নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষণ কিংবা দর্শন

১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:২৯



আর পারলাম না চুপ থাকতে। ধর্ষণ নিয়ে আন্দোলনের মাঝে এইচএসসি পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত এর দাওয়াই খাইলাম। সেটা হজম না হতেই শমী কায়সারের বিয়ার খবর কোরামিন ইন্জেকশান ধরায়ে দিলো। আর যায় কই পাবলিক হেই হেই কইরা উঠলো। একেতো নারী, তার উপ্রে সেলিব্রেটি তার চাইতে ও বড় কথা বয়স পঞ্চাশ...........। আর পায় কই আমাগোরে!! সব সানডে মানডে কইরা ছুটলো শমীর পিছনে!! আরে ভাইজানরা, শমী আপু পঞ্চাশে বিয়া করে নাকি সত্তরে সেটা একান্ত তার বিষয়। সেখানে আমি আপনি কে নাক গলানোর???

শুভকামনা শমী কায়সার।

যাক আসি আসল কথায়, এবার আমারে কেউ একটু বুঝান, এতোদিন পর্যন্ত দেখতাম সুন্দরী পাইয়া, কোলের শিশুরা ধর্ষণ করতো একলা পাইয়া। এখন আমাগো সূর্য সন্তানরা আরেক ধাপ আগাইয়া গেছে......... স্বামীর সামনে থেইকা বউরে কাইড়া নেয়, মায়েরে নেয় সন্তানের সামনে থেইকা। আরো আছে প্রতিবন্ধী বা পাগল কেউই দেখি রক্ষা পাইতেছে না। এগুলা কিসের আলামত, একটু কইবেন?? সব কি ভাদ্র মাসের পাগলা কুত্তা হইয়া গেছে কিনা জানবার মন চায়।

এইগুলা, রাতদিন মোবাইলে ব্লু ফিল্ম দেইখা, রাস্তা ঘাটে মাস্তানী কইরা মাথা যদি আউলা হয় তয় দৈালতদিয়া ঘাটে যাইয়া বইসা থাক। ভদ্র সমাজে তোদের বাস থাকার কথা না। আগে বিশ্বাস করতাম অশিক্ষিত বাস ড্রাইভার, হেল্পার, বাটপাররা মাইয়া মানুষ দেখলে মাথা খারাপ হয় এখন দেখি শিক্ষিত শু...রগুলা কম যায় না।

এর কারন কি, কেন এইগুলা এমন পাগলা কুত্তা হইছে, কারন

- বিচারহীনতা: এ পর্যন্ত ধর্ষন এর পর কোন মেয়ে বিচার পাইছে?? আমার জানা নাই। উল্টা রাস্তায় রাস্তায় হয়রানীর শিকার হইছে বিচার চাইতে যাইয়া। কারন যারা ধর্ষণ করে তারা ক্ষমতাবান। তাগো বিরুদ্ধে লড়ার মত বুকের পাটা নাই এই অসহায় পরিবারগুলার।

- অসীম ক্ষমতা : এই মাস্তান গুলা এতোবেশী ক্ষমতাধর যে তারা ধরাকে সরা জ্ঞান করে। "আমার বা.. ও কেউ ছিঁড়তে পারবে না" এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী হয়ে যেকোন কাজ করতে পিছ পা হয় না। আর এসব অপরাধ তারা একদিনে করেনি। দীর্ঘদিন ধরে করে আসছে। অপরাধ করতে করতে তাদের সাহস আকাশ ছুয়ে গেছে। তারা যেনে গেছে তাদের কিছুই হবে না, কেউ তাদের কিছু করতে পারবে না।

- পারিবারিক শিক্ষার অভাব: তবে আমি বলবো তাদের মা বাব অসম্ভব লোভী। ছেলে মেয়ের প্রথম বিপথে যাবার হাতে খড়ি মা ও বাবার হাতে। তারা যদি দেখে তাদের মা বাবা লোভী কিংবা তাদের অন্যায় দেখেও চুপ থাকে তাহলে সে ছেলে খারাপ হতে বাধ্য। আমার বিশ্বাস এ বেজন্মাদের মা বাবা বিশাল গর্ববোধ করতো যে ছেলেগুলা মাস্তান এবং তারা এর এডভান্টেজ নিতো। দেখেন গিয়ে ওইগুলার মা বাপ গর্বভরে বলতো আমার পোলা আওয়ামী লীগের বিশাল পজিশানে আছে। তারপর কেউ তাগোরে তেল দিতো আর বাকিরা ডরাইতো।

-
-


নীচে আমার বোনের একটা লিখা শেয়ার করলাম, যে একটা সরকারী হাসপাতালে গাইনী বিভাগে কাজ করে। অনেক দু:খে কষ্টে এগুলো শেয়ার করতে বাধ্য হই।

"কয়েক বছর আগের একটা ঘটনা আজ শেয়ার করছি। একজন widow, 65-70 years হবে, তার ছেলে-মেয়েরা আমার চেম্বারে ওনাকে নিয়ে আসে,,,complained of excessive P/V bleeding,, পুকুর ঘাটে পরে যেয়ে injury হয়েছে। severe anaemia with shock. আমি তাড়াতাড়ি OT তে নিতে বলে নিজেই pt কে নিয়ে OT তে ঢুকলাম। examined করে তো আমার আক্কেল গুরুম। whole of vagina lacerated,,, posterior fornix ছিড়ে vault পর্যন্ত চলে গেছে। কি ভয়ংকর,,, বিভৎস..!! আমার সন্দেহ হলো, পড়ে যেয়ে এতো injury হতে পারেনা,,,, কিছু না বলে খুব কষ্ট করে reconstruction of vagina operation শেষ করে পরদিন গোপনে রোগী কে জিজ্ঞেস করলাম, এই বয়স্ক মানুষটার যে বিভৎস বর্ণনা শুনলাম,,, ভরদুপুরে পুকুর ঘাটে যাওয়ার পথে ৩/৪ জন নরপশু গ্রামের পাশে জংগলে rape করে,,, menopausal old lady তারউপরে widow,,,, short&squse vagina,, ২/৩ জন হাত ঢুকায়ে আগে ছিড়ে বড় করে তারপর... কি ভয়াবহ,,, কিন্তু উনি লোক লজ্জার ভয়ে- বড় বড় ছেলে - মেয়ে - ছেলের বউ-মেয়ে জামাই - নাতি নাতনী আছে, তাই ঘাটে পড়ে যাওয়ার কথা বলেছে,, আমার হাত ধরে অনেক অনুনয় করলো,, আমি যাতে ওনার পরিবারের এমনকি কাউকে কিছু না বলি, ওনাদের ই সন্মান হানি হবে।।। "

-
-
-
ধর্ষণে ফাসিঁর সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমার মতে সে আইন অবিলম্বে কার্যকর করা উচিত। আর শুধু ফাসিঁই না, এগুলারে জনমের মতো ধর্ষণের সাধ মিটানোর ব্যবস্থা করা হোক। এরকম কয়েকটারে জনসম্মুখে শায়েস্তা করলে বাকিগুলারও ধর্ষণ করার সাধ মিটবে জনমের মতো।


[দু:খিত পুরো লিখায় অনেক খারাপ কথা লিখার জন্য, নিজের রাগ ঝাড়ার আর কোন পথ দেখছি না। তাই লিখাই বেছে নিলাম}
-
-
-

দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল আবরার চলে যাবার। এখনো মনে করি ওই অসহায় মুখকে। এখনো রাত হলে আমি শুনতে পাই আবরারের চিৎকার, " মাগো, মাগো, মাগো............."। ভালো থাকো আবরার, ওপারে ভালো থাকো।

এক বুক কস্ট নিয়ে বেচেঁ আছি...

মন্তব্য ৫৮ টি রেটিং +৮/-০

মন্তব্য (৫৮) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৮

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বোনের শেয়ার করা ঘটনাটা পড়ে দিশেহারা অবস্থা। মানুষ কত জঘন্য হলে এত নির্মম ভাবে কাউকে অত্যাচার করতে পারে! কল্পনাকেও হার মানিয়ে গেছে।

যে-কোনো ঘটনা ঘটলেই তা খুবই হালকা করে দেয়ার একটা ঘৃণ্য চেষ্টা আছে আমার উপর মহলের - অমুক আমল থেকেই এগুলো শুরু হয়েছে, তারা তো দলগত ভাবে ধর্ষণ করতো, তারা এসব শুরু করে গেছে, এবং আরো এমন সব কথা বলা হয় যা শুনলে রাগে ক্ষোভে দুঃখে গা জ্বলে যায়। ফলে, ক্ষমতায় থাকা ধর্ষণকারীরা একদিকে পার পেয়ে যায়, অন্যদিকে অন্য অপরাধীরা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে আরো অপরাধ করার জন্য।

আরো অনেক কিছুই বলার ছিল, বলতে পারলাম না।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১২

সোহানী বলেছেন: এই দোষ চাপাচাপির মাঝেই আমাদের বাস। আর মাঝখান থেকে এর কোন সমাধান কেউ করে না। তাই কোনভাবেই কোন অপরাধ কমে না, বরং তারা ছোট থেকে বড় অপরাধী হয়ে উঠে।

এই যে দেলোয়ার, সে কি একদিনে দেলোয়ার হয়েছে? না হয়নি। দিনের পর দিন তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে রেখেছে ক্ষমতাসীনরা। আর ওই জানোয়ারগুলো অনেকদিন থেকেই মাস্তানী করে সাহস বাড়িয়েছে। আর এরকম ধর্ষণ হয়তো আরো অনেক করেছে। তাই এটাকে তেমন কোন অপরাধের কাতারে ফেলেনি বলেই আবার করেছে।

বলতে বলতে টায়ার্ড, কিন্তু বিচার কবে পাবো জানি না। আমার বোন এরকম ঘটনার সাক্ষী অনেকবার। কিন্তু এ অসহায় মেয়েগুলোর পাশে দাঁড়ানোর মতো কেউই নেই। যেখানে রাস্ট্রই তাদের পাশে নেই সেখানে আর কি বলবো।

ভালো থাকেন প্রিয় সোনাবীজ ভাই। মন খারাপ নিয়ে ভালো থাকা।

২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৮:৪৯

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আমার উপর মহলের <<< আমাদের উপর মহলের

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৩

সোহানী বলেছেন: উপর মহলের প্রত্যক্ষ মদদেইতো ওরা আজ দানবে পরিণত হয়েছে।

৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৪

সন্ধ্যা প্রদীপ বলেছেন: আমরা যা দেখি বা মিডিয়ায় শুনি তার আসল ঘটনার কিছুই না।বলা যায় ওগুলো কেবল আইসবার্গের অগ্রভাগ!

আসল চিত্র কিন্ত আরো বেশি ভয়াবহ।কতটা ভয়াবহ তার একটা উদাহরণ আপনি দিয়েছেন।শিউরে উঠেছি!

ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড হলে হয়ত অনেক ভিক্টিম জীবন হারাবে।এই চিন্তা করে অনেকেই এর বিপক্ষে মতামত দিয়ে থাকেন।তবে মানতে হবে এই প্রাইম পানিশমেন্ট একটা সোশ্যাল মেসেজ।যা কার্যকর হলে তা এই জানোয়ারগুলোকে কিছুটা হলেও ভয় পাইয়ে দেবে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ২:১৫

সোহানী বলেছেন: সন্ধ্যা প্রদীপ, শতভাবস্যথ্ যা শুনি বা দেখি বাস্তবতা তারচেয়ে কোটিগুন খারাপ। আমরা একটা দানব সমাজে বাস করছি। এ দানবকে রোখার মতো ক্ষমতা আমার আপনার নেই। রাস্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবেই।

৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:২৬

চাঁদগাজী বলেছেন:



১৯৭৫ সালের ঘটনার পর, এটাই জাতির ঠিকানা হবে, সেটা পরিস্কার ছিলো।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৫

সোহানী বলেছেন: এখন প্রশ্ন!

আপনারা যারা তখন জাতির নেতৃত্বে ছিলেন তখন কি করেছিলেন? আপনাদের ভুলের মাশুল আমাদের প্রজন্মকে কেন দিতে হবে?

৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

ভুয়া মফিজ বলেছেন: পড়লাম। পরে আবার আসুমনে। এখন ঘুমাইতে গেলাম। :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:০৬

সোহানী বলেছেন: ভালো একটা ঘুম দেন!!! সাপ্তাহ তো মাত্র শুরু! সারা সাপ্তাহতো দৈাড়াতে হবে!! এ্যানার্জি গেইন করেন.........

৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:০৩

শাহ আজিজ বলেছেন: ৭৭ সালে নিউ ইস্কাটনে শমীদের বাসায় যেতাম ইদ পার্বণে । খুবই সাধারন জীবন যাপন ছিল পান্না কায়সারের । ইদে ছেলে আর মেয়ে এবং কাজের ছেলেটির পোশাকে কোন তফাৎ রাখেননি পান্না কায়সার । টেবিল ভর্তি খাবার , বললেন আমি তুলে দেবনা , ইচ্ছেমত খাবে , না খেলে ফাকিতে পড়বে । শমী ক্লাস ফাইভেই ছবি একে শঙ্কর পুরস্কার পেলো । নিজেদের পছন্দে বিয়ে করেছে একাকীত্ব ঘোচাতে । ভাল লেগেছে খুব । ভাল থাকুক ওরা ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১০

সোহানী বলেছেন: শমীকে আমি চিনি একাধিকভাবে। সে বিস্তারিত নাই বললাম। তবে আমরা যা করছি সেটা একটা স্টুপিডিটি। একটা পূর্ণ বয়স্ক মানুষ যা করবে তার দায়িত্ব একান্ত তার। এ নিয়ে মাথা ব্যাথা করার কি আছে?? আমরা এখনো ম্যাচিউরড হলাম না।

আমি এ জীবনে সেলিব্রেটির বিয়ে মাথা ব্যাথা করেছি একমাত্র হুমায়ুন আহমেদের বেলায়। সে বিয়েতে আমি ব্যাক্তিগতভাবে কষ্ট পেয়েছি। তার ব্যাখ্যা আমি আমার অনেক লিখায় দিয়েছিলাম।

৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৩৫

রামিসা রোজা বলেছেন:
সাংঘাতিক ভয়ংকর বয়স্ক মহিলার ধর্ষন কাহিনী শোনালেন।
ধর্ষণের শাস্তি স্বরুপ ফাঁসি কার্যকর হলে হয়তো কিছুটা
কমতে পারে ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১১

সোহানী বলেছেন: হাবে না কিছুই হবে না। যা ঘটে তার ১% ও সামনে আসে না। তারউপর পিছনে থাকে ভয়ংকর শক্তিশালী কিছু হাত। অসহায়রা সেখানে নিরব থাকতে বাধ্য হয়। মরে গেলে একমাত্র ঝামেলা হয়, নতুবা সবাই হজম করে ফেলে।

৮| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৪৮

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: বিয়া কইরা ভালো করছে! একা থাকলেও দোষ !! দোকা হইলে দোষ! ---ও কি পাবলিক প্রপার্টি ??

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১২

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা..... কথাতো সেটা?? সে তো অম্রকলি নয়!

৯| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:৪৩

রাজীব নুর বলেছেন: রাগ ক্ষোভ সব কিছু লেখায় ঢেলে দিয়েছেন।
দেখা যাক এখন ধর্ষন কমে কিনা।
শমী ভালো কাজ করেছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৩

সোহানী বলেছেন: কমবে না, কিছুই কমবে না। গ্রামে বা াানাচে যে অনাচার চলে তার কিছুই কমবে না। যেখানে হাত দিলে সব ঠান্ডা হবে সেখানেইতো কেউ হাত দেয় না।

১০| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১২:৫৬

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: শমী ভালো থাকুক। বার বার ধাক্কা খাওয়া এই মেয়েটির জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৮

সোহানী বলেছেন: অনেক শুভকামনা শমীর জন্য। আমি অবশ্য ধাক্কা বলবো না, এটা তার ব্যাক্তিগত পছন্দ। ভালোলাগেনি তাই চলে এসেছে, আবার নতুন জীবন গড়েছে।

১১| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৪

নেওয়াজ আলি বলেছেন: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ‍ন্ড ।কিন্তু চার সন্তানের মা গণধর্ষণকারীও জামিন পায়। পুলিশ এবং উকিল বাবারা , নারী নিরহ মা‘দের তোরা বাঁচতে সাহায্য কর।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:১৯

সোহানী বলেছেন: কিছু হবে বলে বিশ্বাস করি না। কারন ঘর পোড়া গরু কিছুতেই বিশ্বাস হয় না।

১২| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ১:১৭

ঢাবিয়ান বলেছেন: শমি আফার বয়স পঞ্চাশ !! কন কি , দেখতেতো এখনও তরুনী লাগে। উনার নতুন বররেতো নানা দাদার মত দেখায়।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:২১

সোহানী বলেছেন: ভাই ঢাবিয়ান, সেটা একান্ত শমীর বিষয়। এভাবে জাজ করতে আমি পছন্দ করি না। ও যদি ওর দাদার মতো কাউকে বিয়ে করে সেটা একান্ত তার ব্যাপার।

১৩| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:১০

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: কী কঠিন মানুষের মন :( ভাল্লাগ না আর

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:২৩

সোহানী বলেছেন: শুধু কঠিন মন ই না আপু!! নির্দয়, পাষন্ড........ এরচেয়ে কোন খারাপ ভাষা আমার ডিকশেনারিতে নাই।

১৪| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:০৫

রায়হান চৌঃ বলেছেন: কার কাছে বিচার চাইছেন ? ২০১৮-১৯ এর নির্বাচনে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সাংসদ সদস্য, মহিলা সংরক্ষিত আসন সহ সব মিলিয়ে ৭১/৭২ জন মহিলা সংসদে আসেন- যান আর একে অন্যের মাথার উকুন বাছেন। সময় কোথায় তাদের এ সব নিয়ে ভাবার.. আমি কখনোই আশ্চার্য হবো না, যদি পত্রিকার হেড লাইনে দেখি বাংলাদেশের ওমুক মহিলা মন্ত্রী ওমুক রাতে ছাত্র- লীগ/দল/শিবির দ্বারা ধর্ষিত হয়েছে। আশ্চার্য হবোনা এই ভেবে..... ঐ যে কি যেন বলে ? "বেড়া ও ক্ষেত খায়" এই ভেবে হয়তো বা শিস বাজাবো।

কিন্তু আক্ষেপ টা কোথায় জানেন ? আমার ও একটা মেয়ে আছে..... একটা দুঃসপ্নের পর গুম ভাংলে যে অবস্তায় পড়তে হয়, আমি সারাক্ষণ সেই দুঃসপ্নের মাঝে ই বেচে আছি।

ভালো থাকবেন

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:২৯

সোহানী বলেছেন: রায়হান ভাই, এর চেয়ে সত্য আর কিছুই নেই। ৭১/৭২ জন্য মহিলা এমপি, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মহিলা, বিরোধী নেত্রী মহিলা.....। বড় বড় জায়গায় মহিলা। কিন্তু একটু ও কি পরিবর্তন হয়েছে কিছুর? মেয়েদের জন্য কি করেছে?

হাঁ কিছু আইন আছে ঠিক। কিন্তু সে আইন বাস্তবায়ন করার মতো উপর্যুক্ত পরিবেশ আছে কি??

আমি আইন চাই না!!! অঅমি চাই একটি সুস্থ্য পরিবেশ। যে পরিবেশে আমার মেয়ে থাকবে নিরাপদ।

আপনার যে দূশ্চিন্তায় ঘুম ভাঙ্গে ঠিক একই চিন্তায় আমারো ঘুম ভাঙ্গে প্রতিদিন। কারন আমারো একটি মেয়ে আছে।

১৫| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ বিকাল ৫:৩১

করুণাধারা বলেছেন: এক পোস্টে একাধিক বিষয়, কিন্তু মাথা জুড়ে আছে ৬৫ বছরের মহিলার প্রতি যে নির্মম আচরণ করা হয়েছে সেটা। আর কত রকম ধর্ষণের কথা শুনতে হবে!! এই ঘটনায় ধিক্কার জানাবার ভাষাও খুঁজে পাচ্ছি না।

শমী কায়সারের প্রতি যে আচরণ করা হচ্ছে সেটাও ন্যাক্কারজনক। প্রতিটা মানুষের কিছুটা পারসোনাল স্পেস দরকার, আমাদের এই সাধারণ ভদ্রতা জ্ঞানটুকুও লোপ পেয়েছে।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৩৭

সোহানী বলেছেন: আপু এটা একটা সামান্য উদাহরন মাত্র। এরকম ঘটনা দেশের আনাচে কানাচে ঘটছে প্রতি নিয়ত। লোকলজ্জার ভয়ে আমরা চুপ করে থাকি দিনের পর দিন। আর সে সুযোগে আমরা অমানুষদের আরো অমানুষ হবার সুযোগ দি্চ্ছি। সে অমানুষগুলো এখন হায়েনা হয়ে গেছে ..........

পারসোনাল স্পেস যে কি জিনিস তা আমরা কি জানি???? মনে হয় না, কেউ এর ধার ধারে।

১৬| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি কোথায়? মন্তব্যের উত্তএ দেবেন না?

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৩৯

সোহানী বলেছেন: সমষ্যা হলো দিন রাতে পার্থক্য। আমি যখন লিখি তখন আপনারা ঘুম থেকে উঠেন আর আমি ঘুমাতে যাই। তারপর ঘুম থেকে দৈাড় শুরু....। দৈাড় শেষ করে তারপর আবার ঘুমানোর আগে নেটে ঢুঁ মারি।

১৭| ১৩ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:৫৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: কতবার কতভাবে এসব নিয়ে প্রতিবাদ করা যায়। সুমাইয়া সিমু র বিয়ের পর ও এমন করেছে। এখন শমি ।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪০

সোহানী বলেছেন: কি করবো বলো, আমাদের হাতে অঢেল সময়। তাই এসব নিয়ে সময় কাটাই।

১৮| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৩

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: মূল্যবোধ তৈরিতে বাজেট নেই, আছে উন্নয়নের নামে ভর্তুকি

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪১

সোহানী বলেছেন: মূল্যবোধ কি জিনিস আগে তাদের সেটাতো বুঝতে হবে???

১৯| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১২:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

আমরা সবাই যদি আমাদের নিজ নিজ দ্বায়িত্ব পালন করতাম তা হলে কোন ধর্ষকের জন্ম হতোনা। কো্ন খুনী মস্তান সমাজে থাকতো না। আমরা যারা মা বাবা তারাই ইসলামের শিক্ষা, ইসলামের মূল্যবোধ এবং ইসলামের নির্দেশিত পথে চলিনা। আ্মারা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সবাই পরকীয়ায় অভস্ত। সুতরাং আমাদের ছেলে মেয়ে ধর্ষকতো হবেই!! কোন মা কোন ধর্ষক জন্ম দেয়না। জন্মের সময় শিশু নিস্পাপ হয়েই জন্মা। কিন্তু আমাদের অনৈতিক আচরণের প্রভাব তাদের উপর পড়ে যাবার কারণে তারা উচ্ছন্নে যায়। তা হলে দোষ কাকে দিবেন ?

সোহানী আপু যথার্থ বলেছেন, - পারিবারিক শিক্ষার অভাব: তবে আমি বলবো তাদের মা বাব অসম্ভব লোভী। ছেলে মেয়ের প্রথম বিপথে যাবার হাতে খড়ি মা ও বাবার হাতে। তারা যদি দেখে তাদের মা বাবা লোভী কিংবা তাদের অন্যায় দেখেও চুপ থাকে তাহলে সে ছেলে খারাপ হতে বাধ্য। আমার বিশ্বাস এ বেজন্মাদের মা বাবা বিশাল গর্ববোধ করতো যে ছেলেগুলা মাস্তান এবং তারা এর এডভান্টেজ নিতো। দেখেন গিয়ে ওইগুলার মা বাপ গর্বভরে বলতো আমার পোলা আওয়ামী লীগের বিশাল পজিশানে আছে। তারপর কেউ তাগোরে তেল দিতো আর বাকিরা ডরাইতো।

তাই আবারো বলবো সবাই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন, পুরুষ তার দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান হেফাজত করুন। নারীও তার দৃষ্টি ও লজ্জাস্থান হেফাজত করলে সমাজ থেকে ধর্ষণ নামক শব্দটি খুঁজে পাবেন না। তা না হলে মিটিং মিছিল আর প্রতিবাদ করে কিচ্ছুটি হবেনা।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৪:৪৫

সোহানী বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা বিশাল একটা বিষয়।

যেমন, ছেলে স্কুল থেকে প্রথম যখন বন্ধূর পেন্সিল চুরি করে বাসায় আনলো মা যদি তা দেখে চুপ থাকে তাহলে পরের বার সে পুরো পেন্সিল বক্সটাই চুরি করবে। আর যদি শাসন করে তাহলে আর সে কাজে হাত দিবে না।

এরকম নৈতিক শিক্ষা দেয়াতো আমরা কবেই বন্ধ করেছি।

হাঁ. পরিবারের পাশে ধর্মীয় শিক্ষা জরুরী। ধর্ম পাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।

২০| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৪৭

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিচারহীনতা, অসীম ক্ষমতা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাব - এই তিনটি কারণকে আসলে একটি মূল কারণের উপজাত (বাইপ্রোডাক্ট) বলতে পারেন। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে নৈতিকতার চরম স্খলন। জাতিগতভাবে আমরা এতটাই অসৎ ও স্খলিত হয়ে পড়েছি যে এর মধ্যে বসবাস করার কারণে আমাদের অধিকাংশই এই মূল সমস্যাটি বুঝতে সক্ষম হচ্ছি না। আর সততা ও অসততার পার্থক্যের সচেতনতা সৃষ্টির দায়িত্ব যাদের সেই নেতা, শিক্ষক ও ধর্মীয় নেতারা নিজেরাই যখন অসৎ হয়ে পড়েন, তখন সেই জাতি স্খলনের গভীরেই তলিয়ে যেতে থাকে।

এই পদে কর্মরত দুই ব্যক্তির একজনের বালিশের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা আর আরেকজনের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থার মতো সীমাহীন বৈষম্য থাকলে সেই সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলার আশা করা চরম বোকামি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: " বিচারহীনতা, অসীম ক্ষমতা ও পারিবারিক শিক্ষার অভাব - এই তিনটি কারণকে আসলে একটি মূল কারণের উপজাত (বাইপ্রোডাক্ট) বলতে পারেন। আমাদের মূল সমস্যা হচ্ছে নৈতিকতার চরম স্খলন। জাতিগতভাবে আমরা এতটাই অসৎ ও স্খলিত হয়ে পড়েছি যে এর মধ্যে বসবাস করার কারণে আমাদের অধিকাংশই এই মূল সমস্যাটি বুঝতে সক্ষম হচ্ছি না। "

শতভাগ সহমত। কিন্তু এ পাগলা ঘোড়ার লাগামতো ধরতে হবে! দেশকে বাচাঁতে হবে! এ প্রজন্মকেতো বাচাঁতে হবে......।

রাস্ট্র সমাজ সবখানে পচন ধরেছে, গভীর পচন। এ পচন ঠেকানোর জন্য আমার আপনার দু'চারটে লিখা কোন কাজেই আসবে না। উল্টো রাস্তায় পেলে আমরাই পরপারের পথ ধরতে হবে।

হয় স্রোতের টানে হা ভাসাও নয় মরো............

২১| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৫:৫১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: আমার পূর্ব মন্তব্যে টাইপো সংশোধন হবে :

একই পদে কর্মরত দুই ব্যক্তির একজনের বালিশের মধ্যে লক্ষ লক্ষ টাকা আর আরেকজনের নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থার মতো সীমাহীন বৈষম্য থাকলে সেই সমাজে শান্তি ও শৃঙ্খলার আশা করা চরম বোকামি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৫

সোহানী বলেছেন: চমৎকার কিছু কথা মালার জন্য ধন্যবাদ।

২২| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৫০

ভুয়া মফিজ বলেছেন: কয়দিন আগে গুলতেকিনরে নিয়াও একই কান্ড হইছিলো না! দ্যাশের কতকগুলান নাদানের কোন কাজ-কাম নাই, চুকলি করনই এই গুলার কাম। এগো ইগনোর করেন।

দ্যাশে ধর্ষণ মহামারীর কোন একক কারন নাই। বহু কারনের ফল এইটা। আপনে কয়টা কইছেন.....তয় আরো আছে। সবগুলার মিলিত ফল এই মহামারী। এই মহামারী অনুমিতই ছিল। আরো বাড়বো সামনে। মৃত্যুদন্ড সাময়িক বিরতি দিবো, তারপরে আবার......! আসল কথা হইলো, গোড়ায় গলদ রাইখা আগায় পানি ঢাললে কোন লাভ নাইক্কা।

৬৫-৭০ বছর বয়সের ওই মহিলার কথা পইড়া আমি বাকরুদ্ধ। কিছু কওনের অবস্থায় নাই!!! X(

আবরাররে নিয়া কিছু কইতে গেলেই সোনালীগ নিয়া কথা কইতে হইবো.......কি লাভ!!!

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: আসলে আমরা পরতে পরতে পচেঁ গলে গেছি। কিভাবে আমার আপনার ফাঁকা বুলি শুধু নীরবে ঘুরবে কোন কাজে দিবে না।

পুরো সমাজ একদিনে এরকম অধ:পতনে যায়নি। বছরের পর বছর আমরা এদেরকে পালছি, পুষছি, দুধ কলা দিয়ে নিজেই ছায়া হয়ে দাড়িয়েছি। ওই সিলেটের ওই ধর্ষকগুলা কি একদিনে এত দূর গেছে? ওই দেলোয়ার কি একমাত্র ওই মহিলাকেই আক্রমন করেছে? না হাজার হাজার ঘটনা প্রতি নিয়ত ঘটে যাচ্ছে। আর আমরা নীরবে সহ্য করছি। সহ্য করতে পারলে থাকো না হলে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাও, নতুবা মরো।

আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রী একার এক হুকুমেই সব ঠান্ডা হয়ে যাবে.... ওই লীগ বলেন আর দেলোয়ার বলেন! আর কোনভাবেই কিছু হবার নয়।

২৩| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:২৭

কাজী আবু ইউসুফ (রিফাত) বলেছেন: লেখক বলেছেন: হাহাহাহা..... কথাতো সেটা?? সে তো অম্রকলি নয়![/sb

----অম্রকলি নয় -আম্রপালি! :)

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪২

সোহানী বলেছেন: ওওওও সরি আম্রপালি ..............

২৪| ১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১০:৫৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
কি ভংঙ্করভাবে নারী ধর্ষিত হচ্ছে, পশুত্বের শেষ হোক।

দ্রুত মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলে কমে যাবে আশা করি।

১৪ ই অক্টোবর, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: কিছুই হবে না। মৃত্যুদন্ড কার্যকর হলেই কি ঘরে ঘরে সব মেয়ে নিরাপদ হবে???

হবে না, দরকার োড়া থেকে শুদ্ধি অভিযান। হাঁ, শাস্তির বিধান কিছুটা ভয় দিবে মনে এই যা। কিন্তু যখন দেখবে কিছুই বিচার নাই, তখন আরো বেপোড়োয়া হয়ে যাবে।

২৫| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ সকাল ১১:০৮

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: একটা জিনিশ আমার মাথায় ধরেনা তাহলো শমীর বিয়ে নিয়ে এতো হইচই করার কি আছে; সে বিয়ে করতেই পারে এটা তার অধিকার। সেখানে মানুষের হস্থক্ষেপ কেন? লক্ষনীয় যে, ঐ ভদ্রলোকরে নিয়ে কিন্তু কোন কথা নেই বাট শমীকে নিয়ে অনেক কথা তার মানে কি দাড়ালো --আমি মশাই ৫/১০খান বিয়ে করবো তাতে সমস্যা নেই কিন্তু তুমি কেন করবে!!!

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৪

সোহানী বলেছেন: কথা সেটাই! শমী যে মেয়ে মানুষ।

আর বেতেই বোঝা যায় কেন এরা মেয়েদের ধর্ষণ করে। এদের মানষিকতা ভয়াবহ রকমের কুৎসিত।

২৬| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:০৮

জাফরুল মবীন বলেছেন: আমাদের দীর্ঘ দিনের অসচেতনতা কিংবা নির্লিপ্ততায় সমাজে অমানুষ ভরে গেছে।এখন তাদেরই রাজত্ব,আমরা অসহায়।ঘৃণা প্রকাশ ছাড়া আর কি কিছু করার আছে?

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: সত্য। দীর্ঘদিনের নির্লিপ্ততায় আমাদের আজকের সমাজ। এখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে আছে...... ।

২৭| ১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ৯:২৭

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




খুব ক্ষেপে আছেন বোঝা গেলো । তা ক্ষেপে যাবারই কথা। যেখানে মানুষের বুদ্ধি-বিবেচনায় শেওলা ধরেছে, যেখানে পরিবার মাত্রেই কুশিক্ষার সুতিকাগার, যেখানে ক্ষমতা বিচারের দেবীর চোখে ঠুলি পরিয়ে দিয়েছে সেখানে ক্ষেপে না গিয়ে বত্রিশ দাঁতের হাসি দেয়ার কথাও নয়......................

১৫ ই অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:১৮

সোহানী বলেছেন: এর সমাধান কোথায়?? কিভাবে আমাদের প্রজন্ম বাঁচবে? কি হবে এদের??

হাজার হাজার প্রশ্ন মাথায় কিলবিল করে।

২৮| ২৩ শে অক্টোবর, ২০২০ দুপুর ২:৫২

খায়রুল আহসান বলেছেন: পোস্টে কয়েকটা ভালগার কথা থাকলেও, সাহস করে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে উচ্চকন্ঠ প্রতিবাদ জানিয়েছেন, এজন্য আপনাকে সাধুবাদ। প্রথম মন্তব্যটাতেই সোনাবীজ অপরাধীরা কিভাবে প্রশ্রয় পায়, সে ব্যাপারে আলোকপাত করেছেন, এজন্য তাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
গোটা দেশব্যাপী নৈতিকতার অবক্ষয় শুরু হয়েছে বহু আগে থেকে, সেটা একদিনে খাদে পতিত হয়নি। উন্মুক্ত অন্তর্জালের সুবাদে নীল ছবির সহজলভ্যতা, দেশের ঘরে ঘরে ধর্ষনে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি অর্জনকারী একটি ধর্ষকামী জাতির যৌনাশ্রয়ী আকাশ সংস্কৃতির অবাধ অনুপ্রবেশ, এবং আগ্রাসী চীনা বাণিজ্যের কারণে স্মার্টফোনের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সকল স্তরের জনতার কাছে সহজলভ্য হয়ে যাবার কারণে যৌন উন্মাদনা এতটা বিস্তার লাভ করেছে। সেই সাথে তো রয়েছেই ক্ষমতাধারী কর্তৃক অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেবার প্রবণতা এবং সে কারণে কখনোই অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া।
আপনার গাইনী বোনের যে কেইসটার কথা আপনি উল্লেখ করেছেন, তা পড়ে রীতিমত শিউরে উঠেছি! দ্রুতবিচার এবং বিচারিক দন্ড দ্রুত কার্যকর করার মাধ্যমে পরিস্থিতির লাগাম কিছুটা টেনে ধরা হয়তো যাবে, তবে একেবারে বন্ধ করা যাবে না।
৩ নং প্রতিমন্তব্যে আপনার "আমরা একটা দানব সমাজে বাস করছি। এ দানবকে রোখার মতো ক্ষমতা আমার আপনার নেই। রাস্ট্রকে এগিয়ে আসতে হবেই"- কথাগুলোর সাথে সহমত প্রকাশ করছি।
জাফরুল মবীন এর মন্তব্যটা ভাল লেগেছে। ঘৃণা প্রকাশ ছাড়া আম জনতা আর কী কী কাজ করতে পারে, সেটা সবাইকে ভেবে দেখতে অনুরোধ করছি।
পোস্টে ভাল লাগা + +।

২৪ শে অক্টোবর, ২০২০ রাত ১০:২৪

সোহানী বলেছেন: ১) উন্মুক্ত অন্তর্জালের সুবাদে নীল ছবির সহজলভ্যতা,
২) দেশের ঘরে ঘরে ধর্ষনে বিশ্বব্যাপী কুখ্যাতি অর্জনকারী একটি ধর্ষকামী জাতির যৌনাশ্রয়ী আকাশ সংস্কৃতির অবাধ অনুপ্রবেশ,
৩) আগ্রাসী চীনা বাণিজ্যের কারণে স্মার্টফোনের নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত সকল স্তরের জনতার কাছে সহজলভ্য হয়ে যাবার কারণে যৌন উন্মাদনা বিস্তার লাভ
৪) ক্ষমতাধারী কর্তৃক অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দেবার প্রবণতা
৫) অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার না হওয়া।

যা বলেছেন তা বর্তমান প্রেক্ষাপটের আসল চিত্রই তুলে ধরেছেন। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে? কিভাবে সমাধান হবে? সমস্যা বাড়ছেই, এর লাগাম কিভাবে ধরবে, কে ধরবে?.............

উত্তর: জানি না।

তাই এক রাশ ঘৃণা প্রকাশ ছাড়া আম জনতা আর কী কী কাজ করতে পারে!!!

২৯| ২৭ শে অক্টোবর, ২০২০ সকাল ৭:৩৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




যে বা যাহারা পরোক্ষ ও প্রতক্ষভাবে ধর্ষনের মত জগন্য কাজে জড়িত
তারা দুদিন আগে কিংবা পরে কঠীন শাস্তি পাবেই পাবে এ জগতে
ও পরজগতে ।এদের কোন মাফ নেই । কষ্ট লাগে নির্যাতিতদের
জন্য। তাদের আত্মার হাহাকার কোন দিনই যাবেনা বিফলে ।
সর্বজ্ঞ আল্লাহ সব কিছু দেখেন । তাঁর দৃষ্টির অন্তরালে কিছুই
নয় । আল্লাহ অপরাধিদেরকে শাস্তি দিতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ।
কেও আল্লার দেয়া শাস্তি এড়াতে পারবেনা , সে
যেখানেই থাকুক না কেন । দোয়া করি আল্লাহ
যেন অচীরেই, ধর্ষক, এর পয়দাকারী , মদদকারী
,রক্ষাকারী , পোষনকারী সকলকেই কঠীন থেকে
কঠিনতম সাজার আওতায় নিয়ে আসুন। তাদের
অন্তরে শাস্তির ভয়ের আগুন জ্বলুক দাও দাও করে।
অনৈতিকভাবে অর্জিত বিত্ত বৈববের অনল জ্বালায়
তারা ভস্মীভুত হোক দিবা নীশি । নীজদেশ
ও জগত থেকে ধর্ষক নির্মুল হোক চিরতরে ।
এ দুনিয়ার ক্ষমতাশীনদের কাছে এ মহুর্তে
আমরা বড়ই অসহায় বিবিধ কারণে । তাই আল্লার
কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি কর জোরে। তিনি অসীম
ক্ষমতাময় সে কথাটি যেন স্মরণে থাকে সকল পদের
ধর্ষকের। ধর্ষকের বিরোদ্ধে ধর্ষন বিনাশী দর্শন
জাগরোক হোক সকলের মাঝে ।

শুভেচ্ছা রইল


২৯ শে অক্টোবর, ২০২০ ভোর ৬:৫৮

সোহানী বলেছেন: কেমন আছেন আলী ভাই। এখন শরীর কেমন? সামনে শীত আসছে, আশা করি তার আগেই সুস্থ্য হয়ে উঠবেন।

আসলে আমাদের দেশে এটি মহামারীর আকার ধারন করেছে কারন অনেক অনেক কিছু আছে এর পিছনে। মানসিকভাবে অমানুষ হয়ে যাচ্ছি আমরা দিন দিন। আর সবচেয়ে দু:খজনক এর শিকার হচ্ছে সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠী। যাদের হাতে কিছুই নেই। না ক্ষমতা না অন্য কিছু। এমন কি রাস্ট্র ও ওদের পিছনে নেই।

মনুষত্ব্ জাগ্রত হোক, এছাড়া আর কোন প্রর্থনা নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.