নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্ষনের বিচারে যখন আমরা দর্শক!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৫



২০০৮, ওয়াশিংটন ডিসি। ১৮ বছরের ম্যারি এডলারের বান্ধবী সকালে ৯১১ এ কল দিয়ে জানায় তার বান্ধবীর রাতের বেলায় ধর্ষিত হয় এক আগুন্তুক দ্বারা তারই ঘরে। মেয়েটি এতটাই ভয় পেয়েছে যে কথা বলা কিংবা পুলিশকে কল দেবার মতো অবস্থায় ছিল না। পুলিশ কল পেয়েই সেখানে হাজির হয় কিন্তু কোথাও কোন ধর্ষনের আলামত পায় না শুধুমাত্র মারিয়ার বক্তব্য ছাড়া। মারিয়া জানায় যে ধর্ষক মাস্ক ও গ্লাভস্ পরেছিল পুরোটা সময় এবং ধর্ষন শেষে অস্রের মুখে মারিয়াকে গোসল করতে বাধ্য করে যাতে সব ডিএনএ ধুয়ে মুছে যায়।

এরপর থেকে একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদ চলতে থাকে মারিয়ার। একবার পুলিশের কাছে, একবার গোয়েন্দাদের কাছে, একবার ডাক্তারদের কাছে..। এভাবে দফায় দফায় চলতে থাকে বিভিন্নভাবে জিজ্ঞাসাবাদ। ধর্ষনের পর এমনিতেই মেয়েটি ছিল ট্রমাটাইজড্, তারপর একের পর এক জিজ্ঞাসাবাদে মেয়েটি দিশেহারা হয়ে যায়। প্রথম প্রথম পুরোটা ডিটেইলস বললেও এক সময় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে ও অতোটা ডিটেইলস না বলে সর্টকার্টে ঘটনার বর্ননা দেয়। বিভিন্ন জনের কাছে দেয়া বর্ননায় গোয়েন্দারা ঘটে যাওয়া ঘটনার অমিল খুঁজতে থাকে। এছাড়াও মেয়েটি ছিল খুবই দুখী, পরিবার পরিজনহীনভাবে ফস্টার কেয়ার আর সোস্যাল কাস্টডিতে বড় হয় সে। যার কারনে গোয়েন্দারা তার অতীতের সাথে বর্তমানকে মিলিয়ে তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনাটাকে বিশ্বাস করতে চায় না। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে এমন কিছু আদৈা ঘটেছে কিনা তা নিয়ে তাদের মনে যথেস্ট সন্দেহ দেখা দেয়।

এ ঘটনার পর বিভিন্নভাবে চাপ আসতে থাকে ঘটনার তদন্তে। সবকিছু বিবেচনা করে পুরুষ গোয়েন্দারা বিশ্বাসই করে না যে এমন কিছু গটেছে। এবং তাদের কাজকে সহজ করার জন্য মারিয়াকে চাপ দেয় যেন সে স্বীকার করে যে সে মিথ্যা বলেছে। এবং তাকে ভয় দেখায়, বিভিন্নভাবে হেনস্থা করে ও এ্যাটেনসানসিকার বলে ব্লেইম করে। চারপাশের এত সব চাপ সইতে না পেরে ধর্ষনার ঘটনা মিথ্যা বলেছের বলে সে জানায়। অতপর: পুলিশ তার ফাইলটি ক্লোজ করে দেয়। কিন্তু এরপর মারিয়ার জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠে। মানসিকভাবে যেমন ভেঙ্গে পড়ে তেমনি সামাজিকভাবেও মিথ্যেবাদী হিসেবে হেয় হতে থাকে সবখানে। হারায় তার চাকরী, আত্বীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব একে একে তার সাথে সম্পর্ক শেষ করে। মিথ্যা রিপোর্ট ও হয়রানীরর জন্য তার বিরুদ্ধে উল্টো মামলা করে সে পুরুষ গোয়েন্দা ও পুলিশ। সিটি তাকে ৫০০ ডলার ফাইন করে মিথ্যা রিপোর্ট এর জন্য। এভাবে কেটে যায় তিন বছর।

২০১১ কলোরোডো। মারি নামের বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি মেয়ে ৯১১ এ কল দিয়ে রিপোর্ট করে ধর্ষনের। রাতের বেলা তার ঘরে মাস্ক ও গ্লাভস্ পরা এক আগুন্তুক তাকে রাতভর ধর্ষন করে অস্রের মুখে। এবং আধা ঘন্টার বেশী গোসল করিয়ে সব ডিএনএ নষ্ট করে। এবারের ঘটনায় দায়িত্ব পায় একজন মহিলা গোয়েন্দা ডুভেল নামের। কিন্তু সে কোনভাবেই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট কিছু খুঁজে পায় না। কারন ধর্ষক খুবই ধুরন্ধর, সে পুলিশ বা গোয়েন্দাদের কাজের ব্যাপারে খুব ভালো জানে। যার কারনে কোন ক্লুই সে রাখেনি।

ঠিক এমন কঠিন অবস্থায় ডুভেলের স্বামী যিনি আরেকটি পুলিশ ডিপার্টমেন্টে কাজ করে সে জানায় যে এরকম একটা ঘটনা তার এরিয়াতে বেশ ক'মাস আগে ঘটেছিল। ডুভেল সেখানে ছুটে যেয়ে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দাদের একসাথে কাজ করার অনুরোধ করেন। সকলে রাজি হয় এবং আরো এলাকায় এ ধরনের ঘটনাও খুজঁতে থাকে। আশ্চর্যজনকভাবে একই ধরনের রিপোর্টেড বেশ কিছু কেইস খুজেঁ পায় গোয়েন্দারা বিভিন্ন এলাকায়। যার কোনটার সমাধান নিয়ে তেমন কোন কাজ করেনি কেউ। কারন মেয়েদের এ রিপোর্ট পুরুষ গোয়েন্দারা বিশ্বাস করতে চায়নি বা চাইলেও এ নিয়ে গুড়ুত্ব দেয়নি।

এরপর ঘটনা খুব সংক্ষিপ্ত। ডুভেল ও অন্যান্য গোয়েন্দাদের চেস্টায় ধরা পরে সে সিরিয়াল রেপিস্ট মাইকেল। অন্তত ৩৫টি ধর্ষনের আলামত পায় পুলিশ তার বাসা থেকে কিন্তু এর মাঝে রিপোর্টেড মাত্র কয়েকটি। সেখানেই ম্যারি এডলারের ছবি দেখে গোয়েন্দারা আবারো তার ফাইলটি ওপেন করে। ও এর সাথে সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দাদের ভৎসনা করে। পরবর্তীতে ম্যারি এডলারকে ১৫০,০০০ ডলার ক্ষতিপূরন দেয়া হয় সিটি থেকে।

যাক, যা বলছিলাম। পাঠক নিশ্চয় অবাক হচ্ছেন, হঠাৎ করে কেন নেটফ্লিক্স এর সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত "Unbelievable" ড্রামা সিরিজ নিয়ে কথা বলছি! বলছি কারন দু'দিন আগেই ২০১৭ সালে বনানীর রেইনট্রি হোটেল ঘটে যাওয়া ধর্ষণ মামলার বিচারে মামলার প্রধান আসামী সাফাতসহ সবাই বেকুসর খালাস পায়।

বাচ্চালোক তালিয়া বাজাও। সোনার ছেলেরা মুক্তি পেয়েছে। এবার ওই মেয়েগুলোরে বিচারের আওতায় আনা হোক যারা ওইসব সোনার ছেলেদের নামে আজে বাজে মামলা করে হয়রানী করেছে।

ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন।রায়ের পর্যবেক্ষণে তিনি বলেন, “ঘটনার ৩৮ দিন পর মামলা হল, চিকিৎসক মেডিক্যাল রিপোর্টে ধর্ষণের আলামত পাননি মর্মে মতামত দিলেন, ভুক্তভোগীদের পরিধেয় কাপড়ে কোনো পুরুষের সিমেন্সের কনা পাওয়া যায় নাই…। তারপরও তদন্ত চার্জশিট দাখিল করে আদালতের পাবলিক টাইম নষ্ট করেছেন। “এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ রেইপ কেসের বিচার ব্যাহত হয়েছে। তিনি অন্য কোনো পক্ষ কর্তৃক প্রভাবিত হয়ে এই চার্জশিট দিয়ে মামলাটি বিচারের জন্য পাঠিয়েছেন। আজকের দিনসহ এই মামলায় ৯৪ কার্যদিবস ব্যয় হয়েছে।”

শুধু তাই নয়, মহামান্য বিচারক বলেছেন আক্ষেপ করে বলেছেন,৭২ ঘণ্টার পর মেডিকেল পরীক্ষা করা হলে যে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না, সে কথা তুলে ধরে বিচারক পুলিশকে ওই সময়ের পরে কোনো মামলা না নিতে বলেছেন।

ব্রাভো, ব্রাভো...... এমন বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এর মতো বিচারক দেশের অলিতে গলিতে চাই যাতে আমাদের দিলদার আহমেদের সোনার ছেলে সাফাতরা ঘরে ঘরে ধর্ষনের দূর্গ গড়তে পারে। তারপর তিনদিন ঘরে আটকে রেখে ছেড়ে দিবে এবং মহান পুলিশ বিচারকরে কথা মত কোন মামলা নিবে না।

জাতি সত্যিই ধন্য এমন বিচারক পেয়ে।

এখন আমার প্রশ্ন মাননীয় বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এর কাছে, মাল কি একটু বেশীই পেটে পড়েছে? সে মাল খেয়ে বিবেক বুদ্ধি কি সব লোপ পেয়েছে? আচ্ছা আপনার কি কোন মেয়ে আছে? বা কোন বোন? কিংবা বাসায় কাজের মেয়ে? তারা আপনার কাছে নিরাপদতো?

খবর ও ছবির সূত্র: রেইনট্রি হোটেলে ‘ধর্ষণ’ মামলায় সাফাতসহ সবাই খালাস

(প্রিয় পাঠক, আমার ১৪ বছরের সামহোয়ার ব্লগিং জীবনে এই প্রথম পর পর কোন পোস্ট দিলাম। আসলে মেজাজ ধরে রাখতে পারছিলাম না তাই লিখতে বসলাম। এছাড়া আমার হাতে কোন অস্র নেই। আমি ক্ষমাপ্রার্থী।)

মন্তব্য ৬২ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৬২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:২৮

মরুর পথে বলেছেন: এই সোনার ছেলেদের বিচার না হলে আরো সোনার ছেলে তৈরী হবে আর এগুলা চালাতেই থাকবে, এগুলার কঠোর শাস্তি হউক

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৩৬

সোহানী বলেছেন: তৈরীতো হচ্ছেই। তাইতো মুনিরা মরলো, আরো কত কত মরছে!! কতজনের খবর রাখি। প্রতি ১০টি ধর্ষণের ৯টিরই রিপোর্ট হয় না।

২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:৫৭

চাঁদগাজী বলেছেন:




বিচার বিভাগ যদি এই বিচারক ও তার রায়ের তদন্ত করে, বড় ঘুষের ব্যাপার বেরিয়ে আসবে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫

সোহানী বলেছেন: তাকে রিমান্ডে নেয়া উচিত বলেই আমি মনে করি। ঘুষ সহ সব লেনদেনই বেড়িয়ে আসবে।

৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯

নতুন বলেছেন: রায়ে খালাস হতেই পারে যদি পুলিশ ঠিক মতন প্রমান যোগাড় না করতে পারে।

কিন্তু বিচারকের মন্তব্য শুনে কবি নিরব হয়ে গেছে। আর এখন আরো অবাক লাগলো নারী হয়ে কিভাবে এই মন্তব্য তিনি করতে পারলেন? :|

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৫

সোহানী বলেছেন: এদেরকে নারী না বলে ঘুষখোর বলা বুচিত। ঘুষখোরের কোন জেন্ডার হয় না। তাদের একটাই জেন্ডার।

৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:০৯

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: এসব বলার জন্য আমাদের মুখের ভাষা নেই আপি।
কেবল হজম করে যাওয়াই আমজনতার কাজ

ধন্যবাদ সুন্দর পোস্টের জন্য

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: হজম করতে করতে তো বদহজম হয়ে যাচ্ছে। আর কত!!!

৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১১:৫৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
পরিমনিকে আইন বহির্ভুত ভাবে বার বার রিমান্ড দেয়া বিচারকের মত এই ঘুষখোর বিচারকেরকেও শাস্তির ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।

বেআইনি ও অসাংবিধানিক অবজারভেশন '৭২ ঘণ্টা পর পুলিশ যেন কোনো ধর্ষণ মামলার এজাহার না নেয়', তার এই বক্তব্য সম্পূর্ণ বেআইনি ও অসাংবিধানিক। প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধ কখনো তামাদি হয় না।

এ নিয়ে আজ প্রধান বিচারপতি আপিল বিভাগের ও সিনিয়র বিচারপতিদের এক বৈঠকে ট্রাইব্যুনাল-৭-এর বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারকে আদালতে না বসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

সুত্র - প্রথম আলো

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:০৯

শাহ আজিজ বলেছেন: অপ্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপে চারিদিক অসহনীয় হয়ে উঠেছে । বিচারপতিরা এখন নিয়ম কানুনে ব্যাত্যায় ঘটাচ্ছেন । সংস্কার চাই সর্বক্ষেত্রে সংস্কার চাই ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৬

সোহানী বলেছেন: সংস্কার চাই সর্বক্ষেত্রে সংস্কার চাই ।
সংস্কার চাই সর্বক্ষেত্রে সংস্কার চাই ।

৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৫৪

Abida-আবিদা বলেছেন: প্রতিটা ধর্ষকের কঠিন সাজা হোক। তবে ভিক্টিম যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। সুন্দর ভাবনা, আপু। মানসিক ভাবে শান্তি পান- এই কামনা করি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ আপু।

প্রতিটা ধর্ষকের কঠিন সাজা হোক।

৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:২৬

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: দু'দিন আগেই ২০১৭ সালে বনানীর রেইনট্রি হোটেল ঘটে যাওয়া ধর্ষণ মামলার বিচারে মামলার প্রধান আসামী সাফাতসহ সবাই বেকুসর খালাস পায়।
কিছুদিন পার হয়ে গেলে আমরা এমনিতেই সব কিছু ভুলে যাই, তখন সকল সোনার ছেলেরা (কখনো কখনো মেয়েরা) চরিত্রবানের সার্টিফিকেট নিয়ে বেরিয়ে আসে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: সেটাই.....

৯| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

রাজীব নুর বলেছেন: বোন এত হতাশ হওয়ার কিছু নেই।
মনে রাখবেন, বাংলাদেশ হলো সব সম্ভব্রের দেশ। এই দেশে সব সম্ভব।
আরো মনে রাখবেন, এই দেশে কোনো ভালো মানুষ নেই। কোনো সৎ মানুষ নেই।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:১৯

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই সৎ মানুষ আছে কিন্তু তারা কোনঠাসা হয়ে আছে।

১০| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৫৩

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: যথাযত প্রমাণের অভাবে রেইনট্রি ধর্ষণ মামলার সব দরবেশ বেকসুর (তাদের কোন কসুর হয়নি কারন পর্যবেক্ষণে :P দেকা গেছে যা হয়েছে পারস্পরিক সম্মতিতে হয়েছে বলে বলা হয়েছে ) খালাস পেয়েছে। এটাই হচছে এবং হতে থাকবে আর ধর্ষিতা একবার সশরীরে ধর্ষনের পর বার বার ভার্চুয়ালি ধর্ষিত হতে থাকবে বিচার প্রক্রিয়ার পদে পদে।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: আসলে টায়ার্ড এসব দেখে দেখে।

"ধর্ষিতা একবার সশরীরে ধর্ষনের পর বার বার ভার্চুয়ালি ধর্ষিত হতে থাকবে বিচার প্রক্রিয়ার পদে পদে।".... এভাবেইতো চলছে। তাইতো কোন বিচার হয় না কোথাও।

১১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:২৭

নান্দনিক নন্দিনী বলেছেন: দুঃখজনক...

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ দুঃখজনক

১২| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:২৯

মুক্তা নীল বলেছেন:

চাঁদগাজী বলেছেন , বিচার বিভাগ যদি এই বিচারক ও তার রায়ের তদন্ত করে, বড় ঘুষের ব্যাপার বেরিয়ে আসবে। --- একশত ভাগ সত্যি কথা ।
আপু , দুঃখজনক একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন কিন্তু কিছুই
আর বলার নেই ।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৪

সোহানী বলেছেন: ওকে রিমান্ডে নিলেই ঘুষের পরিমান বেড়িয়ে আসবে।

১৩| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৪

হাসান জাকির ৭১৭১ বলেছেন: নিশ্চয়ই মাল খুবই বেশি পরিমান পড়েছে! সোনা চোরাচালানী বলে কথা!!
তার বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে! এটাই যথেষ্ঠ নয়!
চাঁদগাজী ভাইয়ের সাথে আমিও একমত- ওর ব্যাপারে ভালভাবে তদন্ত করা হলে বড় ধরনের ঘুষ লেনদেনের তথ্য বেড়িয়ে আসবে!!
এরা বিচার বিভাগের জন্য কলঙ্ক!!

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৫

সোহানী বলেছেন: এরা বিচার বিভাগের জন্য কলঙ্ক!! তার বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়া হয়েছে! এটাই যথেষ্ঠ নয়!

তাকে শাস্তির আওতায় আনতেই হবে!!!!!!

১৪| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ বিকাল ৪:০৯

প্রত্যাবর্তন@ বলেছেন: সত্যি হতাশ

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২৮

সোহানী বলেছেন: হাঁ রে ভাই।

১৫| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৪

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশেরা রাজধানী ঢাকার বনানীতে চার বছর আগে দু'জন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের আলোচিত মামলার রায়ে আদালত বৃহস্পতিবার আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচ জন আসামীর সব ক'জনকে খালাস দিয়েছে।

আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলের বিদেশ যেতে বাধা নেই: হাইকোর্ট


অপরাধীদের স্বর্গে এসব সংবাদইতো খুব স্বাভাবিক। ভিন্ন কিছু দেখলেই বরং অবাক হতাম। আল জাজিরায় যে বাংলাদেশকে মাফিয়া রাস্ট্র বলা হয়েছে তা কি আর এমনি এমনি এমনি বলা হয়েছে?

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:৩৬

সোহানী বলেছেন: সোনা চোরাচালানের টাকার সাথে বিচারকের বিচার বুদ্ধি লোপ পেয়েছে।

আমি আপনি সবাই জানি কি হয়েছিল সেখানে। কিভাবে মেয়েগুলো ধর্ষিত হয়েছিল। কিন্তু বিচার এখন হাস্যকর পর্যায়ে চলে গেছে।

১৬| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ৯:২০

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু বুঝতে পারছি আপনি খুব অস্থির হয়ে আছেন। ফেবুতে প্রথম লেখাটি চোখে পড়ে। আমার মনে হয়, হয়তো দেশে থাকলে আপনারও এমন বিষয় সয়ে যেত। আমার কলেজ জীবনে এক শিক্ষক ফ্রান্সে খাঁটি দুধের খোঁজ করে আবিষ্কার করেন ওখানে সবই খাঁটি দুধে জল মেশানো হয় না।একই কথা আপনার ক্ষেত্রে ও প্রযোজ্য। যেখানে থাকেন সেখানকার মানুষের শতভাগ মোরালিটি দেখে প্রত্যাশা বেড়ে গেছে। কিন্তু উপমহাদেশে প্রতি ইঞ্চিতে রাজনীতি। অবক্ষয়তার আগুনে আমরা দগ্ধ। দরকার একটা সুপার সাইক্লোন।
তবে আপু ভাগ্যিস আপনি কলম ধরেছেন।নইলে আপনার অস্রকে অস্ত্র করতেই হতো। হেহেহে...

ভালো থাকবেন সবসময়।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪১

সোহানী বলেছেন: না রে ভাই। দেশের বাইরে থাকলেও কোনভাবেই তুলনা করি না। কিন্তু ধর্ষক এর পক্ষে একজন বিচারক যখন সাফাই গায় তার উপর নারী হয় তাহলে দু:খটা একটু বেশীই হবার কথা।

দেশের বিবেকই যদি পচেঁ গলে যায় তাহলে এ ধর্ষকতো ধর্ষন শেষে সেই জাহাঙ্গীর নগরের মানেকের মতো পার্টি করবে!

এসব বন্ধ করতে হবে। আমরা কোন নির্ভয়া চাই না আর...............

১৭| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:২৬

রাজীব নুর বলেছেন: এই দেশের মানুষ গুলো লোভী।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪২

সোহানী বলেছেন: মাগুর মাছ কখনো দেখেছেন পুকুরে? তাহলে বুঝতেন কিভাবে ছোট মাগুরকে খায় বড়গুলা। হয় খাও নতুবা খাবার হও!!

১৮| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:৫২

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:


ধর্ষনের বিচারে বিচারের বিষয়ে শুধু দর্শক হয়ে থাকলে চলবেনা
সকলকে ধর্ষকের যথাযথ বিচারের বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে ।
বিষয়টি তুলে ধরে প্রতিবাদী কন্ঠস্বরে সামিল হয়েছেন দেখে
ভাল লাগল ।

আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার রায়ের পর্যবেক্ষণে
গভীর হতাশা এবং উদ্বিগ্নতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।
পরিষদের নেতারা দাবি করেছেন, এ ধরনের ঘটনায় একজন বিচারকের
সাময়িক অপসারণ যথেষ্ট নয়। এর পুনরাবৃত্তি রোধে এবং ধর্ষণের ঘটনাসহ
সকল নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনার সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিতে তারা কয়েকটি
দাবি তুলে ধরেছেন।

দাবিগুলো হলো বিচারব্যবস্থায় জেন্ডার সংবেদনশীলতা নিশ্চিত করতে হবে ও
নিরপেক্ষভাবে বিচার করতে হবে, পুরুষতান্ত্রিক মনোভাব দূর করতে হবে,
বিচারব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে,
সাক্ষ্য আইনের পরিবর্তনসহ অন্যান্য আইনের সংশোধন করতে হবে,
বিচারকদের জেন্ডার সংবেদনশীল মনোভাব তৈরি করতে তাদের
প্রশিক্ষণে জেন্ডার ইস্যুকে সংযুক্ত করতে হবে।

শুভেচ্ছা রইল

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: দুক্ষ কি জানেন আলী ভাই, কোথায় ধর্ষনের বিচার চাইবো তা না আমরা এখন বিচারকের বিচার চাচ্ছি। কোথায় আমরা পৈাছেছি বলতে পারেন?

ইউএস এর ঘটনা বলেছি কারন যে ট্রমার মাঝে একটি মেয়ে যায় ধর্ষনের পর তার ব্যাথা বোঝার ক্ষমতা নেই একটি পুরুষের। তাইতো ছেলে গোয়েন্দা মেয়েটিকে হেনেস্থা করে। ঠিক অপরদিকে মেয়ে গোয়েন্দা সে কষ্টটা উপলব্ধি করতে পেরেছে বলেই এতো সিরিয়াসলি কাজ করেছে।

এ জেন্ডার শব্দটা যে বিচারক নিরপেক্ষভাবে বুঝতে পারবে না তার সেখানে বসার অধিকার নেই। কিন্তু কেউ কি একবার ও তা ভেবে দেখেছে?

বিচারকের আসনে যে বসে তাকে তো দুনিয়ার বিচারের ভার দেয়া হয়েছে। সে এতো বড় ক্ষমতা পেয়ে কিভাবে অন্যায় করে........

১৯| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: এভাবেই এগুচ্ছিল, কিন্তু আফসোস একজন মায়ের কলমে এমন রায় এসছে :(

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৪৯

সোহানী বলেছেন: ঘুষখোরদের কোন জেন্ডার নেই রে আপু। ওদের একটাই পরিচয় এরা ঘুষখোর।

২০| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: বিচারপতি কিভাবে এই অবিচার করলো জনগণ কখনো কী জানবে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৯:৫০

সোহানী বলেছেন: জনগণ ভালোই বোঝে। কিন্তু সবার মুখে তালা লাগানো যে............

২১| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:৫৫

প্রামানিক বলেছেন: কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় এখন বোঝাই মুশকিল।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৩

সোহানী বলেছেন: বোঝার চেস্টা করলেইতো যত ঝামেলা বাঁধে........

২২| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ২:২১

স্বামী বিশুদ্ধানন্দ বলেছেন: বিচারকের এই আচরণকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখার সুযোগ নেই। সকল অন্যায়, অসততা ও অবৈধ কার্যকলাপকে সমাজ, ধর্ম ও রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বৈধতা দেয়ার প্রচেষ্টা চলছে। সমাজও এই সকল নৈতিকতাবিহীন জীবনযাপনকে মেনে নিচ্ছে। ঘুষ খাওয়াকে আমাদের দেশের অধিকাংশ জনগণই এখন আর পাপ বলে মনে করে না। এরই দুষ্টচক্রে পড়ে অন্যান্য বিষয়ে মানুষ হয়ে পড়ছে চরম লোভী, অসহিষ্ণু এবং হিংস্র।

বাংলাদেশ এমনই হিপোক্রেট দেশ হয়ে গেছে যে এখানে কেউ অর্জিত পয়সায় মদ্যপান করলে বিশাল অপরাধ হিসাবে ধরা হয় - অথচ জনগণের হক মেরে সম্পদের অধিকারী হলে সেই ব্যক্তি তার স্ত্রীর চোখে মহামানব। সেই স্ত্রীটি কখনই খোঁজ রাখে না যে তার পতিমহাদেব এই এক্সট্রা ইনকামের সাথে সাথে এর উপজাত হিসাবে পরকীয়া, বহুগামিতা সহ অন্যান্য বদঅভ্যাসেরও দাস হয়ে পড়ছেন।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৬

সোহানী বলেছেন: একদম সত্যিকারের চিত্রটা তুলে ধরেছেন।

নিজের পয়সায় মদ কাওয়ার জন্য সে মদ আটক করতে ৬ প্লাটুন পুলিশ যায়। হাজার কোটি টাকার চোরকে পাশে বসিয়ে রুহ আফজা শরবত খাওয়ায়!!

আর সব দেখে দিন দিন মানুষ হয়ে পড়ছে চরম লোভী, অসহিষ্ণু এবং হিংস্র।

২৩| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:০৩

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: কয়েকজন ধর্ষক যদি তাকে তুলে নিয়ে থর্ষণ করে ৭২ ঘন্টা আটকে রেখে পরে ছেড়ে দেয় তখন তার কেমন লাগবে,কার কাছেই বা বিচার চাইতে যাবে,থানা তো মামলা নিবে না তার নিষেধাজ্ঞা অনুসারে।

১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ১০:১৮

সোহানী বলেছেন: প্রশ্নতো সেখানে?

তার কি কোন মেয়ে আছে? খুব জানতে ইচ্ছে করছে!

২৪| ১৫ ই নভেম্বর, ২০২১ সন্ধ্যা ৬:২৭

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:




প্রতি উত্তর ভাল লেগেছে ।
হ্যাঁ এখনতো বিচারপতিদেরই বিচার চলছে
দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি দিয়ে
শুরু হয়েছে। মনে রাখতে হবে কেও
আইনের উর্ধে নয় । সেই বিখ্যাত গানের
কলি মনে পড়ে -
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে ্এ জনতা এই জনতা
.....................।
তোমার সভায় আমীর যারা,
ফাঁসির কাঠে ঝুলবে তারা।।

কথা ও সুর - সলিল চৌধুরী

১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:১৮

সোহানী বলেছেন: মাপ করবেন আলী ভাই। সাবেক বিচারপতির বিচারকে সাধারন বিচার হিসেবে আমি দেখছি না, এটি একটি অসাধারন বিচার!!

২৫| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১২:৪৩

রায়হান চৌঃ বলেছেন: আর কিছু দিন অপেক্ষা করুন দেখবেন এই সোনার ছেলেরা ই ধানের / নৌকা বহর নিয়ে সংসদে, আর পাতাকা লাগিয়ে পুরো বাংলাদেশ চষে বেড়াচ্ছে, নতুন করে ফাঁদ পাতছে......

আর আমরা ?
"হাত তালির সহিত জয় বাংলা / বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে বাহবাহ্‌ দিচ্ছি..... "

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ ভোর ৫:৩৪

সোহানী বলেছেন: অসম্ভব কিছু না। হাত পাকায়ে এক সময় বড় ক্রিমিনাল হবে। আর মাথায় ছায়া হিসেবে থাকবে ধানের গোলা অথবা নৈাকার পাল। যখন যেটা দরকার সেটাই বেছেঁ নিবে।

২৬| ১৬ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:০৬

পুলক ঢালী বলেছেন: বিচারকের পর্যবেক্ষণে মামলা না নিতে বলাটা আইন বহির্ভূত। কিন্তু ডাক্তারি পাঠ্য বা বিজ্ঞান কি বলে?
আমি যতদূর জানি ওয়াশ করলে বা ৭২ ঘণ্টা পর শরীরে আলামত থাকেনা কিন্তু কাপড়ে ডিএনে থাকবে সেটা ধুয়ে ফেললে সব আলামত শেষ হয়ে যাবে।
বিচার কিভাবে চলে!? স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে। ঘটনা স্থলে বিচারক পুলিশ আদালত থাকেনা তাই, কোর্টে দাড়িপাল্লা ধরা মূর্তির চোখ বাঁধা থাকে, মানে আদালত দেখেনা শুধু শোনে।
এখন আলামত স্বাক্ষী না থাকলে অন্ধ কোর্ট কিভাবে বিচার করবে আমি বুঝতে পারিনা।
আমাদের দেশে ঘুষের অ্যাকসেস টপ টু বটম পর্যন্ত, কিন্তু সেটা আলামত স্বাক্ষী থাকলে প্রযোজ্য।

(অঃটঃ মোবাইল ল্যাপটপে পর্ণের ছড়াছড়ি ধর্ষণকে এক্সিলারেট করছে অনেকেই পরিবার গ্রামে রেখে শহরে কাজ করে, সামর্থের অভাবে অনেক যুবক সময়মত বিয়ে করতে পারেনা এগুলো বিবেচনা করে উচ্ছেদ করা পতিতালয় গুলো চালু করা দরকার যেখানে নিয়মিত ডাক্তার নার্সের তত্ত্বাবধান থাকবে)

১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৭:৩১

সোহানী বলেছেন: অনেকগুলো টপিক্স একসাথে আলোচনা করেছেন ঢালী।

হাঁ, ধর্ষনের বিচারে সাক্ষ্য খুঁজতে যাওয়াটা আমার কাছে অমানবিক মনে হয়। ঠিক যেমন পাকিস্তান বা আরবের বর্বর রাস্ট্রের মত। সাক্ষী না থাকলে ধর্ষনের বিচার হবে না। আচ্ছা, ধর্ষক সবাইকে ডেকে ঘোষনা দিয়ে তরপর ধর্ষন করতে যাবে। গুড গুড খুবই ভালো ব্যবস্থা।

আর এ মামলা দিনের আলোর মতই পরিস্কার। একটা বাচ্চাও বুঝবে যে কি হয়েছে সেখানে। তাই একজন বিচারক যখন এরকম বিতর্কিত মামলার রায় দিতে যাবে তখন পাবলিক সেন্টিমেন্ট তো দূরে থাক সাধারন বিষয়ই ভাবে নাই। কিন্তু কেন? উত্তরটা আমি আপনি সবাই জানি কিন্তু বলবো না।

আর মোবাইল ল্যাপটপে পর্ণের ছড়াছড়ি ধর্ষণকে এক্সিলারেট করছে। একদম সত্য। ধর্ম বা আইনের দোহাই দিয়ে এসব আটকানো যায় না। এর জন্য অবশ্যই বিকল্প চিন্তা করতে হবে। সেটা সামাজিক হোক বা রাস্ট্রীয় হোক, এর সমাধান খুব জরুরী।

২৭| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৩

পুলক ঢালী বলেছেন: হাঁ, ধর্ষনের বিচারে সাক্ষ্য খুঁজতে যাওয়াটা আমার কাছে অমানবিক মনে হয়। ঠিক যেমন পাকিস্তান বা আরবের বর্বর রাস্ট্রের মত। সাক্ষী না থাকলে ধর্ষনের বিচার হবে না। আচ্ছা, ধর্ষক সবাইকে ডেকে ঘোষনা দিয়ে তরপর ধর্ষন করতে যাবে। গুড গুড খুবই ভালো ব্যবস্থা।
সোহানী
আপনি ধর্মগ্রন্থের রেফারেন্স টেনে এনেছেন। আমি স্বাক্ষ্য প্রমান বলতে ডাক্তার,পুলিশের স্বাক্ষ্য এবং প্রমান বলতে কাপড়ে সিমেন,ভ্যাজাইনাল সোয়াব রাপচার ইত্যাদি বুঝিয়েছি।
ধর্ষনরত অবস্থায় চাক্ষুষ তিনজন স্বাক্ষীর কথা আমি বলিনি, বরঞ্চ DNA টেষ্টের কথা বলেছি এবং সে ক্ষেত্রে টেষ্টকারীর স্বাক্ষ্যও দরকার হবে।
৭২ ঘন্টা পর এই উপাদান থাকেন, তাহলে উপাদান ও স্বাক্ষ্য আসবে কোথা থেকে আপনিই বলুন?

ঘটনার ৩৮ দিন পর মামলা হলে পুলিশ ডাক্তারের কিছু করার থাকেন, আপনি জাজ হলেও কিছু করতে পারতেন না, কারন আপনার চোখ বেধেঁ কান খুলে রাখা হতো।
রাপচারের জন্য ধর্ষককে দায়ী করা যায়না, কারন সেক্স প্রাকটিসিং থাকতে পার, এ ব্যাপারে এডাল্ট মেয়ের স্বাধীনতা আছে।
ইমোশন নয় যুক্তি দিয়ে ভাবার অনুরোধ রইলো।
ভাল থাকুন।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭

সোহানী বলেছেন: আমি মানছি আপনার কথা, প্রমান ছাড়া বিচার কঠিন। কিন্তু একটি মেয়ে যখন এ দরনের বিচারের জন্য দাঁড়ায় তখন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দাঁড়ায় তা বোঝার মতো মানসিকতা বা অভিজ্ঞতা অনেকের থাকে না।

আমি কানাডায় থাকি বলে নিজের অজান্তেই অনেক কিছুর সাথে তুলনা চলে আসে। ঠিক সেরকম কানাডার বিচার পুরোপুরি সাক্ষ্য নির্ভর হয় না। মানবিকতা, পারিপার্শিকতা, ঘটনার ইমপেক্ট সহ অনেক কিছুই দেখা হয়। যেমন উপরের কাহিনীটি একারনেই বল্লাম। একজন পুরুষ গোয়েন্দা বা পুরুষ এডমিনিস্ট্রশান ঘটনার ভয়াবহতা বুঝতে অক্ষম হয়েছে। ঠিক একই রকমভাবে রানী এলিজাবেথের ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষনের অভিযোগের কোন প্রমান নেই। কিন্তু পুলিশ ঠিকই কেইস নিয়েছে এবং আদালতে বিচার চলছে।

ধর্ষনের পর একটি মেয়ে মানসিক যে ট্রমার মাঝে যায় আমার বিশ্বাস খুব কম পুরুষেই পারে তা বুঝতে। যদি বুঝতো তাহলে দেশের অবস্থা এতোটা ভয়াবহতা হতো না।

ধন্যবাদ, ভালো থাকুন।

২৮| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৫

পুলক ঢালী বলেছেন: উপাদান থাকেনা হবে। :)

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৭

সোহানী বলেছেন: বুঝতে পেরেছি। ধন্যবাদ।

২৯| ১৭ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ২:০৭

রানার ব্লগ বলেছেন: ওই জুয়েলারির ঝার বংস সব লিচু চোর !!! এই রকম কর্মকান্ড তাদের কাছে জলভাত। এদের বিচার করাটাই দুঃসহ বিষয়। কিন্তু বিচারের নামে যে প্রহসন হলো এটার দায় ভার রাষ্ট্রের।

২০ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১১:০৯

সোহানী বলেছেন: অঅরে লিচুচোর নাএরা ডাকাত। আর এ ডাকাতির সহায়তা করে যাচ্ছে যাবতীয় প্রশাসন। তাইতো বিচারের নামে যে প্রহসন হচ্ছে, হবে...................

৩০| ২১ শে নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৪২

পুলক ঢালী বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি মানছি আপনার কথা, প্রমান ছাড়া বিচার কঠিন। কিন্তু একটি মেয়ে যখন এ দরনের বিচারের জন্য দাঁড়ায় তখন পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে দাঁড়ায় তা বোঝার মতো মানসিকতা বা অভিজ্ঞতা অনেকের থাকে না।

ধর্ষনে পর একটি মেয়ে মানসিক যে ট্রমার মাঝে যায় আমার বিশ্বাস খুব কম পুরুষেই পারে তা বুঝতে।


১০০ ভাগ সহমত । এজন্য ধর্ষণের শুনানি ক্যামেরা ট্রায়ালের মাধ্যমে হওয়া উচিত। এছাড়াও ধর্ষককেও প্রমান করা উচিৎ যে সে ধর্ষণ করেনি।

২২ শে নভেম্বর, ২০২১ সকাল ৮:১৫

সোহানী বলেছেন: সহমত! ধর্ষককেও প্রমান করা উচিৎ যে সে ধর্ষণ করেনি। ধর্ষিতাইতো জীবনভর দৈাড়ালো আর সবাই মজা দেখলো।.......

৩১| ১২ ই মে, ২০২২ ভোর ৫:৪৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এমনিতেই দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর দেশবাসীর আস্থা বড়ই নড়বড়ে, তার উপর এমন একটি রায়ের পর মানুষ বিচারক এবং বিচারালয়ের উপর, সর্বোপরি রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থার উপর আস্থা রাখবে কী করে, জানি না।
সমসাময়িক জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে লেখার জন্য ধন্যবাদ। পোস্টে নবম প্লাস। + +

১২ ই মে, ২০২২ সকাল ৯:২০

সোহানী বলেছেন: দেশের বিচার ব্যবস্থার উপর আদৈা কি আস্থা অবশিষ্ট আছে? সন্দেহ!! টাকা যার আইন কানুন সব তার।

আর তার উপর যদি হয় ধর্ষনের মামলা। তাহলেতো এর ঠিকানা হবে পক্ষের টাকা আর পেশী শক্তির উপর.........।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.