নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
প্রথম দিন ক্লাসে ঢুকেই দেখি বিশাল ক্যাচাল, উত্তর আর দক্ষিন কোরিয়ার মতো দুই শ্রেনীতে বিভক্ত ক্লাস। এর এক শ্রেনী হলো ঢাকার বাসিন্দা যারা নিজেদেরকে শের শায়ের বংশধর মনে করে। আর দ্বিতীয় শ্রেনী হলো আমরা যারা গ্রাম গন্জ মফস্বল থেকে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি। তো এ ভিআইপি শ্রেনী মনে করে আমরা মনে হয় এইমাত্রই সদরঘাট থেকে নেমে ক্লাসে ঢুকছি। ঢাকা শহরের লাল নীল বাত্তি আমরা জীবনের এ প্রথম দেখছি।
তো এই প্রথম শ্রেনী রীতিমত ভাব নিয়ে ক্লাসে ঢুকে, নিজেদের মধ্যে বন্ধুত্ব করে, তুই তোকারী করে ক্লাসে কথা বলে, হৈচৈ আড্ডায় মেতে থাকে ক্লাসে, বিশাল জন্মদিনে পার্টি করে, আর আমাদেরকে নিয়ে বেশ তুচ্ছ তাচ্ছিল ভাব নিয়ে চলে। একজনতো রীতিমত প্রশ্নই করে বসলো তুমি কি এর আগে কখনো কারেন্ট দেখেছো, তোমাদের বাসায় নিশ্চয় কোন কারেন্ট নাই!!! হাহাহাহা.......
যাহোক, তাদের দাপটে আমরা মোটামুটি মাইনকার চিপায় বইসা পড়লাম। এদিকে আমারতো মোটামুটি হার্টফেল করার অবস্থা। কই আইসা পড়লাম, কেমনে দিনকাল কাটামু, কেমনে পড়ুম এই আঁতেলগো লগে। বাসায় কিছু কওয়া যাচ্ছিল না কারন নিজের ইচ্ছায় জোর কইরা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হইছি্ আবার এদিকে সহ্যও যায় না এদের ভাব!
এদিকে আবার গোপন সূত্রে জানতে পারলাম ব্রাম্মণ গ্রুপে আবার তিন ভাগ। ঢাকা কলেজ, সিটি কলেজ আর নটেরডেম কলেজ। মেয়েরা দুইভাগে বিভক্ত হলিক্রস আর ননহলিক্রস। যদিও আমাদের আমরা সর্ব সাকূল্যে ১৩ জন মেয়ে ছিলাম। কারন একেতো বানিজ্য বিভাগ তারউপ্রে এ্যাকাউন্টিং তাই মেয়েরা খুব কমই এ পথ মাড়াতো।
এই ভাগাভাগিতে যখন আমি দিশেহারা তখন দেখলাম ক্লাসে আসল ভাগ হলো সেকশান... সেকশান A ও সেকশান B। অর্থাৎ যারা ভর্তি পরীক্ষার মেধায় তালিকায় আগে ছিল তারা সেকশান এ আর পিছনেরগুলো সব সেকশান বি। আমি যদিও সম্মিলিত মেধাতালিকায় ১২১ নাম্বারে ছিলাম কিন্তু কিছু কাগজ পত্রের সর্টের কারনে সময়মতো ভর্তি হতে না পারায় সেকশান বি তে পড়লাম। অবশ্য বলে নেই, সে সময়ে এ কাগজ পত্র নিয়ে আমাকে দৈাড়াতে বেশ সাহায্য করেছিল আমার বন্ধূ সুধীর, সেও গাঁও গেরাম থেকে আসছিল আমারই মতো। মফস্বল থেকে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর বিশাল রেজিস্টার বিল্ডিং এর প্যাঁচ বোঝা খুব কঠিন একটা কাজ ছিল। কলাভবনের প্যাচঁ বুঝতেই মাথা খারাপ অবস্থা ছিল। আর তখন এখনকার মতো বানিজ্য ভবন না থাকার কারনে কলা ভবনেই আমরা ক্লাস করতাম অনেকটা কাকের বাসায় কোকিলের ডিম পাড়ার মতো অবস্থা। সে গল্প আরেক পর্বে।
যাক, যা বলছিলাম। তো সেকশান ভাব নিয়েও বিশাল অবস্থা। যারা সেকশান এ তে ছিল তারা আবার সেকশান বি কে দেখলে নাক মুখ কান গলা সবকিছুই ছিটকাতো। আর সেকশান বি তাই নিজেদের মাঝেই চলার চেস্টা করতো। তবে এ সেকশান বি তে ও কিছু ঝামেলা তৈরী হলো। কিছু মিডল গ্রুপ ছিল যারা ঠিক জায়গা করে নিতে পারছিলনা ব্রাম্মণদের গ্রুপে। কিছুদিন পর অবশ্য তারা অবশেষে জায়গা করে নিল আমাদের মতো ক্ষেতে কাজ করা কৃষক মজুরদের সাথে।
তবে ক'দিন এদের ভাব সহ্য করে আমরা ক্ষেত মজুররা নিজেরাই বন্ধুত্ব করা শুরু করলাম। এরই মাঝে আমার সাথে বন্ধূত্ব হলো হাফ ভিআইপি হাফ ক্ষেত মজুর শ্রেনী নারায়নগন্জের দল। এরা অবশ্য কিছুটা মাইনকার চিপায় ছিল প্রথম থেকেই, না ভিআইপি বেশ ধরতে পারছিল, না ক্ষেত শ্রেনীর খাতায় নামও লিখাতে পারছিল। হাজার হোক নারায়নগন্জ ঢাকার বাড়ির পাশের মানুষ। তবে এদের একটা স্ট্রং দিক ছিল এরা সবাই একসাথে দল বেধেঁ চলতো। সকালে নারায়নগন্জ থেকে আসতো সবাই মিলে আবার ক্লাস শেষে একসাথে ফিরে যেত এক সাথে। ওদের বন্ডিং এর কারনে ব্রাম্মণরা এদেরকে খুব একটা ঘাটাতো না।
আজ এ পর্যন্ত। নেক্সট নিয়ে আসবো বন্ধুত্ব পর্ব।
সোহানী
জুন, ২০২১
বি: দ্র: একটু কারেকশান করছি। আমার বন্ধুরা জানিয়েছে ক্লাসের সেকশান ভাগের যে পদ্ধতি আমি বলেছি তা ঠিক নয়। ভর্তি পরীক্ষার মেধা তালিকা নয়, যে আগে ভর্তি হবে তার আগে রোল হবে। এবং এর মাঝেই প্রথম ভর্তিকৃত ৭৫ জন সেকশান এ তো ও বাকি ৭৫ জন সেকশান বি তে যাবে। একেকটি বিষয়ে ১৫০ জন করে ৪টি বিষয় এ্যাকাইন্টিং, ফিন্যান্স, ম্যানেজমেন্ট ও মার্কেটিং এ মোট ৬০০ জন ভর্তির সুযোগ পেতো।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। সার্বিক চিত্র চিত্রায়নের চেস্টাই করেছি।
২| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৯
চাঁদগাজী বলেছেন:
তখন মধুর ক্যান্টিনের রাজা কারা ছিলো?
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৮
সোহানী বলেছেন: তখন ছিল আমান জসিম এর গ্রুপ এর রাজত্ব।
৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১১:১৩
মলাসইলমুইনা বলেছেন: আপনার অবজারভেশনতো ভীষণ ভালো। আমি যখন ইউনিভার্সিটি শুরু করেছিলাম তখনতো আমাদের ক্লাস বা ডিপার্টমেন্টের এই ব্রামিন আর শিডিউলকাস্টের ব্যাপারটা খেয়াল করিনি একদমই। আমি অবশ্য আপনার সব ইন্ডেক্সেই ব্রামিন ছিলাম সেটার জন্যই নাকি চোখে পড়েনি বুঝতে পারছি না।যাহোক, চমৎকার শুরু হলো। আরো চমৎকার পরের আরো অনেক পর্ব আশা করে রইলাম ।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৯
সোহানী বলেছেন: ব্রাম্মন ছিলেন বলেই নম:শুদ্রদের চোখে পড়েনি...........হাহাহাহা
৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১১:১৮
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমার ধারণা ছিল আপনি ডাক্তারী লাইনে আছেন। এখন জানলাম হিসাব বিজ্ঞানে পড়াশুনা করেছেন। আমার তো ধারণা ছিল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঢাকার বাইরের ছেলেমেয়েরাই সংখ্যাগুরু। আপনি কি হলে ছিলেন?
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
সোহানী বলেছেন: আমি নই, আমার বোনরা সব ডাক্তার।
ঠিক, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ঢাকার বাইরের ছেলেমেয়েরাই সংখ্যাগুরু। কিন্তু ঢাকার পোলাপান ভাব নেয়ার চেস্টা করতো।
৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১১:৪১
আল ইফরান বলেছেন: সোহানী আপু, পুরনো স্মৃতি আবার নতুন করে মনে করিয়ে দিলেন। আমি হাইব্রিড ক্যাটাগরিতে ছিলাম আমাদের বিভাগে। আই মিন ঢাকার কলেজ+ নারায়নগঞ্জ এবং কিছুটা মফস্বলের পরিচয়। এই তিনের সমন্বয়ের ফলে যেই জিনিসটা হয়েছিল তা হচ্ছে এ-ই ব্রাক্ষ্মনদের সাথে শ্রেণিসংঘাত
আমাদের ডিপার্টমেন্টে এই ব্রাহ্মণ্যবাদ খুব বেশি সুবিধা করতে পারে নি সংখ্যার স্বল্পতার কারনে। তবে আমাদের কলেজের সার্কেল একেবারে শেষ পর্যন্ত ঐক্যবদ্ধ থাকতে পেরেছে এক-দুইটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
সোহানী বলেছেন: হাহাহা....... ব্রাক্ষ্মনদের সাথে শ্রেণিসংঘাত
ব্রাক্ষ্মনরা কোনকালেই তেমন সুবিধা করতে পারে নাই। তারপরও ভাবের উপ্রে চলতো!!
৬| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ দুপুর ২:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: স্মৃতিকথা পড়তে আমার সব সময় ভাল লাগে। মুহুর্তের মধ্যে অন্যের অতীতে চলে যাওয়া যায়।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২১
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। চমৎকার সে সব দিন কাটিয়েছিলাম।
৭| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:০০
ভুয়া মফিজ বলেছেন: একজন শুদ্ধ ব্রাহ্মণ হিসাবে আপনের এই পোষ্টে আসমু কিনা চিন্তা করতাছিলাম। দোনোমোনো করতে করতে শ্যাষ পর্যন্ত আইসাই পড়লাম। কারন, আপনের আর আমার ফ্যাকাল্টি একই!!
আমাদের ক্লাস হইতো প্রধানতঃ কলাভবনের চাইর তলায়, আর লেকচার থিয়েটারে। আমাগো জুনিয়র হিসাবে আপনেদের শ্যাষের দিকে তো নতুন বিল্ডিংয়ে কিছু ক্লাশ আপনেগো পাওনের কথা, পান নাই? আমরা থাকতে থাকতেই চেয়ারম্যানসহ বেশীরভাগ স্যারের রুমই নতুন বিল্ডিংয়ে সরায়া নিছিলো, তয় কমার্স ফ্যাকাল্টির এখন যেই কমপ্লেক্স, সেইটার কাম আমরা থাকতে থাকতে শুরু হইছিলো কিনা মনে করতে পারতাছি না। বুড়া হইতাছি, আর মেমোরী হাল্কার উপ্রে ঝাপসা হইতাছে!!
আপনের স্মৃতিচারণ দেইখা তো আমারও লিখবার মন চাইতাছে!!
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
সোহানী বলেছেন: হেহেহেহে....ব্রাক্ষ্মন হিসেবে আপনার বক্তব্য জানতে চাই জাতি!!
আমরাও ক্লাস করতাম ৩০২৭, ৪০৪৫ আর লেকচার থিয়েটারে। বিল্ডিংয়ের কাজ তখন আধা খ্যাচরা ছিল।
৮| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৩:৩০
শায়মা বলেছেন: হলিক্রস আর নন হলিক্রস।
তখন ভি এন সির মনে হয় পাত্তা ছিলো না।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৫
সোহানী বলেছেন: তা আর বলতে রে আপুনি!! সে এক বিরাট ইতিহাস!
৯| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৪:০৪
ঢাবিয়ান বলেছেন: উফফ আপু কি পোস্ট দিলেন। একেতো গতকাল ফেসবুকে Dhaka University ex students Association নামে এক গ্রপ খোলা হইসে। এত হিট গ্রপ আর মনে হয় না কোন গ্রপ এ যাবতকালে হইসে। দেশের নামকরা বিখ্যাত সব ব্যক্তিরা ( এক্স ঢাবিয়ান) সেখানে পোস্ট দিচ্ছে, স্মৃতিচারন করছে। স্মৃতির নাওয়ে ভাসতে ভাসতে ব্লগে ঢুকেও দেখি আপনার বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের পোস্ট।
চলুক আড্ডা। আবার আসব
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩
সোহানী বলেছেন: আমিও ক'দিন ধরে দেখছি। এখনো পোস্ট করিনি তবে করবো।
আপনার স্মৃতিচারনই কিন্তু আমাকে উৎসাহিত করেছে।
১০| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ বিকাল ৫:৩২
পাঁচ-মিশালি বলেছেন: যদিও আমাদের আমরা সর্ব সাকূল্যে ১৩ জন মেয়ে ছিলাম। কারন একেতো বানিজ্য বিভাগ তারউপ্রে এ্যাকাউন্টিং তাই মেয়েরা খুব কমই এ পথ মাড়াতো।
মুসলিম পরিবারের মেয়ে হয়ে আপনি কি পর্দা করতেন না বে -পর্দা হয়ে ঘুরে বেড়াতেন ? এখন তো কানাডায় থাকেন তা সেখানে পর্দা করেন না কাফের বিধর্মী পুরুষদের সামনে বে -পর্দা হয়ে ঘোরেন?
যৌনাঙ্গকে হিফাজত করা ও সংযত রাখা পর্দার বড় বিধান। শরীয়তে নারীর জন্য পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে। নারীকে হাদীস শরীফে ‘আওরত’ বলা হয়। আওরত শব্দের অর্থ গুপ্ত বা আবৃত। নারীর নামেই বুঝা যায় নারীর জন্য পর্দা আবশ্যকীয়।
তা ছাড়া আপনি ঘরের বাইরে চাকরি করেন বলে অনেক পোস্টে লিখেছেন --এটা ইসলাম অনুমোদন দেয় না।
পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, ‘(হে নারীগণ!) তোমরা তোমাদের ঘরের (বাড়ির চতুর্সীমানার) ভেতর অবস্থান কর এবং বাইরে বের হয়োনা – যেমন ইসলামপূর্ব জাহিলী যুগের মেয়েরা বের হতো।’ (সূরা আহযাব, আয়াত : ৪৩)
আপনি সহিহ ইসলামিক তরিকায় জীবন অতিবাহিত করার তাউফিক প্রাপ্ত হউন।
০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪
সোহানী বলেছেন: ভাইজান, গোবর টোবর খেয়ে শুদ্ধ হয়ে নিয়েন। আমার শুদ্ধির দরকার নাই।
আর এসব ফালতু কমেন্ট অন্য কোথাও যেয়ে করেন, আমার এখানে না।
১১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
জুন বলেছেন: আমরা কলেজ (বদরুন্নেসা) থেকেই বান্ধবীদের একটা বড় দল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অনার্সে ভর্তি হই। আমাদের সেই বন্ধুত্ব এখনো অটুট। তবে ইউনিভার্সিটিতেও অনেকের সাথে পরিচয় বন্ধুত্বে গড়িয়েছিল তা আজও বহাল আছে। আপনার লেখায় পুরোনো স্মৃতিগুলো চোখের সামনে ভাসছে। আমরা ব্রাম্মণ গ্রুপে ছিলাম না তবে আমরা ঢাকার বাসিন্দা ছিলাম সবাই। ছেলে মেয়ে মিলে আমাদের গ্রুপটাই ছিল সবচেয়ে স্ট্রং। ব্রাহ্মণরা আমাদের সাথে যেমন নিজে থেকে এসে গল্প গুজব করতো । আবার ঢাকার বাইরে থেকে আসা দলের সাথেও আমাদের সখ্যতা ছিল। কিন্ত এমন তুই তোকারি করে কথা কেউই বলতো না। আমরা উভয় দলের প্রতি দিলদরিয়া ছিলাম
লিখতে থাকেন সোহানী সাথে আছি।
+
০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: আপু আমি একটু কালার ইউজ করেছি। আমাদের ইউনিভার্সিটি বন্ধুদের সাথে এখনো নিয়মিত যোগাযোগ হয়। প্রতি বছরে একদিন আমরা একসাথ হই। আমাদের বন্ধুত্ব এর সাথে অনেক কিছু জড়িত। আমরা বিভিন্ন সোস্যাল কাজ করি নিজেদের ফান্ডিং এ। আমাদের মতো এতোটা জড়িত খুব কমই আছে। তবে হাঁ এমন কিছু ছিল প্রথম দিকে কিন্তু সময়ের সাথে সে ব্যবধান ঘুচে ও গিয়েছিল।
১২| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৮:১২
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
সবচেয়ে আনন্দের স্মৃতিচারণ, হাসি - আনন্দ - কষ্ট - সব মিলিয়ে।
কলেজ ও তার পরবর্তী ছাত্র জীবনের সব স্মৃতিই আসলে সুমধুর।
লিখুন পরবর্তী পর্ব ..............
০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:২৮
সোহানী বলেছেন: আমরা এমন একাট সময়ে ছিলাম তখন অনেক পরিবর্তন হয়েছিল।সে পরিবর্তন এর সাথে তাল মিলিয়ে আমরা চলছিলাম। তাই অনেক কিছুরই সাক্ষী আমরা।
১৩| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৯:০৭
ঢাবিয়ান বলেছেন: সাইন্স ফ্যকাল্টিতে আসন সংখ্যা কম। তারওপড় কয়েক মাস ক্লাস করার পর সাইন্সের হিব্রু ভাষার খটোমটো ক্লাস বুঝতে না পেরে অনেকেই চলে যেত। যে কারনে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। আমাদের ক্লাসে ব্রাম্মন সম্প্রদায় ছিল ঢাকার বাইরের পাবলিকরা । কারন সংখ্যায় তারাই ছিল বেশি। ঢাকার ছাত্র ছাত্রীরাই ছিল বরং সেখানে মাইনরিটি গ্রুপ। আমিও মাইনরিটি গ্রপে ছিলাম। মফস্বল ও গ্রামাঞ্চলের ব্রিলিয়ান্ট সেই ছাত্র ছাত্রীদের অনেকেই ছিল সেই সময়ে বোর্ডে স্ট্যন্ড করা। সুতরাং তাদের ভাব বুঝতেই পারেন কেমন ছিল । তবে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে সময় লাগেনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেটেছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়।
০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩১
সোহানী বলেছেন: সত্য, ঢাকার ছাত্র ছাত্রীরাই ছিল মাইনরিটি গ্রুপ। তবে প্রথম প্রথম খুব ভাব দেখানোর চেস্টা করতো। কিন্তু আমরা পাত্তা দেবার মতো মানুষ ছিলাম না.........হাহাহাহা
একদম ঠিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কেটেছে জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। সে সময়ের স্মৃতি অসাধারন বিশেষ করে হলে ছিলাম বলে আনন্দ ছিল আরো অনেক বেশী।
১৪| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ৯:৪৯
স্প্যানকড বলেছেন: আপনার ভালো লাগতো কোনটা? জাবেদা? রেওয়ামিল? না, চূড়ান্ত হিসাব? ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকুন।
০৫ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:৩৩
সোহানী বলেছেন: একটাও না। বাবার ইচ্ছেয় এ্যাকাউন্টিং ভর্তি হয়েছিলাম। আমি "ঘ" উইনটে সিরিয়াল ৮ ছিলাম। ইকোনমিক্স বা ইংরেজী সহজেই পেতাম। কিন্তু বাবার আপত্তিতে গেলাম না।
১৫| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ রাত ১০:১১
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: দারুণ লাগলো। আমি ঢাবিয়ান না, ঢাকা কলেজিয়ান। আমার ভাইবোন, বন্ধবান্ধব, যারা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছে এবং এখনো পড়ছে, ওদের বক্তব্য হলো- ঢাকা কলেজের পোলাপানই ঢাকা কলেজে তখন বেশি ছিল। ঢাকা কলেজিয়ানরা মনে করতো, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ওদের নিজস্ব সম্পত্তি। এটা বিশ্বাস করি এ কারণে, আমি কলেজে পড়ার সময় আড্ডা দিতাম যাইয়া টিএসসিতে, ভার্সিটির বিভিন্ন হলে বড়ো ভাইদের সাথে, এবং নিজেরাও। তখনই দেখতাম এদের দাপট এদের দাপট দেখে আমার এক পরিচিতা খুব মুগ্ধ ছিল ঢাকা কলেজিয়ানদের প্রতি, ভাগ্য ভালো যে কারো প্রেমে পড়ে নাই সে
দারুণ লাগলো। একটা সিরিজ লিখবেন বোধহয়। লিখুন, সে সময়ের শিক্ষাব্যবস্থা, সামাজিকতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, ইত্যাদি হয়ত উঠে আসবে লেখায়।
শুভেচ্ছা রইল আপু।
০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:১৪
সোহানী বলেছেন: ঢাকা কলেজিয়ানদের দাপট ছিল ঠিকই কিন্তু তারা বলতে গেলে সংখ্যা লগিষ্ট জাতি ছিল। ঢাকা ইউনিভার্সিটি বলতে গেলে আমাদের মতো গ্যা্ও গ্যারামের যারা হলে থাকতো তাদের দাপট ছিল আকাশচুম্বী। কারন ঢাকার পোলাপান ক্লাস করেই দৈাড়াতো বাসায়। আমরা রাজত্ব করতাম। ক্লাসে প্রথম প্রথম একটু ভাব দেখালেও পরে ঠিক হয়ে যায়। কারন এতো কম সংখ্যক ছির যে খুব বেশী পাত্তা পেতো না।
খুব লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু সময়ের এতো টানাটানি যে কোনভাবেই ম্যানেজ করতে পারি না। একটা লিখা লিখতে ১০/১৫ মিনিটের বেশী সময় দিতে পারি না। তারপরও ইচ্ছে আছে মরে যাবার আগে লিখাগুলো শেষ করবো।
আপনার চমৎকার স্মৃতিচারনে ভালো লাগলো কিন্তু জাতি জানতে চায় পরিচিতা কি শেষে প্রেমে পড়েছিল?
১৬| ০৫ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:৩৩
অনল চৌধুরী বলেছেন: ১৯৯০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আমার বিদ্যালয় জীবন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ঢাকার ছাত্র খুব বেশী পাইনি।
দুইটা বেসরকারী বিদ্যালয় আর একটা আইন মহাবিদ্যালয়ে পড়ে যাদের পেয়েছি, তাদেরে মধ্যে ৯৮% ই গ্রামের।
এরাই বরং জ্ঞানচর্চা না করে আমার বই এবং পত্রিকায় নিয়মিত লেখা লেখি নিয়ে বিভিন্নরকম ঠাট্টা করতো।
পরীক্ষায় খাতা খুলে নকল আর রাজনীতির নামে সন্ত্রাস, দলাদলি করতো।
যে ২/১ জন ঢাকার ছিলো, তাদের অবস্থাও ছিলো আরো শোচনীয়। পড়াশোনা বা জ্ঞাননচর্চা -কোনোটাই তাদের ভালো লাগতো না। নকলবাজি তারাও কম করতো না।
ঢাকার বাসিন্দা যারা নিজেদেরকে শের শায়ের বংশধর মনে করে শেরশাহ তো জীবনে ঢাকা শহরেই আসেননি। তার বংশধর মনে করবে কেনো? ইসলাম খার বংশধর মনে করলেও হতো, যিনি নাকি ঢাকাকে প্রথম রাজধানী করেছিলেন।
ঢাকায় বসবাস আর ঢাকাইয়া দুই আলাদা জিনিস। আমার ৪ পুরুষ ঢাকায় থাকলে ঢাকাইয়া না।
আপনার গ্রামের বাড়ি কোথায় ?
সুইডেন থেকে একজন উন্মাদের মতো আচরণ করছে। এটা থেকে সাবধান থাকবেন।
০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:২১
সোহানী বলেছেন: শুনেন অনল চৈাধুরী ভাই, একশটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হাজারটা আইন মহাবিদ্যালয় পড়লেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারনাই করতে পারবেন না। তাই এ নিয়ে তুলনা করাটা হাস্যকর।
আচ্ছা ধরে নেন তারা ইসলাম খার বংশধর মনে করে।
আর আমার বাড়ি কই তা আপনার কোন উপকারে লাগবে বা আমার লিখা পড়তে বা বুঝতে কি কোন বাড়তি সুবিধা হবে?
ব্লগে অনেক পাগল থাকে। তারা আসে, যায়, কমেন্ট করে, তারপর ব্লক হয়, জেনারেল হয়, উন্মাদের মতো আচরণ করে। এদেরকে নিয়ে আমার আদৈা কোন মাথা ব্যাথা নেই। আর মাথা ব্যাথা না থাকার কারনে ১৩ বছরের উপর ব্লগে টিকে আছি!!!
বরং আপনি সাবধানে থাকবেন...............
১৭| ০৫ ই জুন, ২০২১ বিকাল ৪:৫৯
নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: আমার ক্লাসফেলোরা চূড়ান্ত অকাজের ছিল। আমরা কখনো এনার্জি খরচ করে ঝগড়াও করতাম না।
০৬ ই জুন, ২০২১ সকাল ৭:২৩
সোহানী বলেছেন: আমি যা বলেছি সেটা প্রথম কিছুদিন। তারপর সব ঠিক হয়ে যায়। আর আমাদের সবার সাথে এখনো বন্ধুত্ব টিকে আছে। প্রতি বছর আমরা গেটটুগেদার করি। এখনো প্রায় অনলাইনে আড্ডা দেই। খুবই ভালো সম্পর্ক আমাদের।
১৮| ০৬ ই জুন, ২০২১ দুপুর ২:৫৭
পদ্মপুকুর বলেছেন: বিভিন্ন কারণে ফার্স্ট ইয়ারে আমি ক্লাস করিনি বললেই চলে। যে কারণে ইয়ার ড্রপ মেরেছিলাম। পরের বছর যখন ক্যাম্পাসে নিয়মিত হলাম, তখন বিচিত্র কারণে আমার আগের ইয়ারের ফ্রেন্ডদের সাথেই আত্মীয়তা হয়ে গেলো। এমন কি আমি ডিপার্টমেন্টের সার্কট্যুরেও গেছে আগের ব্যাচের সাথেই। এরকম অদ্ভুত সব কারণে ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রীয়-নমশুদ্র, এ ধরণের ক্যাটেগরির দৌরাত্ম্য দেখতে পাইনি।
তবে যদ্দুর মনে পড়ছে- আমার ডিপার্টমেন্টে মেধাতালিকা অনুযায়ীই ক্লাস রোল এসেছিলো বলেই মনে পড়ছে।
সিরিজটা চালিয়ে যান।
০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৮:৫৭
সোহানী বলেছেন: আমাদের এ গ্রুপিং থাকলেও পরবর্তীতে আমাদের সবার সাথেই ভালো বন্ধুত্ব হয়েছিল যা এখনো টিকে আছে। আর সবচেয়ে বড় কথা আমরা হলে ছিলাম বলে পরবর্তীতে আমাদেরই আধিপত্ব ছিল।
ডিপার্টমেন্টে মেধাতালিকা অনুযায়ীই ক্লাস রোল এর বিষয়টি ঠিক নয়। এ লিখা দেখার পর আমার ক'জন বন্ধু জানিয়েছে বিষয়টি ঠিখ নয়। প্রথম জন বিষয় ভিত্তিক সিলেক্ট হবার পর টাইম বেধেঁ দেয়া হয় ভর্তির জন্য। তার উপর ভিত্তি করে ক্লাস রোল হয়। অনেকেই ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম জনের মাঝে থাকার পরও সেকশান বি তে ছিল।
আর অনেক সিরিজের মতো আমারও কিছুদিন পর ধৈর্য থাকে না........হাহাহা
১৯| ০৬ ই জুন, ২০২১ রাত ৯:১১
মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহা আপু কোন জীবন মনে করিয়ে দিলেন !! দিস্তা দিস্তা কাগজ লাগবে।
১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৪২
সোহানী বলেছেন: সেটাইতো মনিরা! শুরু করলাম কিন্তু কোনভাবে চালাবো বুঝে উঠতে পারছি না। কারন এতো কিছু মাথায় আসছে যে খেই হারিয়ে ফেলছি।
২০| ০৭ ই জুন, ২০২১ সকাল ১০:১২
খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রথম প্রথম এই ব্রাহ্মণদের পাণ্ডিত্য ও প্রাধান্য সবখানেই থাকে। পরে এক সময় পৈতেহীন ব্রাহ্মণ এবং পৈতেওয়ালা ব্রাহ্মণ সবাই ফিকে হয়ে যায়। নারায়নগঞ্জবাসীদের বন্ডিং আমি আমাদের সময়েও লক্ষ্য করেছি।
বাবার ইচ্ছেকে সম্মান জানিয়ে ইকোনমিক্স বা ইংরেজী ছেড়ে একাউন্টিং বেছে নিয়েছিলেন, এটা একটা অনেক বড় স্যাক্রিফাইস ছিল। তবে যা করেছিলেন, ভালই করেছিলেন এবং সেটা করে এখন তো বেশ ভালই আছেন।
স্মৃতিচারণ চালিয়ে যান, অনেকেই নস্টালজিক হবে পড়তে পড়তে।
পোস্টে ভাল লাগা + +।
১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫০
সোহানী বলেছেন: আসলেই তাই খায়রুল ভাই। ওটা ছিল প্রথম কিছুদিন তারপর আর কারো এসব নিয়ে মাথাব্যাথা ছিল না। বিশেষ করে পড়ার ধাক্কা তখন ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা আমাদের.......হাহাহাহা
বাবার সাথে এসব বিষয় নিয়ে বরাবরেই ফাইট চলতো। পরিবারের আর সবার মতো জ্বী জ্বী করতাম না কিন্তু। কারন বাবা চেয়েছিল পরিবারের সবাই ডাক্তার হবে। কিন্তু এ রক্ত কাটা ছেঁড়া আমি কোনকালেই পছন্দ করি না। তাই আমার কাজিন যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্টের শিক্ষক ছিলেন উনার বুদ্ধিতে এইচএসসিতেই সায়েন্স ছেড়ে দেই। নতুবা মেডিকেলে পড়ার চাপ এভোয়েড করতে পারতাম না। সে গল্প নিশ্চয় করবো একদিন। পরে আবার ঘ ইউনিটে টিকার পর ইকোনমিক্স পড়তে চাইলে বাবা বাঁধা দেন।
বিশ্ববিদ্যালয় মানেই বিশাল স্মৃতির ভান্ডার, জীবনের সবচেয়ে আনন্দের সময়।
২১| ০৮ ই জুন, ২০২১ রাত ২:৫৯
অনল চৌধুরী বলেছেন: একশটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা হাজারটা আইন মহাবিদ্যালয় পড়লেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে কোন ধারনাই করতে পারবেন না। তাই এ নিয়ে তুলনা করাটা হাস্যকর ঢাকায় জন্ম নিয়ে , নিজের বাড়িতে থেকে আর দেশের সেরা দুইটা বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু আর শেষ করে এই বয়সে যদি একথা শুনতে হয়, তাহলে মনে হয়, আমাদের চেয়েও বড় ব্রাহ্মণ দেশে আছে !!!!! যাই হোক, আমি কাউকে শুদ্র মনে করিনা, সবাইকেই সন্মান করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীর অন্যতম একটা মানহীন এবং ব্যার্থ বিশ্ববিদ্যালয়।
পৃথিবীর সেরা ১৭৯৩ এর মধ্যেও যার কোনো স্থান নাই। শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিয়ে এটাকে জাতে উঠানো যাবে না।
বরং স্বাধীনতার পর থেকে এখানে যেভাবে সন্ত্রাস, খুনাখুনি, অস্ত্র আর দখলবাজি হয়, ভারত-পাকি তো দূরের কথা, আফ্রিকার কোনো দেশেও এর দ্বিতীয় কোনো দৃষ্টান্ত নাই।
এখানকার ছাত্র নেতা -কর্মী নামধারীরা টাকা আর ক্ষমতার লোভে দলীয় লেজুড়বৃত্তি করে দেশের রাজনীতি আর পুরো দেশটাইকেই নষ্ট করে দিয়েছে।
সব দুর্নীতিবাজ-দুর্বৃত্ত্ব শাসকদের এরাই প্রধান লাঠিয়াল। বিশ্বের সেরা দুই হাজার বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি
আমি যদি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়তাম, তাহলে মুখস্থবিদ্যানির্ভর একটা ডিগ্রি লাভ ছাড়া জীবনে এতোকিছু করতে পারতাম না।
১৯৯৯ সালে মাত্র ২৪ বছর বয়সে বইমেলায় একসাথে ৪ টা বইও বের হতো না।
তাই আমি বিদ্যালয় শেষ করা পর পরবর্তী ১৬ বছর নিজেই ঘরে থেকে পড়াশোনা-গবেষণা করেছি।
১৬ বছর পর লেখালেখির ক্ষেত্রে সফলতা অর্জন করে তারপর আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে চলচ্চ্ত্রি আর আর আইনে ডিগ্রি নিতে গেছি। কারণ ঘরে বসে ছবি বানানো শেখা সম্ভব ছিলো না।
২। খুব লিখতে ইচ্ছে করে কিন্তু সময়ের এতো টানাটানি যে কোনভাবেই ম্যানেজ করতে পারি না। একটা লিখা লিখতে ১০/১৫ মিনিটের বেশী সময় দিতে পারি না। তারপরও ইচ্ছে আছে মরে যাবার আগে লিখাগুলো শেষ করবো -প্রবীণ লেখক হিসেবে একটা উপদেশ দেই, প্রতিদিন মাত্র ১ পাতা লেখেন। ৩০ দিন পর দেখবেন ৩০ পাতা লেখা হয়ে গেছে।
আমি এভাবেই এতোগুলি বই লিখেছি।
১৩ ই জুন, ২০২১ সকাল ৯:৫৪
সোহানী বলেছেন: অনল চৌধুরী ভাই, আপনার অসকার আর নোবেল দুইটাই জয়ের অপেক্ষায় দিন গুনছি।
২২| ১৪ ই জুন, ২০২১ ভোর ৪:৪১
অনল চৌধুরী বলেছেন: ধন্যবাদ।
কিন্ত আমার কাছে যে কোনো পুরস্কারের চেয়ে একজন নীতিবান ব্যাক্তির যুক্তিসঙ্গত মূল্যায়ণ অনেক বেশী মূল্যবান।
প্রায় ৩০ বছর ধরে লেখালেখি করেও কোনো পুরস্কার পাইনি।
কিন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার এক অনুজ, মাত্র ২/৪ বছর ধরে কবিতা লেখা এক মহিলা কবির পুরস্কার দাতাদের তালিকা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত।
প্রতি সপ্তাহে সে পুরস্কার পায়। তার লেখাগুলি যে কতোটা অন্তসারশূণ্য সেটা সে নিজেও জানে।
কিন্ত তারপরও পুরস্কার লাভের পিছনে আছে তার টিভি সংবাদ-পাঠিকা পরিচয় এবং আরো অনেক কৌশল।
আমার বইয়ের পাঠক এবং এই ব্লগের লেখকদের প্রশংসা আমার কাছে সবচেয়ে বড়।
কারণ নোবেল- অস্কার অথবা বাংলাদেশের একুশে বা স্বাধীনতা পুরস্কার-সবকিছুই সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক বিবেচনায় দেয়া হয়। টলষ্টয়, গোর্কি বা নজরুলের মতো লেখকরা নোবেল পাননি, পেয়েছেন রবীন্দ্রনাথ, বরিস পাস্তারনাকের মতো পশ্চিমা ভক্তরা।
শেষ পর্যন্ত লেখকদের সৃষ্টিই টিকে থাকে, পুরস্কার না।
যাই হোক, ছবি শীঘ্রই বানাবো। আপনি কি অভিনয় করতে আগ্রহী ?
২২ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৫৪
সোহানী বলেছেন: ছবি শীঘ্রই বানাবো। আপনি কি অভিনয় করতে আগ্রহী ?
হাহাহাহাহাহাহাহা....................
২৩| ১৯ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:০৭
আমি তুমি আমরা বলেছেন: আপনার লেখার শুরুটা বেশ আগ্রহোদ্দীপক। দেখা যাক পরের পর্বে কি আসে।
২২ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৫৫
সোহানী বলেছেন: সময় পাচ্ছি না রে ভাই, কোনভাবেই লিখতে বসতে পারছি না।
২৪| ২১ শে জুন, ২০২১ রাত ১১:০৬
শহুরে আগন্তুক বলেছেন: আপনি বিজনেস ফ্যাকাল্টি তৈরি হওয়ার আগের স্টুডেন্ট। তাহলে তো অ-নে-ক সিনিয়র!
আমি ২০০৯-১০ ব্যাচ (ফিন্যান্স).
২২ শে জুন, ২০২১ ভোর ৪:৫৬
সোহানী বলেছেন: জ্বী, আমি অ-নে-ক সিনিয়র।
২৫| ২৩ শে জুন, ২০২১ রাত ১০:৫৯
করুণাধারা বলেছেন: পোস্টে ++++,
কিছু মন্তব্য এমন, পড়ে সব দুঃখ ভুলে হাসতে শুরু করলাম... প্রতিমন্তব্যগুলোতেও ++++, মনে হচ্ছিল বোলারকে নাজেহাল করে ব্যাটসম্যান সজোরে বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।
©somewhere in net ltd.
১| ০৪ ঠা জুন, ২০২১ সকাল ১০:৩৪
কামাল১৮ বলেছেন: স্মৃতিকথা হলেও একটা সার্বিক চিত্র উঠে আসছে সেই সময়কার ভার্সিটির।পরের পর্ব আকর্ষণীয় হবে।অপেক্ষায় থাকলাম