নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ।। শী - হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৫:৫৯


বইঃ শী
লেখকঃ হেনরি রাইডার হ্যাগার্ড
অনুবাদঃ নিয়াজ মোরশেদ
প্রকাশনীঃ সেবা প্রকাশনী

বইটির শুরু হয়েছে লেখকের সরল স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে।যেখানে লেখক বলছেন গল্পটি তার নিজের লেখা নয়।আরেকজনের লেখা সত্য কাহিনী লেখক সম্পাদনা করেছেন মাত্র।কয়েক মিনিটের পরিচিত হোরেস হলি নামক এক ব্যাক্তির কাছ থেকে একটি পান্ডুলিপি হাতে আসে লেখকের কাছে, আর তাই লেখক তুলে ধরেছেন পাঠকের কাছে।কাহিনীটি সত্য না মিথ্যা তা যাচাই করার ভার ছেড়ে দিয়েছেন পাঠকের উপর।

হোরেস হলিকে বন্ধু ভেনসির একমাত্র সন্তান লিওর দায়িত্ব নেওয়ার মাধ্যমে এই গল্পের শুরু।ভেনসি তার পরিবারের অনেক ইতিহাস তার বন্ধু হলিকে শোনায় এবং তার পুত্র লিও কে বড় করে তোলা ও উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার দায়িত্ব হলির উপর দিতে চায়।হলি যখন দায়িত্ব নিতে রাজি হয় তখন ভেনসি তাকে কিছু শর্ত দেয় এবং অক্ষরে অক্ষরে তা পালন করতে বলে।একই শাঠে চাবিসহ লোহার একটি বাক্স দেয় যা শুধু লিওর বয়স পচিশ বছর পূর্ন হলেই খুলতে পারবে।এবং তার পরের দিন ভিনসি মারা যায়।

তারপর হলি লিওর সব দায়িত্ব কাধে নেয় ও তাকে বড় করে তুলে। যখন তার বয়স ২৫ হয় তখন তারা বাক্স টা খুলে এবং এর ভিতরে কিছু পুরনো এবং রহস্যজনক দ্রব্য খুজেঁ পান। যেগুলো মূলত লিওর পরিবারের পুরনো ইতিহাসের সামান্য নমুনা।

তারপর লিও এবং হলি এই পরিবারের সম্পূর্ন রহস্য জানতে বাক্সের ভিতরে থাকা বিভিন্ন দ্রব্যের সহায়তার পূর্ব আফ্রিকা অভিযানে বের হন। জাহাজযোগে তারা যখন বাক্সের ভিতরে থাকা নির্দেশনা অনুসারে তাদের গন্তব্যে পৌঁছান। তখন তারা অ্যামাহ্যাগার নামক ঐ অঞ্চলের একদল আদিবাসীর কাছে বম্দি হন। তখন তারা জানতে পারেন যে ঐ অঞ্চল শাষন করেন একজন অসীম ক্ষমতাধর নারী যাকে তারা "সে যাকে মানতে হবে" এই নামে ডাকে।

"সে যাকে মানতে হবে" এই চরিত্রটিই হল আয়েশা,অস্বাভাবিক ক্ষমতা সম্পন্ন রহস্যময় এক চরিত্র।আয়েশার জন্ম দুই হাজার বছর পূর্বে আরবে।অসম্ভব রূপধর, কোনো মানুষের পক্ষে তার রুপকে সহ্য করা দুষ্কর।

অ্যামাহ্যাগারদের রাণী দুই হাজার বছর ধরে অপেক্ষা করছে তার প্রেমিকের জন্য। তিনি বিশ্বাস করতেন যে একদিন না একদিন তার প্রেমিক অবশ্যই আসবে। কিন্তু এক পর্যায়ে তিনি আবিষ্কার করেন যে লিওই তার আসল প্রেমিক। তাই সে লিওকে পেতে মরিয়া হয়ে যায়। কিন্তু অ্যমাহ্যাগারদের বাসস্থানে পৌঁছার পর উস্তেন নামে এক মেয়ের প্রেমে পড়ে যায় লিও। তাই রাণী উস্তেনকেও সরিয়ে দেন।

এরপর নানা রোমাঞ্চকর ঘটনার মাধ্যমে এগুতে থাকে ঘটনা। শেষ পর্যন্ত আয়েশা কি লিওর ভালোভাষা পেয়েছিলো?

জানতে হলে,পড়তে হবে হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের বিশ্ব বিখ্যাত এই বইটি!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ৩:২৭

রক্তিম দিগন্ত বলেছেন: রিভিউটা বেশ।

তবে, আমার কাছে শী এর থেকে রিটার্ন অব শী বেশি ভাল লেগেছে।
আর, বই পড়ে শী এর প্রেমে পড়েনি - এমন বালক খুঁজে পাওয়াও দুষ্কর।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:৫১

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: হ্যাগর্ডের চরিত্র গুলোই এমন, এলিসা পড়ে এলিসার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম!
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.