সিদাদ দি দেউস" অবলম্বনে চিত্রনাট্য লিখেন ব্রাউলিও মানতোভানি।

'৬০ এর দশক থেকে '৮০ এর দশকের শুরু পর্যন্ত ব্রাজিলের রিও দি জেনেরিও শহরের সিদাদ দি দেউস বস্তিতে, বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ি দলগুলোর জন্ম,বিকাশ ও ক্ষমতা দখলের যুদ্ধ দেখানো হয়েছে চলচ্চিত্রটিতে।যেখানে শিশুরাও অস্ত্র হাতে এ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

এ ছবির অধিকাংশ অভিনেতাই আগে কখনও অভিনয় করেননি। পরিচালক
সিদাদ দি দেউস বস্তির অধিবাসী বেশ কয়েকজনকে দিয়ে অভিনয় করিয়েছেন।

তারপরও চলচ্চিত্রটি চার ক্যাটাগরিতে ২০০৪ সালে একাডেমি পুরস্কার মনোনয়ন পায়।

সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত এ চলচ্চিত্রটি কে এম্পায়ার ম্যাগাজিন ২০০৩ সালের সেরা সিনেমা হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আর টাইম ম্যাগাজিন একে সর্বকালের সেরা ১০০ ছবির তালিকায় স্থান দিয়েছে।

3.Hotel Rwanda:

Hotel Rwanda ১৯৯৪ সালের রুয়ান্ডার গণহত্যার উপর ভিত্তি করে নির্মীত চলচ্চিত্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইতালি ও দক্ষিণ আফ্রিকার যৌথ প্রযোজনায় নির্মীত এই ছবিটি ২০০৪ সালে মুক্তি পেয়েছিল।

হোটেল রুয়ান্ডাকে অনেকেই আফ্রিকান Schindler's List হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন।

ছবিটি মুক্তি পাওয়ার ঠিক ১০ বছর আগে রুয়ান্ডাতে মানব ইতিহাসের অন্যতম জঘন্য গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল। দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা নানান ধরণের খবরের ভিড়ে এই গণহত্যার সংবাদ আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে খুব কমই স্থান পেয়েছিল। এই সুযোগেই গণহত্যা বিভৎস রূপ ধারণ করেছিল। মাত্র তিন মাসে ৮০০,০০০ লোককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছিল। হুটু গোষ্ঠীর আগ্রাসী লোকেরা বিদ্রোহী টাট্‌সি গোষ্ঠীর মানুষদের হত্যা করে।

সে সময় কিগালির এক সাধারণ হোটেল কর্মকর্তা পল রুসেসাবেগিনা প্রায় ১২৬৮ জন হুটু ও টাট্‌সি শরণার্থীকে রক্ষা করেন। তিনি অত্যন্ত প্রতিকূল পরিস্থিতিতে এদের সবাইকে নিজের হোটেলে (হোটেল মি কোলিন) আশ্রয় দিয়েছিলেন।

সম্পূর্ণ সত্য এই ঘটনা অবলম্বনেই ছবিটি নির্মীত হয়েছে।

অ্যামেরিকান ফিল্ম ইনস্টিটিউট ছবিটিকে সর্বকালের সেরা "প্রেরণাদায়ক চলচ্চিত্রের" তালিকায় এটিকে ৯০তম স্থান দিয়েছে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ২:১৯

হাসান মাহবুব বলেছেন: তিন রকম তিনটা ছবি। তিনটাই দারুণ। এর মধ্যে সিটি অফ গড সবচেয়ে বেশি প্রিয়। বহুবার দেখেছি।

৩১ শে আগস্ট, ২০১৬ রাত ১১:৩৮

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: :)

২| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:৫৩

অন্তু নীল বলেছেন: প্রথম দুটো দেখেছি। তার মধ্যে "সিটি অফ গড" আমিও দেখেছি বেশ কবার।
অসাধারণ মুভি।

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: "সিটি অফ গড" টা সত্যি অসাধারণ, অন্যরকম মুভি!

৩| ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৯:১৪

সোহানী বলেছেন: হুম ভালো মুভিগুলো ..... ++++++++++++++++++

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ দুপুর ১২:০২

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.