নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

MOHAMMAD RASEL AHAMED

MOHAMMAD RASEL AHAMED › বিস্তারিত পোস্টঃ

*

০৬ ই আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৪:৫৫

নিরাপত্তা....এ যেন বাংলাদেশের ভুমিতে সোনার হরিন এর পদাচরন। আইনের শাসনের অভাব, মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারহীনতার কারণে দেশে গুম, খুন ও অপহরণের মতো ঘটনা বেড়ে গেছে। সর্বত্র রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন আর দুর্নীতির আশ্রয়-প্রশ্রয় এ ধরনের অপরাধকে উৎসাহিত করছে। এ অবস্থা থেকে বের হওয়ার জন্য সুশীল সমাজ, রাজনীতিবিদসহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি চাই’ বলে দাবি তুলেছিলেন প্রয়াত সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ নির্মল সেন। আজ সেই দাবিই বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। যা দেশবাসীর সবার প্রাণের দাবি, তা উপেক্ষা করতে পারে না কোনো গণতান্ত্রিক সরকার। অথচ আমরা দেখছি অপহরণ, গুম, নির্যাতন বন্ধে সরকারের ব্যর্থতা সীমাহীন। অপর পক্ষকে দোষারোপ করে ধোঁয়া ছড়িয়ে তারা কী আড়াল করছে আসলে? অভ্যন্তরীণ কোন্দল, ব্যক্তি-বিদ্বেষ সমাজে তীব্র হয়ে উঠেছে। অপহরণ, গুম, খুনের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। অথচ কী নির্বিকার আমরা। সমন্বিত প্রতিরোধ তৈরি করতে ব্যর্থ হচ্ছি। দৈনিক ইত্তেফাক ৩০ এপ্রিল ২০১৪-তে এক প্রতিবেদন উল্লেখ করেছে ১২ বছরে ১০ হাজার ১৬১ জন অপহরণ ও নিখোঁজ হওয়ার খবর। এর মধ্যে ৩শ' জনের লাশ শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ২,৫০০ জন। ৭,০০০ নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর হাতে ৩,০০০ অপহরণকারী ধরা পড়েছে। অপহরণ হওয়ার পর অপহূত ব্যক্তির স্বজনেরা থানায় ডায়রি করে।

শুধু নারায়ণগঞ্জ নয়, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে একের পর এক ঘটে চলেছে অপহরণ, খুন ও গুমের ঘটনা। শাস্তির ভয় ব্যতিরেকে ভয়ংকর সব অপরাধ সংঘটনের স্বর্গরাজ্য বাংলাদেশ কী করে হলো? এর জন্য দায়ী কে?

নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের জন্য প্রধানমন্ত্রী বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন। কিন্তু আইনগতভাবে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে? অন্যদিকে বিরোধী দল অপহরণ, গুম, খুনের জন্য দায়ী করেছে সরকার ও সরকারি দলের লোকজনকে। অতীতের মতো তদন্ত-অনুসন্ধান ছাড়াই দেওয়া উভয় পক্ষের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। চলমান গুম অপহরণ খুন নিয়ে উদ্বিগ্ন জাতি। অজ্ঞাত অন্তর্ধানের কূল কিনারা মিলছে না। এইসব অপরাধের সাথে জড়িতদের যথাযথ বিচার করা যাচ্ছে না। দুই বৃহৎ রাজনৈতিক দল একে অপরকে দুষছে। সংবিধানের ৩২ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে 'No person shall be deprived of life of person liberty, save accordance law'। আইন সুরক্ষা দিয়ে নাগরিকদের জানমালের নিরাপত্তার বিধান করা সরকারের দায়িত্ব। এতে বাস্তব পরিস্থিতির কোনো ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে না, বরং সরকার যদি এসব গুরুতর অপরাধ নিয়েও রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়া অব্যাহত রাখে, তাহলে অপরাধীরা আরও বেপরোয়া হওয়ার সুযোগ পাবে। প্রকৃত অপরাধীদের আড়াল করতে অভিযোগের ধূম্রজাল সৃষ্টি করা হলে খুনে বাহিনীগুলো আরও লাগামছাড়া হওয়ার সবুজসংকেত পায়।

এটা শুধু নারায়ণগঞ্জে নয়, সারা দেশের জন্যই জরুরি কথা: মানুষের নিরাপত্তাহীনতা মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। কে কোথায় কখন অপহূত হবে, কোথায় কার লাশ পাওয়া যাবে, কে চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ হয়ে যাবে—এমনই উদ্বেগ-আতঙ্কে নিমজ্জিত আজ গোটা বাংলাদেশের মানুষ। কিন্তু যারা এসব গুরুতর অপরাধ সংঘটনের মধ্য দিয়ে দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে, তারা একই সঙ্গে স্বাধীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের আইন প্রয়োগ ব্যবস্থা ও শাসনযন্ত্রকে অকার্যকর, অর্থহীন করে দিচ্ছে!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.