নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
আমি ঠিক বুঝছিনা..ধর্ষন কি মহামারি আকার ধারন করেছে??? বাসের হেল্পার থেকে শুরু করে সর্ব্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ভিকারুন্নেসা বা আনোয়ারার শিক্ষক কেউই রেহাই দিচ্ছে আমাদের কোমলমতী মেয়েদের। কোথায় যাবে আমাদের মেয়েরা? কাকে বিশ্বাস করবে তারা? কিভাবে বাঁচাবে তারা নিজেদের? কিভাবে আত্বরক্ষা করবে নিজেদের ওইসব মেয়েলোভী হায়েনাদের হাত থেকে?
এতদিন বিশ্বাস করতাম অশিক্ষাই এ অপরাধের মূল কারন কিন্তু না আমার ধারনা সম্পূর্ন ভুল। যে দেশের শিক্ষকদের দ্বারা তার সন্তানতুল্য কোমলমতী ছাত্রীরা বাদ যায়না সেখানে আর অশিিক্ষত বাস ড্রাইবার বা হেল্পারদের কি বলবো যাদের জন্মই রাস্তায়। আগে এক আধতু পত্রিকা কিংবা পরিচিতজনদের কাছ থেকে শুনতাম আর মেয়ে হওযার সুবাধে বদ টিচার বা হুজুরদের খবর আগেই পৈাছে যেত আমাদের কানে। কিন্তু এখন এ দেখি ধর্ষনের মহোৎসব চলছে। রাস্তা, পাট েক্ষতে, স্কুলে, কলেজে বা স্কুলের বাথরুমে, ঘরে বাইরে সবখানে সগৈারবে চলছে এ উৎসব। আগে পাবলিক বাস মনে হয় বাদ ছিল কিন্তু না ভারতের ঘটনার পর তাও বাদ যায়নি।...চলছে মহোৎসব...সগৈারবে...... ।
আগে ধর্ষনের টার্গেট ছিল অশিিক্ষত/ অর্ধশিিক্ষত যুবতী মেয়েরা কিন্তু না এখন ধর্ষকরা আরো অনেক advance... সুন্দরী শিিক্ষতা ভালো শিিক্ষত ফেমিলির মেয়েরা এখন টার্গেট। গার্মেন্টেসের মেয়েরাতো পান্তাভাত হয়ে গেছে... বাসার কাজের মেয়েরাতো চাইলেই পাওয়া যায়..........পাড়াতো বোনদেরকে পানসে লাগে............ তাই এখন দরকার হট প্রিয়ংকা চোপড়া নিদেন েপক্ষ অপু বিশ্সাস। নতুবা লাইফে Excitement আসবে কি ভাবে......। ফেইসবুক...ইউটিউবে নিজের স্টেটাস থাকবে কিভাবে... বন্ধুদের আড্ডায় বর্ননা দিবে কিভাবে.......একটা যদি ভালো হট ছবি আপলোড করা না যায়....একটা যদি ভালো হট ঘটনার রসিয়ে রসিয়ে বর্ননা করা না যায়.....তাহলে কিভাবে চলবে.........।
একটা বিষয় আমাকে মারাত্বক নাড়া দিচ্ছে যে আগে ছিল যুবতী মেয়েরা হায়েনাদের টার্গেট ছিল কিন্তু এখন অসহায় শিশুরা শয়তানদের টার্গেট। ছোট ছোট অসহায় শিশুরা এই শক্তিশালী পুরুদের সাথে কিভাবে লড়বে? এই ছোট অসহায় শিশুরা সেক্স কি তা বুঝে উঠার আগেই ধর্ষিত হয়। একবারকি ভেবে দেখেছেন যদি তারা বেঁচে থাকে বা ধর্ষকরা তাদের বাচিঁয়ে রাখে তাহলে কিভাবে তারা প্রতি মূহুর্তে মরে মরে বেঁচে থাকে। পরিবারের কাছে, সমাজের চোখে প্রতিটি মূহুর্তে মরে মরে বেঁচে থাকে যেন ধর্ষিত হওয়ার দোষ শুধুই তার।
পরিবার বা সমাজ তাকে জিঙ্গাসা করে ..নানান প্রশ্ন করে.......সে কেন ধর্ষিত হওয়ার জন্য স্কুলে বা কোচিং এ ঠিক সেই সময়ে উপস্থিত ছিল... সে কেন নিজেকে বাচিঁয়ে চলতে পারেনি..... সে কেন এমন বাজে পোষাক পরেছে যা ধর্ষককে উত্তেজিত করেছে.......কিন্তু কেউ প্রশ্ন করে না ধর্ষককে.......পরিবার তাকে প্রশয় দেয় আর বলে "ছেলে মানুষ, এক আধটু এরকম করেই"......সমাজ তাকে ছি: বলে না.......রাস্ট্র তাকে শাস্তি দেয় না......তারাতো বাড়াবাড়ি করবেই কারন তারা পুরুষ। তাদের অধিকার আছে যেকোন মেয়েকে ভোগ করার...... হোক সে শিল্পপতির মেয়ে বা ডাক্তার মেয়ে বা কাজের মেয়ে বা গার্মেন্টেস কর্মী বা রাস্তার ফুল বিক্রেতা মেয়ে। আর পুরুষটি হতে পারে তার কাজের ছেলে বা নিজের ড্রাইভার বা অফিসের দাড়োয়ান বা সহকর্মী বা পাবলিক বাসের হেল্পার। পুরুষদের অধিকার আছে যেকোন মেয়েকে যেকোন সময় ভোগ করার ... ...... ... ........................
আমার প্রশ্ন কেন এমন চলছে? কেন দেশের সমাজ ব্যবস্থা দিনে দিনে ভেঙ্গে পড়ছে? এর শেষ কোথায়? আমাদের মেয়েদের কিভাবে নিরাপত্তা দিব? এর কি কোন বিচার নেই? এর কি কোন সমাধান নেই? রাস্ট্র কি কিছুতেই নজর দিবে না এ অপরাধের বিচারে? কঠোর আইন কি কখনই প্রনয়ন হবে না? আমরা কি জাহিলিয়া যুগে ফিরে যাচ্ছি? মেয়েদের বাচাঁতে না পেরে কি জ্যান্ত কবর দিব? কি করবো আমরা আমাদের মেয়েদের বাচাতে? আমরা কি নিজেরাই এর সমাধান বের করবো?
আগের প্রতিবাদ পড়তে চাইলে...
Click This Link
আমার নিজের উদ্ভাবিত সমাধান নিয়ে আসছি পরবর্তী পর্বে... আশাকরি আপনারা থাকবেন আমার সাথে.......................................।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
সোহানী বলেছেন: হাস্যকর কথা। ওই মেয়েটা যে বাসে ধর্ষিত হলো তার দোষ তাহলে কেন সে বাসে উঠেছে..তাই না??????
২| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২১
শিশু বিড়াল বলেছেন: মানুষের বিবেক যেখানে মরে যায় সেখানে সমাজ ব্যাবস্হাও ভেঙে পরে।মেয়েদের জ্যান্ত কবর দিবার তো প্রশ্নই আসেনা, পুততে যদি হয়, এই নরপিশাচদের পুততে হবে।আর কেউ থাকুক বা না থাকুক আমি তোমার পাশে থাকব। আসলে আমরা নিজেরা কিছু না করলে, কেউআমাদের সাহায্য করতে আসবে না।তোমাকে অনেক ধন্যবাদ এমন একটি লেখার জন্য
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৮
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ...আমরা শিিক্ষত মেয়েরা যদি এগিয়ে না আসি তাহলে আমাদের অসহায় নারী শিশুদের আমরা বাচাবো কিভাবে?????
৩| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:২৭
আমিনুর রহমান বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিক অবক্ষয় আর আইন প্রয়োগের অভাবের কারনে এমনটি ঘটছে বলে আমার মনে হয়।
ধর্ষন মহামারী আকার ধারন করেছে অনেক আগেই হয়ত এখন আমাদের সচেতনার কারনে এই বিষয়গুলো দেখতে পাচ্ছি। জাতির নানা'র স্টিকি পোস্টের কারনে আমরা শহীদ আনোয়ার গার্লস স্কুলের জানোয়ার তারক নাথ এর কথা জানতে পেরেছি এবং মিডিয়া ও অবগত হয় যদি এই পোষ্ট না আস্তো তাহলে তারক নাথ কে সাসপেন্ড করেই কিন্তু চুপ হয়ে যেত। তার বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থাও নেয়া হত না স্কুলের সুনাম এর কারনে।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩১
সোহানী বলেছেন: আপনি ঠিক কথাটাই বলেছেন...................পারিবারিক শিক্ষা, নৈতিক অবক্ষয় আর আইন প্রয়োগের অভাবের কারনে এমনটি ঘটছে। আর মিডিয়ার ভুমিকা ও অনেক নতুবা আমরা এ মহামাররি খবন জানতেও পারতাম না।...অনেক অনেক ধন্যবাদ।
৪| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫
আমিনুর রহমান বলেছেন: আপনাকে ও ধন্যবাদ বিষয়টি নিয়ে ধারাবাহিকভাবে লিখে যাবার জন্য। সচেতনার জন্য এই বিষয়গুলো নিয়ে লিখা প্রয়োজন।
৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:৫১
সোহানী বলেছেন: নিজ থেকে কিছু করার তাগিদ থেকেই লিখছি....জানি কিছু হবে না, কিছুই করতে পারবো না.......(আমাদের তো গন্ডারের চামড়া)..... তাপরও আমার ক্ষুদ্র চেষ্টা।
৫| ৩১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ৭:৫৮
প্রমিথিয়া নাজ বলেছেন: এবার বাবা কর্তৃক মেয়ে ধর্ষণ, মা মেয়ে গনধর্ষণ
Click This Link
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৮
সোহানী বলেছেন: এসব আর শুনতে চাইনা......
৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:১৪
প্রিন্স হেক্টর বলেছেন: হ্যালো খালা
ধর্ষনের বিরোধীতা করি। ধর্ষকের ফাসি চাই।
আমি কিন্তু এই পোষ্টে ইশপিশাল গেষ্ট। ২০০ নম্বর ভিজিটর। ১০ম কমেন্টার। ৪র্থ +
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ দুপুর ২:০৭
সোহানী বলেছেন: তাই নাকি ..এতো হিসেব তো করিনি.......ধন্যবাদ....
৭| ১৬ ই জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: শিশু ও বালিকারা সেক্স কী তা বোঝার আগেই ধর্ষিতা হয়ে যাচ্ছে! কি ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতি!
এই সামাজিক ব্যধির বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার জন্য আপনাকে সাধুবাদ। আগে ভাবতাম, দিল্লিবাসীরাই বা ভারতীয়রাই বুঝি বিশ্বের একটা ধর্ষণ প্রিয় জাতি। এখন দেখছি অন্তর্জাল আর আকাশ টিভি'র মাধ্যমে এ মহামারী এ দেশেও প্রবেশ করেছে।
ধর্ষণ প্রতিরোধে শক্ত আইন আর তার কঠোর প্রয়োগ দরকার। এ ব্যাপারে আইনকে অন্ধ হতে হবে।
পোস্টে ষষ্ঠ প্লাস + +
২০ শে জুলাই, ২০১৮ ভোর ৪:৫১
সোহানী বলেছেন: খায়রুল ভাই, আমি একসময় নিজের আগ্রহে জেন্ডার নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। তখন দেখতে পেলাম দেশের শিশু এবং অসহায় মেয়েদের কি অবস্থা। খুব খারাপ লাগে এদের জন্য কেউই নেই। কি মানসিক টানাপোড়নের মধ্যে ওরা জীবন কাটায়।
ধর্ষণ প্রতিরোধে শক্ত আইন আর তার কঠোর প্রয়োগ দরকার। এ ব্যাপারে আইনকে অন্ধ হতে হবে। ........ কিন্তু রক্ষকইতো ভক্ষক। কিভাবে হবে কঠোর আইন। যতদিন এ অন্তর্জাল আর আকাশ টিভি বিশেষ করে ভারতীয় টিভি বন্ধ না হবে ততদিন এরকম চলতেই থাকবে।
মন খারাপ হয়ে গেল দেশের জন্য। বিদেশে এসে কি যে মানসিক টানাপোড়নের মধ্যে থাকি তা বলার না। একদিকে দেশের জন্য চিন্তা অন্যদিকে এখানকার লাইফ নিয়ে চিন্তা............
অনেক ভালো থাকেন।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে জানুয়ারি, ২০১৩ সকাল ১১:১৯
মিষ্টার পারফেক্ট বলেছেন: ভাই এর জন্ন মেয়েরা কিসুতা হলেও দায়ি