![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বর্তমান সরকারের শুরুর দিকের কাহিনী। ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ আন্দোলন বাংলাদেশে সবে মাত্র জমে উঠেছে। সাধারণ জনগণ আর ছাত্রদের প্রবল আন্দোলনের মুখে বাংলাদেশ সরকার দেশে ও বিদেশে প্রবল কূটনৈতিক তৎপরতা চালায়। এর মাঝে বেরিয়ে পড়ে, বাঁধপ্রকল্পে বিশ্বব্যাংক তথা বিশ্বের বড় বড় আর্থিক লগ্নীকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর টিপাইমুখ প্রকল্পে ভারতকে সাহায্যদানের তথ্যগুলো। এ খবরে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বাংলা ও মনিপুরের সাধারণ জনতা।
কিন্তু এতো কিছুর পরেও পাশ্ববর্তী দেশটি বাঁধ প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে সমুখে। ওদিকে আন্দোলন চাঙ্গা রাখতে বিরোধীদলগুলোর নিদারুণ ব্যর্থতায় বাংলাদেশে আপামর জনগণ হয়ে পড়ে নির্জীব। সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে সরকারও প্রতিবেশী দেশের উপর চাপ প্রয়োগের নীতি হতে দূরে সরে আসে বহু ক্রোশ।
এরপর?
বাংলাদেশে ঘটতে শুরু হয় একের পর গুপ্ত হত্যা আর রাজনৈতিক হত্যাকান্ড। সেই সাথে হঠাৎ করে দেশের চারদিক থেকে ভবন ধ্বসে পড়ার খবর আসতে থাকে। একই সময় কেন যেন বাংলাদেশের গার্মেন্টসগুলোও হঠাৎ করেই আগুন লেগে ছাই হয়ে যেতে থাকে একেক করে। শুরুটা হয়েছিলো বোধহয় বঙ্গবাজার দিয়ে।
এরই ফাঁকে খবর আসে, বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে রুশ সরকারের সহোযোগিতায় দেশে একটি পারমানবিক চুল্লি স্থাপন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। টেন্ডারবাজী আর সি,বিএ নেতাদের ক্রমাগত দূর্নীতিতে ভঙ্গুর বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা যেন এতে করে নতুন এক আলো'র দিশা পায়। কিন্তু, একের পর এক সাংবাদিক হত্যার খবরে সেই স্বপ্নও কর্পুরের মত উবে যেতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি বাংলার জন্মদুখী জনগণের মনে।
তারপরে?
রাতের অন্ধকারে আলেমদের হত্যা আর রাজনৈতিক নেতাদের অবুঝ কারাবন্দি, দেশের মানুষকে বুঝি সম্ভাব্য মরুভূমি হওয়ার দিকেই আরো ঠেলে দিয়েছে।
কালের পরিক্রমায়, দেশে আবারো একটি রাজনৈতিক ভজগট চলছে। প্রতিবারের মত এবারো ইসলামী দলগুলোর কাঁধে বন্দুক রেখে বাংলাদেশে হয়তো নতুন আরেকটি সরকার ক্ষমতার মসনদে আসীন হতে যাচ্ছে। কিংবা, পর্দার আড়ালে বামদলগুলোর রাজনৈতিক লুডু খেলায় ঘুরে-ফিরে আবারো আওয়ামী লীগই ফিরে আসবে রাষ্ট্রের ক্ষমতায়। আর তাও যদি নাহয়, দিক-বিদিকশুণ্য পরিবর্তনের বন্যায় বাংলার মানুষকে ভাসিয়ে দিতে কাধেঁ সোয়াড় হয়ে বসতে পারে আনকোড়া নতুন কোন দল। ব্যাস! এ আর নতুন কি?!
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, এতে করে দেশের আপামর জনগণ নিজেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট আসল সমস্যাগুলোর কোন সমাধানের দেখা পাবে কি? পারবে কি তারা শাহ জালাল, শাহ পরান আর খান জাহানের ভুলে যাওয়া সমৃদ্ধশালী সেই প্রাচীন বাংলার স্মৃতিকে বুকে ধরে বিশ্বের বুকে আবারো মাথা তুলে দাঁড়াতে?
নাকি সময়ের কড়াল গ্রাসে ইতিহাসের চোরা স্রোতে হারিয়ে যাওয়া অতীতের শত সভ্যতার পথ ধরে চোখের আড়ালে চলে যাবে আমাদের মাতৃভূমি?
সময়ই বলে দিবে কি আছে এই কপালপোড়াদের ললাটে।
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৪৪
বিদেশী বাঙালী বলেছেন: ওরে বাবা! সৈয়দ মুজতবা আলী!!! শুনেই তো থর হরি কম্প লেগে যাচ্ছে।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি দোয়া করার জন্যে। আসলে এক বসাতে লেখা। রিভিশনের সময় পাইনি।
ভালো থাকুন নিরন্তর।
©somewhere in net ltd.
১|
০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
লিখেছেন বলেছেন: মন্তব্য ভালই হইয়াছে , তবে বাক্য বিন্যাসে দুর্বলতা পরিলক্ষিত হইয়াছে। যাহা হোক, পরিশ্রম করিলে এই ত্রুটি গুলি কাটিতে পারিবেন বলিয়াই আমার বিশ্বাস । রসের উপাদান যথেষ্ট ছিল যাহা পাঠকদের চিত্ত উৎফুল্ল করিয়াছে তাহাতে বিন্দমাত্র সন্দেহ নাই। বাংলা সাহিত্যে সৈয়দ মুজতবা আলি পরবর্তী ওই ঘরানার লেখকদের চাহিদা মিটাইতে বিশেষ সচেষ্ট থাকিবেন এই প্রত্যাশায় ।