নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি

বিদেশী বাঙালী

সাতটি মহাদেশ, আরো পাঁচটি মহাসাগরের ভিড়ে, পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা-যমুনার তীরে, বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে, আমার জন্মভূমি.........

বিদেশী বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

নাস্তিকদের নিয়ে একটি কৌতুক

১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ ভোর ৫:৪৪

সে অনেক অনেক আগের কথা। এক দেশে এক পাজি নাস্তিক বাস করতো। তার কাজই ছিলো শুধু মানুষকে অকারণে খোঁচানো। শুধু কি তাই? কারো সাথে তর্কে না পারলে, তার মুখ দিয়ে ছুটতো রাজ্যের যত বাজে গালি-গালাজ।

তার এধরণের স্বভাবের কারণে যখন পাড়া-পড়সি'র প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়, তখন সৃষ্টকর্তা ঠিক করলেন তাকে উচিৎ একটা শিক্ষা দিবেন।



একদিন সকালে নাস্তিক লোকটি বের হয়েছে বন-জঙ্গলে একটু ঘুরবে বলে। হাঁটতে হাঁটতে গাছের পাতা, পাখি, ফল-মূল এসব দেখে 'আহা-উহু' করছে আর ভাবছে বিবর্তনের ধারায় কি রকমারী জিনিসেরই না এই পৃথিবীতে আবির্ভাব হয়েছে। সব ভালোই চলছিলো। কিন্তু, বিপদ ঘটলো একটি পাহারী ঝরনা পার হতে গিয়ে। সেখানে তার জন্যে অপেক্ষা করছিলো সাত ফুট লম্বা বিরাট বড় এক গ্রিজলী ভাল্লুক।



ভাল্লুক দেখে তো নাস্তিকটা'র অবস্থা পুরা কেরোসিন। 'ওরে বাবাগো খেয়ে ফেল্লো গো' ডাক ছেড়েই উল্টো দিকে দৌড় লাগালো নাস্তিক লোকটা। ওদিকে বিকট এক গর্জন করে ভাল্লুকটাও তার পিছনে পিছনে আসছে খাবে বলে। পাজি লোকটা দৌড়ে আর আর পিছন ফিরে দেখে, ভাল্লুকটা কতটুকু এগুলো। সে যত জোরেই দৌড়াক, সে কি আর ভাল্লুকের সাথে পারে! গ্রিজলী ভাল্লুকটি এক সময় ঠিকই তার ঘাড়ের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। কষে তার গালে একটা থাবড় বসিয়ে মাটিতে ফেলে দিলো তাকে ভাল্লুকটি।



আর কোন আশা নেই বুঝতে পেরে ভেউ ভেউ করে কেঁদে ফেলে বেচারা। মুখ দিয়ে বেরিয়া যায়, ''হে খোদা! রক্ষা করো!''



তার এ কথা মুখ দিয়ে বেরোতে না বেরোতেই পুরো বন কেঁপে উঠে, ঝরনার পানি থেমে যায়, ভাল্লুকটিও হা করে তার দিকে চেয়ে থাকে। কি বলে লোকটি!



এসময় বনের গাছগুলো'র পাশে উজ্জল একটি আলো জ্বলে উঠে তার চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। আলো থেকে একটি বার্তা ভেসে আসে, ''হে মূর্খ! এখন কি হলো তোমার! সারা জীবন তুমি স্রষ্টা আর তাঁর অনুসারীদের গালি-গালাজ করে গেলে, আর এখন বিপদের পড়ে সেই স্রষ্টাকেই ডাকছো!''



বিপদ থেকে কিছু সময়ের জন্যে নিস্তার পেয়েই নাস্তুিক লোকটি'র মাথায় আবারো কুবুদ্ধি চেপে বসে। তার মনে পড়ে যায়, স্রষ্টার অনুসারীরা অহেতুক কারো কোন ক্ষতি করে না।



সে বললো, ''আরে বাবা! মুখ ফসকে বেড়িয়ে গেছে আর কি! তুমিও এক কাজ করোনা? আমি নাহয় আস্তিক না-ই হলাম, এই ভাল্লুকটিকে আস্তিক বানিয়ে দাও তো দেখি! তোমার কত ক্ষমতা তখন বুঝতে পারবো।''



উত্তরে বাতাসে শুধু দু'টি কথা ভেসে আসে, ''তবে, তাই হোক।''



আলো নিভে যায়। চারপাশের অবস্থাও স্বাভাবিক হয়ে আসে। পাশে কি একটা শব্দ হতেই, নাস্তিকটি চেয়ে দেখে ভাল্লুকটি স্রষ্টার প্রতি কুর্নিশ করে বলছে,

''হে খোদা! সকাল থেকে বড়ই ভুখা ছিলাম। তুমি এ খাদ্য আমায় জোগান দিয়ে বড়ই রহম করলে।''



এই বলেই সে নাস্তিকটির উপর ঝাপিয়ে পড়লো।





সংগ্রহ: ইন্টারনেট







































মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৭:৩৩

ফারদীন নিশ্চিন্ত বলেছেন: খাইছে!

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৮:৪৫

মনিরুল হাসান বলেছেন: দারুণ কৌতুক। ;) ;)
(মন্তব্য করার জন্যে লগ ইন করলাম)

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ৯:০৯

বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন: নাস্তিকদের শাস্তি এভাবেই হওয়া উচিত।

সুন্দর কৌতুক।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:০৫

দালাল০০৭০০৭ বলেছেন: nice joke

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:১৩

সংগ্রামী বালক বলেছেন: খুব ভালো হয়েছে।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১১

রাজহংসী বলেছেন: মদীনার ইহুদীদের প্রতি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহানুভবতা জানুন

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩৫

দি সুফি বলেছেন: ফেরাউনের ডায়রিয়ার মত অবস্থা :-P :-P

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.