নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

জীবন যেখানে যেমন....... এবারের বিষয় পাবলিক ম্যানার্স এন্ড এ্যাটিকেট, সোজা বাংলায় সামাজিক ভদ্রতা B:-)B:-)B:-)

১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:১৩

ক'দিন আগে কানাডার ডেইলি পত্রিকার একটা নিউজ দেখে কতক্ষন হাসলাম, ঘটনা এমন, ট্রেনে এক ভদ্রলোক পাশের সিটে পা তুলে বসেছিলেন। তো আরেক ভদ্রমহিলা তাকে পা নামিয়ে বসতে বললেন কিন্তু ভদ্রলোক শুনলেন না। অতপর: মহিলা প্রথমে তার পায়ের উপর বসে পড়লেন তারপর যথারীতি ঝগড়া করলেন ও শেষে সাবওয়ের পুলিশ কল দিলেন। ভদ্রমহিলাকে প্রশ্ন করা হলো কেন তিনি এমন কাজ করলেন? উনি উত্তর দিলেন এটা পাবলিক ন্যুইসেন্স যা তার ফ্যামিলি তাকে শিখাতে ব্যার্থ হয়েছে তাই আমি মনে করি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে তাকে শেখানোর দায়িত্ব আমার। এখন কথা হলো যদি ফ্যামিলি কিছু শিখাতে ব্যার্থ হয় তাহলে এমনভাবে নাস্তানাবুদ হয়ে পাবলিকই আপনাকে শিখাবে B:-/


যা বলছিলাম... পাবলিক ম্যানার্স এন্ড এ্যাটিকেট। সোজা বাংলায় সামাজিক ভদ্রতা। আমরা ঘরে যেভাবে যেমনভাবেই থাকি কোন সমস্যা নেই.. বাবা-মা, ভাই-বোনদের সাথে যেভাবে কথা বলি, যেভাবে বাসায় ডাইনিং টেবিলে খেতে বসি, যেভাবে মোবাইল উইজ করি তবে তা পাবলিকলি করতে সামাজিক ভদ্রতা অবশ্যই বজায় রাখা উচিত। যখন বিদেশে থাকি বা দেশের প্রতিনিধি হয়ে দেশের বাইরে যাই তখন আমাদের এ ছোট ছোট পাবলিক ম্যানার্স এন্ড এ্যাটিকেট গুলো আর পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না সেটা পুরো দেশের সন্মানের সাথে জড়িত হয়ে পড়ে। কারন দেশের বাইরে আমরা শুধু নিজের পরিবারে নয় দেশের প্রতিনিধিত্ব করছি । তাই এমন কোন আচরন করা উচিত না যা দেশের মান-সন্মান ধরে টান দেয় সেটি খাবার হোক, ড্রেস কোড হোক বা সাধারন বিহেব হোক।



যেমন খুব সাধারন একটা পাবলিক ম্যানার্স হলো মোবাইল ম্যানার্স। হাটে মাঠে ঘাটে বাসে অফিস আদালত যেখানেই আমরা মোবাইলে কথা বলি তখন উচ্চ মোবাইল রিং টোনের সাথে উচ্চ স্বরে এমনভাবে কথা বলি যেন আশে পাশের সবাইকে জানিয়ে দেই যে আমি খুবই গুড়ুত্বপূর্ণ একজন লোক। এমনকি ৩০ মিনিটের মিটিং বা সেমিনারে, অফিসিয়াল বা পারিবারিক অনুস্ঠানে আমাদের মোবাইল বেজে উঠে কম করে ১০ বার। প্লিজ, আপনি এমন কোন কেউকাটা বা ডন ইব্রাহীম না যে আপনার মোবাইল প্রতি মিনিটে একবার চিৎকার দিয়ে উঠবে। সেমিনার বা মিটিং এর কিছু গুড়ুত্বপূর্ন স্থানে যেখানে একান্ত নিরবতা দরকার সেখানে কিছুক্ষন মোবাইল বন্ধ রেখে বা ভাইব্রেটে রাখলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না, পৃথিবীর চাকা যেটা আপনি ঘুরাচ্ছেন সেটাও বন্ধ হয়ে যাবে না..বাজি ধরেন!!! B:-/ আমি দেশের বাইরের অফিস, সেমিনার, মিটিং, ট্রেন-বাস, মার্কেট, রাস্তা কোথাও উচ্চস্বরে মোবাইল বাজতে বা কথা বলতে শুনিনি। তো তাই বলে কি ওরা সব বোবা কালা !!!!!!! কোন কথা বলে না ?? না ওরা বোবা না, ওরা অনেক কথা বলে তবে আপনাকে ডিস্টার্ব করে নয়, খুবই আস্তে বলে যাতে যাকে বলছে সে ছাড়া অন্য কেউ না শুনতে পায়... অন্য কেউ যেন ডিস্টার্ব ফিল না করে। আর রিং টোন.... অবশ্যই আছে তবে তা আস্তে অথবা সাইলেন্ট মুডে।

এবার আসি পাবলিকলি খাওয়ার এ্যাটিকেট। আগেরদিনে বাংলা সিনেমায় দেখতাম কম করে একটা খাওয়া-দাওয়ার সিন থাকতো (এখনকার ছবি দেখিনি তাই বলতে পারছি না)। সেখানে নায়ক বা তার বন্ধুরা হাফুস হুফুস করে গোগ্রাসে খেতো। এখন যদি এমন দৃশ্য আপনি বাস্তবে দেখেন তখন কি একটু এমব্রেস ফিল করবেন না? একটা ব্যাক্তিগত ঘটনা শেয়ার করি... একটা ইর্ন্টান্যাশানাল কনফারেন্সে বাঘা বাঘা লোকদের সাথে দূর্ভাগ্যক্রমে আমি ও ইনভাইটেশান পেয়েছিলাম সুইজারল্যান্ড সফরের। বাংলাদেশ থেকে সরকারীভাবে ও বেসরকারীভাবে আমরা কয়েকজন ছিলাম। যেহেতু এটি ইর্ন্টান্যাশানাল কনফারেন্সে আর ৫ ইয়ার্স হেলথ্ প্লান তাই পৃথিবীর সেরা মাথাগুলাই এসেছিল। তাই আয়োজক সুইস সরকার সর্ব্বোচ্চ আয়োজনের চেস্টা করেছিল খাবার থেকে শুরু করে সবকিছু সুন্দরভাবে করার। লান্চ, দু'বেলা স্ন্যাক্স ছাড়াও আয়োজক কমিটি প্রতিটি কর্নারে চকলেট, চিপস্, ড্রিংস, চা, কফি, জুস রেখেছিল। যে যার মতো খাবারের সুযোগ থাকলেও অন্য কোন দেশের লোকজন চা-কফি ছাড়া কিছুই ধরছিল না পুরোটা সময়.... সম্পূর্ন মনোযোগ ছিল লেকচারের উপর। কিন্তু আমাদের টিমের কয়েকজন ভাই-আপুর আচরন দেখে মনে হলো এমন খাবার জীবনে ও চোখে দেখেনি....!!! হামলে পড়া বলতে যা বোঝায় তা প্রাকটিকেল দেখাচ্ছিল। সারা সময়টাতে ৫ মিনিট পর পর উঠে আর প্লেট ভর্তি, গ্লাস ভর্তি করে আনছিল... শেষ করে আবার যায়। তারপর ও শেষ নেই, লাঞ্চের সময়ে প্লেটে যতটুকু খাবার ধরে তার ৫ গুন খাবার নিল এবং এসব আধা কাচাঁ খাবার একটু আকটু মুখে দিয়ে ফেলে দিল। অথচ তাদের ছাড়া অন্য কারো প্লেটেই অবশিষ্ট কিছু দেখলাম না। শুধু যে বিদেশে তা নয় দেশে ও যখন বিভিন্ন লান্চ সমৃদ্ধ সেমিনারে যাই সেখানেও দেখেছি কিছু মানুষ যেভাবে প্লেটে খাবার নেয় বিশেষ করে বুফে সিস্টেমে দেখে মনে হয় সাত দিনের উপোস। তাই যা পারি তা নিয়ে নেয় একসাথে নতুবা যেন ভাগ পাবো না এবং শেষে দেখি যথারীতি চার ভাগের তিনভাগ উচ্ছিস্ট করে। ঘরে বা পারিবারিক অনুস্ঠানে আমরা কম বেশি খাই, দরকার হলে একটু পকেটের পয়সা খরচ করে আরো কিছু খাবো কিন্তু যেখানে দেশের দশের সন্মান জড়িত সেখানে কি একটু এ ম্যানার্সগুলো ভাবা উচিত নয় কি :( !



ইদানিং আমি কোন দাওয়াতে সবার শেষে হাজিরা দেই... আগে উপস্থিত কাউকে ফোন করে জেনে নেই অনুস্ঠানের সবচেয়ে গুড়ুত্বপূর্ন অংশটি শেষ হয়েছে কিনা মানে ছবি তোলা।. কারন এখন সব অনুস্ঠানেই হোস্ট এবং গেস্ট রান্না-বান্না করার পর খাবার সাজিয়ে-গুজিয়ে কয়েক ঘন্টা ধরে সে খাবারের বিভিন্ন এঙ্গেলের ছবি তুলবে, সব গেস্টকে সামনে দাড়ঁ করিয়ে আরেকদফা ছবি... তারপর সেটা ফেসবুকে পোস্ট দিবে ও বাকিটা সময় ছবিতে মন্তব্য করে সময় কাটাবে। অবস্থা দেখে মনে হয় দাওয়াত এর মূল উদ্দেশ্যই ফেসবুকে পোস্ট দেয়া !! শুধু দাওয়াত না ফেসবুকে যেভাবে রেস্টুরেন্টে বসে খাবারের সাথে আমার হাবির সাথে কিংবা আমার সুইট হার্টের সাথে বিভিন ভঙ্গিমায় ছবি দেখি (অনেক নতুন ওয়ার্ড এখন ডিকশেনারীতে যোগ হয়েছে B-)) যেমন হাবি=হাজবেন্ড, সুইটি=ওয়াইফ, জিএফ=গার্লফ্রেন্ড, বিএফ=বয়ফ্রেন্ড) তাতে মনে হয় বে পৃথিবীর সব প্রেম মনে হয় ফেসবুকের ছবির মাঝে... মজার ব্যাপার হলো এদের অনেকেই সকাল বিকালচুলাচুলি করে, তাদের ঝগড়ার যন্ত্রনায় কাক পক্ষীও আশেপাশে আসতে পারে না... এবং তারপর সেজে গুজে ছবি পোস্ট দেয়......ক্যাপশান: চাঁন্দি রাতে ওর সাথে ;) । ফেসবুক বা স্যোসাল মিডিয়াতে ছবি পোস্ট বা ফেসবুক খারাপ কখনই আমি তা বলি না কারন সোস্যাল এ মিডিয়ার কল্যাণেই দূরে থেকেও সবার মাঝে থাকা যায় .....কিন্তু ওই যে বাড়াবাড়ি যেটা আমরা করি সেটা যদি একটু দেখেশুনে করা যায় এই আর কি।



যাহোক ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিতে সমস্যা নেই কিন্তু তাতে যখন খুব বিরক্তিকর মন্তব্য করা হয় বা অন্য কোন দেশের সেলিব্রিটির পেজে বাজে মন্তব্য করা হয় তখন কিন্তু সেটা দেশের সন্মান ও জড়িত হয়ে পরে। যেটা আমরা করি অনেকটা না বুঝেই কারন শেখার আগেই টেকনোলজি আমাদের গ্রাম পর্যায়ে পৈাছে গেছে। তাই বড় একটা অংশ জানেই না কিভাবে অন্যের সন্মান রেখে মন্তব্য করতে হয়। আর এখনতো গ্রামের মাঠ পর্যায়ের মুজুর, কাজের বুয়া, রিক্সাওয়ালা সবারই একটা করে ফেসবুক এ্যাকাউন্ট আছে... নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক নেটওয়ার্ক..... আমরাইতো শিখিয়েছি তাদের তাই নয় কি। কিন্তু নেটওয়ার্ক কি, কেন দরকার নেটওয়ার্ক, কিভাবে কাজে লাগানো যাবে বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক? এসবের কোন খোঁজ নেই শুধু নেটওয়ার্ক শব্দটাই আমাদের মগজে ঢুকিয়ে দিয়েছে। তাই ছুটছি আমরা এর পিছনে। নেটওয়ার্ক এর জন্য দরকার ফেইসবুক টুইটার ইন্সট্রাগ্রাম এ্যাকাউন্ট আর বিশ্বব্যাপী ফ্রেন্ড.... তাই ঢালাওভাবে পাঠাও ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট, এ্যাকেসেপ্ট করো, বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্ক গড়ো আর যাচ্ছে তাই মন্তব্য করো। আর এর জন্য কোন শিক্ষার দরকার নেই ফেইসবুক চালাতে পারলেই হলো, খেলাধুলার দরকার নেই সেলফি তুলে পোস্ট করলেই হলো, কোনটা ভালো কোনটা মন্দ সেটা বোঝার দরকার নেই মন্তব্য করতে পারলেই হলো আর তার জন্য দরকার হাই স্পিড মোবাইল ইন্টারনেট ও বেরিয়ার ফ্রি নেটওয়ার্ক। এবার টাকা ঢালো কিনো মোবাইল নেট কিন্তু এ টাকা কোথা থেকে আসছে, কিভাবে টাকা জোগাড় হবে সেটা কোন মূখ্য বিষয়ই নয়... চুরি করে, ছিনতাই করে, স্মাগলিং করে, ঘুষ খাও। টাকা চাই শুধুই টাকা আর টাকা....। ফোর জি টেন জি নেট থাকাটাই মূল বিষয়, ফেইসবুক টুইটার ইন্সট্রাগ্রাম এ্যাকাউন্ট থাকাটাই বড় কথা আর উল্টাপাল্টা মন্তব্য করাটাই সবচেয়ে স্মার্টনেস। এরপর সমানতালে ছবি তোল, পোস্ট করো, মন্তব্য করো... পুরো জীবনটাতো এ ফেসবুক টুইটার এর মধ্যেই এখন আটকে আছে। হাঁ... এটা হবে না কেন আমরা কিছু কর্পোরেট বেনিয়ারইতো সেটা চেয়েছি ... তাদের হাতের পুতুল সবাই। যখন চাইবে, যেভাবে নাচাবে, সেভাবেই নাচবো ...তাই নাচছি আমরা.... নাচছে পুরো দেশ..... ।

বি:দ্র: লিখাটা এ্যালাইমনাই এর ম্যাগজিনে আগে দিয়েছিলাম, এখন ঘষেমেঝে সামুতে দিলাম।

এবার উৎসর্গের পালা : কিভাবে যে বেলায় বেলায় এতােবেলা হয়েগেল সামুতে বুঝতেই পারিনি। মাঝে মাঝে মেজাজ খারাপ করে সামুতে ঢুকি না তারপরও সব রাগ ভুলে আবার ফিরে আসি কারন এমন কিছু অসাধারন লেখক আছেন যাদের লিখা না পড়লে ভালোলাগে না... তারা আসলেই ইউনিক। তেমনি ক'জন......................... জ্ঞানী ব্লগারবৃন্দ... আহমেদ জী এস, ডঃ এম এ আলী, মাঈনউদ্দিন মইনুল, আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম, গিয়াস উদ্দিন লিটন, জাফরুল মবীন ( উনি ও নিখোঁজ এখন), মোস্তফা কামাল পলাশ, মানবী সহ অনেকে, অসাধারন ভ্রমণ ব্লগার জুন, বোকা মানুষ বলতে চায়, সাদা মনের মানুষ সহ অনেকে, কাব্যিক ব্লগার সেলিম আনোয়ার, সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, বিদ্রোহী ভৃগু, ও ছন্দের যাদুকর প্রামাণিক, কি করে আজ ভেবে না পাই, সায়মা... এছাড়া ও আছেন গল্প সাহিত্যিক ব্লগার হাসান মাহবুব, অপু তানভির ....... সবার নাম উল্লেখ করতে হলে সারাদিন পার হবে...... আশা করবো তারা সবসময়ই সাথে থাকবেন ব্লগের সুখে ও দুখে........... সবসময়।

ভালো থাকুন।

মন্তব্য ৮৮ টি রেটিং +২৫/-০

মন্তব্য (৮৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৭

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: সোহানী আপু অনেক ভাল লিখেছেন। সামুতে আপনিও কিন্তু একজন জ্ঞানী ব্লগার।
যায় হোক আমাদের বাঙালীর ভদ্রতা শেখাতে আরও কয়েকশ যুগ হয়তো পার হয়ে যাবে।
তবুও তারা ভদ্রতা শিখবেনা। ফেসবুকে তো আজকাল ঢোকাই যায় না। পৃথিবীতে যত রকমের মানুষ আছে সবাই মনে হয় এই ফেসবুকে আছে।
সুন্দর লেখার জন্য আবারও ধন্যবাদ।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: হায় হায় আমি জ্ঞানী হইলাম কেমনে... কিছুক্ষন বকর বকর করি টাইম পাইলে.....................

ভাইরে ভদ্রতা কি আর সাধে শিখাইতাছি.. দায়ে পড়ে শিখাই..... যখন নিজের মাথা কাটা যায় তখন বাধ্য হয়ে মুখ খুলি....

ধন্যবাদ সোহেল...........

২| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ৯:৪২

আরিফ শাহরিয়ার জয় বলেছেন: ভালো হয়েছে। ছবি গুলোও ভাল

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৭

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আরিফ....

৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:২৯

নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: পুরনো চাল ভাতে বাড়ে সেই ছোট থেকে শুনে আসছি, স্কুলে যাওয়ার পর থেকে শুনে আসছি জ্ঞান সবসময় চারিপাশ আলোকিত করে রাখে। আর ব্লগে কিছু শ্রদ্ধাভাজন ব্লগার আছেন যারা সবসময় পুরো সামুকে সবদিক পরিপূর্ণ করে রাখেন, আপনিও। আপনারা আছেন বলেই অনেক অজানাকে জানতে পারি। এর জন্য সবসময় কৃতজ্ঞতা রাখি শ্রদ্ধাভরেই।

আপনার আজকের পোষ্ট থেকে ঘরের বাহিরে কিভাবে সৌজন্যতা, ভদ্রতা মর্যাদাসম্পন্ন আচার আচরণ করে মানুষের ভালোবাসা পাওয়া যায় সেগুলো সম্পর্কে ভালো পরামর্শ পেলাম, কিছু তিক্ত অভিজ্ঞতা সহ।

শুভকামনা আপনার জন্য। সবসময় সুস্থ থাকুন আর এভাবেই আমাদের জানার তৃষ্ণা মিটান।
পোষ্টে কৃতজ্ঞতা।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১১

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই নয়ন, ব্লগে কিছু শ্রদ্ধাভাজন ব্লগার আছেন যারা সবসময় পুরো সামুকে সবদিক পরিপূর্ণ করে রাখেন। আরে আমি আবার একটা জ্ঞানী ব্লগার ....... তেলাপোকাও একটা পাখি!!!!!!!!!!!

ধন্যবাদ নয়ন...........

৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১০:৪৩

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে সিভিলাইজেশনের অভাব আছে। তা' ছাড়া আমাদের পারিবারিক শিক্ষা দীক্ষা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ মোটেই মানবিক নয়।

গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। সামু কর্তৃপক্ষ পোস্টটি স্টিকি করলে ভালো হতো।

ধন্যবাদ বোন সোহানী।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:১৭

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ হেনা ভাই।

আমাদের পারিবারিক শিক্ষা দীক্ষা, নৈতিকতা ও মূল্যবোধ মোটেই মানবিক নয় বা সিভিলাইজেশনের অভাবের কারনেইতো আমরা দিন দিন অমানুষ হয়ে যাচ্ছি। শুধু একা পরিবারকে দোষ দিয়ে লাভ কি, রাস্ট্র, সমাজ সবাই-ই দায়ী।

হাহাহাহা সামু কর্তৃপক্ষ এর কাছে অামার পোস্টটি স্টিকির আবেদনটার জন্য কৃতজ্ঞতা হেনা ভাই...........

অনেক অনেক ভালো থাকেন..............

৫| ১৬ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৬

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ভালো লেগেছে আপনার লেখাটি।






ভালো থাকুন নিরন্তর।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:২৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক .............

৬| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:২৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,




যে হাসতে জানে, সে হাসাতেও জানে । নির্মল হাসি হলো ভয়ানক সংক্রামক । এতে শরীর ও মন (হরমোনাল কারনে) তরতাজা হয় । যিনি সেটা পারেন বুঝতে হবে তিনি প্রচন্ড মনঃরসের স্নিগ্ধতায় সিক্ত ও শুদ্ধ।
আপনার প্রায় লেখাতেই উপস্থাপনার ঢংয়ে এই লুকায়িত আনন্দধারা সতত প্রবাহমান বলেই একথা বলা ।
সিরিয়াস বক্তব্যও অবলীলায় হেসে খেলে আপনার লেখায় উঠে আসে । এটাও তাই ।

এই যে ভদ্রতার কথা বললেন তা শুধু সামাজিক স্তরেই প্রকাশমান হওয়া নয় , হতে হবে ব্যক্তিক, গৌত্রিক, গৌষ্ঠিক, জাতিক, রাষ্ট্রিক স্তরে প্রকাশিত ও বিরাজিত । আমাদের মগজী মানসজীবনে বৃত্তি-প্রবৃত্তির অসংযম, অসহিষ্ণুতা, অবক্ষয়, অচেতনা এতোটাই শেকড় গেড়ে আছে যে আমরা এখন কার্যতঃ বেহায়া, বেলেহাজ, বেল্লিক, বেআক্কেল আর বেআদব হয়েই রয়ে গেছি ।
পারিবারিক, সামাজিক যে ক্ষেত্র আমাদেরকে শানিত করতে পারতো সে ধাপগূলোতো নিজেরাই রোগাক্রান্ত । রোগীর কাছ থেকে রোগ চিকিৎসার আশা করাই বৃথা । তাই আমরা চিন্তনে - মননে, আন্দাজে- অনুমানে, জ্ঞানে-বুদ্ধিতে যথেষ্ঠ দরিদ্র ।

হায়, কবে যে আমরা স্বদেশ- বিদেশ-বিভুঁয়ে নিজেদেরকে আভিজাত্যময় , সংযত রূপে উপস্থাপিত করতে পারবো !!!!!!!!!!!!!!!
সে দিনটির প্রতীক্ষায় ।

শুভেচ্ছান্তে ।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সোহানী বলেছেন: ও মাই গড! আপনার কমেন্ট পড়ার পর রীতিমত গবেষনা করতে হয়... আমি হলাম হালকা চালের মানুষ কোন কিছুই গভীরে নিই না....তাই মনের মধ্যে রাগ পুষে রেখে প্রতিশোধ নেয়া হয় না। মনে হয় যাকগা্ এবারের মতো মাপ করে দিলাম... তারপর আবারো যখন সে আপরাধ দেখি তখন মনে মনে বলি ও তো আমার যোগ্যই না....হাহাহাহাহা

নিজের প্রশংসা শুনতে খুবই ভালোলাগে তারপর সেটা যদি হয় জী ভাইয়ের মতো উচ্চমানের লেখকদের কাছ থেকে। এখনই আপনার মন্তব্য বাবার কাছে টেক্সট্ করছি কারন বাবা ভাবেন আমি একজন ছাগলীয় লেখক, অযথা সময়ের অপচয় করছি। বাবা এবং মা দু'জনেই খুবই ভালো লিখতেন এবং বাবার দাবড়ানি খেয়ে আমার বংশে মনে হয় আমি ছাড়া কেউ আর এ পথে পা দেয়নি। এমন কি তারা ফেইসবুকেও কিছু লিখার চেস্টা করে না...আজিব সব ভাই-বোন.... জীবনের পুরোটা সময়ই তারা বই পড়ে কাটালো।

খুবই সত্য কথা আমাদের মগজী মানসজীবনে বৃত্তি-প্রবৃত্তির অসংযম, অসহিষ্ণুতা, অবক্ষয়, অচেতনা এতোটাই শেকড় গেড়ে আছে যে আমরা এখন কার্যতঃ বেহায়া, বেলেহাজ, বেল্লিক, বেআক্কেল আর বেআদব হয়েই রয়ে গেছি । দেশে থাকলে এতোটা চোখে পড়ে না কিন্তু দেশের বাইরে অন্য সবার সাথে কম্পেয়ার করতেই হয় তখন খুবই খারাপ লাগে। ইউএসএ বা কানাডায় কতটা দেশীয় দল আছে, জানেন? হাস্যকর। আমরা কোন প্রোগ্রামই এক সাথে আয়োজন করতে পারি না। দলাদলি করা আমাদের রক্তের মধ্যে.... সবাই নেতা হতে চায় .................. যাকগা্ ভালোথাকেন... বেশী চিন্তা হ্রদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।

৭| ১৬ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:৩০

গারোপাহাড় বলেছেন: লিখেছেন তো ভালো, কিন্তু সমস্যা হলো আমরা হঠাৎ সব পেয়েগেছি তো..তাই এগুলো শিখতে একটু সময় লাগবে।

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোহানী বলেছেন: সময় লাগুক ভালো কথা কিন্তু সব কিছুতো লেজেগোবড়ে করে ফেলছি...

ধন্যবাদ গারোপাহাড় ....

৮| ১৬ ই মে, ২০১৭ বিকাল ৩:৩৯

জেন রসি বলেছেন: আমি নিজেও কিছু ব্যাপারে সামাজিক ভাবে অভদ্র। :P মানে সবসময় কড়া কড়া নিয়ম মানতে ইচ্ছা করেনা! ;)

১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সোহানী বলেছেন: কোথাও আমার হারিয়ে যাবার নেই মানা........... কড়া কড়া নিয়ম মানতে হবে কেন সহজ নিয়ম মানেন.....

৯| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪৬

শাহরিয়ার কবীর বলেছেন:
পড়ে শুধুমাত্র হাজিরা দিয়ে চলে গেলাম । কিছু বলার ক্ষমতা নেই, কারণ সেই পরিমাণ জ্ঞানও আমার নেই, জীবন যেখানে যেমন...... জ্ঞানী লোকে সুখে ও শান্তিতে থাকার পথ যানে এবং তার দায়িত্ব তা জানানোর, কেউ শুনুক আর না শুনুক। আজকাল সমস্যার কথা বলার লোকের অভাব নেই কিন্তু সমাধানের পথ কেউ দেখাবেনা । এখানে কি বুঝলেন !

সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন,
ধন্যবাদ
ভালো থাকুন।

১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: কি করুম কবীর ভাই অনেকের মতো আমিও কথা বলার লোক... সমাধান নাই। ওটা দিবে জ্ঞানী লোক।.............

ভালোথাকেন কবীর ভাই।

১০| ১৬ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৪

ফরিদ আহমদ চৌধুরী বলেছেন: অনেক ভাল লিখেছেন।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:০৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ফরিদ ভাই।

১১| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,



চটকদার প্রতিমন্তব্যের আয়নায় আপনার উচ্ছল মুখখানিই ( মনখানি ও) দেখলুম । হররোজ এমনিই থাকুন প্রানরসে ভরপুর , হাসিতে উচ্ছল ।

বেশী চিন্তা হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর তাদের জন্যেই যাদের হৃদযন্ত্রের কলকব্জা দূর্বল । যাদের হৃদযন্ত্র শক্তপোক্ত, বেশী চিন্তায় তাদের করোনারীর রক্ত সঞ্চালন বেশী হয় । আর বেশী রক্ত সঞ্চালন মানেই হৃদযন্ত্রের মাংশপেশীতে বেশী বেশী অক্সিজেন চলে আসা । অক্সিজেন কি করে জানেন তো ? ;) :|

শুভেচ্ছান্তে ।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:১৯

সোহানী বলেছেন: গ্লাসের অর্ধেক পানি বাকিটুকু খালি, আমি কিন্তু শুধু অর্ধেক পানিটুকু দেখি সাথে খুবই প্রয়োজনীয় বাতাস দেখি বাকি অংশে। পজিটিভলি দেখলে সব কিছুরই সমাধান পাওয়া যায়, আমি সবসময় এই নীতিতে বিশ্বাসী।.... জীবনে আর কয়টা দিন বাচঁবো বলুন, এতো খোচাঁখুচি, এতো চিন্তা করে লাভ কি...... যতটুকু আছে তাই প্রানভরে নেয়াটাইতো বুদ্ধিমানের কাজ (এগুলো আমার বাবার বক্তব্য) ।

যাদের হৃদযন্ত্র শক্তপোক্ত তাদের জন্য সবকিছুই ঠিক... কিন্তু যা দিনকাল পড়েছে কতকাল আর হৃদযন্ত্র চাপ সইবে। তারউপর ভালোবাসা নামক গবেষনাপত্র পড়ে মনে হলো হৃদযন্ত্র এর উপর চাপতো দেখি বহুমুখী.......!!!!!!!!!

অনেক অনেক ভালো থাকেন।

১২| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫২

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: খাবারের ধরণের কথাটায় মনে পড়ে গেলো 3 Idiots-এর একটি সিনের কথা। সেই যে সাইলেন্সারের বড় মেয়ের বিয়েতে তিন বন্ধু প্লেইট ভর্তি করে খাবার নিয়েছিলো!

আর বিদেশে, শর্ট কাপড় পড়া মেয়েদের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকার কথাটাও ভুলে যাবার নয়। আমার মনে হয়, দক্ষিণ এশিয়ার লোকদেরই তেমন করতে দেখেছি বেশি।

তবে, যে দেশে যে কালচার। পার্থক্য আছে পরিবারের মুল্যবোধেরও।

বিদেশে প্রথম গিয়ে অবাক হয়েছিলাম, যখন দেখেছিলাম বাবা-ছেলেকে একসাথে বসে মদ্যপান করছে। আমাদের দেশে এটা কল্পনাও করা যায় না।

কর্পোরেট বেনিয়াদেরই কি শুধু দোষ! আমাদের নিজেদের কি নিজস্বতা বলে কিছু নেই?

আর, ছবি বিকৃত করা বা অস্বাভাবিক ভাবে নুডুলস খাওয়াটা বিক্রিত মস্তিষ্কের মানুষের কাজ। তাদের সাথে অন্যদের তুলনা চলে না।

তাই, দ্বিমত পোষণ করছি আপনার পোস্টের সাথে। সেই সঙ্গে ঐ মহিলার সাথে যিনি ঐ প্যাসেঞ্জারের পায়ের উপর বসে গিয়েছিলেন। এটাও ভব্যতার বিরোধী ছিলো।


১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২১

সোহানী বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান ভাইজান, আমার পোস্টের সাথে দ্বিমত পোষণ করা খুবই স্বাভাবিক কারন আমি বাইবেল লিখি নাই..... আমার যা মনে হয়েছে তাই লিখেছি।

ভালো থাকেন আর ধৈর্য্য ধরে পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

১৩| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: রথী মহারথীদের সাথে নিজের নাম দেখে আনন্দিত!!!
অনেক শুভ কামনা জানবেন সোহানী।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২২

সোহানী বলেছেন: আরে আপনি ও যে একজন মহারথীদের সেটা কেন ভুলে যাচ্ছেন।

ভালো থাকেন লিটন ভাই।

১৪| ১৬ ই মে, ২০১৭ রাত ১০:৪৬

কোলড বলেছেন: A shallow article. You should have included more!

Its not okay to pick your nose in public. I've seen some Bangladeshis trying to remove food from gum/teeth after a heavy lunch/dinner or licking fingers at the end.

Lastly, please teach your compatriots to ask for check NOT bill in restaurant and it is polite to order even a small appetizer before the main course.

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:২৫

সোহানী বলেছেন: কোলড ভাই, অন্যের ব্যাপারে নাক গলানো আমার মনে হয় ব্যাক্তি নিজস্ব পছন্দ এতে জাতির কিছু আসে যায় না কিন্তু যখন দেশের মান-সন্মানের প্রশ্ন তখন অনেক কিছুই ভাবতে হয়।

ভালো থাকেন।

১৫| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১২:২৯

সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমি কুয়েত প্রবাসী।। উল্লেখিত অনেক কিছুই আমাদের প্রবাসীদের মাঝে দেখা যায় না।। কিছু কিছু কুয়েতীর মাঝেও অনুপস্থিত।। তবে এদের বর্তমান জেনারেশনটা দারুন ভাবে সবদিক দিয়েই পাশ্চাত্য দীক্ষায় দীক্ষিত।।
এখানকার বাঙ্গালীদের ব্যাপারে শুধু একটাই বলার আছে,তোমরা নিজেের নিয়ে যা ইচ্ছে করো, শুধু দোহাই লাগে পুরো জতের বদনাম করো না।।
অফিসে/বাসে দেখি খাওয়া,বসা, ফোন সবটাতেই (আপনার লেখার মত) আমরা এগিয়ে।। আমাদের চেয়েও অভদ্র আছে।। কিন্তু পরের দিকে না তাকিয়ে আগে নিজেকেই দেখি না, ভল করে।।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩০

সোহানী বলেছেন: যেহেতু আপনি কুয়েতে থাকেন সেখানকার বাঙ্গালী কালচার আমার চিন্তার সাথে না ও মিলতে পারে। আর আমাদের থেকে ও অভদ্র আছে যেমন কিছু কালোরা কিন্তু তাই বলে তারা আমাদের উদাহরন হতে পারে না কিছুতেই। আবার ধরেন, ভারতীয়রা, নিজেদের মধ্যে অনেক কিছুই করে কিন্তু যখনই পাবলিকলি অন্য জাতীর সাথে আসে তখনই একসাথ হয়ে বাকিদেরকে কর্নার করে।

যাইহোক আমার একান্ত নিজস্ব চিন্তা ভাবনা লিখলাম।

ভালোথাকেন।

১৬| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:০২

ধ্রুবক আলো বলেছেন: আপনার প্রত্যেকটা কথার প্লাসের সহিত সমর্থন করি। দারুন বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ধন্যবাদ।

শুভ কামনা জানাই, ব্লগে সাথে আছি সবসময়।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩১

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ধ্রুবক আলো সবসময় সাথে থাকার জন্য।

১৭| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ১:১৬

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর বিষয় উপস্থাপন করেছেন যা একটি পিছেয়ে যাওয়া জাতির জন্য অনেক জরুরী টিপস।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৩২

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সুজন ধৈর্য্য নিয়ে পড়ার জন্য ও সাথে থাকার জন্য।

১৮| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৪৫

আমি একলা পথিক বলেছেন: যেমন সুন্দর করে লিখেছেন তেমন সুন্দর ছবি নির্বাচন করেছে, অনেক সুন্দর উপস্থাপনা খুব ভাল লাগল ।।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৪

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ একলা পথিক। আপনাদের উ্ৎসাহেই লিখি আর কি.........

১৯| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৩:৫৫

উম্মে সায়মা বলেছেন: কবে যে আমরা এসব ম্যানার শিখব! এমন কিছু এ্যাটিকেট পয়েন্ট আউট করে বিলবোর্ডের মত করে বিভিন্ন জায়গায় টাঙিয়ে রাখা দরকার। তাও যদি আমরা কিছু শিখতে পারি। খুব বাস্তবসম্মত একটি পোস্ট দিয়েছেন সোহানী আপু। ধন্যবাদ।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:১৮

সোহানী বলেছেন: নেক অনেক ধন্যবাদ উম্মে সায়মা। আসলে কি জানেন, আমার মতে সব শিক্ষার শুরুই পরিবার থেকে। তারপর কার সাথে চলছি বা বন্ধু-বান্ধব। কিন্তু কি বলবো বলেন, দেশে এখন বেসিক জিনিসই শেখায় না সেখানে এসব ছোট ছোট বিষয়তো অনেক দূরে কিন্তু দেশের গন্ডী পার হলেই কিন্তু এ ছোট বিষয় অনেক গুড়ুত্বপূর্ন হয়ে উঠে।

ভালো থাকুন সায়মা।

২০| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ১২:১৩

মানবী বলেছেন: অপরের সামনে চেয়ার/সোফায় পা তুলে বসার অসভ্যতা করে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ডোনাল্ড ট্রাম্পের একান্ত সহকারী কেলিয়ান কনওয়ে তীব্র সমালোচনার শিকার হয়েছিলো।

আজকাল বাংলাদেশীদের পার্টি মানেই দল বেঁধে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া। খুব অবাক লাগে দেখে! এতে কি লাভ হয়, কি মজা- বুঝতে অক্ষম আমি!

সুন্দর পোস্টের জন্য ধন্যবাদ সোহানী।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:২৭

সোহানী বলেছেন: ছবিটা ও নিউজটা পড়ে আমিও অনেকক্ষন হাসছিলাম। ট্রাম্পের এডমিনিস্ট্রেশানে এর চেয়ে বেশী আশা করি না।


আজকাল বাংলাদেশীদের পার্টি মানেই দল বেঁধে ছবি তুলে ফেসবুকে দেয়া। খুবই সত্য আপু, শুধু হোস্ট না, গেস্টদের ও প্রধান উদ্দেশ্য ছবি পোস্ট করা।

অনেক ধন্যবাদ ও ভালো থাকুন।

২১| ১৭ ই মে, ২০১৭ দুপুর ২:১৪

আখেনাটেন বলেছেন: পরিবারে নৈতিক শিক্ষার অভাবে এই অতি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি একটি বিষফোঁড়ার মতো হয়ে গেছে। টাকা কিংবা পদবী থাকলেই তো হবে না সভ্যতা-ভব্যতা এমন একটা বিষয় যা ঐ মানুষের চারপাশের পরিবেশ থেকে অনুশীলন বা অভিজ্ঞতার ফসল। এখন যার চারপাশে কদর্য মানুষের ছড়াছড়ি তার কাছ থেকে ঐ সব অাশা করা বৃথা।

এই ব্লগেই অনেক ভূষণ্ডির কাক জনপ্রিয় ব্লগারকে নোংরা ভাষায় মন্তব্য করতে দেখেছি। এরা আবার অনেকের কাছে নমস্য: । কে যেন বলেছিল ' যদি মানুষ চিনতে চাও তার সাথে ভ্রমণে যাও'।

১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: খুবই সত্য কথা। পরিবারে নৈতিক শিক্ষা ভীষন গুড়ুত্বপূর্ন বিষয়। কিন্তু কি হবে এসব বলে কারন দেশের মাথাওয়ালাদেরতো মাথা ব্যাথা নেই এসবের।

ভাইরে, মাঝে মাঝে মনে হয় এটা ব্লগ না আওয়ামী বিএনপির পলিটিকেল ময়দান। যে যত পারে অন্যের বিরুদ্ধে বলছে।

ভালো থাকেন।

২২| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৪৩

নীল-দর্পণ বলেছেন: খুব-ই সত্যি বলেছেন। আমাডের বান্ধবীদের মাঝেই দেখা যায় , কোথাও খেতে গিয়েছি একেক জনের হাতে ফোন। কেউ স্ট্যাটাস দিচ্ছি, কেউ চেক-ইন কেউ ছবি। একবার একটা ছবি তুলেছিল কেউ যেটায় দেখা যাচ্ছে প্রায় সবাই ফোন হাতে মনযোগ দিয়ে কিছু দেখছে !
ফ্রেন্ড সার্কেল, তার পর পরিবার, তারপর আত্নীয়-সমাজ (বদ)অভ্যাসটা হয়ে যায় ক্রমে ক্রমে।

১৮ ই মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৭

সোহানী বলেছেন: মোবাইল আর মোবাইল পিক এমনভাবে আমাদের রন্ধ্রে ঢুকে গেছে আমরা আসল দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ভার্চুয়াল দুনিয়া নিয়ে মেতে আছি। যেমন কোন পিকনিকে গেলাম দেখা গেল এতো সুন্দর ল্যান্ডস্কেপ দেখা বাদ দিয়ে কেউ গেইম খেলছে, কেউ ফেইসুকে পোস্ট দিচ্ছে বা কেউ সেলফি তুলে পোস্ট দিয়ে দিন পার করছে। কারো সাথে কথা বলা বা খেলায় মনোযোগ নেই। খুবই বিরক্তিকর।

যাহোক, এর থেকে বের হবার কোন উপায় আপতত দেখছি না। ভালো থাকেন নীল-দর্পণ।

২৩| ১৭ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৫৫

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ভাল একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ।
দেশে বিদেশে সর্ব ক্ষেত্রেই এটিকেট মেনে চলা খুবই জরুরী । আমরা অনেকেই নীজেদের আচরনে বুঝতেই পারিনাযে এটিকেটটা কি ভাবে ভাঙ্গা হচ্ছে । সাবধারন একটা সৌজন্যবোধের সাথেও এটিকেট ও ম্যানার জড়িয়ে আছে । বাস বা টেক্সি হতে নামার সময় চালককে ধন্যবাদ দিয়ে নেমে যাওয়ায় কালচার বা এটিকেট কি এখনো আমাদের সমাজে পুরাপুরি চালু হয়েছে ,কিংবা তারাহুরো করে কাওকে পাশ কাটিয়ে যাওয়ার সময় .মাফ করবেন. কিংবা 'এক্সকিউজ মি' জাতীয় কথা কি বলছি তাকে !

দেশে বিদেশে নানান সংস্কৃতির মানুষের জগাখিচুড়ি তার পরেও এমন কিছু এটিকেট আছে যা মেনে চলা বাধ্যতামুলক হলেও তা অনেক ক্ষেক্রেই মেনে চলা হয় না । কথা প্রসঙ্গে বলা যায় দেশে কিংবা বিদেশে হাসপাতাল সমুহে কিছু কিছু এটিকেট বিশেষ করে বিদেশে চিকিৎসার জন্য অপেক্ষায় থাকা রোগীরা কারও সঙ্গেই কথা বলে না। বেশির ভাগ রোগীকে একা আসতে দেখা যায়। রোগী সঙ্গে নিয়ে নিয়ে ঘুরবে, এত সময় তাদের কোথায়? একদিন এক বৃদ্ধকে দেখলাম নিজের হুইল চেয়ার নিজেই টেনে টেনে খুব কষ্ট করে নিয়ে চলছে তার সাহায্যে কেউ এগিয়ে আসছে না। বাংলাদেশি রোগ-সংস্কৃতি এই দিক দিয়ে ভালো। আমরা কিছু করতে পারি বা না পারি, উদ্বিগ্ন গলায়, অপরিচিত গলায় রোগীর সঙ্গে দুটা কথা বলি। এই সংস্কৃতি অবশ্যই এশিয়ান। সিঙ্গাপুরে মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে দেখেছি, রোগী দেখতে দুনিয়ার আত্মীয়স্বজন আসছে। রোগীর ঘরে সারাক্ষণ ক্যাওম্যাও শব্দ। অথচ পাশ্চাত্তে কঠিন নির্দেশাবলি রয়েছে যার মধ্যে আছে কারও কাছ থেকে ফুল বা ফুলের তোড়া গ্রহণ করা যাবে না। কারণ অনেক সময় শরীরের স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ-ক্ষমতা সর্বনিম্ন পর্যায়ে চলে যায় বলেই এই সতকর্তা। কারোর কাছাকাছি যাওয়া যাবে না, পাশে বসা যাবে না। সেই নিষেধাজ্ঞা বা এটিকেট কি আমরা মেনে চলি সব সময় । কী সর্বনাশ! আমি দেখি বাস ট্রেন ভুজন আর পোশাক আশাকের এটিকেট রেখে হসপিটালের কচকচানি শুরু করেছি। এও বাঙালি কালচার, সুযোগ পেয়ে কোনো বাঙালি প্রসঙ্গের বাইরে কপচাবে না, তা কি হয়। আমি আমার প্রগলভতার জন্য ক্ষমা চাচ্ছি।

তবে মানবিক গুনসমপন্ন যে সমস্ত এটিকেটে নিয়ম ভেঙ্গে করা হয় সেগুলি নিয়ে কেও কিছু বলেনা সেগুলি নীজের ইচ্ছের বাইরে চলে গেলেও মেনে নেয়া হয় । তবে তার বাইরে হলে কেও তা মানেনা । উল্লেখ্য যে কিছুকাল আগে পাশ্চাত্ত দেশীয় একটি ট্রেন স্টেষনের প্লাটফরম এরিয়ায় দুই যুবক যুবতি মোটামোটামুটি একটু অশালীনভাবে একে অপরে জড়িয়ে ধরে কিসিং জাতীয় কর্মে রত ছিল ,তখন সেখানে আপেক্ষমান সকলেই বিরক্ত হলেও কেও কিছু বলে নাই , কিন্ত যখন তারা কিছুক্ষন পরে ধুমপান শুরু করল ( উল্লেখ্য তখনো সেখানে পাবলিক প্লেসে ধুমপান নিষিদ্ধ হয় নাই, শুধু বলা ছিল ধুমপান স্বাস্থের জন্য ক্ষতিকর) তখনই কেবল অনেকেই তাদের প্রতি মুখ খুলল । তেমনি বাসে ট্রেনে মবাইলে কথা বলার মত বিরক্তিকর বিষয়ে এটিকেট বহির্ভুত কর্মকান্ডের জন্য শুধুমাত্র নিন্মস্বরে কথা বলুন কথামালাই যথেষ্ট নয় , এর সাথে শর্ত লাগাতে হবে উচ্চস্বরে কথা বলা নিষেধ, তাহলেই কেবল প্রতিরোধ আসবে , অন্যথায় এটা অনেকের মাঝে চলতেই থাকবে।

ট্রেন বাস ছাড়াও নিজের পরিবার আর বন্ধুবান্ধব দের নিয়ে আমাদের আরেকটি বলয়-পরিবার তৈরি হয়। সেখানে আমাদের কিছু দায়িত্ব ও সামাজিক এটিকেটতো রয়েছেই। এ ব্যাপারে সচেতন কিংবা অসচেতনভাবে দৈনন্দিন আমরা অনেক কাজেই তা প্রকাশ করি। পাবিবারিক ও সামাজিকতা মেনে চলা জরুরি। বন্ধু বান্ধব বা সহকর্মীরা বিব্রত হন এমন কিছু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ না করাও এটিকেটের মধ্যেই পরে, ধন্যবাদ এসব বিষয়ে সচেতনতামুলক মুল্যবান লেখাটির জন্য ।

শুভেচ্ছা রইল

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩১

সোহানী বলেছেন: আলী ভাই, এ বিষয়গুলো ও মাথায় আছে তা নিয়ে আসবো। পশ্চিমা দেশের বাচ্চাদেরই স্কুল থেকে ধন্যবাদ শব্দটা মারাত্বকভাবে ওদের মগজে ঢুকিয়ে দেয় কারন ওদের মতে যার যা প্রাপ্য তা তোমাকে দিতেই হবে, কৃতজ্ঞতা স্বীকার করতেই হবে। এতে করে ওরা বুঝে উঠার আগেই ধন্যবাদ, দু:খিত, এ্যাপোলজি ম্যানারসগুলো অভ্যেসে পরিনত হয়।

তবে দেশে কিংবা বিদেশে হাসপাতাল রোগীদের নিয়ে আমাদের অতি উদ্বিগ্নতা ব্যাক্তিগতভাবে আমার ভালোলাগে। জানি সেটা চিকিৎসার জন্য ক্ষতিকর কিন্তু রুমের বাইরে অপেক্ষমান আত্বীয়ের ভিড় বা উদ্বিগ্ন মুখ সেটা ভালোবাসারই বর্হিপ্রকাশ... ওটা আমাদের কালচারেরই অংশ। সারা জীবন যে আত্বীয় এর কোন খোজঁ নেইনি, আসুস্থ শুনলে তাকে দেখতে হাসপাতালে গেছি আপেল কমলা হাতে নিয়ে। এবং সুস্থ্য হবার পর সে হিসেব কষে কে কে আসলো আর কে কে আসলো না। কিন্তু পশ্চিমা বিশ্ব রোগীর ব্যাপারে কখনই ছাড়ে দেয় না আর সে কারনেই সবাই জানে বুঝে তাই রোগীর কাছে ভীড় করে না আবার প্রাইভেসী এখানে বিশাল ফ্যাক্টর।

তবে পাশ্চাত্য দেশের ট্রেন স্টেশনের উঠতি যুবক যুবতির এ ধরনের কর্ম সেটা ওদের কালচারের কালো দিক (আমার মতে কারন চারপাশ খোলা বা বিচ বা মিনি ফরেস্ট এখানে প্রতি মোড়ে মোড়ে কিন্তু সব ফেলে যখন ট্রেনে বা বাসে এ ধরনের কিছু দেখি খুবই বিরক্ত লাগে, মনে হয় আমাদের দেখানোর জন্য ওরা বিচ বা ফরেস্ট ছেড়ে এখানে এসেছে। ওরা ভালোবাসাবাসি পাবলিকলি সো করতে পছন্দ করে কারন সত্যিকারের প্রেম মনে হয় খুবই কম..... হাহাহাহা জী এস ভাই এর বিষয়)। তবে কেউ কিছু বলে না কারন ওই যে প্রাইভেসী এখানে বিশাল ফ্যাক্টর। যে যার ইচ্ছে করবে তুমি কেন তার পছনে্দর কোন বাধাঁ হবা না।

যাহোক... আমার কথা যা ইচ্ছে তাই করো শুধু মান-সন্মানটা একটু খেয়াল রেখো এই আর কি.................

অনেক অনেক ভালো থাকেন আলি ভাই.... আপনার পরবর্তী টপিক্স কি????

২৪| ১৮ ই মে, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯

বলাক০৪ বলেছেন: আমরা শুধু 'ভার্চুয়ালি হ্যাপি' :-<

১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৩২

সোহানী বলেছেন: বাসএবতো আর হ্যাপি না তাই আর কি 'ভার্চুয়ালি হ্যাপি' ।

২৫| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৮:৫৯

ডঃ এম এ আলী বলেছেন: ধন্যবাদ সুন্দর কথামালা মিশানো প্রতি উত্তরের জন্য ।
'ধন্যবাদ' নিয়ে আপনার পরবর্তী লেখাটি হবে
শুনে খুশী হলাম :) , এটা মনে হয় আমাদের
কালচারে ব্যপকহারে ব্যবহৃত হতে আরো
অনেক সময় লাগবে ।
আশা করি আপনার সুলিখিত সরল সহজ কাথায়
ও গল্পের উপমায় তা অনেকের মনেই গেথে যাবে :)

আমার পরবর্তী লেখা 'দির্ঘ নিরাবতা সাথে মৌনতা' :)
ফলে ব্লগে বিচরণ কিছুটা হয়ত যাবে কমে
একটি অনেক বড় লেখায় সময় দিতে হচ্ছে
বিষয় কর্মে জীবন জিবীকার কারণে ।

অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২২

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ আলী ভাই।

'দির্ঘ নিরাবতা সাথে মৌনতা'... মানে শীতকালীন (আসলে সামার) নিদ্রা???

কর্মে জীবন জীবিকার স্বার্থেইতো কিছু করা যায় না.... সারাক্ষনইতো পিছুটান।

ভালো থাকেন..........

২৬| ১৮ ই মে, ২০১৭ রাত ৯:৩৭

করুণাধারা বলেছেন: পথ চলার কি কোন এটিকেট আছে?

আজ ছয় কিলোমিটার পথ যেতে আমার লাগল দুই ঘন্টা! আমাদের সুন্দর রাজধানী ঢাকার শ্যামলী থেকে নিউমার্কেট যেতে - প্রধান সড়ক মিরপুর রোড ধরে যাচ্ছিলাম। এমন না যে রাস্তায় পানি জমা ছিল বা বড় কোন নির্মান কাজ চলছিল। রাস্তায় বাস, সিএনজি, কার রিক্সা, অয়েল ট্যান্কার, টেম্পু, পুলিশের গাড়ী, এম্বুলেন্স - সব মিলে এক জগাখিচুড়ী অবস্থা। এর মধ্যে অন্তহীন জনস্রোত রাস্তা পারাপার হচ্ছে যদিও এই রাস্তায় কিছুদূর পর পরই ওভার ব্রিজ আছে। যতবারই রাস্তার সিগনাল ছাড়ে, গাড়ী চলতে শুরু করে, দেখা যায় চলন্ত গাড়ীর মাঝে মাঝে কিছু মানুষ গাড়ী থামাবার জন্য হাত দেখিয়ে রাস্তা পার হচ্ছেন। এদের এই আচরনের জন্য আমি সময়মত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারলাম না।

তারপর ধরুন, মেয়রের এটিকেট। গদীতে বসলেই কি তার অধিকার জন্মায় পুরো ঢাকার সব রাস্তা মাসের পর মাস খুঁড়ে রেখে মানুষের কষ্ট বাড়াতে আর ধূলি খাওয়াতে?

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:২৯

সোহানী বলেছেন: আপুরে সেইজন্য আমি আপনি দায়ী না কিন্তু ভোগান্তি আমাদেরই....

যে মানুষ দেশে আছে তার ১০ ভাগের ১ ভাগ থাকলে ও বেশি... কিন্তু এ নিয়ে কি কারো মাথা ব্যাথা আছে। যে ই ক্ষমতায় আসে সে ই দৈাড়ায় নিজের ধান্দায়.. মেয়র বলেন আর এমপি বলেন........... আমাদের কথা কে ভাববে!!!!

দেশে এখন দরকার প্রথমেই জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রন... ম্যানারস অনেক পরের বিষয়। তা না হলে আগামী ২০-২৫ বছরে দেশ কোথায় যাবে বলতে পারেন!!!!!!!!!

২৭| ২০ শে মে, ২০১৭ দুপুর ১:৪৫

জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: আপু ফেইসবুক ছেড়ে ব্লগে নিয়মিত হবার চেষ্টা করছি। ব্লগের জ্ঞানী ব্লগারদের অনুভূতি, ভাবনা সত্যি খুব ভালো লাগে।

আপনার আলোচনাটি বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩০

সোহানী বলেছেন: অনেক :ধন্যবাদ জুনায়েদ.... ফেইসবুক একটা সাময়িক মোহ... ব্লগ অনেক অনেক ভালো সে দিক থেকে..........

২৮| ২০ শে মে, ২০১৭ রাত ৮:১২

আমি ইহতিব বলেছেন: আমাদের সামাজিক ভদ্রতা দেখে মাঝে মাঝে নিজের কাছেই লজ্জা লাগে আপু। সেদিন এলাকার পরিচিত এক পরিবারের বড় ছেলে মারা গেলো। দেখতে গেলাম। যিনি মারা গিয়েছেন উনার মা এখনো বেঁচে আছেন, কিন্তু বয়সের কারনে আর পায়ের সমস্যায় হাঁটা চলায় কষ্ট হয় উনার। তাই ছেলের মুখটি শেষবারের জন্য দেখাতে ছেলের লাশকে তিনতলার বাসায় উঠানো হল নিচ থেকে। সবাই হুমড়ি খেয়ে পড়লো লাশ দেখতে। উনার কাছের লোকজন কি দেখবে? আরো দু:খজনক ব্যপার ছিলো কেউ কেউ লাশের ছবি তুলছিল। পরে উনার পরিবারের একজন রাগ করে কিছু বলায় তারা নিবৃত হন। আজিব আমাদের সেন্স।

আমি কাজ করি বিডিজবস এর ট্রেনিং ডিপার্টমেন্টে। এখানে ট্রেনিং এর জন্য অনেক অনেক মানুষ আসে। কিছু মানুষ আছে যাদের টয়লেট ব্যবহার করার সেন্স দেখলে বমি আসে। মনে হয় ঢাকা শহরে থেকেও এরা যদি এটা না শিখে তবে আর কিভাবে শিখবে, কোথায় গেলে শিখবে। প্রচন্ড হতাশ হই এদের দেখলে।

গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়ে লেখার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

২১ শে মে, ২০১৭ সকাল ৯:৩৮

সোহানী বলেছেন: ইহতিব, আসলে চারপাশের এতো সমস্যা আমাদের এবং সরকারী বেসরকারী কোন পর্যায়েই আমাদের কোন সাহায্য-সহযোগিতা নেই। তাই নিজের সব সমস্যা নিজেকেই দেখতে হয়, সমাধান করতে হয়, যা অনেক অনেক কঠিন। যেমন আমার চাকরী নেই, আমি কিভাবে সন্তানদের খাওয়াবো, পড়াবো তা নিয়ে কেউই ভাববে না, শুধু আমাকেই ভাবতে হবে ও সমাধান করতে হবে। তাতে করে আমি মানসিকভাবে প্রচন্ড হতাশায় ভুগবো সাথে করে সহজ স্বাভাবিক জীবন চালাতে পারবো না। ঠিক একউ অবস্থা যদি পশ্চিমা দেশে হয় তারা সাথে সাথে সংসার চালানোর টাকা আপনাকে দিয়ে যাবে যতদিন পর্যন্ত আপনি চাকরী না পান.... সেখানে হতাশা বা অস্থিরতা আসবে না সয়সার নিয়ে। শুধু নিজের চাকরীর চিন্তা ছাড়া। তাহলে বলেন আমরা ম্যানারর্স কিভাবে শিখবো.... আর ওই সেলফি আর ফেইসবুক কালচারের ধাক্কায় যা ও একটু প্রাইভেসি আগে ছিল তা সবই শেষ। প্রাইভেসি বলে যে একটা বিষয় আছে তা মনে হয় আমরা পুরোপুরি ভুলে গেছি......

২৯| ২৫ শে মে, ২০১৭ রাত ১:০১

আমি তুমি আমরা বলেছেন: জানলুম

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আমি তুমি আমরা .... অনেকদিন পর মনে হয়!!!!!!!!

৩০| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:২৪

প্রামানিক বলেছেন: গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্টে অনেক গুনীলোকের নামের সাথে অধমের নামটি দেখে আনন্দিত হলাম। গুনের দিক দিয়ে ছন্দ ছাড়া আমি তাদের কাছাকাছি নই। তবে আপনি যাদের নাম পোষ্টে উল্যেখ করেছেন আমিও তাদের লেখার ভক্ত।

এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ বোন সোহানী।

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সোহানী বলেছেন: আরে প্রামানিক ভাই। আমার মতে আপনি এ কালেন সুকুমার রায়। অসাধারন আপনার ছন্দ। অনেক গুনীলোকের সাথে আপনি ও একজন এ ব্লগে। আমি আপনার লেখার কঠিন ভক্ত। শুধু সময়ের অভাবে সব পড়া হয় না বা পড়লে ও কমেন্ট করা হয় না।

ভালো থাকুন সবসময় এ গরমেও....।

৩১| ২৬ শে মে, ২০১৭ রাত ৯:৪৪

চানাচুর বলেছেন: ভাল লাগলো :)

২৯ শে মে, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৫৬

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ চানাচুর.......... (ঝাল না কি ঝাল ছাড়া??)

৩২| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৩৫

শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: ভাল বলেছেন

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:৫৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ইমন!!!

৩৩| ৩১ শে মে, ২০১৭ রাত ১:৫৪

কলিমুদ্দি দফাদার বলেছেন: বিদেশে বাঙালীদের আচরন অনেক নিম্ন মানের। অশিক্ষিত কেন অনেক শিক্ষিত মানুশের আচরন অসভ্য, বিদেশের মাটিতে খোলা জামা কাপড় পড়া মেয়ে দেখলে মাল বলার সভাব আমাদের গেল নাহ।

এছারা এয়ারপোর্ট কাথা বালিশ নিয়ে ও অনেক সুয়ে থাকতে দেখছি। তারপর বাঙলী রেস্টুরেন্ট গুলোতে তাদের ব্যবহার অনেক নিম্ম মানের। এইজন্য অনেক বিদেশি বাঙলী রেস্টুরেন্ট গুলোতে যায় নাহ, যেখানে কাস্টমার অভিযোগের কারনে অনেক রেস্টুরেন্ট বন্ধ হয়ে যেতে শুনেছি।

বাঙালী বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারের উচিত ৩ মাসের হিউম্যন ম্যানার কোর্স বাদ্ধতামূল কড়া। কর্মজীবিদের জন্য সবার আগে।

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০২

সোহানী বলেছেন: হাহাহা .....বাঙালী বিদেশে যাওয়ার আগে সরকারের উচিত ৩ মাসের হিউম্যন ম্যানার কোর্স বাদ্ধতামূল করা............

সত্যিই বিদেশি বাঙলী রেস্টুরেন্ট বা দোকানগুলোতে ও যাওয়া যায় না। কিন্তু কি বলবো বলেন সামাজিক অস্থিরতায়ই আমরা অস্থির এসব দিকে মনোযোগ দিব কখন!!!

৩৪| ৩১ শে মে, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪

নূরএমডিচৌধূরী বলেছেন: খুব সুন্দর কবিতা +++

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:০২

সোহানী বলেছেন: হায় আল্লাহ্ এইটা কবিতা কেমনে হইলো!!!!!!!!!!!!!!!

৩৫| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৯:২৪

শায়মা বলেছেন: আপুনি!

পোস্ট পড়ে পড়ে হাসছিলাম !!!!!!

এই হাপুস হুপুস গাপুস গুপুস খাওয়া তো চোখের সামনেই দেখতে পাচ্ছিলাম।

আর ছবি তোলা আই মিন সেলফি। বিয়ে বাড়ি , বার্থডে পার্টি এমনকি রাস্তা ঘাটে বাজারে!!!!!


অসহ্য!!!!!!!!

অনেকেই শুনে অবাক হলেও আমি নিজেও অবাক হই এই বিরক্তিকর সামাজিক পরিবর্তনে!!!!!!

বিয়ে বাড়িতে তো বউটাকে যে একটু শান্তি করে সাজুগুজু দেখবো বা তার বউ বউ চেহারাটাই দেখবো সেটাও তো দেখতে পারিনা সমানে দিয়ে লক্ষ্য লক্ষ্য ক্যামেরা আর ক্যামরাম্যানের সারি!!!!!!!!!!! কাছে গেলেই যেন দূর দূর ভাব প্লিজ একটু সরেন ছবি তুলি!!!!!!

আরে!!!!!!!!!!! B:-)

যাইহোক লেখাটা পড়ে অনেক হাসলামও!!!!!

অনেক অনেক ভালো থেকো সোহানীমনি!!!!!!!

সাথে আছি আরও আরও থাকবো তবে একটু দেরী হয়ে গেলো কিছু আউল ফাউল পাবলিক নুইসেন্স মানে ঐ লোকটার মত অন্যের সিটে বসে পা তুলে রাখার মত লোকজনের কারণে!

অনেক অনেক ভালো থেকো আপুনি!!!!!!!!!! :)

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১২

সোহানী বলেছেন: সেলফি, খাওয়া বা মোবাইলে কথাতে কোন আপত্তি নেই শুধু একটু ভদ্রতা বজায় রাখলেই হলো.. এই আর কি!!!

যাক আউলা ঝাউলা পোস্ট মাথা থেকে সরায়ে স্বাভাবিক পোস্টে আসছো সেটাই বড় কথা........

লিখার শেষের প্যারা মনে হয় খেয়াল করো নাই..... আবার দেখো.......

৩৬| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:১৩

জুন বলেছেন: আমার ঢাকা ত্যাগের একদিন পর আপনি এই পোষ্টটি দিয়েছিলেন । কিন্ত এত দিন ধরে নেট বিপর্যয়ের কারনে মন্তব্য করতে পারি নি বলে দুঃখিত সোহানী ।
আদব কায়দা ভদ্রতা নিয়ে যা লিখেছেন তার সাথে তীব্র সহমত পোষন করছি । বিলাত ও না আমেরিকাও, ঘরের পাশের থাইল্যান্ডে আমি থাকি । রাস্তা ঘাটে এত লোক , অফিস টাইমে স্কাই ট্রেন , মেট্রোতেও তেমনি ভীড় কিন্ত সমস্ত বগির লোকজন একেবারে নিশঃব্দ । আপনি ঠিকই বলেছেন মোবাইল তাদের হাতেও আছে তবে সমস্ত যোগাযোগ ম্যাসেজের মাধ্যমে করছে কাউকে বিরক্ত না করে । আর আমাদের দেশে কেউ কেউ এতজোরে চিৎকার করে কথা বলে যে শুধু আশ পাশই নয় মনে হয় যাকে ফোন করেছে সেও তার গলা শুনতে পাচ্ছে ।
আর খাবার আর ছবি তোলার ব্যাপারেও আপনার বর্ননা ১০০% সত্য । আমি এক জন্মদিন থেকে ফিরে এসেছিলাম শুধু কেকের সাথে তাদের অবিশ্রান্ত ছবি তোলার পালা দেখে ।
আপনার অপুর্ব লেখাটির উৎসর্গে আমার নাম দেখে কৃতজ্ঞতা জানাই :)
ভালো থাকুন আনন্দে আর হাসি খুশীতে থাকুন অনেক অনেক । অন্যের হাসি খুশীতে যেন আমরাও খুশী হই।
আমাদের যেন মনে না আসে "কি ব্যাপার এত হাসি খুশী যে" !!
অনেক অনেক ভালোলাগা রইলো প্রিয় ব্লগার সোহানী :)
+

০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৪৩

সোহানী বলেছেন: তাইতো বলি জুনাপু কই গেল!!!!!!!!

অপুরে কম দু:খে এসব লিখি না..... পুরো বাসে বা ট্রেনে কোন কথা শুনিনা যখনই কারো গলা শুনি তখনই বুঝতে পারি উহারা বাংলাদেশী বা ভারতীয়। গতকাল বাসে এক দেশী আপু দেশে কথা বলছিল .... দেশে কারে সাথে ঝগড়া করছিল, আমি সহ সকলে পুরো রাস্তা শুনতে শুনতে গেলাম। সে হয়তো ভাবছিল বাংলায় বলছি কেউ বুঝছে না ।

আর ওই ছবি তোলা... আল্লাহ, কত ছবি যে সবাই তুলতে পারে!!! আপনি জন্মদিন থেকে ফিরে এসেছেন আর আমি তামশা দেখি কোন চিপায় বসে.......

আপু, আপনি সত্যিই ইউনিক। ভ্রমণ কাহিনী নিয়ে আপনার মহাভারত লিখার সময় হয়েছে। দেখবেন এক সময় আপনার লিখা কোন পাঠ্য বইয়ে স্থান পাবে।

হাঁ মাঝে মাঝে মনে আসা ভালো... "কি ব্যাপার এত হাসি খুশী যে" :P :P :P :P

ভালো থাকুন আপু.........

৩৭| ০৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ১০:৩৫

শায়মা বলেছেন: খেয়াল করেছি তো!!!!!!!!

লাভ ইউ আপুনিমনি!!!!!!!!!! :)

বাট গত কয়েকদিন যাবৎ এক দল আমার উপরে চড়াও হয়েছে। প্রথমে গেলো ছবি চুরি! তারপর এখন আপুনিমনি ভাইয়ামনি ডাকা যাবেনা। সেটা নাকি যৌন উদ্দিপক সন্মোধন!!!!!!!! :( B:-)


বাপের জনমে মায়ের জনমে এমনকি ব্লগ জনমে এই কথা প্রথম শুনিলাম।


নেকি ন্যাকা, লুতুপুতু কুতুকুতু সেসবও না হয় ফানি ছিলো কিন্তু ভাইয়ানি আপুনিমনি যৌন উদ্দিপক তাহাদের জন্য এ কোন দেশি পারভার্টিসম!!!!!!!! :((

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৭

সোহানী বলেছেন: যাহোক তোমাকে দীর্ঘ উপদেশ মার্কা (বিনে পয়সায়) মন্তব্য লিখতে না লিখতেই দেখি সে ধরনের এক দীর্ঘ পোস্ট দিয়েছো। তাই আর বেশী লিখলাম না।

একটা কমন জোকস্... একমাত্র বাংলাদেশী ভাইবোনদের জন্য নরকে পাপীদের সেদ্ধ করার পাতিলে কোন দাড়োয়ান ফেরেস্তা নেই কেন!!! কারন কেউ ওই পাতিল থেকে উঠতে চাইলেই বাকিরা পা ধরে নামিয়ে দেয় তার উপর যদি কোন মেয়ে হয় তাহলে তো কথাই নাই সক্কলে মিলে টেনে নামায়।.... পরের অংশটুকু আমার বানানো.............

ভালো থাকো.....

৩৮| ০৯ ই জুন, ২০১৭ ভোর ৪:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


এটিকেট হলো একজন মানুষের সকল শিক্ষা ও সকল সাংস্কৃটিক মনের প্রতিফলন, একটু কঠিন ব্যাপার।

১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:২৮

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই বাট আমরাতো সব কিছুই বিলিয়ে বসে আছি তাই নয় কি!!!!!!!!!!!!

৩৯| ১৪ ই জুন, ২০১৭ রাত ১১:৩৫

শায়মা বলেছেন: হা হা ওকে আপুনি!


লাভ ইউ সো মাচ!!!!!!

১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:১৭

সোহানী বলেছেন: :`> :`>

৪০| ১৬ ই জুন, ২০১৭ রাত ১২:১৫

মুশি-১৯৯৪ বলেছেন:
সামাজিক ভদ্রতা প্রসঙ্গে মনে পড়ল।
সেদিন ইফতারির আগে কে যেন সাঈদীর বক্তৃতা ছেড়ে দিল। আমার মনে হঠাৎ প্রশ্ন জাগল তার এই জনপ্রিয়তার উৎসটা কি ? পরিশেষে এই সিদ্ধান্তে পৌছালাম- যে যৌন আবেদনমূলক ছায়াছবি মানুষ যে কারণে এনজয় করে, সাঈদীর বক্তৃতায় সেই উপাদান রয়েছে। তার একঘণ্টা বক্তৃতার মধ্যে অন্তত পনের মিনিট আমি যৌনতার কথা পেয়েছি। আর এসব ওয়াজ শোনার পর আমরা মনে করি পূণ্যের সঞ্চার হলো ।
সুতরাং আমি দেখলাম যে সাঈদীর জনপ্রিয়তা অস্বাভাবিক কিছু নয়, এবং থাকবে যতদিন না আমরা সামাজিক ভদ্রতা না শিখছি।

অসাধারন লিখেছেন শিশুশিক্ষাদায়ীনি সোহানী আপু....



১৮ ই জুন, ২০১৭ রাত ৮:২৫

সোহানী বলেছেন: আরে মুশি ভাই কই ছিলেন.........

ভাই সাঈদীরাতো এভাবেই সমাজে জনপ্রিয়তা খুজেঁ নিয়েছে। কারন ধর্ম আর যৌন আবেদনমূলক কথা বা কাজকর্মের মাধ্যমেই সহজে আধা বা অশিক্ষিত মানুষের মাঝে মেশা যায় ও জনপ্রিয়তা পাওয়া যায়।

আর সামাজিক ভদ্রতা অনেক পরের বিষয় আমাদের জন্য কারন বেসিক ভদ্রতাই এখনো আমরা অর্জন করতে পারি নাই। আসলে পার্থক্যগুলো খুব বেশী চোখে পড়ে যখন দেশের বাইরে থাকি।

অনেক অনেক ভালো থাকেন..........

৪১| ১৯ শে জুন, ২০১৭ রাত ৮:১১

মেঘনা পাড়ের ছেলে বলেছেন: মাত্রই একটা ফাইভস্টার হোটেলে একটা ইফতার পার্টি কাম গেট টুগেদার প্রোগ্রামে এটেন্ড করে গাড়ীতে বসে ভাবছিলাম পাবলিক ম্যানার্র্স এন্ড এটিকেট নিয়ে কিছু কথা শেয়ার করবো, আপনার পোস্টে ঢুকে মনে হলো সবগুলো কথাই আপনি বলে দিয়েছেন...

২১ শে জুন, ২০১৭ রাত ৯:১৯

সোহানী বলেছেন: সে আর বলতে রে ভাই..........

গত সপ্তাহে একটা এক্সাম ছিল। পরীক্ষায় দেখি টিচার যা পড়াইনি তাই দিয়ে রেখেছে... খুব মেজাজ খারাপ করে হলের চারপাশে তাকালাম। আশা কেউ যদি উচ্চবাচ্চ্য শুরু করে আমি ও যোগ দিব। কিন্তু একটা পোলাপান ও কোন কথা বলেনি। ভাবলাম সবাই সব পারে আমিই গাধা। পরীক্ষার পর পোলাপানগুলারে ধরলাম... ওরা কেমনে পারলো!! কিন্তু সবাই বললো কেউই পারেনি। কিন্তু কেউ কেন উচ্চবাচ্চ্য করেনি?? প্রশ্ন করতেই তারা বললো, প্রশ্ন করা টিচারের দায়িত্ব, আমাদের আরো সতর্ক হওয়া উচিত ছিল বা আরো ভালো পড়া উচিত ছিল। আমিতো মেজাজ খারাপ সহ তাজ্জব হলাম। মনে পড়ে একবার ঠিক একই ঘটনা ডিইউতে ঘটছিল। আমরা সকলে মোটামুটি মিছিল মিটিং করে একাকার.........

আমাদের আরো শিখতে হবে........

৪২| ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:০০

জাহিদ অনিক বলেছেন: পুরো পোষ্টটা পরে ভাবছিলাম কিছু একটা লিখব।


মন্তব্যের দিকে আসতে আসতে একটা মন্তব্যে আপনার প্রতি উত্তর দেখে কি লিখব বলে ভেবেছিলাম সেতা ভুলে গিছি B-)



লেখক বলেছেন: সত্যপথিক শাইয়্যান ভাইজান, আমার পোস্টের সাথে দ্বিমত পোষণ করা খুবই স্বাভাবিক কারন আমি বাইবেল লিখি নাই..


গোটা পোষ্টটা তো একই সাথে হাসালোই সাথে সাথে নিজেদের এমন জাতিগত দুর্দশার জন্য বেশ কিছুটা বিব্রতবোধও হচ্ছিল, তবে এই মন্তব্যটা সত্যি অনেক অনেক হাসালো ।


অনেক ধন্যবাদ সোহানী আপু।

২৮ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ রাত ৮:২২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা জাহিদ, অনেক পুরোনো পোস্ট খুজেঁ পড়ার জন্য ধন্যবাদ।

কি কমু কও পথে ঘাটে এভাবে জাতি ভাই-বোনেরা প্রেস্টিজ পাংচার করলে এর চেয়ে ভালো লিখা আসবে কোথা তেকে.... পুরোটুকুতো এখনো বলিনি, বললে তো আমারে ব্লগ থেইকাই খেদাইবা। এমনিতে আমার কোন পোস্ট নির্বাচিত পোস্টে যায় না, এর চাইতে বেশী লিখলে সামু আমারে জেনারেল পোস্টে ডিমোশোন দিবে :((

৪৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: :D

০৭ ই মে, ২০১৯ রাত ৮:৩০

সোহানী বলেছেন: B:-) B:-)

৪৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০১

খায়রুল আহসান বলেছেন: মানুষের মাঝে দেখা 'ম্যানার্স এন্ড এ্যাটিকেট' তথা পারিবারিক ও সামাজিক ভদ্রতা পরিবার ও সমাজেরই প্রতিফলন। আমাদের সমাজে দিনে দিনে এসব লোপ পাচ্ছে বলেই মনে হয়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৩৪

সোহানী বলেছেন: আসলে দেশের চিন্তা করলে বলতে হয় লোপ পাচ্ছে। কিন্তু দেশের বাইরের চিত্র কিন্তু ভিন্ন। এখানে বাচ্চা তেকে বুড়ো সবাই অনেক ভদ্র ও সহনশীল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.