নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
দু:খিত এটি ডিস্ক্লেইমার পর্ব.... মানে মােটামুটি সকল পাঠক আমার এ পর্বগুলোকে পজিটিভলি নিলেও কিছু পাঠক অভিযোগ করেছেন যে আমি বিদেশের মাটির ভাত খেয়েও কোমরে গামছা বেধেঁ তাদের বদনাম করতে বসেছি। তাই আজকের পর্ব শুধু পজিটিভ বিষয় নিয়ে লিখছি... নো নেগেটিভ বকবকানী। ভাইরে সাধে কি আর এতো কথা বলি .... এমনিতেই আমরা বিদেশর নাম শুনলেই জমি-জমা বেচেঁ, তেলের ব্যারেলের ভীতর, দিনে পর দিন না খেয়ে না দেয়ে, মরুভুমি, সাগর, গুলি, সাপ, বাঘ কিছুই ভয় না পেয়ে ঝাঁপিয়ে পরি। তার উপর যদি রাত দিন নিজের দেশের বদনাম আর পরের দেশের সুনাম করতে থাকি তাহলেতো যারা একটু আকটু দেশে ভালো আছে তারাও থাকতে চাইবে না.......... কাঁথা কম্বল বেচেঁ চলে আসতে চাইবে............
ইউরোপ আমেরিকা মানেই সবকিছু ভালো তা কি ঠিক....... মিলিয়ন ডলার কোয়েশ্চান......... আসলে উন্নত বিশ্ব অনেক পরীক্ষা নীরিক্ষার পর আজকে তারা এ পর্যায়ে এসেছে আর তারা। আর এ পরীক্ষা নীরিক্ষার করতে পেরেছে কারন তাদের আছে অগাধ সম্পদ, অল্প কিছু জন-সাধারন আর নি:স্বার্থ, নির্লোভ কিছু জ্ঞানী মানুষ। আর অপর দিকে আমাদের আছে অল্প কিছু সম্পদ, অসংখ্য জন-সাধারন, অনেক অনেক লোভী, দূর্নীতিবাজ, স্বার্থপর নেতা আর নি:স্বার্থ, নির্লোভ অল্প কিছু জ্ঞানী মানুষ যারা বাকিদের চাপায় মৃত প্রায়। ওওওওওওওওওও সরি কি লিখতে বসলাম আর কি লিখছি.... নাহ্ নো নেগেটিভ বকরবকর !!!!!!!!!!!!
বিদেশের মাটিতে কি ভালো লাগে তার সত্যিকারের হিসেব দিতে গেলে রাত দিন পার করতে পারবো কিন্তু তার ভিতর ও আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে শিশুর সাথে বিহেব বা আচার আচরন। আমি বরাবরই বাচ্চাদের ব্যাপারে খুঁতখুতে (আমার আগের লিখা পড়লে বুঝতে পারবেন)।
ইউরোপ আমেরিকায় শিশুরা ফার্স্ট প্রায়োরিটি মানে যেকোন কিছুর উর্ধে তারা.......... উর্ধে মানে উর্ধেই ..... সবার এবং সব কিছুর উপরে বাচ্চাদের অধিকার ও প্রয়োজন। কারন তারা জানে এরাই ভবিষ্যত.... পড়াশোনা, মেডিকেল, খেলাধুলা, এক্স্ট্রা টেলেন্ট.......... প্রতিটি জায়গায় এদেরকে এতােটা প্রায়রিটি দেয় যা আমাদের জন্য কল্পনা। শিশুদের সাথে অন্যায় জিরো টলারেন্স... সেটা স্কুল, রাস্তা এমন কি বাসায় ও। মা-বাবা যদি অন্যায়ভাবে শাসন করে সেখানে ও মাপ নেই। ২৪ আওয়ার্স তাদের জন্য হট লাইন। সত্যিকারের মানুষ বানানোর জন্য তারা প্রানপন চেস্টা করে ...... আমাদের মতো মিছিলের সামনে বাচ্চাদের দাড়ঁ করানোর কথা চিন্তা ও করতে পারে না তারা । স্কুলে এদের শিক্ষার ধরন দেখে তাজ্জব হই। বইয়ের শিক্ষা নয় সত্যিকারের শিক্ষাই দেয় তাদের, যেমন প্লেন নিয়ে পড়াচ্ছে তো সরাসরি প্লেনে বসেই পড়ে... বইয়ে চোখ রেখে আমাদের মতো কল্পনার প্লেনে চড়ে নয়... । ল্যাবে ইলেকট্রিসিটি উতপন্ন থেকে বাজার করা, বাসন মাজা, স্কুল পরিস্কার সবই শিখায়.... প্রাক্টিকেল এডুকেশান বলতে যা বোঝায়। ফিল্ড ট্রিপ, কমিউনিটি সার্ভিস, ক্যাম্প, স্যোসাল ওয়ার্ক, লাইব্রেরী, ভলান্টিয়ার ওয়ার্ক...... একটি শিশু চৈাকশ হতে বাধ্য..... তারপরও এ সবের বাইরে যদি তার ট্যালেন্ট থাকে তাহলে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবে সে বিষয়ে।
দ্বিতীয় যে বিষয়ে ভালো লাগে তা হলো, সকলের সহনশীলতা বা ধৈর্য্য। গুলিস্তান, মিরপুর, বাড্ডা অথবা গুলশান চৈারাস্তার চিল্লাচিল্লিতে অভ্যস্ত আমরা ভুলেও চিন্তা করতে পারিনা নিরব গুলিস্তান। হরতালে একটু কম প্যান প্যান হলেই আমরা কোথায় যেন এসেছি মনে হয। অথচ ইউরোপ আমেরিকা সহ অনেক দেশেই গেছি বাট কোথাও একটু জোরে আওয়াজ পেলাম না...... না বাসে, হাটে, ট্রেনে, স্টেশনে... কোথাও না.... কোথাও কোন শব্দ নেই, কোন মাইকের আওয়াজ নেই, হিন্দি সুরের মোবাইল রিং টোন নেই, মারামারি নেই, কথা কাটাকাটি নেই, ভাড়া নিয়ে ঝগড়া নেই। মনে পড়ে বছর তিনেক পুরান ঢাকায় ছিলাম.... কোরবানীর ঈদ, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ইলেকশান বা নিদেনপক্ষে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সারারাত উচ্চ সুরে ওয়াজ বা হিন্দি গানের সুর অথবা দু'টোই একসাথে। এক ফোটা ঘুমাতে পারতাম না রাতে বা দিনে। পড়াশোনাতো দূরে থাক, মাঝে মাঝে মনে হতো রোগীরা বাচেঁ কিভাবে এ শব্দে। যাহোক যা বলছিলাম.... তো তাই বলে কি ওরা সব বোবা কালা !!!!!!! কোন কথা বলে না ?? হাঁ, ওরা অনেক কথা বলে তবে আপনাকে ডিস্টার্ব করে নয়, খুবই আস্তে যাতে যাকে বলছে সে ছাড়া অন্য কেউ ডিস্টার্ব ফিল না করে। আর রিং টোন.... অবশ্যই আছে তবে তা আস্তে অথবা সাইলেন্ট মুডে। আমাদের সমস্যা আমরা শুধু বলার চেস্টা করি শোনার না। এখানে আগে শােনে তবেই বলে..... সব কিছু সিস্টেমে চলে.... আপনি মানবেন না!!! তার ও ব্যবস্থা আছে তবে চেচিঁয়ে গলা ফাটিয়ে নয়। সবার সহনশীলতা বা ধৈর্য্য দেখে তাজ্জব হই। আর এটি তারা স্কুল থেকেই শিখে আসে, অন্যের মতামতকে সন্মান জানানো, কারো কথা ধৈর্য্য নিয়ে শোনা, সিম্পেথি.......... অসাধারন। কোথাও পথ খুজে পাচ্ছি না, জিগ্ঞেস করতেই নিজের জিপিএস খুলে পারলে সেখানে দিয়ে আসে।
তৃতীয় যেটা ভালো লেগেছে তা হলো ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম। অসাধারন.... মিনিট নয় সেকেন্ড হিসেব করে বাস, ট্রেন সহ সব পাবলিক ট্রান্সপোর্ট চলে। ইউরোপ, আমেরিকা কোথাও আমি এক সেকেন্ডের জন্য লেইট হতে দেখিনি। যদি কোথাও সমস্যা হয় তাহলে আগে থাকতেই ইনফোর্ম করে ও বিকল্প ব্যাবস্থা করে। সময়ের মূল্য এখানে অনেক অনেক বেশী। তুমি মাসিক, সাপ্তাহিক বা ডেইলি পাস কিনে চলো....বা মেশিনে পয়সা ঢালো, টিকেট নাও আর চলে যাও। ওটা মোটেও সস্তা না, কিন্তু যে সার্ভিস আপনি পাচ্ছেন তা অসাধারন। এবং একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানীই সকল ট্রান্সপোর্ট এর নিয়ন্ত্রন করে... আমাদের মতো হাজারটা কোম্পানী নয়। যার দরুন নিয়ন্ত্রন সহজ। কোন ধাক্কাধাক্কি নেই, কম্পিটিশান নেই... শুধু সার্ভিস। তবে পাবলিক কম্লেইন বুথ আছে, তুমি কমপ্লেইন করবা সরকার নড়ে বসবে। তোমার নেক্সট টাইম রিনিউ না ও হতে পারে। ওয়াল্ড ওয়াইড বিজনেস... অন্য কোম্পানী আসবে। আর সরকারী আমলারাতো ঘুষ খায় না তাই তুমি ঠিকভাবে চলতে বাধ্য।..................
আর কি বলবো কিছু.... থাক অন্যদিন।
আগের লিখা পড়তে চাইলে......
আমার নিকটতম প্রতিবেশীরা - পর্ব-২
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৫
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। সারাদিন কাজ মেষে ক্লান্ত শরীর যখন বাসের ধাক্কা সামলাতে হয় তা যে কতটা কষ্টকর তা ভুক্তভোগীরাই জানে। তারউপর সরকারী বেসরকারী হরতাল হলেতো কোন কথাই নেই.... ঘন্টার পর ঘন্টা রাস্তায় দাড়িঁয়ে থাকো.... সব দায় যে আমাদের সরকারের তো কোন দায় নেই......
আমরা মনে করি আমার ভালো লেগেছে মানে পাড়া-পড়শীর ও ভালো লেগেছে... তাই তারা ও শুনতে বাধ্য।
ধন্যবাদ সুমন সবসময় সাথে থাকার জন্য।
২| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১২:২৪
মনিরা সুলতানা বলেছেন: সব কথার সাথেই সহমত আপু ।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৪৬
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক অনেক ধন্যবাদ মনিরা..........
৩| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৬
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: ওদের সাথে আমাদের পার্থক্য অর্থে বিত্তে, মনে মননে, রুচি ও ব্যবহারে। মোট কথা কোন দিক থেকেই ওদের সাথে আমাদের তুলনা চলে না। তাই বলে ওদের পারিবারিক বা সামাজিক জীবনে কোন খুঁত নেই, তা' নয়।
ধন্যবাদ সোহানী।
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫১
সোহানী বলেছেন: সত্যি যে তুলনা চলে না আবুহেনা ভাই তবে আমরা ওদেেকে অনুসরন করতে যেয়ে ভালো কিছু করতে পারিনি উল্টো খারাপ কিছুকে অনুসরন করছি। কারন ভালোকিছুর জন্য রাস্ট্রের পৃষ্ঠোপোষকতা দরকার.... তার কিছুই যে নেই আমাদের। রাষ্ট্র কতটা হেল্পফুল তা ইউরোপ/আমেরিকা না দেখলে বোঝা যায় না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আবুহেনা ভাই ।
৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৩০
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: বাচ্ছাদের প্রায়োরিটির বিষয়টা জানতাম তবুও ভাল লাগলো ।
চলুক ! আগামী দিনের অপেক্ষায় ---
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১২:৫৪
সোহানী বলেছেন: সত্যিই গিয়াস ভাই । ওদের ক্লাস এডুকেশান দেখলে সত্যিই খুব কষ্টলাগে নিজের দেশের কথা ভেবে। তবে এর খারাপ দিক ও আছে সেটা পরের পর্বে আনবো..........
ভালো থাকুন গিয়াস ভাই। আর ভাবীর এক্সিপেরিমেন্ট কি চলছে!!!!!!!!!!!!
৫| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:০১
গেম চেঞ্জার বলেছেন: শিরোনাম নিয়া কোন কিছু বলব না। (হাঃ হাঃ নেগেটিভ কথা কিন্তু)
আপনি যা যা বললেন তার সবই ঠিক আছে। তবে ৩য় বিশ্বের মানুষ যেমন থাকা দরকার আমরা হয়তো তেমনই আছি। তবে আমাদের একটা বিষয়(আসলে দিন দিন অনেক কমে যাচ্ছে এবং এখন না-ই বলা চলে) আছে যেটা ওদের নেই।
এটা হলো পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারিবারিক জীবন। এটা মানুষের জীবনের প্রধান অনুসঙ্গ বলে বিবেচিত হতে পারে। কি লাভ হবে এডুকেশন, স্কুল, কলেজ, ট্রান্সপোর্ট, সিকিউরিটি, করপোরেট লেভেল লাইফ করে? যদি তাতে মানবিক ছাপটুকু না থাকে?
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৫২
সোহানী বলেছেন: গেম চেঞ্জার ভাই ৩য় বিশ্বের মানুষ যেমন থাকা দরকার আমরা তেমনই নেই, দিন দিন নীচে নেমে যাচ্ছি। কারন আমরা অন্ধের মতো পশ্চিমা বিশ্বের অনুকরণ করি কোনটা ভালো কোনটা খারাপ তা চিন্তা করি না। আর ভালোটা নিতে পারিনা কারন রাষ্ট্রের সাপোর্ট নেই.... তারউপর হিন্দি চ্যানেলের ধাক্কা। অল্প কাপড় পড়া আর লিভটুগেদারকে আমরা আধুনিকতা ভাবি, নিজের ধর্ম বা সামাজিকতাকে ভুলে যাচ্ছি। ভাইরে কথা হচ্ছে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ ও পারিবারিক জীবন আমরা দিন দিন বর্জন করছি আর ওরা গ্রহন করছে। ওরা দেখেছে একাকী জীবন আর লিভটুগেদার জীবনে ভালো কিছু আনে না তাই দিন দিন তারা ফ্যামিলি লাইফের দিকে ঝুকছে। সাথে আছে রাস্ট্রের সাপোর্ট, একটি ফ্যামিলি অনেক বেশী সরকারী সাহায্য পায় সিঙ্গেল ফ্যামিলি থেকে। কি আর বলবো সে দু:খ আরেকদিন.....
৬| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১:১৯
আবু শাকিল বলেছেন: ডিস্কক্লেমার দিয়ে নিজেকে স্পষ্ট করে নিলেন
আগের পূর্ব ভালৈ ছিল।অন্তত খেতা-বালিশ নিয়ে আম্রিকা ইউরোপ দৌড়ানোর আগে চিন্তা কত্তাম।
দেশের ভাইরা দেশে থাইক্কা গোষ্টি উদ্ধার করত।আপ্নে বিদেশ থাইক্কা দেশ উদ্ধার করলেন -এইবার জমি জমা সব বেইচ্চা বিদেশ ভাগনের দরকার
"বছর তিনেক পুরান ঢাকায় ছিলাম.... কোরবানীর ঈদ, ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ইলেকশান বা নিদেনপক্ষে কোন বিয়ের অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে সারারাত উচ্চ সুরে ওয়াজ বা হিন্দি গানের সুর অথবা দু'টোই একসাথে। এক ফোটা ঘুমাতে পারতাম না রাতে বা দিনে। পড়াশোনাতো দূরে থাক, মাঝে মাঝে মনে হতো রোগীরা বাচেঁ কিভাবে এ শব্দে "
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৯
সোহানী বলেছেন: শাকিল ভাই, বিদেশে কি আর সাধে আসে। অন্তত কিছুটা নিরাপত্তা থাকলে কেন আসবো এখানে।
আমার দু'টো দু:খ; ১) খাবারে বিষ- একটা ফল, মাছ, সব্জি কিনতে পারতাম না ভয়ে। বহু দূরে গ্রামে লোক পাঠিয়ে সব্জি/মাছ আনাতাম। রাজশাহী থেকে আম/লিচু ছাড়া বাজার থেকে কিনতাম না।
২) হিন্দি চ্যানেল- সেটা যে কতটা বিষাক্ত হয়ে সমাজ ধ্বংস করছে তা কি সবাই জানে? জানে না, জানলে নূর ভাই হিন্দি ছবি সিনেমা হলে ঝুলাতো না আর টিভি চ্যানেলের কথা কি আর বলবো। অথবা সবই জানে তারপর ও করে.... লোভ।
আমরা এতােটাই মূর্খ নিজের ভালোটা ও বুঝি না।......... আমি কিন্তু বিদেশ থাইক্কা দেশ উদ্ধার করার চেস্টা করিনি কারন এটা আমার সাধ্যের বাইরে ........ একদিনের জন্য রাজা বানান, তিনটা কাজ করবো। ১) খাবারে বিষ মিশালে ফাসিঁ ২) সব হিন্দি চ্যানেল বন্ধ ৩) ওপেন ইকোনমির গোষ্ঠি কিলায়ে নিজের দেশে ইন্ড্রস্ট্রি করবো............. যাক রাজাতো আর বানাবেন না... তাই চেঁচায়ে যাই আর কি।
৭| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৩৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: ভাল লাগল ।ধন্যবাদ
০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৫০
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেল ভাই..........
৮| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:৫৯
মাহমুদ০০৭ বলেছেন: এই পর্ব আর আগের পর্ব পড়লাম । আমি বলব কে কি বলল তা মাথায় না রেখে আপনার যা মনে হয় তাই বলা উচিত ।
মন খুলে । আপনি আপনার যা মনে হয় বললেন , আমরাও যা মনে হয় বললাম । নেগেটিভ পজিটিভ নিউট্রাল ইত্যাদি
হাবিজাবি মাথায় না রেখে।
যাই হোক - বেশি কিছু বলতে চাই না । যদি সম্ভব হত তাহলে একটা টেস্ট করতাম ।
বাংলাদেশের সব মানুষকে আমেরিকায় ভাল চাকুরিসহ ভিসার অফার করতাম । তারপর দেখতাম কয়টা মানুষ এই দেশে থাকে।
শুভেচ্ছা রইল ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৭
সোহানী বলেছেন: একজন ও থাকবে না। নিজের দেশ/মা-বাবা/ভাই-বোন/বন্ধু-বান্ধব ছেড়ে কে আসবে বিদেশে... কিছু লাগবে না, চাকরী/ভিসা/খাবার..... শুধু জীবনের নিরাপত্তা দেন .. দেখবেন কেউই যাবে না দেশ ছেড়ে।
হাহাহাহা............ আমি মন খুলেই লিখি, কারো কথায় মাথা নষ্ট করি না... তবে সব কিছু ব্যাখ্যা দিতে পছন্দ করি যাতে কোন ভুল বোঝার অবকাশ না থাকে।
অনেক অনেক ভালো থাকেন.........
৯| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৩৮
বঙ্গভূমির রঙ্গমেলায় বলেছেন:
মাহমুদ০৭৭ ভাইয়ের সাথে সহমত।
শুভকামনা রইল আপু্।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:০৮
সোহানী বলেছেন: জ্বি ভাই.... ধন্যবাদ..........
১০| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
সবকিছুরই ভালো আছে, মন্দটাও আছে । ভালোটাকে গ্রহন করার মনোবৃত্তি আমাদের গড়ে ওঠেনি যেমনটা আপনি উপরের কোনও এক মন্তব্যের জবাবে বলেছেন । আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকে ক'টা ভালো জাত বেরিয়েছে ? আমরা তো সেই শত বছরের দাস মনোবৃত্তির পঙ্কিলতা থেকে এখনও বেরুতে পারিনি । ধমনীতে তো আমাদের এখনও নীচুজাতের রক্তই বইছে । বর্তমানে এক বা দুই পুরুষের মধ্যেই অঢেল অর্থের অধিকারী হয়েছি হয়তো "জাত" যাকে বলে তাতে উত্তরন ঘটেনি ।
মান্না দে'র একটি গানের কিছুটা বলি ---
কতো না নদীর জন্ম হয়
আর একটা কেন গঙ্গা হয়না
কতো না মানুষ জন্ম লয় ওরে
একটা কেন জাত হয়না ...।
তাই অর্থে -বিত্তে উচ্চমার্গে বিচরন করি বটে সেটা খারাপের মার্গে । অনুকরন করি খারাপটাই । কেননা খারাপটাই রং-চংয়ে বেশী । আর হালের পয়সায় রং-চংটাই কবজা করে ভাবি, জাতে উঠেছি ।
আমি নিজে যদি ভালো হতে চাই, পরিবেশ আমাকে কতোখানি টেনে খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে ? পারেনা যদি আমি যথার্থই জ্ঞানী হই , প্রজ্ঞাবান হই । যেহেতু আমরা তা নই তাই গুলিস্তানের হাউকাউ না শুনতে পেলেই বেখাপ্পা লাগে । বাস-ট্রেন দেরী না করলেই বরং অবাক হই । আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে তা ।
হয়তো পঁচা রক্ত পরিশোধিত হতে হতে ভালো রক্তের আভাসে আমরাও একদিন ভালো হয়ে উঠবো জ্ঞানে, বিবেচনায়, অনুধাবনে । তখন হয়তো আমাদের দেশটাও অমন স্বপ্নের দেশ হবে ।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৬
সোহানী বলেছেন: জী ভাই অসাধারন মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
কথা সেটাই সাময়িক চকচক করে বলে আমরা ঝাপিঁয়ে পড়ছি, কিন্তু এর উল্টোপিঠ একবার ও দেখছি না। তবে আমরা অবশ্যই দোষী না কারন আমরাতো ফেরেস্তা না। আমরা প্রতিদিন টিভিতে পরকীয়া প্রেম দেখি, লিভ-টুগেদার দেখি, অর্ধ-নগ্ন নৃত্য দেখি.... দশদিন দেখার পর সেটা আমাদের মগজে ঢুকবেই, তারপর পাখী হতে চাইবো, ওর মতো ড্রেস চাইবো, প্রতিদিন গার্ল বা বয় ফেন্ড পা্ল্টাতে চাইবাে..... ... রাষ্ট্রইতো বলছে দেখ বেশী করে আর ধ্বংস হোক প্রজন্মের পর প্রজন্ম ........
রাষ্ট্র কি চাইলেই একটা দূর্নীতি বিহিন রাষ্ট্র করতে পারে না.... হাঁ পারে কিন্তু করলে নেক্সট্ ইলেকশানের পয়সা কেমনে হবে, যা খরচ করছি তার ১০ গুণ কেমনে উঠবে, আম্রিকা/কানাডা/মালয়শিয়ায় বাড়ি কেমন হবে !!!!!!!!!!!!!! মিলিয়ন ডলান কোশ্চেইন........ হিসেব করলে মাথা খারাপ হয়ে যায়........... নাহ্ ভাবতে পারছি না। তাই বিদেশ যাও আর দেশকে মেধা শূণ্য করো.......
অনেক অনেক ভালো থাকেন... মনটা খারাপ হয়ে গেল...
১১| ০৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১১:০৯
আবু শাকিল বলেছেন: সোহানী আপু- আপনি রানী হয়ে আছেন।রানী হয়েই থাকেন।
রাজার হওনের কাম নাই
রাজা হয়ে গেলে -ব্লগে আর আপনাকে পাওয়া যাবে না।
ভাল থাকবেন।অনেক অনেক দোয়া রইল।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা শাকিল ভাই, রাজা বা রাণী যাই হই ব্লগে পাবেনই... ওটা যে ৮ বছরের অভ্যাস........ আর আমি কিন্তু সবসময়ই রাজা বা রাণী তবে কেউ মানুক আর না মানুক।
১২| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৪৭
কলাবাগান১ বলেছেন: ধন্যবাদ
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫০
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা কলাবাগান ভাই.... আসছি পরের পর্বে গামছা বেঁধে।
১৩| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:১২
জুন বলেছেন: আমরা এখানে এক সাথে দু জায়গায় দুটো প্রোগ্রামে এটেন্ড করতে পারি না এই যানবাহন অপ্রতুলতা আর জানজটের কারনে । আমার বিদেশের সব কিছুর মাঝে বিষমুক্ত খাবার দাবার আর ট্রান্সপোর্ট সিস্টেম সবচেয়ে ভালো লাগে সোহানী ।
আমি আপনার সাথে একমত মানে গাট্টি বোচকা বাঁধছি
+
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫১
সোহানী বলেছেন: হায় হায় আপনি ও গাট্টি বোচকা বাঁধলে কেমনে চলবে পর্যটন মিনিষ্ট্রি.... আইসেন বেড়ান বাট থাইকেন না আপু ...............
১৪| ০৯ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:০৪
আমি তুমি আমরা বলেছেন: পোস্টের শিরোনামটা মিসলিডিং। এখানে আপনার প্রতিবেশিদের কথা আসেনি।শিরোনাম পরিবর্তনের কথা ভেবে দেখতে পারেন
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯
সোহানী বলেছেন: যেহেতু এটা আগের পর্বগুলোর উত্তর তাই শিরোনাম পরিবর্তন করা কি ঠিক হবে
১৫| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:০৫
কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:
বিদেশের ভাল, খারাপ দুই দিক সম্পর্কেই জানতে আগ্রহী। তাই আশা করি দুই দিক সম্পর্কেই আপনার সিরিজের মাধ্যমে জানতে পারব। চলুক বিদেশ নিয়ে অভিজ্ঞতার আলোকে লেখালিখি।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১২
সোহানী বলেছেন: আমি দেখলাম, প্রায় ৪টা সিরিজ শুরু করেছিলাম, এবং একটার মাঝে আরেকটা। তাই কোনটাই শেষ হয়নি.... এটা ও মনে হয় ওরকমই হবে.... অস্থির মানুষতো তাই মনে হয়.........
আপনার লিখা কবে আসবে........
১৬| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:০৪
উল্টা দূরবীন বলেছেন: মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ যেন। চলতে থাকুক।
১২ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:১৪
সোহানী বলেছেন: হুম ... আমি অন্ধের মতো বিদেশ মূল্যায়ন করতে যেমন চাই না তেমন নিজেদের ও যে কিছু শিখার আছে তা ও জানাতে চাই........ অনেক ভালো থাকুন.....
১৭| ১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৪৯
বিজন রয় বলেছেন: ভাল লাগল।
++++
১৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১০:৫৪
সোহানী বলেছেন: জ্বি ভাই.... ধন্যবাদ..........
১৮| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:০৭
বিজন রয় বলেছেন: নতুন লেখা দিন।
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৫২
সোহানী বলেছেন: দিব ভাই... মাথায় ঘুরছে বাট সময় করতে পারছি না................
১৯| ০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:০৩
শাহাদাত হোসেন বলেছেন: আর অপর দিকে
আমাদের আছে অল্প
কিছু সম্পদ, অসংখ্য
জন-সাধারন, অনেক
অনেক লোভী,
দূর্নীতিবাজ,
স্বার্থপর নেতা আর
নি:স্বার্থ, নির্লোভ
অল্প কিছু জ্ঞানী
মানুষ যারা বাকিদের
চাপায় মৃত প্রায়।
-চরম বাস্তবতা। চমৎকার পোষ্ট। দেশে আর থাকা যাইতো না
০৩ রা মার্চ, ২০১৬ সকাল ৯:১৯
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ.......... তবে সবাই দেশ ছেড়ে গেলে কিভাবে চলবে.........
২০| ৩০ শে মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:০৮
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাহ, এই পর্বটাতো ভালোই চলছিল, পড়তে ভাল লাগছিল, হুট করেই শেষ হয়ে গেল। এইটা কিছু হইল?
আরও আরও আরও লেখা চাই, কোন কথা নাই। শুধু +++
৩০ শে মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:৫৭
সোহানী বলেছেন: শেষ হয় নাই... সাময়িক বিরতি পরীক্ষার কারনে..........
২১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ দুপুর ১:১৪
সায়ান তানভি বলেছেন: সাধেই কি এই দেশের নাগরিকত্ব ছাড়তে ইচ্ছা হয়,
১২ ই এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৯:২০
সোহানী বলেছেন: হুম...........
২২| ২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমাদের দেশে কর্মক্ষম লোকের অর্ধেক কর্মশক্তি ক্ষয় হয়ে যায় শুধু অফিসে যাওয়া আর অফিস থেকে ফেরার ধকল সইতে।এদিকটাতে সরকার একটু নজর দিলে প্রোডাক্টিভিটি অনেক বেড়ে যেত।
শিশুদের অগ্রাধিকার, সময়ানুবর্তী পরিবহণ ব্যবস্থা, ইত্যাদি তো আমি নিজ চোখেই দেখে এলাম মেলবোর্নে। আপনি যেমনটি বলেছেন, সবই ঠিক সেই মত।
পোস্টে দ্বাদশ প্লাস। + +
০৬ ই অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:৪২
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। একটি মানুষ যদি মিরপুর থেকে মতিঝিল যেতে ৪/৫ ঘন্টা নষ্ট করে তাহলে কিভাবে বাকি কাজ ম্যানেজ করবে বাকি সময়ে? তার প্রডাক্টিভিটিইতো জ্যামে শেষ। এর প্রধান কারন সীমাহীন মানুষের বাস ঢাকা শহরে।
এর একমাত্র সমাধান বিকেন্দ্রীকরণ! সচিবালয়, ইন্ড্রাস্ট্রি, গার্মেন্টস........প্রায় সব হেড অফিস ঢাকা থেকে সরিয়ে ফেলুক, জ্যাম কমে যাবে অর্ধেকরই বেশী। কিন্তু কেউই এ দু:সাহস দেখাবে না.......
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ১১:২০
সুমন কর বলেছেন: না না না...এবারের পজিটিভ কথাগুলো কিন্তু সত্য। সুতরাং কেউ রাগ করবে না। আমরা যে কষ্ট করে যাতায়ত করি, তা শুধু আমরাই জানি। সারাদিনের কাজ শেষ করে কখন বাসায় যেতে পারবো, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ থাকে !! আর গান-বাজনার জন্য কত রাত যে ঘুমোতে যাইনি, হিসেব নেই।
কারন তাদের আছে অগাধ সম্পদ, অল্প কিছু জন-সাধারন আর নি:স্বার্থ, নির্লোভ কিছু জ্ঞানী মানুষ। আর অপর দিকে আমাদের আছে অল্প কিছু সম্পদ, অসংখ্য জন-সাধারন, অনেক অনেক লোভী, দূর্নীতিবাজ, স্বার্থপর নেতা আর নি:স্বার্থ, নির্লোভ অল্প কিছু জ্ঞানী মানুষ যারা বাকিদের চাপায় মৃত প্রায়। -- সহমত।
+।