নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি

বিদেশী বাঙালী

সাতটি মহাদেশ, আরো পাঁচটি মহাসাগরের ভিড়ে, পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা-যমুনার তীরে, বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে, আমার জন্মভূমি.........

বিদেশী বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

মুক্তিযুদ্ধের নামে ভাস্কর্য তৈরী করে ব্যবসায়িক ফায়দা লাভের রাজনীতি আর কত দিন!

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:১১

সত্যিই বিশ্রি ব্যাপার! মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য তৈরী'র পক্ষে কথা বলতে গিয়ে শাহ জালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সর্বজন মান্য শিক্ষককে যারা গালি দিচ্ছেন বা গালিবাজদের সমর্থন করছেন, তাদেরকে কিছু কথা জিজ্ঞাসা করতে চাই। আচ্ছা, ভাস্কর্য তৈরী করে হয়ে গেলেই কি মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্ব শেষ হয়ে যাবে? স্বাধীনতা'র প্রতি সম্মান দেখানো হয়ে যাবে? আর কেউ যদি এরপরে ভাস্কর্য ভেঙ্গেই ফেলে, তাহলেই কি মুক্তিযুদ্ধ আর শহীদদের আমাদের অস্তিত্ব থেকে মুছে ফেলা যাবে? নাকি তাতে করে আমরা সেই মহান আত্মত্যাগীদের ভুলে যাব?



যদি তা না হয়ে থাকে, ভাস্কর্য নির্মাণের যথার্থতা কোথায়? ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্যগুলোর নিচেই তো আমাদের মা-বোনদের লাঞ্চিত, বেইজ্জতি করা হয়েছিলো। তখন ঐ ভাস্কর্য আমাদের মানসিকতার পিছনে কি প্রভাব ফেলতে পেরেছিলো বলতে পারবে কেউ? মুক্তিযুদ্ধকে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক পণ্য বানানোর ঢাল হিসেবে ভাস্কর্য তৈরী করা হয়ে থাকে আমাদের দেশে। শাবি'র মত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের যেখানে টিউশনের টাকা যোগাড়ে হিমশিম খেতে হয়, সেইখানে ভাস্কর্যের পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করাটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?



মুক্তিযুদ্ধকে কেউ যদি চেতনায় ধারণ করতে চায়, তাহলে গোটা বাংলাদেশ থেকে একটি ভাস্কর্য না থাকলেও, ঠিকই মনের মাঝে তারা তা লালন করবে। আর, কেউ যদি না করতে চায়, তাকে লক্ষটা ভাস্কর্যের সামনে দিনের পর দিন বেঁধে রাখলেও সম্ভব নয়। সে ঠিকই গুরুজনদের গালি-গালাজ করার মত খারাপ কাজ করে যাবে।



আমার এই আলোচনার সূত্র ধরে এখানে একটি ছায়াছবি'র ক্লিপ পোস্ট করছি। 'লাগে রাহো মুন্না ভাই' নামক এই ছবিতে মুন্না ভাইকে প্রশ্ন করা হয়েছিলো যে, কোন ছেলে যদি গান্ধী'র মূর্তি ভেঙ্গে ফেলতে আসে, তখন কি করা উচিৎ? যারা ছবিটা দেখেছেন, তাদের উত্তরটা মনে আছে নিশ্চয়? মনে থাকলেও আরেকবার দেখে নেওয়ার অনুরোধ থাকলো। বড়ই আফসোস যে, আমরা শুধু ছবিই দেখি, কিন্তু খুব কমই এর থেকে শিক্ষা নিই!



একজন শিক্ষককে এই ভাবে গালি দেওয়ার যে কালচারটা কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্র শুরু করে দিয়ে গেলেন, তা SUST-কে অনেক ভুগাবে ভবিষ্যতে। এর আগেও উনারা এমন করেছেন। ২০০০ সালে ভিসি হাবিবুর রহমান স্যারের নাম কুকুরের গায়ে ঝুলিয়ে একটি রাজনৈতিক দলের কর্মী সাস্টে মিছিল করেছিলো। কারণ? ক্যাম্পাসের একটি ঘটনায় ঐদলের কয়েকজনকে বহিস্কার করেছিলেন তদন্ত কমিটি'র প্রধান জাফর ইকবাল স্যার। আর সরকারপন্থী শিক্ষকদের চাপ অগ্রাহ্য করে ভিসি স্যার তা অনুমোদন করেছিলেন। এরকম আর কত দিন? শিক্ষকদের কাজ খারাপ লাগলে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে, তার প্রতিবাদও করা যেতে পারে। কিন্তু, গালি-গালাজ করা? এইটা কি ধরণের বিচার, কি ধরণের মানসিকতা?



শত ধিক জানাই এমন মানুষদের। আপনারা ক্ষান্ত দিন দয়া করে।



ছবি'র ভিডিও ক্লিপ: Do we really need to build any sculpture to show respect?



মন্তব্য ৪ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩০

ডজ বলেছেন: একমত আপনার সাথে। আমার ফেবু ওয়ালে আপনার মতামত না নিয়েই আপনার ফেবু থেকে লেখাটা শেয়ার করেছি । ধন্যবাদ।

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৩৩

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আমার লেখার কোন ইন্টেলেকচুয়াল প্রোপার্টি রাইটস নেই যদি হুবুহু ছাপা হয় কোথাও। ভালো থাকুন।

২| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৯:৫০

ভিটামিন এ বলেছেন:

০৮ ই জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:১২

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: ধন্যবাদ। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.