নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
ভূমিকা : আজকাল ডিজুস প্রেমের যুগে রবীন্দ্রীয় মার্কা প্রেম কেউ পছন্দ করে না। এখন হলো ধর ধর মার মার কাট কাট টাইপ প্রেম...ডাইরেক্ট একশান। গুল্টু গুল্টু কবি কবি রবি বাবু মেঝদি টাইপের প্রেম এ কোন মেয়ে পড়েও না আবার ছেলেরাও ফেলে না....তাও আমি একটু ওল্ড মডেলের, ভাবনা সমৃদ্ধ প্রেমের দৃশ্য আঁকার চেষ্টা করলাম। আমি জানি নেটিও (নেটওয়ার্ক যুগের) পোলাপান এটা একটুও পছন্দ করবে না তারপরেও লিখলাম আরকি...............
আগের পর্ব-
Click This Link
দৃশ্য-৩
দুপুরের মধ্যেই হাতের কাজগুলো সেরে ফেললাম। তারপর একটু বিছানায় গা এলিয়ে দিতেই বিকেল গড়িয়ে এলো। শীতের বিকেল খুব তাড়াতাড়ি আসে। চট করে উঠে বসলাম, আজ ঢাকায় ফিরতে হবে তার আগে একটু গ্রামে ঘুরবো। হাটতে হাটতে বাংলোটা পেড়িয়ে গ্রামের অনেক দূরে নদীর পাড়ে চলে আসলাম। সূর্য পষ্চিমে হেলে পড়েছে, চারদিকে লাল সোনালী রোদের ছটা আর নীল আকাশে নদীর দিগন্ত রেখা... কি যে অপূর্ব সে দৃশ্য তুমি দিশেহারা হয়ে গেলে। নদীর কোল ঘেষে সবুজ ক্ষেতের পাশ দিয়ে দৌড়ে যাচ্ছো তুমি পড়নে নীল সালোয়ার কামিজে কখনো প্রায় পিছলে পড়ছো তারপরও দৌড়াচ্ছ। তোমাকে ছুয়ে দেখতে খুব ইচ্ছে করেছে....সবুজের মাঝে তোমাকে নীল আকাশের মত লাগছে আমি অবাক হয়ে শুধু তোমাকে দেখছি। তুমি একসময় নদীর পাড়ে থমকে দাড়ালে, পিছনে ফিরে আমার দিকে তাকিয়ে খিলখিল করে হেসে আবার ছুটতে শুরু করলে।
দৃশ্য-৪
তুমি দরজার চৌকাঠে হাত দিয়ে দাড়িয়ে আছ, আকাশে হালকা মেঘের ছোটাছুটি। টুপ টুপ করে ছোট ছোট ফোটার বৃষ্টি পড়ছে। তুমি চোখ বন্ধ করে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির ফোটা ধরার চেষ্টা করছো। হঠাৎ কি মনে করে তুমি উঠোনে নেমে গেলে আর তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য হয়তো বৃষ্টির ফোটাগুলো বড় বড় করে পড়তে শুরু করলো। আমি তোমাকে ব্যাকুলভাবে ডাকতে লাগলাম, তুমি হাসতে হাসতে সারা উঠানে ছুটতে শুরু করলে আর তখনি কাদায় পড়ে গেলে। আমি ছুটে যেয়ে তোমাকে ধরতেই তুমি আমাকে টান দিয়ে কাদায় ফেলে দিলে আরো জোরে খিলখিলিয়ে হেসে উঠলে।
দৃশ্য-৫
তুমি হঠাৎ নিশ্চুপ হয়ে গেলে, আমার কোন কথাই শুনছনা। একা আনমনে হেটে চলছো হলুদ সর্ষে ক্ষেতের মাঝে। তোমার বিষন্ন মুখের দিকে তাকালেই মনে হয় একটু টোকা দিলেই বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়বে। আমি ও তোমাকে তোমার মত থাকতে দিলাম। পরিস্কার নীল আকাশ আর সোনালী রোদের মাঝে সর্ষে ফুলের খেলা তার মাঝে তুমি তোমার লাল উড়না বিছিয়ে বিছিয়ে যাচ্ছো, একাকি হাটছো তুমি আনমনে। আমি তোমার অভিমান ভাঙ্গানোর একটুও চেষ্টা করলাম না কারন এমন স্বর্গীয় দৃশ্য থেকে নিজেকে বন্চিত করতে চাইছিলাম না। আমি জানি একটু পরেই তুমি সব ভুলে যাবে। সন্ধা নামতে শুরু করলো, আলো আধারি খেলায় কখনযে তোমার হাত ধরে হেটে চলছি কোন অজানা পথে জানিনা..................
অত:পর সমাপ্তি...............................
বি:দ্র: ছবিগুলোর জন্য ব্লগার রানার কাছে কৃতঙ্গতা।
১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৪:৪১
সোহানী বলেছেন: হুম.....শেষ হইয়াও হইলো না শেষ ......অন্য কিছু নিয়ে নিশ্চয় আসবো....
ধন্যবাদ...
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৬
একজন আরমান বলেছেন:
অপেক্ষায় রইলাম।
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫০
সোহানী বলেছেন: এখানেই শেষ.........অন্য কিছু নিয়ে নিশ্চয় আসবো আবার.....
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৩
বোকামন বলেছেন: ওল্ড ইজ গোল্ড !
“নদীর কোল ঘেষে সবুজ ক্ষেতের পাশ ......”
ভাবতেই ভালো লাগছে ......
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫১
সোহানী বলেছেন: থ্যাংস.....আসলেই ওল্ড ইজ গোল্ড ..........
৪| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:২৭
মাক্স বলেছেন: অন্য কিছুর অপেক্ষায় রইলাম!
১৩ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ৯:৫২
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই....মজার কিছু নিয়ে আসতে চাচ্ছি..........
৫| ২৩ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: ৩য় ভালো লাগা......আমার ব্লগে দাওয়াত থাকলো
২৪ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৪২
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। আপনার ব্লগ আমি নতুন লিখা আসলেই দেখি।
৬| ২৪ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৪
বাতিস্তা বলেছেন: প্লাস
২৫ শে মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...
৭| ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৩:৪৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
অদ্ভুত রকম ভাল লাগা রইল। ++++++
২৬ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৪৫
সোহানী বলেছেন: উৎসাহ পেলাম পরবর্তী লিখার জন্য...ধন্যবাদ.........
৮| ২১ শে মে, ২০১৩ রাত ১০:৪০
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
(ভূমিকা - আমার পোষ্টে মন্তব্যকারী সবার ব্লগে আমি একবার হলেও ঘুরে আসি । খারাপ অভ্যেস সন্দেহ নেই । )
আপনার এই লেখার ভূমিকাটি আপনার ঝরঝরে লেখার মুন্সীয়ানার পরিচয় । মন্তব্যের উত্তরেও আপনি বেশ রসিক, বোঝা যায় ।
আর - "হঠাৎ কি মনে করে তুমি উঠোনে নেমে গেলে আর তোমাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য হয়তো বৃষ্টির ফোটাগুলো বড় বড় করে পড়তে শুরু করলো। " আপনার এই লাইনটি আপনার লেখনি শক্তির কথাই বলছে ।
আরো লিখুন ।
শুভেচ্ছান্তে ...
১০ ই জুন, ২০১৩ দুপুর ১২:২৫
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ..... লেখা আমার ভালবাসা.......ভাল বা খারাপ যাই লিখি তা অনেক ভালবাসা দিয়ে লিখি। আপনার লিখাও চমৎকার।
৯| ০৫ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:০৬
ইরফান আহমেদ বর্ষণ বলেছেন: অনেক ++++++++++++................
০৭ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১০:১৬
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ...
১০| ২৮ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:৩৪
খায়রুল আহসান বলেছেন: ডিজুস প্রেমের যুগে রবীন্দ্রীয় মার্কা প্রেমের ছোট ছোট গল্পগুলো ভাল লাগলো।
"আমি জানি একটু পরেই তুমি সব ভুলে যাবে"-- আর তারপরেই নেমে আসবে একটা স্বর্গীয় সুখ ও প্রশান্তি!
পোস্টে প্লাস + +
০১ লা আগস্ট, ২০১৮ রাত ১০:১৪
সোহানী বলেছেন: প্রিয় খায়রুল ভাই, অনেক পুরোনো কিন্তু প্রিয় লিখাটি পড়েছেন... এটি সেই স্টুডেন্ট লাইফের লিখা। তখন আবেগ অনুভূতি ছিল ভিন্ন...। সময়ে তালে কেমন যেন সব কিছু ভোতা হয়ে যাচ্ছে। আমি এরকম ভোতা অনুভুতি জীবন চাই না, চাই না।
১১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২১ রাত ৯:৩৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ দেই আপু পুরানো পোস্টটির লিংক দেওয়ায় জন্য। প্রচেষ্টা খুবই সুন্দর। টুকরো টুকরো ভালোবাসার মূহুর্তগুলো আঁকার চেষ্টা করেছেন। একেবারে যথার্থই হয়েছে আধুনিক পোলাপাইনের দৃষ্টিতে। হেহেহে
০৪ ঠা আগস্ট, ২০২১ রাত ৩:৫১
সোহানী বলেছেন: আরে ওইটা আধুনিক পোলাপাইনের দৃষ্টিতে না, আদিম যুগের পালাপানের দৃষ্টিতে।
ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
©somewhere in net ltd.
১| ১২ ই মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫১
একজন আরমান বলেছেন:
ভালোই তো লাগতে ছিল।
শেষ করে দিলেন?
শেষ হইয়াও হইলো না শেষ !