নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
অফিস থেকে বাস ধরে ট্রেন স্টেশনে আসতেই শুনলাম মাইকে ঘোষনা চলছে, ভিক্টোরিয়া পার্ক স্টেশনে পার্সোনাল ইনজুরির কারনে এ ট্রেন উইডবাইন স্টেশনে এর পর আর যাবে না। সকল ট্রেন সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। এবং বিকল্প সাটল বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে যাত্রীরা নেমে পড়ুন।
কানাডার ট্রেন সিস্টেম অসাধারন। এটা আমি অনেক বারই শেয়ার করেছি। কখনই এক মিনেটের জন্য দেরী হয় না। অামি ঠিক ঘড়ির কাটা ধরে বাসা থেকে বের হই, বাস ধরি ট্রেন ধরি আবার ঠিক সময়ে বাসায় ফিরি। কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ অন্তত কয়েক মাস পর ই এ ধরনের ঘোষনা দেখি। প্রথম প্রথম পার্সোনাল ইনজুরির শুনে ভাবতাম স্টেশনে হয়তো কেউ অসুস্থ হয়ে গেছে। আর এখানে এতো বেশী সিকিউরিটি মেইনটেইন করে যে কেউ ট্রেন সার্ভিসে অসুস্থ হয়ে পড়লে সব ট্রেন বন্ধ করে ওই যাত্রীর সর্ব্বোচ ব্যবস্থার পরই আবার সব চালু করে। অনেকটা মশা মারতে কামান দাগানো অবস্থা। আমাদের দেশে পথে ঘাটে মরে পড়ে থাকলে ও কেউই তাকায় না অথচ এখানে... সামান্যতেই কঠিন ব্যবস্থা। এভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা ট্রেন বন্ধ থাকলে ও কেউই একটু অসন্তষ্ট প্রকাশ করে না, একটু ও বিরক্ত হয় না... কোন ধাক্কা ধাক্কি নেই, পকেট মার নেই...। আমার ব্যাগপ্যাকের চেইন খোলা ছিল, পিছন থেকে এক হ্যান্ডসাম এসে বললো এবং চেইন লাগালাম। এ এক ঘন্টায় ব্যাগে রাখা টাকা সহ পার্স বা নতুন কেনা মোবাইল কেউই ছুয়ে ও দেখলো না। একবার জেনেভায় এয়ারপোর্টে আমরা কয়েকজন নীচে ব্যাগ রেখে রেস্টুরেন্টে খাচ্ছিলাম। এবং কিছুক্ষন পরেই অামার বস নোটিশ করলো তার পায়ের কাছে রাখা ল্যাপটপ ব্যাগ উধাও......। হাজার হাজার লোক আমরা প্লাটফর্মে দাড়িঁয়ে আছি, একটা করে বাস আসলো আর আমরা লাইন ধরে এগিয়ে বাসে উঠে যাচ্ছি। আমার বাসায় পৈাছাতে শুধু ৪০ মিনিট বেশী লেগেছে, বাড়তি কোন টাকা না। কারন ওইসব বাস সম্পূর্ন ফ্রি।
যাই হোক যা বলছিলাম, পার্সোনাল ইনজুরির কথা। পরে জানলাম এসব পার্সোনাল ইনজুরি আসলে আত্মহত্যা। এখানে ট্রেনের নীচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা খুবই কমন ঘটনা। কিন্তু কখনই এধরনের কোন নিউজ পত্রিকায় আসে না বা ট্রেন কেন বন্ধ রয়েছে তার কারন ও বলে না। কারন কি?? কারন এরা মনে করে এ ধরনের নেগেটিভ নিউজ অন্যকে উৎসাহিত করে। আত্মহননকারীরা বা হতাশাগ্রস্থ ব্যাক্তি একজন আরেকজনকে খুজেঁ পাবে। তাই কোনভাবেই তা জানানো হয় না এ ধরনের নিউজ। প্রতিটি ট্রেন বাস স্টেশনে বিলবোর্ড থাকে, আত্মহত্যা সংক্রান্ত। ফ্রি কল, ফ্রি কাউন্সিলিং এমন কি সরাসরি কথা বলার জন্য টেলিফোন বুথ থাকে। স্কুল কলেজ প্রতিটি জায়গায় মেন্টাল হেল্থ ক্লাস নেয়। নীচের ছবি দেখেন, স্টেশনের হেল্প লাইনের......
কিন্তু কেন??? কেন তারা আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়???? খাওয়া পড়ার চিন্তা নেই, আমাদের মতো তেল আনতে নুন ফুরানো অবস্থা নেই, সরকারী বেসরকারী মাস্তান নেই, বাটপার নেই, অবাধ স্বাধীনতা.... চাইলেই পাল্টাও গার্ল ফ্রেন্ড বা বয় ফ্রেন্ড, বনিবনা হচ্ছে না সংসারে নোজা ডিভোর্স কারন অর্থনৈতিক টেনশান না থাকার কারনে মেয়েরা অন্তত মাটি কামড়ে স্বামীর মার-ধর খেয়ে পড়ে থাকে না, শশুড়-শাশুড়ি ননদ-দেবরের গুতা নেই, ইভ টিজিং নেই, পাড়া পড়শীর বাঁকা কথা নেই....... কোথাও কোন "নেই" নামক শব্দের এর বালাই নেই।
তাহলে কেন তাদের সুখে থাকতে ভুতে কিলায়। কেন তারা মরতে যায়??????? আমার মাঝে মাঝে তাদের আত্মহত্যার অবস্থা দেখে মনে হয় যেয়ে বলি, প্লিজ তোরা কয়টা দিন খরার সময় উত্তরবঙ্গে থেকে আয়। সারাদির মাঠে কাজ করবি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত... ক্ষেত নিড়ানো, ধান মাড়া, গরু চড়ানো তারপর পর এক মুঠো ভাত দিব। আর সে ভাত খাবার পর যে আনন্দ তা আগে ফিল করে আয়.... ছাগল কোথাকার।
হাঁ এর উত্তটা খুব সহজ, ওরা গবেষনা করে যেটা বের করছে তার থেকে আমরা ভালো জানি। ...... ফ্রি সেক্সের দেশ এটি। কে যে বাবা বা কে যে স্বামী তা অনেকেই জানে না। সম্পর্ক তৈরী হওয়ার মূল ভিত্তিই শারীরিক সম্পর্ক। একটি ছেলে বা একটি মেয়ে তার বয়:সন্ধি থেকে কতজনের সাথে ফিজিক্যাল রিলেশানে জড়িয়েছে তার ইয়াত্তা নেই। তারপর ঠক বাছতে গাঁ উজারের মতো একসময় দেখে বয়স অনেক এবং কাউকেই পাচ্ছে না জীবন সঙ্গী হিসেবে। তারপর শুরু হয় হতাশা। আর ফ্যামিলি বন্ডিং না থাকার কারনে কেউই এগিয়ে আসে না এ দু:সময়ে।
দ্বিতীয় কারন পরিবার না থাকা। শিশুদের মোটামুটি একটা বড় অংশই সিঙ্গেল মাদারের কাছে বড় হয়। বাবা নামক কেউ থাকলে ও তার সাথে মাসে বা বছরে দেখা হয়। মা একা সন্তানকে মানুষ করতে যেয়ে খুব একটা সময় দেয় না কারন তাকে নতুন বয়ফ্রেন্ড জোগাড় করতে ব্যাস্ত থাকতে হয়। একাকী বড় হওয়া শিশুটি দিনের পর দিন হতাশায় ভোগে। পরিবারের আদর ভালোবাসা কোনভাবেই কপালে জোটে না। যদিও বা কালে ভদ্রে নতুন বাবা পায় কিন্তু সে সৎ বাবা খুব রেয়ারই আপন হয়।
পার্সোনাল এক্সপেরিয়েন্স শেয়ার করি। আমাকে অফিসে পাবলিক ডিলিং করতে হয় প্রায়। একবার এক দম্পতি এলো ফুটফুটে দু'টো মেয়ে নিয়ে। ছোটটির বয়স এক বছর আর বড়টি আমার মেয়ের সমান ৬ বছর। যেহেতু প্রায় ক্লায়েন্ট বাচ্চা নিয়ে আসে এবং কাজের মাঝে পুচকাগুলা খুব ডিস্টার্ব করে বাবা-মাদের তাই অফিসে কিছু খেলনা ও কালার করার সরন্জাম থাকে। তো দুই পিচ্চি আসার পর আমি অফিসের লগো টয় দিলাম ছোটটারে। ছোট মানুষ কিউরিসিটি থাকবেই তাই বড়টা একটু দেখতে চাইলো খেলনাটা। অমনি বাবাটা মারাত্বক ধমক লাগালো কেন ছোটটার খেলনা ধরছে। একটু ভ্যাবাচেকা খেলাম অামি কারন কানাডায় বাচ্চাদেরকে কেউই ওপেন ধমক দেয় না। আরেকটা টয় এনে ওকে দিতেই বাবাটা খুব বিরক্ত হলো। বললো, তুমি খুব লোভী, তোমার এভাবে ছোটদের জিনিস লোভ করা ঠিক হয়নি। মেয়ে প্রায় কাঁদো কাঁদো চোখে মায়ের কাছে এলে আবারো ধমক খেল বাবার। এই ১০ মিনিটে বাচ্চাটির এ নাজেহাল দেখে একটু সন্দেহ হলো। পরে মেয়েটির নাম এন্ট্রি করতে যেয়ে বুঝলাম ওর মেয়ে না কারন এখানে বাচ্চাদের নামে সাধারনত বাবার নামের অংশ লাগায় যাতে সবাই বুঝতে পারে কার সন্তান।
আর তৃতীয় কারন মারাত্বক প্রাইভেসী। এখানে প্রাইভেসীকে এতো বেশী গুড়ুত্ব দেয়া হয় যে বাবা মা পর্যন্ত সন্তান না চাইলে তার ব্যাপারে ইন্টারফেয়ার করে না। প্রাইভেসী এ্যাক্ট মারাত্বক সেনসেটিভ। যার দরুন কেউ কাউকে ডিস্টার্ব করে না বা কোন কারনে ঘাটায় না যার কারনে এক সময়ে একাকী হয়ে পড়ে। নিজের সুখ দু:খ শেয়ার করার মতো কাউকেই কাছে পায় না। এ একাকিত্ব এক সময় হতাশায় রুপ নেয়।
আজ এ পর্যন্ত আর লিখতে ইচ্ছে করছে না...........
ভালো থাকেন সবাই ........ মেরি ক্রিসমাস এন্ড হ্যাপি নিউ ইয়ার।
আরো বেশি কিছু জানার কারো ইচ্ছে থাকলে কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট দেখতে পারেন। কানাডার অফিসিয়াল ওয়েবসাইট
সকল ছবির ক্রেডিট গুগুল মামার।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
সোহানী বলেছেন: হায় হায় শামচুল ভাই অামারতো রাত এখানে। ডিনার চাইতে পারেন....... তারপর নেন এক্কবোরে ভেসজ টি......
২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫০
জুন বলেছেন: আপনি একেবারে বাস্তব চিত্রটিই তুলে ধরেছেন সোহানী ।
একাকিত্ব আর পারিবারিক বন্ধন না থাকাই এদের হতাশা ও আত্ম্যহননের মুল কারন ।
+
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০০
সোহানী বলেছেন: হাঁ আপু, এরা ব্যাক্তিগক জীবনে যে কি পরিমান হ্তাশ তা না দেখলে বিস্বাশ করবেন না। আর সে কারনেইতো মূল জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার এতো কম।
এতো ভোরে সামুতে দেখে ভালোলাগছে আপনাকে........ অনেক ভালো থাকেন।
৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫২
মোহেবুল্লাহ অয়ন বলেছেন: কানাডার আত্মহত্যাপ্রবণ লোকদের এই দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে নিয়ে আসা উচিত এই দেশে। তাহলে ওরা এখানে কষ্ট করে জীবন যাপন করবে আর বুঝবে জীবনে বেচে থাকার গুরুত্ব কত। আর এই দেশের বিশাল সংখ্যক মানুষকে কানাডায় পাঠানো উচিত। ওখানে গিয়ে কাজ করে কানাডা আরোও উন্নত করে ফেলবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৩
সোহানী বলেছেন: পাঁচ নং প্যারা দেখেন, সে কথাই বলেছি।
আর তাইতো কানাডা সরকার এতো ইমিগ্রান্ট আনে..........
৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৫৯
শায়মা বলেছেন: যদিও লেখাটা পড়ে মন খারাপ হলো আপুনি।
তবুও ছবিতে হাতটা দেখে চমকে উঠেছিলাম!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
সোহানী বলেছেন: আরে এটা কি মন খারাপ করার লিখা???? না তো..... এটা খুব সাধারন একটা আলোচনা।
হাঁ আমিও প্রথমে ছবিটা দেখে চমকে উঠেছিলাম। তাইতো সিলেক্ট করলাম.............
৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৬
জুন বলেছেন: আজ খানিকটা সময় পেয়েছি তো তাই ব্লগ খুলে বসেছি সোহানী। এর পর আবার কখন সময় পাই নাকি খায়রুল আহসানের কবিতার মত উদাসী বাতাসে কখন টুপ করে ঝরে যাই কে বলতে পারে !
কানাডার মতই আমেরিকায় আমার পরিচিত একজন বাংলাদেশী পারিবারিক ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে ট্রেনের নীচে ঝাপিয়ে পরেছিল । তার ছোট ছোট চারটি ছেলে মেয়ের জন্য বড়ই দুঃখজনক ঘটনাটি।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৩
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য। একটি অপমৃত্যু একটি পরিবারকে পুরোপুরি ধ্বংস করে দেয়। আর তা যদি হয় আমাদের মতো ফ্যামিলি বন্ডিং থাকা পরিবারে... এখানে ও অনেক এ ধরনের ঘটনা ঘটে দেশী ভাই-বোনদের মাঝে। তাইতো আমার আরেকটি লিখায় তা উল্লেখ করেছি।
আমি খুব ভাগ্যবান পোস্ট করেই আপনাকে পেলাম। আরে উদাসী বাতাসে ঝড় পড়বেতো সদ্য প্রেমে পড়া যুবক যুবতী......... হাহাহাহহাহা
৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:০৮
শামচুল হক বলেছেন: বুঝলাম অর্থবিত্ত সবই আছে অবাধা মেলামেশার কারণে শান্তি নাই।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৪
সোহানী বলেছেন: শত্যিই শান্তি নাই তাদের............
৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৬
বেনামি মানুষ বলেছেন: কোথাও সুখ সম্পূর্ণরূপে নেই নাকি?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
সোহানী বলেছেন: সুখ আছে তবে গুটি কয়েক সুখ নামের অসুখে ভোগে............
৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
কালীদাস বলেছেন: যতদূর জানি এই সমস্যা জাপানে সবচেয়ে বেশি।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৫২
সোহানী বলেছেন: হাঁ কালীদাস ঠিক বলেছেন। কানাডায় লাখে ১০ জন আর জাপানে ১৯।
৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৮
প্রামানিক বলেছেন: হাতে সময় নাই তারপরেও এই লেখাটায় মন্তব্য করার জন্যই লগইন করলাম। আপনার কাহিনীটি পড়ে মনে হলো বাংলাদেশে আর্থিক কষ্টের মধ্যেও সুখ আছে কিন্ত কানাডায় আর্থিক কষ্ট নাই তারপরেও শান্তি নাই। কারণ সবাই স্বাধীনভাবে জীবন যাপন করায় একটা সময় কেউ কারো দিকে তাকায় না। তখন অনেকেই একাকী হয়ে যায় এবং নিজেকে অসহায় মনে করে এই অসহায়ত্ব থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। আসলে অবাধ স্বাধীনতাও ভালো না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:০৪
সোহানী বলেছেন: আমার লিখা স্বার্থক। আপনাকে লগ ইন করতে বাধ্য করেছে।
হাঁ আমার প্রায় লিখায় আমি এ প্রসঙ্গ আনি। অবাধ স্বাথীনতার নামে আমরা নিজেকে ধ্বংস করছি। পশ্চিমারা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝে পারিবারিক মূল্যবোধ তাই তারা সে দিকে ঝুঁকছে আর আমরা তাদের উচ্ছশৃংখলাতাকে আধুনিকতা ভেবে ফলো করছি।
আরো বেশী বিরক্ত লাগে ওরা প্রাইভেসীর নামে এতো বেশী ফরমাল যে প্রতি শব্দ বলার সময় ওরা চুলচেরা বিশ্লেষন করেই তবে কথা বলে। যাতে কারো কোন মনে আঘাত না লাগে। এমনি আজিব.......... কথা বলে ও শান্তি নাই ওদের সাথে। সময় পেলে ওদের সে কাহিনী লিখার ইচ্ছে অাছে। একবার এক বিলিয়ন পরিবারের বউ এর সাথে পরিচয় হয়েছিল। আমি ফরমালিটির ধার ধারিনা বলে এক সময় সে তার মন খুলে কথা বলা শুরু করে.......... খুব খারাপ লাগে ওদের অসহায় অবস্থা দেখে।
১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৩৯
বিদেশ পাগলা বলেছেন: পারিবারিক বন্ধনের অভাব ও অবাধ স্বাধীনতার কুফল হচ্ছে এগুলি । শত জৌলুস ও বাহ্যিক চাকচিক্য তাদের মানসিক প্রশান্তি দিতে পারে নাই । আপনার লিখাই তার বাস্তব প্রমাণ । কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে ঐ পশ্চিমারা বিভিন্নভাবে আমাদের দারিদ্রতাকে কটাক্ষ করে । নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলে নেক সুরতে ধোকা দিচ্ছে ও বিপথে পরিচালিত করছে ! গল্পের লেজকাটা শিয়ালের মতো কৌশলে তারা আমাদের বোকা বানাচ্ছে ও বিভ্রান্ত করছে । পরিবার প্রথা ধ্বংস করতে চাচ্ছে !
এ ধরনের বাস্তবমুখী ও সাহসী লিখা উপহার দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ--------আপুমনি
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৬
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য, পারিবারিক বন্ধনের অভাব ও অবাধ স্বাধীনতার কুফল হচ্ছে এগুলি। কিন্তু আমাদের তা বোঝার ক্ষমতা নেই। আমরা অন্ধের মতো শুধু লাফাই। চাকচিক্যটাই দেখি তার পিছনের অন।দকারটুকু দেখি না।
অনেক অনেক ধন্যবাদ বিদেশ পাগলা।
১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
সাইন বোর্ড বলেছেন: শিশুদের জন্য পারিবারিক বন্ধনটা খুব জরুরী, অাপনার লেখাটি পড়ে অনেক কিছু জানা গেল ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৮
সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক শিশুদের জন্য ওদের মনোযোগত তৈরীর জন্য পারিবারিক বন্ধনটা খুব জরুরী।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সাইন বোর্ড।
১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: তারপরও সুযোগ পেলে চলে যেতাম কানাড। দেশে বাস করা অনেক কঠিন। সেই দিক দিয়ে আপনি বিজয়ী।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:২৯
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা........ হয়তো তাই। দেশে বাস করা অনেক কঠিন অন্তত অনেক কিছু বিবেচনা করলে............
১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৮
আখেনাটেন বলেছেন: সারাদির মাঠে কাজ করবি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত... ক্ষেত নিড়ানো, ধান মাড়া, গরু চড়ানো তারপর পর এক মুঠো ভাত দিব। আর সে ভাত খাবার পর যে আনন্দ তা আগে ফিল করে আয়.... ছাগল কোথাকার। -- হা হা। বেশ বলেছেন। যদিও ওদিকের অবস্থা এখন আর ততটা নাজুক নেই, তথাপিও তাদের বাংলাদেশে এসে কামলা দিতে হলে এমনিতেই এই একাকিত্বের কারণে অাত্মহত্যার ভূত মাথা থেকে দূর হবে এটা নিশ্চিত।
সমাজ ব্যবস্থার এই পালাবদলের ঢেউ বাংলাদেশেও অাঁচ করা যাচ্ছে ইদানিং। বৃদ্ধাশ্রমের বাজার ঊর্ধ্বমূখী। সম্পদের অসম অবস্থান, একক পরিবার, বিবাহ বিচ্ছেদের হার কয়েকগুণ বেড়ে যাওয়াসহ নানারকম পশ্চিমা সংস্কৃতির অাগ্রাসন আমরাও ফেস করতে শুরু করেছি সুনামীর মতোই।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৩
সোহানী বলেছেন: যে পরিমান লোকসংখ্যা দেশে একা থাকার কি কোন উপায় আছে? আর একাকিত্ব এখানে বিলাশিতা.. দৈাড়ের ইপর থাকি আমরা।
সত্যিই তাই সমাজ ব্যবস্থার এই পালাবদলের ঢেউ বাংলাদেশেও অাঁচ করা যাচ্ছে। আর তাইতো অামি প্রায় লেখায় পশ্চিমা সমাজ ব্যবস্থার এ নেগেটিভ দিক তুলে ধরি।
এর পরের লিখায় একক পরিবার বা বিবাহ বিচ্ছেদ নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে।
অনেক ভালো থাকুন আখেনাটেন।
১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩২
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটা ঠিক যে মুহূর্তে জমে উঠেছিল, তখনই শেষ করে দিলেন। ওদের মন মানসিকতা ও সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে আরও জানতে ইচ্ছা করছিল। আশা করি, আগামীতে আপনার সাবলিল লেখনীতে সেসব জানতে পারবো।
ধন্যবাদ বোন সোহানী।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৫
সোহানী বলেছেন: ওওও সরি হেনা ভাই। আমার মারাত্বক বদঅভ্যাস কিছুক্ষন পরেই একটা লিখার আগ্রহ হারিয়ে নতুন লিখার দিকে ঝুকতে থাকি। যার দরুন আমার ড্রাফটের সংখ্যা শ'খানেক।
আবশ্যই আরো অনেক কিছু নিয়ে আসবো।
অনেক ভালো থাকেন।
১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৩৫
নতুন নকিব বলেছেন:
প্রাচুর্য মানুষকে শান্তি দিতে পারে না। জীবনোপকরনের সাথে সাথে স্রষ্টার দেয়া জীবনবিধানের সমন্বয় ঘটা দরকার। নৈতিক স্খলনই সমাজ-সংসারে সব অশান্তির মূল।
ভাল থাকুন, বিদেশ বিভূইয়ে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৭
সোহানী বলেছেন: নৈতিক স্খলনই সমাজ-সংসারে সব অশান্তির মূল। হাঁ ঠিক... কিন্তু কয়জন বুঝে তা।
অনেক ভালো থাকেন নকিব।
১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৯
শাহরিয়ার কবীর বলেছেন: জীবনের প্রতি যারা বিরক্ত তারা আসলে আত্মহত্যা বেশি করে।
(( আপনার বাড়ি কি উত্তরবঙ্গে? )
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৮
সোহানী বলেছেন: হাঁ তাই। জীবনের প্রতি যারা বিরক্ত তারা আসলে আত্মহত্যা বেশি করে।
হাহাহাহা না তার উল্টা দিকে।
১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৬
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খায়রান আপু আপনার পোস্টটির জন্য।
বিদেশে চিরতরে বসবাসের জন্য কারণ খুজতে আপনার এই পোস্টটিই যথেষ্ট!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৩৯
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জহির ভাই।
জাজাকাল্লাহু খায়রান মানে কি?
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:১৮
তারেক ফাহিম বলেছেন: তারা স্বাধীন বলেই হতাশ হয়ে এই পথ বেচে নেয় মনে হচ্ছে।
সে তুলনায় বাঙাল অনেক সুখে আছে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪১
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্যি।
আমরা সুখি কিনা বলতে পারবো না তবে একাকিত্ব আমাদের নেই তা বলতে পারেন।
১৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৪
মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: জাজাকাল্লাহু খায়রান আপু আপনার পোস্টটির জন্য।
বিদেশে চিরতরে না বসবাসের জন্য কারণ খুজতে আপনার এই পোস্টটিই যথেষ্ট!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪২
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জহির ভাই।
২০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:২৭
জাহাঙ্গীরএকা বলেছেন: আপনার লিখাটা অসাধারন হয়েছে।
দেশে আমরা আর্থিক অভাব অনটনের মাঝে থেকে, সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অন্তত রাতে বাসায় গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। পরিবারের সদস্যদের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারি।
ভাল থাকুন আপু। এ রকম সুন্দর লিখা পেতে অপেক্ষায় রইলাম।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৩
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্যিই জাহাঙ্গীরএকা ভাই।
সারা দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের পর অন্তত রাতে বাসায় গিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি। পরিবারের সদস্যদের সাথে মন খুলে কথা বলতে পারি। এখানে এটা প্রায় দূরহ।
২১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৩০
কুঁড়ের_বাদশা বলেছেন: কেউ যদি স্বেচ্চায় মরতে চায় তাকে বাধা দিয়ে লাভ? সে দেশের জনসংখ্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণ হবে !! প্রতিটি জীবন অনেক সুন্দর সে ধনী হোক, আর গরীর হোক। আত্মহত্যা নয়, প্রতিটি মানুষের হওয়া চাই স্বাভাবিক মৃত্য। আপনার এ মোটিভেশনাল পোষ্টটি জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানবেন। শুভ কামনা রইল।ভালো থাকুন।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৮
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা...... ঠিক ঠিক....... কেউ যদি স্বেচ্চায় মরতে চায় তাকে বাধা দিয়ে লাভ কি!!!!!!!!!
আত্মহত্যা নয়, প্রতিটি মানুষের হওয়া চাই স্বাভাবিক মৃত্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ। ভালো থাকুন কুঁড়ের_বাদশা।
২২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:৫৪
হারানোপ্রেম বলেছেন: বাংলাদেশেও হতাশাগ্রস্হ কম নাই। কিন্তু আত্মহত্যা করতে ভয় পায়। কানাডা সরকার কিছু এ রকম বাঙালি নিলে পারে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৫১
সোহানী বলেছেন: আমাদের আত্মহত্যার কারন সম্পূর্ন ভিন্ন। আমরা হতাশ হলেও পরিবার এগিয়ে আসে। বিদেশে প্রাইভেসীর কারনে কেইউ ইন্টাফেয়ার করে না।
২৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৩
মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেছেন:
সহব্লগার কালীদাস বলেছেন, জাপানি ওই সমস্যাটি বেশি। কোরিয়াতেও কম নেই। আপনি যেভাবে কারণ ব্যাখ্যা করলেন, তাতে কানাডাতেও কম থাকার কথা নয়। ভয় পাচ্ছি... এদেশেও ওই কারণগুলো এইডস-এর মতো ছড়াচ্ছে!
এদেরকে উত্তরবঙ্গে পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। আমি আপনার সাথে একমত
নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা... হ্যাপি নিউ ইয়ার!!!! ভালো থাকুন প্রবাসে...
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৫
সোহানী বলেছেন: সত্যিই মইনুল ভাই। এদেশেও ওই কারণগুলো এইডস-এর মতোই ছড়াচ্ছে! কারন বুঝে না বুঝে অন্ধের মতো পশ্চিমা কালচার ফলো করতে যেয়ে লেজে গোবরে করে ফেলেছি।
হাহাহাহাহাসত্যিই ্রদের উত্তরবঙ্গে কান ধরে পাঠানো উচিত।
অনেক ভালো থাকেন। হ্যাপি নিউ ইয়ার!!!
২৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৫
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: সো কল্ড আধুনিকতার নেতিবাচক দিক বেশি। ভালো লিখেছেন।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৮
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই সো কল্ড আধুনিকতার নেতিবাচক দিক বেশি। অনেক ধন্যবা্দ সেলিম ভাই।
২৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
অর্ধ চন্দ্র বলেছেন: সকল সময়েই প্রতিটি মানুষের জন্য,জীবনের শুরু ও শেষ দিন পর্যন্ত, স্বামী / স্ত্রীর বাহিরে এক বা একাধিক সত্যিকারের স্বার্থহীন প্রিয়তর বন্ধু থাকার প্রয়োজন!
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪২
সোহানী বলেছেন: হাঁ ঠিক। সবসময়ই একজন প্রয়োজন শেয়ার করার মতো। নতুবা দু:খগুলো জমতে জমতে পাহাড় হয়ে যাবে।
২৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: অনেক কিছু জানা হচ্ছে, লিখেছেনও বেশ গুছিয়ে।
আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: লেখাটা ঠিক যে মুহূর্তে জমে উঠেছিল, তখনই শেষ করে দিলেন। আমারও এমন মনে হয়েছে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৪
সোহানী বলেছেন: লিটন ভাই, আমার ধৈর্য্য খুব কম। কিছুক্ষন লিখার পরে আর ইচ্ছে করে না।
তারপর ও এ বিষয়গুলো কিন্তু আমার প্রায় লিখায় উঠে আসে। ভবিষ্যতে অাবারো লিখবো বিশেষ করে প্রাইভেসী নিয়ে। কারন এখানকার বাচ্চারা উচ্ছন্নে যায় এ প্রাইভেসীর ধোয়া তুলে।
অনেক অনেক ভালো থাকেন।
২৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৯:৪৫
সুমন কর বলেছেন: অনেক হতাশার কথা এবং আপনার অভিজ্ঞতা শুনলাম। ওসব দেশে এসব কোন ব্যাপারই না। যা হোক, ওদের একবার উত্তরবঙ্গে পাঠাবার ব্যবস্থা নেয়া হোক.........আর আমরা এ সুযোগে
বড়দিন আর ইংরেজী নতুন বছর পালন করে নেই।।
+।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৪৭
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা....... সত্যিই ওদের একবার উত্তরবঙ্গে পাঠাবার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
হ্যাপি নিউ ইয়ার সুমন ভাই।
২৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:১০
চাঁদগাজী বলেছেন:
পশ্চিমের বিবাহহীন সমাজ ব্যবস্হা এক হতাশ জেনারেশনের জন্ম দিচ্ছে, এরা এদের পুর্বসুরীদের থেকে কম বুদ্ধিমান হবে।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা গাজী ভাই, ঠিক বলেছেন। আর এ কারনেইতো আমাদের মতো লোকদের মাইগ্রেট করে এনে দেশ চালায়।
২৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: এজন্যই বিদেশীরা আমাদের দেশে এসে গ্রাম পছন্দ করে, পারিবারিক আবহ পছন্দ করে। এই মূল্যবোধ এখনো টিকিয়ে রেখেছে দক্ষিণ এশিয়ানরাই...
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৩
সোহানী বলেছেন: এ মূল্যবোধ এখনো আছে ঠিকই বাট অদূর ভবিষ্যতে থাকবে কিনা সন্দেহ।
৩০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৩২
কাছের-মানুষ বলেছেন: সঠিক তথ্য তুলে ধরেছেন। উন্নত বিশ্বে এই সমস্যা প্রকট ।
আমি মনে করি বাংলাদেশেও অনেকে চাকরি না পেয়ে, অভাবে, পারিবারিক সমস্যায়, ইভটিজিং এর শীকার
হয়ে অনেক মানুষ নিজেই নিজের ভবলীলা সাঙ্গ করেন! সমস্যা হল আমাদের এর কোন স্ট্যাটিসটিক্স নেই , থাকলে
সঠিক অবস্থা বুঝা যেত। উন্নত বিশ্বের সব কিছুর তথ্য আছে এবং এগুলোর উপর গবেষনা পরিচালনা করে বিদায় সঠিক তথ্য প্রকাশ পায়।
ধন্যবাদ পোষ্টের জন্য ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫৯
সোহানী বলেছেন: বাংলাদেশে অনেকে চাকরি না পেয়ে, অভাবে, পারিবারিক সমস্যার এর কারনে আত্মহত্যা করে। আর সত্যিই সঠিক কোন পরিসংখ্যান নেই। থাকলে তুলনা করা যেতো। ওদের সাথে আমাদের কারন সম্পূর্ন ভিন্ন।
অনেক ভালো থাকেন.............
৩১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার পোষ্টটি পরপর দুইবার পড়লাম।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: কেন রে ভাই... দুইবার কেন পড়লেন???? আমি কি বেশী কঠিন করে লিখেছি????
৩২| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:২৯
সচেতনহ্যাপী বলেছেন: আমরা হয়তো আধুনিক জীবনের অনেক কিছুই পাই না।। কিন্তু প্রকৃতির আর সবের মতই পেয়েছি, স্নেহ-মমতা এবং ভালবাসা।। হোক না তা, বড়দের কঠিন শাসনের মাঝে হলেও।।
ভেবে দেখুন স্নেহ-মমতা আর ভালবাসা সময়ে বিরক্তিকর হলেও কিন্তু এটাই আমাদের শেষ জীবনের চাওয়া।।
তাইতো অনেকে শেষ জীবনের নিশ্চয়তার জীবন ফেলেও চলে আসেন ফেলে যাওয়া পরিবেশে।।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:২৫
সোহানী বলেছেন: সাত্যই তাই। স্নেহ-মমতা এবং ভালবাসাহীন জীবন সত্যিই দূর্বিষহ।
প্রাইভেসী প্রাইভেসী করে তাদের জীবন ধ্বংস করলো। ভাই বোনদের সাথে মারামারি করে, বড়দের কানমলা বাবার ষাসনের মাঝে যে ভালোবাসা আছে এর মূল্য এরা কিভাবে বুঝবে।
অনেক ভালো লাগলো হ্যাপী ভাই মন্তব্যটি।
৩৩| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:১৩
ওমেরা বলেছেন: লিখাটা ইউরোপ, আমেরিকা, কানাডার বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি। তবে এদের মাঝেও আমাদের মতই উচ্চ শ্রেনী ও নিম্নশ্রেনী আছে । উচ্চশ্রেনীর পারিবারিক অবস্থা আমাদের মত না হলেও নিম্ন শ্রেনীর মত খারাপ না ।
ধন্যবাদ আপুনি সুন্দর লিখার জন্য ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৩৭
সোহানী বলেছেন: আসলে এটা উচ্চ শ্রেনী বা নিম্নশ্রেনী প্রসঙ্গ না। সব শেনীতেই হতাশা কম বেশী আছে। এটি পরিবারের উপর ডিপেন্ড করে........
অনেক ভালো থাকো ওমেরা।
৩৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৫২
মলাসইলমুইনা বলেছেন: ইন্ড্রাস্টিয়ালইজেশনের কুফল ! এর থেকেই এই ব্রোকেন ফ্যামিলি | ফ্যামিলির বন্ধনগুলো কমে যাচ্ছে ! আমরাও হয়তো এই কুফলগুলো টের পেতে শুরু করেছি মাত্র | এর থেকে আসলেই কোনো মুক্তি আছে নাকি কে জানে ? ভালো লাগলো আপনার লেখা |
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৪২
সোহানী বলেছেন: ব্রোকেন ফ্যামিলি বা ফ্যামিলির বন্ধন ক। এখনো সময় আছে চরম পরিনতির আগে সাবধান হবার।
ভালো থাকেন মলাসইলমুইনা ভাই।
৩৫| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫০
নীল-দর্পণ বলেছেন: ব্রোকন ফ্যামিলির ব্যাপারটা আমাদের দেশেও দেখা যাচ্ছ আস্তে আস্তে।
লেখাটা পড়ে সুযোগ সুবিধার কথা শুনে মনে হল আহারে আমরা কিসের মধ্যে বাস করি। ফ্যামিলি বন্ডিং, হতাশার কথা মনে হতে আবার ভাল লাগল। মনে হল ভাল-ই আছি আলহামদলিল্লাহ।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৯
সোহানী বলেছেন: আমরা অর্থনৈতিক দিক থেকে খারাপ আছি। ওই একটি কারনেই আমরা তলানীতে নতুবা আমরা অনেকভা্ই এগিয়ে।
সেই জন্যইতো ভয়। যেভাবে ব্রোকেন ফ্যামিলি বেড়ে চলছে তাতে সামনে সত্যিই কঠিন অন্ধকার..........
৩৬| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন: এক ঝলক দেখে সাথে করে নিয়ে গেলাম ।
পরে সময় করে আসব ।
শুভেচ্ছা রইল
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:২৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা..... অপেক্ষায় ছিলাম ও আছি।
৩৭| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৩
কামরুননাহার কলি বলেছেন: অনেক সুন্দর লেখেছেন আপ্পি।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কলি।
৩৮| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৩:৪৬
সামিয়া বলেছেন: দুঃখজনক ।।
ভালোমন্দ মিলায়ে সকলি।
সবখানে।।
২৪ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:৪১
সোহানী বলেছেন: মেনি থ্যাংস সামিয়া............
৩৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৩২
জাহিদ অনিক বলেছেন:
সচেতনতামূলক পোষ্ট।
আত্মহত্যা যারা করেছে তাদের সাথে যদি কথা বলা যেত খুব ভালো হত;
নিশ্চয়ই তারা মরে গিয়েও আরেকবার মরতে চায় বাচার জন্য।
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৪৭
সোহানী বলেছেন: জাহিদ ভাইজান, আত্মহত্যা যারা করেছে তাদের সাথে কথা বলা র জন্য সরকার প্রতি মোড়ে মোড়ে ফ্রি টেলিফোন বুথ ও সাথে লোকবল নিয়োগ করে রেখেছে। কিন্তু সমস্যা হলো এরা ভুলে ও ও পথ মারায় না। এখানে যারা মরতে চায় তাদেরকে ঠেকানো বেশ কঠিন কারন এরা বেশী বুঝদার.........
৪০| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ৩:২২
চাঁদগাজী বলেছেন:
লেখক বলেছেন, " হাহাহাহাহা গাজী ভাই, ঠিক বলেছেন। আর এ কারনেইতো আমাদের মতো লোকদের মাইগ্রেট করে এনে দেশ চালায়।"
-চীনা মিনারা এসে, এসব দেশকে নীচের দিকে নিয়ে যাচ্ছে
২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৯
সোহানী বলেছেন: না রে ভাই... চীনাদের ক্ষমতা দেখলে ভয় পাই। আমি আমি এখানকার প্রথম সারির ইউনিভার্সিটিতে পড়ি, সেখানের মনে হয় ৮০% চীনা, ১০% ভারতীয় বাকী ১০% সারা বিশ্ব। এখানকার ব্যবসার ৭০ ভাগই মনে হয় চীনাদের দখলে। ওরা যেভাবে ইনভেষ্ট করছে তা অবিশ্বাস্ব। কানাডার প্রধান মিউজিয়াম ROM। এর আধুনিকি করনের জন্য এক চীনা ব্যবসায়ী প্রায় কয়েক মিলিয়ন ডলার দান করেছে। এভাবে তারা সব দিকেই এগিয়ে। আমার অভিজ্ঞতায় চীনারা ভারতীয়দের থেকে হাজার গুনে ভালো। ওরা এতোটা হিংসুটে না অন্তত।
৪১| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:০৮
নাঈম জাহাঙ্গীর নয়ন বলেছেন: শুভ সকাল
ডায়েরি'তে ভালো লাগা থুইয়ে গেলাম।
অগ্রিম ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছা।
পুরনো কষ্টবোধ মুছে গিয়ে নতুন সুখের সূচনাকাল স্থায়ীত্ব পাক আগামীর সবগুলো দিনক্ষণ এই কামনা স্রষ্টায়।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:১৯
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নয়ন।
হাঁ সত্যিই তাই, পুরনো কষ্টবোধ মুছে গিয়ে নতুন সুখের সূচনাকাল স্থায়ীত্ব পাক আগামীর সবগুলো দিনক্ষণ এই কামনায়।
৪২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:৫৭
শাহানাজ সুলতানা অধরা বলেছেন: খুব মনোযোগ দিয়ে লেখাটা , মনে হলো যখনি জমে উঠেছে তখনি শেষ হয়েছে যেন শেষ হয়েও হইলো না শেষ।
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২০
সোহানী বলেছেন: ওই যে বললাম, একটু লিখার পর আগ্রহ হারিয়ে ফেলি। নতুন কোন বিষয় নিয়ে তখন লিখতে ভালো লাগে। তবে হাঁ এ বিষয়গুলো নিয়ে অবশ্যই আরো লিখবো।
অনেক ধন্যবাদ অধরা।
৪৩| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১০
আটলান্টিক বলেছেন: আচ্ছা আন্টি কানাডা তো বিশাল বড় একটা দেশ কিন্তু সেখানকার জনসংখ্যা এতো ভয়াবহ কম কেন???
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
সোহানী বলেছেন: এর উত্তর জানার জন্য আপনাকে ইতিহাস, সাইকোলজি, ভূগোল অনেকগুলো জ্ঞান অর্জন করে উত্তর খুঁতে হবে..... যেহেতু এগুলা আমার বিষয় নয় তাই উত্তর দিতে পারছি না।
৪৪| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:১৪
শুভ_ঢাকা বলেছেন: আমার নিজের পরিবারে সদস্য কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাসের কারণের কানাডার সম্পর্কের জানার আগ্রহ আমার বেশী। আপনার লেখায় সেই জানার কৌতূহল বেশ খানিকটা পূরণ হয়।
আজকের পর্বটা আমার কাছে বেশ ভাল লেগেছে। লেখিকা আপনাকে ধন্যবাদ।
সোহানী আপনাকেও মেরি ক্রিসমাস এন্ড হ্যাপি নিউ ইয়ার।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২২
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ শুভ। আসলেই আমি চেষ্টা করি কানাডার সম্পর্কে কিছুটা বাস্তবিক ধারনা দিতে।
অনেক ভালো থাকেন।
৪৫| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:২৫
কথাকথিকেথিকথন বলেছেন:
আমাদের দেশীয় পারিবারিক বন্ডিং এর সাথে ওই দেশের সামাজিক সুবিধাগুলো ট্যাগ করে দিলে কেমন হতো আমাদের দেশ ! ভাবতেই ভাল লাগছে ! অসাধারণ একটা সুখী দেশ হতো নিশ্চয় !!
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:২৩
সোহানী বলেছেন: সে আর বলতে!!!!!!!!!!!!!!! কিন্তু কি আর করা........................
৪৬| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:২৯
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমরা এদেশে ভাবি তারা কত সুখী!
সামাজিক বন্ধন দৃঢ় না হলে সত্যি সুখে থাকা অনেক কঠিন।
লেখাটি অনেক ভাল লেগেছে আপু।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪১
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ সোহেল। সত্যিই তাই সামাজিক বন্ধন বা একটি পরিবার অনেক দরকার .............
ভালো থাকুন নিরন্তর।
৪৭| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আসলে উন্নত দেশ হলে কি হবে!
নেই ধর্ম-কর্মের বালাই। নৈতিকতা নেই। ফ্রি সেক্সই সব সর্বনাশ ডেকে আনছে।
পারিবারিক বন্ধন না থাকলেতো নিঃসঙ্গ মানুষ একসময় আত্মহত্যা করবেই।
ভাল সাইট তুলে ধরেছেন। দেশের মানুষ সচেতন হোক।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
সোহানী বলেছেন: দেশের মানুষ সচেতন হবে কি না জানি না তবে এর পরিনতি মোটেও যে ভালো নয় তা আমরা বুঝে ও বুঝি না।
ভালো থাকুন মাইদুল।
৪৮| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১০:৪৫
কঙ্কাবতী রাজকন্যা বলেছেন: সকল জীবন সুন্দর হোক।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১১:৪৩
সোহানী বলেছেন: হাঁ তাই সকল জীবন সুন্দর হোক।
৪৯| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ১১:৫৫
স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা বলেছেন: সোহনী, ব্লগার নতুন নকিব এর 'একনজরে মহানবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবনপঞ্জী'- পর্ব-০২ পোষ্টে এক মন্তব্য করে এসেছি, আপনার হাতে সময় থাকলে মন্তব্যটা দেখার অনুরোধ রইল।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১০
সোহানী বলেছেন: ভাই স্বপ্নের_ফেরিওয়ালা, লেবু বেশী কচলালে তিতা হয় সেটা আপনার জানা আছে নিশ্চয়। আপনার সাথে ওমেরার কি হয়েছে সেটা আপনাদের ব্যাপার কিন্তু আপনি যেভাবে এটাকে ইস্যু তৈরী করে সবার দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেটা অনেকটা হাস্যকর পর্যায়ে পৈাছে গেছে। তারচেয়ে বরং কিছু লিখুন, আমরা নতুন কিছু জানি।
৫০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১২:০৫
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
বাস্তবতায় পরিপূর্ণ লেখাটির জন্য
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সোহানী আপু,
আত্মহনন প্রতিরোধে পারিবারীর ও ধর্মীয় অনুসাশন
মেনে চলা একান্ত কর্তব্য।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১২
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নূর ভাই।
আচ্ছা জাষ্ট কিউরিসিটি, আপনিই কি কোবিদ? একই ধরনের লিখা কোবিদ ভাইয়ের ব্লগে পড়তাম। এখন উনাকে পাই না। তাই জিঙ্গাসা।
৫১| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১০:০২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী ,
খুব দেরী করে এসে বুঝতে পেরেছি , আমার বলার মতো নতুন কিছু নেই । অনেকেই এই অযাচিত করুন মৃত্যুর কারন সম্পর্কে সঠিক কথাগুলোই বলে গেছেন । বলে গেছেন আপনিও বিশদ করে, ডায়েরীর পাতা থেকে ।
একাকীত্বের দহনে পুড়ে পুড়ে যারা আত্ম হননের পথ বেছে নেয়, লিখতে গিয়ে তাদের পরিসংখ্যান দেখে হয়তো আপনার মনে কষ্টের বিড়ম্বনা ভীড় করে আসায় হঠাৎ করেই লেখায় যতি টেনেছেন এই বলে - "... আর লিখতে ইচ্ছে করছেনা ..." ।
এটুকু আপনার কোমল মনের পরিচয় ।
মানুষ এক একটা বিচ্ছিন্ন দ্বীপের অধিবাসী , হাযারো মানুষের ভীড়েও সে একাকী । বিচ্ছিন্ন তারাদের মতো । কেউ তাকে সাজিয়ে তোলেন নিজের মনের ফুলবাগানের ফুলে । তিনি সবুজ পাতার মতো জীবনের রোদ শুষে নেন । যারা তা পারেন না , তারা খসে পড়েন তারাদের মতো অতল গহ্বরে । তাদের কাছে শুধু মৃত্যুকেই বড় বেশী আপন বলে মনে হয় ।
খুব সচেতনতার একটি পোস্ট । আপনার সাথে যে পাঠকও একাত্ম হয়েছেন , তার মননকে মনে গেঁথে রাখলুম ।
ভালো থাকুক এ পৃথিবী , বেঁচে বর্তে থাকুক সকল প্রাণ ।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: খুব দেরী মানে.......... আপনার জন্য অপেক্ষা করতে করতে শেষে ধৈর্য্য হারা হয়ে আপনার ব্লগে হানা দিলাম। উত্তর নিয়ে আসছি পরে কারন এ মূহুর্তে বাসায় ৭/৮ পিচ্চি, সাপ লুডু খেলছে। তাদের চিৎকারে কানে হেডফোন দিয়ে ও লাভ হচ্ছে না। একটু পর পর থামানোর চেষ্টা করে ব্যার্থ হচ্ছি। কারন আমার বাসার ঠিক উল্টো দিকে থাকে এক কানাডিয়ান নি:সন্তান দম্পতি। তারা একটু চিৎকার হলেই দরজায় টোকা দেয়..... বাচ্চাদের চেচাঁমেচি পছন্দ করে না। এখানেতো আবার আইন কানুন কড়া...... প্রাইভেসী এ্যক্ট...... পান থেকে চুন খসলেই ৯১১ এ কল দিয়ে পুলিশ ডাকে। তার থেকে দেশ কত ভালো........... চিৎকার করে বাড়ি মাথায় উঠালে ও কেউ কিছু বলে না।
৫২| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ ভোর ৬:৫৩
রোকসানা লেইস বলেছেন: লেখাটার শুরুটুক পরে সোহানীর শহর টাকে চিনে ফেললাম।
আত্মহত্যা কেন করে এর উত্তর তারাই দিতে পারে যারা করে।
আমার জানা মতে দুটো আশ্চর্য রকম সুসম্পর্কের পরিবারের ছেলে গত বছর এবং তার আগের বছর আত্মহত্যা করেছিল। একজন বাংলাদেশী পরিবারের সন্তান ছিল।
সেক্স, হতাসা ভালোবাসা, পারিবারিক একাকীত্ব সবার জন্য কারণ নয়।
৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৭:১৩
সোহানী বলেছেন: হাঁ সত্য। সেক্স, হতাসা ভালোবাসা, পারিবারিক একাকীত্ব সবার জন্য কারণ নয়। তবে মূল কারনগুলোর অন্যতম। এছাড়াও অনেক কারনতো আছেই। তবে বাংলাদেশীদের পারিবারির অশান্তিই মূল কারন।
তবে এটা সত্য যে পারিবারিক বন্ধন এ ধরনের দূর্ঘটনা থেকে অনেকটা রক্ষা করতে পারে। ভালোবাসা, স্নেহ, শেয়ারিং ই পারে যেকোন আত্বহত্যা ঠেকাতে।
অনেক ভালো থাকুন।
৫৩| ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:০১
আমি তুমি আমরা বলেছেন: অথচ আমরা ভাবি এরা কত সুখী। আজব।
১১ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই. কিন্তু বাস্তবতা অনেক কঠিন। ভালো থাকেন আমি তুমি আমরা সবসময়।
৫৪| ২৯ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১১:০৫
মনিরুল ইসলাম বাবু বলেছেন: কানাডা যাইতে মুঞ্চায়
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫২
সোহানী বলেছেন: চলে আসেন।
৫৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:০৬
বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: অর্থবিত্তের অভাব মানুষকে যতটা না জীবন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে প্রভাবকের ভুমিকা পালন করে, তার চাইতে হাজার গুণ বেশি প্রভাবক হল মানসিক সুখের অসচ্ছলতা। মানুষ সে যে দেশের/জাতির/ধর্মের হোক না কেন, সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। আমাদের মত দেশগুলোতে আর্থিক অভাব থাকলেও আমাদের মানসিকভাবে একে অপরের পাশে থাকার মতাদর্শে গড়া সমাজ ব্যবস্থা আছে। উন্নত দেশগুলো আর্থিক স্বচ্ছলতার জোয়ারে ভাসিয়েছে মানসিক প্রশান্তির সমাজ ব্যবস্থা।
০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৫৪
সোহানী বলেছেন: ঠিক বলেছো। পার্থকটা এখন খুব ভালো করে বুঝতে পারছি এখানে আসার পর। তুমি যখন এ লিখাটা পড়ছো তখনই আরেকটি সুইসাইডাল হেইস ঘটলো একই প্লাটফর্মে। বাসায় আসতে আসতে খুব মন খারাপ হলো। কেন এ ধরনের সম্ভাবনাময় তরুনরা এ মৃত্যু বেছে নেয়। খুব খুব খারাপ লাগে।...............
৫৬| ২৮ শে জানুয়ারি, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৪৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: "কোথাও কোন 'নেই' নামক শব্দের বালাই নেই" - আর বহুরূপী 'নেই' এর সাথেই আমাদের বসবাস!
একাকীত্ববোধ বা নিঃসঙ্গতা থেকে হতাশার সৃষ্টি হয়। হতাশা মানুষকে আত্মহননের দিকে ধাবিত করে, অথবা নেশাগ্রস্থ হবার পথ দেখায়। এজন্য পারিবারিক বন্ধন একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সোশাল রিলেশনস রক্ষা করে চললে হতাশার রাহু সহজে গ্রাস করতে পারে না।
৫ নং মন্তব্যে জুন আমার নামোল্লেখ করে আমার একটি কবিতার প্রসঙ্গ টেনেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ।
১৪ আর ৪১ নং মন্তব্যদুটো পড়ে এবং মন্তব্যকারীদ্বয়ের প্রোফাইল পিকচার দেখে মনটা ভারী হয়ে এলো! কতটা মনযোগ দিয়ে ওনারা পোস্ট পড়তেন এবং মন্তব্য করতেন! আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন ওনাদের উভয়ের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং তাদেরকে জান্নাত নসীব করুন!
৩১ শে জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৮:০৩
সোহানী বলেছেন: কানাডার স্কুল থেকে শুরু করে প্রতিটি জায়গায় প্রধান বিষয় মেন্টাল হেল্থ। ২৪ ঘন্টা হেল্পলাইন খোলা থাকে। ফ্রি ট্রিটমেন্ট, আর্থিক সাপোর্ট, সামাজিক সাপোর্ট সবই দেয়া হয়। যার কারনে অনেক অনেক ভালো অবস্থানে এখন। আর ঠিক বিপরিত আমাদের দেশে। মেন্টাল হেল্থ নিয়ে কোথাও তেমন কোন সাপোর্ট আছে বলে আমার জানা নেই।
আপনার কবিতাটি সত্যিই ভালো। বিশেষকরে আপনার ভাবনার সাথে খুব মিল খুজেঁ পাই আমি।
আল্লাহ রাব্বুল 'আ-লামীন ওনাদের উভয়ের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দিন এবং তাদেরকে জান্নাত নসীব করুন! ভালো থাকুক ওপারে উনারা।
©somewhere in net ltd.
১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০১৭ সকাল ৯:৪৬
শামচুল হক বলেছেন: সকাল বেলা প্রথম হইছি চা দেন।