নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

শীতকাল!

জীবনটা আসলেই বিচিত্র। অঞ্চলভেদে এই বিচিত্র বিচিত্রতা আমাকে হতবিহ্বল করেছে....

পেইচিং

পেইচিং › বিস্তারিত পোস্টঃ

চীনাদের সামনে বাংলাদেশ সম্পর্কে কথা বলবেন একটু মেপে....

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৫৮

চীনের নতুন ছেলেমেয়েরা বাংলাদেশকে চিনে না বললেই চলে। পুরনোদের জিজ্ঞেস করলে অন্তত: মংচিয়ালাগুয় 孟加拉国 বললে চেনে।

কিন্তু আপনি যদি বাংলাদেশ সম্পর্কে খুব উচ্চমার্গীয় কথাবার্তা তাদের সাথে মারাইতে যান, তাইলে লজ্জায় মাথা হেঁট হওয়া ছাড়া কোন পথ থাকবে না যদি তারা গুগলের মতো বাইদুতে সার্চ দেয়।



চীনে গুগুল নিষিদ্ধ। অনুরূপ একটি সার্চ ইঞ্জিন আছে যার নাম বাইদু। আর তাতে বাংলাদেশ লিখে সার্চ দিলে আসে.....孟加拉国 কপি করে সার্চ বক্সে দিয়ে সার্চ দিন নিজেই দেখুন

মানুষের মধ্যে ট্রেন, বন্যা, পতিতালয়ের সচিত্র বিবরণ........

এই অবস্থায় বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের মনে কি ধারণা আসতে পারে সহজেই অনুমেয়।



চীনে আসার আগে আমার এক বন্ধু সম্ভবত: এ কারণেই আমাকে প্রশ্ন করেছিল, তোমাদের দেশে ট্রেনে এতো মানুষ কেন? আমি জানতাম চীনে বসন্ত উতসবে প্রচুর মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করে। অবস্থা হয়তো বাংলাদেশের মতো না। কিন্তু তা ও বললাম, এটা ঈদের সময় মানুষের গ্রামে যাওয়ার ছবি......



গতরাতে রাজী ভাই কথা প্রসঙ্গে বললো, কেউ একজন তার সামনে সার্চ দিয়েছিলো। সে কি লজ্জা!!

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:১১

শাহ আলম বাদশাহ বলেছেন: ঠিকই তো--কী লজ্জার কথা!!

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৩৭

পেইচিং বলেছেন: চাইনিজরা হইলো বজ্জাতের জাত। ওদের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশ সম্পর্কে সব আজেবাজে লেখাই শুধু প্রকাশ করে। যার ফলে সার্চ দিলে শুধু তা ই আসে।

২| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:২৬

এন ইউ এমিল বলেছেন: এই দৃশ্য খোর পর ভাল ধারনা হওয়ার প্রশ্নই আসেনা

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৪২

পেইচিং বলেছেন: এতোদিন নিজের দেশ নিয়ে চীনাদের সামনে খুব ভালো ভালো কথা বলতাম। এখন বুঝতে পারছি মনে মনে তো ওরা খুব হেসেছে। কারণ আমার সব বন্ধুরা নিশ্চই বাংলাদেশ সম্পর্কে ইন্টারনেটে খুজেছে যেমন আমি খুজেছি তাদের দেশ সম্পর্কে....

কয়েকদিন আগে দুপুরে খবর দেখছিলাম। স্বাভাবিকভাবেই কারো সামনে খবর দেখি না। সেদিন আমার এক ক্লাসমেট (কঙ্গে'র) ছিল, তাই আমি বেশি কিছু দেখলাম না। অল্প কয়েকমিনিটেই যে ভয়াবহ দাঙ্গার ভিডিও দেখতে হলো, তাতে সে প্রশ্ন করলো পুলিশ আর পাবলিক এমনে মারামারি করতেছে কেন?
আমি বললাম, সামান্য একটু ঝামেলা হয়েছে তো, এখন ঠিক হয়ে গেছে।


এই কঙ্গো'র নিরাপত্তা বিধান করার জন্য আমার দেশের সেনাবাহিনী নীল ক্যাপ পরে তাদের দেশে কাজ করছে আর আমি আমার দেশের হরতালের খবর দেখিয়ে এক কঙ্গো'র নাগরিককে মিথ্যা ব্যাখ্যা দিতে হচ্ছে। এ লজ্জা রাখি কোথায়?

৩| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ দুপুর ২:৫৪

রেজা রাজকুমার বলেছেন: গেছেন তো চীনে,
আরো কয়েকটা দেশে যান , তখন দেখবেন অনেক ভালো ধারনাও আছে।
আর চীন তো আমাদের দেশের জন্মই স্বীকার করেনাই ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ।
তো চু...লামনা চীন রে ।
ইন্দোনেশিয়ার মেদানে,কালিমান্তানএ দেখেছি। ইমিগ্রান্ট চায়নীজরা কুচিং গোরেং (বিড়াল ফ্রাই) আর ওটাক মনিয়াত ( বান্দরের মগজ ভাজা )গোরেং খায়।
এরপর কোনো চিংকুর লগে যদি দেখা হয় তাইলে কইয়েন এসব অখাদ্য তারা যে খায় এসব আমরা খুব ঘৃনা করি। তাইলে লজ্জা পাইবো।
আমি এভাবেই ওদের (শুধু চিঙ্কু না অন্যান্য দেশের লোক্দেরও) মুখ বন্ধ রাখ্তাম।

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৫

পেইচিং বলেছেন: অখ্যাদ্য-কুখাদ্য খাওয়ার জন্য ওদের আমিও গালিগালাজ করি। ওরা বলে নিউট্রিশাস...হেন তেন। তবে আমার বন্ধুদের মধ্যে প্রায় সবাই শুয়র খায়। অন্যান্য অখাদ্য যেমন কুত্তা, পোকা-মাকড় ইত্যাদি খায় না বললেই চলে। আকাম কুকাম এইদেশেও কম হয় না। বড় শহরের রাস্তায় হাঁটতে গেলে 'পাও শিয়াও জিয়ে' মানে পতিতাদের ছবি সহ বিজ্ঞাপন দেখা যায়। ওয়েবসাইটগুলোতে কুরুচিপূর্ন ছবিতে ভরপুর। মুভিগুলোতে হটসিন না থাকলে চলে না.... এখানে এটা কোন ব্যাপার না। কিন্তু আমার দেশ বলে কথা.... মুসলিম দেশ হিসেবে জানে। নিজের কাজে কর্মে যথাসম্ভব দেশের মান রাখতে চেষ্টা করি। সেক্ষেত্রে বড় বড় পাঠ মারলেই ধরা আর কি :-(

৪| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:১৯

সোহানের রোজনামচা বলেছেন: এতে লজ্জার কি আছে? সমস্যা সব দেশেই আছে। চীন এর নিজের অবস্হাও এমন ছিল

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৫

পেইচিং বলেছেন: এমন ছিল বলা যায় না, চীনে এখনো বহু ধরণের সমস্যা আছে। বাইরে থেকে সব বোঝার উপায় নেই।

৫| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৩৭

জনাব মাহাবুব বলেছেন: লজ্জার কিছু নাই। তারা আমাদের দেশ সম্পর্কে কোন নেতিবাচক কথা বললে আপনিও তাদের দেশ সম্পর্কে নেতিবাচক কথাগুলো স্মরণ করিয়ে দিবেন। তাহলে দেখবেন বেলুন ফুটো হয়ে চুপসে গেছে। ;) ;) ;) ;) ;) ;)


প্রতিটি দেশেরই কিছু না কিছু সমস্যা আছেই। :D :D :D :D :D

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩২

পেইচিং বলেছেন: গতকাল এক শিক্ষক ক্লাসে মহাপ্রাচীরের গুণকীর্তন করছিলেন। স্টুডেন্টদের জিজ্ঞেস করলেন, কিছু বৈশিষ্ট্য বলার জন্য। হাঙ্গেরির এক মেয়ে বললো, চাঁদ থেকে দেখা যায়....। টিচার খুব খুশি। আমি এর প্রতিবাদ করতে গিয়েও করলাম না। চাঁদ থেকে দেখা যায় বলা হয় কিন্তু এর বিপরীতেও কথা প্রচলিত আছে।

আমার পালা আসলে বললাম, শুধু ইট-পাথর দিয়েই বানানো হয়নি। মহাপ্রাচীর বানাতে মানুষের মাংস আর হাড়ও ব্যবহৃত হয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে অসংখ্য মানুষের চোখের পানি....।

পুরো ক্লাস স্তব্ধ। সবার চোখ আমার দিকে। টিচার নীরব তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে। বুঝতে পারছি তিনি এতোটা আশা করেননি আমার কাছ থেকে।

পরে তিনি বললেন, কিছু মানুষের মৃত্যু নিশ্চই হয়েছিল। তার পর, এটা কি কাজে লাগে হেন..হেন বলে কোনরকম শেষ করলেন।

আরেকজনকে ছোট করায় নিজের কোন কৃতিত্ব নেই। নিজের ভালো টা সত্যিই ভালো কি না তা অনুধাবন করতে পারাতেই কৃতিত্ব।

৬| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৩

হেডস্যার বলেছেন:
রয়েল বেঙ্গল টাইগার দেখাইছে ঐটা নাক বোচাদের চোখে পড়ে না?

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৯

পেইচিং বলেছেন: টাইগার তো ইন্ডিয়ান!!! রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ইন্ডিয়ান!! বাংলায় লিখলে কি হইছে? আমরা তো ইন্ডিয়ানদের ভাষা ব্যবহার করি। আমাদের তো নিজস্ব ভাষা নাই।

চাইনিজদের কেমনে বুঝাইবেন? ওরা তো ইতিহাস জানে না, জানে পাতিহাস। নিজের খাইয়া পরকে বুঝানোর মহান দায়িত্ব কে নিবে?

৭| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৩:৫৬

লিন্‌কিন পার্ক বলেছেন:
আমাদের অনন্ত জলিল আছে ওদের কি আছে ?? :D :D

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৮

পেইচিং বলেছেন: এইটা যদি ওরা জানে তাইলে একটা নকল অনন্ত জলিল বানায়া ফেলতে পারে। এরা পারে না এমন কোন কাজ নেই।

৮| ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ রাত ১০:০২

একাকী বালক বলেছেন: হা হা হা। এত চাইনিজদের সাথে কাজ করি কেউ কোনদিন খারাপ কিছু কয় নাই আমারে। একবার এক সিনিয়র ভাই কইছিল চাইনিজে "মংচিয়ালাগুয়" মানে গরীবের দেশ। আমি এক চাইনিজরে জিগাইলাম সেই বলল এর মানে হল নদীর দেশ।

নেটে সার্চ দিয়া কি পায় জানি না। তবে যেই সব চাইনিজ নানান দেশ ঘুইরা কাজ করছে তারাও বাংলাদেশকে খুব পছন্দ করে। একবার তো একটা দেশে ফেরার সময় প্রায় কান্না কান্না হইয়া আমারে জড়ায় ধরছিল।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৭

পেইচিং বলেছেন: 孟加拉国 'মংচিয়ালাগুয়' মানে বাংলাদেশ। গুয় মানে দেশ। মংচিয়ালা শব্দটি বোঙ্গালা বা মোঙ্গালা থেকে বিবর্তিত হয়ে মংচিয়ালা হয়েছে বলে আমার শিক্ষক বলেছেন।

বাস্তবে 孟 মং মানে মৌসুমের প্রথম মাস, বড় ভাই বা একটি বংশের নাম (সারনেম)। 加 চিয়া মানে যোগ করা, অন্তর্ভূক্ত করা, বৃদ্ধি করা, বড় করা বা অতিরিক্ত করা। আর 拉 লা মানে টেনে তুলে ফেলা, কাছে টানা, আকর্ষন করা। আভিধানিক অর্থে 孟加拉国 এর কোন খারাপ মানে হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

বাংলাদেশকে অনেক চীনারা ভালোবাসে। কারণ বাংলাদেশ একটি সুখী দেশ। সবাই আরাম করে। পুরো দেশটাই যেন একটা 'অলসপুর' গ্রাম। কিন্তু ভোগ বিলাসে কোন কমতি নেই। অপরদিকে, চীনে থাকা মানে কুত্তার মতো খাটা। ভালোবাসা নেই, বিশ্বাস নেই, মমত্ববোধ নেই, পারিবারিক বন্ধন নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.