![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"আম আঁটির ভেঁপু", বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের "পথের পাঁচালী" উপন্যাসের সরল সংক্ষেপিত কিশোর সংস্করন।
মাত্র আশি পৃষ্ঠার ছোট বই,অথচ শেষ করলাম চারদিনে!কারনটা ইচ্ছাকৃত,এই বইয়ের সাথে কাটানো সময়গুলো দিনের সেরা সময় হতো আমার জন্য,তাই চেয়েছি প্রতিদিনেরই কিছু মুহূর্তকে এই বইয়ের সাথে কাটাতে।পড়তে পড়তে কখনো একা একাই হেসেছি,রোমাঞ্চিত হয়েছি,মন খারাপ করেছি।
ভাই-বোনের অকৃত্রিম ভালোবাসা আর বন্ধুত্বে মুগ্ধ হয়েছি বারবার।
পৃথিবীতে এখনো টাইম ট্রাভেলার মেশিন আবিস্কৃত হয়নি।তবে একজন বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় পেয়েছিলাম আমরা।আপনি যদি আপনার হারানো শৈশবে ফিরে যেতে চান,কিংবা আমার মত গ্রামে বেড়ে উঠেন নি কিন্তু গ্রামীণ প্রকৃতি আপনাকে আকর্ষিত করে বারবার,তাহলে হাতে নিন বইটি।
বইয়ের পাতায় চড়ে সোজা পৌছে যাবেন নিশ্চিন্দিপুর গ্রামে!গিয়েই দেখা মিলবে অপুর সাথে।তার সাথে মাঠের ওপারে নীলকন্ঠ পাখি দেখতে যাওয়ার সময়ই বনের মধ্য বড় বড় কানের কিছু একটা দৌড়ে যেতে দেখবেন।অপুর সাথে আপনিও বলে উঠবেন- "বনের মধ্যে কি গেল বাবা?বড় বড় কান?"
অল্পক্ষন পড়েই দেখা মিলবে হাতে কাচের চুড়ি,ময়লা কাপড় পড়া,ডাগর চোখের দশ এগারো বছরের দুর্গার সাথে।এই দুই ভাই-বোনই আপনাকে নিয়ে যাবে কালবৈশাখীর কোন এক ঝড়ে আম কুড়াতে কিংবা মায়ের অগোচরে আমের কুসি জারাতে।হঠাৎ মায়ের ডাকশুনে আপনিও হয়তো কাঠাল গাছের আড়ালে দাড়িয়ে আমের চাকলা গুলো গিলতে থাকবেন, চিবিয়ে খাওয়ার সময় নেই!
চক-শ্লেটের কথা মনে আছে?ছোট বেলার সেই শ্লেটটি আবারো আপনাকে হাতে নিতে হবে প্রসন্ন গুরুমশায়ের পাঠশালায় যাওয়ার সময়!
পথ হারিয়ে আতুড়ি বুড়ির বাড়িতে পৌছে যখন দেখবেন আতঙ্কে অপু নীলবর্ণ হয়ে আছে,তখন হয়তো আপনি ভয় পাবেন না কিন্তু ঠোটের কোণে হাসি ফুটে উঠবে ঠিকই!
দুর্গা অপুর সাথে মেটে আলু আর পানসে আধপোড়া বেগুনভাজা দিয়ে খাওয়ার সময় মনে পড়ে যাবে চড়ুই ভাতির কথা!
এরকম আরো অনেক কিছু,অনেক ঘটনা প্রবাহের সাথে আপনি পৌছে যাবেন ছোটবেলার সেই স্বপ্নময় জগতে!
বইটা এতটাই ভালো লেগেছে যে,এটি নিয়ে লিখতে গিয়ে কি লিখব না লিখব,বুঝতে পারিনি,বারবার কিবোর্ডের ব্যাকস্পেস বাটন চাপতে হয়েছে।যে কারনে লেখাটাও খুব এলোমেলো হয়েছে,যা প্রকাশ করতে চেয়েছিলাম তা পারিনি,আসলে কিছু অনুভূতি কখনোই মুখের কথায় বা কলমের কালিতে প্রকাশ করা যায় না,অনুভব করতে হয়,এই বই পড়ার পরের অনুভূতি ঠিক তেমনই।
সবশেষে অনুরোধ থাকবে, একজীবনে তো অনেক বই পড়েছেন,যদি না পড়া থাকে এই বইটিও অবশ্যই পড়বেন,আর যদি সম্ভব হয় তাহলে "পথের পাঁচালী" টাই পড়ে নিবেন।
এটা নিশ্চিত করেই বলতে পারি,আপনার পড়া সেরা বইগুলোর তালিকার প্রথম দিকেই থাকবে বইটি।
হ্যাপি রিডিং! :-)
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৩১
ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: মন্দ নয়।
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৫
ফাহাদ জুয়েল বলেছেন:
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
অপু তানভীর বলেছেন: একেবারে প্রথম দিকেই পড়া বইটা ।
আর হ্যা সত্যি আমার পড়া সেরা বইগুলোর তালিকার প্রথম দিকেই আছে বইটি !
০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৭
ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ!
৪| ১৯ শে মার্চ, ২০১৭ রাত ১২:৪০
অতঃপর হৃদয় বলেছেন: আমাদের পাঠ্য বইয়ে ছিল গল্পটি।
২৩ শে মার্চ, ২০১৭ দুপুর ১২:০২
ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: তাই নাকি? কোন ক্লাসে?
©somewhere in net ltd.
১|
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:২৯
পুলহ বলেছেন: আপনি যদিও বলেছেন লেখার সময় বারবার ব্যাকস্পেস চাপতে হচ্ছিলো, কিন্তু আপনার লেখা মোটামুটি গোছানোই মনে হয়েছে আমার কাছে।
পৃথিবীতে এখনো টাইম ট্রাভেলার মেশিন আবিস্কৃত হয়নি।তবে একজন বিভূতিভূষন বন্দোপাধ্যায় পেয়েছিলাম আমরা।"-- খুব সুন্দর বলেছেন।
বিভূতিভূষণ আমার প্রিয় কথাসাহিত্যিক। পথের পাঁচালী পড়া আছে, আম আটির ভেপুও সম্ভবত ছেলেবেলায় পড়েছিলাম। আপনার কথা শুনে আবার হয়তো পড়বো আল্লাহ চাইলে।
শুভকামনা জানবেন ভাই