নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
আমরা ভাই বোনরা কোনকালেই খুব একটা খারাপ স্টুডেন্ট ছিলাম না। তারপরও প্রতিটা রিপোর্ট কার্ডের পর বাবা খুটায়ে খুটায়ে কম্পেয়ার করতেন হায়েস্ট মার্ক আর আমাদের প্রাপ্ত মার্ক। কারন রিপোর্ট কার্ডে এই দুইটা কলামই থাকতো। কিন্তু কানাডায় আসার পর ছেলে-মেয়ের রিপোর্ট কার্ডের কোথাও হায়েস্ট মার্ক খুজেঁ না পেয়ে অবাকই হয়েছিলাম। কারন সেখানে নিজের মার্কস এর সাথে ক্লাস এর গড় থাকে। যাতে গার্জিয়ান বুঝতে পারে তার ছেলে-মেয়ে ক্লাস এভারেজ থেকে নীচে নেমে গেছে কিনা।
তবে রিপোর্ট কার্ডের সবচেয়ে গুড়ুত্বপূর্ন অংশ হলো ছয়টি মূল এরিয়া, Responsibility, Organization, Independent work, Collaboration, Initiative, Self-Regulation। অর্থ্যাৎ একটা বাচ্চা পড়াশুনায় কতটা ভালো তা নিয়ে তারা চিন্তিত নয়, বাচ্চাটি কতটা দায়িত্বশীল, নিজে গুছিয়ে কাজ করতে পারে কিনা, একা একা কাজ করার ক্ষেত্রে কতটা সফল, সবার সাথে মিলেমিশে কাজতে করতে পারে কিনা, নিজে উদ্যোগী হয়ে কোন কাজ করে কিনা আর নিয়মানুবর্তী কিনা তা নিয়ে মার্কিং করে।
সেখানে চারটি ক্যাটাগরিতে মার্কিং হয়, Excellent, Good, Satisfactory, Needs Improvement। যদি কোন বাচ্চা Needs Improvement পায় তাহলে তাকে তার জন্য আলাদা সেশান নেয়া হয়। কোথাও রেজাল্ট নিয়ে মারামারি কাটাকাটি করে না। কেউ কোন বিষয়ে ভালো না হলে টিচার তার জন্য ক্লাসেই চেস্টা করে তবে আলাদা কোন টিচার দিয়ে নয়।
আর এডুকেশান সিন্টেমে সবচেয়ে জোর দেয়া হয় বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষায়। কারন একটি শিশুর নৈতিকতার ভিত তৈরী হয় ছোট থাকতে। একবার যদি তাদের মাথায় ভালোত্ব ঢুকে যায় তখন সে সহজে খারাপ হয় না। তাদের ভাষায় অংক ইংরেজী ভূগোল ইতিহাস বেশী বয়সে শিখতে পারবে কিন্তু নৈতিকতা তাকে শিখতে হবে একেবারেই জন্ম থেকে।
আর সে কারনেই বাচ্চাদের প্লেগ্রুপ থেকে মিডল ক্লাস মানে গ্রেড ৫ পর্যন্ত পড়াশুনা খুবই সামান্য করায়, দুই ঘরের যোগ বিয়োগ গুন ভাগ। কিন্তু নৈতিক শিক্ষা দেয় প্রতিটি মুহুর্তে। বাচ্চাদের মানবিক হতে বলে, মিথ্যা বলাটা বিশাল পাপ তা শেখায়, রাস্তায় হেটে পথ চলা শেখায়, বাজারে ঢুকে বাজার করা শেখায়। ওরা গান শুধু শুনেই না সে গানের বিশ্লেষন করার চেস্টা করে, ওরা কবিতা কখনই মুখস্থ করে না, কবিতার ভাব বোঝার চেস্টা করে। ওরা প্রতিদিন খেলাধুলা করে, প্রচন্ড বরফের মাঝে ছুটোছুটি করে, বৃস্টি কাঁদার মাঝে গড়াগড়ি করে। ওদের নিজেদের আত্ববিশ্বাস বাড়ানোর জন্য অনেক কিছু করায়। অন্যকে উপহাস করা, আঘাত করা, বুুলি করাকে বিশাল অপরাধ হিসেবে গণ্য করে।
এবার আসি দেশের অভিজ্ঞতা...........
আমার এক আত্বীয়ার মেয়ে ক্লাস টেনে পড়ে। ক'দিন আগে একটা কাজে ওকে ফোনে চাইলাম তখন বাংলাদেশ সন্ধ্যা ৭ টা। আমার আত্বীয়া বললো ও কোচিং এ। তখন না পেয়ে আবার ফোন দিলাম সকাল তখন ৭টা। তখনো বললো কোচিং এ। আবার ফোন দিলাম রাত ১০ টায়। বললো, ও এখন টিচারের কাছে পড়ছে!! আমি ঠিক বুঝে উঠতে পারলাম না সকাল বিকাল সন্ধ্যা রাত সারাক্ষনই সে হয় কোচিং এ নয় টিচারের কাছে। তাহলে নিজের সময় কোথায়? খাওয়া, ঘুম, রিলাক্স, খেলাধুলা, আড্ডা সেগুলো করে কখন, আত্বীয়ার কাছে জানতে চাইলাম। ও যা উত্তর দিলো তা শুনে আমার ভিমড়ি খাওয়ার অবস্থা। আমাদের কথোপকথোন তুলে ধরলাম....
সারাদিনই ওকে পাই নাই... হয় টিচারের কাছে নতুবা কোচিং এ থাকে, কতজন টিচার তার?
সব মিলিয়ে ১০ জন শিক্ষক বাসায় কিংবা কোচিং এ পড়ায়।
বলো কি? এতজন কেন?
আরে ওরতো মাত্র ১০ জন। ওর ক্লাসের সবার ১২-১৪ জন। প্রতিটি সাবজেক্টে আলাদা টিচার।
ও খায় কখন, ঘুমায় কখন, নিজে পড়ে কখন?
বাসায় ঢুকলেই আমি ওর পড়ার মাঝে মুখে খাবার তুলে দেই। আর কোচিং এর ফাঁকে ফাঁকে খায়। এখন রাত একটা দেড়টার দিকে ঘুমায় আর ৬টায় উঠে। কারন সকালে একটা কোচিং আছে। ওই স্যারকে অনেক কষ্টে ম্যানেজ করেছি। আর নিজের পড়া লাগে না, টিচাররাই পড়িয়ে দিয়ে যায়।
রিলাক্স, খেলাধুলা, আড্ডা সেগুলো করে কখন?
আরে ক'দিন পর এসএসসি। পরীক্ষার সময় আবার রিলাক্স, খেলাধুলা, আড্ডা কেন?...............
.............................
এই হলো আমাদের দেশের হাল আমলের রোবট সন্তানরা। আমরা আমাদের বাচ্চাদের মানুষ বানানোর নামে রোবট বানাচ্ছি। আমারা শুধু শিখাই দৈাড়াও দৈাড়াও দৈাড়াও। তোমাকে প্রথম হতে হবেই হবে। এছাড়া কোন স্থান নেই। কিন্তু আমরা ভুলে গেছি আদর্শ লিপির শিক্ষা দেবার কথা, মানবিকতা শেখানোর কথা সর্বোপরি মানুষ হবার কথা।
আমি কখনো বলি না যে কানাডার প্রতিটা বাচ্চাই আদর্শবান হয়ে উঠছে। কিন্তু বলবো মানবিক গুনগুলো তারা জন্ম থেকেই শেখানোর চেস্টা করে। আর আমরা জন্ম থেকেই তাদের টাকা উৎপাদনের মেশিন বানানোর চেস্টায় থাকি।
চলেন কিছু ছবি দেখি বাচ্চাদের স্কুলের......
ইয়ার শেষে স্কুলের অনুষ্ঠান। বাচ্চারা গান গেয়ে নেচে দারুন একটা অনুষ্ঠান উপহার দেয় বাবা-মায়েদের।
এগুলো আমার ছেলের ছবি। সে প্লেন চালিয়েছে, স্কি করেছে, হাইকিং করেছে অন্যসব বাচ্চাদের সাথে।
সবাই ভালো থাকেন। আর আগের শিশুদের নিয়ে পোস্ট পড়তে চাইলে ক্লিক করতে পারেন।
আসেন একটু কঠিন বিষয় নিয়া আলাপ আলোচনা করি.....
একটি বিজ্ঞান বক্স, শিশু শিক্ষার সেতুবন্ধন- স্বদেশ এবং বিদেশ
-
-
ও বাই দা ওয়ে, একটি সুসংবাদ আমার জন্য........ ব্লগে এই প্রথম কেউ আমাকে তার কমেন্টে ব্লক করেছে। আলহামদুলিল্লাহ। এমনিতেই সময়ের টানাটানিতে থাকি। তাই প্রিয় সবার লেখার মন্তব্য করে উঠতে পারি না। সেরকম একজন যদি আমার জন্য তার দরজা বন্ধ করে দেন তাহলে আমি কৃতার্থ, কিছুটা সময় বেচেঁ গেল।.........
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০০
সোহানী বলেছেন: আসলেইরে ভাই এদের পার্সোনাল লাইফ বলে কিছু সত্যিই থাকে না। এবং এ নিয়ে বাবা মায়েদেরও যে কোন চিন্তা আছে তা মনে হয়নি। ইনফেক্ট আমিও দেশে থাকতে এর বাইরে চিন্তা করতে পারতাম না। এখন দেশের বাইরে এসে কম্পেয়ার করতে পারে। তাই পার্থক্যগুলো খুব চোখে লাগে।
এই সিস্টেম আদর্শ কোনো মানুষ তৈরি করতে পারছে না বলেইতো দেশের আজ যুব সমাজের এ অধ:পতন। কেউ কি একটু ওদের নিয়ে ভাববে?
ভালো থাকুন নকিব ভাই।
২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
এখানেও তাই আপু । পড়ালেখার পাশাপাশি অন্য এরিয়াগুলোতেও ফোকাস করা হয় । পরিবারতো আছেই বেস্ট স্কুল, পাশাপাশি মানুষ গড়ার কারিগর স্কুল থেকেই একটা বাচ্চা নৈতিকতা শেখে । একজন ভালো মানবিক মানুষ হতে হলে যা কিছু শেখার প্রয়োজন সেটাই শেখানো হয় ।
যে ঘটনাটা বললে , যারা এরকম করে, ওটা আসলে যতটুকু কেয়ারিং তারা বাচ্চার প্রতি বোঝায়, তারচেয়ে বেশী মায়েদের কমপিটিশন আর শো অফ । এতে বাচ্চার অবস্থা নাজেহাল । বাচ্চাদের সাথে এটা একধরণের অত্যাচার । আমার এক আত্মীয়কে দেখেছি একদম তোমার বর্ণনার সাথে মিলে যায় । এক কোচিং থেকে আরেক কোচিং – এ যাবার সময় গাড়িতে মা বাচ্চাকে মুখে তুলে খাওয়ায় ।
রোবট কিনা জানিনা, আমি বলবো ছেলেমেয়েগুলো আন-সোশ্যাল হয়ে যাচ্ছে । শৈশব কৈশোরের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । জীবনের আরও অনেক দিক তাদের না শেখা না জানা থেকে যাচ্ছে । ওরাও পরবর্তীতে তাদের বাচ্ছদের সাথেও তাই করবে ।
সোহানীপু তোমার ছেলের জন্য শুভেচ্ছা । এখানে এ বিষয়টা খুবই ভালো লাগে ওরা ছোটবেলা থেকেই বিভিন্ন স্কিল আর এক্টিভিটিজে ইনভল্ভ হয় যা পরবর্তী সময়েও জীবন উপভোগ করতে শেখায় ।
অপ্রাসঙ্গিক একটা কথা, লেখাপড়া করেছি, গাড়ীতে চড়েছি কিন্তু ঘোড়া যে চড়া হলনা আপু ওটার কি হবে
হর্স রাইডিঙের খুব ইচ্ছা ছিলো একসময় কিন্তু বন্ধুবান্ধব কেউ রাজি হয়না তাই একা করে আর শেখা হয়নি ।
যখনই কান্ত্রিসাইডে যাই তখনই মিস করি , মনে হয় ইস আমিও যদি পারতাম !!!!
গ্রিন ভ্যালিতে ঘোড়া নিয়ে ছুটে বেড়ানো খুব ভালো লাগে দেখতে
বাই দ্যা ওয়ে, কানে কানে বলে যাও কে ব্লক করেছে । আমাকেও করেছে, ইনিই কি তিনি ???
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৮
সোহানী বলেছেন: হর্স রাইডিং তো অস্ট্রেলিয়ায় খুব কঠিন কিছু না । চাইলেই পারা যায়। কেউ রাজি না থাকুক তুমি একাইতো একশ......।
মনেতো হচ্ছে ইনিই তিনি। তবে খুব হাসলাম এ কারনে যে উনি এ বয়সে কতটা ছেলে মানুষ। এখনো ম্যাচিউরিটি উনার আসেনি। পাবলিকলি নাম বলে আর উনাকে লজ্জা দিতে চাই না। আমার জন্য ধাক্কার মতো কারন উনি বরাবরেই নিজেকে দেশের একজন কেউকাটা গোছের লেখক বলে দাবী করতেন। কিন্তু মানিসকভাবে যে উনি এতোটা অপরিপক্ক তা বুঝে অবাকই হলাম।
ভালো থাকো। আমারে যে কোন গান দিলা না...............
৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৬
মিরোরডডল বলেছেন:
********বাচ্চাদের সাথে******
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০৮
সোহানী বলেছেন:
৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৯:২৯
নজসু বলেছেন:
আস সালামু আলাইকুম আপা। আশা করি ভালো আছেন। আপনার লেখা পাঠ করে বাস্তবতাকে উপল্বদ্ধি করা যায়।
বাহিরের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার আর আমাদের দেশের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার ধরণটা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন।
আমাদের দেশের অতি সচেতন অভিভাবকরা (!!??) সম্ভব হলে বাচ্চাদের ঘুমের ভিতরেই আলাদা একজন শিক্ষক ঠিক করে দিতেন। যেন উনি স্বপ্নের মাধ্যমে তাদের সন্তানদের শিক্ষা দিতে পারেন। আমাদের দেশের স্কুলগুলোতে ঠিকমতো ক্লাশ হয়না।
বারো মাসে তের পার্বণের বন্ধ থাকে। যেটুকু হয় সেটুকুতে শিক্ষক মহোদয়রা ঠিকমতো ক্লাশ নেননা। দু'একজন শিক্ষক ব্যতিক্রম থাকতে পারেন। আপনার বর্ণনার দেশের শিক্ষার চিত্র পাল্টাতে হলে সবার আগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের ঠিক করতে হবে। কিংবা শিক্ষকদের অর্থের প্রতি যে লোভ আছে সেটা দূর করতে হবে। দেশে যে হারে কোচিং এবং বেসরকারি স্কুল প্রতিষ্ঠা হচ্ছে, এর ধারাবাহিকতা চলতে থাকলে শিক্ষার মূল লক্ষ্য ব্যর্থ হবে খুব তাড়াতাড়ি, যদিও অনেকাংশে ব্যর্থ হয়েছে। সৃজনশীল শিক্ষার্থীর অভাবে পড়বে রাষ্ট্র ও সমাজ। যদিও আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত সৃজনশীল পদ্ধতি। প্রতি বছর শুনি এবং দুদিন আগেও শুনলাম সরকার নোট, গাইড বই এবং কোচিং সেন্টার বন্ধের জন্য কঠিন ব্যবস্থা নিচ্ছে। এই কঠিন ব্যবস্থা ধীরে ধীরে প্রতি বছর তরলে পরিণত হচ্ছে। কাজের কাজ কিছুই হচ্ছেনা। আপনার ছেলে যেভাবে বেড়ে উঠছে তাতে সে প্রকৃতির ছোঁয়া পাচ্ছে। নৈতিকতার শিক্ষা পাচ্ছে। আমাদের দেশের বাচ্চারা রবীন্দ্রনাথের তোতা পাখির মতো পুঁথি গিলছে। যাদের পেট বা মাথা কাটলে শুধু ছেঁড়া পুস্তকের পাতাই পাওয়া যাবে। বিদ্যা পাওয়া যাবে না। মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস দমনের মতো কোচিং–বাণিজ্যও বন্ধ করতে হবে। তা না হলে আমাদের বাচ্চারা মুখস্থবিদ্যা ক, খ আর এ, বি, সি, ডি বলবে। সৃজনশীলতা থাকবে না। হারিয়ে ফেলবে অনেককিছু। ক্ষতি হবে নিজের, সমাজের, রাষ্ট্রের।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৩
সোহানী বলেছেন: আসলে সত্যি কথা শিক্ষকদের আমি খু দোষ দেই না। ওনারা সিস্টেমের সুবিধা নিচ্ছেন। আর আমাদের দেশে শিক্ষকদের যে বেতন দেয়া হয় তা দিয়ে বাড়ি ভাড়াই দেয়া সম্ভব হয় না। সে কারনে উনার বিকল্প পথ দেখবেন সেটাই স্বাভাবিক। পাল্টাতে হবে আমাদের সিস্টেম, মানসিকতা........। অনেক কিছুই ঠিক হয়ে যাবে তার সাথে সাথে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্যে।
৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:০১
নূর আলম হিরণ বলেছেন: আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বাচ্চাদের পড়ালেখার প্রতি অনীহা তৈরি করে দেয়।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪
সোহানী বলেছেন: সহমত। আমাদের শিক্ষায় কোন আনন্দ নেই। আতংক আছে শুধু।
৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৬
জুল ভার্ন বলেছেন: দুই মেরুর শিক্ষা ব্যবস্থায় পার্থক্যটাও দুই মেরুর দুরত্বের মতো।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৪
সোহানী বলেছেন: দূরত্ব আছে বলেই লিখলাম। যদি কোনদিন কারো বোধদয় হয় এ সিস্টেমের প্রতি।
৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৫
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
ঠিক বলেছেন --- দৌড়...দৌড়...দৌড়। কিন্তু কেন দৌড়, কিসের দৌড়, কতোদূর দৌড় এসবের কিছুই না জানিয়ে বা বুঝিয়ে আমরা তাদের দৌড়ের উপরেই রাখছি । ফলে বোঝা টানা গাধার মতো জিহ্বা বের করে প্রানান্ত হওয়ার যোগাড়।
যে বাবা-মায়েরা এসব দৌড় পাড়াচ্ছেন তাদের বাচ্চাদের, তারাও কি অমন দৌড়ে ছিলেন, মাঝে মাঝে ভাবি। মনে হয় বিশ-পচিশ বছর থেকে এই দৌড়ের শুরু হয়েছে । তাই যেসব বাবা-মায়েরা এখন দৌড় পাড়াচ্ছেন তাদের অনেকেই নবীন। একটু প্রবীনতার দিকে যারা তারা সনাতনী পদ্ধতিতেই পড়াশোনা করেছেন, যেখানে দৌড় ছিলোনা - ছিলো শেখা ও শেখানোর আনন্দ। এই দলের বাবা-মায়েরা কি জীবনে একবারেই ব্যর্থ দৌড় না দিয়েও ? মনে হয়না ।
কিন্তু তারাও এই দৌড় খেলায় নিজেদের সন্তানদের ঠেলে দিচ্ছেন কেন ? "রুট-কজ"টি খুঁজে দেখা দরকার।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:১৯
সোহানী বলেছেন: "রুট-কজ"টি হলো পিতা মাতা উনাদের ব্যার্থতার ভার সন্তানের উপর চাপাতে চান। আর সে কারনেই দেখেন প্রতি বছর বেশ ক'জন এসএসসি বা এইচএসসি বাচ্চা আত্মহত্যা করে। অথচ এ ১৪/১৫ বছরের বাচ্চাগুলোর কাধেঁ কি ভীষন বোঝা আমরা চাপিয়ে দেই।
আর তার সাথে কঠিন কম্পিটিশান, আমাদের মানসিকতা, সিস্টেম সব কিছুই দায়ী। কিন্তু এ দৈাড়তো থামাতে হবে? দেশের এ প্রজন্মকে তো বাচাঁতে হবে। কেউ কি একটু ভেবে দেখবে এ দিকটা????
৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
আমি সাজিদ বলেছেন: সোহানী আপু, আমাদের দেশে স্কুল জীবন থেকে স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপর কোন জোর দেওয়া হয় না। আমাদের সময় এই আট দশ বছর আগেও স্কুলে স্কুলে স্কাউট ও গার্লস গাইড ছিল। এখন এতো প্রতিযোগিতার চাপে এগুলো আছে কিনা কিংবা থাকলেও ছাত্র ছাত্রীদের অংশগ্রহণ কেমন সেটাও বিবেচনায় নেওয়ার মতোন বিষয়। জীবনমুখী শিক্ষার প্রভাবকে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলো ও চাকরির বাজার দখল করে ফেলেছে। অবাক লাগে সাধারন কোন বিষয়ে গ্রাজুয়েশনের পর বাংলাদেশে ইদানীং ছেলেপেলেরা দেড় দুই তিন বছর অস্থায়ী কোন চাকরি করে বা বেকার থেকে সরকারি চাকরির জন্য ক্লাস এইট নাইন টেনের বইগুলো আবার পড়ছে! বাংলা ব্যাকরন শিখছে, গ্রামার কারেক্ট করছে৷এমন সংস্কৃতিতে কি আশা করি আর?
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২২
সোহানী বলেছেন: স্কুলে স্কাউট ও গার্লস গাইড নেই এখন? আমিতো গার্লস গাইড করতাম।
স্কিল ডেভেলপমেন্ট কি জিনিস তা আমরা ভুলেই গেছি। আমরা শুধু আই এম এ জিপিএ ফাইভ উৎপাদন করছি।
৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৬
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আপনার মত নিরীহ একজনকে কে আবার ব্লক করলো।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহা আমি মোটেও নীরিহ না। আর সে কারনেই ঘটা করে পোস্টে লিখেছি। আজই উনার একটা পোস্টে কমেন্ট করতে যেয়ে দেখি উনি আমাকে ব্লক করে রেখেছেন..........। নামটা নাই বলি। পাবলিকলি কাউকে লজ্জা দিতে আমার খারাপ লাগে।
১০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:০০
মিরোরডডল বলেছেন:
মনেতো হচ্ছে ইনিই তিনি। তবে খুব হাসলাম এ কারনে যে উনি এ বয়সে কতটা ছেলে মানুষ। এখনো ম্যাচিউরিটি উনার আসেনি। পাবলিকলি নাম বলে আর উনাকে লজ্জা দিতে চাই না। আমার জন্য ধাক্কার মতো কারন উনি বরাবরেই নিজেকে দেশের একজন কেউকাটা গোছের লেখক বলে দাবী করতেন। কিন্তু মানিসকভাবে যে উনি এতোটা অপরিপক্ক তা বুঝে অবাকই হলাম।
এই কথাগুলো বলেছিলাম বলেই আমি একজন কালপ্রিট আর মেন্টাল পেশেন্ট
উনি আমাকে প্রেস্ক্রাইব করেছেন সাইকিয়াট্রিস্ট দেখাতে
যাইহোক, নিন্দুকের মুখে ছাই !
তোমার জন্যও একটা প্রিয় গান ......
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৭
সোহানী বলেছেন: আমার মনে হয় উনি ক'দিন ধরে গ্যাস্ট্রিক এর সমস্যায় ভুগছেন। তাই অনেক উল্টাপাল্টা মন্তব্য করে শেষে দেখলো যে আমরা খুব একটা পাত্তা দিচ্ছি না তখন রাগে দুক্ষে ব্লক করেছেন.........হাহাহাহাহ
গানটা আমারো খুব পছন্দের। মেনি থ্যাংস্...।
১১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৩৭
জুন বলেছেন: এই বিষয় নিয়ে আমি কোন পোস্ট কখনো দেইনি সোহানী তবে অনেক মন্তব্য করেছি। ভর দুপুরে নার্সারির ছেলেকে স্কুলের ক্লাশ শেষে হাত ধরে টানতে টানতে কোচিং এ নিয়ে যাচ্ছে মা। শুকনা পল্কা ছেলেটার পরনে তখনও স্কুল ড্রেস।
আমার ছেলেকে কিছু না শিখিয়েই নার্সারিতে ভর্তি করিয়েছিলাম যে যাই শিখুক স্কুল থেকে শিখবে। ওমা দুই দিন পর স্কুল থেকে কমপ্লেন "আপনার ছেলে বাংলাদেশে কয়টা বিভাগ, কয়টা জেলা উপজেলার নাম জানে না, দশটা সাদা ফুল, ফলের নাম জানে না "। আমরা স্বামী স্ত্রী টাসকিত
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৭
সোহানী বলেছেন: একই পরিবেশ পরিস্থিতি দেশে পার করে এসেছি আপু। ক্লাস ওয়ানের ভর্তি যুদ্ধে ছেলের উপর রীতিমত স্টিমরোলার চালিয়েছিলামরে আপু। অথচ এ বাচ্চাগুলা কি বোঝে?? তাদেরকে পাতার পর পাতা মুখস্থ করাতাম।
১২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:১৫
নীল আকাশ বলেছেন: এডুকেশান সিন্টেমে সবচেয়ে জোর দেয়া হয় বাচ্চাদের নৈতিক শিক্ষায়। কারন একটি শিশুর নৈতিকতার ভিত তৈরী হয় ছোট থাকতে।
<আর আমাদের দেশে বাচ্চার দেখে বাবা মা ঘুষ দিয়ে কিভাবে স্কুলে ভর্তি করে। ফলাফলঃ দেশের রাজৈনিতক ব্যক্তিত্বরা।
আর সে কারনেই বাচ্চাদের প্লেগ্রুপ থেকে মিডল ক্লাস মানে গ্রেড ৫ পর্যন্ত পড়াশুনা খুবই সামান্য করায়, দুই ঘরের যোগ বিয়োগ গুন ভাগ।
< বলেন কি আইন্সটাইন হবার সুযোগ তো মিস হয়ে গেল! দেশে সব বাবা মা নিজের বাচ্চা'কে আইন্সটাইন বানানোর জন্য মাঠে নামে স্কুলে ভর্তি করেই।
রিলাক্স, খেলাধুলা, আড্ডা সেগুলো করে কখন? আরে ক'দিন পর এসএসসি। পরীক্ষার সময় আবার রিলাক্স, খেলাধুলা, আড্ডা কেন?...............
<লেখাপড়ার মঝে আপনি আবার বাচ্চা দের ফাকি দেয়া সুযোগ করে দিতে চান নাকি? বাচ্চার খাওয়া আর ঘগুম বাদে বাকি সব সময় পড়বে। বেশি পড়ে আইন্সটাইন হবে।
সেরকম একজন যদি আমার জন্য তার দরজা বন্ধ করে দেন তাহলে আমি কৃতার্থ, কিছুটা সময় বেচেঁ গেল।.........
< এইসব ধান্দাবাজি একেবারেই বন্ধ। সময় ব্লগে দিতেই হবে।
ভালো থাকুন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৩
সোহানী বলেছেন: আকাশ ভাইরে, আমার আগের লিখায় অনেক প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু কথা হলো এর জন্য পুরোপুরি মা-বাবাকে দায়ী করবো না। আমাদের সিস্টেম এভাবেই গড়ে উঠেছে। কম্পিটিশানে টিকতে হলে এভাবে তাকে ভালো নাম্বার তুলতে হবেই হবে। ভালো নাম্বার তুলতে না পারলে মেডিকেল বুয়েট ইউনিতে ভর্তির সুযোগ মিলবে না। তাই অনেকটা বাধ্য।
কিন্তু কথা হলো এতো ছোট বয়সে চাপটা দেয়া কেন? একটু শান্তিতে ছোট্ট শৈশবটা কাটাতে দিক আগে!!
.....
ভাইরে, রুটি রুজি ধান্দায় থাকি বেশীরভাগ সময়। সময় কই? তারপরও যতটুকু পারি ব্লগে ঢুকি।
১৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪
সড়কযোদ্ধা বলেছেন: লেখা পড়া করে যে গাড়ি চাপায় হত্যাকাণ্ডের শিকার সে- ধিক- Oops
শহীদ#আদনান_তাসিন,যে বিশ্বাস করতো ২১ মানে মাথা নত না করা কিন্তু বাস্তবে? আমারা সবাই মাথা নত করে রেখেছি সড়কের #ঘাতক #হায়না #শকুন #জারজদের সামনে, তারা একে একে হত্যা করেই চলেছে আমরা নিরবতা পালন করছি – কেউবা #হায়নাদের ভয়ে আর কেউবা তাদের উৎসিষ্ট খেয়ে চুপ,
মাথা নত যদি করেই রাখতে হয় তবে - শহীদমিনারে ফুল দিয়ে কি হবে?
বাংলায় কথা বলতে দিবে না বলে আন্দোলন - রক্ত - শহীদ......
আর সড়কের ঘাতকরা চিরতরে কথা বলা বন্ধ করে দিচ্ছে চাকায় পিষ্ট করে কিন্তু সবাই চুপ, তবে কি হবে এইসব করে #শহীদমিনারে গিয়ে সেলফি তুলে?
যে কুকুরের বাচ্চা ভাঁড়ামি আতলামি করে বলেন “জেব্রাক্রসিং” রাস্তা পার হতে সেই কুকুরের বাচ্চাদের কাছে প্রশ্ন কেন আদনান তাসিন , আব্রারদের হত্যা করা হল, কেন “জেব্রাক্রসিং” রক্তে লাল হয়ে আছে?
১১ই ফেব্রুয়ারী #আদনান_তাসিন মরনফাঁদ নামক “জেব্রাক্রসিং” দিয়ে রাস্তা পার হতে গিয়ে #ঘাতক #হায়না #শকুন #জারজ তাকে শিক্ষার্থীর পোশাকে দেখে ক্রোধে আক্রোশে তাকে হত্যা করে অট্ট হাসি দিতে দিতে চলে যায় - নিথর হয়ে পড়ে থাকে তার নরম তুলতুলে শরীর - যে শরীরে কোনদিন পলকের আঘাত লাগেনি - #আদনান_তাসিন কবরে আর #ঘাতক বুক ফুলিয়ে ঘুরে
#আদনান_তাসিন কে #ঘাতক নৃশংস ভাবে হত্যা করেছে, তার আর্তচিৎকার কষ্ট বেদনা, বেঁচে থাকার চেষ্টা, তার পাশে থাকা সুবিধা ভোগী – তার বন্ধু নামক জারজেরা, নপুংসক
সহপাঠী- শিক্ষক- প্রিন্সিপাল...... Baridhara Scholars' International School and College - BSISC এবং St. Joseph High School, Dhaka, Bangladesh এর কারোরই হৃদয় দাগ কাটাতে পারেনি, অনেকে স্বার্থের আফিম খেয়ে ... অথচ যারা #আদনান_তাসিন কে দেখেনি চিনেনা, দেশের সকল বিবেকবান মানুষ, শিক্ষার্থী, সমগ্ৰ পৃথিবীতে এখন সকলে মেধাবী শিক্ষার্থী আদনান তাসিন হত্যার বিচারের দাবিতে আন্দোলন করছে! অথচ তার শিক্ষা নামক প্রতিষ্ঠান-সহপাঠী- শিক্ষক- প্রিন্সিপাল......স্বার্থের আফিম খেয়ে রহস্যজনক ভুমিকায় যাতে #আদনান_তাসিন হত্যাকাণ্ডের বিচার ঢাকা পড়ে ! যদিও #আদনান_তাসিন হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবিতে লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী – আইনজীবী – সাংবাদিক – সাধারন মানুষ আন্দোলন করছে!
আজ নিস্পাপ #আদনান_তাসিন কে হত্যা করেছে - কাল আপনার সন্তান – স্বজন – আপনাকে হত্যা করবে ঠিক একি ভাবে, কারন আপনি - আপনারা- মাথা নত করে আছেন সেইসব #হায়না #শকুনের কাছে, আর নীতিনির্ধারক-প্রশাসন আছে গপালভাঁড়ের ভুমিকায় - সন্তান মরে আমাদের আর তারা অট্টহাসি হাসে - ভাঁড়ামি করে - কারন তাদের সন্তানদের তো কেউ হত্যা করছে না - ্ব
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০
সোহানী বলেছেন: ভাই সড়কযোদ্ধা, আপনি যা বলেছেন তা নিয়ে আমরা বরাবরেই সমর্থন জানিয়ে আসছি। কিন্তু আমরা এ সাধারন ব্লগারদের আর কি ক্ষমতা আছে?
দেখুন, ক'দিন আগেই ব্লগে দেখলাম ইলিয়াস কাঞ্চন কে নিয়ে একজন মন্ত্রী উপহাস করছে এবং তাকেও সমর্থন দেবার লোকের অভাব হয়নি ব্লগে। এ ছোট একটা ব্লগেই যদি নিরাপদ সড়ক চাওয়া নিয়ে বিপক্ষে মত থাকে তাহলে সারা দেশে কেমন আছে, ভাবতেই মন ভারাক্রান্ত হয়। অথচ এ ভদ্রলোক শুধু চেয়েছে আমাদের সড়কগুলো নিরাপদ হোক।
ভালো থাকুন।
১৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:১৯
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: পোস্টের শিরোনাম নিয়ে প্রশ্ন আছে। এখন গাড়ি ঘোড়া চড়তে লেখপড়ার দরকার নেই। তবে এমন হলে কেমন হতো টাকা থাকলে ও উচ্চ তর শিক্ষিত না হলে গাড়ি ঘোড়ায় চড়তে পারবে না।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩১
সোহানী বলেছেন: জ্বী কবি ভাই, এখন এ প্রবাদ পুরোপুরি উল্টো। লেখা পড়া করে যে গাড়ির চাকায় মরে সে........
১৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা অতি দুর্বল।
ভালো স্কুল, ভালো শিক্ষকের খুব অভাব। কিছু বাপ মা সন্তানের লেখাপড়ার ব্যাপারে খুব আগ্রহ দেখায়। তারা মনে করে ঘরে বাইরে টিচার থাকলেই আর কোনো সমস্যা নাই।
সবচেয়ে বড় কথা আমাদের দেশে শিক্ষা হয়ে গেছে ব্যবসা। হাসপাতাল হয়ে গেছে ব্যবসা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
সোহানী বলেছেন: আমাদের দেশে শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল নয়। শুধু সিস্টেমটা ভয়াবহ।
ভালো স্কুল, ভালো শিক্ষকের খুব অভাব নেই, শুধু অভাবে সিস্টেমের প্রয়োগ।
শিক্ষা, হাসপাতাল হয়ে গেছে ব্যবসা.... সহমত। তাতে আপত্তি নেই, তারপরে ও যদি সেবা আর শিক্ষাটুকু সবাই পেতো!!!!
১৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪০
ওমেরা বলেছেন: বাংলাদেশের সাথে ইউরোপ , আমেরিকা, কানাডা এসব দেশের তুলনা করা ঠিক হবে আপু (এটা আমার মনে হয়)বাংলাদেশ অনেক ছোট একটা দেশ সেই তুলনায় মানুষ অনেক বেশী। কাজেই এতবেশী কম্পিটিশন এটা না করে উপায় নেই । আমেরিকা , কানাডার তুলনায় সুইডেন অনেক ছোট দেশ কিন্ত বাংলাদেশের তিনগুনেরও বেশা বড় । বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৫ কোটি , সুইডেনের মাত্র এককোটি । আমি এভাবেই চিন্তা করি আমার বয়সী একজন মেয়েকে কতটা বেশী কম্পিটিশনের মাঝ দিয়ে যেতে হচ্ছে সেটা হোক লেখাপড়া বা জব।
নৈতিকতা, এটা এসব দেশে স্কুল থেকে দেয়া হয়, জী ঠিক, এটাও কিন্ত আপু খুব কঠিন কাজ না, কারন এখানে একটা বাচ্চা নৈতিকতা দেখে আসছে বাসা থেকে তাদের পরিবার থেকে । এখানে টিচার যে নৈতিকতার কথা বলে সেটা তার পরিবারের সবার মাঝেই সে দেখতে পায় কাজেই তার ভিতরেও এটাই ঢুকে যায়।
আমাদের দেশের বাচ্চাদের স্কুলে যদি বলে , মিথা বলা খারাপ , মানুষের সাথে খারাপ আচরন করিওনা কিন্ত সে বাসায় এসে দেখলো বাবা ফোনে মিথ্যার পর মিথ্যা বলে যাচ্ছে মা কাজের মেয়ে বা অন্য কারো সাথে খারাপ আচরন করছে , তখন কি সে তার মনে হবে না টিচারের এই কথা গুলো নীতি কথা, এগুলো বই পুস্তকে থাকে বাস্তব জীবনে এগুলো মেনে চলার কোন কোন প্রয়োজন নেই। এটাই তো তার মনে হবে তাই না আপু।
বাচ্চাদের নৈতিকতা শিখানোর দায়িত্ব বাবা মায়ের । প্রতিটা বাবা ,মাকেই নৈতিকতার মডেল হতে হবে তার সন্তানের কাছে ।তাহলে স্কুলের টিচারের কথায় সেটা শুধু আরো গতি পাবে আমাদের দেশের মানুষ হবে নৈতিকতা সমৃদ্ধ মানুষ।
ধন্যবাদ আপু।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪২
সোহানী বলেছেন: তুমি আমার আগের লেখার লিংকগুলো পড়লে আমার বক্তব্য তোমার কাছে পরিস্কার হবে। এটা অনেকটা ধারাবাহিকভাবে সমস্যাগুলো তুলে ধরার চেস্টা করেছি।
তুলনা করতেই হবে। তা না হলে ভালো কিছু উদাহরন হিসেবে পাবো না, খারাপটা চোখে দেখবো না। দেশের শিক্ষার যে ব্যবস্থা আছে তা যথেস্ট অন্তত আমাদের অবস্থার প্রেক্ষিতে। দরকার শুধু সিস্টেমটাকে ঢেলে সাজানো।
এখানে তুলনা করছি এ ছোট ছোট বাচ্চাগুলোকে নৈতিক শিক্ষা দেয়ার উপর, পুঁথিগত বিদ্যা বা মুখস্থ বিদ্যা থেকে বের হয়ে আসার জন্য।
চাপ অবশ্যই থাকবে কিন্তু শৈশবটা একটু ভালোভাবে কাটাটেতো দিতে হবে।
আর আমি নিজেই এ সিস্টেমে পড়াশুনা করেছি, আমার বাচ্চারাও করেছে তাই তুলনাটা খুব সহজেই করতে পারি।
ভালো থাকো।
১৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৪৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: এইসব কথা লক্ষ কোটি বার কওয়া হইছে। কোন কাম হয় নাই, হইবোও না। এইসব হয়া বেহুদা সময় নষ্ট।
কমেন্ট ব্লক করনে তো দেখি আপনে সেইরাম খুশী হইছেন। আপনের খুশী আরো বাড়াইতে চাইলে জানায়েন, আমিও করুম নে। আর অন্য কাউরে না পাইলেও মাহা'রে অনুরোধ করতে পারি। তখন আপনের খুশী তিনগুন হয়া যাইবো গা। চিন্তা-ভাবনা কইরা জানায়েন।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোহানী বলেছেন: জ্বী ভাইজান ব্লক জরুরী। কারন ইদানিং আপনারা যেরকম লম্বা লম্বা লেখা দেন অর্ধেক সময়ইতো আপনারা খাইয়া ফেলেন....
১৮| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৫১
চাঁদগাজী বলেছেন:
এবার দেশে ১৩ লাখ ছেলেমেয়ে এইচএসসি পাশ করেছে, ৪০ হাজার ভালো যায়গায় ভর্তি হবে, বাকীগুলো গোল্লাতে ভর্তি হবে; ৪ বছর পর, ১৩ লাখ থেকে মাত্র ১৩ হাজার চাকুরী পাবে; সবাই এই সমস্যায় আছে।
কোন ব্লগার আপনাকে কমেন্ট ব্লক করেছে? নাম বলতে অসুবিধার কি আছে?
আমাকে যারা কমেন্ট ব্যান করেছেন, তাদের গার্বেজ পড়ার জন্য তেমন কেহ নেই; আমাকে সম্প্রতি যিনি ব্যান করেছেন, সেখানে দেখলাম নীল আকাশ কমেন্ট করেছেন; লেখা গার্বেজ, কমেন্টেও গার্বেজ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫১
সোহানী বলেছেন: এ বেকার সমস্যা নিয়ে আমার অনেক ঘ্যানঘ্যানানি পোস্ট আছে। এ জনসমস্যাকে জনশক্তিতে রুপান্তরের কথা বলে অনেক কান্নাকাটির পোস্ট আছে। কিন্তু এর বাইরে আমার কিছু করার নেই। কারন আমি হোমরা চোমরা কেউ না, একজন নীরিহ ব্লগার যে শুধু ব্লগেই বকবক করতে পারে........।
এতোদিন আপনার লিখায় এরকম কমেন্ট ব্লকের কথা শুনেছি কিন্তু আমার জন্য এটা একান্তই নতুন তাই এখানে সবাইকে জানালাম। যে ইচ্ছা সে ব্যান করুক তা নিয়ে আমি একটুও ভাবি না। আমি বেচেঁ গেলাম তা পড়ার হাত থেকে। কেউ যদি আমার সমালোচনা হজম করার ক্ষমতা না রাখে তাকে হজমী বড়ি খাওয়াতে আমি রাজি নই। আমি এসবের ধার ধারি না.......।
১৯| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:০৭
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: আমাদের গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থাই এসবের জন্য দায়ী।এখানে কারো সৃজনশীলতা দেখা হয়না ।দেখা হয় পরীক্ষার খাতা ,যা মুখস্থ নামক এক ব্যবস্থায় খাতায় উগড়ে দেয়া হয়। আর তাই ত পরীক্ষার খাতায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে পাস করা ছেলে-মেয়ে কখনো কখনো না পারে দু কথা গুছিয়ে বলতে না পারে সমাজের আর দশজনের সাথে মানিয়ে চলতে।
সারা দুনিয়াতে যেখানে শিশুর মনন-মানষিকতা-সৃজনশীলতার উপর জোর দেয়া হয় সেখানে আমরা সেখানে এখনো ভরসা করি মুখস্থ বিদ্যায়। আর বাকী সবাই যখন এক পৃথিবী,বিশ্বায়নের উপর ভরসা করে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় এগিয়ে যাচেছ সেখানে আমরা এখনো সেই সব বিষয় পড়ছি যা প্রতোযোগীতামুলক বিশ্বে আমাদের কোন ভাবেই সাহায্য করছেনা বা করতে পারছেনা।
এখন যদি প্রশ্ন করা হয় - এক্ষেত্রে দায় কার বা দায়ী কে ? ছাত্র-শিক্ষক না আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা ?
এর জবাব আমাদের সবারই জানা আছে।কাজেই এ ব্যাপারে কিছু বলা মানে "অরণ্যে রোদন"। তাইতো কবি আক্ষেপ করে বলেছিলেন " সাতকোটি বাংগালীর হে মুগ্ধ জননী,রেখেছ বাংগালী করে মানুষ করনি"।
আসলে আমরা এখনো সত্যিকারের তথা বিশ্বায়নের উপযোগী মানুষ হিসাবে গড়ে উঠতে পারিনি।জাতি হিসাবে এ আমাদের এক চরম ব্যর্থতা।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৬
সোহানী বলেছেন: জানি "অরণ্যে রোদন" কিন্তু তারপরও বলে যাই। বলতে বলতে একসময় হয়তো সবাই বলা শুরু করবে তখন ঠিকই পরিবর্তন আসবে।
সারা দুনিয়াতে যেখানে শিশুর মনন-মানষিকতা-সৃজনশীলতার উপর জোর দেয়া হয় সেখানে আমরা সেখানে এখনো ভরসা করি মুখস্থ বিদ্যায়।..... আর সে কারনেই এতো কথা। বাচ্চা যদি নাই বুঝে সে কি পড়ছে তাহলে তার প্রয়োগ করবে কিভাবে?
আসলে রাস্ট্র শিক্ষক কেউ এর দায় নিতে চায় না বলেই এ নিয়ে মাথা ঘামায় না। চলছে তো চলুক........ এই নীতি নিয়ে আছে।
২০| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
আমি সাজিদ বলেছেন: আবার আসলাম কয়েকটা কথা বলার জন্য। আমি অবাক হয়ে কিছু জিনিস দেখি। বাইরের ছেলেমেয়েরা ছোট বয়সেই কোন না কোন কাজ করছে৷ খেলার মাঠে যাচ্ছে। ছোট থেকে সাইভাইভাল স্কিল, টুকটাক ঘরের কাজ শিখে ফেলছে। এরা বড় হয়ে ঠিকই প্রবলেম সলভার হচ্ছে। আমাদের দেশে শিক্ষা আনন্দদায়ক নয়। শিক্ষার পরিবেশ আনন্দদায়ক নয়। শিক্ষার উদ্দেশ্য মহৎ নয়। আমি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে অবাক হই।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০১
সোহানী বলেছেন: এই প্রসঙ্গে নেক্সট লিখা নিয়ে আসবো। মাথায় আছে।
আসলে আমাদের সিস্টেমের এ গলদগুলো নিয়ে এ পর্যন্ত কেউই মাথা ঘামায়নি। দিন দিন আরো ভয়াবহ হচ্ছে। অথচ কি সম্ভাবনাই না আছে আমাদের দেশে। একটু যদি সিস্টেমটা ঠিক করতো..........
২১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ২:৫৮
নেওয়াজ আলি বলেছেন: লেখাটা পড়ে মন খারাপ হলেও ছবি দেখে আনন্দ পেলাম। কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আমাদের প্রধানমন্ত্রীর তুলনা করে কিছু দিন আগে পক্ষে বিপক্ষে ন্যাটে প্রচুর বাদানুবাদ হয়েছে। ভাবতে অবাক লাগে দশ/বার জন শিক্ষক। এতজনের বেতন সবাই স্বাভাবিকভাবে যোগান দিতে গিয়ে বাসার অন্য খরচে টান পড়ছে আর পরিবাবের কর্তা অসৎ পথে আয় করতে বাদ্য হচ্ছে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩
সোহানী বলেছেন: আসলে সত্য হলো আমরা বাবা মায়েরা অনেক বেশী কম্পিটিটিভ, নিজের ছেলে মেয়েই শ্রেষ্ঠ হবে এ মানসিকতা নিয়ে চলি। যার কারনে প্রেসারটা দেই সন্তানদের উপর।
২২| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:১৯
নীল আকাশ বলেছেন: আজকাল দেশি গরুর নকল বিদেশি হাম্বা হাম্বা দেখলে করুণা হয়!
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০৩
সোহানী বলেছেন: আবার কি হইলো!!!!!!
২৩| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩৩
রামিসা রোজা বলেছেন:
কোমলমতি শিশু বাচ্চাদের জন্য খুব কষ্ট লাগে যখন দেখি
স্কুলব্যাগ ভর্তি বই খাতা থাকে । আমাদের এখানকার শিক্ষা
ব্যবস্থা অত্যন্ত শোচনীয় । শিক্ষকরা একদিকে, স্কুল কর্তৃপক্ষ আছেন ব্যবসায়ীক চিন্তায় এবং অভিভাবকদের দৌড় প্রতি-
যোগিতা আরো ভয়াবহ ।
ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
দিনদিন নিম্নমুখী যাচ্ছে ।
ধন্যবাদ আপনাকে ।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:০৯
সোহানী বলেছেন: আমার আগের লিখাটাতে এ সমস্যার কথা এনেছি রোজা। অথচ দেখো, এখানে আমার ছেলে মেয়ের জন্য কোন বই আমি কিনিনি কারন নির্দিষ্ট বইয়ের উপর ডিপেন্ড করে না। একটা সিলেবাস এর বই আছে কিন্তু ইর্ন্টানেট বা অন্য বই থেকে পড়তে বলে। আর আমরা ২০ কেজি বই নিয়ে স্কুলে পাঠাই।
২৪| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:২৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: শিরোনামের প্রবাদ অনেক পুরানো, মরিচা টরিচা ধরে পাওয়ার নষ্ট হয়ে গেছে
এখন লেখাপড়া করে ঘোড়ায় চড়বে কি ছাগলই কিনতেই হিমশিম....
আপনার সন্তানদের প্রতি শুভকামনা রইল যেন সত্যিকারের মানুষ হয়ে মানুষের পাশে থাকে।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ঢুকি।
আমি তাইতো বলেই থাকি লেখা পড়া করে যে গাড়ি চাপায় মরে সে।
২৫| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৯
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: মোটামুটি এক থেকে দশের মধ্যে যাদের রোল,তাদের সকলের জীবন আপনার এই আত্বীয়ার মত।
সম্ভবত আমরা একটা বিকলাঙ্গ জাতি তৈরি করছি।
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১২
সোহানী বলেছেন: বিকলাঙ্গ জাতি তৈরি করেই চলছি...... । কিন্তু কেউ কি আছে এ নিয়ে ভাববে?
২৬| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:৩৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: এদিকে নজর দেয়ার কেউ নেই। ইঁদুর দৌড়ের কৃ্ত্রিম চাপ সৃষ্টি করে এবং প্রশ্ন ফাঁস করে শিক্ষা ব্যবস্থার ইতোমধ্যে বারটা বাজিয়ে দেয়া হয়েছে। আর এ বছর তার উপরে যোগ হয়েছে অটো পাশ এর চাপ। ছাত্র ছাত্রীদের ত্রাহি অবস্থা!
'সাক্সেস ফ্রীক' (সাফল্য শিকারী) এসব মা বাবা অনেক, অনেক পরে বুঝতে পারেন যে একটি সুপার মেধাবী সন্তানের চেয়ে একজন গড় মানের, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, সামাজিক ও বন্ধুবৎসল এবং পরিশ্রমী সন্তান অনেক বেশি কাম্য। শ্রমবিমুখ, ক্রীড়াবিমুখ এবং অসামাজিক না হলে সে সন্তানের একাডেমিক ফলাফল যেমনই হোক, তাকে নিয়ে দুশ্চিন্তার কোন কারণ নেই।
একজন আপনাকে কমেন্ট ব্লক করেছে, এটা অন্যদের জন্য সুসংবাদ, কারণ এতে তাদের ভাগে কমেন্ট একটু বাড়তে পারে।
আপনাকে যিনি কমেন্ট ব্যান করেছেন, আপনিও কি তাকে তাই করেছেন??
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:০৭
সোহানী বলেছেন: এই বিষয়টা কেউই বুঝে না। "একটি সুপার মেধাবী সন্তানের চেয়ে একজন গড় মানের, সুস্বাস্থ্যের অধিকারী, সামাজিক ও বন্ধুবৎসল এবং পরিশ্রমী সন্তান অনেক বেশি কাম্য।" এ সত্যটা বুঝলে পুরো সমাজের চিত্রই বদলে যেতো।
আর সবচেয়ে বড় কথা রাস্ট্রের যেন এ নিয়ে দায় নেই। অথচ এ সমাজকে সঠিক পথে আনার প্রথম দায়ভার রাস্ট্রের। আমি এই নিয়েই বেশী হতাশ। একজন ও কি নেই এমন করে একটু ভাববে?
-
-
আপনাকে যিনি কমেন্ট ব্যান করেছেন, আপনিও কি তাকে তাই করেছেন??
কখনই না। আমি মুক্ত আলোচনায় বিশ্বাসী। আমার ভালো না লাগলে সেটা নিয়ে আলোচনায় আসবো। এটা যারা করে তারা সমালোচনা সহ্য করতে পারে না। কিংবা, "আমিই একমাত্র সঠিক বাকি সবাই ভুল", এ নীতিতে বিশ্বাসী। আমি অবাক হয়েছি এই ভেবে যে উনি নিজেকে বয়স্ক একজন মুক্তমনা বলেই সবসময়ে দাবী করেন। একজন সফল ব্যাক্তি যদি এমন বালখিল্য আচরন করেন তাহলে এ তরুনরা কি করবে???
২৭| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:১২
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: বাচ্চাদের দিকে চাইলে ঐ গানটাই মনে পড়ে
আর আমারে মারিস নে মা
মাগো তোর চরণ ধরি.....(এত ভার বইেত পারি না)
এক কাম(অকাম) করেন, চলেন ব্লগ লীগ (দল না কিন্তু ) হা হা হা
গঠন করি! আর শ্লোগান দেই
এই মুহুর্তে দরকার,
ব্লগার সরকার!
আপনি থাকবেন শিক্ষা মন্ত্রী
কি আর করা । সব দেখে শুনে বুঝে ব্লগর ব্লগর করা ছাড়া আর গতি কি!
আফসোস যাদের বোঝার তারা যদি বুঝতো!
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:০৬
সোহানী বলেছেন: শিক্ষা মন্ত্রী না, আমি চাই ফরিন পোস্ট । যাতে ঘন ঘন দেশ বিদেশ করতে পারি।
এ বইয়ের বোঝার দিন যে শেষ, ইর্ন্টানেট এখন হাতের মুঠোয়। তা কি বোঝে? এরা তো ভাবে ইর্ন্টানেট মানে ফেসবুক, ইউটিউব আর নোংরা সব ভিডিও। ইর্ন্টানেট থেকে যে দারুন সব কিছু শেখা যায় তাইতো মনে হয় এরা জানে না।
২৮| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১২:৩১
রাজীব নুর বলেছেন: আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
শিক্ষা, কৃষি এই দুটা বিষয়ে সরকারের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:০৮
সোহানী বলেছেন: শিক্ষা ও কৃষি একটি জাতি গঠনের জন্য প্রথম প্রয়োজন। আপনার সাথে সহমত।
২৯| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:০৮
স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: মূল সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে সামাজিক নিরাপত্তা বলে কিছুর অস্তিত্বই নেই। তাই সকল অভিভাবক তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ নিয়ে খুব চিন্তিত থাকে। সেকারণেই প্রচুর অর্থ ব্যয় করে একাধিক শিক্ষক রেখে প্রচন্ড চাপের মধ্যে এই সকল কোমলমতি শিশু-কিশোরদের তথাকথিত শিক্ষা প্রদানে ব্যতিব্যস্ত থাকে সবাই। আর অনেক শিক্ষকরাও এর সুযোগ নিয়ে বিদ্যালয়ে কোনো পড়াশুনা না করিয়ে প্রাইভেট পড়ানোয় ব্যস্ত থাকেন।
প্রবাসে এসেও কিছু বাঙালিদের এই খাইসলত যায় না। সন্তানদের প্রেসার দিয়ে ওয়াটারলু বা ইউএফটির মতো টপ র্যাংকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে না পারলে মনে হয় এদের মানইজ্জত সব খোয়ার উপক্রম হয় ! অথচ সন্তানকে তার নিজের ক্যাপাসিটি ও পছন্দ অনুযায়ী শিক্ষা গ্রহণ করতে দিলে তার জীবনটা অনেক আনন্দময় এবং অর্থবহ হতে পারে।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৪
সোহানী বলেছেন: সহমত। আর সে কারনেই বলি রাস্ট্রের দায় সবার প্রথম। সিস্টেমটাই বাধ্য করে এ ইদুঁর দৈাড়ে নামতে।
সামাজিক, অর্থনৈতিক নিরাপত্তা যদি থাকতো তাহলে এতোটা খারাপ হয়তো হতো না।
আর প্রবাসে থাকি বলে এটা ফিল করি। কিন্তু কানাডায় স্কুলে যে চাপ তাতো দেশের তুলনায় পানি। আসল খেলাতো শুরু হয় যখন ইউনিগুলোতে ঢুকে। আর শুধু আমরাই নই এশিয়ান সব বাবা মায়েরাই এমন করে। আর সে কারনেই দেখেন ইউনিগুলোতে কি পরিমান এশিয়ান ছেলেপেলে।
৩০| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১:১৭
মা.হাসান বলেছেন: ঢাকার রাস্তায় প্রচুর গাড়ি, দেখেই বোঝা যায় লেখা পড়া করা লোকের সংখ্যা বাড়তেছে।
কানাডার গল্প কইরেন না, আমরা সব বুঝি। এত হিংসা করা ভালা না। বাংলাদেশে এক বছরে এস এস সিতে যত গুলান ছেলে মেয়ে গিপিএ ৫ পায়, কানাডায় গত কুড়ি বছরেও মনে হয় সমমানের পরীক্ষায় এত জন গিপিএ ৫ পায় নি।
আপনার নতুন সৌভাগ্যে জাতি ঈর্ষান্বিত। বিয়ে হইতেছে না এই রাগেই কি এই অবস্থা? জাতি জানিতে চায়।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:১৮
সোহানী বলেছেন: সমস্যা হইলো কানাডায় কোন গিপিএ নাই ।
আমার সৌভাগ্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে লাভ নাই। এরকম সৌভাগ্যেবান অনেকই আছে খালি মুখ খুলে না।
আপনি কারে ভাবছেন আমি জানি না তবে মনে হয় সে নয়। যে আমারে ব্লক মারছে সে আপনাগো চিন্তার বাইরে। এখনো আমার পোস্টে আসে নাই। যা আগে কখনই মিস করতো না।
৩১| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:২৭
অনল চৌধুরী বলেছেন: এ্যামেরিকা-ক্যানাডা-জাপান কোথাও পড়াশানার আসল উদ্দেশ্য গাড়ি-ঘোড়া চড়া না।
কিন্ত বাংলাদেশে করার পর না থাকলে জাত যায়। তাই চুরি-দুর্নীতি বৈধ করা সাথে সাথে জনগণের করের টাকায় এদের ২% সুদে বাড়ি আর গাড়ি কেনার জন্য ৩০ লাখ টাকা দেয়া হয়।
তবে পশ্চিমের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতার উপর গুরুত্ব দেয়া হলেও অন্য দেশে উপর হামলা আর নিজেদের দেশের নারী নির্যাতনের ক্ষেত্রে সেটা চোখে পড়ে না।
আপনার ছেলের বয়স কতো যে এখনই বিমান চালাচ্ছে? আর বিমান মাটিতে পড়ে আছে কেনো?
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪২
সোহানী বলেছেন: প্রথম কথা হলো পশ্চিমা দেশ নিয়ে আপনার ধ্যান ধারনা অত্যন্ত ভুল। শুধুমাত্র হলিউড মুভি দেখে এখানকার কালচারের উপসংহার টানা ঠিক না।
আমার ছেলের বিমান চালানোর বয়স এখনো হয় নাই। স্কুলের প্রোগ্রামে ওরা ট্রেনিং পাইলটের সাথে কয়েক চক্কর ঘুরে আসে শুধু। আর ওইগুলা এয়ারফোর্সের বিমান। মাটিতে পড়ে আছে কারন তারা রেস্ট নিচ্ছে
৩২| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৩:৫৮
এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি ভালোভাবে কানাডায় একীভূত হতে পেরেছেন যে দেশে ইঁদুর দৌঁড়ের প্রতিযোগিতায় শিক্ষার্থীদের নাভিশ্বাসে অবাক হচ্ছেন। আপনার সন্তানগণ সৌভাগ্যবান। শুভকামনা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৫:৪৫
সোহানী বলেছেন: অবাক হবার কিছু নাই, এ সিস্টেমে ভালোভাবেই পার করে এসেছি। আর বাবা মায়েরা তাদের সন্তানগণকে সৌভাগ্যবান বানানোর জন্যই ইঁদুর দৌঁড়ের প্রতিযোগিতায় নামায়
৩৩| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪২
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
যখনই কোন শিক্ষাচিন্তাবিদ কোন লক্ষ্যকে সামনে রেখে একটি শিক্ষা কার্যক্রম নিয়ে কিছু বলতে
আগ্রহী হন তখন তিনি তাঁর জীবনাদর্শের অনুসারী ভাব ও মুল্যবোধের দ্বারা প্রভাবিত ও পরিচালিত
হবেন এটাই স্বাভাবিক ।তাই জগত ও জীন সম্পর্কে যেমন বিভিন্নতা দেখা যায় , শিক্ষাতত্বের
ক্ষেত্রেও তেমনি বিভিন্নতা ও বৈচিত্র বিদ্যমান। আর শিক্ষা চিন্তা প্রদর্শনের ক্ষেত্রেও সাদৃশ্য বৈশাদৃশ্য
বর্তমান । মানবশিশুর বিকাশ প্রক্রিয়াতে প্রতি মহুর্তের সঞ্চিত জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার আবদান রয়েছে ।
পরিবেশের বিভিন্ন উদ্দিপকের প্রভাবে এবং মিথোক্রিয়ার মাধ্যমে মানবশিশু পরিনত রূপ পায়,
আর তার সুপ্ত সম্ভাবনাগুলির বিকাশ ঝটে । এই বিকাশ প্রক্রিয়ায় প্রতিটি শিশু এক একটি বিশিষ্ট
সক্রিয় শক্তি হিসাবে ভুমিকা পালন করে । শিক্ষা পরিকল্পনাকারদেরকে সবসময়ে চারটি প্রধান প্রশ্নের
সম্মুখীন হতে হয় – কে শিখবে ? কোন উদ্দেশ্যে শিখবে ? এবং নির্দিষ্ট লক্ষে পৌঁছতে কি ধরনের জ্ঞান
ও দক্ষতা অর্জন করতে হবে ? । এভাবে সমাজ ব্যবস্থায় শিক্ষা সংক্রান্ত না না দ্বন্ধ, নীতি , কর্ম পদ্ধতি ,
মুল্যবোধের ভালোমন্দের মিশ্রনে শিক্ষাদর্শ ও শিক্ষাক্রম বিবর্তিত হয় প্রতিনিয়ত । এভাবে এক একটি
দর্শনতত্বে প্রভাবিত হয়ে বিশেষ বিশেষ শিক্ষা ধারনা ও পদ্ধতির অবতারনা বিভিন্ন সময়ে হয়ে আসছে
বিভিন্ন সময়ে । সে লক্ষ্যে দেশে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষা কমিশনও গঠিত হয়েছে। কিন্তু ফলপ্রসু কিছু এখন
পর্যন্ত অর্জিত হয়নি । বরং শিক্ষা ক্ষেদ্রে দেখা যায় চরম বিশৃঙ্খলা ও অসামনসজস্যতা ।
যাহোক, এই পোষ্টের মন্তব্যের ঘরে অনেকেই ভাল ভাল মতামত রেখেছেন দেখা যায় ।
প্রাচ্য দেশীয় শিক্ষাচিন্তাবিদ ও পাশ্চাত্ত্যদেশীয় চিন্তাবিদদের বিশ্লেষনধর্মী তুলনামুলক আলোচনা চলুক
দুর্বার গতিতে । কামনা করি সে আলোচনায় যেমন থাকবে সমগ্র শিক্ষা ব্যাবস্থা কোন শিক্ষাদর্শনের
প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে আছে তার আলোচনা , তেমনি সেখানে থাববে শিশুর বিকাশজনিত শিক্ষাব্যবস্থার
বহুমুখী দিকের উপর তথ্য, শিক্ষার লক্ষ্য, পাঠ্যক্রম , শিক্ষাদান পদ্ধতি , শৃঙখলা, শিক্ষক , শিক্ষালয় ,
অভিবাবক প্রভৃতি দিকের উপর অলোকপাত ।
ভাল একটি বিষয়ের উপর পোষ্ট দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ।
শুভেচ্ছা রইল ।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: দাঁত ভাঙ্গা কঠিন মন্তব্যে সহমত ++।
কথা হলো আমরা আলোচনাই করতে পারি এর বাইরে কিছু নয়। আর এমনই ছোট গন্ডীর আলোচনা যে কারো কানে যে পৈাছাবে না সে ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চি। ঘরের খেয়ে মোষ তাড়ানো কিছু মানুষ ছাড়া এ নিয়ে কেউ কি ভাবে।
যাক্ সে সব.....। আপনার পরশ পাথরতো এখনো খোজাঁ শেষ হয়নি। তাহলে বাকি খোঁজাখুজিঁর পর্ব এখনো আসছে না কেন!!
৩৪| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১:৩৯
নীল আকাশ বলেছেন: ২২ নাম্বার মন্তব্য আপনার জন্য নয়।
এক দেশি পাঠা ভাব ধরে বিদেশি সাজার চেষ্টা করে তার জন্য।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: বুঝলাম......
৩৫| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৩:০৫
অনল চৌধুরী বলেছেন: পশ্চিমা দেশ নিয়ে আপনার ধ্যান ধারনা অত্যন্ত ভুল[/sb কোনটা ভুল বিস্তারিত বলেন।
চলচ্চিত্রে বাস্তব-অবাস্তব সব তথ্যই থাকে। যে বোঝে, সে জানে কোনাট সত্য আর কোনটা মিথ্যা।
২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:০০
সোহানী বলেছেন: আপনার সমস্যা কি জানেন? আপনার জ্ঞানের বাইরেও যে জ্ঞান থাকতে পারে, আপনার জানার বাইরেও যে অজানা কিছু থাকতে পারে, আপনার দেখার বাইরেও যে অদেখা কিছু থাকতে পারে তা আপনি জানেনই না। আপনার সাথে তর্ক করাটা অত্যন্ত বোকামী। যেদিন দেশ বিদেশ ভ্রমণ করবেন, নিজ চোখে সব দেখে কম্পেয়ার করতে পারবেন সেদিন আপনার সাথে বিস্তারিত তর্ক করবো।
আর ততদিন আপনি ইচ্ছে করলে সেই কমন্ট ব্লক করা ভাইয়ের মতো আমাকে ব্লক করতে পারেন। আমি খুশিই হবো।
অনেক ভালো থাকুন।
৩৬| ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৪৬
অনল চৌধুরী বলেছেন: এখন কি চাদ-মহাশূণ্য-মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে জানতে বা লিখতে গেলেও আমাকে সেসব জায়গায় যেতে হবে? নিজে যতো বিষয় নিয়ে লেখেন, সব জায়গায় বা ঘটনায় উপস্থিত থাকেন?
এ্যামেরিকার মতো ক্যানাডাও যে কোটি কোটি আদিবাসীদের হত্যা করে দখল করা দেশ, সেটা কি জানেন?
এই সন্ত্রাসী এ্যামেরিকা যে ন্যাটোর মতো ক্যানাডাকে নিয়ে সেদিনও জাতিসংঘের অনুমতি ছাড়াই চরম সন্তআরাসী কায়দায় উন্নত দেশ লিবিয়া আক্রমণ করে ধ্বংস করে সেদেশে গৃহযুদ্ধ সৃষ্টি করেছে , সেটা জানেন? যে ক্যানাডায় থেকে আর তাদের কর দিয়ে আপনি প্রত্যক্ষ্যভাবে এসব অপরাধে সহায়তা করেছেন?2011 military intervention in Libya
আমি চাইলে ৩০ বছর আগেই এসব দেশে যেতে পারতাম। কিন্ত এইসব সন্ত্রাসীদের প্রতি ঘৃণার কারণেই যাইনি। এখনও আমার সাবেক বারবার ক্ষমা চেয়ে দেশ জাতি উদ্ধারের চেষ্টা করে নিজের মেধাসময়-অর্থ নষ্ট করা বাদ দিয়ে টেক্সাসে বিলাসবহুল জীবন-যাপনের জন্য প্রতিদিন অনুরোধ করে, যেটা আমি নাকচ করে দেই। কারণ Nigga সম্বোধন দাত বের করে হেসে সহ্য করার মতো লোক আমি না। আমার দেশে আমি রাজা, আমিই সম্রাট। তৃতীয় শ্রেনীর নাগরিক না।
অপরাধ করলে সেটা যতো বড় ক্ষমতাবানই হোক, কাউকেই ছাড়ি না। বেধে আদালতের কাঠগড়ায় উঠাই, দুইদিন আগে বা পড়ে।
আমি কবে কবে বলেছি যে , আমি যা বলি সেটাই চূড়ান্ত সত্য? এটা তো আপনার স্বপ্নে লাভ করা উদ্ভাবন। আমি নিজই যদি আমার দেয়া তত্ব এবং মতবাদকে সত্য না মনে করি, তাহলে অন্যদের সেসব মানতে বলবো কিভাবে? অবশ্যই আমি আমার কথাকে সত্য মনে করে এর পিছনে যুক্তি-তথ্য-প্রমাণ দেই যেমন দেয় সব লেখক-গবেষক। কিন্ত কারো বোঝা না বোঝা বা মানা না মানা সম্পূর্ণ তার ইচ্ছা।
আপনি যেভাবে সেখানে থাকার কারণে এদের সব অপরাধ চাপা দিয়ে মহান বানানোর চেষ্টা করছেন, সেটা শুধু চরম পক্ষপাতই না , একইসাথে চরম মিথ্যাও।
যেদিন দেশ বিদেশ ভ্রমণ করবেন, নিজ চোখে সব দেখে কম্পেয়ার করতে পারবেন সেদিন আপনার সাথে বিস্তারিত তর্ক করবো।- একথা বলে শিষ্টতা অতিক্রম করেছেন। আমি দেশবিদেশ ভ্রমণ করিনা, একথা কে বললো? জ্যোতিষীও হয়ে গেলেন নাকি?
আপনার আচরণ দেখেও মনে হচ্ছে, দেশে একমাত্র আপনিই ক্যানাডা থাকেন, যেমন মনে করে ওয়াশিং মেশিনে থালা-বাটি ধোয়া এক লোক এ্যামেরিকায় থেকে।
আর এখন মনে হচ্ছে আপনার জন্যও এই গানটা প্রযোজ্য ক্যানাডা- আইসা আমার আশা ফুরাইছে
ঝগড়া করার অনেকদিনের শখ ছিলো। এখন করে খুশী হয়েছেন তো!!!!
ব্লক এখন করবো না, আমার বানানো ছবি দেখাতে চেয়েছিলেন, সেটা দেখানোর পর ..............
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৬
সোহানী বলেছেন: ভালো থাকুন।
৩৭| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৬:৫৮
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনিতো বেজায় হৃদয় খুঁড়ে বেদনা জাগাতে ভালোবাসেন দেখছি। দেশে আমাদের পড়াশোনার কারিকুলারগুলো যারা ডিজাইন করে তাদের কি এই ব্যাপারগুলো ভাবার সময় আছে নাকি সেই জ্ঞানবিদ্যা আছে যে এগুলো দেশের ছোট ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার কারিকুলার ডিজাইনিংয়ে রিফ্লেক্ট করবে ? আরেকটা কথা, আপনার যে কলা সবচেয়ে পছন্দের ফল আর সেটাতে ধরবার এক্সেস ডিনাইড হলে মন খারাপ হয় সেটা জানতাম না । যাক কলা না পেলেও ভালো থাকুন ।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৩৯
সোহানী বলেছেন: বুঝি নাই! কি থেকে কি বললেন। আমার মন খারাপ হয়েছে তাতো বলিনি!
৩৮| ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
করুণাধারা বলেছেন: অনেককাল আগে একটা নাটক দেখেছিলাম, "সুবচন নির্বাসনে"। সেই নাটকের একটা বচন ছিল লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে... এই কথা অনেক আগেই নির্বাচনে গেছে, এখন ড্রাইভারের ১০০ কোটি থাকে, পাজেরো গাড়ি চড়ে তার পরিবার।
আপনি যে উদাহরণ দিলেন এরকম তো হরদম দেখতে হয়। এখন একজন এসএসসি পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের অন্তত পাঁচ লক্ষ টাকা রাখতে হয় সন্তানের পড়াশোনা বাবদ। এই টাকা জোগাড় হয় কীভাবে জানিনা!!
তবে এই জন্য আমি গভীর দুঃখ অনুভব করি বাচ্চাগুলোর জন্য যারা এই ইঁদুর দৌড়ে সামিল হতে বাধ্য হয়, তাদের মা-বাবার জন্যও। অভিভাবকের দোষ কী!! ঘনঘন বই বদল, সিস্টেম বদল, ফলাফল পদ্ধতি বদল তারা এর সাথে তাল রাখতে পারেন না। সৃজনশীল নামক যে গোঁজামিল পদ্ধতি তৈরি করা হয়েছে তাতে শিক্ষকদের ট্রেণীং দেয়া হয়নি, তারা ক্লাসে পড়াতে পারেন না। ক্লাস ফোরে উঠলেই বাচ্চাদের মুখ শুকিয়ে যায় পিএসসির ভয়ে। ভাবতে পারেন, পিএসসিতে ফেল করায় অনেক শিশু আত্মহত্যা করে!!!
শৈশব থেকে বাচ্চারা পড়াশোনা কে ভয় করতে শেখে, জিপিএ ফাইভ না পেলে সামাজিক হেনস্থা হবার ভয় পায়। এই বাচ্চাদের দরকার সহায়তা, এরা নিজেরা ভাবতে পারেনা শুধু কোচিং শিক্ষকদের অনুসরণ করে চলে। অতি দরিদ্র মানুষেরাও সন্তানকে কোচিং এ দেন। বস্তিতে অবৈতনিক স্কুল চালান এমন একজন ভদ্রমহিলা তার শিক্ষিকাদের বেতন দেন ২০০০ টাকা, এই টাকায় চলে কীভাবে জানতে চাইলে বলেন, কোচিং করে অনেক আয় করে।
আমাদের বাচ্চাদের জন্য শিক্ষার এই সিস্টেম তৈরি করেছেন দেশের কিছু মহান মানুষ, যাদের সন্তানেরা পড়ে আইএসডি বা এমন স্কুলে। মূলধারার শিক্ষাকে এরা এমন জগাখিচুড়ী করে তুলেছেন, কারণ যত বেশি জানবে, তত কম মানবে। এই সিস্টেমে পড়াশোনা করে কোচিং গাইডবই ছাড়া উপায় নেই। আমি হয়তো কখনো আমার মেয়ের স্কুলের অভিজ্ঞতা লিখবো...
উন্নত দেশের মত পড়াশোনা আমাদের দেশে হতেই পারে, কিন্তু তাতে বেগমপাড়া হবে কীভাবে!!
আমি কিন্তু পোস্ট আগেই পড়েছি, মন্তব্য লিখেও কপি পেস্ট করছিলাম না আলসেমি করে। এখন করলাম কারণ কেউ আবার আমাকে অনুপস্থিত দেখে হয়তো ভেবে বসবেন আমিই... (৩০ নম্বর প্রতিমন্তব্য)
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
সোহানী বলেছেন: "যত বেশি জানবে, তত কম মানবে।"...... আমার মনে হয় এটা নিয়ে ভাবার মতোও সময় কারো নেই। সবাই আছে নিজ ধান্দায়। কিভাবে কাকে মারে ধরে নিজের পকেট ভারী করবে। দেশের শিক্ষার কি হলো, জঙ্গীরা বাসা বাধঁলো, নেটে অবাধে ব্লুফ্লিম দেখে ধর্ষন বেড়ে গেল............... কারো কোন কিছুতে মাথাব্যাথা আছে বলেতো মনে হয় না। কারন তাদের ছেলে-মেয়েরা পড়ে বিদেশে পড়ে ও সেখানই থাকেব, রিটায়রমেন্টের পর বেগমপাড়ায় থাকবে....... তাদের সিস্টেম নিয়ে না ভাবলেও চলবে।
আসলে কথাগুলো কাউকেই না নিজেকে বলছি। কারন আমি জানি বুয়েট থেকে পাশ করে একজন ডিপ্লোমা ইন্জিনিয়ারের আন্ডারেই কাজ করতে হবে, ইউনিভার্সিটি থেকে পাশ করে সেই পাজেরো হাকানো ড্রাইভারের অধীনে লাথিগুতা খেয়ে চাকরী করতে হবে।
-
-
নারে আপু, আপনাকে কেউ এ তালিকায় ফেলবে না এটা নিশ্চিত। থাক্ বাদ দেন, যার যা খুশি করুক। হয়তো আমার কোন কমেন্টে উনার আঁতে লেগেছে!! সবাইতো আর সবকিছু হজম করতে পারে না।
৩৯| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:৪৭
হাসান মাহবুব বলেছেন: আমার বাবাও হাইয়েস্ট মার্ক আর আমার নিজের মার্ক মিলায়ে দেখতেন। আমি ছাত্র খুব একটু খারাপ ছিলাম না, তারপরেও ব্যবধান ভালোই থাকতো। সে এক দুঃখজনক অভিজ্ঞতা! আমার ছেলে-মেয়েগুলি মোটামুটি ক্লাসে লাড্ডুগুড্ডু হয় তবে সেটা নিয়ে আমি মোটেই চিন্তিত না। মেয়েটা গল্প লেখে। ওর একটা বই বের করার ইচ্ছা আছে সামনের বছর। আর ছেলেটা বাসায় মিস্তিরি আসলে মোড়া নিয়ে বসে পড়ে কাজ দেখার জন্যে। এসবে আগ্রহ দেখে আমি আনন্দিত হই। ওরাও অবশ্য প্রাইভেট পড়ে একটা। ওদের শৈশব নিরানন্দ করার কোন ইচ্ছাই আমার নাই।
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৩
সোহানী বলেছেন: আপনার মেয়ের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা। অবশ্যই ওর বই সংগ্রহ করবো। বাবা-মায়ের গুন পেয়েছে নি:সন্দেহে।
আপনার ছেলে বাসায় মিস্তিরি আসলে শুধু মোড়া নিয়ে বসে পড়ে, আর আমার ভাই এর হাত থেকে বাসার কোন ইলেকট্রনিক জিনিস বাঁচতে পারতো না। কোন না কোনভাবে সেটা খুলতোই। একমাত্র তার ইলেকট্রনিক খেলনা গাড়িগুলো ছাড় পেতো। সে কিন্তু এখন একজন বিজ্ঞানী! দেখবেন আপনার ছেলেও সেরকম কিছু হবে। অনেক আদর ওর জন্য।
আমি কিন্তু আপনার মতো উদার নয়। পড়াশুনায় চাপ আমি দেই না কিন্তু কোন ডিসিপ্লিন ব্রেক করতে দেই না। সব আনন্দ করো কিন্তু সীমার মাঝে।
৪০| ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ দুপুর ১২:২০
শায়মা বলেছেন: আমি নিজে ট্রেডিশ্যনাল বাংলা স্কুলে বেত হাতে বসে থাকা টিচার দেখা স্কুলে পড়লেও আমি যেই স্কুলে জব করার সুযোগ পেয়েছি তা দেখে আমি নিজেই অবাক এবং অবাক এবং আনন্দিত।
আমাদের স্কুলেও কোনো ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ড নেই। শুধুই ইংলিশ, ম্যথস, জেনেরাল নলেজ এবং বাংলায় আছে গ্রেডস.... কিন্তু আমাদেরও মূল এরিয়া কয়েকটি ভাগে বিভক্ত যেমন
পার্টিসিপেশন উইথ গ্রুপ, ডিসিপ্লিন, শেয়ারিং, ওয়ার্কিং ইন্ডেপেন্ডলি, ফলোইং ইনস্ট্রাকশন, কনসেন্টরেশন, ম্যানুয়াল ডেক্সটেরিটি এই কয়েকটি।
আসলেই পড়ালেখা শিখে মানুষ হবার থেকে আসল মানুষ হয়ে উঠবার জন্য যে মরালিটি শেখা উচিৎ তা যেন এখনকার দিনে বড়ই বেশি দরকার। সত্যিকারের মানবতা ভুলে শুধু পড়ালেখা শিখে মিথ্যে মানুষ হয়ে লাভ নেই।
আমরা টিচারেরাই রিমেডিয়াল ক্লাস হিসাবে একটা ক্লাস রাখি স্কুলেই যদি কোনো বাচ্চার ওয়ান টু ওয়ান সেশনের দরকার হয়। কোনো প্রাইভেট টিউশনী এলাউড না।
কলাস ফোর পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। ফিল্ড ট্রিপে নেওয়া হয় এমনকি দেশের বাইরেও বাচ্চারা শিক্ষা সফরে যায়। এটা এমনই মজার স্কুল যেখানে আনন্দ নিয়ে যে কোনো কঠিন পরীক্ষাতেও উতীর্ণ হয়ে যায় বাচ্চারা .....
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৪৭
সোহানী বলেছেন: তোমাদের স্কুলের সিস্টেম শুনে ভালো লাগছে।
হাঁ, আমি জানি ঢাকার বেশ কিছু স্কুলে এমন সিস্টেম ফলো করে। কিন্তু এগুলো যে হাতে গোণা। পুরো দেশের চিত্রতো ভয়াবহ।
"আসলেই পড়ালেখা শিখে মানুষ হবার থেকে আসল মানুষ হয়ে উঠবার জন্য যে মরালিটি শেখা উচিৎ তা যেন এখনকার দিনে বড়ই বেশি দরকার। সত্যিকারের মানবতা ভুলে শুধু পড়ালেখা শিখে মিথ্যে মানুষ হয়ে লাভ নেই।" ........ সেজন্যইতো এতো দু:খ। কেউ যদি একটু বুঝতো!!
৪১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ভোর ৪:৫৮
স্প্যানকড বলেছেন: স্পার্ম রেসে থাকে স্টুডেন্ট! কিছু করার নাই।
যে দেশে যেমন বাও,
মার্কা মোগ নাও।
হাল ছাড়ি না
পাল তুলি না
আগায় যায় তবু নাও।
ভালো থাকবেন। বাই দ্যা ওয়ে কানাডায় শীত কি চরমে?
২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৫০
সোহানী বলেছেন: কানাডায় প্রচন্ড বরফ পড়ছে গত সাপ্তাহ থেকে। প্রায় ২৫-৩৫ সেমি। কিন্তু শীত তেমন নেই, মাইনাস ১০-১৫। এরকম ওয়েদার ভালোই লাগে। শুধু গাড়ি চালাতে হয় সাবধানে... এই একটু অসুবিধা।
৪২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১১:২৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: হাসান মাহবুব এর প্যারেন্টিং পদ্ধতিটা ভাল লাগলো, প্রশংসনীয়।
তার পুত্র কন্যা উভয়ের জন্য শুভকামনা রইলো।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২২
সোহানী বলেছেন: উনি অনেক ভালো বাবা। আমি কিন্তু কঠিন মা । ছেলে-মেয়ের সব ব্যাপারে আমি নাক গলাই। আমার কথা হলো, আমি যদি শাসন না করি তাহলে কি পাশের বাসার আন্টি এসে তাদের শাসন করবে? আমাকেই সঠিক গাইডেন্স দিতে হবে আমার সন্তানদের। যেটা আমার মা করেছে সেটা আমিও করার চেস্টা করি।
৪৩| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ৯:১০
শায়মা বলেছেন: আমার মনে হয় বাংলাদেশের সরকারী স্কুলগুলোতেও কারিকুলাম বদলাবার চেষ্টা চলছে। জানিনা সে সুদিন কবে। তবে আমি আশাবাদী মানুষ আজ থেকে ১০০ বছর পরে হলেও নিশ্চয় বদলাবে সিস্টেম।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:২৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহাহা.......... ভাগ্যিস তুমি ১০০ বছর বলছো ১০০০ বছর বলো নাই
কারিকুলাম বদল করেইতো সৃজনশীল পদ্ধতি আনলো। সেটা আরো লেজেগোবড়ে হয়েছে। আসর কথা হলো শিক্ষা হতে হবে আনন্দদায়ক। তা না হলে সেটা হয়ে যায় বোঝা।
৪৪| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১০:৫৬
কলাবাগান১ বলেছেন: হাইয়ার এডুকেশনে ও খারাপ অবস্হা। ফার্মেসী এর চেয়ারম্যান কে দেখলাম ইউটিউবে ওয়াজের চ্যানেল খুলেছেন!!!! এরা যে কি শিখান।
ভাপু ভুল করে আমাকে ইশারা করছে... অবশ্য যারা ধর্ম গ্রন্হে বিজ্ঞান খুজে পান... স্বল্প বুদ্ধির মানুষ বলে কথা...।
২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ১০:৩৩
সোহানী বলেছেন: এই একটি জিনিস আমার খুব খারাপ লাগে। সবকিছুতে ধর্ম নিয়ে আসলে তাহলে আসল কাজ কিভাবে হবে। আমি নিজে বরাবরেই ধর্ম পালন করি। তাই বলে আমার কাজের ক্ষেত্রের সাথে মিলিয়ে ফেলি না।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২১ সকাল ৮:৫৬
নতুন নকিব বলেছেন:
সারা দিন মিলিয়ে মাত্র ১০ জন টিচার তার!
আমাদের দেশে, বিশেষ করে শহুরে, যারা একটু অবস্থাশালী বিত্তবান পরিবার, তাদের অধিকাংশের সন্তানদের জীবন বাস্তবতা এমনই। জীবন চ্যাপ্টা হবার যোগার। পারসোনাল লাইফ বলে এসব শিশুদের কি থাকে? কিছুই থাকে কি?
কিছু শিক্ষক শুধু টাকার পেছনে ছুটছেন। নীতি নৈতিকতার সবটুকু বিসর্জন দিয়ে অর্থ বিত্ত কামানোর ধান্ধায় দিনকে রাত আর রাতকে দিন করে চলেছেন। মাঝখান থেকে কোমল কঁচি শিশুদের কাঁধে চাপিয়ে দিচ্ছেন পড়াশোনার নামে এক গাঁদা আবর্জনা। বস্তুতঃ এই সিস্টেম আদর্শ কোনো মানুষ তৈরি করতে পারছে না। রোবট টাইপ নতুন এক অথর্ব প্রজন্ম উপহার দিচ্ছে আমাদের।
সুন্দর লিখেছেন। +