নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
সবার দারুন সব স্মৃতিকাতর পোস্ট দেখে নিজেরটাও লিখতে ইচ্ছে করে মাঝে মাঝে। কিন্তু লিখি নাই কারন আমি কোন হুমায়ুন আহমেদ না যে সবাই খুব আগ্রহ ভরে আমার সেসব গল্প শুনবে। তারপরও লিখা শুরু করলাম আমার সন্তানদের জন্য। তারা হয়তো কোন এক সময় আমার এ লিখাগুলো পড়ে খুব আপ্লুত হবে।
চলুন তাহলে শুনি আমার ছেলেবেলা কিংবা মেয়েবেলার গল্প।
আমার বাবা ছিলেন সরকারী চাকরীজীবি, তার উপর ছিলেন বিভিন্ন প্রজেক্টের দায়িত্বে। যার কারনে প্রায় প্রতি বছরই বাবা ট্রান্সফার হয়ে এক জেলা থেকে আরেক জেলাতে ঘুরে বেড়াতেন। এবং সাথে করে আমাদেরকে ও নিয়ে যেতেন। যার কারনে আমার দশ বছরে স্কুল জীবনের স্কুল চেইন্জ করেছি নয়টা। এভাবে ফি বছর স্কুল চেইন্জ করার কারনে আমার বন্ধু-বান্ধব শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা যেমন প্রচুর তেমনি জীবনে ঘটে যাওয়া অম্ল-মধুর অভিজ্ঞতা ও প্রচুর।
একবারের ঘটনা, বাবার চাকরী সূত্রে তখন আমরা থাকতাম কক্সবাজারে। আমি ক্লাস ফাইভে পড়তাম। বাকখালী নদীর পাশে ছিল বাবার অফিস আর অফিসের উপরের তালায় আমাদের বাসা। নদীর তীর ঘেষেই অফিসের কর্মচারীদের বাসা। একদিন হঠাৎ বাবুর্চি কুদ্দুস আংকেল সন্ধায় দৈাড়াতে দৈাড়াতে বাসায় ঢুকলো।
কুদ্দুস আংকেল কখনোই আমার রাসভারী বাবার সামনে কথা বলতেন না। উনার যা কিছু বলার তা আম্মুকেই বলতেন। আম্মু ভায়া হয়ে আব্বাকে বলতেন। যদি বাবা কিছু বলতো কখনই সে মুখ তুলে তাকাতো না, মাটির দিকে তাকিয়েই উত্তর দিতো। আমাদেরকে খুব ভালোবাসতেন। যখন যা বলতাম আমরা তাই উনি তৈরী করে দিতেন। (উনার সম্পর্কে একটু হিন্টস্ দিলাম কারন উনাকে নিয়ে কোন এক পর্ব লিখবো ভবিষ্যতে।)
কি ব্যাপার মা জানতে চাইলে সে হাফাঁতে হাফাঁতে জানালো যে বাড়ির উঠোনে নাকি বিরাট এক গোখরা দেখেছে তার বউ। অল্পের জন্য আধো অন্ধকারে সেটার উপর পা দেয় নাই। এখন সে ভয়ংকর আতংকে আছে। তার ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা কান্নাকাটি করছে। কারন তাদের বেড়ার ঘরে সহজেই সাপ ঢুকতে পারবে। এবং রাতে যদি ঢুকে কামড় দেয় তাহলে কেউই টেরই পাবে না।
মা ছুটলো বাবার কাছে। সব শুনে বাবা খুব একটা পাত্তা দিলো বলে মনে হলো না। বাবা বললো, গোখরা কোথা থেকে আসবে। নদীর পাড়ে বাসা হয়তো ডোরা সাপ টাপ দেখেছে। তারপরও সাবধানতার জন্য তাদেরকে রাতে অফিসের গেস্ট হাউজে থাকতে বললো। আর সকালে কি ব্যবস্থা নেয়া যায় দেখবে বলে আস্বস্থ্য করলো। এদিকে সাপের কথা শুনে আমরা ভাই-বোনদের মাথা খারাপ। কুদ্দুস আংকেল এর পিছ আর ছাড়ি না। কেমন দেখতে, কত বড়, কিভাবে পালিয়েছে, কোথায় পালিয়েছে এরকম হাজার প্রশ্ন করতে করতে উনার জান কাবাব বানিয়ে ফেল্লাম। আমাদের সে রাতের পড়াশোনা টিভি দেখা সব মাথায় উঠলো। অতি উত্তেজনায় কারো বলতে গেলে ঘুমই আসলো না।
সকালে উঠেই আমাদের কারো পেট ব্যাথা, কারো জ্বর জ্বর লাগছে..... কেউই আর সেদিন স্কুল মুখো হবার চেস্টা করলাম না। মা সব বুঝে সেদিনের মতো স্কুল বাদ দিতে দিলো। কিন্তু যেহেতু গোখরা বলেছে তাই সবাধানতার জন্য আমাদের সবাইকে নীচে নামতে নিষেধ করে দিলেন মা।
সকালেই অফিসের লোকজন খোঁজ দিলো কক্সবাজারে নাকি এক সর্প সম্রাট সাপের খেলা দেখাবে বলে ঝাউ বনের ধারে আস্তানা গেড়েছে। তাদেরকে অফিসের লোকজন বেশ বলে কয়ে নিয়ে এসেছে। তবে তারা সাপ ধরার বিনিময়ে বেশ টাকা দাবী করলো ও বিকেলের দিকে সাপ ধরা শুরু করবে বলে ঘোষনা দিলো। চারপাশে সে খবর চাউর হতেই হৈহৈ রৈরৈ অবস্থা। এদিকে তো উত্তেজনায় আমাদের মাথা খারাপ। কিন্তু মায়ের হুকুম কোনভাবেই নীচে নামা যাবে না। আমাদের এতো আগ্রহের কথা শুনে বাবা তাদের সাপ ধরা শেষে চা নাস্তার দাওয়াত দিলেন বাসায়।
একে একে তারা প্রায় ত্রিশটা গোখরা ধরলো সে বাসা ও তার আশপাশ থেকে। বিশেষকরে বাড়ির উঠোনে কিছু ইট ফেলে রেখেছিল বাইরের বাথরুমে যাবার জন্য। সে সব ইটের নীচ থেকেই পাওয়া গেল মেক্সিমাম সাপ। সে এক এলাহি কান্ড।
যাহোক, সাপ ধরা শেষে তারা প্রায় ৭/৮ জন মহিলা পুরুষ বিশাল বিশাল বাক্স প্যাটরা নিয়ে বাসায় হাজির। তারা আসার পর আব্বু আমাদের সবাইকে ড্রয়ইরুমে ডেকে পাঠালেন। তাদের চেহারা পোষাক আষাক কথা-বার্তা সব কিছুই আমাদের কাছে ভয়ংকর লাগছিল। তারা যাই বলছিল তাই আমরা ভয়ে ভয়ে শুনছিলাম। কারন গল্পের বই পড়ে পড়ে ওদেরকে যাদুকরই মনে হচ্ছিল আমাদের কাছে।
যে লোকটি সবকছিু ডিল করছিল সে এসে স্মার্টলি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। সবচেয়ে ভয়ংকর দেখতে যে মহিলা ছিল তার মাথায় ছিল জটা, চোখ ছিল টকটকে লাল, হাতে ছিল অসংখ্য আংটি, গলায় বিভিন্ন ধরনের মালা, তাকেই সর্দার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিল লোকটি। এবং জানিয়ে দিল যে সে এ মহিলার স্বামী। দীর্ঘদিন সে ছিল এ মহিলার বাবার শিষ্য। বাবা মারা যাবার পর মেয়েই এখন দলটির প্রধান। যদিও সেই সবকিছু দেখাশোনা করে। পুরোটা সময় মহিলা তেমন কোন কথা বলছিল না। কেমন যেন নেশা নেশা চোখে চারপাশ দেখছিল। পরে জেনেছিলাম এ মহিলা সাপের বিষের নেশা তার। বিষাক্ত সাপ তার জিহবায় কামড় দিয়ে নেশা করে। এবং তার দাঁত নাকি যেকোন বিষাক্ত সাপ থেকেও বিষাক্ত।
এক সময় আমাদের আগ্রহের কথা শুনে তারা তাদের সাথে আনা বিভিন্ন সাপ দেখাতে লাগলো। অজগর, গোখরা, সূতিনালী.... সবগুলোর নাম ও এখন মনে নেই। তবে সেগুলো ছিল অনেক অনেক রং এর। কোনটা ছিল অনেক বড় আবার কোনটা এতো এতো ছোট। একটা বললো বেহুলার বাসর ঘরের সাপ, আরেকটা বললো উড়ন্ত সাপ, আরেকটার ফেনাতে আল্লাহু লিখা ছিল। যদিও মনে হচ্ছিল রং তুলি দিয়েই সেখানে লিখা। জীবনের এ প্রথম ভয়ংকর সেই সাপ এতো কাছ থেকে দেখতে লাগলাম।।
বাবা বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করছিল আর আমাদের উৎসাহ দিচ্ছিল প্রশ্ন করার। তারা সুন্দরভাবে সে সব প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিল আর আমাদেরকে একটা একটা করে সাপ ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিল ও চাইলে ধরতে দিচ্ছিল। যদিও আমি বড় অজগরকে সামান্য একটু ছোয়া ছাড়া বাকিগুলোর ধারে কাছে যাইনি। তাদের কাছেই প্রথম কামরুপ কামাক্ষার গল্প শুনলাম ও কিছু ছবি দেখলাম সেখানকার যেখানে কারো গায়েই কোন কাপড় চোপড় ছিল না। লোকটি বললো, সে কামরুপ কামাক্ষায় অনেক বছর সাধনা করে এসেছে। তাই কালো যাদু জানে সে। এবং জানালো সে ইচ্ছে করলেই কাউকে বান দিয়ে মেরে ফেলতে পারে। যদিও বাবা তার কথা খুব একটা পাত্তা দিলেন বলে মনে হলো না।
চা পর্বের এক ফাকেঁ সে লোকটি হঠাৎই বাবাকে বলে উঠলো, স্যার আপনি কি সাপের মনি কিনতে ইচ্ছুক?
বাবা হেসে উত্তর দিলো সাপের কখনই কোন মনি হতে পারে না।
লোকটি ইষৎ বিরক্ত হয়ে সাথে সাথেই কোমড়ে গোজা ঠিক হোমিও পাথের শিশির মতো ছোট একটা শিশি বের করলো। সেখানে লাল নীল সবুজ কমলা রং এর ছোট ছোট বেশ উজ্জ্বল কিছু পাথর। সেখান থেকে কয়েকটি পাথর নিয়ে বাবার হাতে দিল। তারপর বললো, সাপের মনি পেতে হলে বছরের পর বছর ধরে সাধনা করতে হয়। আর আমাদের এ সাধনার ফলই এ পাথরগুলো।
বাবা খুব গম্ভীরভাবে পাথরগুলো নেড়েচেড়ে দেখে বললো, এগুলো খুব সাধারনই মনে হচ্ছে। তা, এগুলো অন্য যেকোন পাথর থেকে আলাদা কিভাবে?
লোকটি বললো, এগুলো অন্ধকারেও জ্বলজ্বল করে।
আব্বু কৈাতুহলী হয়ে বললো, তাহলে লাইট নিভিয়ে দিয়ে দেখি!
তারপর ঘরের সব লাইট নিভিয়ে দেয়ার পর দেখা গেল তেমন কিছুই দেখা যাচ্ছে না। বাবা সে কথা বলতেই তারা বললো, ঘুটঘুটে অন্ধকার না হলে এর জ্যোতি দেখা যায় না।
বাবা, আরো কৈাতুহলী হয়ে জানতে চাইলো কেমন অন্ধকার লাগবে?
তারা বললো, এমন অন্ধকার যেন আলোর ছিদ্র না থাকে।
বাবার অফিসে বেশ কয়টা কোল্ড স্টোরেজ ছিল বিশাল বড় বড়। বাবা সাথে সাথেই মার্কেটিং ম্যানেজার আংকেলকে ফোন করে স্টোরেজ এ ঢোকার ব্যাবস্থা করলেন। তারপর বাবা সে লোকটিকে নিয়ে সেখানে রওনা দিলেন। যদিও আর কাউকে তেমন এ্যালাউ করলেন না সাথে কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা অতি মাত্রায় কৈাতুহলী বাবার পিছে পিছে ছুটলাম। তারপর একটা বিশাল কোল্ড স্টোরেজ এর ভীতর ঘুটঘুটে অন্ধকারে সে হোমিওপ্যাথের শিশি বের করলো লোকটা। কিন্তু হায় বাবা বা আমি কিছুই দেখতে পেলাম না।
সে কথা বলতেই সে বললো, কি বলেন স্যার, এইতো দেখা যাচ্ছে। কি রকম আলো। বাবা বলতে লাগলেন, কোথায় আলো, আমিতো কিছুই দেখছি না।
এভাবে কথা চালাচালির পর বাবা সেখান থেকে বের হয়ে এলেন। কিন্তু লোকটি তখনো বলে যাচ্ছে, স্যার এটা না কিনলে ঠকবেন কিন্তু। এতো আসল জিনিস কেউ আপনাকে দিতে পারবে না।
বাবা তখন বললেন, আমি কেনার আগ্রহে এটা দেখতে যাইনি, নিছক কৈাতুহল। কারন আমি জানি যে সাপের মাথার মনি বলে কিছুই নেই।
যাই হোক, তাদের খেলা দেখানো ও চা পর্বের পর লোকটি বাবাকে বিশেষ রিকোয়েস্ট করলো যে তারা এখন ঝাউবনে খোলা আকাশের নীচে আছে। কারন কোন হোটেল তাদেরকে সাপ নিয়ে থাকতে দিচ্ছে না। বাবা যদি একটু বলে দেয় তাহলে তাদের থাকার একটা ব্যবস্থা হবে।
বাবা সম্ভবত তখন ডিসি আংকেলকে ফোন করে তাদেরকে কোন একটা হোটেলে থাকার ব্যাবস্থা করে দিয়েছিলেন। তবে শেষ খবর হলো, কক্সবাজারের বেশ পয়সা ব্যবসায়ীকে সাপের মনি বলে নকল পাথর বিক্রি করে বেশ টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে। তারপর ৭/৮ দিন হোটেলে থাকার পর একদিন ভোরে হোটেলের কোন টাকা পয়সা পে না করে দলবল নিয়ে পালিয়ে গেছে।
আজ এ পর্যন্ত। পরে অন্য কিছু নিয়ে আসবো নিশ্চয়।
ওওও যাবার আগে কানাডার ম্যানিটোবায় সাপ কিলবিল ভিডিওটা দেখেন, খ্রাপ না ......
National Geographic
ছবি: গুগুল মামা
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: ঠিক তাই। ছোটবেলায় দুপুর হলেই দেখতাম বেদেনীদের ডাক, পথে পথে সাপের খেলা চলতো, ট্রেনে বামে মলম বিক্রেতাদের সুর করা গান। সে এক অন্য রকমের পরিবেশ। এখন নেই, একেবারেই নেই। পাড়ায় সব্জীওয়ালার ডাক ছাড়া আর কোন ডাক শুনতে পাই না।
তবে উপরের এ ঘটনার সাপ দেখলে আরো ভয় করতো। আমি নিজেই সাপ ভয় পাই। বর্ষাকালে দাদুর বাড়ি গেলে রাতে কখনোই ঘর থেকে বের হতাম না সাপের ভয়ে। কারন তখন বিদ্যুত ছিল না। আর এখন এতো এতো আলো যে সাপ ব্যাঙ সব পালিয়ে বেচেঁছে।
প্রথম মন্তব্যে ধন্যবাদ।
২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৬
উদারত১২৪ বলেছেন: গল্পটি ভালো লাগলো পড়ে
হিন্দুস্থানে সর্বপ্রথম যারা ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৯
সোহানী বলেছেন: এটি গল্প নয়, আমার ছোটবেলার ঘটনা।
৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ দুপুর ১:২৩
মিরোরডডল বলেছেন:
সাপের ভিডিওতো দেখবোই না ।
থ্যাংকস সোহানীপু তুমি পোষ্টে সাপের ছবি দাওনি ।
তাহলে এই পোস্টেও আসা হতোনা ।
একে একে তারা প্রায় ত্রিশটা গোখরা ধরলো সে বাসা ও তার আশপাশ থেকে।
বলে কি !!! এ ঘটনা হলে আমি ওই এলাকার ত্রিসীমানায় থাকবো না ।
এতক্ষনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছো আমি সাপ ভয় পাই ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৩৯
সোহানী বলেছেন: সাপের ভয় আমিও পাই মিরো সোনা। কিন্তু ঠেলার নাম বাবাজি। তখনতো বাধ্য হয়েছিলাম। তুমি বেচেঁ গেছ ছবি দেখার হাত থেকে কারন যখনকার ঘটনা তখন ছবি তোলা ছিল বিশাল ব্যাপার। বাবার একটা ইয়াসিকি ক্যামেরা ছিল বটে কিন্তু কালে ভদ্রে ছবি তোলা হতো।
আর তোমার জন্য এ ছবিটা স্পেশাল। আমার মেয়েকে দেখো । মায়ের বিপরীত.... একটু ভয়ধর নেই ওর। এ সর্পমেলায় ঘুরে ঘুরে সবগুলো সাপ হাতে নিয়ে ঘুরেছে। আমি বহু দূরে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছি।
দেখো পুঁচকাগুলার কান্ড, কারো কোন ভয়ধর নেই দেখি......
৪| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ বিকাল ৪:৩০
সৈয়দ মোজাদ্দাদ আল হাসানাত বলেছেন: সাপ দেখতে চাই না। সাপ দেখলে কেমন যেন গা গুলায়।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪০
সোহানী বলেছেন: হুম ভাইরে একই অবস্থা আমারো।
৫| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৪৭
কালো যাদুকর বলেছেন: আহা ছোটবেলার স্মৃতি , সে কি ভোলা যাই। আপনার মত ছোট্টবেল যে কোন বাচ্চারই কাম্য।
সাপের রোমহর্ষক বর্ণনা পড়লাম। ছোটবেলায় আমইও দেখেছি সাপুড়েদের সাপের খেলা।
ঐ সর্দারনি সম্ভবত সাপের নেশাতে সবসমই থাকে। এরকম শুনেছি, কখনো দেখেনি।
ধন্যবাদ।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১০
সোহানী বলেছেন: সত্যিই আমরা ভিন্ন ধরনের জীবন কাটিয়েছি ছোটবেলায়। অনেক অনেক আনন্দ নিয়ে, এডভেঞ্চার ছিল সে জীবনে।
হাঁ, ঐ সর্দারনি সম্ভবত সাপের নেশাতে সবসমই ছিল। কাছ থেকে এমন অভিজ্ঞতা সত্যিই বিরল।
ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য যাদুকর ভাই।
৬| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:৫৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: কক্সবাজারে মনে হয় এখনও অনেক সাপ আছে। কয়েকদিন আগে অফিসের কাজে কক্সবাজার গিয়েছিলাম। ওখানে সাগরের কাছে একটা বাংলো টাইপের বাড়ির সামনে আমরা হাঁটাহাঁটি করছিলাম। ওখানকার কেয়ারটেকার বললেন যে এখানে রাতে ঘরের বাইরে হাটা খুব বিপদজনক। কারন সাপেরা ব্যাঙ খাওয়ার জন্য বের হয়। আর আমাদের পায়ে জোক লাগতে পারে বলে ভয় দেখালো। আমরাও ভয়ে নিজের নিজের পা পরীক্ষা করতে লাগলাম, জোকে ধরেছে কি না জানার জন্য। জোকে ধরলে অনেক পরে বোঝা যায়। ঐ বাংলোর মালিক আবার অনেক দয়ালু, কোন সাপ মারতে তিনি নিষেধ করেছেন। তাই সাপ কমার সম্ভবনা নাই ওখানে।
বদলীর কারণে আমি ক্লাস সিক্স পর্যন্ত ৬ টা স্কুলে পড়েছি।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:১৪
সোহানী বলেছেন: যাক, আপনি ছয়টি, আমি এগিয়ে.............হাহাহাহাহা
এখনো সাপ আছে? এতো মানুষ এতো রহিঙ্গা এতো পর্যটক!!!! সাপেরতো দেখি জানের মায়া নাই।
আমি যে সময়টার কথা বলছি তখন মানুষ এখনকার মতো ছুটতো না কক্সবাজারে। তাই সাপ-গোখের বাসা স্বাভাবিক ছিল। তবে জোকের বাস ছিল বলে শুনিনি।
সাপ মারতে আমি কখনই সাপোর্ট করি না। ওরাওতো প্রানী, ওদের বাঁচার অধিকার আছে। আর বিশেষকরে কানাডায়তো বিশাল অপরাধ। মানুষ মারলেও এতো কঠোর নয় মনে হয়.....হাহাহাহা
৭| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩০
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: অকারণে সাপ মারা নিষেধ আছে আমাদের ধর্মেও, যদি না সাপটার ক্ষতি করার সম্ভবনা থাকে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৮
সোহানী বলেছেন: তারপরও মারা উচিত নয়। ক্ষতির সম্ভাবনা থাকলে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে ডাকা উচিত। পরিবেশের ভারসাম্য আমরাইতো নষ্ট করি এদেরকে মেরে।
৮| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৩৪
Abida-আবিদা বলেছেন: স্মৃতি মানুষকে হাসায়, কাঁদায়। কেউ কেউ বলে স্মৃতি হত্যা করতে পারলে ভালো থাকা যায়।
আমি বলব, স্মৃতি অন্তরের গহীনে এক নিগুঢ় অনুভূতি তৈরি করে।
সুন্দর লিখেছো, আপু।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:৪০
সোহানী বলেছেন: কষ্টের স্মৃতি হত্যা করো ও উচিত নয়। কারন ওটাই ভবিষ্যতের পথ দেখাবে। আর আনন্দের স্মৃতিকে বাঁচিয়ে রাখা উচিত সবসময়ই।
৯| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:১২
মিরোরডডল বলেছেন:
সোহানীপু তুমি একটা দুষ্ট আপু, বিচ্ছু আপু
কেনো না করলাম সাপের ছবি দিতে, তাই ঠিক ঠিক ছবি নিয়ে আসছো আমার জন্য
তাইতো, বাচ্চাগুলোর কি সাহস !
সাপ নিয়ে একটা মজার গল্প শোন ।
এক বাসায় ডিনারে গিয়েছি ।
ওটা একটা ওয়ান স্টোরিড হাউজ সামনে পেছনে বাগান , প্রচুর গাছপালা ।
কথা প্রসঙ্গে এলো যে ওই বাসায় একটা বড় সাপ দেখা গেছে । কি যেনো বলে ওদেরকে যারা সাপ ধরে নিয়ে যায়, ভুলে গেছি এনিওয়ে, সেই ইমারজেন্সি নাম্বারে কল দেয়া হয়েছিলো । লোকও এসেছিলো কিন্তু সামহাউ সেই সাপ আর পাওয়া যায়নি । এ কথা শোনার পর আপু কিসের ডিনার, কিসের কি !!! কতক্ষনে আমি ওখান থেকে বার হবো যেহেতু সাপ হারিয়ে গেছে পাওয়া যায়নি, তারমানে সেই সাপ হয়তো ওই বাসাতেই আছে । মনে হচ্ছে পাখা থাকলে আমি উড়াল দিতাম সেখান থেকে
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০২
সোহানী বলেছেন: এইটাইতো তোমারে বোঝাতে চাইলাম যে দেখো পিচ্চুগুলা কেমন বিচ্ছু। .. তোমার আমার মতো নাকি!!
ঠিক এই অবস্থা আমারো। তোমার জায়গায় আমি থাকলে আগে দৈাড় দিতাম তারপর ডিনার আর পার্টির চিন্তা । বেচেঁ থাকলে এরকম পার্টি জীবনে অনেক আসবে.............হাহাহাহা
এ্যানিমেল প্রটেকশান সেন্টার!! বাপরে বাপ যে দাপট তাদের। ঘরের কুকুর বিড়ালের গায়েও হাত দিলে খবর আছে!!!
১০| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২০
ইসিয়াক বলেছেন:
সাপ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতা বেশ লাগলো। যদিও সাপে আমার দারুণ ভয়।
এই মুহুর্তে সাপ নিয়ে বাংলা ছবির একটা গান মনে পড়ছে। এক সময় রেডিওতে খুব বাজতো।
" নাগিনী সাপিনী আয় তোরা আয়, ভালোবেসে কাছে এসে ধরা দে আমায়" হা হা হা
আমারও সাপ নিয়ে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আছে। তাও ঢাকা শহরের মত জায়গায়। এখনও ভাবলে গা শিউরে ওঠে। লিখবো হয়তো সামনে।
শুভ কামনা রইলো।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৫
সোহানী বলেছেন: লিখে ফেলো তাড়াতাড়ি! ঢাকায় এতো মানুষের ভীড়ে সাপ কিভাবে টিকে থাকে!!!
এক সময় সাপ নিয়ে প্রচুর সিনেমা হতো। এখন বরং কম দেখি।
১১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৮:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: আগের জীবনই সুন্দর ছিলো। সহজ সরল সুন্দর।
এখন জীবন নানান রকম জটিলতা আর কুটিলতায় ভরা।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:০৮
সোহানী বলেছেন: ঠিক না। একেক জীবন একেক রকমের সুন্দর। ছোট থাকতে ছিল এক ধরনের আনন্দ, অভিমান বা দু:খ। আর এখন ভিন্ন ধরনের। সে সময়েও কুটিলতা ছিল, এ সময়েও আছে। তবে ভিন্ন ধরনের। তারচেয়ে ও আমার মনে হয় কে কিভাবে জীবন পালন করতে চায় জীবন তার কাছে সেরকম ভাবে ধরা দেয়।
১২| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:১৫
মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: পেট ব্যথা সব চেয়ে ভালো অজুহাত, ধরা পরার কোনো চান্স নাই।
মনি দেখার চেষ্টাটা সব সময় ভালো ফল নাও হতে পারে।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১০
সোহানী বলেছেন: আমরা অবশ্য এ ধরনের অজুহাত কম দেখাতাম। স্কুলে যেতে ভালো লাগতো।
মনি বলেই কেছিু নেই, সবই ধোকা। যাকে যেভাবে পারে ধোকা দেবার চেস্টা করে।
১৩| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ৯:৫৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: সাপুড়ে সর্দার খুব চেষ্টা করেছিল অন্তত একটা পাথর যেন গছাতে পারে।
ছোটবেলায় স্কুল থেকে বাসায় ফিরতে রাস্তার ধারে প্রায়দিনই সাপখেলা দেখতাম শুধু শেষ সাপটা দেখার জন্য কিন্তু ঐ সাপ আর দেখাতো না।
৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৩
সোহানী বলেছেন: হাঁ, ঠিক তাই। এ কাজ সে আরো অনেকের কাছে করেই পালিয়েছে।
আমিও জানি কিন্তু কখনোই সুযোগ পাইনি রাস্তার পাশে সাপ খেলা দেখার। কঠিন রেস্ট্রিকশান ছিল মায়ের কোথাও যাবার। সোজা স্কুলে পৈাছে দিতো, স্কুল থেকে সোজা বাসায়। এর মাঝে কিছু ছিল না।
১৪| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:০২
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: খুব ভালো লাগলো আপনার স্মৃতি কথা। কুদ্দুস আঙ্কেলকে নিয়ে বিশেষ পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম। তবে আজকের ভুত ভূতুড়ে থুরি সাপ সাপুড়ে পর্বে একদিকে ছোট বেলায় সাপধরা দেখা ও অন্য দিকে সাপের প্রতি প্রায় সব মানুষের ভয় থাকায় এক প্রকার বুজরুকির পরিচয় পেলাম।সাপ ধরাটা স্রেফ হাতের কারসাজি।বেশ কয়েকবার সাপ ধরা দেখেছি। আমার ছোট বেলায় এরকম এক বেদেকে একটি গোখরো সাপ ধরার পর একটি গাছরা ঔষধ যা রাখলে নাকি সাপ কখনো কাছে আসেনা মুহূর্তে সব বিক্রি করতে দেখেছিলাম। আমার কাছে কোনো পয়সা না থাকায় সেদিন সেই গাছরা ঔষধ নিতে না পেরে খুবই দুঃখে ব্যথিত ছিলাম। আমার বন্ধু সাইকুল একটি মাদুলিতে সেই ঔষধ ভরে ডান হাতে বেঁধে রাখায় বহুদিন ওর সঙ্গ পেতে মরিয়া ছিলাম। কলেজে গিয়ে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যপদ নিয়ে অবশ্য এই উদ্ভট চিন্তা মাথা থেকে দূর হয়।
ভালো থাকবেন আপু সবসময়।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৫
সোহানী বলেছেন: আরে তাইতো। সে লোকটি এরকম সাপ তাড়ানোর তাবিজও বিক্রি করেছিল.... ওওও ভুলে গেছি বলতে। গাছ-গাছড়ার কথাও শুনেছিলাম। আসলে আগের দিনে মানুষকে ধোকা দেয়া খুব সহজ ছিল। মানুষ সহজেই বিশ্বাস করতো।
এটাকে বুজরুকি ঠিক বলবো না কারন খেলা দেখতে পছন্দ করা আর সাপকে ভয় পাওয়া সম্পূর্ন ভিন্ন বিষয়। মানুষ ভয় পেতো কারন তাদেরকে ভয় পাওয়ানো শিক্ষা দেয়া হতো। এখানকার বাচ্চারা ভয় পায় না কারন তাদেরকে শেখানো হয় এটা তাদের পার্ট অব লাইফ।
আসলে এতো এতো বিষয় এক সাথে লিখা শুরু করেছি যে কোনটা ছেড়ে কোনটা লিখবো। তবে আমার দেখা ইন্টারেসটিং ক্যারেকটারের মধ্যে কুদ্দুস আঙ্কেল একজন।
১৫| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:২৬
ওমেরা বলেছেন: আমি বেশ সাহসী একটা মেয়ে কিন্ত এই নামটা শুনলেও আমার গা শির শির করে ভয়ে ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৬
সোহানী বলেছেন: আসলে আমাদেরকে ছোটবেলা থেকে সাপকে ভয় পাওয়ানোর চেস্টা করতো তাই আমরা ভয় পাই। আমাদের দেশের বেশীরভাগ সাপই বিষাক্ত নয়।
১৬| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১২:৫০
মুক্তা নীল বলেছেন:
ছোটবেলার সাপের সাথে ভয়ঙ্কর সেই সাপুড়ীর নেশা শুনে
কিছুটা আতঙ্কিত হ'লাম ।
স্মৃতিকথন শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ ।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৮:৫৭
সোহানী বলেছেন: কথা সত্য। ওরা সাপের কামড়ের নেশা করে। খুবই ভয়ংকর সে নেশা।
১৭| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১:১৪
নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: বেদেদের কাহিনীটা বাস্তব।উত্তরায় ৮ নং সেক্টরে অফিসার্স কোয়ার্টারে আমারদের বাসার পাশেই ছিল বিরাট বেদে পল্লি।আসতে যেতে তাদের কে খুব কাছ থেকে দেখেছি।
স্মৃতিচারন ভাল লাগলো।আবার হয়তো আন্য কোন স্মৃতিকথা শুনার অপেক্ষায় থাকলাম।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ৯:০১
সোহানী বলেছেন: উত্তরাতে বেদের পল্লী! তাই নাকি!! কেমন ছিল তাদের জীবন? ঠিক জসীম উদ্দিনের লিখা বেদের কাহিনীর মতো??
এতো এতো স্মৃতিকথা জমে আছে যে কোনটা ছেড়ে কোনটা বলবো....। তারপরও আসবো কিছু নিয়ে নিশ্চয়।
১৮| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৫
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: সবার ছেলে বেলায় সাপুড়ে আছে যদিও এখন তেমন নেই। এই সাপুড়েদের খেলা, কথা, কেরামতি সবই অবাক চোখে দেখতাম।
কে বলেছে গল্প বলতে হুমায়ুন আহমেদ হতে হবে, আপনার বর্ননা পড়ে খুব ভাল্লাগলো।
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৭
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাইদুল। আপনাদের সাহসে লিখা চালিয়ে যাই।
১৯| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১০:০৭
বিটপি বলেছেন: ১। এত সাধনা করে যে মনি হাসিল করা যায়, তা বিক্রি কেন করবে? সাধনার জিনিস কি বিক্রি হয়?
২। মনিতে যদি রেডিয়াম লাগিয়ে নিয়ে আসত, তাহলে কি আপনার বাবা বিশ্বাস করত যে ঐটা মনি?
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২১
সোহানী বলেছেন: প্রথম প্রশ্নের উত্তর আপনারে কাছেই আমি আশা করছি। এটা খুবই কমন প্রশ্ন, উত্তরও সবার জানা।
দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর: লিখাতেই উত্তর দিয়ে দিয়েছি। তারপরও বলছি, আমার বাবা কখনোই বিশ্বাস করেন না বিজ্ঞানের বাইরে কিছু। কারন সাপের মনি বলে কিছু যে নেই তা সাধারন শিক্ষিত সবাই জানে। বাবা যা করেছেন সেটা হলো দেখতে চেয়েছিলেন তাদের দৈাড় সাথে কৈাতুহল।
আশা করি আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পেরেছি।
২০| ৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:১৫
গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: আবহমান কাল থেকে এদের লোক ঠকানো ব্যবসা চলে আসছে।
অবশ্য এখন দেশের অধিকাংশ লোকজনের কাজ হচ্ছে লোক ঠকানো। বলতে গেলে এটা আমাদের জাতীয় পেশা
৩১ শে অক্টোবর, ২০২১ রাত ১০:২৫
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............. এইটা অনেকাংশে সত্য। দেশে কিছু করতেই এখন ভয় পাই। সবাই শুধু ধান্ধায় থাকে কিভাবে কার মাথায় বাড়ি দেয়া যায় ।
বি:দ্র: এই বাড়ি সেই বাড়ি ঘর নয় কিন্তু!!!
(অফ টপিক: আপনার বইটি কি আসছে?)
২১| ০১ লা নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৩
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: বোন সোহানী, আমার মেয়েবেলা দেখে প্রথমেই তসলিমা নাসরীনের কথা মনে পড়ল এবং অবাক হয়ে ভাবতেছিলাম যে সে কি (তসলিমা নাসরীন) এখন ব্লগে লেখা শুরু করল কিনা? পরে দেখি,অনেক দিন পরে বোন সোহানীর এক স্মৃতির বেদনাবিধুর এক টক-ঝাল-মিষ্টি ( চকলেটি ) পোস্ট । যেই চকোলেট সবাই আমরা কম-বেশী খেয়েছি আমাদের শৈশবে যারা ইট-পাথরের জঞ্জালে না থেকে থেকেছে গ্রামীণ খোলামেলা পরিবেশ ও বনেবাদারের মাঝে ।
আর গ্রামীণ পরিবেশ ও বনেবাদারের এক অন্যতম অনুষংগ হলো সাপ। কত ধরনের সাপ যে একসময় দেখা যেত সন্ধ্যা ও ভোর বেলায় বাড়ীর আশেপাশে এবং তার সাথে ভয় ও আতংকে দিন কাটাতে হতো কখন যে কাকে সাপে কাটে এই ভেবে। আবার বর্ষাকালে ভয়ে-আতংকে দিন কাটত ঘরে-বিছানায় সাপের উপস্থিতি নিয়ে এবং প্রায়ই মানুষজন মারা যেত সাপের কামড়ে। চলার পথে কত যে সাপ মেরেছি পিটিয়ে তার হিসাব কে রাখে ? তখন একটাই অজুহাত ছিল সাপ ভয়ংকর জীব এবং সুযোগ পেলেই তা মানুষকে ছোবল মারে,তাই দেখামাত্রই পিটিয়ে মারা ফরজে আইন। অথচ কোন সাপই বাধ্য না হলে কখনো কাউকে কেটেছে এমন নজীর নেই।
সভ্যতার বিবর্তন এবং মানুষ বৃদ্ধির ফলে ও বনজংগল কমে যাওয়ার ফলে প্রাকৃতিক এবং আসল সাপ প্রায় এখন বিলুপ্তির পথে তবে তাদের বিলুপ্তির সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে সমাজে-রাষ্ট্রে বেড়েছে মানুষরুপী সাপের সংখ্যা। তারা যে কাকে কখন-কোথায় কিভাবে কাটবে আগে থেকে বোঝার কোন উপায় নেই। আর যদিও সাপের শুধু দাতে বিষ আছে তবে এ জাতীয় (মানুষরুপী) সাপদের সারা শরীরেই বিষ। আর তাদের বিষের ছোবলের প্রভাবে প্রায়ই সমাজ-সংসার-পরিবারে নেমে আসে ভয়াবহ বিপর্যয়।
০২ রা নভেম্বর, ২০২১ রাত ৮:৩৩
সোহানী বলেছেন: মেয়েবেলা নামটা তসলিমা নাসরীনের থেকেই ধার নেয়া। আমি সাধারনত: লেখার নাম নিয়ে মারাত্বক খুঁতখুঁতে, লেখার মান যাই হয় না কেন....হাহাহাহা
আসলে বাবার চাকরীর সুবাধে যেমন ঘুরেছি প্রচুর তেমনি ঘুরাঘুরি পাগল বাবা এর চাইতেও বেশী ঘুরিয়েছেন। দেশের এমন কোন উল্লেখযোগ্য স্থান নেই যেখানে বাবা আমাদের নিয়ে যাননি। টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সবই দেখেছি বলতে গেলে।
দেশে থাকতে জানতাম সাপ কেঁচো পোকা মারাটা সত্যিই ফরজ। আমার বিশ্বাসে ধাক্কা লাগে কানাডায় আসার পর আমার ৫ বছরের মেয়ের কাজ দেখে। একটা কেঁচো দেখে আমি দৈাড় দিলে সে সেটা হাতে করে এনে ভালো স্থানে ছেড়ে দেয়, ফরেস্টে কোন মথ বা এ ধরনের কিছু দেখলে কি যত্নে গাছে উঠিয়ে দেয়। সাপ দেখলে কি কিউট কি কিউট করে ঝাঁপিয়ে পড়ে। একটা পাতা ফুল ছিঁতে দেয় না। আমার আজীবন বিশ্বাসের ভিত নাড়িয়ে দেয়।
ও বলে তোমার যেমন বাঁচতে ইচ্ছে করে, ওদেরও করে। ওদের ও মা বাবা কিডস্ আছে। ও মরে গেলে তারাও কষ্ট পাবে। তাহলে তুমি কেন ওদের মারবে। তার অধিকারতো তোমার নেই...........। তার লেকচার শুনে আমার আক্কেল গুড়ুম। এখন ও আশে পাশে থাকলে ভয়ে ভয়ে থাকি, কখন আবার কোন ভুল করে ফেলি।..........হাহাহাহা
ওই যে বল্লাম, এখানের স্কুলগুলো পশুকে মানুষ বানাতে চেস্টা করে আর আমরা মানুষকে পশুতে রুপান্তরিত করি।
ভালো থাকবেন।
২২| ০৭ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৩৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: ভালো লাগল আপনার স্মৃতিকথন।
বেদে-বেদেনীদের কাজই হলো অপকৌশলে মানুষকে ভয় দেখিয়ে কিছু কামাই করা। ছোটবেলায় দেখতাম বেদেনীরা প্রথমে সাপের খেলা দেখাতো, তারপরে ছেলেমেয়েদের দাঁতের পোকা নামানোর কথা বলে অপকৌশলে দাঁত থেকে কিছু পোকা বের করতো, যা ওরা আগে থেকেই নিজ বাড়ি থেকে ধরে এনে আঁচলে লুকিয়ে রাখতো। তারপর ওরা নানা রকমের ব্যথা বেদনার ঔষধ বিক্রয় করতো।
০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:২৮
সোহানী বলেছেন: আগে এদেরকে পথে ঘাটে দেখা গেলেও এখন তেমন দেখা যায় না। সাপের খেলা দেখানো, দাঁতের পোকা নামানো, ঝাঁড়ফোক করা, জন্ডিস হলে মালা দেয়া, তাবিজ দেয়া............. শত রকমের কাজ-কর্মে ব্যাস্ত রাখতো সবাইকে। এখন মোবাইল ইন্টারনেট বিজ্ঞানের যুগে এদেরকে আর দেখা যায় না। তাহলে ওরা পেশা পরিবর্তন করেছে নিশ্চয়। কি পেশায় আছে তা জানতে ইচ্ছে হচ্ছে।
২৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:১৫
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
ভাল লাগা জানিয়ে গেলাম ।
পরে সময় করে আসব ।
শুভেচ্ছা রইল
০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৩:২৯
সোহানী বলেছেন: আসতে আসতেই আসল মন্তব্য পেয়ে গেলাম তাই দু:খিত দেরী করে আসার জন্য।
২৪| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:৫৮
ডঃ এম এ আলী বলেছেন:
মেয়েবেলাকার গল্প সাথে সাপুরে ও গোখরা সাপ ধরা, সাপের মনি দেখার বাসনা ও সে বাসনা উবে যাওয়ার
কাহিনী ভাল লাগল । গল্পাকারে খুব সুন্দর করে লিখেছেন ।
কাহিনী পাঠের পর সাপ ধরা, সাপের খেলা দেখা এবং দেখানো নিয়ে আমারো ছেলেবেলাকার
কিছু কথা মনে পড়ে যায় । আমাদের দেশের বাড়ীর বাহির আঙ্গিনার শেষ প্রান্তে গোপাটের (পথ)
কাছে খড়ের পুঞ্জির চার দিকে বাতানের গাভীগুলিকে বেধে রেখে খর খেতে দেয়া হতো ।
একদিন প্রায় গোধুলী লগ্নে দেখি দুধালো লাল গাভিটির দুপা পেচিয়ে ধরে আছে একটি সাপ।
মনে হচ্ছিল সে টি গাভীর বাট থেকে দুধ খাচ্ছে । ঘটনাটি দেখে দৌঁড়ে এসে দাদা মশাইকে বলি
সাপে কিভাবে লাল গাইয়ের দুধ খাচ্ছে। দাদা বললেন সাপ মনে হয় খরের পুঞ্জির আশেপাশে আস্তনা গেড়েছে।
কাল এগুলিকে ধরে এলাকা ছাড়া করতে হবে।পরদিন শুরু হলো সাপ তারানোর অভিযান।বাড়ীর বয়স্ক লোকজন
ও প্রতিবেশীরা খন্তা, কোদাল , বর্ষা , লাঠি সোটা নিয়ে শুরু করলেন সাপ খুঁজাখুঁজি ।
ডিবির মত জায়গায় ঝোপ ঝারের মধ্যে থাকা বেজি/নেউলের গর্তের ভিতরে সাপের সন্ধান পাওয়া গেল ।
বিভিন্ন অভিনব পন্থায় গর্তের ভিতর হতে সাপ বের করার কসরত করা হচ্ছিল , যে কয়টা বেরিয়ে আসতে
পেরেছিল সেগুলিকে পাশের জঙ্গলে দিকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করা হল । কারণ এলাকায় সে সময়
এ কথা প্রচলিত ছিল যে কোন সাপকে পিটিয়ে মারলে তা যদি অন্য কোন সাপে দেখে তাহলে সে এলাকায়
যাকে পাবে তাকেই সাপে কামরাবে । তাই উত্তম পন্থা হলো সাপকে ভয় ভীতি দেখিয়ে এলাকা ছাড়া করা ।
দাদা জানতেন ঘরে কিংবা বাড়ীর কাছে কোন জায়গায় সাপ থাকলে সে সাপ তারাবার জন্য সবচেয়ে
কার্যকরী উপায় হল কার্বলিক এসিড বা ফেনল ব্যবহার করা। ঘরের চারপাশে কার্বলিক এসিড ছড়িয়ে দিলে
সেখানে ভুলেও আর কোন সাপ থাকবেনা বা আসবেনা । এ পদ্ধতি ব্যবহার করেই সাপের উপদ্রব থেকে নিস্কৃতি
পাবার ব্যবস্থা করা হয়েছিল সে যাত্রায় ।
এছাড়া সাপ নিয়ে আরো দু একটি মঝার কাহিনী মনে পড়ে যায় । তা হল হৈমন্তি ধান উঠার পরে আমাদের
এলাকায় বেদে নৌকার বহর আসত প্রতি বছর । তারা বেশ মঝার মঝার সাপের খেলা দেখাত । আমাদের বাড়ীর
কাছেই নদীতে বেদে নৌকার বহর নোঙ্গর করত । প্রতিদিন বিকালের দিকে সাপ খেলা দেখিয়ে বেদিনীরা সাপের
ডালা মাথায় করে নৌকায় ফিরত । বিকালের পড়ন্ত বেলায় নদীর পারে গাইলে করে বেদে কন্যারা ধান বানত।
আমরা ছেলের দল তাদের সাথে শরিক হয়ে গাইলে ধান বানতে সহায়তা করতাম । দিন কয়েকের মধ্যেই তাদের
সাথে আমাদের ভাব হয়ে যেতো । তাদের কাছে তখন সাপ খেলা দেখাবার কৌশল জানতে চাইতাম , তারা বলত
এক হাড়ি ধান দিলে তারা সাপের মাধুলী সহ ( সাপে কামর দিলেও বিষে আছর করবেনা ) সাপ খেলা দেখাবার
কৌশলশিখাবে। বেশ, তাদের কথা মত দাদীর কাছে বায়না ধরে হারি ভর্তী ধান নিয়ে এসে বেদেনীদের কাছে সাপের
খেলা দেখানোর কৌশল ও মন্ত্র শিখতাম । বলাই বাহুল্য যে তাদের কাছ হতে দিন কয়েক পুর্বেই মাধুলী সংগ্রহ
করে কোমরে বেধে নিয়েছিলাম । তারপর তাদের কাছে সাপের মন্ত্র শুনে শুনে সাপের খেলা দেখাবার তালিম
নিতাম নিত্যদিন। প্রতিদিনই এক হারী করে ধান তাদেরকে দিতাম । উল্লেখ্য যে বেদেনীরা তাদের নীজের গলায়
সাপ পেচিয়ে রেখে আমাদেরকে সাপ খেলা দেখাবার তালিম দিত, আমাদেরকে ধরতে দিতনা , বলত ভাল করে
শিখতে আরো অনেকদিন সময় লাগবে। যাহোক আমার ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করে যাচ্ছিল । হারি হারি ধান দিয়েই
যাচ্ছি অথচ ,সাপ খেলা দেখানো শেখাই হচ্চেনা। ভাবলাম যাই হোক না কেন, আগামীকাল গলায় সাপ পেচিয়ে খেলা
দেখানো শিখবই এবং তা সকলকে মঝা করে দেখাব ।
পরদিন বেদিনীরা সাপের ঝাপি নিয়ে পাড়ায় বেরিয়েছে সাপের খেলা দেখানোর জন্য। ভাবলাম সুযোগ নিতেই হবে ।
বেদেনী সাপ বের করে হাত পা নেড়ে যেইনা খা- খা -বখখিলারে খা, বলে সাপ খেলা দেখানো শুরু করেছে তখনই
খপ করে একটি সাপ ধরে গলায় পেচিয়ে ধরলাম। আর যায় কোথায়, বেদেনী খপ করে সাপকে ধরে গলা থেকে নামিয়ে
নীচে মাটিতে রেখে দিল ।
বেদেনী আমাকে ধমক দিয়ে বলেছিল করেছিস কি , এখন যদি সাপ কামরে দিত । আমি বলেছিলাম তুমি কি মনে
করেছ আমি বোকা ! এই বলে হাসিমুখে ফস্ করে আমার কোঁচার কাপড়টা টেনে তুলে কোমরে সূতা-বাঁধা একটা
শুক্না শিকড় দেখিয়ে বলেছিলাম , এই দ্যাখো , আট-ঘাট বেঁধে নেমেছি কি না! এটা সাথে থাকলে আমাকে সাপে
ছুবল ছুবলে দিতে পারবেনা এ কথাতো তোমরাই আমাকে বলেছ, তাই যদিওবা কামড়াত—তাতেই বা কি!
তোমাদের কাছেতো বিষ-পাথরটা আছেই , কামর দেয়া জায়গায় সেটা লাগিয়ে দিলে সাপের বিষ পানি হয়ে যেতো।
যাহোক,সাপ গলায় পেচানোর দৃশ্য দেখে ছোট কাকা হির হির করে টেনে হিচরে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল।এর পর হতে
সাপুরেদের নৌকা বহরের কাছা কাছি যাওয়া আমার জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল । তা না হলে সাপ খেলা দেখানো
হয়ত শিখেই ফেলতাম । বেরসিক গুরুজনেরা একটা মঝার খেলা শিখতেই দিলনা এই আফছুছ টা সারা জীবন
থেকেই যাবে ।
যাহোক, আপনার মেয়েবেলাকার কথা পাঠে নীজের অনেক কথাই বলে ফেললাম ।
পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম
অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল
০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:০১
সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........ আপনার আরো লিখায় পড়েছিলাম যে ছোটবেলায় আরো অনেক কিছু হবার সাধনা করেছিলেন। কিন্তু এ গুরুজন নামক শাসকরা আপনাকে তা হতে দেয় নাই । আরেকটু হলে দারুন একজন সাপুড়ে হতেন। একজন সাপুড়ে ডক্টরেট হিসেবে হয়তো আপনিই প্রথম হতেন।
আমিতো শুনেছি সবাই সাপ দেখলেই লাঠি পাথর নিয়ে সাপ মারতোই। কোনভাবেই ছাড় দিতো না। কারন একটাও সাপ থাকলে বাকিরা ফিরে আসবে ও সবাই মিলে কামড়াবে। আপনারা ছেড়ে দিতেন শুনে অবাকই হলাম। এমন শুনিনি। সাপকে বিশ্বাস করতে নেই এমন কিছু মনে হয় শুনেছিলাম।
ছোটবেলায় নানার বাড়িতে যেয়ে সাপ গাভীর দুধ খায় বলে শুনেছিলাম। সেটার জন্য কার্বলিক এসিড দেয়ার কথাও শুনেছিলাম। কিন্তু জীবনে দেখেনি সাপের দুধ খাওয়া।
যেহেতু জীবনে গ্রামে কম গেছি তাই সেরকম সাপের সাথে সাক্ষাত ছিল না। কিন্তু বাবা যখন কাপ্তাই এ ছিল তখন আশে পাশের বাচ্চারা বলতো সাপ নাকি আমাদের বাসার আশেপাশে খোলস চেইন্জ করে। তাও আমার দেখার সুযোগ হয়নি।
আমার মারাত্বক সাপ ভীতি। সাপ আছে শুনলে আমি আশেপাশে নাই। বাচ্চারা রেপটাইল জু দেখার কথা বললেও আমি খুব একটা আগ্রহ দেখাইনি। তারচেয়ে বাঘ সিংহ দেখা ভালো। যদিও আমি জু কনসেপ্টাই পছন্দ করি না। ভীষন অন্যায় মনে হয়।
যাহোক, চমৎকার মন্তব্যে ও স্মৃতিচারনে ভালোলাগা।
অফটপিক: একজন শুধু আপনার সাক্ষাত পাবে আর বাকিরা কি দোষ করলো
২৫| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৫
হাবিব বলেছেন: এত ছোটবেলার কথা নিখুত ভাবে আমাদের জন্য মনে রেখেছেন, পড়ে মজা পেলাম। লেখা পড়তে পড়তে আপনাদের সাথে কৌতুহলে হারিয়ে গিয়েছিলাম কিছু সময়ের জন্য। এতগুলো সাপের কথা শুনে আমার ভয় ভয় লাগলো।
১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৬
সোহানী বলেছেন: আসলে আমার ছোটবেলা যথেষ্ট বৈচিত্রময় ছিল। এতো স্কুল, এতো টিচার, সাথে এতো এতো বন্ধু-বান্ধব নানান অভিজ্ঞতার ঝুলি.....।
সাপ আমি ও ভয় পাই। তাই দূরে থাকতে চেস্টা করি।
২৬| ০৯ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৪৩
হাবিব বলেছেন: কানাডিয়ান আদালত নিয়ে পোস্ট চাই
১০ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:২৮
সোহানী বলেছেন: আদালত এখনো অমিমাংসিত। চিঠি পেলে সেখানে যেয়ে তার অভিজ্ঞতা লিখবো। অপেক্ষায় আছি। কানাডার সরকারী কাজ-কর্ম আমাদের থেকেও ঢিলা.........হাহাহাহা
২৭| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৩৮
খায়রুল আহসান বলেছেন: ডঃ এম এ আলী এর ২৪ নম্বর মন্তব্যটি এবং তদুত্তরে আপনার প্রতিমন্তব্য ('অফ টপিক'সহ)- দুটোই ভাল লাগল। আলী ভাই এর দুরন্তপনার কথা জেনে ভীষণ মজা পেলাম।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৫
সোহানী বলেছেন: ডঃ এম এ আলী ভাই একজন আপাদমস্তক জিনিয়াস। সেটা ছোট থেকেই ছিলেন বলেই ধারনা।
আবারো লিখায় ফিরে আসায় অনেক অনেক ধন্যবাদ।
২৮| ১১ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:৪১
কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুবই ভালো লাগলো আপু
স্মৃতি পাতায় কড়া নাড়লে
এমন স্মৃতি কত আছে আমাদের জীবনে।
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৩৮
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ছবি।
স্মৃতিপাতা নিয়ে লিখা শুরু করো। আমরা আছি পড়ার জন্য।
২৯| ১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩২
শায়মা বলেছেন: সাপের খেলা বড়ই আনন্দময়।
সাপের বেঁদে বেঁদেনীর চাইতেও সাপকেই বেশি ভালো লাগে দেখতে।
যদিও দূরে থেকে মানে ১০০ মাইল দূর থেকে।
তোমার ছেলেবেলা পড়ে আমারও ছেলেবেলা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে আপুনি!!
১৩ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১০:৪০
সোহানী বলেছেন: "তোমার ছেলেবেলা পড়ে আমারও ছেলেবেলা লিখতে ইচ্ছা হচ্ছে আপুনি!!"
অবশ্যই। তুমি লিখলেতো সোনা ফলবে!! লিখো আমরা জানতে পারবো অনেক কিছু।
সাপকে ভয় পাই কিন্তু আমার বাচ্চাগুলা একটুও ভয় পায় না। আজিব এরা..........
©somewhere in net ltd.
১| ৩০ শে অক্টোবর, ২০২১ সকাল ১১:২৪
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
সাপের খেলা শব্দটি দেখে নষ্টালজিক হতে হলো-
আমাদের ছোট বেলাতেও আমরা সাপের খেলা দেখেছি। হাতে নানা রঙের চুড়ি, বেনীকরা চুলে গোলাপী ফিতে , কপালে বড় ফোঁটা, ঠোটে সস্তা লিপিষ্টিক , হাত- পায়ের নখে আলতা মাখা , কালো রঙের সাপুড়িনী যখন কোমরে শাড়ী পেঁচিয়ে খেলা দেখাতো বীন বাজিয়ে তখন থেকে থেকেই বলতো- " খা...খা...খা বখখিলারে খা "। আর কেউ পয়সা না দিলে যোগ করতো -" খা...খা...খা বখখিলারে খা, কিরপিইন্নারে খা....."। বলেই সাপের লেজ ধরে ঘুরিয়ে মানুষজনদের দিকে ছুঁড়ে মারার ভান করতো। আর ভয়ে তখন অনেকেই দু'পয়সা, এক আনার (তখনকার) কয়েন ছুঁড়ে দিতো সাপুড়িনীর দিকে।
তখন ভয়ঙ্কর সাপ বলতে ছিলো - জাতি সাপ আর দাঁড়াশ সাপ।