নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আসেন একটু কঠিন বিষয় নিয়া আলাপ আলোচনা করি.....

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩০



বলেন তো, এই মূহুর্তে দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা কি? একটু ভেবে বলুনতো?

দূর্নীতি? বিচারহীনতা? দ্রব্যমূল্য? জনসংখ্যা? বেকারত্ব?

না হয়নি, উপরের কোনটাই দেশের বর্তমান সময়ের প্রধান সমস্যা নয় আমার মতে। তাহলে? হাঁ, এই মূহুর্তে দেশের প্রধান সমস্যা হলো সঠিক শিক্ষা। তার মানে কি?? কিভাবে? আসুন তাহলে জেনে নেই একটু!

একটি সন্তান জন্মানের পরপরই মুখের কথার প্রথম বোল ফুটতেই বাবা মায়ের টেনশান শুরু হয় স্কুলে নিয়ে। কোথায় পড়বে, কোন স্কুলে চান্স পাবে। তারপর স্কুলে ভর্তি নামক যাঁতাকলে তাকে ঢুকানো হয়। মুখে বোল ফোটার আগেই এ বি সি ডি শিখতে শুরু করে। ইংরেজী বাংলা ছড়ার মুখস্থ করা সহ, যোগ বিয়োগ গুণ ভাগ, ইতিহাস, ভুগোল, বিজ্ঞান, সাধারন জ্ঞান......... এমন কোন বিদ্যা নেই তাকে শেখানোর প্রতিযোগীতা শুরু করা হয় না। তারপর?

একটু আদটু হাটাচলা করে পিঠে বইয়ের বোঝা কাধেঁ নিয়ে স্কুলে ঢুকতে না ঢুকতেই ভর্তি করানো হয় কোচিং সেন্টার নামক টর্চার সেলে। বিশাল বিশাল অংক ইংরেজী বিজ্ঞান তাকে মুখস্থ করানো হয় দিনের পর দিন। খেলা কি জিনিস, শৈশব কি জিনিস, আনন্দ কি জিনিস শিশুটি জানে না।

এরপর? যদি ভাগ্যক্রমে কোন কাংখিত স্কুলে টিকে যায় তাহলে এক টর্চার সেল থেকে নতুন টর্চার সেলে ট্রান্সার হয়। আর যদি কোন স্কুলে না টিকে তাহলে কোন কোন বাব-মা দূর্নীতির আশ্রয় নেন ভর্তির করানোর জন্য। এ কোমলমতি শিশুটির মস্তিষ্কে প্রথম দূর্নীতির বিজটি বোপন হয়ে যায়। তারপর?

স্কুল নামক এ জেলখানায় শিশুটি দিন কাটায় যেখানে নাই কোন আনন্দ, নাই কোন ভালোলাগা, আর আছে কঠিন মুখের কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা। যারা নিজেদের পরিবার পরিবেশ নিয়ে অসহনীয় অবস্থায় নিরানন্দ জীবন কাটায়। তাই এই নিরানন্দ জীবন থেকে কোন আনন্দ শিশুদের সাথে ভাগ করতে পারে না। তাদের জীবনেই কোন আনন্দ নেই সেখানে অন্যের জীবনে আনন্দ দিবে কিভাবে?

আর এভাবে শিশুটি এরকম নিরানান্দ পরিবেশে বেড়ে উঠে যেখানে মায়া, মমতা, ভালোবাসা বলে কোন কিছুই বলতে গেলে নেই। আরো আছে, পরিবারে? না সেখানে ও কোন আনন্দ নেই। কারন শিশুকাল থেকেই সে দেখে আসছে এ কঠিন বাস্তবতায়। বাবা মা যদি সৎ হয় তাহলে সে অভাব অনটনের রুপ দেখে দেখে বড় হবে। আর বড় হয়ে দস্যু বনহুর বা রবিনহুড হয়ে সকলের সম্পদ কেড়ে নেবার কথা ভাববে। আদর্শ, ভালোবাসা, স্নেহ, ন্যায়, সৎ... এসব শিক্ষা সে খুব কমই পাবে।

আর বাবা মা যদি অসৎ তাহলে শিশুটি জানবে এটাই নিয়ম। অন্যের সম্পদ কেড়ে নেয়াই ন্যায় নীতি, সেটাই সত্য......... মানবতা বলে কোন শব্দ সে শিখবে না। ক্ষমতার অপব্যববহার, হিংস্রতা, দূর্নীতিই সে শিখবে।

আচ্ছা বলুনতো, স্কুলে কি এখন সে বিদ্যাসাগরের আদর্শলিপি শিক্ষা দেয়া হয়? সেই যে আমরা ছোটবেলায় পড়তাম, সদা সত্য কথা বলবে, মিথা বলা মহা পাপ, গুরুজনে করোনতি, সৎ চরিত্র মূল্যবান সম্পদ। ...... শুনিনি যে কোথাও তা শেখানো হয়।

এখন বলুন, একটি বাচ্চাকে আপনি কোন শিক্ষা দিবেন না, কোন আনন্দা দিবেন না, ন্যায়-অন্যায় শেখাবেন না তাহলে কি সে সব কিছু ইউটিউব ঘেটে আদর্শমালা শিখবে নাকি ইশ্বর তাকে অটো শেখাবে!!! "যা বাছা তুই সব শিখে যা...."।

না তা হবার নয়, কোনভাবেই হবার নয়। আর সে কারনেইতো আজকের তরুন সমাজ এতো হিংস্র হয়ে উঠেছে। তারা জানে না মানবতা কি? ন্যায় কি? তারা শুধু জানে, জীবনকে ভোগ করতে লাগবে টাকা আর টাকা আসতে হবে যেকোন উপায়ে। আর সে কারনেই নিজের বন্ধুকে মেরে ফেলতে তাদের একটুও হাত কাপেঁ না। রড দিয়ে পিটানোতে তারা আরো গর্ববোধ করে। কারন তাদের মধ্যে মনুষত্ব পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। তারা মানুষ নামের দানবে পরিনত হয়েছে। শুধু একটি জায়গায়ই নয়, সবখানেই এ চিত্র।

এখনো সময় আছে, আমাদের সন্তানদের বাচাঁতে হবে। ওরাই আমাদের ভবিষ্যত, দেশকে পরিচালনা করবে, দেশের অর্থনীতির ভীত গড়বে, ভবিষ্যত নোবেল বিজয়ী হবে...........ওরাই সব কিছু।

উন্নত দেশের সাথে কোনভাবেই তুলনা করতে চাই না, কিন্তু উদাহরনগুলো কিছুটা হলেও দরকার বোঝার জন্য। ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শিশুদেরকে কখনই কোন বই দেয়া হয় না। ওরা বাস্তব জীবন থেকে শিখে। ওদেরকে নিয়ে টিচার বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রকৃতি শেখায়, ট্রেনে বাসে চড়ে শহর ঘুরে বেড়ায় আর যেতে যেতে অংক শেখায়, ভুগোল শেখায়, বিজ্ঞান শেখায়। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করে মানবতা শেখায়। একটা পোকা ও মারতে দেয় না, একটা ফুল ও ছিঁড়তে দেয় না। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, সত্য বলা, অপরকে সন্মান করা............। এসব নীতির শিক্ষা দেয়া হয়। ওরা বলে আগে মনুষত্ব তৈরী করতে হবে তারপর বই এর পড়া এমনিতেই শিখবে।

আবারো বলি, আমি কোনভাবেই দেশের সাথে তুলনা করি না। সে সম্পদ আমাদের নেই। কিন্তু স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে মানুষ হবার সে মন্ত্রগুলো কেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে? কেন আমরা শিশুদের অমানুষ তৈরী পথে ঠেলে দিচ্ছি?

সকলে ভালো থাকুন। সত্যিকারের মানুষ হয়ে উঠুন।


পুরোনো একটা লিখা শেয়ার দিলাম।
একটি বিজ্ঞান বক্স, শিশু শিক্ষার সেতুবন্ধন- স্বদেশ এবং বিদেশ

ছবি: গুগল মামা।

মন্তব্য ৯৪ টি রেটিং +২৬/-০

মন্তব্য (৯৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪১

স্বপ্নবাজ সৌরভ বলেছেন:

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৫

সোহানী বলেছেন: সুপার লাইক.............

২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৪

মিথী_মারজান বলেছেন: খুব চমৎকার বিষয় নিয়ে বলেছেন আপু।
আমাদের শিক্ষাব্যবস্হা বাচ্চাদের বয়স উপযোগী হওয়াটা জরুরী।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৫৬

সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই মিথী.............

৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:০৫

তারেক ফাহিম বলেছেন: চমৎকার বিষয়,

সুখপাঠ্য।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ তারেক ভাই।

৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:২২

তরুন ছিল রংগিন বলেছেন: এখন আর বাবা মা আদর্শ লিপি শিখায় না । মোবাইল ফোন নামক যন্ত্রটি হাতে তুলে দেওয়া হয়, শিশুর কান্না থামানোর জন্য।
আয় আয় চাদ মামা বলে কেউ আর ঘুম পাড়ায় না, খোকন খোকন ডাক পাড়ি বলেও আর কেউ খাবার খাওয়ায় না।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৪

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো ভাই। অঅমরা দিন দিন যন্ত্র বানিয়ে ফেলছি শিশুদের। এর ফল এখন আমরা ভোগ করছি প্রতি পদে পদে।

৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৩১

হাসান মাহবুব বলেছেন: এই বিষয়টি অনুধাবন করা মানেই রাতারতি সমস্যার সমাধান না। এর জন্যে ৫০ বছরের মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। এভাবেই ক্ষয়ে যাওয়া জাতিরা রুখে দাঁড়ায়। আমাদের অত সময় কই!

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬

সোহানী বলেছেন: প্রিয় হাসান ভাই, বিষয়টি অনুধাবনই আমরা এখনো করতে পারিনি। মাস্টারপ্ল্যানতো বহু দূরের কথা।

একবার যদি অনুধাবন করতে পারি তখন ৫০ কেন ৫০০ বছর লাগুক, তারপরও একদিন আমরা মানুষ হবো, পশু নয়।

৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১১

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন:





দাবি না মানলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি শিক্ষার্থীদের

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।




০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৩

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো ভাই, ওরা শিক্ষককে সন্মান কি জিনিস জানে না।

ব্যাক্তিগত ঘটনা শেয়ার করি। আমি যখন ক্লাস টেনে পড়তাম তখন আমার বাংলা শিক্ষক একদিন ক্লাসে বলছিল আমি অমূক স্কুলে পড়াতাম। হঠাৎই মনে হলো আমার বাবাও সেই স্কুলে পড়তো। কি মনে করে বললাম স্যার আমার বাবাও ওই স্কুলের ছাত্র ছিল, নাম অমূক। সাথে সাথে আমার টিচার বললো, লম্বা করে এক মাথা কোকড়ানো চুল। ওর গ্রাম ওখানে, ওর বাবার নাম এই..., অসম্ভব মেধাবী ছাত্র.....। তারপর উনি সেদিনই আমাদের বাসায় চলে আসলেন উনার প্রিয় ছাত্রের সাথে দেখা করতে। সে যে এক অভূতপর্ব দুশ্য। দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছে।

৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৩

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: ‘দাবি না মানলে আন্দোলনে যাওয়ার হুমকি শিক্ষার্থীদের’

প্রকাশিত: ৬:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৫, ২০১৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি)-সহ সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষা চালুর দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিভিন্ন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীরা। দাবি না মানলে আন্দোলনে যাওয়ারও হুমকি দিয়েছেন তারা।


০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোহানী বলেছেন: সেটাইতো ভাই, সন্মান জিনিসটাই এখন দূর্লভ।

৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৩৬

এস বাসার বলেছেন: বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা একটা গলার ফাঁস। আমাদের সন্তানদেরকে আমরাই নষ্ট করছি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৫

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই, আমরাই তাদের নষ্ট করছি।

৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪০

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: সুন্দর লিখাটি একটি আদর্শ পুঞ্জিকা কিন্তু এই সরল বিশ্বাসটুকু প্রত্যেকটি পরিবারের অন্তরে জাগ্রত হতে হবে, সমাজ থেকে সরকার থেকে এই নিতী অনুসরণ করা ধরকার। তবেই একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ ধাবি করতে পারি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই সুজন ভাই। কিন্তু কেউইতো বুঝে না তাই তো সমাজের এ অবস্থা।

১০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৪৩

আর্কিওপটেরিক্স বলেছেন: দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পঁচে গেছে। কোচিং, প্রাইভেট ইত্যাদিতে স্কুলের ভূমিকা মুছে যাচ্ছে। অচিরেই ব্যবস্থা না নিলে চরম পরিনতি অপেক্ষা করছে !!

পোস্টে লাইক ও সহমত ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯

সোহানী বলেছেন: চরম অবনতি অলরেডি শুরু হয়ে গেছে আর্কু। আর এ কারনেইতো আবরাররা জীবন দেয়।

১১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

নতুন বলেছেন: একটু আগে দেখলাম অধ্যক্ষকে পুকুরে ফেলে দিয়েছে ছাত্র রা।

কলেজের অধ্যক্ষকে আসতে দেখলে আগে ছাত্ররা পারলে রাস্তা ছেড়ে দিতো এখন কিছু অমানুষ পুকুরে ধাক্কা মেরে ফেলে দিতে পারছে।

এইসব ছেলেদের পরিবার কি শিক্ষা দিয়েছে? তাদের বাবা মা কে জিঙ্গাসা করতে ইচ্ছা করছে।

এখনকার ছেলে মেয়েরা বিশ্বসাহিত্য পড়ছেনা, তারা ফেসবুকে জালাময়ী লেখা সেয়ার করছে। এদের মাঝে নিজেদের কোন ফিলোসফি তৌরি হবেনা।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৭

সোহানী বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা কি এখন আছে? আগে যৈাথ ফ্যামিলি ছিল, অেনেক কিছুই শিখতো দাদা-দাদী, চাচা-ফুফুর কাছ থেকে। এখন??? সময় পেলে গেইম নয় ফেইসবুক।............

আর ফেইসবুক ইউটিউব আমাদেরকে আরেকদফা ধ্বংস করছে।

১২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ২:১৪

নীল আকাশ বলেছেন: এই দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নমুনা-
রাজশাহী পলিটেকনিক অধ্যক্ষকে পুকুরে ডুবালো ছাত্রলীগ কর্মীরা(ভিডিও)
কি আশা করেন আপনি?

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৮

সোহানী বলেছেন: ভাই, কিছু অঅশা করি না কিন্তু এভাবেতো চলতে দেয়া যায় না। তাইতো দু:খে লিখি।

১৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:২৮

রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে সমস্যার শেষ নেই।
আমাদের দেশের আরেক নাম হওয়া উচিত সমস্যার দেশ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২৯

সোহানী বলেছেন: কিন্তু এভাবেতো চলতে দেয়া যায় না রাজিব ভাই। আমাদেরকেতো কিছু একটা করতে হবে।

১৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:০৮

সাইন বোর্ড বলেছেন: ভাল বিশ্লেষণ ।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৫| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২৫

মোস্তফা সোহেল বলেছেন: মানুষত্বের শিক্ষার দিকে এখন কোন মা-বাবারই খেয়াল নেই।
অথচ এটাই সবার আগে দরকার।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩০

সোহানী বলেছেন: সেটাই সোহেল ভাই, অথচ আমরা দিন দিন পশুত্বের দিকে চলে যাচ্ছি।

১৬| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৩৬

রাশিয়া বলেছেন: এসব বলে তো আর কোন লাভ নেই, আমার অবস্থান থেকে আমি কি করতে পারি - পারলে সেই ব্যাপারে একটু দিক নির্দেশনা দেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: অঅগে পরিবার থেকে শিক্ষা শুরু করতে হবে। শিশুদের শৈশব দিতে হবে, আদর, ভালোবাসা দিতে হবে..... পশু নয় মানুষ তৈরী করতে হবে। আজ ওদেরকে যেভাবে গড়ে তুলবেন, বড় হয়ে ওরা সেভাইবেই গড়ে উঠবে।..........

১৭| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪২

করুণাধারা বলেছেন: কিন্তু স্কুল পাঠ্যক্রম থেকে মানুষ হবার সে মন্ত্রগুলো কেন দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে??? কেন আমরা শিশুদের অমানুষ তৈরী পথে ঠেলে দিচ্ছি??????????

এই প্রশ্নের উত্তর আপনিই দিয়েছেন। অতি ছোট শিশুর পিঠে আমরা বইয়ের ভারী বোঝা চাপিয়ে দেই, ছোটবেলা থেকেই তাকে শেখাই লাথিয়ে, গুঁতিয়ে, খামচে যেভাবেই হোক বন্ধুদের চাইতে লেখাপড়ার এগিয়ে যেতে হবে। আমার মেয়ে যখন স্কুলে ভর্তি পরীক্ষা দেবে, তখন আমার পাশের বাসার মেয়েটিও (যে আমার মেয়ের বান্ধবী ছিল) ভর্তি পরীক্ষা দিতে যাচ্ছিল। একদিন ওদের বাসায় গিয়ে দেখি খাতা খুলে কিছু পড়ছে। আমি কিছু না ভেবেই বললাম, দেখি কি পড়ছ? অমনি মেয়েটা খাতা লুকিয়ে ফেলল। এই ঘটনাটা আমি এত বছর পরও ভুলতে পারছিনা। অমানুষ হবার প্রথম মন্ত্র আমরা মা বাবারাই সন্তানদের শেখাই...

আর আজকালকার পাঠ্য বইগুলো ভয়ংকর। এই বইগুলো পড়ে নাকি বাচ্চারা নৈতিকতা শিখবে!!! বাংলা প্রথম পত্র বইয়ে আমরা পড়তাম কত চমৎকার গল্প কবিতা, আজকালকার বাচ্চারা পড়ে প্রবন্ধ, "দুর্নীতি উন্নয়নের অন্তরায়, সড়ক দুর্ঘটনার কারণ ও প্রতিকার, জনসংখ্যা বিস্ফোরণ" ইত‍্যাদি... এরা কোন বিষয়ে নিজে নিজে একপাতা কিছু লিখতে পারে না।

অশিক্ষা/ কুশিক্ষা তৈরি করে অমানুষ, যার প্রমাণ প্রত্যক্ষ করছি এখন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৭

সোহানী বলেছেন: সত্যিই আপু, পরিবার থেকেইতো আসল শিক্ষা আসবে। কিন্তু পরিবার কি জানে কি পথে তারা তাদের সন্তানকে ঠেলে দিচ্ছে?? আসলে বেশীরভাগ বাবা-মাই তা বোঝে না। আর সেকারনেই স্বার্থপরতার পথে ঠেলে দেয় তাদের। সাথে যোগ রাষ্ট্রের ব্যার্থতা।

আর হাঁ, অশিক্ষা/ কুশিক্ষা তৈরি করে অমানুষ, যার প্রমাণ প্রত্যক্ষ করছি এখন।

১৮| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:০৬

বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: এটা চলমান সমাজ ব্যবস্থার বিষফল!
শিক্ষা, বোধ, চেতনায় সর্বত্র ভোগবাদী পূজিবাদী সমাজ তার কর্পোরেট মন্ত্রের বিষা ছোবল নিত্য হানছে!
নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন, যাপিত জীবন সর্বত্র এ বিষের নীল ছোঁয়া!

সাফল্যের, অর্থনৈতিক সংগায়নের ভুল ধারাই নীতি নৈতিকতার বাঁধ ভেঙ্গে ফেলেছে। শিক্ষার চেতনার মূল ফ্রেম বদলে ফেলেছে।
ভাল মানুষ নয় টাকা কামনোর মেশিন চাই। তার সফটওয়্যার ইন্ষ্টল করো! কোন স্কুলের সনদের মূল্য বেশী সেখানে দৌড়াও। নীতি অনীতি দূর্ণিতি যে কোন উপায়ে হোক -সনদ আমার চাইই... কারণ তার আছে অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা।

যেকোন উপায়ে টাকার মালিক হলেই হলো, বৈধ-অবৈধ দেখার নেই.. থাকলেই সমাজে পাওয়া যায় অবস্থান। পদ পদবি, ক্ষমতা... তাইতো বদি, সম্রাট, দরবেশ কাহনে আমাদের চোখ কপালে! অথচ সেই সো কলড সাফল্যের পেছনেই ছুটছে বেহুশ সকলে!
ভাল মানুষ, সৎ মানুষেরা যখন নিত্য অবহেলীত অপমানিত লাঞ্চিত হয়, তখন সেই জ্ঞান প্রজ্ঞা বিবেক আর সততার
প্রেমের কন্টক পথে কে হাটতে চায়?

আমাদের শিক্ষানুরাগী অভিভাবকরাও এই জগতের বাইরে নয়। নিজের জীবনের কষ্ট, অপূর্ণতা, আর প্রতিবেশির সচ্ছল জীবনের চোখ টাটানো ঝলক বদলে দেয় অজান্তেই। আর নিজেরাই অজান্তেই নিজের সুকুমার, সুন্দর শিক্ষার স্বপ্নগুলোকে হত্যা করতে খুব যে ভাল লাগে তা নয় কিন্তু। যাতনা যে তাকে ছুঁয়ে যায়না তাও নয়। কিন্তু সমাজিক বাস্তবতায় নিরুপায় কাঠিন্যে বাঁধা অসহায় পিতা-মাতা! তাই করে। শিক্ষার মূলনীতি ভুলে যায়। চলমান ধারাতেই সন্তানকে ঠেলে দেয় - নিরুপায়!

এ অচলাবস্থার অবসানে সবার আগে
সামাজিক জীবনের সুস্থতার বিকাশ চাই।
আর তার পেছনের মূল চলক হলো রাজনৈতিক সুস্থতা।
অবৈধ অর্থ পেশী শক্তি আর বাহুবলের রাজনীতির সমাপ্তি হয়ে শুভ সুন্দর আর জ্ঞান প্রজ্ঞা মেধার রাজনীতির জয় জয়কার না হলে এই আত্মঘাতি পথেই চলবে জাতি! ধ্বংস হবে প্রজন্মের পর প্রজন্ম! মেধাবীরা অবহেলিত অপমানিত হবে। তাই সেই আত্ম বিকাশের মানবতার, সুস্থ সুন্দর পথে হাটার আগ্রহ মানুষ আরো বেশী করে হারিয়ে ফেলবে।

শিক্ষা ব্যবস্থার বদলের আগে চাই অর্থনৈতিক দাসত্ব থেকে মুক্তি।
সামাজিক শ্রেনী বৈষম্যের সংস্কৃতি থেকে মুক্তি ।
রাজনৈতিক দুবৃত্তপনার কবল থেকে মুক্তি

ওয়েলফেয়ার ষ্টেট না হতে পারলেও অন্তত নূন্যতম মৌলিক অধিকার সমূহের নিশ্চয়তা পেলেও আমরা এই সূস্থ সভ্যতা বিনিমানের পথে অনেকটাই এগিয়ে যেতে পারবো বলে বিশ্বাস। কারণ যখন পিতা-মাতা দেখবে তার ছেলে/মেয়ের সুকুমার মেধার মূল্যায়ন আছে, সম্মান আছে, বেঁচে থাকার পেরেশানীহীণ জীবনের নিশ্চয়তা আছে - আশা করি কেউই সেই রেজাল্ট ভাল করার ইদুর দৌড়ে দৌড়াবে না। বইয়ের বোঝা ঘাড়ে তুলে দেবার বদলে সন্তানকে নিয়ে বেরিয়ে পড়বে তার সৃজনশীল মানসিক বিকাশের পথে। একজন সুস্থ সুন্দর সুকুমার মনের মানূষ বানাতেই উজার করে দেবে তাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা।

রাষ্ট্রের সাথে সাথে আমাদেরও এই বদলের কথা বলতে হবে। আওয়াজ তুলতে হবে।
বদলে দাও বদলে যাও। সবার আগে বিশ্বাসে। তারপর কর্মে বাস্তবায়নে। তবেই হয়তো পঞ্চাশ বা শত বর্ষ পরে
আমরা পাবো অনুস্মরনীয়, অনুকরনীয় ঋদ্ধ এক নতুন বাঙালী জাতি।

০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: অসাধারন লিখেছো বিগু। কিছু বলার ভাষা নেই। যাদের বোঝার তারা চোখ বুঝে আছে।

তোমার মন্তব্যটি পোস্ট আকারে চাই.........

১৯| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:৩৮

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: ক্লাশে ১৫০ জন ছাত্র , সবার রোল ১ হওয়া সম্ভব নয় । একথা অভিভাবকরা বুঝতে চান না । যে সব অভিভাবক একাডেমীক জীবনে পরীক্ষার খাতায় বেশির ভাগই গোল্লা পেয়েছেন , বা পেয়েছেন টেনে টুনে ৩৩ , তথাকথিত ভাল ছাত্র হতে না পারার লজ্জা তাঁদের কুরে কুরে খায় । তারা নিজেরা যা হতে পারেন নি সেই ব্যর্থতা পুষিয়ে নিতে চান তাদের ছেলে মেয়ের জীবনে । এঁরা রোল ১ আর জিপিএ ৫ ছাড়া অন্য কিছু বুঝেন না, এঁদের বিলাসী চাহিদার নিচে চাপা পড়ে পিষ্ট হচ্ছে শিশুদের জীবন ।
এ থেকে বেরিয়ে আসা আবশ্যক অন্যথায় পঙ্গুত্ব বরন করতে হবে জাতিকে।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৩৭

সোহানী বলেছেন: এটাই হচ্ছে আসল কথা....।

"যে সব অভিভাবক একাডেমীক জীবনে পরীক্ষার খাতায় বেশির ভাগই গোল্লা পেয়েছেন , বা পেয়েছেন টেনে টুনে ৩৩ , তথাকথিত ভাল ছাত্র হতে না পারার লজ্জা তাঁদের কুরে কুরে খায় । তারা নিজেরা যা হতে পারেন নি সেই ব্যর্থতা পুষিয়ে নিতে চান তাদের ছেলে মেয়ের জীবনে ।"

এর চাপে পিষ্ট হচ্ছে আমাদের কোমলতি শিশুরা। আপনার ফেইসবুকে পরীক্ষার প্রশ্নের সে নমুনা দেখে আমি ভয় পেয়েছি। সবাই মনে হয় পাগল হয়ে যাচ্ছে।

২০| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:১২

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




একটা কঠিন বিষয়ের সুন্দর বিশ্লেষণ করেছেন খোঁচাখুঁচি করে।

বিশ্লেষণগুলো আপনার কথাতেই দিলুম কারন একটি বোধহীন,ভয়ঙ্কর, হিংস্র জাতি তৈরী হতে ওগুলোর চেয়ে আর কোন সত্য অনুঘটক নেই -----
"একটু আদটু হাটাচলা করে পিঠে বইয়ের বোঝা কাধেঁ নিতে নিতেই তাকে ভর্তি করানো হয় কোচিং সেন্টার নামক টর্চার সেলে। বিশাল বিশাল অংক ইংরেজী বিজ্ঞান তাকে মুখস্থ করানো হয় দিনের পর দিন। খেলা কি জিনিস, শৈশব কি জিনিস, আনন্দ কি জিনিস শিশুটি জানে না।"

স্কুল নামক এ জেলখানায় শিশুটি দিন কাটায় যেখানে নাই কোন আনন্দ, নাই কোন ভালোলাগা, আর আছে কঠিন মুখের কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা। যারা নিজেদের পরিবার পরিবেশ নিয়ে অসহনীয় অবস্থায় নিরানন্দ জীবন কাটায়। তাই এই নিরানন্দ জীবন থেকে কোন আনন্দ শিশুদের সাথে ভাগ করতে পারে না। তাদের জীবনেই কোন আনন্দ নেই সেখানে অন্যের জীবনে আনন্দ দিবে কিভাবে?

"আর এভাবে শিশুটি এরকম নিরানান্দ পরিবেশে বেড়ে উঠে যেখানে মায়া, মমতা, ভালোবাসা বলে কোন কিছুই বলতে গেলে নেই। আরো আছে, পরিবারে?? না সেখানে ও কোন আনন্দ নেই। কারন শিশুকাল থেকেই সে দেখে আসছে এ কঠিন বাস্তবতায়। বাবা মা যদি সৎ হয় তাহলে সে অভাব অনটনের রুপ দেখে দেখে বড় হবে। আর বড় হয়ে দস্যু বনহুর বা রবিনহুড হয়ে সকলের সম্পদ কেড়ে নেবার কথা ভাববে। আদর্শ, ভালোবাসা, স্নেহ, ন্যায়, সৎ........ এসব শিক্ষা সে পাবে না।"
"আর বাবা মা যদি অসৎ তাহলে শিশুটি জানবে এটাই নিয়ম। অন্যের সম্পদ কেড়ে নেয়াই ন্যায় নীতি, সেটাই সত্য......... মানবতা বলে কোন শব্দ সে শিখবে না। ক্ষমতার অপব্যববহার, হিংস্রই হবে সে।"

স্কুলে কি এখন সে বিদ্যাসাগরের আদর্শলিপি শিক্ষা দেয়া হয়? সেই যে আমরা ছোটবেলায় পড়তাম, সদা সত্য কথা বলবে, মিথা বলা মহা পাপ, গুরুজনে করোনতি, সৎ চরিত্র মূল্যবান সম্পদ। .................. শুনিনি যে কোথাও তা শেখানো হয়।


" ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শিশুদেরকে কখনই কোন বই দেয়া হয় না। ওরা বাস্তব জীবন থেকে শিখে। ওদেরকে নিয়ে টিচার বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রকৃতি শেখায়, ট্রেনে বাসে চড়ে শহর ঘুরে বেড়ায় আর যেতে যেতে অংক শেখায়, ভুগোল শেখায়, বিজ্ঞান শেখায়। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করে মানবতা শেখায়। একটা পোকা ও মারতে দেয় না, একটা ফুল ও ছিঁড়তে দেয় না। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, সত্য বলা, অপরকে সন্মান করা............। এসব নীতির শিক্ষা দেয়া হয়। ওরা বলে আগে মনুষত্ব তৈরী করতে হবে তারপর বই এর পড়া এমনিতেই শিখবে।"


+++++++

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪২

সোহানী বলেছেন: জী ভাই, সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো একটু বিশ্লেষন করলেই বোঝা যায় কিভাবে আমরা অমানুষ, বিবেক বর্জিত, হিংস্র হয়ে উঠছি। এটি একদিনের ফল নয়, বছরের পর বছরের ফলাফল। অনেক বেশী দেরী হবার আগেই আমাদের চিন্তা করতে হবে। এখনো সময় আছে..............................

২১| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩০

বলেছেন: লেখা ও মন্তব্যগুলো পড়লাম।।।
শিশু মানুষ হবার শিক্ষা পরিবার থেকেই শিখে।
আমগো মানুষ হোক ---

ছোট কিন্তু বেশ ভালো মেসেজ।।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ পরিবারই শিক্ষার মূল ভিত্তি। কিন্তু সারাদিন হিন্দি সিরিয়াল দেখা বাবা-মায়ের কাছে ওরা কি শিখবে??

২২| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৬

আরোগ্য বলেছেন: এখনও বিয়ে হয়নি তাই বাচ্চাদের নিয়ে চিন্তার মাত্রা অনেকটা কম আছে তবে কিছুটা হলেও ভাবি এবং উদ্বিগ্ন হয়।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৪

সোহানী বলেছেন: হুম........

২৩| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৬

জগতারন বলেছেন:
উন্নত দেশের সাথে কোনভাবেই তুলনা করতে চাই না, কিন্তু উদাহরনগুলো কিছুটা হলেও দরকার বোঝার জন্য। ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শিশুদেরকে কখনই কোন বই দেয়া হয় না। ওরা বাস্তব জীবন থেকে শিখে। ওদেরকে নিয়ে টিচার বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রকৃতি শেখায়, ট্রেনে বাসে চড়ে শহর ঘুরে বেড়ায় আর যেতে যেতে অংক শেখায়, ভুগোল শেখায়, বিজ্ঞান শেখায়। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করে মানবতা শেখায়। একটা পোকা ও মারতে দেয় না, একটা ফুল ও ছিঁড়তে দেয় না। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, সত্য বলা, অপরকে সন্মান করা............। এসব নীতির শিক্ষা দেয়া হয়। ওরা বলে আগে মনুষত্ব তৈরী করতে হবে তারপর বই এর পড়া এমনিতেই শিখবে।

পোষ্টটি পড়িয়া বেশি আবেগ ও চাপাবাজিই মনে হইলো।
আমেরিকা যুক্ত রাষ্ট্রে যদি এতোই আদর্শভাবে ছেলে-মেয়ে শিখানো হইয়া থাকে তবে সেই সমস্ত দেশে কেন প্রতি সেকেন্ডে ১৫টি করিয়া ধর্ষন কার্জ সংঘটিত হইয়া থাকে ???

দেশের সমস্যা নিয়াই যদি কথা বলিয়া থাকুন; তবে আবেগ বাদ দিয়া বাস্তবতা ও তার সম্ভাব্য সমাধান নিয়া নিজের চিন্তাশীল মনের কথা ব্যাক্ত করিয়া আমাদের জানান।
- এবং তার আগে একবার স্বীকার করুন বর্তমান সুরকার-এর যে সমস্ত কর্ম উদ্যোগ, কর্ম ও কর্ম পরিকল্লপনা অভৌতপূর্ব।
- আমাদের যাহা আছে তা নিয়া সুখ মনে থাকে ও অবস্থার ক্রম-উন্নয়ন ঘটানোই বুদ্ধিমানের কাজ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৪৬

সোহানী বলেছেন: হেহেহেহে, আজইতো খবরে প্রকাশ উগান্ডার মন্ত্রীপদে আফনেরে অফার করছে B-)) B-)) B-)) B-))

২৪| ০৩ রা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১১:১৩

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: এর থেকে জাতির উত্তরণের পথ কী?

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫১

সোহানী বলেছেন: আমরা এককভাবে পরিবার থেকে শুরু করতে পারি। পুরো সমাজ পাল্টানো আমাদের ক্ষমতায় নেই। দরকার ৫০-১০০ বছর মেয়াদী দীর্ঘ সরকারী পরিকল্পনা। বদলানো দরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা, বন্ধ করা দরকার ভর্তি পরীক্ষার প্রতিযোগীতা........। এরকম অনেক অনেক সংস্কার।

২৫| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৫০

কাওসার চৌধুরী বলেছেন:



"উন্নত দেশের সাথে কোনভাবেই তুলনা করতে চাই না, কিন্তু উদাহরনগুলো কিছুটা হলেও দরকার বোঝার জন্য। ইউরোপ আমেরিকার মতো দেশে শিশুদেরকে কখনই কোন বই দেয়া হয় না। ওরা বাস্তব জীবন থেকে শিখে। ওদেরকে নিয়ে টিচার বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রকৃতি শেখায়, ট্রেনে বাসে চড়ে শহর ঘুরে বেড়ায় আর যেতে যেতে অংক শেখায়, ভুগোল শেখায়, বিজ্ঞান শেখায়। বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহন করে মানবতা শেখায়। একটা পোকা ও মারতে দেয় না, একটা ফুল ও ছিঁড়তে দেয় না। কোনটা ন্যায়, কোনটা অন্যায়, সত্য বলা, অপরকে সন্মান করা............। এসব নীতির শিক্ষা দেয়া হয়। ওরা বলে আগে মনুষত্ব তৈরী করতে হবে তারপর বই এর পড়া এমনিতেই শিখবে।"

আপু, আপনার সব জিজ্ঞাসার উত্তর এই কলামে দেওয়া আছে। আমাদের বাবা-মায়েরা সন্তানদের মানুষ বানাতে চায় না, চায় টাকার মেশিন বানাতে। আর স্কুলে এমন প্রত্যাশা করা পাপ।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:৫২

সোহানী বলেছেন: আর সে কারনেইতো পুরো সমাজে চলছে অস্থিরতা। এর থেকেতো আমাদের সন্তানদের বাচাঁতে হবে.........................

২৬| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১:২৭

মা.হাসান বলেছেন: আস্তাগফিরুল্লাহ । এই সব আপনি কি বলিলেন। আপনার পোস্টে আসিয়া আমার আজকের কামাইকৃত নেকি নষ্ট হইয়া গেল।

দেশের সমস্যা ছাত্রলীগ? ইহারা দেশের ভবিষ্যত নেতা। ইহাদের সমস্যা যাহার বলে তাহাদের নিশ্চয়ই কু মতলব আছে,

দূর্নীতি, বিচারহীনতা, দ্রব্যমূল্য, বেকারত্ব--ঐগুলিতো ইতিহাস। ২০০৯ এর পরে ঐ সব শব্দ আর কেহ শোনে নাই। বাংলা একাডেমি প্রস্তাব পাশ করিয়াছে ঐ সব শব্দ অভিধান হইতে বাদ দেয়া হইবে। জনসংখ্যা তো সমস্যা নয় ভগিনী, বরং কোথাও কোথাও আমাদের প্রয়োজনের তুলনায় কম আছে। যেমন নির্বাচনের সময় দেখা গেল কোন এক যায়গায় ভোটারের চাইতে ভোট বেশি পড়িয়াছে। জন সংখ্যা আরেকটু বেশি হইলে কি এই রূপ ঘটিতে পারিতো?

একটি সমস্যা হইতেছে জনগনের ভিতর কমান্ড ফলো করিবার আগ্রহ কম, খালি উল্টা পাল্টা প্রশ্ন করিতে চায়। তবে ইহা সমস্যার মূল না। মূল হইলো পাব্লিক নেতাদের জীবনীগ্রন্থ পাঠ করিতে চায় না

ঘুরিয়া ফিরিয়া সেই একই কথা। শিক্ষা । তবে তাহা জীবনী শিক্ষা।

(আমি কিন্তু নেতাদের একাধিক জীবনী গ্রন্থ পাঠ করিয়াছি)

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: আসলে আমরা উটপাখী হাসান, বালিতে মুখগুজে স্বপ্নে চলি..... /:)

২৭| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৩০

পিয়াস মাহমুদ জিসান বলেছেন: বাহ! বাহ!!

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৭

সোহানী বলেছেন: |-) |-) |-) |-) |-)

২৮| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৫

জগতারন বলেছেন:
লেখক বলেছেন: হেহেহেহে, আজইতো খবরে প্রকাশ উগান্ডার মন্ত্রীপদে আফনেরে অফার করছে

- আবর্যনা।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৮

সোহানী বলেছেন: B-)) B-)) B-)) B-)) B-))

২৯| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৩:৫৬

জগতারন বলেছেন:
টাইপো;
সুরকার-এর = সরকার-এর।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:১৯

সোহানী বলেছেন: ;) ;) ;) ;) ;) ;) ;)

৩০| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭

মোঃমোজাম হক বলেছেন: এই ভোটডাকাত সরকারই বড় সমস্যা।
হ্যা শিক্ষা ব্যবস্থাও অন্যতম।কিন্তু আপনি কি বলবেন রাজনীতি,আইনব্যবস্থা, চিকিৎসা ব্যবস্থা, মিডিয়া, সরকারী অব্যবস্থাপনা বা দুর্নীতি কোথায় আমরা ভাল আছি?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২৭

সোহানী বলেছেন: আমরা কোথাও ভালো নেই। তারপরও শিশু শিক্ষা হলো শিকড়। ওটা যদি ঠিখ না হয় তাহলে আরো খারাপ হবে ...........

৩১| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪৯

ফয়সাল রকি বলেছেন: খুবই সময়োপযোগী আলোচনা। মন্তব্যগুলো পড়ছিলাম। সবাই গঠনমূলক আলোচনা করছেন। আসলেই সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়াটাতেই সমস্যা যাচ্ছে। এজন্য যেমন বিষয়গুলো আমাদের অনুধাবন করা দরকার, তেমনি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনাও দরকার। এখানে আরেকটা বিষয় আমার মনে হয় যোগ করা জরুরী; আমাদের আরেকটা সমস্যা অত্যন্ত প্রকট যা নিয়ে সাধারণত আমরা আলোচনা করি না। জনসংখ্যা সমস্যা। এটা নিয়েও ভাবা উচিত।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৩

সোহানী বলেছেন: জনসংখ্যা অবশ্যই একটি বিশাল সমস্যা। কিন্তু ইচ্ছে করলেই এ সমস্যাকে আমরা সম্পদে গড়ে তুলতে পারি।

তারপরও আমার মনে হয়েছে হাজার সমস্যার ভীড়ে শিশুরা যদি সত্যিকারের মানুষ হতে না পারে তাহলে দেশটা আরো বেশী ধ্বংসের পথে হটবে।

৩২| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর বিষয় নিয়ে লিখেছেন আপি

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি।

৩৩| ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:১৮

রাকু হাসান বলেছেন:

আপু এই প্রজম্মের কপালটাই খারাপ । বলেছেন টর্সার সেল । আসলেই তাই । সারা বিশ্বেই কম বেশি এটা চলে । তবে বাংলাদেশে এটা অনেক বেশি । সব কিছু পারতে হবে ,ফাস্ট হতে হবে , আগে থেকেই শিখে নিবে এমন মানসিকতা না পাল্টালে সর্বনাশ ডেকে আনবে । যারা নির্মল আনন্দের শৈশব পাবে তারা সুস্থ্য থাকবে কি করে। তাদের কাছ থেকে উন্নত কিছু আশা করা অমূলক । সরকার শুনলাম পিএসসি পরিক্ষা বাদ দেওয়ার দিকে হাঁটছে । সুদিন আসুক শিক্ষাঙ্গনে সেই কামনা করি । ভালো টপিকে লিখেছেন । আরও লেখা হওয়া উচিত আরও । কেমন আছেন আপনি। ?

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৪১

সোহানী বলেছেন: আমি ভালো আছি প্রিয় রাকু হাসান ভাই।

যারা শৈশব নির্মল আনন্দ পাবে তারাইতো অন্যকে সে আনন্দ দিতে পারবে ও সুস্থ্য সমাজ গড়বে। যার জীবন বিভীষিকাময় সে কিভাবে ভালো করবে সমাজের????

পিএসসি সহ সকল শিশু পরীক্ষা বন্ধ করা উচিত। কি বুঝে এ কোমল শিশুটি যাকে আমরা কঠিন হতে শেখায় দিনের পর দিন। আর এ কারনেই সর্বত্র অস্থিরতা। কোন সন্মান নেই কোথাও... না বাবা-মা, ভাই-বোন, শিক্ষক, গুরুজন............। খুব মন খারাপ লাগে।

৩৪| ০৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৪২

ধ্যত্তেরিকাষতড়এএতধ্যত্তেরিকা বলেছেন: ভীনমত ইদানিং একেবারেই সহ্য করতে পারছেন না। রিপ্লাই যা তা হচ্ছে যা কোনমতেই আপনার ইমেজের সাথে যাচ্ছে না। বিপিটিপি ঠিকাছে তো? বাইরের খেদ ব্লগে মেটাচ্ছেন্না তো আবার? অনলাইন ঘাটাঘাটি করলে 'প্রপার ব্লগিং এন্ড কাউন্সেলিং' মেথড পাবেন অনেক প্রকার। শুভ কামনা।

০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৫১

সোহানী বলেছেন: খোনে বুয়েটের মতো জায়গায় আপন বন্ধুকে পিটিয়ে মারে, শিক্ষককে পানিতে চুবায়ে ভিডিও করে, ভিসি নামক পোস্ট মাস্তান পোষে সেখানে বিপির মেশিনের খোঁজ নেয়াটা অবান্তর।

নিজেই দ্রুত চোখের ডাক্তারের চিকিৎসা শুরু করুন। কারন চোখ থাকতেও আপনারা অন্ধই হয়ে আছেন।

ভালো থাকুন।

৩৫| ০৬ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
পোষ্টটি পাঠের পর যা লিখতে চেয়েছিলাম তার সবগুলিই
দেখি প্রিয় কবি বিদ্রোহী ভৃগু খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন ।
আপনার কণ্ঠের সাথে কন্ঠ মিলিয়ে তাঁর প্রতি আমারো
অনুরোধ থাকল তাঁর এই এই মুল্যমান মন্তব্যটিকে একটি
পৃথক পোষ্ট আকারে দেয়ার জন্য । এর উপরে তখন
মনে হয় ভাল একটি আলোচনর ঝড় উঠতে পারে
সামুর পাতা জোড়ে ।

আর একটি বিষয় মনে হচ্ছে, সে দিন মনে হয় আর খুব বেশী দুরে নেই যেদিন আমাদের দেশের স্কুলের ছেলে মেয়েদেরকে বই এর বোজা কাধে নিয়ে হরেক পদের কঠীন কঠিন পাঠ্য সুচীতে মনযোগ দেয়ার তেমন প্রয়োজন পড়বে না । একদিকে প্রশ্ন ফাঁস, আর দিকে প্রক্সি পরীক্ষা দেয়ার সিসটেম সহ উচ্চ শিক্ষার ভুয়া সনদ প্রাপ্তির বিস্তার এমনই হবে যে তখন নীজ পছন্দ অনুযায়ী বিষয় ও গ্রেডে উচ্চ শিক্ষা সনদ ক্রয়/ম্যনেজ করে নিতে পারবে অবলিলায়।নমুনা দেখলাম ইতিমধ্য শুরু হয়ে গেছে। কোন এক মহিলা সাংসদ নাকি প্রক্সি পরীক্ষা দিতে গিয়ে ধরা খেয়েছে। ধরা খায়নি এমন সংখ্যা জানি কত । তাই ভয়ের কোন কারণ নাই।
ব্যবসা বানিজ্যে রাতারাতি প্রভুত উন্নতিসাধন রাজনীতির শিখরে আরোহন ইত্যাদির জন্য উচ্চ শিক্ষা ও মানের বিশেষ প্রয়োজন নেই বলে অনেকেই এখন বলাবলি করছেন । চারিদিকে সে সকলের এত এত নিদর্শন থাকার পরে কে যাবে কষ্ট করে বই এর বোঝা মাথায় নিয়ে স্কুলে পড়াশুনা করতে । যে সমস্ত অভিবাবক বিষয়টি অনুধাবন করতে পারবে তারাও এখন থেকে তাদের বাচ্চাদেকে পড়শুনার জন্য মনে হয় আর তেমন চাপ দিবেনা , শিক্ষার মান কিংবা ক্লাশে প্রথম দ্বিতীয় স্থান অধিকার করার চাইতে ছাত্র রাজনীতিতে লোভনীয় পদের জন্য বেশী উৎসাহ দিবে , কার সন্তান ছাত্র রাজনীতিতে কত বড় পদে আছে সে প্রতিযোগীতাতেই তারা বেশী মগ্ন হবে!!

যাহোক, বই এর বোঝা যত বড়ই হোক না কেন ও শিক্ষার পাঠ্যসুচীর যতই ব্যপকতা থাকুক না কেন আমাদের দেশের ছাত্ররা মাধ্যমিক স্কুল জীবন পর্যন্ত মোটামোটি মানুষই থাকে ( হাতে গোনা দুচারটি ব্যতিক্রম বাদে) । অমানুষ হওয়া শুরু হয় বলতে গেলে উচ্চ মাধ্যমিক ও ইউনিভার্সিটি লেভেল হতে । সেখানে গিয়ে যে গুলি অমানুষ হয় সে গুলি কাগজে কলমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র হলেও তারা বই এর বোজা বহন করা তো দুরের কথা শ্রেণী কক্ষেই জায় না । তারা পড়াশুনা করে মধুর কেন্টিনে, লীগ, শিবির কিংবা বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের গোপন শ্রেনী কক্ষে , বিশেষ ধরনের প্রশিক্ষিত শিক্ষকের অধিনে বিশেষ ধরনের সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রমে!! অনেককেরই পাঠ্যপুস্তক হলো ফেইসবুক আর কলম হলো বারুদের কাঠি বা ডিব্বা!! তবে এদের সংখ্যা খুব কম , দেশের মোট শিক্ষার্থীর তুলনায় সংখ্যায় এরা অতি নগন্য, তবে ক্ষমতায় ভেজায় ভারী । স্কুল কলেজের শিক্ষকেরা এদের পাবে কোথায় মানুষ করার জন্য, এদেরকে মানুষ করতে গেলে তাদের হয় করতে হবে পদত্যাগ, না হয় হতে হবে অপসারণ, না হয় মরতে হবে পুকুরে ডুবে, এইত গত কয়েকদিন আগেও রাজশাহী পলিটেকনিকের অধ্যক্ষকে কয়েকজন অমানুষ পুকুরে ফেলে দিয়েছে ।

তাই আমার মনে হয় যতনা প্রয়োজন শিক্ষা ব্যবস্থা ও পাঠ্যক্রমের সংস্কার সাধন, তার চেয়ে বেশী প্রয়োজন নীজ নীজ সন্তানের প্রতি তাদের অভিভাবকদের বেশি সচেতনতা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের বাইরে তাদের সম্তানেরা কি করছে সে দিকে খেয়াল রাখা। আপনার পোষ্টটি সকলের সচেতনতা বাড়াবে , সে জন্য রইল অভিনন্দন ।

বিদেশের তুলনায় আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা খুবই করুন অবস্থায় আছে সে কথা মেনে নেয়া ছাড়া উপায় নাই । তারপরেও বলব কিছুটা হলেও বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থাতেও আমাদের দেশে গড়ে উঠছে আবরারদের মত একটি মেধাবী প্রজন্ম তাতে কোন সন্দেহ নেই । একথা অনস্বীকার্য্য যে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকেই একজন ছাত্রের জ্ঞানের মুল ভিত্তি রচিত হয় । এই ভিত্তি জ্ঞান নিয়েই আমাদের দেশ হতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা ছেলেমেয়রা বিদেশে গিয়ে ঈর্শনীয় রেজাল্ট করছে । প্রাচ্য ও পাশ্চাত্তের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তী হওয়া বাংলাদেশী ছাত্রগনের বেশীর ভাগই ভাল রেজাল্ট করছে । মাত্র কয়েক যুগ আগেও বাল্যকালে বই এর বোঝা পিঠে নিয়ে পড়ুয়া ছাত্রগন পরিনত বয়সেও দেশের বাইরে গিয়ে নীজ নীজ ক্ষেত্রে প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছেন ভাল করেই, আপনিও তাদের মধ্যে একজন, সে জন্য আমরা গর্ব অনুভব করি ।

মুল্যবান পোষ্টটির জন্য ধন্যবাদ ।

শুভেচ্ছা রইল




০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:৪০

সোহানী বলেছেন: প্রিয় আলী ভাই, আপনার মন্তব্য ও ঠিক বিদ্রোহীর মতো পূর্ণাঙ্গ একটি লিখার দাবী রাখে।

আমি ঠিক জানি না কিভাবে বলা শুরু করবো। কারন আমি ভীষন রকমের হতাশ, ক্ষুদ্ধ, লজ্জিত দেশের আপাময় অবস্থা দেখে।

আমি তুলনা করতে চাই না কিন্তু আপনা থেকেই তুলনা চলে আসে ও খুব দু:খ পাই। কেন ক্ষমতায় বসে থাকা ব্যাক্তিরা অন্ধ। আমি মেনে নিচ্ছি সাধারন কিছু আম-জনতা রুটি হালুয়ার ভাগ পেয়ে কালো কে কালো আর সাদাকে সাদা বলার সকল বিবেক বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু তাই বলে জ্ঞানী গুনী শিক্ষক আমলা রাজনীতিবিদ বুদ্ধিজীবিরা তাদের দিব্যচক্ষু হারিয়ে ফেলেছে??? তারা কি বুঝতে পারছে না দেশের আপাময় অবস্থা???

"অমানুষ হওয়া শুরু হয় বলতে গেলে উচ্চ মাধ্যমিক ও ইউনিভার্সিটি লেভেল হতে ।" ........আমি একটু দ্বিমত পোষন করি এ মন্তব্যে। শিশুর মন মানসিকতা তৈরী হয় প্রতি নিয়ত। সে হিংস্র পশুত্বের বীজ বোপন করে শিশুকাল থেকে। আর সেটা মহীরু হয়ে দেখায় দেয় উচ্চ মাধ্যমিক ও ইউনিভার্সিটি লেভেল হতে। তখন আর কিছুই করার থাকে না। আপনার নিশ্চয় পড়া আছে সে রিসার্স এর কথা যেখানে অস্ট্রেলিয়ান এক জলদস্যুর সন্তানকে বদল করা হয় শি্ক্ষিত পরিবারের সাথে। কালক্রমে বদলকৃত শিশুটি সে পরিবেশ অনুযায়ীই তৈরী হয়। ঠিখ এমনভাবেই আমরা আমাদের শিশুদের মানসিকতাতে প্রতি নিয়ত বদলে দিচ্ছি।

আর এটা সত্যিই যে আমাদের সন্তানরা কি অসাধারন রেজাল্ট করছে সারা বিশ্বে কিন্তু নিজের দেশেই সে সূর্যসন্তানকে পিটিয়ে মারছে আরেক সূর্যসন্তান।

........... আমি মোটেও তেমন কিছু নই খুব সাধারন একজন মানুষ, যে স্বপ্ন দেখে চমৎকার একটি দেশের্...... যে দেশের মানুষগুলোর কোন দু:খ নেই.............।

৩৬| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৮:০২

মলাসইলমুইনা বলেছেন: হাহাহা ---আপনার শিরোনামেতো সংশোধনী দরকার ।
বাচ্চাদের পড়াশোনার যে বিষয় নিয়ে লিখেছেন সেটাতো কোনো কঠিন বিষয় না । খুব সহজ একটা বিষয় । একগাদা অযোগ্য লোক আমাদের পড়া লেখার ব্যাপারটা দেখাশোনার দায়িত্ব পেয়েছে বলেই এতো লেজে গোবরে করে ফেলেছে ব্যাপারটা । একটা বাস্তবধর্মী পড়াশোনার সিস্টেম দেশে সহজেই ইমপ্লিমেন্ট করা যায়।তার জন্য মাল্টি বিলিয়ন ডলারের কোনো প্রজেক্টতো নেবার দরকার নেই । যারা এই ব্যাপারটা বোঝে, উন্নত দেশগুলিতে বাচ্চাদের পড়াশোনার সিস্টেমটা কেমন, বাচ্চাদের মেধা বিকাশে এলিমেন্টারি স্কুলে কেমন পদ্ধতি অনুসরণ করে সেটা যারা জানে বা সেখানে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে এমন কিছু মানুষকে দিয়েই দেশের জন্য একটা যুপোযোগী শিক্ষা ব্যবস্থা দাড় করানো করা সম্ভব খুব ভালো করেই । স্কুল পর্যায় পর্যন্ততো অবশ্যই সম্ভব এরকম একটা ব্যবস্থা করা যেহেতু এই পর্যায় পর্যন্ত শিক্ষিক বা ছাত্ররা প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে খুব বেশি জড়িত না । এদের প্রভাবটা এখনো অতো ইম্পরট্যান্ট না রাজনীতিতে ।তাই এখানে রাজনীতিবিদরা বাগড়া দেবেন না বলেইতো মনে হয় ।তবুও যে আমাদের দেশে এই ব্যাপারে এতো হযবরল হচ্ছে তার কাৰণ একটাই সেটা হলো অযোগ্য কিছু মানুষের কাছে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এই ব্যাপারটার । নইলে একটা কার্যকরী শিক্ষা পদ্ধতি আমাদের দেশে এখনো অনুসরণ না করার কোনো কারণতো আমি দেখি না। জরুরি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:০৭

সোহানী বলেছেন: বিষয়টা কঠিন নয় কিন্তু আমাদের সিস্টেম সেটাকে শুধু কঠিনই জটিল করে তুলেছে। আর যে অযোগ্য লোকদের কথা বলছেন তারা কি কোনভাবে ভাবে এ সব বিষয় নিয়ে। যদি ভাবতো তাহলে একটা দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নিতো।

তবে আপনার ধারনাতে কিন্তু ভুল আছে। প্রত্যক্ষ রাজনীতির সাথে জড়িত ছাড়া কোনভাবেই নিয়োগ পোস্টিং সম্ভব নয়। কোথায় নেই রাজনীতি???? কোমলমতী ছাত্রদেরকে গুন্ডা বানাচ্ছে শিক্ষকরা.... আর শিক্ষকদের কে গুন্ডা বানাচ্ছে নেতারা অথবা উভয়ই। ভালো শিক্ষক কোথায় পাবেন???? যে শিক্ষক লাখ/কোটি টাকা খরচ করে নিয়োগ কিংবা পোস্টিং নেয় তার কাছে কিভাবে সঠিক শিক্ষা আশা করবো???

ভালোলাগলো আপনার বিশ্লেষনধর্মী মন্তব্য। কেমন যাচ্ছে দিনকাল??

৩৭| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৪৭

ধ্যত্তেরিকাষতড়এএতধ্যত্তেরিকা বলেছেন: লেখক বলেছেন: খোনে বুয়েটের মতো জায়গায় আপন বন্ধুকে পিটিয়ে মারে, শিক্ষককে পানিতে চুবায়ে ভিডিও করে, ভিসি নামক পোস্ট মাস্তান পোষে সেখানে বিপির মেশিনের খোঁজ নেয়াটা অবান্তর।

নিজেই দ্রুত চোখের ডাক্তারের চিকিৎসা শুরু করুন। কারন চোখ থাকতেও আপনারা অন্ধই হয়ে আছেন।

ভালো থাকুন।


আপনার মতন ভীনমতে অসহিষ্ণুরাই আপন বন্ধুকে পিটিয়ে মারে আর শিক্ষককে পানিতে চুবায়!
ঠিকাছে বলেছেন যখন ফের চোখ দেখাবো। আপনিও একটু কাউন্সেলিংটাউন্সেলিং নিন প্লিজ। 'জোয়ান অব আর্ক' নামে আপনাকে নিয়ে বেশ কিছুদিন হাউকাউ হয়েছিলো ব্লগে। আজকাল তো পুরাই 'অপু উকীল' হয়ে গেছেন দেখছি!

কেনো !!

প্লিজ গেট ব্যাক ঔন ফর্ম

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১০

সোহানী বলেছেন: ভিন্নমত অসহিষ্ণুতা বুঝতে হলে নিজের কমেন্টসগুলো আগে পড়ুন।

৩৮| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমার এক আত্মীয়াকে দেখতাম, উনার বাচ্চাকে জোর করে গুতিয়ে খাওয়াতে। বাচ্চা নাকি কিছুই খেতে চায় না। এদিকে খাওয়ানোর চোটে বাচ্চা খাসীর মতো মোটা হয়ে যাচ্ছে....সেদিকে উনার খেয়াল নাই। মাঝে মাঝে বেশী খাওয়ানো হয়ে গেলে বাচ্চাটা বমিও করে দিত। :(

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাও অনেকটা সেরকম। কার কতটুকু গ্রহন করার ক্ষমতা আছে তা না দেখেই একগাদা প্রয়োজনীয় অপ্রয়োজনীয় বিষয় বাচ্চাদের মাথায় ঠুসে দেয়া চেষ্টা করা হয়। এই ধাক্কা সামলানো বাচ্চাদের পক্ষে আসলেই কঠিন।

আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে না সাজানো পর্যন্ত এখান থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে পারবো না। উন্নত বিশ্বের অনুকরনে আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করা কি খুবই কঠিন? আমার তো মনে হয় না। সবটা না পারলেও কিছুটা তো আমরা পারি! দেশের কর্ণধারদের সদিচ্ছাটাই আসলে জরুরী।

ভালো একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১২

সোহানী বলেছেন: সেই সদিচ্ছাটা কবে হবে জানি না মফিজ ভাই। সেকারনেই এতাে কথা। সব চলুক রাজনৈতিক বিবেচনায় শুধু শিক্ষাটাকে কি এর আওতামুক্ত রাখা যায় না?????? এই একটি বিষয়ে নিশ্চয়তা পেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে নিশ্চিত।

৩৯| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৪৫

দয়িতা সরকার বলেছেন: আপু কেমন আছেন?
আপনার সাথে আমি সহমত। আমি টিচার ।আমি জানি বাচ্চাদের উপর কত টর্চার করে। আমাদের সিলেবাস, স্কুলে সব বাচ্চাদের ১০০% এ প্লাস, অভিভাভকদেরও অতিরিক্ত বাচ্চার থেকে চাওয়া সব মিলিয়ে একটা বাচ্চার উপর সে মানুষিক চাপ , সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আমরা টিচার রা প্রতিযোগিতা করি এ প্লাস এ। প্রতিযোগিতা করিনা কীভাবে বাচ্চাদের সহজভাবে, কম হোম ওয়রক দিয়ে বুঝানো যায়। স্কুলে সহজ করে না বুঝিয়ে বাসায় বেশি করে হোম ওয়রক দেওয়া, বাজারে এত এত গাইড বই , টিচারদের সঠিক ট্রিনিং এর অভাব, বিষয় ভিত্তিক টিচার না দেওয়া আরও অনেক কারন।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন সালু ভাই। আপনার ভাবনার সাথে একাত্বতা ঘোষনা করছি।

আপনার লিখায় মন্তব্য করে এসেছি। আপনি আরো বেশী করে লিখুন।

৪০| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩১

নাহিদ০৯ বলেছেন: ছোট ছোট এই বাচ্চারা তাদের দিনের বেশিরভাগ অংশই কাটায় স্কুলে। সকাল ৯ টা থেকে প্রায় বিকেল ৪ টা পর্যন্ত তাদের সবচাইতে কোয়ালিটিফুল টাইম টা স্কুলে ব্যয় করে। অথচ এসব স্কুল এর ব্যাপারে সরকার, সচেতন মহল কিংবা সচেতন নাগরিকদের পর্যন্ত কোন মাথাব্যাথা নাই।

অনেক ক্ষেত্রেই স্কুলগুলো বাচ্চাদের ঝামেলা থেকে মুক্তির একটা সুন্দর উপায় হিসেবে কাজ করে। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত বাচ্চাকে কোথাও সেইফলি রেখে আসা যাচ্ছে।

বিদ্যা, নৈতিকতা এগুলা তো আমাদের হালের ফেসবুক, ইউটিউব কিংবা টিকটকে নাই। এসব ব্লগ ফ্লগ পড়ে কারা? B:-/

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৫

সোহানী বলেছেন: সে কারনেই বিষয়টা ভীষন ভাবায় আমাকে নাহিদ। দিন দিন কেমন যেন দ্রুতই পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। আর আমরা হয়ে যাচ্ছি মনুষত্বহীন একটা জাতী।

৪১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:৩১

আখেনাটেন বলেছেন: আর বাবা মা যদি অসৎ তাহলে শিশুটি জানবে এটাই নিয়ম। অন্যের সম্পদ কেড়ে নেয়াই ন্যায় নীতি, সেটাই সত্য......... মানবতা বলে কোন শব্দ সে শিখবে না। ক্ষমতার অপব্যববহার, হিংস্রই হবে সে। --- এটিই এখন ঘটছে। এর থেকে পরিত্রাণের রাস্তাও দেখা যাচ্ছে না।

০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:২৬

সোহানী বলেছেন: অনেক রাস্তাই খোলা আছে। কিন্তু শুনবে কে? করবে কে? আগেতো নিজেকে সৎ হতে হবে তারপর অন্য কিছু....। সেটা কি সম্ভব??

৪২| ০৯ ই নভেম্বর, ২০১৯ ভোর ৬:৫৫

দয়িতা সরকার বলেছেন: আমি ভাই না আপু। আমি লিখতে চাই। সামু আমাকে পর ভেবে ভিতরে রেখে দিয়েছে। আমাকে সবাইকে খুজে বের করতে হবে । আমি চাই সবার চোখের সামনে থাকতে। আশাকরি সামু আর আমাকে ভিতরে রাখবে না আমিও লিখব।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৪

সোহানী বলেছেন: লিখুন, সামু একটি চমৎকার লিখার স্থান। যেখানে আপনি আনার ভুলগুলো শুধরে নিতে পারবেন।

৪৩| ১০ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৭

ধ্যত্তেরিকাষতড়এএতধ্যত্তেরিকা বলেছেন: লেখক বলেছেন: ভিন্নমত অসহিষ্ণুতা বুঝতে হলে নিজের কমেন্টসগুলো আগে পড়ুন।

খুব মন দিয়ে পড়লাম। কলিগসদের ও বুঝতে বললাম।
আপনার রিপ্লাইগুলোন রিভিউ'র অনুরোধ রইলো।

বাক আপ সোহানী।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৫

সোহানী বলেছেন: B:-/ B:-/ B:-/ B:-/

৪৪| ১১ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: শিশুদের শিক্ষালাভের স্থান দুটো- কিছু নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিদ্যালয়, আর দিনের বাকীটা সময়ের জন্য পিত্রালয়, অর্থাৎ আপন গৃহকোণ। আমরা বিদ্যালয়ের শিক্ষার অপর্যাপ্ততা, অপূর্ণতা এবং অনুপযুক্ততা নিয়ে সদা সর্বদাই সরব থাকি, কিন্তু ভুলে যাই পরিবারের শিক্ষার পরিবেশের কথা। আপনি যেসব কথা বলেছেন, তার পাশাপাশি আমাদেরকে এদিকটা নিয়েও ভাবতে হবে, সক্রিয় হতে হবে।

১৩ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ১২:১৮

সোহানী বলেছেন: সেটাই বলছি খায়রুল ভাই। পরিবার থেকে যেমন শিক্ষা আদর্শ সৎ কথার বুলি হারিয়ে যাচ্ছে তেমনি স্কুল থেকেও সমান তালে অর্দৃশ্য হয়ে যাচ্ছে আদর্শের বুলি। আর সে কারনে শিশুরা দিন দিন হয়ে উঠছে মানবিকতাহীন রোবটে।

আর সে কারনেই যে যার স্থান থেকে সক্রিয় হতে হবে। আমাদেরকে বাচাঁতে হবে আমাদের ভবিশষ্যতকে।

অনেক অনেক ভালো থাকেন্।

৪৫| ১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:৫৩

দয়িতা সরকার বলেছেন: সোহানি আপু, দয়া করে আমার করা ৩৯ নং মন্তব্য টা মুছে দিবেন ।

১৫ ই নভেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭

সোহানী বলেছেন: কেন আপু, এতো চমৎকার সত্য কথন কেন মুছতে চাচ্ছেন?

৪৬| ২১ শে এপ্রিল, ২০২০ দুপুর ২:৩৪

নীল আকাশ বলেছেন: আগেই পড়েছিলাম। আবার এসে পড়লাম।
ধন্যবাদ।

২৩ শে এপ্রিল, ২০২০ ভোর ৫:০৫

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ নীল ভাই।

৪৭| ২০ শে জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: এই মূহুর্তে দেশের প্রধান সমস্যা হলো সঠিক শিক্ষা।

ঠিক আছে।
শিক্ষার আলো সকল অন্ধকার দূর করে দিবে।
এটাও ঠিক আছে।

কিন্তু শিক্ষার অন্তরায় যে দুর্নীতি, তা কিভাবে দূর হবে?

আবার দুর্নীতি যে খারাপ, আমাদের সকল অর্জন নষ্ট করে দিচ্ছে দুর্নীতি, তা বুঝতে গেলেও যে শিক্ষাটাই আগে দরকার।

আমি তো ডিম্ আগে না মুরগি আগে এরকম সমস্যায় পরে গেলাম।

২৩ শে জানুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:১৩

সোহানী বলেছেন: সঠিক শিক্ষা পেলেই তো বুঝবে যে দুর্নীতি খারাপ। সে শিক্ষা না পেলে তো মনে করবে বাড়তি আয়!

যাহোক, প্রশ্ন করতে পারেন তাদেরকে যে শেখাবে তাকে শেখাবে কে? শিক্ষক যদি দুর্নীতিবাজ হয় তাহলে ছাত্র কি শিখবে? অনেকটা গোলক ধাঁধা!! সব কিছুই ঠিক করতে হবে। দিন দিন আমরা অরো কঠিন থেকে কঠিন জালে প্রবেশ করছি। কেউ তা রুখছে না.............।

ধন্যবাদ অনকেদিন পর লিখাটা মনে করিয়ে দেবার জন্য।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.