নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউ।। আর্নষ্ট হেমিংওয়ের \'দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী\'

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৫৪


বইঃ দি ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী
লেখকঃ আর্নষ্ট হেমিংওয়ে
অনুবাদকঃ রওশন জামিল
প্রকাশকঃ সেবা প্রকাশনী

প্রথমেই উল্লেখ করা ভালো, আর্নষ্ট হেমিংওয়ের লেখা ৪টি উপন্যাসের মধ্যে এই বইটির জন্যই তিনি ১৯৫৩ সালে সাহিত্যে পুলিৎজার পুরস্কার এবং ১৯৫৪ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।লেখকের ১৯৫১ সালে কিউবায় অবস্থাকালীন সময়ে বইটি লিখিত এবং ১৯৫২ সালে প্রকাশিত।এটি লেখকের জীবন কালে প্রকাশিত সর্বশেষ ফিকশানধর্মী রচনা।

নোবেল পুরস্কারের সমস্ত টাকা তিনি দান করেন কিউবার রাজধানী হাভানার ১২ মাইল উত্তরে অবস্থিত কোহিমার ধীবর পল্লী নামক জেলে পাড়ায়। এই জেলে পাড়াটিই তাকে তার কালজয়ী এই উপন্যাসটি লিখতে অনুপ্রেরণা জোগায়। তবে এই উপন্যাসে সমাজের চরিত্রটি ততোটা গুরুত্বপূর্ন নয়, যতোটা গুরুত্বপূর্ন ব্যক্তির চরিত্র। ব্যক্তির কথাই আসলে বলে এই উপন্যাসটি, সেই ব্যক্তির কথাই ঘুরে ফিরে আসে-যে কিনা সংগ্রামী এবং স্বপ্ন দেখে।

কাহিনীর শুরুতেই আমরা পরিচিত হয়, এর প্রধান চরিত্র বুড়ো লোকটার সাথে। যে কিনা খুব বেশি একা, নিঃসঙ্গ। জীবন সংগ্রামে পিছিয়ে পড়া একজন । প্রাচীন থেকে প্রাচীনতর হচ্ছে তার সবকিছুই, কিন্তু চির উজ্জল ওর দুটি চোখ ব্যতিক্রম সব কিছু থেকেই। সেই চোখ দুটোতে অস্তিত্বমান সাগরের নীল - যা জ্বলজ্বলে ও অপরাজেয়।

কাহিনীটা শুরু হচ্ছে এভাবে :

“বুড়োমানুষ, ডিঙিতে চেপে গালফ স্ট্রীমে একাকী মাছ ধরে বেড়ায়। আজ চুরাশি দিন একটিও মাছ পায়নি ও। প্রথম চল্লিশ দিন একটা ছেলে ছিল ওর সঙ্গে। কিন্তু চল্লিশ দিন পরেও যখন কোন মাছ উঠলো না, ছেলেটার বাবা-মা ওকে বলল বুড়ো এখন নির্ঘাত সালাও, অর্থাৎ চরম অপয়া হয়ে গেছে।“

ফলে ছেলেটাকে অন্য নৌকাই চলে যেতে হয় আর মাছও পায় তারা। অন্যদিকে বুড়ো সান্তিয়াগো রোজ শুন্য ডিঙ্গি নিয়ে ফেরে।তবে কিশোর মানোলিনের শ্রদ্ধা মিশ্রিত সাহায্য, সহানুভূতি আর ভালোবাসার হাত বরাবরই ছিল বুড়োর দিকে।

৮৫ তম দিনে বুড়োর অপয়া অপবাদ ঘুচানোর সুযোগ আসে।সেদিন এক বিশাল মারলিন ধরা পড়ল ওর বড়শিতে। শুরু হল এক অসম সাহসী সংগ্রাম। সমুদ্রের পানি থেকে তাকে টেনে তোলা সহজ কথা নয়।তিন দিন ধরে সংগ্রাম চলল। এই তিন দিনের কথাই উপন্যাসের আখ্যানভাগ।

সান্তিয়াগো বারবার বলেছে, “ ছেলেটা যদি আজ থাকতো এখানে ’’।আর এভাবেই লড়াই করার মানসিক শক্তি পেয়েছে সে। এর মধ্য দিয়েই হৃত যৌবন কে নতুন করে নিজের মাঝে উপলব্ধি করেছে।

সমুদ্র এখানে রূপক। বস্তুত আমাদের জীবনই একটা সমুদ্র।আর সেই সমুদ্রের মূল স্রোতধারা ধরে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। যেখানে হতাশ হলে চলবেনা। বৃদ্ধ জেলেটি যেমন একবারের জন্যও হতাশ হয়নি। এবং শেষ পর্যন্ত সফলও হয়েছিল সে।

এই বইয়ের সবচেয়ে ভালো লেগেছে যে কথাটি তা হলো-

“মানুষের জন্ম তো হার স্বীকারের জন্য নয়। মানুষ ধ্বংস হয়ে যেতে পারে কিন্তু কখনো পরাজিত হয়না...আশা হারিয়ে ফেলা বোকামি।”

স্বপ্ন, সংগ্রাম আর সাফল্যের এ গল্পটি পড়ার আমন্ত্রন রইল সকলের প্রতি।




মন্তব্য ৪ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১১:১৫

সুলতানা শিরীন সাজি বলেছেন:
এই বইটা পড়তে হয়েছিল পাঠ্যবই হিসাবে।
যতবার পড়তাম।কান্না পেতো।
ব্যখ্যা লিখতে হতো তাই লাইনের পর লাইন মনে রাখতে হতো।

অনেক quote ভালো লাগতো। সব মনে নেই।
একটা হলো,“Now is no time
to think of what you do not have.
Think of what you can do
with that there is”
― Ernest Hemingway,
The Old Man and the Sea

ছোট্ট আঙ্গিকে অনুবাদ ভালো হয়েছে।
শুভেচ্ছা রইলো।

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩১

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ!

২| ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১২:৩৮

ভ্রমরের ডানা বলেছেন:
মহান লেখকের মহান কীর্তি! খুব ভাল পোষ্ট!

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ১০:৩৩

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.