নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জাগো মানুষ আজ জাগো, ভেবনা তুমি বাঙালী কি বাংলাদেশী....কেটে যাবে রোদ ভাঙ্গবে আঁধার, আমি দেখব মাগো তোমার মুখের হাসি

বিদেশী বাঙালী

সাতটি মহাদেশ, আরো পাঁচটি মহাসাগরের ভিড়ে, পদ্মা আর মেঘনা, সুরমা-যমুনার তীরে, বঙ্গোপসাগরের ফেনিল প্রান্তরে, আমার জন্মভূমি.........

বিদেশী বাঙালী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিন্দুদের পূজার উৎসবে যাওয়া ও পূজার প্রসাদ খাওয়া হালাল না হারাম?

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ দুপুর ২:১৮

এই প্রস্বাদ নামক খাবারটা দেওয়া হয় হিন্দুদের মনগড়া নকল দেবতার উদ্দেশ্যে। অর্থাৎ হিন্দুরা নিজের হাতে নির্মিত বিভিন্ন মূর্তির, যার কোন ক্ষমতাই নেই, সেই নকল দেবতার উদ্দেশ্যে প্রসাদ দেন হিন্দুরা। অথচ, সনাতন ধর্মেই প্রতিমা পূজা নিষেধ করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ্ পবিত্র কুর'আনের মোট চার জায়গায় উল্লেখ করেছেন-
* সূরাহ বাকারার ১৭৩নং আয়াতে,
* সূরাহ মায়িদাহ’র ৩নং আয়াতে,
* সূরাহ আন’আমের ১৪৫ নং আয়াতে,
এছাড়াও, সূরাহ নাহলের ১১৫নং আয়াতে উল্লেখ করা হয়েছে-
.
“আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে”
অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম।।।
.
* এখন আসি পূজার অনুষ্ঠানে মুসলিমদের যাওয়ার বিষয়ে- আমাদের দেশে যখন হিন্দুদের পূজার উৎসব চলতে থাকে তখন অনেক মুসলিম-ই তাদের ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে। ঐ অনুষ্ঠানে উপভোগ করে।অনেকে উৎসুক ভাবেই যায়। ঐ সমস্ত মুসলিমদের যদি বলি- ভাই হিন্দুদের পূজায় অংশগ্রহন করো না, উৎসুক ভাবেও যেও না, তাদের দেব-দেবীর নামে উৎসর্গকৃত প্রসাদও খেওনা।।।
.
তখন তারা উত্তরে খুব বুক ফুলিয়েই বলে-গেসি তো কি হয়েছে ???
গেলেই কি আমি হিন্দু হয়ে যাব ??? আমার ঈমান ঠিক আছে।এখন একটু ভেবে দেখুন,মূর্তিপূজা হচ্ছে আল্লাহর সাথে শিরক করা।আর শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়, সবচেয়ে বড় অপরাধ।
.
মহান আল্লাহ বলেনঃ
নিশ্চয়ই আল্লাহ্-র সাথে শিরক হচ্ছে সবচেয়ে বড় অন্যায়।(সুরা লুকমানঃ ১৩)
.
আর শিরকের অপরাধ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। মহান আল্লাহ বলেন :
"নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না,কিন্তু এর চেয়ে ছোট পাপ যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন,এবং যে কেউ আল্লাহর অংশী স্থির করে, সে মহাপাপে আবদ্ধ হয়েছে।
(সূরা নিসাঃ ৪৮)।
.
এখন দেখুন,সবচেয়ে বড় অন্যায় আপনার সামনে হচ্ছে। আর রাসুল (সাঃ) বললেন-

''তোমাদের কেউ কোন গর্হিত/ অন্যায় কাজ হতে দেখলে সে যেন নিজের হাতে (শক্তি প্রয়োগে)তা সংশোধন করে দেয়,যদি তার সে ক্ষমতা না থাকে তবে যেন মুখ দ্বারা তা সংশোধন করে দেয়, আর যদি তাও না পারে তবে যেন সে ঐ কাজটিকে অন্তর থেকে ঘৃণা করবে। আর এটা হল ঈমানের নিম্নতম স্তর।'' [সহিহ মুসলিম,ঈমান অধ্যায়, হাদিস নং ৭৮]
.
অথচ আপনি ঐ অন্যায়কে বাঁধা তো দেনই না, মনথেকেও ঘৃণা করেন না বরং ঐ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করে মনে মনে উপভোগ করেন। অন্তত মন থেকে ঘৃণা করলেও দুর্বলতম ঈমানদার হিসেবে আপনার ঈমান থাকত।

তাই হিন্দুদের পূজার উৎসবে কোন মুসলিমের যাওয়া হারাম।।।

লেখাটি'র উৎসঃ ইন্টারনেট।

মন্তব্য ১৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: কোরানে নির্দেশ আছে --- আল্লাহর নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখীর মাংস হারাম । কোরান বা হাদিসের কোথাও তো বলা নাই মিষ্টি পড়টা রুটি এবং অন্য সকল মাংস বিহীন খাদ্য হারাম । সুতরাং পুজার প্রসাদ মাংস না হোলে খাওয়া যাবে । আপনারারা কোরান মানবেন না মিথ্যা ফতুয়া মানবেন ?? ধর্মের নামে মিথ্যা তথ্য দিয়ে মানুষকে বিভ্রান্ত করা পাপের পর্যায় পড়ে তাহোলে কেন এই কাজ করছেন । যাদের ঈমান আপনাদের মত দুর্বল তাদের পুজা না দেখা উচিৎ । আমরাতো পুজা দেখি প্রসাদ খাই ( মাংস ছাড়া) কৈ আমরাতো কখনও তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করি নি । আপনার ঈমান যদি এতই দুর্বল হয় মাংস বিহিন প্রসাদ খেলে এবং পুজা দেখলে আপনি তাদের বিশ্বাষ গ্রহন করে ফেলেন তাহোলে এই ধরনের নিম্নমানের ঈমান নিয়ে আপনার থেকে শক্তিশালী ঈমানদারদের ছবক দিতে আসছেন কোথা থেকে ???
আল্লাহ বলেছেন -- তার নাম ব্যথিত অন্য কারো নামে জবাই করা পশু পাখীর মাংস খওয়া হারাম ।
সুরা নিসার আয়াত ৪৮ কি আপনি বোঝেন ? এই বিশ্বাসটা কি হিন্দুদের ?? এইটা মুসলমানরা মানে কিন্তু হিন্দুরা কেন মানবে । আপনার ঐ হাদিস ও এখানে খাটে না ।আমি আরেক ধর্ম বিশ্বাসকে ভুল বলে তাদের উপদেশ দিতে যাব না । আমি তাদের ধর্ম বিশ্বাসকে কেন বাধা দিবো ?? তাদের বিশ্বাসকে সন্মান দেখাবো সেটাই কোরানের নির্দেশ । আ্ল্লাহতো অন্য বিশ্বাসকে ঘৃনা করতে বলেনি সুরা আনাম ১০৮--- তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না, যাদের তারা আরাধনা করে আল্লাহকে ছেড়ে। তাহলে তারা ধৃষ্টতা করে অজ্ঞতাবশতঃ আল্লাহকে মন্দ বলবে। এমনিভাবে আমি প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দৃষ্টিতে তাদের কাজ কর্ম সুশোভিত করে দিয়েছি। অতঃপর স্বীয় পালনকর্তার কাছে তাদেরকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। তখন তিনি তাদেরকে বলে দেবেন যা কিছু তারা করত। ------- আমিতো পুজাদেখার পর তাদের বিশ্বাস গ্রহন করি নি । আর খাবারের ব্যাপারে কোরানের নির্দেশ কি তা আগেই দিয়েছি ।
আপনি হাদিসে যে অন্যায় কাজ বলেছে সেটা কি অন্য ধর্মের ধর্মীয় বিশ্বাস ?? অন্য ধর্মের মানুষ তাদের ধর্ম পালন করবে সেটা কখোন অন্যায় নয় । এটা যদি ঘুস চাদাবাজি খুন খারাপি মাস্তানি হ্য় অবিচার জাতিয় অন্যায় হয় তখন প্রজোয্য । কেউ যদি পুজা করে ইসলামের দৃষ্টিতে পাপ করে থাকে তবে তারকে আ্ল্লাহ আখেরাতে শাস্তি দিবে -- তার সাথে তাদের পুজাকে বাধা দেওয়ার কোন অধিকার আ্ল্লাহ আমাদের দএয় নি ।
কোরান হাদিস না ঠিক মত পড়ে এই ধরনের ধৃষ্টতামুলক সাম্প্রদায়িক লেখাকে ধিক্কার জানাই । কত বড় মিথ্যা ফতুয়া দিয়ে দিয়েছে প্রসাদের ব্যাপারে --যেখানে আ্ল্লাহ শুধু জবাই করা পশু পাখীর ব্যাপারে গাইড লাইন দিয়েছে অন্য কোন খাদ্যের ব্যাপারে নয়।

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনি প্রতিমা পূজাকে শিরক বলে মনে করেন কি? এর উত্তর যদি দিতে পারেন তাহলে আমি আপনার উত্তর দিবো।

২| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৫

শারলিন বলেছেন: জগা খিচুরি

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১০

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: ঠিক কোন জায়গাটা বলবেন কি?

৩| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:২৯

আহলান বলেছেন: প্রসাদ জিনিষটা কি? এইডা খাওনের লাইগা আবার না খাওনের লাইগা সবাই এতো পোষ্টাইতাছে ক্যান ....বুঝলাম না তো ...আজব ......!! একদল প্রসাদ হালাল করাইতে অস্থির, আরে এক দল প্রসাদ যে হারাম তা বুঝাইতে মরিয়া ....আরে প্রসাদ টা কি তাই তো কেউ কয় না .....

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:১২

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: প্রসাদ হচ্ছে, প্রতিমার উদ্দেশ্যে দেওয়া খাবার।

৪| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ বিকাল ৩:৩১

এ আর ১৫ বলেছেন: “আল্লাহ্ তোমাদের জন্য হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের মাংস খাওয়া। আর যে পশু জবাই করার সময় আল্লাহ্ ব্যতীত অন্য কারো নাম নেয়া হয়েছে”
অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন। আর এই কারনেই পূজার প্রস্বাদ খাওয়া হারাম।।---------- আপনার এ ধরনের ব্যাখার জবাব দিবেন কি ?? ( অর্থাৎ যা আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কারো নামে উৎসর্গ করা হয় সেটা আমাদের জন্য আল্লাহ্ হারাম করে দিয়েছেন) ---- সেই খাদ্য কোন গুলো ??? সেটা হোল পশু এবং পাখী । আল্লাহ কোথায় মাংস বিহিন খাদ্য লুচি পড়টা,মিষ্টি, পিঠা, লাবড়া, নিমকি , জিলাপিকে ইত্যাদি জাতীয় খাদ্যকে হারাম বলেছেন ??

২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০৯

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনি প্রতিমা পূজাকে শিরক বলে মনে করেন কি? এর উত্তর যদি দিতে পারেন তাহলে আমি আপনার উত্তর দিবো।

৫| ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৩৮

বরফের গরম বলেছেন: এ আর ১৫ : লুচি পরটা মিষ্টিকুমড়া না শুধু, অমুসলিমদের সকল কিছু মুসলিমদের জন্য হারাম। এক কথায় শেষ। এখানে লুচি আলাদা করে বলার দরকার নাই। পরটা আলাদা করে বলার দরকার নাই। বুঝে আইছে নি?

২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ রাত ১:১৩

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আমার মনে হয়, এইটি ঠিক নয় যে অমুসলিমদের সব কিছুই মুসলিমদের জন্যে হারাম। দেশের অনেক নামকরা মিষ্টির কারিগর অমুসলিম। সেগুলোকে কি হারাম বলা যাবে? ঠিক তেমনি, অমুসলিমদের বাড়িতে রুটি, লুচি খাওয়া কেন হারাম হয়ে যাবে?! তবে, মাংস খাওয়ার ক্ষেত্রে বিষয়টি আলাদা।

৬| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৫ সকাল ১১:১৯

এ আর ১৫ বলেছেন: আপনি প্রতিমা পূজাকে শিরক বলে মনে করেন কি? এর উত্তর যদি দিতে পারেন তাহলে আমি আপনার উত্তর দিবো------- আপনি কি উত্তর দিতে পারবেন কারন লেখাটা তো আপনার নয় কপি পেষ্ট । আর যতটুকু নিজে লিখেছেন সেটা ধর্ম অবমাননার পর্যায় পরে । আমার লেখাটা একটু ভালো করে পড়লেই উত্তর পেয়ে যাবেন । আমি তো বলেছি আমার ঈমান এত নিচু নয় যে পুজা দেখলে আমি তাদের বিশ্বাস গ্রহন করবো । আপনার বুঝি পুজা দেখলে বাই ডিফ্ল্ট তাদের বিশ্বাস গ্রহন করে ফেলেন । যদি তাই হয় তাহোলে এটা হয় আপনার ঈমানের দুর্বলতার জন্য । সবাইকে নিজের মত ভাবেন কেন ?? আপনি একজন মুসলমান বলে দাবি করেন যদি আপনার সামনে কেউ বা অনেক জন নামাজ পড়ে এবং আপনি শুধু দেখেন তাহোলে কি আপনার নামাজ হবে ?? নামাজিদের বিশ্বাস আর আপনার বিশ্বাস একই তাহোলে কি আপনার নামাজ হবে ?? তাহোলে বলুন আমি পুজারিদের বিশ্বাস গ্রহন না করে তাদের পুজা দেখলে কি করে আমি পুজা করলাম বা শরিকি করলাম । এটা যদি আমার পুজা করা হয় শুধু দেখার জন্য তাহোলে তো কারো নামাজ পড়ার দরকার নাই শুধু দেখলেই হবে ।

৭| ০১ লা নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

বিদেশী বাঙালী বলেছেন: আপনি যেহেতু আমার কথা শুনতে প্রস্তুত নন, সেহেতু আমি এই ব্যাপারে মৌনতা অবলম্বন করছি।

৮| ২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:৩২

নাসিম মিঞা বলেছেন: আর ১৫ কে জাস্ট এড়িয়ে যান প্রান প্রিয়ো মুসলিম ভাই ও বোনেরা

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.