নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
অনেকদিন থেকেই ভাবছি নিজের প্রিয় মানুষগুলোর একটা তালিকা করবো। এ মানুষগুলো নিয়ে প্রায়ই ভাবি। আমার জীবনে প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে এ মানুষগুলো অনেক ভূমিকা রেখেছেন, অনেকভাবে প্রভাবিত করেছে আমাকে। নিজের খেরো খাতায় তাই তাদের পরিচয় লিখে রাখার চেস্টা করছি ও পরিচয় করিয়ে দিচ্ছি সবার সাথে।
আমার বাবার বড় চাচা আরশাদুল্লাহ চৈাধুরী, আমার দাদা। যিনি আমার বাবার পরিবারকে প্রতিষ্ঠিত করার পিছনে বিশাল ভূমিকা রেখেছিলেন। আমার অসম্ভব প্রিয় একজন মানুষ। আজকে উনার সাথে পরিচয় করিয়ে দিবো।
দাদা চাকরী করতেন তখনকার গ্রীন্ডলেজ ব্যংকে (পরে তা মার্জ হয় স্টানডার্ড চার্টাড ব্যাংক এর সাথে)। দাদা সেখানকার চিফ ফাইনানসিয়াল অফিসার (সিএফও) ছিলেন। আর উনার পোস্টিং ছিল চিটাগাং এ। বাবার চাকরীর সুবাধে আমাদের জীবনের বড় একটি অংশ কেটেছিল চিটাগাং, কক্সবাজার, রাঙ্গামাটি, কাপ্তাই। আর যার কারনে আমাদের বাসায় দাদার আসা যাওয়া ছিল প্রায়। দাদা খুব মজা করে গল্প বলতেন। তাই দাদা যখনই বাসায় পা দিতেন আমরা সব ভাই-বোন দাদার চারপাশে মৈামাছির মতো ঘুরে বেড়াতাম। দাদার হাতে সবসময়ই থাকতো একটা ছোট ব্রিফকেস। ওটা ছিল আমাদের কাছে রাজ্যের বিস্বয়। কারন ওটা থেকেই বেড়িয়ে আসতো আমাদের জন্য নানা কিছু। চকলেট মিঠাই ছাড়াও পেপার ক্লিপ, রঙ্গীন কলম, পেন্সিল সহ যাবতীয় জিনিসে ঠাসা ছিল সে ব্রিফকেস।
সবাইকে ছাড়িয়ে আমি ছিলাম দাদার কঠিন ভক্ত। দাদার গল্পগুলো আমি চোখ গোল গোল করে শুনতাম। আর দাদাও অজানা কারনে আমাকে অনেক ভালোবাসতেন। আমাদের সম্পর্ক উনার আশি বছরে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত একই রকম ছিল। ইউনিভার্সিটিতে পড়তাম তখন, দাদা যখনই চিটাগাং থেকে ঢাকায় ফুফুর বাসায় আসতেন তখনই তিনি সবাইকে জ্বালিয়ে মারতেন আমাকে হল থেকে নিয়ে আসার জন্য। আমাকে উনি ডাকতেন সুহানী বলে। আমি আসলেই আমার হাত ধরে থাকতেন। কত গল্প করতাম আমরা। বেশীরভাগই রাজনীতি নিয়ে, দেশের সমস্যা নিয়ে, আমাদের পরিবারের অনেক কথা জানাতেন। আমি মন্ত্রোমুগ্ধের মতো শুনতাম সে সব গল্প।
দাদা খুব সৈাখিন ছিলেন পোষাক আসাক সহ সব কিছু নিয়ে। সবসময়ই সাদা ডায়ালের ঘড়ি পড়তেন, সাদা শার্ট/পান্জাবী/ফতুয়া পড়তেন। আমি হেসে বলতাম, দুনিয়ার এতো রং থাকতে সাদা কেন? দাদা ব্যাখ্যা করতেন সাদা ডায়ালে রাতে ঘড়ি দেখতে সুবিধা। সাদা রং এ নিজেকে পবিত্র মনে হয় আর সাদা রং নিয়েইতো দুনিয়া ছেড়ে যাবো। তারপর থেকে কেন যেন সাদাই আমার প্রিয় রং হয়ে উঠলো।
দাদাকে নিয়ে বেশ কিছু মজার স্মৃতি যেমন আছে তেমনি অনেক কষ্টের স্মৃতিও আছে। দাদা ছিলেন একজন আপাদমস্তক উদাসীন মানুষ। কোনভাবেই বৈষয়ক মানুষ ছিলেন না। এতো বড় পজিশানে থাকার পরও ছিলেন খুবই সহজ সরল। যে যাই বলতো তাই খুব সহজে বিশ্বাস করতেন। মানুষের দু:খে কস্টে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। যার কারনে এতো অর্থ আয় করার পরও তেমন কিছু ছিল না উনার। এমন কি উনার রিটায়ারমেন্টের পর উনার টাকার বড় অংশই বলতে গেলে উনার সহকর্মী, আত্মীয়-স্বজনরা ধার নিয়ে আর ফেরত দেয়নি। কারো ছেলেকে বিদেশ পাঠানোর জন্য, কারো মেয়ে বিয়ের জন্য, কারো জমি-জমা নিয়ে ঝামেলার জন্য বা কারো অভাবী দেখে নিজেই যেচে টাকা দিয়ে আসতেন। আমি প্রায়ই বলতাম, দাদা আপনিতো জানেন এ লোকটা আপনার টাকা ফেরত দিবে না। তা জেনেও কেন আপনি দিলেন? উনি এক গাল হেসে বলতেন, বইনরে ওই টাকাতো আমার কাছে বাড়তি। না হলেও তেমন ক্ষতি নেই কিন্তু ওর তো সেটা জীবন মরন। তাই তার প্রয়োজনটা আমার চেয়েও বেশী।
রিটায়ারমেন্টের পর একসাথে অনেক টাকা পাওয়ার পর উনার এক শুভাকাঙ্খী উনাকে বুদ্ধি দিলো রামুর পাহাড় কেনার জন্য। উনাকে বললো, এ পাহাড় কিনে যদি উনি রাবার গার্ডেন করেন তাহলে দারুন লাভ হবে। প্রাথমিক খরচের পর আর তেমন কোন খরচ নেই। এরপর বছর বছর শুধু উৎপাদন। তারপর দাদা সেখানে বিশাল অংকের টাকা ইনভেস্ট করলেন। তখন আমরা ছিলাম কক্সবাজারে। যার কারনে দাদা প্রায়ই আসতেন আমাদের বাসায় রামুতে যাওয়া আসার সময়। রামুর পাহাড়ের চূড়ায় ছোট ঘর করে দাদা সেখানে থাকা শুরু করেছিলেন। যতদূর মনে পড়ে প্রায় বছর দুয়ের উনি দিন-রাত পরিশ্রম করে পাহাড় কেটে, জঙ্গল সাফ করে, শ্রমিকদের জন্য ঘর বানিয়ে, পানি/সেনিটেশানের ব্যবস্থা করেছিলেন। সব কাজ যখন শেষ হলো তারপর এক রাতে স্থানীয় নেতা, গুন্ডা পান্ডারা উনার উপর হামলা করলো। উনাকে জানে মারেনি বলে আমরা কৃতজ্ঞ তবে জীবনের বাইরে আর কিছুই উনি ফেরত পাননি। অবশ্য এ নিয়ে উনাকে কখনো দু:খ করতে দেখেনি। উনি হাসতে হাসতে বলতেন, বইন, মনে করো জানের সদকা ওটা। জীবনটাকে যত সহজ ভাববে ততই সহজ হবে। জটিলভাবে চিন্তা করলে অশান্তিই বাড়বে। যা হারিয়েছি মনে করি ওটা আমার জন্য ছিল না। তাই ওটা নিয়ে ভেবে নিজের বর্তমানকে কেন নষ্ট করবো।
বাংলাদেশের আর সব গ্রামের মতই উনার বাড়িতে তখন বিদ্যুত ছিল না। তবে উনার একটা ফ্রিজ ছিল যা কেরোসিনে চলতো। আমার জীবনে প্রথম কেরোসিনের ফ্রিজ দেখা। একটা বিদেশী জাহাজ থেকে উনি কিনেছিলেন। যখনকার কথা বলছি তখন ফ্রিজ ছিল সাধারনের কাছে অনেকটা স্বপ্নের মতো। আমরা যখন দাদার বাড়িতে যেতাম তখন উনি সে ফ্রিজটা চালাতেন আমাদের জন্য। কারন এতো বেশী কেরোসিন খরচ হতো যে তা অন্য সময় চালাতে চাইতেন না দাদী। কিছু বাটিতে পানি, কিছু বাটিতে দুধ চিনি দিয়ে আইসক্রিম বানানোর চেস্টা করতেন দাদা-দাদী। আমরা পাগলের মতো খেতাম তা। তখন শুধু বরফ খাওয়াই ছিল আমাদের জন্য স্বপ্ন। তার উপর ফ্রিজ থেকে নামিয়ে এনে তা খাওয়ার যে আনন্দ তা বলে বোঝানো যাবে না।
দাদা প্রায় আশির কাছাকাছি বয়স বেচেঁছিলেন। শেষ দিকে আমি খুব ব্যাস্ত হয়ে পড়েছিলাম চাকরী, সংসার. সন্তান নিয়ে। তাই সেরকম ভাবে যাওয়া হতো না উনার কাছে। কিন্তু মনটা প্রায় উনাকে দেখার জন্য আনচান করতো। মৃত্যুর শেষ সময়ে উনার পাশে হাত ধরে বসেছিলাম। তারপর একদিন চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। এখনো প্রায় ভাবি সে নিরংহকার সাধাসিধে ভালো মানুষটির কথা, উনার সাথে কাটানো দিনগুলোর কথা, উনার বলে যাওয়া আদর্শের কথা। ওপারে ভালো থাকুক আমার প্রিয় মানুষটি।
দাদার কোন ছবি আমার কাছে নেই একটি ছাড়া যা উনার শেষ বয়সের ছবি। সেটাই শেয়ার করলাম সবার সাথে।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ
২| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:৪০
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আল্লাহ উনাকে জান্নাত দান করুন। আমার দাদার কথা মনেই নাই।
ভালো লাগলো আপি
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ আপুনি।
আমি সত্যিই ভাগ্যবান দাদা-দাদী, নানা-নানী, উনাদের বাবা-মায়েদেরও দেখা পেয়েছিলাম বলতে গেলে।
৩| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১১:০৮
মা.হাসান বলেছেন: সাদা পাঞ্জাবি ওয়ালা ছবি যেহেতু আপনার কাছে নাই, যা আছে তাতেই ওনাকে কল্পনায় দেখার চেষ্ট করলাম।
রিটায়ারমেন্টের পরে এরকম বুদ্ধি দেয়ার লোকের সংখ্যা হঠাৎ বেড়ে যায়। আমার বড় আব্বার শালা, সম্পর্কে আমার মামা, রিটায়ার করার পর ওনার এক নাতি জামাই (একটু চতুর ) নানা শশুরকে পরামর্শ দিলো- সিমেন্টের দোকান দেন, লাভ আর লাভ।
তো দোকানের একমাত্র কাস্টমার ছিলো নাতি জামাই। বাকিতে সব সিমেন্ট নিয়ে নিজের দোতলা বাড়ি কমপ্লিট করলো।
জীবনটাকে যত সহজ ভাববে ততই সহজ হবে। জটিলভাবে চিন্তা করলে অশান্তিই বাড়বে। যা হারিয়েছি মনে করি ওটা আমার জন্য ছিল না। তাই ওটা নিয়ে ভেবে নিজের বর্তমানকে কেন নষ্ট করবো।
এরকম সহজ ফিলোসফি থাকলে নিজের কষ্ট হয়তো থাকে না, তবে আশে পাশের মানুষ সব সময় একটু দুশ্চিন্তায় থাকার কথা -কে কিভাবে সরলতার সুযোগ নিয়ে নেয়।
উনি যে জগতে আছেন সেখানে ওনার সকল রকমের শান্তি কামনা করছি।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ হাসান ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
এরকম বুদ্ধি দেয়ার লোকের সংখ্যা সবসময়ই যথেস্ট। তাদের বুদ্ধি এড়িয়ে নিজের বুদ্ধিতে খুব কম মানুষই পারে চলতে। যারা খুব ম্ট্রং তারাই হয়তো পারে। এরকম চতুর নাতজামাই থাকলেতো কথাই নেই। পথে বসাতে খুব দেরী হয় না।
"জীবনটাকে যত সহজ ভাববে ততই সহজ হবে। জটিলভাবে চিন্তা করলে অশান্তিই বাড়বে। যা হারিয়েছি মনে করি ওটা আমার জন্য ছিল না। তাই ওটা নিয়ে ভেবে নিজের বর্তমানকে কেন নষ্ট করবো।" ............
এটি এখনকার প্রেক্ষাপটে খুব কঠিন। দিন দিন মানুষের মস্তিস্ক জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। সরলতার কোন সুযোগই এখন নেই। যে যেভাবে পারে অন্যের মাথায় কাঠাল ভেঙ্গে খাওয়ার জন্য উৎ পেতে থাকে।
অনেক ধন্যবাদ, খুব মন খারাপ লাগে উনার কথা মনে পড়লে।
৪| ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১২:১৮
শেরজা তপন বলেছেন: কেরোসিনের ফ্রিজের কথা আমি এই প্রথমবার শুনলাম।
কত উদার বড় মনের সুখী মানুষ ছিলেন আপনার দাদা। উনার রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
আপনার বাবার বিষয়ে জানার অপেক্ষায় রইলাম...
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৮
সোহানী বলেছেন: কেরোসিনের ফ্রিজের কথা অনেকেই জানে না। আগে বিদেশী জাহাজে তা চলতো। সেখান থেকেই দাদা কিনে ছিলেন। খুব সৈাখিন মানুষ ছিলেন উনি। উনি সুখী থাকার থাকার চেস্টা করেছিলেন কিন্তু আশেপাশের মানুষগুলোর জন্য সবসময় পারেননি।
বাবাকে নিয়ে কতভাবে চেস্টা করছি লিখার। কিন্তু কোনভাবেই শুরু করতে পারছি না। কিভাবে যে শুরু করবো সেটাই বুঝে উঠতে পারছি না।
অনেক ধন্যবাদ শেরজা ভাই।
৫| ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
ওই টাকাতো আমার কাছে বাড়তি। না হলেও তেমন ক্ষতি নেই কিন্তু ওর তো সেটা জীবন মরন। তাই তার প্রয়োজনটা আমার চেয়েও বেশী।
কয়জন পারে এভাবে ভাবতে, বড় মনের মানুষ ছিলেন ।
পাহাড় কিনে তার ওপর ঘর বানিয়ে থাকার বিষয়টা দারুণ লেগেছে
পাহাড় আমাকেও আকর্ষণ করে আপু ।
একদিন আমি সব ছেড়ে দিয়ে সন্ন্যাসী হবো
পাহাড়ি হয়ে ওখান থেকে আকাশ ছোঁব
দাদাকে পাইনি , কাজেই দাদাভাই নাতনী সম্পর্ক কেমন হয় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা নেই ।
থ্যাংকস সোহানীপু দাদাকে নিয়ে সুন্দর লেখাটির জন্য ।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সোহানী বলেছেন: "একদিন আমি সব ছেড়ে দিয়ে সন্ন্যাসী হবো
পাহাড়ি হয়ে ওখান থেকে আকাশ ছোঁব"...
সত্যিই পাহাড়ে ঘুরে বেড়ানো, থাকার মজাই আলাদা। আর সেই পাহাড়ের সাথে যদি সমুদ্র থাকে তাহলো তো কথাই নেই। আহ্, জীবনে আর কি চাই!!
আমার দাদা যে অমন ফিলোসফার ছিলেন তা এখন বুঝতে পারি। তখন শুধু বাবা মায়ের অভিযোগ শুনতাম দাদাকে নিয়ে। আর এখন ভাবি কি অদ্ভুত এমজন মানুষকে পেয়েছি জীবনে।
৬| ৩০ শে মে, ২০২১ দুপুর ১:৫৩
রাজীব নুর বলেছেন: ফ্রিজ চলতো কেরাসিনে!! কি অদ্ভুত!!
অতীত দিনের গল্প-অতি মনোরম হয়েছে।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৪
সোহানী বলেছেন: সত্যিই অদ্ভুত। খুব কম মানুষই এমন ফিজের খোঁজ জানে।
ধন্যবাদ রাজিব ভাই।
৭| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৪৩
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আমার দাদীর ছবি, ভিডিও আছে। দাদার কেবল একটা ছবি আছে সেই আদিকালের পাসপোর্টে হজ্জ্বে যাবার সময়ের।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৬
সোহানী বলেছেন: আসলে অনেক ছবিই ছিল। কিন্তু আমি বিদেশে আসার পর আর খোঁজ জানি না। বাবার একটা ক্যামেরা ছিল। আর সেটা দিয়ে অনেক ছবি তুলতেন। দেখি নেক্সট দেশে গেলে খোঁজ নিবো।
৮| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৩:৫৭
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: বাহ্। উউত্তরাধিকার হিসেবে আপনিও দাদা ভাইয়ের ভালো কিছু গুন নিশ্চিতভাবে পেয়েছেন আশা রাখি।
অগ্রজরা এভাবেই বেঁচে থাকেন তার অনুজদের স্মৃতিতে, ভাবনায়, আদর্শে...
দাদা ভাই যেখানে আছেন, অনেক অনেক দোয়া করি আল্লাহ তায়া’লা তাকে জান্নাত নসিব করুন। আমিন।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোহানী বলেছেন: নাহ্, কোন গুনই আমি পাইনি। নিজেকে এ নিয়ে শত অনুযোগ আমার। চারপাশের কঠিন জটিলতা আমাদেরকে জটিল বানিয়ে দেয়।
৯| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:০৮
পদ্মপুকুর বলেছেন: চাকুরি শেষে মানুষের মধ্যে ব্যস্ততা থেকে মুক্তির জন্য নিজের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। আমি, আমার ভাইবোনেরা এ বিষয় নিয়ে খুবই বিরক্ত ছিলাম যখন আমাদের পরিবারেই এমনটা ঘটলো। কিন্তু এখন বেলা যত পড়ে আসছে, ততই আমারও মনে হচ্ছে কি হবে এই ইদুর দোঁড়ের ঢাকায় থেকে, এরচেয়ে ওই মফস্বলেই এখনও জীবনের মানে কিছুটা বেচে আছে....
আপনার দাদাজানের রামুর পাহাড় কেনার মধ্যে এরকম কোনো প্রেরণা কাজ করেছিলো কিনা কে জানে! তবে মানুষের মধ্যকার সহজ-সরল ভাবটা দিনে দিনে শুধু কমছেই।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০২
সোহানী বলেছেন: "চাকুরি শেষে মানুষের মধ্যে ব্যস্ততা থেকে মুক্তির জন্য নিজের জন্মস্থানে ফিরে যাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়।"...
সত্য। হিসেবটা খুব সহজ। নিজের ভালোলাগার স্থানটি ফিরে পাওয়া। আগের মতো বাঁচতে চাওয়া। এই যে আমি প্রায় বলি রিটায়ারমেন্টের পর দেশে ফিরে যাবো। কিন্তু বাস্তবতা হলো পারবো কি? আমার শশুড় শাশুড়ি ইউএস প্রবাসী। আজ থেকে ১০ বছর আগে থেকেই চেস্টা করছে দেশে ফিরে যেত কিন্তু পারছে না। কারন অভ্যস্থতা।
যারা সব বাধাঁ পেরিয়ে ফিরে ফিরে যেতে পারে তারা অনেক সাহসী।
আর মানুষ দিন দিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে।
১০| ৩০ শে মে, ২০২১ বিকাল ৪:৪৬
নেওয়াজ আলি বলেছেন: দাদা দাদী নানা নানীকে আমরা অতি সহজে ভুলে যাই । কিন্তু উনারা নাতি নাতনীদের সবচেয়ে অকৃত্রিম আদর ভালোবাসা দেন। আমার এই নিক নেইম হলো আমার দাদার নাম । জাষ্ট দাদাকে স্মরণ রাখা।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
সোহানী বলেছেন: সত্য। উনাদের ভালোবাসার কোন তুলনা হয় না।
আপনার নিক নেইম কি?
১১| ৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
ডাব্বা বলেছেন: আমার এক বন্ধু তার ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করেছে ১৫ পূর্ব পুরুষ পর্যন্ত। আপনার লেখাটি পড়ে এটা হঠাৎ মাথায় এলো।
৩০ শে মে, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৫
সোহানী বলেছেন: আমার ছোট চাচা শুরু করেছিলেন কিন্তু মনে হয় শেষ করতে পারননি।
১২| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ৮:৫৮
শায়মা বলেছেন: সবার কাছেই এই দাদা দাদী নানা নানীরা অনেক অনেক ভালোবাসার হয়ে থাকে আজীবন।
দাদার কথা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আমারও আজকাল খুব মনে পড়ে আমার নিজের দাদার কথাও।
করোনার অবসরে স্মৃতিগুলি ফিরে এলো।
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:০৭
সোহানী বলেছেন: লিখে ফেল শায়মা। স্মৃতি থেকে অনেক কিছু ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে। তাই হারানোর আগেই লিখে ফেল।
১৩| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:২২
ভুয়া মফিজ বলেছেন: আমাদের প্রত্যেকেরই এমন কোন না কোন প্রিয়জন মুরুব্বী আছেন। তাদের নিয়ে আমাদের অম্ল-মধুর স্মৃতিও আছে। তবে সমস্যা হলো, সবার পক্ষে সেগুলো লিখে প্রকাশ করা হয়ে উঠে না। আপনার এই লেখা পড়ে আমার নানাজানের স্মৃতি মনে পড়ে গেল।
মহান আল্লাহ উনাদেরকে ওপারে ভালো রাখুন, জান্নাত নসীব করুন।
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:০৮
সোহানী বলেছেন: লিখে ফেলেন মফিজ ভাই। আমরা না লিখলেতো কেউই তাদের কথা জানবে না। আমি সিরিজটা শুরু করেছি মাত্র। ইচ্ছে আছে একে একে সবার কথা লিখার।
১৪| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১০:৩২
জুন বলেছেন: আপনার প্রিয় জনের স্মৃতি পড়ে খুব ভালো লাগলো সোহানী। আসলেই উনি ব্যাতিক্রম ছিলেন। অনেক দোয়া রইলো উনার জন্য।
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:১১
সোহানী বলেছেন: উনি অনেক অনেক ব্যাতিক্রম ছিলেন তা এখন বুঝতে পারি। এমন ভালো মনের মানুষের দেখা যে আমি সত্যিই পাইনি। কি যে কষ্ট লাগে উনার জন্য। মনে হয় ইশ্ যদি আমার কাছে কয়টা দিন এনে রাখতে পারতাম। আরো কয়টা পাশে থাকতে পারতাম।
১৫| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১২
নুরুন নাহার লিলিয়ান বলেছেন: আহা কতো কি জানার আছে । অনেক সুন্দর একটা লেখা
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:১১
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ লিলি আপুনি।
১৬| ৩০ শে মে, ২০২১ রাত ১১:১৬
খায়রুল আহসান বলেছেন: দাদাকে নিয়ে আপনার স্মৃতিচারণ ও শ্রদ্ধাঞ্জলি পড়ে খুব ভাল লাগলো। ওনার সহজ সরল জীবন যাপন প্রণালী এবং জীবনের দর্শনের কথা জেনে মুগ্ধ হ'লাম। ওনাকে যে আপনি মৃত্যুর আগে কিছুটা সময় দিয়েছিলেন, ওনার পাশে হাত ধরে বসেছিলেন, সেটা খুবই একটা ভাল কাজ করেছিলেন। আমার মনে হয়, মৃত্যুর সময় সব মানুষই প্রিয়জনের স্পর্শ কামনা করে।
"আমার এই নিক নেইম হলো আমার দাদার নাম । জাষ্ট দাদাকে স্মরণ রাখা" - এই কাজটার জন্য নেওয়াজ আলি কে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:২২
সোহানী বলেছেন: কিছু মানুষ আমার জীবনের প্রতিটি মূহুর্তে কাছে থাকে, কিছুতেই ভুলতে পারি না। তারা সারাক্ষনই কোন না কোন ভাবে আমার পাশে থাকে, বিশেষ করে আমার মা। যখনই মন খারাপ হয় চোখ বন্ধ করে আমি উনাদের স্পর্শ অনুভব করি।
১৭| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১২:১৬
ঢুকিচেপা বলেছেন: সত্যিকার অর্থে একজন ভালো মানুষ সম্পর্কে জানলাম।
কেরোসিনের ফ্রিজ হয় এটা জানাই ছিল না।
আপনার দাদাকে পরম করুনাময় আল্লাহ জান্নাতবাসী করুন।
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:২৪
সোহানী বলেছেন: উনি সত্যিই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অসাধরন ব্যাক্তিত্ব।
কেরোসিনের ফ্রিজ আমি উনার ওখানেই শুধুমাত্র দেখেছি। আর কোথাও না।
অনেক ধন্যবাদ।
১৮| ৩১ শে মে, ২০২১ রাত ১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: আপনার প্রিয় মানুষেরা ভাল থাকুক।
৩১ শে মে, ২০২১ ভোর ৬:২৫
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
১৯| ৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ৯:৫৭
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: বড় মনের মানুষটির রুহের মাগফেরাত কামনা করছি।
০১ লা জুন, ২০২১ রাত ৩:৫৯
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ দেশ প্রেমিক ভাই।
২০| ৩১ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:১৩
ইসিয়াক বলেছেন:
আমার দাদাকে আমি কোনদিন দেখিনি আমার আব্বার দেড় বছর বয়সে উনি কলকাতায় মারা যান। তবে উনার অনেক স্মৃতি চিহ্ন যা আমার দাদীজান যত্ন করে রেখে দিয়েছিলেন,হিসাবের খাতা ,কলম ,উনার নামের সিলমোহর ,ডায়েরী, চশমা সহ অন্যন্য জিনিস আমার কাছে রাখা আছে। আমি মাঝে মাঝে প্রাচীন ট্রাঙ্ক খুলে সেগুলো দেখি।তখন কেবলই মনে হয় উনার স্পর্শ পাচ্ছি।
দোয়া রইলো আপনার দাদার জন্য ।
০১ লা জুন, ২০২১ ভোর ৪:০০
সোহানী বলেছেন: অনেক বড় প্রাপ্তি হলো দাদা-দাদী ভালোবাসা। সেটা ভাবাই যায় না কি পরিমান ভালোবাসা তারা আমাদের জন্য লুকিয়ে রাখে বুকের মাঝে।
দাদার স্পর্শের জিনিস আপনার কাছে এখনো গচ্ছিত আছে জেনে ভালো লাগছে। আমার কাছে কিছুই নেই। এই এক কপি ছবি ছাড়া।
২১| ০১ লা জুন, ২০২১ রাত ২:১৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার দাদা বেশ গুণী মানুষ ছিলেন বুঝা যায় । ছোটকালে শুনেছি বিদেশী ব্যাংক এর জিএম
দের বেতন নাকি পাঁচ অংকের, যা সে সময়কার দেশের প্রেসিডেন্টের বেতনের থেকেও থেকেও বেশী।
যাহোক, সেসব ছোটকালে লোকমুখে শুনা কথা । এমন একজন গুণী মানুষের কিছু জীবনালেখ্য তুলে
ধরে সে সময়কার গুণী মানুষদের কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ।
আপনি আপনার দাদার কঠিন ভক্ত ছিলেন । আমি দাদার কি ছিলাম তা বলা একটু কঠিন । তবে আমি
ছিলাম দাদার বন্ধু , ছিলাম দাদার হাতের লাঠি । দাদার সাধের লম্বা নলওয়ালা গুড় গুড়া নকশি করা
হুক্কার কলকেতে তামাক সাজিয়ে টিকা জালিয়ে ফু দিয়ে হুক্কার কাছে নিয়ে যাওয়ার পথে কলকেতে
কশে কয়েকটা টান দিয়ে ছোটকালে আমার বুদ্ধির দোয়ার খুলে যেতো। আর সব দুষ্ট বুদ্ধি খাটাতাম
দাদার উপরেই প্রথমে , বকা বাদ্য কিছু প্রথমে জুটলেও পরে দাদা আমার দুষ্ট দুষ্ট বুদ্ধির তারিফ
করে গুড় বাতাসা মিষ্টি খাওয়াতেন আদর করে ।
ষাটের দশকে পেনসনের অর্থ দিয়ে রামুর বিস্তির্ন পতিত পাহাড়ী ভুমিতে আপনার দাদা অনেক কষ্টে
ও যত্নে রাবার চাষ শুরু করেছিলেন , তাঁর সেই প্রিয় রাবার বাগানটির সাথে নীজে স্থানীয় দুষ্ট লোককদের
নির্যাতনে প্রভুত দু:খ কষ্ট সয্য করেছেন । এটা সত্যিই খুবই বেদনাদায়ক ঘটনা আপনাদের সহ দেশ
ও জাতির জন্য । যাহোক, ষাটের দশকে শুরু হওয়া রামুর চা বাগান এখন অনেক বড় হয়ে একটি
আকর্ষনীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে ।
সময় সুযোগ পেলে আপনার প্রিয় দাদার হাতে শুরু হওয়া রামু এলাকায়
গড়ে উঠা সুন্দর রাবার বাগানটি পরিদর্শন করে আসতে পারেন। রামুর রাবার
বাগানটি এখন প্রায় তিন হাজার একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। দেশের প্রয়োজনে
রাবার চাষের আরো বিস্তার ঘটুক এ কামনাই করি আপনার দাদার কথা
স্মরনে রেখে । উনার প্রতি রইল শ্রদ্ধাঞ্জলী ।
অপনার প্রতি রইল শুভেচ্ছা ।
০১ লা জুন, ২০২১ ভোর ৪:২১
সোহানী বলেছেন: হাঁ, দাদার অনেক বেতন ছিল কিন্তু সত্যি বলতে তেমন কিছুই রেখে যেতে পারেননি। এরকম মানুষকে ভাঙ্গিয়ে খেতে কোনকালেই ধান্দাবাজদের অভাব ছিলনা।
দেশে থাকতেই গিয়েছিলাম তবে অনেক ছোটবেলায়। বাবা খুব দু:খ করতেন এ নিয়ে। বড় হবার পর খুব স্বার্থপর হয়ে গিয়েছিলাম। নিজের সংসার চাকরী সন্তান সব কিছু সামাল দিতে ওপাশের খোঁজ খুব কমই নিতে পারতাম। এখন খুব আফসোস হয় কেন বিচ্ছিন্ন হয়েছিলাম।
কেউই যে মনে রাখেনি উনার কথা। আমি আর বাবা ছাড়া উনার কথা কেউই স্মরণ করে না। কিভাবে যে সবাই হারিয়ে যায় দ্রুত। অথচ যাদের উনাকে মনে করার কথা তারা কেউই করে না। দু:খ করি আবার করি না কারন সবাইতো আর স্বার্থপর হতে পারে না। আজ যদি উনি স্বার্থপর আর চালাক হতেন তাহলে দেশের প্রথম সারির একজন ইন্ড্রাস্ট্রিয়ালিস্ট হতে পারতেন।
অনেক ভালো লাগলো আপনার দাদা কথা শুনে। আপনি দুষ্টু ছিলেন এমন কথা আমি বিশ্বাস কির না। হাহাহাহাহা। হয়তো একটু এদিক সেদিক করতেন। আমার দাদার সিগারেট পান তেমন কিছুরই নেশা ছিল না।
চমৎকার মন্তব্যে ভালোলাগা প্রিয় লেখক। আপনার বই এর খবর বলেন। কবে আসবে? আমাজান এ কি পাওয়া যাবে? তাহলে আমার কিনতে সুবিধা হতো।
২২| ০১ লা জুন, ২০২১ সকাল ১০:৫৫
এম এ হানিফ বলেছেন: আপনার দাদার সম্পর্কে শুনে ভালো লাগলো।
আল্লাহ ওনাকে জান্নাত বাসী করুন।
০২ রা জুন, ২০২১ রাত ১২:৫৭
সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ হানিফ ভাই।
২৩| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৩
করুণাধারা বলেছেন: জীবনটাকে মত সহজ ভাববে ততই সহজ হবে...
কী গভীর জীবন দর্শন! এই ধরণের জীবন দর্শনসম্পন্ন, নিরহংকার, সহজ সরল মানুষ আজকাল বিরল। এমন মানুষের কথা জানা জরুরী, খুব ভালো লেগেছিল পড়ে কিন্তু তখন ভাললাগা জানাতে পারিনি কিছু সমস্যা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছিলাম দেখে।
এমন পোস্ট আরও চাই।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৭
সোহানী বলেছেন: ওওওও সরি আপু কমেন্টসটা দেখি নাই। তা দেরী হয়ে গেল উত্তর দিতে।
আপুনি, সমস্যা সবসময়ই থাকবে। ওটা পাশে রেখেই জীবনে চলার চেস্টা করি। ওটা নিয়ে গভীর ভাবনায় পড়লে সমস্যাই আমাকে খেয়ে ফেলবে।
সবকিছু পাশে রেখে ব্লগে ফিরে আসুন নতুন উদ্যোমে। আপনার সাথে কথা বলবো এক সময়।
২৪| ২৪ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:২৩
মেহবুবা বলেছেন: সোহানী এমন লেখা আসলেই চালিয়ে যাওয়া উচিৎ।
আমাদের জীবনে কতজন কতভাবে ভূমিকা রাখে; মনে থাকে তবে লেখার পাতায় থাকলে বেশহয়।
সকাল থেকে ভাবছি কিছু কথা। আমার বাসায় অনেক বছর ধরে রান্না এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে অনেক দূর থেকে এসে একজন। আমার শরীরটা একটু খারাপ করেছে তো সে ঠিক চলে এসেছে ! লক ডাউনে অনেকটা পথ হেঁটে এসেছে! এমন কত কত ঋন কতজনের কাছে।
সকাল থেকে ভাবছি লিখে রাখি এত সব মহতী প্রাণ এর কথা।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:০২
সোহানী বলেছেন: আসলে এটি দায় থেকে লিখা। ভালোবাসার দায়। এ দায় যে কোনভাবেই মেটাতে পারছি না। এরকম অসংখ্য ভালোবাসার দায় মাথায় নিয়ে ঘুরছি।
লিখে রাখুন সময় করে। অন্তত ভবিষ্যতে বাচ্চাদেরকে দেখাতে পারবেন নিজের দায়ের কথা।
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে মে, ২০২১ সকাল ১০:২৪
ডাব্বা বলেছেন: নাইস।