নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের "মুন অভ ইজরাইল"

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭


স্যার হেনরি রাইডার হ্যাগার্ডের লেখা বরাবরই আমাকে মুগ্ধ করে,এবারও তার ব্যতিক্রম হয় নি!অনেকদিন পর স্যার হ্যাগার্ডের লেখা বই নিয়ে বসলাম,বইয়ের নাম "মুন অভ ইজরাইল"। কাহিনী আবর্তিত হয়েছে কয়েক বছর পূর্বের মিশরকে উপজীব্য করে।কাহিনী টি আমাদের প্রায় সবার জানা,সেই জানা গল্পটাই নতুন ছাঁচে উপন্যাসে রূপ দিয়েছেন প্রবাদপ্রতিম ইংরেজ লেখক স্যার হ্যাগার্ড।

প্রাচীন মিশরের মেম্ফিস শহরের এক দরিদ্র লেখক অ্যানার আত্মকথন দিয়ে লেখক আমাদের নিয়ে গেছেন সেই কুরআনিক ইতিহাসে।ইউসুফ আঃ মিশরের উজির থাকাকালীন সময়ে বনি ইজরায়েল এর অনেকে শরনার্থী হিসেবে মিশরে আশ্রয় গ্রহন করে।কিন্তু জাত্যাভিমানী মিসরীরা কিংবা পরবর্তী সময়ের দাম্ভিক শাসকেরা তাদের সহ্য করতে পারতো না।সময়ের পরিক্রমায় ইউসুফ আঃ এর সাম্রাজ্য শেষ হয়ে গেলে সেইসব বনি ইজরায়েলরা নিগৃহীত হতে থাকে।তৎকালীন মিশরের শাসকরা তাদের পরিনত করেছিল দাসে।দিনে দিনে তাদের উপর অত্যাচারের মাত্রা বেড়ে চলছিল।তাদের না ছিল মৌলিক অধিকার,না ছিল মানবাধিকার।

তেমনি এক সময়ে বনি ইজরায়েলদের মাঝে আবর্তিত হন নবী মুসা আঃ ও তার সহোদর হারুন আঃ।তারা ফারাওদের অত্যাচার, নির্যাতনের হাত থেকে বনি ইজরায়েলদের বাচাতে তৎকালীন ফারাও মেনাপটা'র কাছে প্রস্তাব করেন যেন বনি ইজরায়েলদের মিশর ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দান করা হয়।কিন্তু ফারাও তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখান করেন।জেনে রাখা ভালো,ফারাও/ফেরাউন ছিল তৎকালিন মিশরের রাজাধিরাজদের পদবী,তাদের একেকজনের আলাদা আলাদা নাম ছিল।

মেনাপটা'র মৃত্যুর পর ফারাও হলেন আমেনমেসিস।যদিও ক্ষমতার প্রকৃত দাবিদার ছিল যুবরাজ শেঠি।কিন্তু তিনি ছিলেন বনি ইজরায়েলদের প্রতি সুহৃদ ও নবীদ্বয়ের দাবির সমর্থক।ফারাও আমেনসিসের নিকটও একই দাবি পেশ করা হয়,তিনিও তার পূর্বসূরির মত দাম্ভিকতার সাথে নবী মুসা'র (আঃ) দাবি প্রত্যাখান করেন।নবী তাদের হুশিয়ার করে দেন সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত এক অনাগত অভিশাপ সম্পর্কে,জানিয়ে দেন "মরণ হবে এদের খাদ্য,রক্ত হবে পানীয়।"

এরপর পুরো মিশর জুড়ে নেমে আসে সেই অভিশাপ।সুপেয় পানির উৎসগুলো হয়ে যায় রক্তলাল,পতঙ্গপালের আক্রমনে ফসল নষ্ট হয়ে দেখা দেয় দূর্ভিক্ষ।সূর্যের আলো পাওয়া যায় না, দেখা যায় না চাঁদ-তারা!এক আশ্চর্য আভিশাপ-আলোর আকাল।

সেই চরম দুঃসময়ে অবশেষে বনি ইজরায়েলদের দেশ ছেড়ে যাওয়ার অনুমতি দান করা হয়।নবীদ্বয় দাবি করেন,তাদের যেন তাদের সম্পদসহ চলে যাওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।তাতেও রাজি হয় ফারাও আমেনমেনিস।কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ায় রাজকন্যা-যুবরানী উসার্টি।তিনি চান বনি ইজরায়েলরা যেন নিঃস্ব অবস্থায় ফিরে যায়,তার প্ররোচনায় আমেনমেসিস তার পূর্বের অনুমতি বাতিল করে নতুন আদেশ দেন- "মিশরের সম্পদে অধিকার শুধু মিশরীয়দের,অন্য কারো নয়।" একই সাথে বনি ইজরায়েলদের কাছ থেকে তাদের সম্পদ রেখে দেওয়ার জন্য সৈন্য যাত্রার আদেশ দিলেন, যার নেতৃত্বে রইলেন তিনি নিজেই।

শুরু হলো ভূমিকম্প,মহাপ্রলয়। আর ফারাও আমেনমেসিসের পরিনতি তো সবারই জানা।আজও সেই স্বাক্ষী হয়ে সংরক্ষিত হয়ে আছে আমেনমেসিসের লাশ।

যুদ্ধ,সংঘাত,ষড়যন্ত্র আর নবী মুসার সেই ঘটনা স্যার হ্যাগার্ডের চোখে দেখতে চাইলে পড়তে পারেন বইটি।

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:


দুনিয়ার ব্ল ব্লা

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: :|

২| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২১

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: বইটা ইন্টারেস্টিং মনে হচ্ছে। তবে আপাতত মিসির আলি নিয়ে আছি। পরে একসময় পড়ার চেষ্টা করবো।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৮:২৪

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: পড়ে নিয়েন ।

৩| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:২৬

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: হ্যাগার্ডের একটি বই পড়েছি নাম মনে নেই তবে খুব ভাল লেগেছিল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৮

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: স্যার হ্যাগার্ড এর সবগুলো লেখাই দারুন!

৪| ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৯:৩৯

জল্লু ঘোড়া বলেছেন: আমি এই লেখকের দুটি বই পড়েছি, ক্রাইম থ্রিলার ধরণের। ভালোই লেগেছিল।

৩০ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১২:০৯

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: বই দুটোর নাম মনে আছে?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.