নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি

বিদেশী বাঙালী

সাতটি মহাদেশ, আরো পাঁচটি মহাসাগরের ভিড়ে, পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা-যমুনার তীরে, বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে, আমার জন্মভূমি.........

বিদেশী বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জামায়াতকে নিষিদ্ধের দাবী ইসলামের স্বার্থেই সমর্থন করা উচিৎ

১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৮

জামায়াতে ইসলামী'র বৈধতা নিয়ে রায়ের একটি কাজ কোর্টে চলছে। স্বভাবতঃ-ই এ নিয়ে দেশে আর একটি গোন্ডগোল হয়তো জট পাকাতে যাচ্ছে শীঘ্রই। আর তার জের ধরে হয়তো আরো অনেক তাজা রক্ত ঝড়ে পড়বে রাজ পথে। এসব কিছু কিছু জেনে-শুনেই কি সরকারের মাঝে ঘাপটি মেরে থাকা দেশের শত্রুরা এই ধরণের একটি মারাত্মক ইস্যু নির্বাচনের ঠিক আগে আগে সামনে নিয়ে আসছে যাতে করে রাজনৈতিক পরিস্থিতি একট সংঘাতে পথে যায়? আল্লাহই ভালো বলতে পারবেন।



তবে, সে যা-ই ঘটুক না কেন, ইসলামের পথের কর্মীদের এ নিয়ে নিজেদের সংঘাতে জড়ায়ে নিজেদের দূর্বল করার আগে আর একটু ভেবে নেওয়া উচিৎ নয় কি? নিজেদের যে বিষয়টি সবচেয়ে গভীর ভাবে ভেবে দেখতে হবে, জামায়াত নিষিদ্ধ হলে তা কি ইসলামের জন্যে একটি বড় ধাক্কা নাকি আল্লাহর রহমত? এইখানে বলে নেওয়া দরকার, '৭১-এর যে পঁচা কাঁদা জামায়াতকে কলুষিত করেছে তা কখনই দেশের আপামর জনগণকে জামায়াতের ইসলামের পিছনে এক করবে না। যদিওবা আমাদের বামপন্থীরা এবং মিডিয়া অনেক কিছুকেই তিলকে তাল করেছে ইসলামকে হেয় করার জন্যে, তবুও বলতে হয়, স্বাধীনতার সময় পাকিস্তানের জালিম সেনাবাহিনীকে সমর্থন দেওয়াটা বড় একটি ভুল ছিলো। আর সেই ভুলকে শোধরানোর হয়তো এটিই সবচেয়ে বড় সুযোগ।



কেমন করে? বলছি। দেশের বুদ্ধিজীবি এবং রাজনীতিবীদগণ তো এতো দিন দেশের জনগণকে ইসলাম হতে দূরে সরিয়ে রাখছিলেন শুধুমাত্র ৭১-এর জুজু দেখিয়ে। স্বাধীনতার পরবর্তীতে রাজনৈতিক দলগুলো যে 'মাছে-ভাতে বাঙালী'-কে 'পানি-ভাতে' বাঙালী'-তে পরিণত করেছেন, দেশকে দূর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বানিয়ে তলাহীন ঝুড়ি বানিয়েছেন...এগুলো নিয়ে তাদের কখনই তেমন একটা মনোযোগ দিতে দেখা যায়নি।



এখন, যে জামায়াতের দিকে আঙ্গুল তুলে তারা ইসলামকে হেয় প্রতিপন্ন করতেন এতোদিন, জামায়াত নামক দলটি যদি না থাকে তাহলে উনাদের কাছে আর কি কোন হাতিয়ার বাকি থাকবে ইসলামী শাসনকে সমর্থন না করার পিছনে? এরপরেও যদি তারা ইসলামী হুকুমত ব্যবস্থা কায়েমে পিছুপা হোন, তখন কিন্তু দেশবাসীর কাছে তাদের মুখোশ খুলে দেওয়া অনেক সহজ হয়ে যাবে।



আর একটি ব্যাপার ইসলামী কর্মীদের ভেবে দেখতে হবে। দেশে কওমী-আলিয়া বিভেদ দূর করে একই পতাকাতলে সবাইকে জড়ো করার এটিই একটি সুযোগ। এখানে মনে রাখা জরূরী, তুরস্কে ইসলামী দল নিষিদ্ধ হওয়ার পরও কিন্তু ইসলামের অগ্রযাত্রা থেমে থাকেনি সেখানে। বরং ভিন্ন নামে এমন জোর কদমে এগিয়ে গিয়েছে যে, সেই নিষিদ্ধ হওয়া দলটিই এখন ক্ষমতায়!



ইসলামের ঝান্ডা বুকি জড়িয়ে ধরা বীর কর্মীদের এ থেকে কোন কিছু শিক্ষা নেওয়ার আছে কি?

মন্তব্য ৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: এই নাস্তিক সরকার থাকলে
থাকবে না ঈমান, থাকবে না মান
করো সবে জামায়াতের জয়গান

ধর্ম থাক বা না থাক, মাথায় থাকবে টুপি
সাঈদীর মতো কামনা মেটাব চুপি চুপি

ইহকালে নারী, পরোকালে হুর
ভোগের বস্তু থাকবে ভরপুর

করো সবে জামায়াতের জয়গান
যদি থাকে তিল পরিমাণ ঈমান

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৪

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: কেন ভাই করেন আজাইরা প্যাচাল?
কথার মাঝে ঢুকান, আকাইম্মা ভেজাল।

সাঈদি সাহেবকে ভালো লাগেনা, ওটা বললেই হয়,
কেন মুখ খারাপ করে, এনার্জি করেন ক্ষয়?

হুর যদি ভালো না লাগে, মুন্নি সাহারে দেখেন,
ধর্ম নিয়ে খোঁচা না দিয়ে, সময় থাকতে ভাগেন।

ঈমানের সাথে জামায়াতের, নাই কোন যোগ,
এইটা যদি না বুঝেন, বুঝবো আপনি ঠগ।

২| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ৯:০৯

আধার রাতের মুসাফির বলেছেন: জানি না আপনি কতটা ইসলামিক। আপনার সামনে যারা তাগুতের হয়ে কাজ করতেছে তাদের কিছু না বলে উল্টো যারা ইসলামের পক্ষে কাজ করে তাদের নিষিদ্ধ করতে বলতেছেন।

হায় রে! মানুষ।

ঠিক যেন মাহমুদুর রহমানের মত অবস্থা।


যারা ইসলাম সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করলো তাদেরকে কিছু না বলে যে প্রকাশ করলো তাকেই বরাং জেলে ঢুকালো।

হায়রে বিচার, মনুষ্যত্ব, হায়রে মুসলিম নামধারী মানুষ।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনি মনে হয় আমার পয়েন্ট-টা বুঝতে পারেননি। একটু ভালো করে চিন্তা করুন। আমি কিন্তু ইসলামী দলগুলোর ফেভারেই কথা বলে ভবিষ্যৎ একটি দিক-নির্দেশনা দিয়েছি মাত্র।

৩| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৪

নিষ্‌কর্মা বলেছেন: ইসলামের রাজনীতিকরনই ইসলামকে ডুবিয়েছে।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪২

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: ইসলামে কি রাজনীতি নিষিদ্ধ?

৪| ১২ ই জুন, ২০১৩ রাত ১০:১৬

পরাজিত মধ্যবিত্তের একজন বলেছেন: আধার রাতের মুসাফির , ছাগল:

মনে করুন, আপনি ভারতে থাকেন। ভারতে আপনার আর এক মুসলমান বন্ধুর সঙ্গে আলাপকালে মা-কালী বা কৃষ্ণকে নিয়ে আজেবাজে কথা বললেন। আপনারা যেহেতু মুসলিম। বলতেই পারেন নিজেদের মধ্যে। কিন্তু দেখা গেল ভারতের কোনো এক সাংবাদিক আপনাদের কথোপকথন রেকর্ড করে পত্রিকায় প্রকাশ করলো। এর ফলে ভারতে দাঙ্গায় বেশ কিছু মুসলমান মারা পড়লো এবং কিছু হিন্দুও মরলো। এই সহিংসতার জন্য দায়ী কে??
ওই পত্রিকা।
ফেসবুকে মানুষ ব্যক্তিগত বন্ধুদের সঙ্গে আলাপ করে। ব্লগেও একটা পর্যায়ের শিক্ষিত ও ধৈর্য্যশীল মানুষেরাই লেখালেখি করে। এটা পত্রিকায় প্রকাশ করে দাঙ্গা বাধানোর দায় মহাচুদুর রহমানের ওপরই পড়ে। মতিঝিলে সহিংসতার মূল দায় ওই পত্রিকার। যদি বুঝতাম ব্লগাররা আন্দোলনে নেমেছে নাস্তিকদের বিচার করার জন্য তাহলে বুঝতাম। আস্তিক নাস্তিক বিষয়টা ফেসবুক বা ব্লগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
নাস্তিক এ দেশে নতুন করে জন্ম নিয়েছে?? মত থাকলে ভিন্ন মত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। ফেসবুকে বহু নাস্তিক দেশের বাইরে থেকে লেখালেখি করে। তাদের বিচার করবেন কিভাবে?? এইসব বিষয় নিয়ে কচলাকচলি করে আপনারাই ধর্মের সর্বনাশ করছেন।

১৩ ই জুন, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৬

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আমার ব্লগে কাউকে গালি-গালাজ করা আমি সমর্থন করি না। কারণ, যারা বুদ্ধি দিয়ে কথা বলতে পারেনা, তারাই এহেন কাজ করে। আপনি কি তাদের একজন? যদি তা-ই হয়, আমার ব্লগে আপনি স্বাগতম নন.

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.