![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
"হযরত ফাতিমা (রাঃ) দেখতে রসুলূল্লাহ (সঃ)-এর মত হুবুহু একই রকম ছিলেন। হযরত ফাতিমার চাল চলন আল্লাহর নবী (সঃ)-র চালের মতন ছিল। রসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছিলেন, ''যে ফাতিমা আমার কলিজার টুকরা যে ওকে কষ্ট দিবে সে আমাকে কষ্ট দিবে।''
একদিন হযরত ফাতিমা অসুস্হ ছিলেন। আল্লাহর রসুল (সঃ) ফাতিমা (রাঃ)-কে দেখতে গেলেন। তিনি দরজাতে কড়া নেড়ে বললেন, ''ফাতিমা, আমি তোর বাবা ভিতরে আসতে পারি? আমার সাথে এক মেহমান আছে (হজরত ইমরান বিন হুসাইন একজন বড় সর্দার ছিলেন)। আমি শুনেছি তুই অসুস্হ।''
হযরত ফাতিমা (রাঃ) ভিতর থেকে জবাব দিলেন, ''আমার ঘরে তো পর্যাপ্ত কাঁপড় নেই আমি পর্দা করব কিভাবে? একজন গায়ের আপনার সঙ্গে আছে।'' (আল্লাহু আকবার দোজাহানের বাদশাহের মেয়ের ঘরে কাপড় নেই পর্দা করার মত।)
রসুল (সঃ) জবাব দিলেন. ''ফাতিমা আমার চাঁদর নিয়ে পর্দা কর।'' তিনি আপন কাঁধ থেকে চাদড় খুলে দরজার ভিতরে দিলেন। হযরত ফাতিমা (রাঃ) ওই চাঁদর নিয়ে শরীরে পেচালেন ও মুখ ঢাকলেন।
রসুল (সঃ) ভিতরে প্রবেশ করলেন। হযরত ফাতিমা রসুলের বুকে মাথা রেখে কাঁদতে শুরু করলেন। বললেন, ''ক্ষুধার্তও আছি শুধু অসুস্হই না, খাবার ও নেই ওষুধ ও নেই।''
রসুল (সঃ) ও কাঁদতে শুরু করলেন। তায়েফে পাঁথর খেয়েছেন, উহুদে দাঁত ভেঙ্গেছেন, চোখে পানি আসেনি। কিন্তু আজ মেয়ের চোখের পানি মন ভেঙ্গে দিলো। তাঁর চোঁখ বেয়েও অশ্রু ঝরতে লাগল টপটপ করে। হজরত আলীকে ডেকে মোকাদ্দমা করেন নি যে, মেয়েকে খাবার দিতে পারেননি কেন?
রসুল (সঃ) বললেন, ''কাঁদিস না আমার মেয়ে কাঁদিস না, ঐ জাতের কসম যে তোর বাপকে সত্য নবী বানিয়েছেন, আজ তিনদিন হয়ে গেছে আমি কিছুই খাইনি। তোর জন্য সুসংবাদ আছে, আমার রব তোকে জান্নাতের সর্দারনী হিসেবে কবুল করেছেন।"
আল্লাহু আকবার। বন্ধুরা, এই সম্মান কোন আরাম আয়েশ থেকে মিলেনি এই সম্মান মিলেছে ক্ষুধা তৃষ্ণা থেকে।
(সংগৃহিত)
©somewhere in net ltd.