নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে পাশাপাশি নিয়ে চলা নিতান্তই সাধারন একজন মানুষ।

ফাহাদ জুয়েল

ফাহাদ জুয়েল › বিস্তারিত পোস্টঃ

বুক রিভিউঃ হেমেন্দ্রকুমার রায়ের \'যকের ধন\'

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ সকাল ১১:১৮


বইয়ের নামঃ যকের ধন
লেখকের নামঃ হেমেন্দ্রকুমার রায়
প্রকাশনায়ঃ বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র
মুদ্রিত মূল্যঃ ১২০ টাকা মাত্র।

-
ইদানিং রিভিউ লিখতে আলসেমি লাগে খুব! এজন্য ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও অনেক বইয়ের রিভিউ লেখা ওঠেনা। তবে কিছু বইয়ের রিভিউ না লিখেও থাকা যায়না। ভালো লিখতে না পারলেও ইচ্ছে করে কিছু বইয়ের কথা মানুষকে জানাতে। হেমেন্দ্রকুমার রায়ের লেখা ‘যকের ধন’ তেমন একটা বই। সে সময়ে এমন দারুণ একটা এডভেঞ্চার বই ছিল তা সত্যিই অসাধারণ, আর এমন একটা বইয়ের সাথে কিছু মানুষকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার তাগিদ থেকেই এই রিভিউ।

বিশ্বায়ন আর অবাধ তথ্য প্রযুক্তির একটা বড় সুবিধা হল- না চাইলেও খুব সহজে অনেক কিছু জানা যায়। ‘যকের ধন’ বইটির খোঁজ ও হয়তো কখনো পেতাম না, অবাধ তথ্য প্রযুক্তির সুবাদে পেয়ে গেছি একটা বইয়ের গ্রুপে। তবে এটা ঠিক যে, এই বইয়ের রিভিউ বা কাহিনী সংক্ষেপ আমাকে যতটা না আকর্ষিত করতে পেরেছিল, তারচেয়ে বেশি আকর্ষিত হয়েছিলাম বইটার নাম দেখে! যকের ধন!

আমাদের গ্রামীণ সমাজে অনেক আগে থেকেই ‘যকের ধন’ নিয়ে নানান ধরনের কল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। কেউ একজন হুট করে অনেক টাকা পয়সা, ধন সম্পত্তির মালিক হয়ে গেলেই বলা হতো যকের ধন পেয়েছে! তো, এই যকের ধন বা যখের ধন জিনিসটা কি আসলে? যক বা যখ হল সেইসব প্রেতাত্মা বা ভূত যারা প্রাচীন সময়ের গুপ্তধন পাহারায় নিয়োজিত থাকে, আর যকের ধন হল সেই গুপ্তধন!

তো চলুন, হেমেন্দ্রকুমার রায়ের দেখানো পথে কুমার-বিমলের সাথে সেই যকের ধন উদ্ধার অভিযানে বেরিয়ে আসি! আর সেই সাথে শৈশব-কৈশোরের দিনগুলোও পরিভ্রমন করে আসি!

গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র কুমারের ঠাকুরদাদা মারা যাওয়ার পর উনার রেখে যাওয়া লোহার সিন্ধুকে অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে একটি ছোট বাক্স পাওয়া গেল। আর সেই বাক্সে মিলল একখানা পুরনো পকেট বুক আর ময়লা কাগজে মোড়া একটা মৃত মানুষের মাথার খুলি! বেটা কি বুড়ো বয়সে পাগল হয়ে গিয়েছিল নাকি? এমন জিনিস কেউ লোহার সিন্ধুকে ভরে রাখে! মায়ের কথামতো বাড়ির পাশের এক ঝুপড়িতে খুলিটা ফেলে দেয় কুমার। দিন কয়েক পর ঠাকুরদার বন্ধু করালী মুখুয্যে কুমারদের বাড়িতে আসলে সিন্ধুকে পাওয়া জিনিসগুলো সম্পর্কে তাকে জানায় কুমার। বিস্ময়কর ভাবে সে রাতেই তাদের বাড়িতে চুরি হয়, আর কোনকিছু না নিলেও চুরি হয়ে যায় সেই চন্দন কাঠের বাক্সটা! সিন্ধুকে এত জিনিস থাকতে চোর খালি বাক্সটা নিয়ে গেল কেন!

তবে কি এই বাক্সের মধ্যে কোন রহস্য আছে, একটা মড়ার মাথার খুলি কেনইবা ঠাকুরদা এত যত্ন করে সিন্ধুকে রেখে দিয়েছিল? কৌতূহলী হয়ে ঝুপের ভেতর থেকে খুলিটা তুলে আনে কুমার, কয়েক দিন জঞ্জালে পড়ে থেকে খুলিটার একপিঠে যে কালো রঙ মাখানো ছিল তা স্থানে স্থানে উঠে গেছে। রঙ উঠে সেখানে ভেসে উঠেছে অনেকগুলো অঙ্ক! খুলির পিঠে অঙ্ক কেন, আর এই অদ্ভুত অঙ্কগুলোর মানেই বা কি!

অঙ্কগুলোর মানে উদ্ধারে ব্যর্থ হয়ে কুমারের মনে পড়ে সেই পকেট বুকের কথা। চোর বাক্সটা নিয়ে গেলেও পকেট বুকটা আগেই সরিয়ে রাখার কারনে তা নিতে পারে নি। পকেট বুকেই কুমারের জন্য অপেক্ষা করছিল দারুণ এক চমক! সে সময় মনে পড়লো বিমলের কথা। কুমারের চেয়ে তিন বছরের বড় হলেও বিমল ছিল তার প্রানের বন্ধু। বিমলের সাহায্য নিয়েই খুলির অঙ্কগুলোর সমাধান করে তারা, সন্ধান পায় যকের ধনের! আর এই যকের ধন উদ্ধারে তাদের যেতে হবে আসামের এক দুর্গম পাহাড়ের ওপাশে- যেখানে এক পুরনো বৌদ্ধ মন্দির আছে। কুমার-বিমল কি পারবে সেই যকের ধন উদ্ধার করতে?

উদ্ধার অভিযানে বের হয় তারা, আর সময়ের সাথে এগিয়ে যেতে থাকে কাহিনী, যার তীব্র আকর্ষণে পাঠককে নিয়ে যাবে বইয়ের শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত!

সেই দুঃসাহসিক, রোমাঞ্চকর অভিযানে কুমার-বিমলের সঙ্গী হতে চাইলে হাতে নিতে হবে থ্রিল আর সাসপেন্স পূর্ণ এ বইটি! কথা দিচ্ছি, একবার শুরু করলে শেষ না করে উঠতে পারবেন না!

হ্যাপি রিডিং!

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১২:০৪

বিএম বরকতউল্লাহ বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ যকের ধর এর সুন্দর রিভিউ উপহার দেয়ার জন্যে।

২৩ শে জুলাই, ২০১৭ দুপুর ১:৫৯

ফাহাদ জুয়েল বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.