নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
আমার মা কোনকালেই আমাদেরকে দিয়ে রান্নাবান্না করানো নিয়ে খুব একটা উৎসাহ দিতেন না। তারপরও মাঝে সাঝে যখন বাকি তিনবোন বিশেষ করে মেঝআপা এটা সেটা রান্নার ট্রায়াল দিতো তখনো আমি আশেপাশে ভিড়তাম না, এক'শ হাত দূরে থাকতাম তার থেকে। সবাই হেল্পের জন্য ডাকাডাকি করলে বলতাম, চাকরী করে প্রথমই একটা বাবুর্চি রাখবো তাই রান্না নিয়ে কোন মাথা ব্যাথা নাই আমার।
যাহোক, নিজের সংসারে আসার পর প্রথম থেকেই কাজের এ্যাসিসটেন্টরাই ছিল আমার ভরসা। ওরা যাই খেতে দিতো তাতেই আমি মহা খুশি হয়ে যেতাম। কখনোই ওদের রান্না নিয়ে বাজার নিয়ে কমপ্লেইন করি নাই। কারন কি রান্না হবে, কিসের সাথে কি দিয়ে রান্না হবে তা আমার কাছে অংকের চেয়ে জটিল মনে হতো। রসুন যখন বাটা হতো তখন আমি ঘর থেকে পারলে বের হয়ে যেতাম কারন এর গন্ধ আমি সহ্য করতে পারতাম না, পিয়াজ কাটা ছিল পৃথিবীর জটিল কাজের একটা, কাঁচা মাছ মুরগী দেখলে গা গুলায়ে আসতো। তাই এগুলো থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকতাম।
অনেকেই কথায় কথায় কাজের মেয়েদের নিয়ে কমপ্লেইন করতো, ওদের অপচয় নিয়ে কথা বলতো কিন্তু আমি এ জীবনে কখনো তা করি নাই। ওরা কি অপচয় করলো, নাকি সব ফেলে দিলো তা নিয়ে কখনই মাথা ব্যাথা করি না। ওরা যে আমাকে খেতে দিচ্ছে এবং আমাকে রান্না ঘরে ঢুকতে হচ্ছে না এটাই ছিল আমার জন্য বিশাল ব্যাপার। অনেকে শখের বসে এটা সেটা রান্না করে আমি তা কখনই তার ট্রাই করি নাই। বাসার দাওয়াত এর বড় অংশই সামাল দিতো কেউ না কেউ, হয় মা না হয় শাশুড়ি না হয় মামী কিংবা এক আপা ছিলেন আমার যিনি সবসময়ই আমার প্রয়োজনে ছুটে আসতেন। আমি শুধু আশে পাশে ঘুরাঘুরি করতাম, এটা সেটায় হাত লাগাতাম কিন্তু কোন রান্নার দায়িত্ব নেই নাই কখনই।
কিন্তু হায়, জীবনের সব রান্না না করার পাপের প্রায়শ্চিত্ত শুরু করলাম বিদেশে আসার পর, প্রায় মাথা খারাপ অবস্থা হয়ে গেল। এখানে এসে বুঝে গেলাম নিজেকেই বাজার করতে হবে, ধোয়াধুয়ি নিজেকেই করতে হবে, বাটাবাটি কাটাকাটি নিজেকেই করতে হবে, রান্না বান্না নিজেকেই করতে হবে সাথে ঘরদোর পরিস্কার, গোছানো, বাথরুম পরিস্কার ফ্রি........। আর চাকরী, পড়াশোনা, বাচ্চাদের টেককেয়ার সবতো আছেই!!!
এ অবস্থায় মা'ই ছিলেন এ সময়ের ত্রানকর্তা। চুলায় ভাত বসিয়ে মাকে প্রায় দশবার ফোন দিতাম।
মা, দুই পট চাল দিয়েছি, কতটুকু পানি দিবো?
ভাত যে ফুটেছে তা কিভাবে বুঝবো?
একটা ভাত চেক করলেই কি বুঝবো সবগুলো ভাত হয়েছে?
সব্জী কিভাবে কাটবো, ক'বার ধুবো, কিভাবে রান্না করবো? তেল কতটুকু, মরিচ কতটুকু, রসুন কতটুকু, লবন কতটুকু........?
মা আমার অবস্থা জানে তাই এখানে আসার সময় মাংসে দেয়ার মতো সব মসলাই গুড়ো করে প্যাকেট করে দিয়েছিলেন। সাথে মিজারিং স্পুন। তাই মাংস রান্না নিয়ে বরং কম ঝামেলা হলো। এক কেজি মাংসে সব কিছু এক চামচ করে দিবো আর আদা দুই চামচ, ব্যাস হয়ে গেল মাংস রান্না।
যেহেতু জীবনের প্রথম রান্নাবান্না তাই পানিতে এরকম একটানা কাজ করে হাতের বারোটা বেজে গেল। সুন্দর করে নিলপালিশ দেয়া মেনিকিউর করা সব নখের চৈাদ্দটা বেজে গেল। নখ সব ভেঙ্গে গেল, আঙ্গুলের চামড়া ছিলে একাকার, দা বটি ছুরিতে হাত কেটে দফারফা, আগুন তেলে হাত পুড়ে ছ্যাড়াব্যাড়া। আর সব মিলিয়ে আমার পাগল হবার অবস্থা, জীবন পুরোপুরি তেজপাতা। এসব দেখে বান্ধবী তানিয়া বুদ্ধি দিলো হাতে লং গ্লাভস্ পড়তে, ধোয়াধুয়ি থেকে বাচঁতে ওয়ানটাইম গ্লাস প্লেট কিনে এনে দিলো আর বাজার থেকে ও সব মসলা পেস্ট কিনে এনে দিলো।
এবং ধীরে ধীরে এ জীবনের সাথে মানিয়ে চলার চেস্টা করতে লাগলাম এবং বুঝতে পারলাম কাজটা যতটা কঠিন মনে করেছিলাম ততটা কঠিন না। একটু সাবধান হলেই হাতপা ঠিক রেখেই রান্না শেষ করতে পারবো। আর তাই সাহস করে স্বল্প পরিসরে এটা সেটা রান্নার এক্সপেরিমেন্ট শুরু করলাম। এবং আমার রান্নার একমাত্র টেস্টার সবসময়ই আমার ছেলে। ও খেয়ে বলে খারাপ না মা। ওর উৎসাহে মাস ছয়েক এর মাথায় মেয়ের জন্মদিন সাহস করে আশেপাশের ক'জনকে দাওয়াত দিয়েই ফেল্লাম। গরু, মুরগী, সব্জী নিজে করার প্লান করলেও পাশের এক ভাবীকে অনুরোধ বরলাম বিরিয়ানিটা করা দেখিয়ে দিতে। কারন এটা আমি এখনো পারি না। যাইহোক সব কিছু রেডি করে যখন উনাকে ডাকলাম তখন উনি জানালো যে উনি পারবেন না করে দিতে। মাথায় মোটামুটি বাজ পড়লো।
যাহোক এরপর থেকে শুরু করলাম রান্না শেখার এ্যাকশান। কি এমন কঠিন কাজ যে পারবো না, নিজেকে প্রবোধ দিলাম। তারপর ইউটিউব ঘেটে ঘেটে শুরু করলাম বিভিন্ন এক্সপেরিমেন্ট....., কেক, মিস্টি, বিরিয়ানী, কাচ্চি, চিকেন মঞ্চুরী, বারবিকিউ.......... । যথারীতি টেস্টার আমার ছেলে। এভাবে এক সময় বুঝে গেলাম রান্না অংকের মতো জটিল বিষয় হলেও যথাযথ মিক্সারটাই হলো আসল। মিক্সার আর সাথে কনফিডেন্স। ব্যাস তৈরী হয়ে যাবে যেকোন কিছু। তাই ভয়টাও ধীরে ধীরে কমতে লাগলো।
আমি এখনো নিজেকে মাস্টারসেফ বলার মতো অবস্থা মোটেও না কিন্তু আমার মতো যারা রান্নাকে ভয় পান তাদেরকে সাহস দিচ্ছি, বিষয়টা যতটা জটিল শোনায় ততটা জটিল নয় কিন্তু! ওই যে বল্লাম মিক্সার আর সাথে কনফিডেন্স ....... কিছু একটা তৈরী হবেই।
উৎসর্গ: লিখাটা লিখেছি বর্তমানের অস্ট্রেলিয়া মাস্টারসেফ প্রতিযোগিতার ফাইনাল রাউন্ডে আসা সেকেন্ড জেনারেশান বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে কিশোয়ার চৈাধুরীকে দেখে। কি আবেগ নিয়ে প্রতিটা পর্বের রান্না সে করছে এবং বারবার দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার চেস্টা করেছে প্রতিটি রান্নায় তা দেখে নিজেরেই আবেগ ধরে রাখতে পারিনি। আমরা কিছু পারি বা না পারি কিন্তু দেশের প্রতি বিশাল আবেগ ধরে রাখি সর্বত্র।
We proud of you Kishwar....
আগের পর্ব যদি পড়তে চান......
জীবন যেখানে যেমন................ এক টুকরো পথের জীবন
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
সোহানী বলেছেন: মানুষ কিছু পারুক না পারুক সমালোচনা করতে ওস্তাদ। নিজে আয়নায় চেহারা দেখে না কিন্তু অন্যের সমালোচনা করতে চিন্তা করে না। আর ভারতীয়রা সবখানেই সুবিধা নিতে চায়, সে আর নতুন কি!!!
২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
ভাল লিখেছেন। সুন্দর!
বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী।
খুব আবেগ নিয়ে বারবার দেশকে রিপ্রেজেন্ট করার চেস্টা করেছে।
খুব ভালো লাগে এরকম টা শুনতে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৩৯
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৪৪
হাবিব বলেছেন: আপনার রাধুনী হয়ে উঠার গল্প দারুণ লাগলো। আপনার রান্নার ক্ষেত্রে আমাকেও টেস্টার বানাতেন পারেন। আমি সানন্দে প্রশংসা করে যাবো।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২০
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা......... ঠিক আছে নেক্সট টাইম!
৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:৫৬
শাহ আজিজ বলেছেন: তোমার , কিশোয়ারের রান্নার পর্ব দেখে ভাল লাগলো , গর্ব বোধ করলাম । কোরবানিতে গরুর বিরিয়ানি হবে , মেয়ে করে । ও ইউ টিউব ঘেঁটে ভাল শিখেছে ।
আরও উন্নতি হোক তোমাদের ।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২২
সোহানী বলেছেন: কোরবানিতে গরুর বিরিয়ানি!!! সাবধান... কোলেস্টরেল, প্রেসার, ডায়বেটিস সব দেখে গরুর মাংস খাবেন।
ইউ টিউব যে এমন কাজের জিনিস আগে বুঝি নাই। এখন প্রতিটি পদে ইউ টিউব!!!!
৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৪৬
নীল আকাশ বলেছেন: খুব কম মেয়েরাই বিয়ের আগে রান্না শিখে আসে। যা শিখে সব বিয়ের পর। নিজের চোখে দেখা।
বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী'কে আমাদের সবার পক্ষ থেকে অভিনন্দন।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৩
সোহানী বলেছেন: ঠিক নয়, আমি বিয়ের ১৫ বছরেও রান্নাঘরে যায়নি। এখন ঠেলায় পড়ে গেছি.........হাহাহাহা
৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১০:৫৪
কামাল১৮ বলেছেন: আমার মেয়ে একা এসেছিল কানাডায় পড়তে।যদিও ওর দুই খালা এক মামা মামী তখন কানাডায় তার পরও ও একাই থাকতো।প্রায় দেখতাম ওর মার সাথে রান্না বান্না নিয়ে কথা বলতো।এখন আমরাও এসে গেছি ছোট মেয়েকে নিয়ে।কিক্তু থাকি অনেক দুরে।
আপনার রান্নার কথা শুনে মনে পড়ে গেলো।অভ্যাস না থাকলে রান্না করা এক বিড়ম্বনা।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪
সোহানী বলেছেন: অভ্যাস না থাকলে রান্না করা সত্যিই বিশাল বিড়ম্বনা।
আপনার মেয়ে নিশ্চয় এখন আর রান্না করতে ভয় পায় না!!! সত্যিই সাহস করে ঢুকলেই হলো, সবকিছুর সমাধান হয়ে যায়।
৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:০২
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: আপারে আপনি দেখি আমার মতন। আমারও ভাবনাতে ছিলো যে সেফ রেখে ফেলবো রান্না বান্না আমার দ্বারা হইতো নো।
প্রায় বিশ বছরের সংসারে এখনো রান্নার ঝামেলায় খুব একটা পড়িনি। মাঝে মাঝে ঝামেলা হয় কিন্তু কী করে হয়ে যায় আল্লাহর রহমতে। এখনো বেশী মানুষের রান্না পারি না মানে পারবো কিনা বলতে পারছি না। রোস্ট কুরমা বানাইনি এখনো। টুকটাক নাস্তা বানাই এই যা। বিয়ের পর শাশুড়ি রেঁধেছেন। তারপর দেবরের বউ রান্দে এখন । একক ফ্যামিলি হলে হয়তো রান্নাঘরে থাকতে হতো। চাকুরী করে রান্না করা কঠিন। গত মাসে বুঝেছি । দেবরের বউ ২৪ দিন থেকে এসেছে। কাজের বুয়াও নাই বান্ধা কোনো মেয়েও নাই। অফিস থেকে গিয়েই রান্নাঘরে। তবে আপু রান্না করা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা খুব একটা মন্দ লাগে না। কাজ করলে শরীর হালকা লাগে আল্লাহর রহমতে।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: আপনি বেচেঁ গেছেন আপুনি এমন দেবরের বউ পেয়ে।
৯-৫টা অফিস করে ঘরে এসে রান্নাঘর সামাল দেবার মতো ধৈর্য্য কোনকালেই ছিল না। কিন্তু ওই যে ঠেলার নাম বাবাজি। এখন বাধ্য হয়ে অভ্যস্ত হয়েছি। অফিস থেকে বাসায় ঢুকে কাপড় ছাড়ার আগে রান্না ঘরে ঢুকি। নতুবা বাচ্চারা না খেয়ে থাকবে। শরীর হালকা নারে আপুনি উড়ে যায়.......হাহাহাহা
যদিও এখনো ফাঁকি দেই সুযোগ পেলেই। তবে ছেলে এখন অনেক রান্না করে তাই বিশাল শান্তি।
৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১২
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার রান্নার অভিজ্ঞতা ভালো লাগলো। মেয়েরা একটু চেষ্টা করলেই ভালো রাঁধতে পারে। কারণ ছোটবেলা থেকে রান্না ঘরের সাথে কিছু যোগাযোগ কম বেশী সব মেয়েরই থাকে। রান্না একটা শিল্পের মত আমার কাছে। যদিও আমি রান্না জানি না। শুধু ভাত, ডাল, ভাজি, খিচুড়ি ইত্যাদি সহজ জিনিস রাঁধতে পারি জীবন বাঁচানোর জন্য। করনায় বিপদে পড়ে রাঁধতে হয়েছিল কয়েকদিন। ইউটিউবের সাহায্য নিয়েছিলাম অনেক ক্ষেত্রে। অনেক ক্ষেত্রে ছোট বেলায় রান্না ঘরে কাটানোর অভিজ্ঞতা আমাকে সাহায্য করেছিল। অনেক ক্ষেত্রে কমনসেন্স প্রয়োগ করেছিলাম। ঐ সময় আমার করোনা আক্রান্ত স্ত্রী আমার রান্না করা ডাল খেয়ে প্রশংসা করেছিল। এটাই বউয়ের কাছ থেকে পাওয়া সব চেয়ে বড় প্রশংসা এই জীবনে। পারলে কথাগুলি লিখে বাঁধিয়ে রাখতাম বাসার দেয়ালে। যদিও ডালে বাগার দেয়ার নিয়ম জানতাম না তাই ডাল ছিল বাগার ছাড়া। বাগার দিতে পারলে আরও প্রশংসা পেতাম বলে আমার বিশ্বাস। তবে আমার কাছে মনে হয়েছিল যে আমি চেষ্টা করলে ভালো রাঁধতে পারবো। জীবনে সময় পেলে এই ব্যাপারে একটু চেষ্টা করার ইচ্ছা আমার আছে। আমার ধারণা পৃথিবীর বিখ্যাত শেফরা পুরুষ। আপনি আরও নতুন নতুন ডিশ কিভাবে রাঁধতে হয় তা আয়ত্ত করেন এবং ব্লগে আমাদের পরিবেশন করেন এই কামনা করছি।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা ভাবীকে বলেন প্রসংসা সার্টিফিকেট লিখিত দিতে! আর আমাদের জন্য অ্যারেন্জ করেন, আমরাও এমন সার্টিফিকেট দিতে প্রস্তুত।
রান্না আমার জন্য ভীতিকর বিষয় ছিল। ভীতিটা কাটিয়ে উঠার পর মনে হয়েছে কাজটা অতোটা কঠিন না। তারপরও আমি মন থেকে রাঁধতে ভালোবাসি না। তারচেয়ে বই পড়া, ঘুরে বেড়াতে কিংবা মুভি দেখতে ভালোবাসি।
৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:১৫
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: আপনি তো রান্নায় বেশ ভীতুর ডিম। বউ যখন থাকেনা তখন বাধ্য হয়েই রান্না করতে হয় মজাই লাগে কিন্তু কাটাকাটি ও ধোয়ামোছাটাই যত বিরক্তিকর।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৪
সোহানী বলেছেন: কাটাকাটি ও ধোয়ামোছাটাই অসম্ভব বিরক্তিকর। ওই অধ্যায় কখনই ভালো লাগে না।
১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৪০
কবিতা ক্থ্য বলেছেন: ঐদিন কিশোয়ার অস্ট্রেলিনাদের পান খা্ওয়াইসে।
কালকে তো পানতা ভাত খাওয়াইলো আলু ভর্তা দিয়া।
বিচারকরা কিশোয়ার পার্ফমেন্সে খুব ই খুশি।
ধন্যবাদ কিশোয়ার ।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৫
সোহানী বলেছেন: আসলেই মেয়েটা দারুন। ওর পরিবেশনা অসাধারন।
১১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: প্রায় সকল মেয়ের কাহিনী এই রকমই দেখি!!!
আমার চার বোন, বাড়িতে কখনো কোনো কিছু রান্না করতে দেখিনি। এখনতো নিজেদের সংসারের রাধুনী।
আমার স্ত্রী তার বাবা-মার দুই ছেলের পরে একমাত্র কন্যা। বিয়ের আগে রান্নার ধারে কাছেও যায় নি। বিয়ের পরেও যতদিন আমার মা জীবিতো ছিলেন ততো দিন তেমন করে রান্না বান্না করেনি। এখনতো দেখি প্রায় সবই পরে। তবে কিছু কিছু রান্না খেতে কষ্ট হয়।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৬
সোহানী বলেছেন: " তবে কিছু কিছু রান্না খেতে কষ্ট হয়।"........হাহাহাহাহা ভাবী জানে?????
আমি বিয়ের পরও যাইনি। বাধ্য হয়ে শুরু করেছি।
১২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ১১:৫৭
শেরজা তপন বলেছেন: কিশোয়ারাকে আমার আন্তরিক অভিনন্দন!
আপনার রান্না শেখার গল্পটা পুরোটা পড়েই মজা পেয়েছি এমনকি হাত টাত কাটার বিষয়গুলো পড়েও
ওই ভাবিটা কেন এমন করল? সম্পর্ক কি রেখেছিলেন না ওখানেই কাট ? মজার কিছু গল্প মজাদার খাবারের থেক কম স্বুসাদু নয়
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
সোহানী বলেছেন: কিশোয়ার সত্যিই অসাধারন।
ভাইরে যে প্যারার মাঝে রান্না শুরু করেছি তা এক বর্ননায় আমার কষ্টটা বোঝাতে পারবো না।
অব্যশই সম্পর্ক আছে। হয়তো উনি কোন কারনে আপসেট ছিলেন তাই এমন করেছেন। আমি আসলে মনে রাখিনি। কিন্তু এ লিখা লিখতে যেয়ে রান্নার শুরুটা বলতে যেয়ে উনার এ প্রসঙ্গ চলে এসেছে। উনি চমৎকার একজন মানুষ।
১৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:১৩
জুন বলেছেন: অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফ ফলো করছি সাথে কিশোয়ারকে ।
খুব সুন্দর লিখেছেন অভিজ্ঞতার কথা
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
সোহানী বলেছেন: কিশোয়ার সত্যিই রক!! ওর পরিবেশনা চমৎকার।
১৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১:০৮
আমি সাজিদ বলেছেন: এমন হাসি, এই অস্ট্রেলিয়ান মাস্টারশেফ আপু যদি হেসে হেসে বিষও রান্না করে দেয় আমি ভুলে গিলে ফেলতে পারি!
লেখায় প্লাস আপু।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........ সত্যিই সে অসাধারন সুন্দর আর হাসিটা বিষ ছাড়াই মারার মতো.................
১৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৩৫
শায়মা বলেছেন: রান্না নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট এক সময় যে কাউকেই রন্ধন বিজ্ঞানী করে তুলতে পারে। তবে আমি রান্নার চাইতেও রান্নার সাজুগুজুকে লাইক করি বেশি বেশি। আমার মনে হয় তোমার রান্নাও অনেকককককককককককককককককককককককককক মজার আপুনি! কারণ তুমি যতই মজা করোনা কেনো সব কিছুতেই খুবই সিরিয়াস মানে যা করো মন দিয়েই করো মনে হয়।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৮
সোহানী বলেছেন: ওমাইগড শায়মা, তোমার সার্টিফিকেটে আমি ধণ্য।
রান্না সাজাই যদি বাসায় পার্টি থাকে। নতুবা তেমন করে সাজাই না। কারন এক হাতে সব কাজ করতে হয়। সময় পাওয়া যায় না।
এখনো পুরোপুরি আস্থা আসেনি আমার। তারপরও চেস্টা করি সময় পেলেই। আগে যেমন বই নিয়ে বসতাম সময় পেলে আর এখন নতুন কোন আইটেম নিয়ে বসি। তবে আমার ছেলে দারুন রান্না করে। যদিও ওর স্টাইলে অন্যান্য দেশের কুকিং ট্রাই করে। তবে গিনিপিগ আমি.......হাহাহা। দাড়াও ওর সুসি রান্নার ছবি দেই......
১৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ২:৫১
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপনার স্মৃতিচারণ পড়ে খুশি হলাম। তবে গৃহের কাজ ছেলেমেয়ে নির্বিশেষে সবারই কমবেশি শিখে রাখা দরকার।বাবামা চিরদিন থাকবেন না।সে জন্য একটু আধটু শিখে রাখলে নিজেদের জীবনের পক্ষে মঙ্গলজনক হতে বাধ্য।
আপনার স্মৃতিচারণের সঙ্গে আরেক বাঙালির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা পড়ে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
ভালো থাকবেন আপু সবসময়।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫১
সোহানী বলেছেন: আমাদের দেশের বাবা মারা বোঝে না যে ঘরের কাজে মেয়েদের পামাপাশি ছেলেদেরওে রাখা উচিত। এতে ছেলেটি যেমন ঘরের কাজকে সন্মান করতে শিখে তেমনি নিজের ভবিষ্যতে কাজে লাগাতে পারে। কিন্তু হায় আমাদের দেশের বাবা মায়েরা কোনভাবেই ছেলেদের রান্না ঘরে ঢুকতে দেয় না।
১৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৪:৫৫
ঢাবিয়ান বলেছেন: সেতো পান্তাভাত আলু ভর্তা রান্না করে সারা ফেলে দিসে । আজকে মনে হয় ফাইনাল। fingers crossed
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২১
সোহানী বলেছেন: আজ ফাইনাল। আশা করি সে বিজয়ী হবে।
১৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ বিকাল ৫:৪৬
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: আপনার রাধুনী হিসেবে রূপান্তরের ঘটনা চমকপ্রদ। কথায় আছে ঠেলায় পড়ে বাঘে ঘাস খায়। আর পোস্টে ঠেলায় পড়ে সোহানী আপু বাবুর্চী হয়ে ওঠলেন। পোস্ট খানি পড়ে ধারণা করা যায় আপনি পাকা রাধুনি। আপনার রাধুনি জীবনে ছেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য । আর রান্না দিয়ে যে মেয়ে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করছে তার জন্য শুভকামনা ।
সুন্দর।+
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৭
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........ ঠেলায় পড়ে বাঘে ঘাস খায় আর আমি বাবুর্চী হয়ে ওঠি ।
পৃথিবীর সবচেয়ে কঠিন কাজের একটি আমার কাছে রান্না। এখন সাহস সঞ্চয় করলেও নিজেকে সত্যিকারের রাধূনি হিসেবে মনে করি না। তবে এখন ৪০/৫০ জনকে অবলিলায় দাওয়াত দেই। ৮/১০টা আইটেম করে ফেলি খুব ঝামেলা ছাড়া। এটাই বড় কথা।
আমার জীবনে আমার ছেলের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জীবনের প্রতিটি বাঁকে ও আমার উপদেস্টা। ঠান্ডা মাথার, ধৈর্য্যশীল ও অসম্ভব মানবিক একটি ছেলে। আমি সবসময়ই চেয়েছি ও যেন মানবিক দিক থেকে যেকোন কিছু বিচার করে, ও তাই করে। ওর জন্য দোয়া করবেন।
১৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:১৭
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আপু এই পোষ্টে আমার অনেক বড় একটা মন্তব্য করার ইচ্ছা আছে। আমি সময় নিয়ে আসছি।
১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:২৮
সোহানী বলেছেন: আমি জানি আপনি খেতে ভালোবাসেন কিন্তু রাঁধতে ভালোবাসেন কিনা তা জানা নেই। আশা করি সেটা আমরা জানতে পারবো এবার........!!!
২০| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
অপু তানভীর বলেছেন: রান্না নিয়ে আমি আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করি । আমি যখন ঢাকাতে একা একা থাকতে শুরু করলাম তখন প্রথম প্রথম বুয়ার রান্নাই খেতে হত অথবা হোটেল ছিল ভরশা । কিন্তু একদিন বুয়ার উপরে প্রবল মেজাজ খারাপ হল । বুয়াকে ধমক দিয়ে বললাম যাও তোমার আর কাজ করতে হবে না । খানিকটা জেদ থেকেই বলেছিলাম । তারপর নিজেই রান্না করা শুরু । প্রথমে ছিল ভাত আলু ভর্তা ডিম ভাজি । সকল ব্যাচেলরদের জাতীয় খাবার । এরপর আস্তে আস্তে রান্নার পরিধী বাড়লো । মাছ কাটা থেকে শুরু করে মাছ রান্না, মুরগি আমি নিজেই বাসায় নিয়ে এসে কাটতাম । সেগুলো নিজেই রান্না করতাম । এখন মোটামুটি সব কিছুই রান্না করতে পারি বেশ ভাল করেই । প্রথম প্রথম লবন দেওয়ার ব্যাপারটা খুব ভোগাতো ! কিছুতেও ঠিকঠাক মত হত না । হয় কম হত নয়তো বেশি হত । আস্তে আস্তে সেটাও ঠিক হয়ে এসেছে ।
রান্নাবান্না আসলে আনন্দময় একটা কাজ । কেবল ঝামেলা হচ্ছে রান্নার পরে ধোয়া মোছা করা । এটাই সমস্যা । এটার জন্য রান্না করতে ইচ্ছে করে না ।
১৪ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৩১
সোহানী বলেছেন: বলো কি তুমি মাছ মুরগী কাটতে পারো??? আমিতো এখনো তা পারি না। এখানে রেডি করা বা কিছু এক্সট্রা পে করে কেটে নেই মাছ মুরগী। নিজে কাটতে হলেতো মারাই পড়বো। শুধু স্পেশাল কিছু রান্না করতে হলে নিজে কাটি, তাও ছেলের হেল্প নিয়ে।
আর ছেলেরা রান্না করতে পারে শুনলে খুব ভালো লাগে। সে কারনে আমার ছেলেকে অল্প বয়স থেকেই রান্নার সময় কাছে রাখি। তাই এখন সে পুরো রাধুনি। চমৎকার সব ডিস করে। গত বছরের ঈদে সব রান্না তাকে দিয়ে করিয়েছিলাম। আমি শুধু একটু আকটু ইন্সট্রাকশান দিয়েছিলাম।
আর এটা ঠিক বলেছো। রান্নার আগে যেমন তেমন পরের কাজ করতে মেজাজ খারাপ হয়। তবে এখন যেটা করি সব জমিয়ে রাখি না। একটু পরপরই ধুয়ে ফেলি, চারপাশ ক্লিন রাখি। তাই শেষে ঝামেলা কম হয়। তবে আমি খুব ভাগ্যবান কারন আমার একজন আর্মেনিয়ান বান্ধবী আছে, আমার জানিদোস্ত। যখনই বাসায় কোন পার্টি দেই তখনই ওকে ডাকি। ও ধোয়াধুয়ি সব করে দেয়। অসম্ভব ভালো একটি মেয়ে, আমার জন্য জীবন দিয়ে খাটে।
২১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আপনার রান্না শেখা আর এখন তার বিভিন্ন মাত্রার বিকাশ সাধনের কিছসা শুনা গেল বেশ আয়েশ করে ।
মন্তব্যের ঘরে এসে দেখা গেল আপনার মতই অনেকেই রান্নার জগতে আনাগুনা করেছেন ও এখনো করে
যাচ্ছেন বাধ্য হয়েছেন বলে , সুযোগ থাকলে রান্নার ধারে কাছে কিভাবে যেতেন তারা, সে সব কথা ঢাকায়
বা অন্যত্র পরিচারক /পরিচারিকা পরিবেষ্টিত হয়ে থাকেন যারা তাদের কাছ হতে হয়ত জানা যেতে পারে ভাল
করে । যাহোক সম্প্রতি ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামসহ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল অস্ট্রেলিয়ান মাষ্টার শেফ
প্রতিযোগীতায় চুড়ান্ত পর্বে অংশ গ্রহনের যোগ্যতা অর্জনকারী কিশোয়ারের কয়েক পদের রান্নার সচিত্র ভিডিউ ,
দেখে অনেকেই পরিচিতি পেয়ে যান বাংলার ধ্রপধি অনেক রান্নার সাথে । মাস্টারশেফ অস্ট্রেলিয়ার মতো
আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় একের পর এক অনেক মুখরোচক খাবার রান্না বিচারকসহ বিভিন্ন ভাষাভাষীর
দর্শকের নজর কেড়েছে।
কিশোয়ারের রান্না করা লাউ চিংড়ি, বেগুন ভর্তা, খিচুড়ি, মাছ ভাজা, আমের টক, খাসির রেজালা
কিশোয়ারের রান্না খিচুড়ি বেগুন ভর্তার স্বাদে বিচারকরা রীতিমতো মুগ্ধ হয়ে যান!
কিশোয়ারের রান্না লাউ চিংড়ি, তিন বিচারকই ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
তাঁর বাবার বাড়ি ঢাকার বিক্রমপুরের আর মা কলকাতার বর্ধমানের, এ কারণেই হয়তবা ভারতীয়রা
কিশোয়ারকে তাদের বলে দাবী করে। তবে তার বাপের বাড়ী আমাদেরই বিক্রমপুরে , তার প্রতি
আমাদেরই দাবী বেশী সেটা তারা বুঝেনা কেরে ,নাকি সব ভাল অর্জন তারা নিতে চায় কেড়ে !।
ছোট থেকে কিশোয়ার তার মায়ের হাতে রান্না করা যা কিছু দেখেছে তাতেই নাকি তার শিক্ষার
হাতে খড়ি যেমনটি অমাদের অনেকেরই হয়েছে। কিশোয়ারের স্বপ্ন ছিল সে বাংলার রান্নাকে রিপ্রেজেন্ট
করবে বিশ্বের মাঝে । তার আপন জনেরাও তাকে এলক্ষ্যে উৎসাহ যোগীয়েছে , তাতেই নাকি সে
এতোটা এগুতে পেরেছে ।
শুনেছি মাষ্টার শেফ কানাডা গত ফেব্রুয়ারী ২০২১ এ অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে । এখন মাষ্টার শেফ কানাডা ২০২২
সম্ভবত আগামী ফেব্রোয়ারীতে অনুষ্ঠিত হবে।সাহস করে নাম দিয়ে ফেলুন।আমাদের সোহানী কিশোয়ারকেও
ছাড়িয়ে যেতে পারে সে কামনাই মনে বাজে । আমরাও দুর হতে উৎসাহ জোগাব আপনাকে ।
শুভেচ্ছা রইল
১৪ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৪০
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........ কোথায় কিশোয়ার আর কোথায় সোহানী!!!! কোথায় বাঘবাড়ী আর কোথায় পাকপারি!!!!
আমার রান্না হলো গিয়া যারা অর্ধেক জানে তাদের সাথে মাতব্বরি। আমি জানিতো এক শায়মা, মনিরা, জুনাপু, করুনাধারা আপু ছাড়া এ পথের জানেওয়ালা কেউ নাই। তাই সুযোগ বুঝে ভাব নিচ্ছি.........হাহাহাহাহা
কিশোয়ার এর রান্নার চেয়ে তার আবেগটা আমার বেশী ভালো লেগেছে। সে সেখানে যেয়েও বাংলাদেশ নামের দেশটিকে বারবার রিপ্রেজেন্ট করেছে। এরকম ক'জন পারে। যাই রান্না করুক সে ট্রেডিশান ভেঙ্গেছে, প্রথাগত রান্নায় না যেয়ে ভিন্ন কিছু করার চেস্টা করেছে। এক কথায় অসাধারন। এ ফিলিংসটা আমি আপনি যতটা বুঝবো দেশে যারা আছে তারা ততটা মনে হয় ফিল করতে পারবে না। যার কারনে সে হিরো আমার চোখে।
আপনার রান্নার অভিজ্ঞতাতো জানালেন না!!!
২২| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:৪৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
ভালো লাগলো ঠেকায় পড়ে রাঁধুনী হবার কাহিনী। আমাদের সবারই মনে হয় বাস্তবতা এমনটাই।
রান্না যেমন খুব সহজ আবার তেমনি কঠিনও। সহজ হবে যখন কোন মশলার কি স্বাদ এটা জানা হয়ে যাবে। সাথে থাকতে হবে ধৈর্য্য ও নিরীক্ষন। একটু পর পর চুলো থেকে রান্নার জিনিসের স্বাদ চাখতে হবে আর দেখতে হবে ঠিক আছে কিনা্ । স্বাদে কিছুর ঘাটতি থাকলে সেটাতে যে মশলা দিলে স্বাদ হবে সেটা দিতে হবে।
রান্না করতে যেয়ে একটা অভিজ্ঞতার গল্প বলি ----- লিবিয়া থেকে আমার পরিবার বাংলাদেশে চলে আসার পরেও আমি দেড় বছরের মতো একা একা সেখানে ছিলুম। রান্না তো নিজেকেই করতে হতো তখন। কেবল চিকেন ফ্রাই আর বীফ কারী কাহাতক খাওয়া যায়। মুখ বদলের জন্যে একদিন ঢেঁড়স কিনে আনলুম। জানি তেল , পিয়াজ, মরিচ দিয়ে অল্প আঁচে রাখলেই ঢেঁড়স ভাজি হয়ে যায়। গিন্নীকে দেখেছি। খুব সোজা। তো ঢেঁড়স কেটে পানিতে ধুচ্ছি অন্য সব তরকারী যে ভাবে ধোয়া হয় সেভাবে। দেখি সব প্যাঁচপ্যাঁচে আঠালো হয়ে গেছে। ব্যাপারকি ? আঠা ছাড়ানোর জন্যে আবারও কয়েকবার ধুতে হলো। যতো ধু্চ্ছি ততোই আঠালোতা বেড়ে যাচ্ছে। শেষমেষ বুঝলুম পানি লাগানোই যাবেনা। আঠা যখন ছাড়ানো গেলোনা তখন সেটাই রান্না করে লাবড়ার মতো খেতে হলো ।
এখন জানি যে, ঢেঁড়স কেটে কক্ষনও ধুতে নেই মানে পানি লাগাতে নেই।
কিশোয়ারকে দেখে লিখেছেন। কিশোয়ার বিজয়ী হোক সবাইকে পিছে ফেলে। শুভ কামনা রইলো তার জন্যে।
ডঃ এম এ আলী আপনাকে মাষ্টার শেফ কানাডা ২০২২য়ে নাম দিতে বলেছে। দিয়ে ফেলুন, বলা তো যায়না...
১৪ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৫৩
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা ঢেঁড়স কেটে পানিতে ধুচ্ছেন........। এ দৃশ্য আমি চোখে দেখতে পাচ্ছি যেন!! কারন এ কাজ আমিও করেছিলাম......। শেষে নিজেই আবিস্কার করেছি এটা ধোয়া যাবে না কাটার পরে। তবে আপনার মতো ভর্তা না বানিয়ে চুপিচুপি ফেলে দিয়েছিলাম কেউ টের পাবার আগে।
আমি বলতে গেলে সবকিছুই একটা একটা করে ঠেকে ঠিক করেছি। কিসের সাথে কি দিলে ভালো হবে তা ট্রায়াল এন্ড এরর এর বেসিসে করেছি। এক সময় ভালো রেজাল্ট আসলো। যেমন কেক বানিয়েছি বিভিন্নভাবে। শেষে দেখলাম কয়েকটা জিনিস এক্সটা দিলে কেক দারুন স্বাদের হয়। এবং তা করে সবাইকে খাওয়ানোর পর সবাই বললো ফাটাফাটি। এবং লাস্ট উইকে আমার বান্ধবীকে প্রায় এক সাথে ৮টা কেক বানিয়ে দিয়েছিলাম ওর একটা প্রোগ্রাম ছিল।
এভাবে প্রায় প্রতিটা রান্নাই একটু ভিন্নভাবে করার চেস্টা করতে করতে দেখি খারাপ হচ্ছে না। তবে সত্যি কথা হলো এখনো আমি রান্নাকে ভালোবাসতে পারিনি। রান্নার চেয়ে বই পড়তে, মুভি দেখতে বেশী ভালোলাগে।
হুম মাষ্টার শেফ কানাডা ২০২২য়ে নাম দেই আর সবার ঝাড়ুর পেটা খাই
২৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৯:৪৬
ভুয়া মফিজ বলেছেন: দেশে থাকতে তো এজ ইউজুয়্যাল, রান্নাঘরের ধারে-কাছে যাই নাই কোনদিন। সেই আমি এইখানে এখন দেশী সব রান্নাই করতে পারি, করিও। আর আমার হাতের বিরিয়ানী যে একবার খায়........সে বারে বারে খাইতে চায়। আমার পারফরমেন্সে আমি নিজেই মুগ্ধ হয়ে যাই মাঝে-মধ্যে।
আর এই পেনডেমিক এর সময়টাতে কন্টিনেন্টাল, আফগানী, মিডল ইস্টার্ণ, টার্কিশ কোন কিছুই বাদ রাখি নাই ইউটিউবের কল্যানে। রান্না করা আমার কাছে আনন্দের বিষয়। খুবই উপভোগ করি।
আমার বিরিয়ানী আপনেরে খাওয়ামু নে একদিন। এক্কেরে খাটি হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী!!!
১৪ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:০০
সোহানী বলেছেন: ওকে ওকে ভাইজান, নেক্সট খাটি হায়দ্রাবাদী বিরিয়ানী খাওয়ার জন্য হাজির হমু কিন্তু!!! সত্য কইলাম......
২৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১০:০৯
মনিরা সুলতানা বলেছেন: কি সুন্দর করেই না লিখলেন আপু।
রান্না আমার ভালোই লাগে যদি আগে পরে কিছু করতে না হয়
১৪ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:০৫
সোহানী বলেছেন: ওরে আপুনি। জীবনের কথা!!!
রান্না আমার কোনকালেই ভালে লাগে না রে আপু। আর আগে বা পরে কোন কাজেই আমি নাই।..........
২৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১১:৫৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: খুব মজার একটা বিষয় নিয়ে মজা করেই অনেক কিছু লিখে জানালেন, আমরাও সে কাহিনী পড়ে মুগ্ধ হ'লাম। এতে আরও জানা গেল, আপনি যে শুধু একজন কলম যোদ্ধা তাই নয়, বরং অনেকটা পরিস্থিতির সাথে যুদ্ধ করেই রসুই ঘরেও আপনি এক বড় সেনাপতি বনে গেছেন।
বাসায় পার্টির দিনে শেষ মুহূর্তে ওয়াদা পালন না করা সত্ত্বেও আপনি বেশ উদারভাবেই আপনার প্রতিবেশিনীর প্রশংসা করলেন ১২ নং প্রতিমন্তব্যে। এটা ভালো লেগেছে।
সাড়ে চুয়াত্তর 'বাগারবিহীন' ডাল রান্না করেও তার গিন্নীর কাছ থেকে যে প্রশংসা অর্জন করেছেন, তাতে এ ব্লগের অনেক পুরুষ রাঁধুনি হয়তো ঈর্ষাকাতর হবেন!
"সত্যিই সে অসাধারন সুন্দর আর হাসিটা বিষ ছাড়াই মারার মতো" - তার (কিশোয়ার চৌধুরী'র) হাসিটা আসলেই মারাত্মক রকমের সুন্দর!
বাংলাদেশী অস্ট্রেলিয়ান মেয়ে কিশোয়ার চৌধুরী'কে আপনার পোস্টে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। তিনি যেভাবে নিষ্ঠার সাথে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চেষ্টা করেছেন, তাতে ওনাকে নিয়ে গর্ব অনুভব করি। ইতোমধ্যে ফলাফল ঘোষিত হয়ে গেছে। উনি দ্বিতীয় রানার আপ, অর্থাৎ তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। কিশোয়ার চৌধুরীকে অভিনন্দন।!
১৬ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:২০
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা..... আমি আসলেই সেনাপতি। বিনা যুদ্ধে হার মানতে রাজি না!!!
আসলে সত্য কি জানেন, আমি এ জীবনে অনেক অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু কোন কিছুই মনে রাখিনি বা রাখার চেস্টা করিনি। এবং কখনো তা নিয়ে প্রশ্নও করিনি। বরং চেস্টা করেছি মানুষের উপকারগুলো মনে রাখতে। এবং এর পরিমান অনেক অনেক বেশী।
সাড়ে চুয়াত্তর এর মতো যদি আমাদের ভায়েরা 'বাগারবিহীন' ডাল রান্না করে একটু পরিবেশনের চেস্টা করতো তাহলে সয়সার আরো সুন্দর হতো.....।
কিশোয়ার চৌধুরী আমাদের আইডেন্টিটি ক্রাইসিসেভোগা ২য় প্রজন্মের পোলাপানগুলাকে দেখিয়ে দিয়েছে কিভাবে মনের মাঝে দেশের পরিচয় বহন করতে হয়। সে অসাধারন।
২৬| ১৪ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১:৪৪
কাছের-মানুষ বলেছেন: আন্ডার গ্রাজুয়েট করতে দেশের বাহিরে গেছিলাম, সেই বয়সে রান্না পারতাম না, আশেপাশের ভাবি এবং ভাই-ব্রাদারদের কাছ থেকে শিখছিলাম টুকটাক রান্না, পরে ইউটিউব ঘেঁটে ঝালাই করে নিয়েছিলাম!
বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে থেকেছি হোস্টেলে এবং প্রাইভেট এপার্টমেন্টে সেই সময়, আমার রুমমেটের তালিকায় ২ সেমিস্টার ছিলাম কোরিয়ান, ১ সেমিস্টার চাইনিজ, ১ সেমিস্টার ভিয়েতনামিজ, তারপর চার বাঙ্গালী বড় এপার্টমেন্টে, আরেক বার ৭জন, বাকি সময় একা! বাঙ্গালীদের সাথে যখন ছিলাম তখন এক সাথে রান্না করে খেতাম! একেক দিন একেকজন রান্নার নিয়ম ছিল আমাদের, যে যখন রান্না করবে তাকে কেউ হেল্প করবে না এরকম নিয়ম ছিল যাতে সবাই এক সাথে বিজি না হয়ে পরে যেহেতু সবার পড়াশুনা ল্যাবওয়ার্ক থাকে সবসময়! সেই হিসেবে নিজের রান্নার দিন দুই বেলার জন্য মিনিমাম ১৪ জনে খাবার রান্না করতে হত, এভাবেই রান্না হাত পাকিয়েছিলাম!! এখন পারিনা এমন বাঙ্গালী খাবার কমই আছে!!!!!!!!!
১৬ ই জুলাই, ২০২১ ভোর ৪:২৫
সোহানী বলেছেন: আমাদের বাঙ্গালী ছেলেরা বিদেশে যেভাবে রান্না সামাল দেয় বা অন্যান্য কাজ করে সেরকম যদি দেশে চিন্তা করতো তাহলে তাদের স্ত্রীদের সাথে সম্পর্ক মধুর হতো.........হাহাহাহা
আর আমিও আপনার মতই ঠেলায় পরেই শিখেছি এবং আমরা দেশের বাইরে সবাই ই মোটামুটি ঠেলায় পড়ে শিখে।.....
২৭| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ১২:০৩
করুণাধারা বলেছেন: আমার রান্না করার অভিজ্ঞতা অনেকটাই মিলে গেল! তাই পড়তে পড়তে নস্টালজিক হতে হতে খুব ভালো লাগলো...
আজকাল আমি প্রায়ই ভাবি, বাঙালি মেয়েদের জীবনে কত পরিবর্তন এসেছে, তারা জলে স্থলে অন্তরিক্ষে দাবড়ে বেড়াচ্ছে, কিন্তু "রান্না মেয়েদের কাজ"- এই ধারণা নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলেই পোষণ করেই চলেছেন। রান্নার দায়িত্ব থেকে কতজন মেয়ে দূরে থাকতে পারে? বিদেশের পরিবেশে বাঙালি পুরুষেরা দিব্যি রান্না করতে পারেন, অথচ দেশে এককাপ চা বানাতে গেলেই ক্লান্ত হয়ে পড়েন...
ভাবছি সামুর পরবর্তী প্রতিযোগিতার বিষয় যদি "বউয়ের জন্য রান্না হয়" তবে বেশ হয়!! জানা যেত ব্লগারদের রন্ধন- স্কিল লেভেল!!
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৪
সোহানী বলেছেন: যারা ঠেলায় পড়ে রান্না শিখেছে তাদের আমার এ রান্না করার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে যাবেই..........হাহাহাহা
আপুরে, শুধু কি রান্না!! আমাদের এ এশিয়ানদের এটা মানসিকতা যে ঘরের যাবতীয় কাজ মেয়েদের। অথচ কাজেরতো জেন্ডার নয়, দরকার মানবিকতা। স্ত্রী কাজ থেকে ঘরে এসে রান্না ঘরে ঢুকছে আর স্বামী হয়তো টিভি খুলে বসছে।...... আসলে আমাদের কালচার স্বামী বা ছেলেদের অমানবিক করে তুলছে।
হাহাহাহা......... "বউয়ের জন্য রান্না হয়" !! দারুন আইডিয়া। দাঁড়ান দেখি এ নিয়ে একটা প্রস্তাব নিয়ে লিখবো। কাভা ভাই নিশ্চয় ভাববে।
আপনি কেমন আছেন? দেশে আছেন নাকি বাইরে?
২৮| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৫
মিরোরডডল বলেছেন:
বাংলাদেশের বাইরে সাধারণত সবজায়গায় জেনারেলাইজ করে বাঙালি খাবারকেও ইন্ডিয়ান ফুড বলে যেটা ভালো লাগেনা
কিন্তু এই প্রথম বাংলাদেশী খাবার বলে এভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়া,
বাংলাদেশকে এভাবে রিপ্রেজেন্ট করা,
এই বিষয়টা খুব ভালো লেগেছে ।
কিশোয়ারের সাবলীল পারফরমেন্স আর ফুড সিলেকশন সত্যিই প্রশংসনীয় ছিলো ।
আমাদের ট্র্যাডিশনাল খাবারগুলোকে নিয়ে আসায় তার জন্য শুভকামনা ।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৮
সোহানী বলেছেন: আমিতো তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। অস্ট্রেলিয়ায় থেকে তুমিই সত্যিকারের ধারাভাষ্যকার হতে পারতে, কিন্তু হায় তুমি দেখি পুরো সময়েই নিখোঁজ ছিলা।
২৯| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:২৪
মিরোরডডল বলেছেন:
কিন্তু হায়, জীবনের সব রান্না না করার পাপের প্রায়শ্চিত্ত শুরু করলাম বিদেশে আসার পর, প্রায় মাথা খারাপ অবস্থা হয়ে গেল। এখানে এসে বুঝে গেলাম নিজেকেই বাজার করতে হবে, ধোয়াধুয়ি নিজেকেই করতে হবে, বাটাবাটি কাটাকাটি নিজেকেই করতে হবে, রান্না বান্না নিজেকেই করতে হবে সাথে ঘরদোর পরিস্কার, গোছানো, বাথরুম পরিস্কার ফ্রি........। আর চাকরী, পড়াশোনা, বাচ্চাদের টেককেয়ার সবতো আছেই!!!
সোহানীপু, বাংলাদেশেও এখন ঘরে ঘরে মেয়েরা সব সুপার উইমেন । এখন আর আগের মতন হেল্পিং হ্যান্ড থাকেনা ।
আমার বোনদেরকে দেখেছি, ফ্রেন্ডসদের দেখলাম সবাই এখন বাইরের মতই ঘরে বাইরে সব কাজ নিজেরাই করে ।
ডিফারেন্স হচ্ছে বাইরে আমরা অনেক ইজি করে পাই আর ওদের আরও বেশী কষ্ট করতে হয় ।
তোমার অবস্থা বুঝতে পারছি হাউ ডিড ইউ ফিল
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৭
সোহানী বলেছেন: তারপরও দেশে মা আছে বোন আছে তারা প্রয়োজনে সাহায্যের হাত বাড়ায়। কিন্তু বিদেশ বিভূঁয়ে প্রথম দিককার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বড্ড অসহায় ছিল সে দিনগুলো। এখন যেমন অনেক পরিচিত, অনেক বন্ধু বান্ধব...... বললেই সবাই দৈাড়ে আসে।
এটা সত্য যে আমরা যেভাবে সবকিছু রেডি পাই এখানে তা দেশে সম্ভব নয়। আর সে কারনেই আমরা সহজেই জীবনকে মানিয়ে নিতে পেরেছিলাম।
আমার বোনদেরকেও দেখি তবে সত্য যে ঘরমোছা, বাথরুম ক্লি, প্লেট ধোয়ার মতো কঠিন কাজগুলো ওদের করতে হয় না বলতে গেলে। যেগুলো আমাদের প্রতিদিনের জব।
কিশোয়ারকে নিয়ে তোমার লিখার অপেক্ষায় থাকলাম। সত্যিই মেয়েটি যেভাবে দেশকে রিপ্রেজেন্ট করেছে তা এক কথায় অসাধারন।
৩০| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৬
মিরোরডডল বলেছেন:
আর সব মিলিয়ে আমার পাগল হবার অবস্থা, জীবন পুরোপুরি তেজপাতা।
হা হা হা………… আহারে !!! মায়াই লাগছে
যাইহোক সব কিছু রেডি করে যখন উনাকে ডাকলাম তখন উনি জানালো যে উনি পারবেন না করে দিতে।
ওনার ইনভিটেশন কি তখনও বহাল ছিল নাকি উইথড্র করে নিয়েছিলে ?
নো কুকিং, নো ইটিং
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা...... প্রশ্নই উঠে না ইনভিটেশন উইথড্র করার।
আসলে কি জানো আমি উনাকে দ্বিতীয় কোন প্রশ্ন করিনি। এটা যে কোন ভব্যতার মধ্যে পড়ে না তা ও আমি উনাকে জানতে দেইনি। আমি সিম্পল আমার মতই সবকিছু ম্যানেজ করেছি। বেশ কষ্ট হয়েছিল কিন্তু কাউকে বুঝতে দেইনি। তবে সত্যটা বলি আমি খুব অবাক হয়েছিলাম কারন মাত্র কিছুদিন আগেই সে হঠাৎ খুব অসুস্থ হয়ে হাসপাতেল ভর্তি ছিল। তার দুটো ছোট ছোট বাচ্চা, আমি অফিস থেকে ছুটি নিয়ে তার ঘরদোর বাচ্চা হাসপাতালে খাবার পাঠানো সব কিছু সামাল দিয়েছিলাম প্রায় সাত দিন। আমি মনে করি, উনি যে পরিবেশ থেকে উঠে এসেছে বা যে শিক্ষা পেয়েছে তাই সে করেছে। আমি এ নিয়ে কথা বলার কিছু নেই!!!
৩১| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪৭
মিরোরডডল বলেছেন:
এখন যেমন অনেক পরিচিত, অনেক বন্ধু বান্ধব...... বললেই সবাই দৈাড়ে আসে।
মানে কি ? দৌড়ে এসে তোমায় রান্না করে দেয় ?
তুমিতো মনে হয় সবাইকে প্যারা দাও ।
বুঝলাম তোমার বাসায় যাওয়া মানে কাজের বিনিময়ে খাদ্য
কিন্তু বিদেশ বিভূঁয়ে প্রথম দিককার কথা বলে শেষ করা যাবে না। বড্ড অসহায় ছিল সে দিনগুলো।
সে আর বলতে ।
তোমার এই লেখা পড়ে আমার খুব ইচ্ছা করছে সেইসব ইতিহাস তুলে আনি ।
ইউ আর মাই ইন্সপিরেশন
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৪
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই কাজের বিনিময়ে খাদ্য ।
শোন, আমাকে এখন বলতে হয় না, বাসায় কোন পার্টি দিলে চারপাশ থেকে সবাই ছুটে আসে সাহায্য করতে। আগের কোন কমেন্টে বলেছি, আমার একজন আর্মেনিয়ান বান্ধবী আছে। সে এমন কোন কাজ নেই যা করে না। তুমি বিশ্বাস করবে না সে আমার ধোয়া মোছা বাথরুম পরিস্কার সবকিছু পারলে করে দেয়। আরেকজন আমার ইউনি বান্ধবী আছে, সে ডাকার আগেই হাজির হয়। এরকম বেশী নয় ৩/৪ জন আছে যারা আমার জীবনকে অনেক সহজ করে দেয়। আমি খুব ভাগ্যবান, যেখানেই গেছি এতো এতো চমৎকার সব মানুষের দেখা পেয়েছি। তাই এরকম দু একজনকে মনে রাখি না। যদিও তার সাথে আমার দারুন সম্পর্ক এখনো। আমি কারো সাথে সম্পর্ক নস্ট করতে পছন্দ করি না।
১৮ ই জুলাই, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৫৫
সোহানী বলেছেন: তোমার সে জীবনের গল্পের অপেক্ষায়।
৩২| ১৮ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৮:০৪
মিরোরডডল বলেছেন:
থ্যাংকস গড আপু শেয়ার করার জন্য ।
এটাকে আমি একটা হুঁশিয়ারি বানী হিসেবে ধরে নিলাম
আমি তোমার অনলাইন ফ্রেন্ড হয়েই থাকতে চাই ।
কোনদিনও যেনো আমার অমুখো যেতে না হয় ।
হা হা হা ………
অনেক অনেক ভালো থেকো আপু আর এরকম আরও মজার পোস্ট দিও ।
১৯ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:২৩
সোহানী বলেছেন: হায় হায় তুমি কাজের ভয়ে আমার বাসা মুখো হবে না!!!!!!!!!! তুমিতো দেখি আমার চেয়েও ফাঁকিবাজ।......
৩৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৮:৫৭
মেহবুবা বলেছেন: রান্নাঘরে ঢুকতে মানা ছিল, তবে হোস্টেলে সুযোগ বুঝে করতাম।
রান্না মনে হয় ভালই করি তবে আমরা যারা চাকরি করি এবং ঢাকার যানজট উপভোগ করি তাদের অনেক গুনাগুন মাটি চাপা পড়ে যায়!
২৪ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১২
সোহানী বলেছেন: আসলে ঢাকায় বসে চাকরী, অফিস, জ্যাম সামাল দেয়ার পর কোন গুনই বাকি থাকে না। তবে দেশের বাইরে থাকি বলে সেরকম সুযোগও থাকে না তবে বাসায় দাওয়াত দিলে তখন নতুন রান্না শিখতে বাধ্য হতে হয়।
৩৪| ২২ শে জুলাই, ২০২১ রাত ৩:০৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
২৪ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:১৩
সোহানী বলেছেন: ঈদ মোবারক প্রিয় লেখক।
৩৫| ২৫ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৫৩
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
আর কত রান্না বান্না নিয়ে থাকবেন !
এবার কিছু খানা পিনা আর
গানা বাজনা হোক ।
যাই পারেন ধরেন গান
শুনি দিয়ে মন প্রাণ ।
২৬ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৫:৫৪
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.......... রান্না আমার সবচেয়ে অপছন্দের কাজ। ঠেকায় না পড়লে আমি ওই মুখো হই না। এবার ঈদে ফাঁকি দিয়েছি। সবাইকে বলে দিয়েছি কাউকে আসতে হবে না, আমি যাবো। তারপর সকাল সকাল সেজেগুজে বাচ্চাদেরকে নিয়ে সবার বাসা বাসা ঘুরেছি।
আমি গান ধরলে আপনি আমি ব্লগে আর উকিঁ দিবেন না তাই এ রিস্ক নিতে চাই না। তারচেয়ে বরং প্রিয় কিছু গান শুনেন........
view this link
view this link
view this link
এবার শুনেন এড শ্যারন এর জনপ্রিয় পারফেক্ট গানটা তবে একটু ভিন্নভাবে। আমি কঠিন তার ভক্ত!!!
view this link
৩৬| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৭:২৫
নীল-দর্পণ বলেছেন: রান্না নিয়ে সেই ছোট্টবেলা থেকেই প্রবল আগ্রহ ছিল তাইতো দুপুরে আম্মা ভাতঘুম দিলে আমি চুপিচুপি ইসুবগুলের ভুসি চিনি আর পানি দিয়ে থকথকে করে গুলে তাওয়ায় তেল দিয়ে পিঠা বানানোর চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু আমার সহজ সরল চেষ্টাটি অপচেষ্টা হয়ে গেছিল। যাক এখনো চেষ্টা করে যাই ।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৪০
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা ইসুবগুলের পিঠা । মাস্টারসেফ হইতে আর বাকি নাই তোমার।
৩৭| ২৯ শে জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:১১
মলাসইলমুইনা বলেছেন: এই খাবার দাবার মূলক পোস্টে আসতে আমার এতো দেরি হলো এমন কি কুরবানীর ঈদটাও চলে গেছে ! কি মন্তব্য করবো বুঝতে পারছি না । শুধু ছোট একটা নোট রাখলাম যে দেশে গেলে কবি ব্লগার মেহবুবা আর বন্ধু ব্লগার নীলুর বাসার ঠিকানা যোগার করে রাখতে হবে (রন্ধন বিজ্ঞান সম্পর্কে তাদের নিজস্ব বক্তব্য থেকে তাদের দক্ষতা সম্পর্কে নিঃসন্দেহ হওয়া গেলো বলে)। কোনো রোজার দিনে রাস্তায় জ্যামে আটকে গেলে আর সেটা তাদের বাসার আশেপাশে হলে যেন যাওয়া যায় । এই করোনা বিশেষ করে ডেল্টা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের এই অবেলায় যেমন তেমন হোটেলে মনে হয় ইফতার খাওয়া উচিত হবে না । লেট্ ঈদ মুবারক ।
৩১ শে জুলাই, ২০২১ ভোর ৬:৪৭
সোহানী বলেছেন: এইটা কি শুনাইলেন.. রোজা!!!! কোন সালে???? নাকি আপনি বারো মাস রোজা রাখেন!!!
আমার বাড়ির দরজা আপনার জন্য সবসময়ই খোলা। শুধু কি খেতে চান তার লিস্ট দিবেন একদিন আগে। কিছু না কিছু তৈরী হয়ে যাবে নিশ্চয়। সবচেয়ে বড় কথা ইউটিউব আছে হাতের কাছে সো নো চিন্তা। আর ইফতার আমি নতুন স্টাইলে শুরু করেছি গত রোজা থেকে। নো ভাজাভাজি। ফল, সালাদ, রাইস ও চিকেনের কোন আইটেম, আর ঘরে বানানো জুস। বাচ্চারাও পছন্দ করে। এবারতো আমার ৯ বছরের মেয়ে প্রথম রোজা শুরু করেছিল। বেশ ক'টা রেখেছে। যদিও দেশের মতো এখানে রোজা নিয়ে কোন হৈচৈ নেই, খুব সাদামাটা। তারচেয়ে আমেরিকার রোজা ঈদ অনেক জমজমাট।
কবি ব্লগার মেহবুবা আর বন্ধু ব্লগার নীলুর বাসার ঠিকানা সময়মত দিবেন নিশ্চয়।
৩৮| ০২ রা আগস্ট, ২০২১ সকাল ৯:৫৬
নীল-দর্পণ বলেছেন: আপনারা সাহস দিলে মাস্টারশেফ হয়েই যাবো ইনশাআল্লাহ । বন্ধুকে বাসার ঠিকানা সাথে মেনুও দিয়ে দেওয়া হবে সময় মত। :
১০ ই আগস্ট, ২০২১ ভোর ৫:১৯
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই মাস্টারশেফ হয়ে যাবা একটু চেস্টা করলেই। তারপর নেক্সট ব্লগ দিবসে সেটার পরীক্ষা হবে আমাদের উপরে..... :::
©somewhere in net ltd.
১| ১৩ ই জুলাই, ২০২১ সকাল ৯:২২
রানার ব্লগ বলেছেন: হেট স্পিচ গুলা চেক করেছেন? মাস্টারসেফ অস এর ফেইসবুক গ্রুপে গিয়ে দেখুন কি পরিমান হেট স্পিচ বর্ষন হচ্ছে কিশোর কে নিয়ে, তার চেহারা, তার বাচন ভংগী, সে হাউজ ওয়াইফ এই সব নিয়ে সমানে খিল্লি ওরাচ্ছে তথাকথিত উন্নত বিশ্বের মহিলারা। সবথেকে মজার বিষয় ভারতীয় এক সাংবাদিকের কিশোর কে ভারতীয় বলে চালানর চেস্টা।