নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
ক'দিন ধরেই ব্লগে গার্মেন্টস্, মার্কেট খোলা নিয়ে বেশ ক্যাচাল চলছে। এবং অনেকেই এসব খোলা নিয়ে খুব রেগে আছেন। অবশ্যই তাদের যুক্তি সঠিক। করোনা পরিস্থিতিতে বড় বড় হাতি ঘোড়া যেখানে হাবু ডুবু খাচ্ছে সেখানে আমাদের মতো মাছিই বা কি করবে। কিন্তু তার বিপরিতেও কিছু যুক্তি আছে আমি সেটা নিয়েই বেশি চিন্তা্য় আছি।
এবার বলেন আপনারা এদেশে প্রায় কোটির কাছাকাছি গার্মেন্টস্ কর্মী আছে, কয়েক কোটি ছোট বড় মাঝারি দোকান কর্মচারী আছে, সাথে আছে রিক্সাওয়ালা, টেক্সিওয়ালা, ড্রাইভার, কন্ট্রাকটার, ফেরিওয়ালা, ফুটপাথের হকার বা ভিক্ষুক। এই আঠারো কোটি মানুষের পরিবারের প্রধান কোন না কোন ভাবে আয় করে সংসার চালায়। এরকম লকডাউনে তাদের পেটের ভাত কিভাবে জোগাড় হয়?? আমাদের দেশের কি পর্যাপ্ত আর্থিক সঙ্গতি আছে যে এ মানুষগুলোকে বাসায় খাবার পৈাছে দিবে?
...না নেই, আমাদের সে সামর্থ্য নেই। তার উপর যাও বা সরকার দেয় তার সিংহভাগইতো চোর বাটপার নেতা-ছাতারা খেয়ে শেষ করে দেয়। বাকি যা কিছু অংশ তাদের হাতে পৈাছে তা দিয়ে কি এ বিরাট সংসার চলে??
করোনায় পুরো বিশ্ব এখন তালমাতাল অবস্থায় আছে। অর্থনীতির চাকা ঘোরানোর জন্য যা আছে তার সবই প্রায় বন্ধ। যার যা রিজার্ভ আছে তা দিয়ে বর্তমানকে সামাল দিচ্ছে। আমেরিকা, ইউরোপ কান্ট্রি, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশ ও হিমশিম খাচ্ছে বর্তমান অবস্থা সামাল দিতে। সেখানে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশ যার জিডিপির একটা বড় অংশ বিদেশী লোন ও সাহায্যের উপর নির্ভর করে তার বর্তমান ও ভবিষ্যত নিয়ে আতংকিত হবার মতো যথেষ্ট কারন আছে।
একটু শেয়ার করি ওয়েসন্টার্ন কান্ট্রির লাইফ স্টাইল। ওয়েদার চেইন্জ এর কারনে আমেরিকা, ইউরোপ বা কানাডার মতো দেশগুলো সারা বছরেই পোষাক কিনতে হয়। তবে সারা বছর কিনলেও এর বড় অংশই কেনা হয় স্প্রিং ও সামারে। এসব দেশে সামার মানে ঘুরে বেড়ানো, পার্টি ফাংশান, আনন্দ। তাই পোষাকের চাহিদাও থাকে সীমাহীন। আর সেকারনে গার্মেন্টস্ আমদানীর বড় অংশই আসে এ সময়ে। এবার যেহেতু এ স্প্রিং ও সামার বন্ধ, পার্টি ফাংশান বন্ধ তাই কেনাকাটাও এক রকম বন্ধ। আর তার ধারাবাহিকতায় গার্মেন্টস্ আমদানীও বন্ধ হতে বাধ্য।
এবার একটু হিসেব করি, আমাদের প্রধান আয়ের উৎসই গার্মেন্টস্ ই্ন্ডাস্ট্রি। তাই আমদানী কম মানে গার্মেন্টস্ ই্ন্ডাস্ট্রিগুলোর আয় কমে যাওয়া। আর এসব ই্ন্ডাস্ট্রির আয় বন্ধ মানে এর সাথে জড়িত শ্রমিক কর্মচারী মালিকদের আয় বন্ধ। মালিক বা আপার শ্রেনীর হয়তোবা কিছু সঞ্চয় আছে তা দিয়ে চলতে পারবে কিন্তু বাকিরা যাদের শুধুমাত্র সামান্য বেতনের টাকায় সংসার চলতো তাদের কিভাবে দিন যাবে?
আরো আরো আছে, মধ্যপ্রাচ্য থেকে শুরু করে সব দেশেই বখেন শ্রমিকরা বেকার। অনেককে আবার দেশেই পাঠিয়ে দিচ্ছে। এ অবস্থায় তাদের আয়ই শূণ্যের কোঠায়। তাই রেমিটেন্স কি পরিমান ধাক্কা খাবে তা বলার নয়। তাহলে সেই আয়ও বন্ধ হবে বলতে গেলে। তাদের উপরে ডিপেন্ড করা পরিবারগুলোর আয়ও শূণ্য হবে।
এ স্বল্প আয়ের মানুষগুলোর উপর ডিপেন্ড করা মুদি দোকান, ফেরিওয়ালা, খুপরি ঘরের বাড়িওয়ালা, রিক্সাওয়ালা যারা দিন আনে দিন খায় তারা কিভাবে দিন কাটাবে? রোজা চলছে, সামনে ঈদ কিভাবে এ মানুষগুলো তাদের পেটের ভাত জোগাড় করবে? অর্থনৈতিক চাকা বন্ধ মানে কারো ঘরেই খাবার নেই। করোনার ভয়ে গৃহবন্দী থাকা যায় কিন্তু পেটে ভাত না থাকলে কতক্ষন ঘরে থাকা যায়??
আমাদের এমন কোন সম্পদ নেই যে এই অসহায় গরীব মানুষগুলোকে ঘরে খাবার পৈাছে দিবো। যে সীমিত সম্পদ আছে তা দিয়ে কিছুই করা সম্ভব নয় তাই যেভাবেই হোক দেশে আয়ের ব্যবস্থা করতেই হবে। বর্তমানকে চালাতে হবে আর ভবিষ্যতের কথাও ভাবতে হবে। অর্থনীতির চাকা ঘুরাতেই হবে।
অনেকের কাছে কথাটা আত্মহত্যার সামিল। কিন্তু ভেবে দেখুন, ঘরে খাবার না থাকলে ওই লোকগুলো এমনিতেই ঘরের বাইরে বের হবে খাবারের সন্ধানে। তারপরও যখন তা না পাবে তখন তো জোর করেই খাবার ছিনিয়ে আনতে চাইবে। বাসায় সন্তানকে অভুক্ত কতদিন রাখতে পারবে??? এ লোকগুলো মরিয়া হয়ে যাবে।
দেশকে সামাল দিতে ইন্ডাস্ট্রিগুলো চালু করতে হবে, পরিবহন ব্যবস্থা চালু করতে হবে, রেমিেটেন্স এর ব্যবস্থা করতে হবে, ব্যাংকিং সেবা রেগুলারাইজড্ করতে হবে, কৃষকের ফসলের বিক্রির ব্যবস্থা কতে হবে। তবে এর জন্য দরকার সঠিক এবং কার্যকরী পদক্ষেপ। সেটা কি নিশ্চিত করতে পারবে সরকার?
.
.
. অনেক ভারী জ্ঞানের কথা হইছে, আসেন একটা গান শুনি। আমার প্রিয় Lindsey Stirling, Lindsey Stirling is an American violinist, songwriter, and dancer.
Lindsey Stirling - Something Wild ft. Andrew McMahon in the Wilderness
কার্টুন কৃতজ্ঞতা: Funny Sri Lankan Political Cartoons
১৪ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৯
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই মবীন ভাই। আমরা এখন উভয় সংকটে, একদিকে মৃত্যুপুরী অন্যদিকে ক্ষুধা। আমাদেরকে একটাতো বেছেঁ নিতেই হবে।
২| ১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:১৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: সুন্দর গান উপহার দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।গানের কথাগুলো অসাধারণ।এখানে গানের লিরিক তুলে দেওয়ার লোভ সামলাতে পারলাম না।যদি সময় পাই এর বাংলা তরজমা করার চেষ্টা করব ইং শায়া আল্লাহ
Something Wild
Lindsey Stirling
You had your maps drawn
You had other plans
To hang your hopes on
Every road they let you down felt so wrong
So you found another way
You've got a big heart
The way you see the world
It got you this far
You might have some bruises
And a few of scars
But you know you're gonna be okay
And even though you're scared
You're stronger than you know
If you're lost out where the lights are blinding
Caught in all, the stars are hiding
That's when something wild calls you home, home
If you face the fear that keeps you frozen
Chase the sky into the ocean
That's when something wild calls you home, home
Sometimes the past can
Make the ground benneath you feel like a quicksand
You don't have to worry
You reach for my hand
Yeah I know you're gonna be okay
You're gonna be okay
And…
১৪ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩১
সোহানী বলেছেন: সুপার লাইক! তরজমার অপেক্ষায়।
লিন্ডে আসলেই কিছু একটা। আর সবচেয়ে বড় কথা এরকম একটা সুন্দর মুখে যাই করুক তাই ভালোলাগে ....। ২০১০ এর এজিটি থেকেই তাকে আমার ভালোলাগে।
৩| ১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:৪১
চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক ব্লগার বলছেন, আল্লাহ মুসলমানদের পরীক্ষ করছেন, আপনার কি মনে হয়?
১৪ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সোহানী বলেছেন: গাজী ভাই, আমার কাছে ধর্ম হলো বিশ্বাস। বিশ্বাস আছে ধর্ম আছে বিশ্বাস নেই ধর্ম নেই। ধর্মের সাথে বিজ্ঞানকে আমি একসাথ করতে চাই না। যদিও ধর্মে অনেক বিজ্ঞানের কথা আছে তারপরও বলবো তাও ডিপেন্ড করে বিশ্বাসের উপর।
৪| ১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:২০
মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন: আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের মাফ করে দাও।
১৪ ই মে, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সোহানী বলেছেন: আল্লাহ সুবহানাতায়ালা আমাদের মাফ করে দাও।
৫| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমাদের দেশে কী পরিমাণ খাবারের মজুদ আছে এবং যে-সব দেশ থেকে খাবার, বিশেষ করে ধান, চাল, গম আমদানি করা হয়, সে-সব দেশের খাবারের মজুদ, উৎপাদন ক্ষমতা একটা বড়ো ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করবে। ধরুন, কোষাগারে টাকা আছে, সরকার অসচ্ছল প্রতি পরিবারকে মাথাপিছু প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা অনুদান/দান দিল, খাদ্য আমদানি বা দেশে খাদ্য উৎপাদন সচল না থাকলে এই অনুদানে কোনো কাজ হবে না। মানুষ টাকা বা পোশাক খাইয়া বাঁচতে পারে না, খাদ্য কোনো সফট্ ওয়্যার দিয়া পিসিতে বা ফ্যাক্টরিতে উৎপাদন করা যায় না। আমার মতে মূল সমস্যা হলো খাদ্য উৎপাদন। ধান কাটার জন্যই যেখানে লোক পাওয়া যাচ্ছে না, সেখানে চাষাবাদের জন্য শ্রমিক পাওয়া আরো কষ্টকর হবে।
তবে, ক্ষুধার চাইতে বড়ো ব্যাধি আর নাই। পরিস্থিতি এভাবে চলতে থাকলে করোনাকে আর কেউ ভয় করবে না। কৃষকের ক্ষেতে জানের কবজ হাতে নিয়া শ্রমিকরাও কাজে নেমে পড়বে।
ধনী দেশগুলোতে টাকা ও খাবারের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে, তাদের জনসংখ্যা হলো কম। তাদের এটা একটা বড়ো সুবিধা। আমাদের অবস্থা এর শতভাগ উলটা।
কলকারখানার চাইতে আমাদের খাদ্য উৎপাদনের দিকে এখন বেশি জোর দেয়া উচিত।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৫
সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, সত্যিকারের ফ্যাক্টটা তুলে ধরেছেন। কিন্তু একটা কথা মানতে হবে সেটা হলো এই আঠারো কোটি জনসংখার দেশে যা জমি আছে তা দিয়ে ক্ষুধা মেটানো সম্ভব নয়। তারপরও ভাবলাম সম্ভব, কিন্তু সে জমি চাষ করার জন্য লোক পাচ্ছে না, উৎপাদনের পর তা বিক্রি করে লাভ পাচ্ছে না।
কেন? কারন, সরকারের যে পৃষ্ঠপোসকতা দরকার তা কেউই পাচ্ছে না। তাহলে মানুষ কেন নিজের লস করে উৎপাদন করবে? যে টাকা ধানের মজুরীতে পাবে তার চেয়ে বেশী আয় হবে গার্মেন্টস্ এ, এর চাইতেও বেশী আয় হবে মাস্তানী করে। তাহলে বলেন পেটের তাগিদে মজুরী দিব নাকি মাস্তানী করবো।
ডেভেলাপমেন্ট ইকোনমিক্স বলে একটা সাবজেক্ট পড়েছিলাম এমবিএতে। সেখানে কি সব কষে বের করেছিলাম কতটা অভাগা আমরা এ জাতি, নিজের ভালোও বুঝি না।
ভাইরে, ধনী দেশ এমনিতে ধনী হয়নি! সঠিক নেতৃত্ব, সঠিক পরিকল্পনা, সঠিক বাস্তবায়ন সব কিছুই ছিল এর পিছনে। আমরা এর কোনটা করছি শুধু অতীত টানাটানি করা আর অপরপক্ষকে দোষারোপ করা ছাড়া!!!
৬| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: গ্রামে বাজার গুলিতে মহিলাদের উপড়ে পড়া ভিড় দেখলাম । কেউ মানছে না কিছু l
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০৬
সোহানী বলেছেন: মানার মতো মানসিকতা বা ইচ্ছে বা পৃষ্ঠপোসকতা কোনটাই নেই যে......
৭| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: পোস্টের সাথে একেবারেই একমত নই। মহামারীর সময়ে বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় চ্যলেঞ্জ । লকডাউন বহুকাল ধরে জারী রাখা কোন দেশেই সম্ভব নয়, সেটা যত ধনী দেশই হোক না কেন। কিন্ত যেসব দেশে করোনা সং্ক্রমন যখন উর্ধগতিতে থাকে তখন অর্থনৈতিক ক্ষতি মেনে নিয়ে হলেও মানুষের জীবন রক্ষার্থে লকডাইন জারী করে রাখার দ্বীতিয় আর কোন বিকল্প নাই। দুই তিন মাস সব বন্ধ থাকলে মানুষের না খেয়ে মরার কোন কারন নাই। শুধু খাদ্য ও চিকিৎসা সেক্টর খোলা রাখলেই খাদ্যের ঘাটতি পড়ার সম্ভাবনা নাই। দুই বেলা চাল, ডাল আলু দেশের দরিদ্র সম্প্রদায়ের জন্য সাময়িক ব্যবস্থা করা এমন কঠিন কোন ব্যপার নয়। তাছাড়া সবারই ত্রানের প্রয়োজন নেই। বাসা বাড়ীতে কাজ করা গৃকর্মীরা দেশে বসেও বেতন পাচ্ছে। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিক তার কর্মীদের পুরো বেতন না দিতে পারলেও অর্ধেক বেতন দিচ্ছে। একটা বছর ইউরোপ আমেরিকা ট্যুরের খরচ মানুষ যদি এই মুহুর্তে অন্যের জীবন বাচাঁনোর জন্য খরচ করে তাহলে অন্যের পাশাপাশি নিজের জীবনটাও বাচেঁ। কারন করোনা কাকে ধরবে আর কাকে মারবে , কেউই জানে না।আর সরকারের সদিচ্ছা থাকলেতো হাজারটা জনবান্ধব ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব যেটা অন্য দশটা দেশে হচ্ছে।
বাংলদেশে করোনা সংক্রমনের উর্দ্ধগতির এই মুহুর্তে যেভাবে লকডাউন শিথিল করা হয়েছে, তাতে ভয় হচ্ছে সামনে ইটালি, নিউইয়র্কের মত আরেকটা অধ্যায় না রচিত হয় এদেশে !
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২০
সোহানী বলেছেন: ঢাবিয়ান ভাই, যে দেশে দশ কেজি ত্রানের চালে সাড়ে নয় কেজিই চুরি হয় সে দেশের আগে সিস্টেম পাল্টাতে হবে। তারপরই সম্ভব ঘরে ঘরে চাল আলু পৈাছে দেওয়া। তার আগে নয় কিছুতেই। সরকারী ত্রাণ ছাড়াও বেসরকারী অনেক ত্রাণই কাজ করছে কিন্তু মানুষজনকে কি ঘরে রাখতে পারছে?
আর গার্মেন্টস বলেন আর অন্য কিছু বলেন, কয়টা মালিক ঠিকমতো বেতন দেয়? থাকতাে বিনা কাজে বেতন!!! ব্যাংকগুলো ঠিকমত টাকা উঠাতে দিচ্ছে না কারন রিজার্ভ নেই, গার্মেন্টসগুলো বেতন দিতে পারছে না কারন সিপমেন্ট বন্ধ, গৃহকর্মী বেতন পাচ্ছে না কারন মালিকেরই আয় নেই।........ সবখানেই নেই নেই, এ অবস্থায় ইকোনোমি সচল করা ছাড়া আর কি ই বা করার আছে!!!
৮| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ১:০৯
রাজীব নুর বলেছেন: অনেক চিন্তা করে দেখলাম,এতো চিন্তা করে কোনো লাভ নেই।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২২
সোহানী বলেছেন: হা হা হা........ অনেক চিন্তা করে দেখলাম,এতো চিন্তা করে কোনো লাভ নেই, জমিদার সাহেব।
৯| ১৪ ই মে, ২০২০ দুপুর ২:৩৪
রাবেয়া রাহীম বলেছেন: চাঁদগাজী বলেছেন:
অনেক ব্লগার বলছেন, আল্লাহ মুসলমানদের পরীক্ষ করছেন, আপনার কি মনে হয়?
"যিনি সৃষ্টি করেছেন মরণ ও জীবন, যাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করেন-কে তোমাদের মধ্যে কর্মে শ্রেষ্ঠ।
তিনি পরাক্রমশালী, ক্ষমাময়।"
আল কোরআন সূরা আল মুলক:2
ম্মুলত মুসলমানের জীবন পুরোটাই পরীক্ষার ক্ষেত্র। তব্বে এই কথাগুলো শুধু মাত্র বিশ্বাসীদের জন্য। আমি একজন আল্লাহ বিশ্বাসী তাই @চাদ্গাজী আপনার মন্তব্বের উত্তর দিলাম। দিতে ইচ্ছে করলো ।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৪
সোহানী বলেছেন: আমিন।
১০| ১৪ ই মে, ২০২০ বিকাল ৪:০৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: জীবন না জীবিকা এ দুস্টচক্রে পড়ে গেছি আমরা।
জীবন টিকাতে হলে জীবিকার দরকার, আবার জীবন না থাকলে জীবিকার কোন প্রয়োজন থাকেনা।
দুকুল রক্ষার একমাত্র উপায় উৎপাদন সচল রাখা।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৭
সোহানী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন লিটন ভাই।
জীবন না জীবিকা এ দুস্টচক্রে পড়ে গেছি আমরা।জীবন টিকাতে হলে জীবিকার দরকার, আবার জীবন না থাকলে জীবিকার কোন প্রয়োজন থাকেনা। দুকুল রক্ষার একমাত্র উপায় উৎপাদন সচল রাখা।
এ ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই।
১১| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:১৯
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন:
হ্যাঁ আপু। সহমত আপনার সঙ্গে। বিষয়টি অত্যন্ত উদ্বেগের।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৮
সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই.......
১২| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ৮:৪৩
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আমি শ্যাম রাখি না কুল রাখি হয়েছে জ্বালা . . .
এই হালেই সোনার স্বদেশ!
মৃত্যুকে বুকে নিয়েই বাঁচার স্বপ্নে পথ চলি...
হায় জীবন, এ কেমন সময়ের মূখোমূখি
ঘরে বাইরে মরন জ্বালাতেই
জীবন খুঁজে মরি!!
হে প্রভু তুমি রক্ষে করো,
করোনায় করে করুনা -
আমাদের মুক্ত করো
আমাদের রক্ষে করো।।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:২৮
সোহানী বলেছেন: আমরা আছি উভয় সংকটে। কোনদিকে যাবো জানি না। খুললে করোনায় মরবো আর ঘরে থাকলে না খেয়ে। কোথায় যাবো আমরা জানি না। একমাত্র খোলা আছে প্রার্থনা। তাইতো করে যাই........
১৩| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১০:০০
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপু, আপনার কথাগুলো অস্বীকার করছি না। কিন্তু, ওটা হলো স্বাভাবিক পরিস্থিতির জন্য প্রযোজ্য। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রত্যেকটা দেশেই খাদ্য উৎপাদন বাধার সম্মুখীন হবে; তাদের নিজেদের প্রয়োজন মেটানোটাই হবে বড়ো চ্যালেঞ্জ; এ অবস্থায় তাদের পক্ষে বাংলাদেশে খাদ্য রফতানি করবে, এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ।
এরপর ধরুন, আমাদের কলকারখানায় দেধারছে গার্মেন্টস উৎপাদন হলো। আপনার কথা অনুযায়ী সেগুলো বিদেশে রফতানি করাও সম্ভব হবে না। আর যদি হয়ও, তাহলে দেশে টাকা আসলো, আমরা টাকার পাহাড়ের উপর বসে থাকলাম- কিন্তু দেশে খাদ্য নাই, তখন এই টাকা খেয়ে তো বাঁচা যাবে না, তাই না?
বিলাসিতার সময় এখন না। প্রধানমন্ত্রীও এজন্য এ কথাটা বার বার বলছেন, এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না।
আমরা ছোটোবেলায় দেখেছি আমাদের ক্ষেতে ১ কাঠা জমিতে টেনেটুনে ১ মণ ধান হতো। ইরি ধানের আগমন এবং ইরিগেশনের ডেভেলপমেন্টের পর দেখা গেল ১ কাঠা জমিতে ৪ মণ ধান হচ্ছে। আগে যেখানে এক জমিতে ১ ঋতুতে ধান চাষ হতো, পরের ধাপে ২ ঋতুতে, বর্তমানে সারা বছরই ধান চাষের চেষ্টা চলছে। একটা গ্যাপ পাওয়া গেলে সেখানে অন্য ফসলের চাষ হচ্ছে। ফসল উৎপাদনের চিত্রটা এরকম।
বাইরে থেকে যদি খাদ্য আমদানি বন্ধ হয়ে যায়, যেই সম্ভাবনা এখন প্রবল, তাহলে মানুষ ক্ষেতের দিকেই ছুটবে। ক্ষেতের আলে বসে থাকবে কবে ফসল পাকবে (আমরা থেকেছি ছোটোবেলায়)।
মিডল ইস্টসহ অন্যান্য দেশে চাকরি করা একটা শ্রেণি আছে, যাদের জমিজমা চাষে তেমন আগ্রহ নেই, ফসলের দাম কম, লস বেশি সেজন্য। যদি করোনার কারণে বিদেশের চাকরি বন্ধ হয়ে যায়, দলে দলে শ্রমিকরা দেশে ফিরে আসবে। এরা প্রধানত গ্রামের মানুষ। এরা দেশে ফিরে এসে শহরেও কোনো কাজ পাবে না। তাদেরকে যেতে হবে লাঙল জোয়াল নিয়ে ধানের ক্ষেতে।
অব্যবস্থাপনা, ফসলের ন্যায্য দাম না পাওয়া- এ বিষয়গুলোর উপর সরকার গত বছর থেকেই জোর দিয়েছে, যখন ধান পুড়িয়েছিল কৃষকরা। এ পরিস্থিতি পুরা উল্টাইয়া যাইতে পারে, যদি দেশে খাদ্য সংকট দেখা দেয়। তবে, বর্তমান করোনা পরিস্থিতি ধান উৎপাদন ও দামের মধ্যে একটা ব্যালেন্স সৃষ্টি করবে বলে মনে হয়।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪১
সোহানী বলেছেন: সবই ঠিক আছে সোনাবীজ ভাই। কিন্তু হঠাৎ করে গার্মেন্টস্ বেইজ ইকোনমি থেকে কৃষি বেইজে আসার জন্য অনেক কিছু দরকার যা রাতারাতি সম্ভব নয়। সেই ইনফ্রাস্ট্রাকচার, মধ্যসত্বভোগীদের বিলোপ, পরিবহন ব্যবস্থা, সরকারী সাবসিডি...... অনেক কিছুই দরকার। সেটার নিশ্চিত না হলে এ কৃষিকাজের লস কাভার না হলে কৃষক কেন যাবে??
এটা অবশ্যই ঠিক জিএমও বীজ বা সার বা আধুনিক উপকরনে উৎপাদন বেড়েছে। কিন্তু ন্যায্য দাম না পেলে বা তা লাভজনক না হলে কেন তারা তা উৎপাদন করবে। এ কারনেইতো সবাই গার্মেন্টস্ মুখী হয়েছে লাঙ্গল ফেলে। আর যারা বিদেশ থেকে আসবে তখন স্যুট টাই ছেড়ে লাঙ্গল ধরার সম্ভাবনা কিন্তু অনেক কম!
আপনি কি জানেন আমেরিকা কানাডা বা ইউরোপ কি পরিমান সাবসিডি দেয় কৃষকদের!! চিন্তাই করা যায় না, ফসল হোক না হোক তারা ঠিকই লাভ ঘরে তোলে। আর আমরা!!!!! কি দেই কৃষকদের? সামান্য উৎপাদন খরচ উঠাতেই জীবন যায়। এরকম অবস্থায় কৃষিবেইজন ইকোনমি কিভাবে সম্ভব? হাঁ, সম্ভব, যদি সরকারী সদিচ্ছা থাকে, সঠিক পরিকল্পনা থাকে........।
অনেক ভালোলাগলো আপনার ভাবনাগুলো। আমারো মাঝে মাঝে মনে হয় গ্রামে ফিরে যাই... হয়তো আসবো কোন এক সময়।
১৪| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১০:১২
ডার্ক ম্যান বলেছেন: আমরা মাইনকার চিপায় পরে গেছি । ডান বাম কোথাও যাবার উপায় নাই ।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৪৪
সোহানী বলেছেন: আসলেই তাইরে ভাই। কই যামু আমরা.......
১৫| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৩৫
শের শায়রী বলেছেন: প্যাচাল দিয়া ক্যাচাল করুম না, একান্ত ব্যাক্তিগত অভিমত, এই পরিস্থিতিতে আমি অঘোষিত ছুটি ( আমাদের দেশে কিন্তু লক ডাউন না) উঠিয়ে নেবার পক্ষে। কারন বাস্তবত হল পৃথিবীর সব থেকে বড় ভাইরাসের নাম হল ক্ষুধা। এবং এই ক্ষুধা ভাইরাসের কারনেই কিন্তু আপনি দেখেন অনেকেই ইচ্ছা না থাকলেও বের হতে হচ্ছে। করোনার যে অবস্থা আমাদের দেশে এখন সবে মাত্র পীকে যাচ্ছে ফ্লাটে আসতে আরো সময় লাগবে তারপর থামতে শুরু করবে, সেটা যদি আরো দুই মাস হয় তবে কিভাবে চলবে? অল রেডি হাহাকার শুরু হয়েছে, আর দুনিয়ার যে যতই এই ভাইরাসের টীকা আবিস্কার করুক না কেন সেটা যদি আজকেও আবিস্কার হয়, এর অফিশিয়াল রেজাল্ট আসতে মিনিমাম এক বছর লাগবে (এ ব্যাপারে আমার জ্ঞান অতি সামান্য তবে বিভিন্ন পেপার পত্রিকা পড়ে যা বুজলাম একটা নতুন ওষুধ বাজারে আসতে ৩/৫ বছর সময় লাগে বিভিন্ন টেষ্ট ফেষ্ট উৎরিয়ে আসতে)। তো এই এক বছর কি আমরা অঘোষিত ছুটিতে থাকব?
কিভাবে চলব? তার থেকে একে মেনে নিয়েই জীবন চলতে হবে। হয়ত যাদের অঢেল আছে তাদের দুই চার বছর লক ডাউন/ অঘোষিত ছুটিতে সমস্যা নাই। কিন্তু ৯৯% মানুষ না খেয়ে মরে যাবে। আর প্রাকটিক্যালি কোন সরকার এটা সামাল দিতে পারবে না।
তাই জীবন চলুক জীবনের নিয়মে, বিপদকে সাথে নিয়ে, কিন্তু সব থেকে বড় ভাইরাস এর বাপ "ক্ষুধা"র কষ্ট বড় কষ্ট।
পোষ্টে এক মত জানাইয়া গেলাম।
১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৩
সোহানী বলেছেন: একেবারে মনের কথাগুলো বলে দিলেন। ক
রোনায় যা না মরবো না খেয়ে মরবো তারচেয়ে বেশী। এ ভাইরাস কবে দয়া করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিবে ততদিন পর্যন্ত না খেয়ে ঘরে দোর দিয়ে বসে থাকা কোনভাবেই সম্ভব নয়।
তারচেয়ে কাজ করে পেটে ভাত দিয়ে শরীরে শক্তি করে করোনার সাথে যুদ্ধ করি। আর ঘরে বসে থাকলেই কি মাপ পাওয়া যাচ্ছে? কোনভাবে যে আক্রান্ত হচ্ছে কেউই জানে না। যার বডি ইমিউনিটি ভালো তার শেষ রক্ষা হচ্ছে আর যার নাই সে ধরা খাচ্ছে। তাই এরকম অবস্থায় ঘরে বসে থেকে না খেয়ে মরে লাভ কি???? করোনা পজিটিভ নিয়েও কোন সিমটম নেই এমন কেরিয়ার কি কম দেশে???
এক মতের জন্য ধন্যবাদ!
১৬| ১৪ ই মে, ২০২০ রাত ১১:৫৯
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: উদ্দীপনা মূলক গান, ভালো লাগল সেজন্য ধন্যবাদ।
.....................................................................................................
বিশ্বের দেয়া লকডাউন ব্যবস্হাপনা আমাদের দেশে আংশিক সফলতা পেয়েছে ।
দারিদ্র সীমা ২০% থেকে ৮০% দিকে ধাবিত
ঘরের পার্শ্বে দরিদ্র পরিবারটি অনেক ছুটাছুটি করে ও কোন অনুদান বা আথিক
অনুদান পায়নি ।
......................................................................................................
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: ঠিক, দরিদ্র আরো দরিদ্র হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণরি দূর্ভোগ বেশী। তারা না পারে হাত বাড়াতে না পারে চুরি করতে.......
১৭| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ১২:৫৪
মুক্তা নীল বলেছেন:
করোনার চেয়েও এদেশের মানুষ মারা যাবে ক্ষুধার জন্যে।
আগামীতে করুণার সাথে যুদ্ধ করেই বেঁচে থাকতে হবে।
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:২৭
সোহানী বলেছেন: সেটাই বলতে চেয়েছি। করোনায় যা মারা যাবে তার বহগুন না খেতে পেয়ে মারা যাবে। তাই এখনই দরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা।
১৮| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ২:২৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন:
বাস্তব সত্য বলেছেন, আপু।
ইউরোপ-আমেরিকায় সামার মানেই ঘুরে বেড়ানো আর নতুন নতুন শপিং। এবার এগুলো বন্ধ বলে শপিং ও নেই। এই এফেক্ট বাংলাদেশের তৈরী পোষাক খাতকে আঘাত করবে নিশ্চিত। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অর্থনীতির একটি বড় যোগান দেয় এই গার্মেন্টস ইন্ডাস্ট্রি। এছাড়া বৈদেশিক সরাসরি রেমিট্যান্স আসা কমছে কিংবা কমবে আগামী দিনগুলোতে, বিদেশে অবস্থানরত অনেক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে দেশে ফিরতে পারেন। এগুলো মোটেও ইতিবাচক সংবাদ নয়।
তবে আমাদের কৃষি সেক্টরে বড় ধরণের বিপর্যয় আসার সম্ভাবনা কম। কৃষকের কাছে করোনা কোন বিষয় নয়, উৎপাদিত ফসল থেকে সংসারের ঘানি টেনে নেওয়াটাই আসল। আমাদের মতো দরিদ্র দেশগুলোর হারানোর তেমন কিছু নেই। হয়তো দুই বেলার জায়গায় মানুষ একবেলা খাবে। এতে এদেশের অধিকাংশ মানুষ অভ্যস্থ। যে দেশে সিংহভাগ মানুষ মৌলিক সুবিধা বঞ্চিত সে দেশে করোনা নতুন করে তাদের বঞ্চিত করার তেমন সুযোগ নেই।
উন্নত দেশগুলো করোনা পরবর্তী সময়কে বাগে আনতে অনেক বেগ পেতে হবে। টুরিজম আর খনিজ তেলের উপর নির্ভরশীল দেশগুলোর মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে এই মহামারিতে। আমাদেরও ক্ষতি হয়েছেসীমাহীন। তবে তা কাটিয়ে উঠতে খুব একটা সমস্যা হবে বলে মনে হয় না। আমরা পারবো।
ভালো থাকুন, প্রিয় আপু। খুব সাবধানে থাকুন।
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৩৬
সোহানী বলেছেন: হাঁ রেমিটেন্সের কথা বলা হয়নি। মোটামুটি বড় অংশেরই কাজ নেই। হয় তারা দেশে ফিরবে নয় তারা শূণ্য হাতে বসে থাকবে। দেশে টাকা আসার তেমন কোন সম্ভাবনাই নেই এ খাতে। তাই পোষাক খাতের সাথে সাথে এ সেক্টরেও বড় ধ্বস নামার সম্ভাবনা প্রচুর।
কৃষি সেক্টরে বিপর্যয় আসার সম্ভাবনা কম সত্য কিস্তু আমাদের দেশে কৃষি বরাবরেই অবহেলিত। এমন একটি সরকার নেই যে এ সেক্টর নিয়ে বড় কোন পদক্ষেপ নিয়েছে।
হয়তো দুই বেলার জায়গায় কিছু মানুষ একবেলা খাবে কিন্তু কিছু সহ্য করতে না পেরে হয়তো বা চলে যাবে সন্ত্রাসীর পথে। সেটা সময়ই বলে দিবে যদি না বড় কোন পদক্ষেপ না নেয়া হয়।
আমাদের কাটিয়ে উঠতে সমস্যা হবে না যদি না আমরা সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারি। সে কারনেই আমার অভিমত, ইকোনমি চালু করতেই হবে যেকোন মূল্যে।
ভালো থাকুন সবসময়ই।
১৯| ১৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:২৯
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: সম্পদের সুষম বন্টনে বাংলাদেশ অনেক পিছিয়ে । তার উপর রয়েছে দল, মত, গোষ্ঠী, ধর্ম নির্বিশেষে লুটপাট ও দুর্নীতি । জাতিগত এই বৈশিষ্ট নিয়ে সমাজ কোনোদিনই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবে । যা পারবে তা হচ্ছে সাময়িক রিলিফের ব্যবস্থা করা, লুটপাটের কারণে তাও বঞ্চিতদের কাছে পৌঁছবে ৮০% ডিস্কাউন্টেড হয়ে ।
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৩৯
সোহানী বলেছেন: সেটাই আমার কথা। ৮০/৯০ ভাগইতো ইদুঁর খেয়ে ফেলে তাহলে সাধারনের কাছে কতটুকু পৈাছাবে?
সম্পদের সুষম বন্টন এ দেশে হলেতো আর কথাই ছিল না। এরকম ধনী দরিদ্রের বিশাল ব্যধান তৈরী হতো না।
২০| ১৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৩৪
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আগের মন্তব্যে টাইপো সংশোধন:
জাতিগত এই বৈশিষ্ট নিয়ে সমাজ কোনোদিনই দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য কোনো স্থায়ী ও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারবে না ।
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:৩৯
সোহানী বলেছেন: পারে যদি সরকার চায়। সরকার যদি সৎ হয় তাহলে সবই সম্ভব।
২১| ১৫ ই মে, ২০২০ ভোর ৬:৪৩
জাফরুল মবীন বলেছেন: আনাড়ি হাতে লিখে দিলাম গানটি কবিতায়,সুধিজন যেন মোরে ক্ষমা করে দেয়
এঁকেছিলে তুমি জীবনের ছক
ছিলো কত পরিকল্পনা
জিঁইয়ে রাখতে আশাটুকু
সয়েছো পথের প্রবঞ্চনা।
ভুল পথই তোমায় দিয়েছে প্রেরণা
নতুন পথে চলার
প্রসারিত হৃদয়ে তোমারি আঁখিতে
তোমার পৃথিবী দেখার।
সাহসী হৃদয়ে দেখেছো যে পৃখি
তারই তাড়নায় এসেছো এ অবধি
সইতে হয়েছে কত আঘাত
তোমার দেহ বইছে সে দাগ।
কিন্তু তুমি তো জান
কিচ্ছুটি হবে না তোমার
যদি কখনো মনে জাগে ভয়,থেকো নির্ভয়
কারণ তুমিতো জানোনা তুমি যে কত শক্তিময়।
যদি কখনও তারারা লুকায়
হারিয়ে যাও অন্ধকারে
কান পেতে শুনিও কে যেন ডাকে
‘আয় ফিরে আয় ঘরে’।
যদি কখনো ভয়ে তুমি হয়ে যাও জড়সড়
খুঁজতে থাকো আকাশকে সমুদ্রের নীলিমায়
তখনও কান পেতে শুনো কে যেন ডাকে
‘আয় ঘরে ফিরে আয়’।
যদি অতীত তোমায় চোরাবালিতে ডুবায়
সরিয়ে পদতলের মাটি।
ভয় পেয়োনা আমিতো আছি
ধরিও আমার হাত দুটি।
হ্যাঁ আমি জানি তোমার কিচ্ছু হবে না
ঠিক হয়ে যাবে তুমি
এবং আমি জানি.....
১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৭:২৪
সোহানী বলেছেন: ও মাই গড!! আপনি এরই মাঝে এতো চমৎকারভাবে অনুবাদ করেছেন....। অসাধারন বললেও কম বলা হবে। অর্থ ছন্দ ঠিক রেখে এমন চমৎকার অনুবাদ, আমি মুগ্ধ।
আপসি সত্যিই কঠিন জিনিয়াস।
২২| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ৯:১৭
ভুয়া মফিজ বলেছেন: ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় শিমলা বেড়াতে গিয়ে একটা চমৎকার কম্বল কিনেছিলাম। বাসায় এনে দেখি, সেটা সাইজে ছোট। ফলে, মাথা ঢাকলে পা আর পা ঢাকলে মাথা বেরিয়ে যেতো। আপনার লেখা পড়ে আমার সেই কম্বলটার কথা বহুদিন পর মনে পড়ে গেল।
আমাগো সরকার পুরা বিষয়ডা শুরুতেই লেজে-গোবরে কইরা ফালাইছে। যা হওনের এখন হয়া গ্যাছে গা। নতুন কইরা কিছু করার নাই। পরিকল্পনা ছাড়া কাম করনের এইটা একটা বিরাট উদাহরন!! এখন আল্লাহর মাল আল্লাহর হাতে ছাইরা উনার সাহায্যের আশায় বইসা থাকোন ছাড়া আর কোন উপায় নাই। আধাখেচড়া কাম না কইরা সবকিছু খুইলা দেওয়া হউক.......এখন এইডাই সরকারের কাছে আমার আকুল আবেদন!
১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:২০
সোহানী বলেছেন: ভাইডি, আমাগো কম্বলখান এমনই ছোট যে ইজ্জতই ঠিকভাবে ঢাকতে পারি না থাকতো পা মাথা ।
যখন সবাই আতংকে ঘরে ঢুকছে তখন আমরা ফানুস উড়াইছি, লোকজনরে ডাইকা হাত কেমনে ধুইতে হয় তাই শিখাইছি.... আমরা লেজেগোবরে করুম নাতো কে করবে কন!!!
আসলেই তাই, আল্লাহর মাল আল্লাহর হাতে ছাইরা উনার সাহায্যের আশায় বইসা থাকোন ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
তবে, আধাখেচড়া কাম নিয়া আমি সত্যিই বিস্মিত। এখনো উনার বুঝতে পারছে না খুলবে নাকি ধরবে। কিছু খুলছে কিছু ধরছে.... এর মানেটা কি!!...
তাই সরকারের কাছে আকুল আবেদন সবকিছু খুইলা দেওয়া হউক।
২৩| ১৫ ই মে, ২০২০ সকাল ১১:০৫
আমি সাজিদ বলেছেন: কিন্তু আমাদের দেশের শাসক গোষ্ঠী নিজেদের সব সময় ইউরোপ আমেরিকার সাথে কম্পেয়ার করে কেন? আমরা তো উনাদের ভাষ্যমতে বেশ উন্নয়নশীল একটা দেশ। আমাদের প্রবৃদ্ধি করোনার মধ্যেও এবং করোনা পরবর্তী সময়ে সাউথ এশিয়ায় সবচেয়ে বেশী থাকবে। এমনকি আমেরিকায়ও নাকি নেগেটিভ। আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নাকি উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিচ্ছে! উপরের কমেন্ট পড়ে মনে হলো সরকার কিছুটা গালগল্পও করে।
১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩০
সোহানী বলেছেন: এটা ঠিক বলেছেন, কথায় কথায় আমরা নিজেদের ইউরোপ আমেরিকার সাথে কম্পেয়ার করি। আমাদেরতো উন্নয়নশীল দেশের সাথে কম্পেয়ার করা উচিত। তাহলে সরকারের দু:খবোধ কিছুটা কমবে।
স্বাস্থ্য ব্যবস্থা উন্নত দেশগুলোর সাথে পাল্লা দিচ্ছে কিনা জানি না কিন্তু করোনা রোগী চিকিৎসা পেতে পেতেই মরছে তার খবর দেখছি পত্রিকায়।
আর সরকারের গালগল্পের কথা বলে নিজেই লজ্জা পেতে চাই না।
২৪| ১৫ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:০৭
জুন বলেছেন: এই সব প্যাচাল পারতে পারতে মাথার ইস্ক্রুর প্যাচ কাইটা গেছে সোহানী। পারেনতো কিছু নতুন প্যাচাল পারেন ৷
বিডিতে থাকলে বুঝতেন আজাইরা প্যাচাল পারা লোকজনের কি অবস্থা হয়
ভালো আছেন আশাকরি। কানাডার অবস্থা কি এখন?
ভালো থাকুন সবসময়।
+
১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৩১
সোহানী বলেছেন: কি করুম কন ঘরে বাইরে এ প্যাচাল শুনতে শুনতে মাথার ইস্ক্রুর প্যাচ সত্যিই কাইটা গেছে......।
নতুন কোন প্যাচাল পারতে হবে।
২৫| ১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৮:২৭
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
ঠিকই বলেছেন, "আমাদের সে সামর্থ্য নেই।"
এদেশের কয়েক কোটি লোক দিন আনে দিন খায়, হত দরিদ্র। সরকারের পক্ষে জোড়াতালি দিয়ে এই বিপুল জনসংখ্যাকে দিনের পর দিন খাইয়ে পড়িয়ে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভবপর নয়। এর বাইরে যারা আছেন সকল প্রকার চাকুরীজীবি, ছোটখাটো ব্যবসায়ী তাদেরও বেতন নেই - আয় নেই। তারাও অভুক্ত। যদিও সরকার তার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিন্তু চালিয়ে গেলেও ( ত্রান চুরি বাদ দিয়েই ) তার পক্ষে এই কোটি কোটি মানুষকে অনির্দিষ্ট কাল বসিয়ে রেখে নূন্যতম খাবার সাহায্য চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় কিছুতেই। পৃথিবীর কোনও দেশেরই তা নেই।
জীবন আর মরনে প্রশ্ন এখন তো দু'টো- করোনা ভাইরাস আর জীবিকা। করোনায় না হয় কয়েক লাখ লোক মারা যাবে কিন্তু অনাহারে যে মারা যাবে কোটিখানেক। সাতদিন দশদিন অনাহারে হয়তো থাকা যায় কিন্তু দিনের পর দিন নয়। এতে সামাজিক অশান্তি-অস্থিরতা বাড়বে, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়বে। শুধু করোনা যে ক্ষতি করবে তাকে ঠেকাতে গিয়ে তার চেয়ে বেশী ক্ষতি হবে অর্থনীতির সমস্ত ক্রিয়াকান্ড স্থবির হয়ে যাওয়াতে।
তাই অর্থনীতির চাকা ঘোরাতেই হবে। অন্য দেশ কি করছে বা করবে সেসবে মাথা না ঘামিয়ে আমাদের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট আর রাষ্ট্রীয় সক্ষমতার পরিমাপ করেই খুব হিসেব করে, ভবিষ্যতের দিকে চোখ রেখে ঠিকঠাক পরিকল্পনা করে ধীরে ধীরে উৎপাদনের সকল রাস্তা খুলতেই হবে কার্যকরী ভাবে।
এই প্যাঁচাল পাড়াটা আসলেই দরকার ছিলো। প্যাঁচালটা পেড়েছেনও বেশ সুন্দর করে।
পরিশেষে- নিরাপদে থাকুন এই নিদেন কালে, থাকুন সুস্থ্যতার সাথে।
১৫ ই মে, ২০২০ রাত ৯:৪৬
সোহানী বলেছেন: ঠিক এই কথাটাই বলতে চেয়েছি জী ভাই। এই কোটি কোটি মানুষকে অনির্দিষ্ট কাল বসিয়ে রেখে নূন্যতম খাবার সাহায্য চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয় কিছুতেই। আমরা ধনী নই, আমাদেরকে গতর খাটাতেই হবে, আয় করেই চলতে হবে।
আমি যেটা ভয় পাচ্ছি মানুষ মরিয়া হয়ে গেলে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে। যুদ্ধ পরবর্তী দূর্ভিক্ষ আর এখনকার দূর্ভিক্ষ পরা মানুষ এক নয়। তাই যেভাবে হোক এটাকে ঠেকাতেই হবে। আর এর একমাত্র উপায় অর্থনীতি সচল করা। হয়তো করোনায় কয়েক লাখ লোক মারা যাবে সত্য কিন্তু কোটি লোক বেচেঁ যাবে, আইন-শৃঙ্খলা ও সামাজিক অশান্তি-অস্থিরতা অন্তত বাড়বে না।
তাই সরকারকে কঠোর হলেও এ কঠিন সিদ্ধান্তের দিকেই যেতে হবে বলেই আমি মনে করি।
২৬| ১৬ ই মে, ২০২০ রাত ৩:০০
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: না খেয়ে মরা আর খাবার যোগাড় করতে গিয়ে মরা।
উপসংহার তো মরা।
ভদ্রভাষায় ভয়াবহ উভয় সংকট। করোনা আমাদের এমন জায়গায় দাড় করিয়ে দিল।
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১:৫২
সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই কবি। না খেয়ে মরবে ১০০% আর করোনায় আক্রান্ত হলে মরার চান্স সর্ব্বোচ্চ ১০%। তাহলে অবশ্যই আমাদেরকে অর্থনীতির চাকার দিকেই বেশী মনোযোগ দিতে গবে।
২৭| ১৬ ই মে, ২০২০ দুপুর ১২:৩৬
মোস্তফা সোহেল বলেছেন: আমাদের কৃষি উৎপাদনে অবশ্যই জোর দিতে হবে।
তা না হলে এর ফল একদিন আমাদের পেতেই হবে।
১৭ ই মে, ২০২০ রাত ১:৫৪
সোহানী বলেছেন: এটিই মূল কথা। কিন্তু এ পর্যন্ত কোন সরকারই আমাদের মূল খাত এর দিকে নজর দেয়নি। অনেক বাঘা বাঘা কৃষি মন্ত্রী ছিল এবং আছে কিন্তু সত্যিকারের কোন পরিবর্তনই হয়নি কৃষকদের।
২৮| ১৭ ই মে, ২০২০ সকাল ৮:০৩
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: ধান উৎপাদনে দেশ এখন তৃতীয়।সমস্যা বন্টনে,বন্টনের কথা কোটি কোটি বার বলা হয়েছে ভবিষ্যতে আরো কোটি কোটি বার বলা হবে কিন্ত কিছুই হবে না ,যেটা করলে হবে সেটা কেউ করে না। সমাজের,রাষ্ট্রের একটা আমূল পরিবর্তন দরকার।
১৮ ই মে, ২০২০ রাত ৮:০০
সোহানী বলেছেন: উৎপাদন, বন্টন, বীজ, সার, দাম সব কিছুতেই দরকার নজরদারী। সরকার যদি একটু নজর দিতো এ দিকে তাহলে কৃষিভিত্তিক ইকোনমি অনেক অনেক দূর যেতে পারতো। কিন্তু এ পর্যন্ত মনে হয় কেউই তাকায়নি।
২৯| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রবাসের নিশ্চিন্ত জীবনে বসেও দেশের জ্বলন্ত সমস্যা নিয়ে ভেবেছেন, লিখেছেন, এজন্য অশেষ ধন্যবাদ।
গার্মেন্টস বন্ধ থাকলে শুধু এর মালিক শ্রমিকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা নয়। প্রচুর স্বদেশী বিদেশীকে ঢাকা ছাড়তে হবে, ফলে বাড়ী ভাড়া দিয়ে যেসব পরিবারের সংসার চলে, তাদের পেটে টান পড়বে। রাজধানীর জনসংখ্যা কমে যাওয়াতে যানবাহনের চাহিদা কমে যাবে, ফলে এসব যানবাহন (রিক্সা, থ্রী হুইলার, বাস, 'উবার' যান, রেন্ট-এ-কার ইত্যাদি) চালিয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা বিপদে পড়ে যাবেন। ট্রাভেল এজেন্সী, হোটেল পরিসেবা, ফুটপাথ ব্যবসায়ী, সবাই আয় হারাবেন। এমন ভয়ঙ্কর সব সমস্যা দিনে দিনে অগ্রসরমান। সঠিক পরিকল্পনায় না এগোতে পারলে দেশ ও জাতিকে অকুল পাথারে ভাসতে হবে। মড়ার উপর খাড়ার ঘা হবে রেমিট্যান্স প্রেরকদের স্বয়ং দেশে ফিরে আসা। সর্বোপরি, রিজেন্ট হসপিটালের প্রতারক কর্ণধারের প্রতারণার বিষয়টি লোকচক্ষুর গোচরে আসার পর পুরো জাতি আজ নিদারুণ হতাশায় নিমজ্জিত। কেউ এখন আর দুপুরের করোনা সংক্রান্ত ব্রীফিং শুনতে আগ্রহী নয়। কেননা সবাই জেনে গেছে, সরকারী বয়ানের এসব ডাটা তো প্রতারক শাহেদের সেই কম্পিটার ক্লার্কের ইচ্ছেমত বসানো, তার মত অন্যরাও হয়তো করোনা টেস্টের পজিটিভ নেগেটিভ রেজাল্টগুলো এভাবেই খেয়াল খুশীমত সরকারের হাতে দেয়, সরকারের প্রতিনিধি সেগুলোই বয়ান করে যান।
১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৫
সোহানী বলেছেন: আসলে আমরা ধান্ধা করতে করতে বিবেক মনুষত্ব বলে যে একটি বিষয় আছে তা ই হারিয়ে ফেলেছি। সবাই দেখছে টাকা উপার্জনই মূখ্য অন্য সব কিছু গৈাণ। তাই যে ভাবে পারছে ঝুলিতে ভরে নিচ্ছে। রিজেন্টের শাহেব কিংবা আরিফ সাবরিনা... আমরা ক'জনের কতা জানি। পত্রিকা যা বলেছে তা জেনেছি। কিন্তু এর বাইরে হাজার হাজর শাহেদ আছে, আরিফ আছে, সাবিরিনা আছে........... আমরা তাদেরকে জীবনের অংশ হিসেবেই মেনে নিয়েছি।
৩০| ১২ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: পরিবারগুলো থেকে চরিত্র গঠন এবং নৈতিকতা বিষয়ক নির্দেশনাগুলো উঠে যাচ্ছে। অথচ নাগরিক সচ্চরিত্রের না হলে দেশ উন্নত হতে পারেনা, এটা কেউ বুঝতে চায় না। স্কুলগুলোতেও এ বিষয়ক মোটিভেশন অনেক কমে গেছে।
ব্যাংকগুলো ঠিকমত টাকা উঠাতে দিচ্ছে না কারন রিজার্ভ নেই (৭ নং প্রতিমন্তব্য) - গত সপ্তাহে আমার একজন বন্ধু এ সমস্যায় পড়ে হতাশ হয়ে ফিরে এসেছেন।
প্রথমে আপনার দেয়া গানটির লিরীক্স তুলে আনার জন্য এবং পরে ২১ নং মন্তব্যে তার একটি চমৎকার অনুবাদ উপস্থাপনের জন্য জাফরুল মবীন কে অশেষ ধন্যবাদ এবং অভিনন্দন!
আমি যেটা ভয় পাচ্ছি মানুষ মরিয়া হয়ে গেলে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়তে পারে (২৫ নং প্রতিমন্তব্য) - এটা একটা কঠিন পূর্বাভাস! এটা যেন না হয়, তার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিতে হবে।
একটা ভাবনা জাগানিয়া প্যাচাল পেড়েছেন। মন্তব্যগুলো পড়লে বোঝা যায়, এ নিয়ে সবাই যে যার মত ভেবেছেন। তবুও, ভেবেছেন তো?
১৮ ই জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: "পরিবারগুলো থেকে চরিত্র গঠন এবং নৈতিকতা বিষয়ক নির্দেশনাগুলো উঠে যাচ্ছে। অথচ নাগরিক সচ্চরিত্রের না হলে দেশ উন্নত হতে পারেনা, এটা কেউ বুঝতে চায় না। স্কুলগুলোতেও এ বিষয়ক মোটিভেশন অনেক কমে গেছে।:
এর চেয়ে বড় সত্য নেই। আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মকে শুধু শেখাই স্বার্থপর হতে। নিজের জীবনই সব কথা, আর সব মিথ্যে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৪ ই মে, ২০২০ সকাল ১০:০৬
জাফরুল মবীন বলেছেন: করোনা আমাদেরকে মৃত্যুপুরিতে গিয়ে জীবিকা যোগাড়ের বাস্তবতায় দাঁড় করিয়ে দিয়েছে।