নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
খবরটি যখন চলছিল তখন আমি ড্রাইভ করছিলাম। হঠাৎ করে যেন আমার পৃথিবী দুলে উঠলো। কি ভয়ংকর ঘটনা, কি ভীষন কষ্টের খবর।আমি বিধ্বস্ত, ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না কি বলা উচিত! এতো দিন স্কুলে গান স্যুট হয়েছে দেখেছি কিন্তু এরকম এ্যালিমেন্টারী স্কুলে স্যুটিং আর দেখিনি। দু'দিন ধরে কোন খবরে স্ক্রল করি না, টিভি খুলি না, পেপার পড়ি না। কোনভাবেই আমি নিতে পারছি না এ খবর।
সবাই আঙ্গুল তুলছে অস্র বিক্রির দিকে কিন্তু আসল সত্য কথা কাউকে বলতে শুনিনি। হাঁ, অস্রের সহজলভ্যতা এরকম ঘটনার জন্য অবশ্যই বড় একটি কারন। কিন্তু প্রশ্ন? অস্র হাতে থাকলেই কি ঝাঁপিয়ে পড়বে? মেজাজ খারাপ হলেই নির্বিচারে মানুষ মেরে ফেলবে? ছোট ছোট শিশুগুলোর উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে? কেন হচ্ছে এমন ঘটনা বার বার? কেন এমন ১৭-১৮ বছরের টগবগে যুবক নির্বিচারে রক্তের হলি খেলছে?
উত্তরটা আমি নিজেই খোঁজার চেস্টা করেছি। হয়তো কেউ মানবেন কেউ মানবেন না। কিন্তু যে যাই বলুক সময় থাকতে আমাদেরকে যে এর সমাধান বের করতেই হবে!!
আমার মতে প্রধান কারন, পরিবারহীনতা। এখানকার সমাজ, কালচার, পরিবার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি বুঝেছি এখানকার শিশুদের বড় একটা অংশ নিরাপত্তাহীনতা, ভালোবাসাহীন জীবন, ট্রমাটিক শৈশব কাটায়। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ যেমন একটা কমন বিষয় তেমনি নতুন সংসার গড়াটাও তাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর সবচেয়ে বড় ভিক্টিম হলো শিশুরা। কারন এরা একদিন হঠাৎ করে দেখে তার চেনা পৃথিবী সম্পূর্ণ অচেনা। কেউ হয়তো বাবার কাছে কেউবা মায়ের কাছে থাকে। কিন্তু নতুন পরিবেশে দেখা যায় সে অবহেলার স্বীকার হচ্ছে প্রতি পদে পদে। যে আদরে হয়তো বেড়ে উঠেছিল এতোদিন তা থেকে ছিটকে পড়েছে সে। কেউ মেনে নেয় আবার কেউ পারে না। কিন্তু তাদের ছোট্ট সে মনের ক্ষোভের মেঘ বাড়তে থাকে দিনের পর দিন।
দ্বিতীয় কারনটিও আমি বাবা-মার দিকেই আঙ্গুল তুলবো। জীবনের ব্যাস্ততা এখানে চরম পর্যায়ে। দু'পাশে বাবা-মা দু'জনেই ব্যাস্ত থাকে বাস্তবতায়। ছোট্ট শিশুটিকে নিজের সময় দেবার পরিবর্তে তার হাতে তুলে দেয় মোবাইল বা ট্যাব। আমি এমন কোন শিশু এখানে পাইনি যার হাতে কোন গ্যাজেট দেখিনি। পাশাপাশি বাবা-মা নিজেরাও ব্যাস্ত থাকে স্যোসাল মিডিয়ায়। সেলফি লাইক কমেন্টেস এর নেশায় আর কিছুর দিকে তাকানোর সময় নেই তাদের। এভাবে ধীরে ধীরে শিশুটি চারপাশের ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় গেমের মাঝে। সত্যিকারের ভালোবাসাই ঠিকভাবে বোঝে না। বাবা-মায়ের ভালোবাসা ট্রান্সফার হয় নতুন নতুন গ্যাজটে, খেলনা বা গেইমের মাঝে।
তৃতীয় কারনটি নিয়ে আমি বরাবরেই সোচ্চার। আর তা হলো গেইমের নেশা। শিশুদেরকে ব্যাস্ত রাখতে যে গেইমের পথ বাবা-মা দেখিয়ে দেয় তা থেকে সহজে ফিরতে পারে না তারা। নেশা নেশা নেশা........ গোলাগুলি, রক্তারক্তি, খুনোখুনি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে যায় তাদের কাছে। মানবিকতা, ভালোবাসা, আদর-স্নেহ..... সব কিছুই ম্লান হয়ে যায় ধীরে ধীরে। সবাইকে শত্রু মনে করে, সব কিছুর সমাধান মৃত্যু মাঝেই আছে তা ভেবে নেয়, তাই সবাইকে মারার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। আর গেইমগুলোও এমনভাবে তৈরী তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
আমেরিকা কানাডার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মারাত্বক সোচ্চার। তারপরও কেন কোন সমাধান হচ্ছে না? অবশ্যই কিছু না কিছু হচ্ছে। যার কারনে হয়তো অনেক ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পা্চ্ছি। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সোচ্চারের পাশাপাশি দরকার শিশুদেরকে একটা সুন্দর শৈশব দেয়া, পরিবার দেয়া, নিরাপত্তা দেয়া, স্নেহ-ভালোবাসা দেয়া। সেটা কি খুব কঠিন? মোটেও কঠিন নয় কিন্তু।
ছবি: স্কাই নিউজ
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০৬
সোহানী বলেছেন: ঠিক এমন ভাবনা আমাকেও পেয়ে বসে। আমারো ঠিক একই বয়সী সন্তান আছে। একজন মায়ের কষ্টটা আমাকে মারাত্বক প্রভাবিত করে।
ওই যে বল্লাম, পারিবারিক মূল্যবোধ, বন্ধন, শিক্ষা, মানবিকতার অভাব। ভালোবাসাহীন জীবন মানুষকে অসুন্থ করে তোলে।
২| ২৮ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:২৫
রানার ব্লগ বলেছেন: একটি সুস্থ্য পরিবার পারে একজন শিশুকে মানবিক গুন সম্পন্ন করে গড়ে তুলতে কিন্তু এন্টারটেইনমেন্ট জগত উঠেপরে লেগেছে পরিবার বিচ্ছিন্নতার দিকে। এরা রাত দিন পারিবারিক দ্বন্দের কুতসিত কলহর যে দৃশ্য দেখায় তাতে যৌথ পরিবার বা বড় পরিবার নিয়ে মানুষের মনে সংশয় তৈরী হচ্ছে।
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:০৮
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। দেশী বিদেশী সিরিজগুলো দেখলে আতংকিত হতে হয়। শুধু দ্বন্ধ দ্বন্ধ আর দ্বন্ধ। কোথাও ভালো কিছু দেখায় না। যৈাথ পরিবার এর বিরুদ্ধে যেন যুদ্ধ ঘোষনা করেছে ভারতীয় সিরিজগুলো। আর তাকে ফলো করছে আমাদের সমাজ।
৩| ২৮ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:৪২
শায়মা বলেছেন: আমিও ভয়ে এই ছবিগুলোর দিকে তাকাই না।
আমি এই বাচ্চাদের মুখে দেখতে পাই যেন আমার জানা শোনা দেখা ও ভালোবাসায় ভরা বাচ্চাদের মুখগুলিই। মনে হয় যেন ওদেরকে অনেক বছর ধরেই চিনি আমি। সব সময় হাসিখুশি এবং একটু দুঃখে কান্না করা বাচ্চাগুলোকে দেখি আমি। ভয়ার্ত চেহারা খুব একটা দেখিনা আমি আমাদের ছোট্ট বাচ্চাদের ক্লাসগুলোতে। তারা জানে না ভয় বা তাদেরকে কেউ এসে অতর্কিতে হামলা তো দূরের কথা একটা চড় থাপ্পড়ও মারতে পারে। আর সেদিন হঠাৎ অতর্কিতে তাদের জীবনটাই চলে গেলো। কি অসহায় কি অনিশ্চিত কি অবাস্তব এক দৃশ্য। চিন্তাই করা যায় না।
আমারও মনে হয় সামাজিক পারিবারিক যে অবস্থাই হোক না কেনো অস্ত্র সহজলোভ্য হলে তা বানরের হাতে লাঠি দেবার মতই বোকামী হয় আর সেটাই হচ্ছে ঐ দেশগুলোতে।
পারিবারিক বন্ধন ভালোবাসা এবং অসহায়ত্ব মানুষকে কিভাবে প্রভাবিত করে আমার তা জানা আছে। এই শৈশব কৈশোর বা তারুন্য বা বার্ধক্যের মানসিক দুঃখ কষ্ট ভালোবাসা ও নিরাপত্তাহীনতা এবং হতাশা কতখানি হতে পারে তা হয়ত কি যাতনা বিষে বুঝিবে সে কিসে কভু আশীবিষে দংশেনি যারে কবির এই লাইনটাই। তার মাঝেও ব্যাতিক্রম আছে আর তাই কেউ কেউ সেসব জয় করে ফেলে। তাই আগের দিনে এতিম অনাথ বাচ্চাদেরকেও আমরা মহাজ্ঞানী গুনীজন হতে দেখেছি।
কিন্তু এই মহা আধুনিক যুগে মানুষগুলো আসলেই সায়েন্স ফিকশন গল্পের রোবোটদের মতন মায়াদয়াহীন হৃদয়হীন কঠোর ও কলুষ হয়ে পড়ছে। ছুটে চলা জীবনে যেমনই নিজের পরিবার পরিজনদের জন্য নেই সময় তেমনই পারিপার্শ্বিকতা ও যুগের পরিবরর্তনও গ্রাস করে নিচ্ছে সকল মানবিকতাকেও।
স্বার্থপর ও নিজের ভালো দেখতে গিয়ে পৃথিবীতে যাদের আনা হলো তাদের জন্য কোনো দায়বদ্ধতা নেই মা বাবাদের। সন্তানেদের হতাশা দুঃখ কষ্ট সুপ্ত বেদনার কোনোই মূল্য নেই আর তাই এই মানুষগুলো হতাশার ভার সইতে না পেরে উন্মাদ হয়ে উঠছে। তীব্র স্যাডিজমের শিকার হয়ে কারো হাসিমুখে বাঁচতে দেখাই সহ্য করতে পারছে না।
অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ন্ত্রন
মা বাবার বোঝাপড়া ও সন্তানের ভবিষ্যতের চিন্তার প্রায়োরিটি ( বিশেষ করে মেন্টাল হেল্থ)
পারিবারিক ও সামাজিকভাবে মোরাল শিক্ষার প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া।
এবং
অবশ্য অবশ্য গেইমস এডিকশন থেকে বাচ্চাদেরকে বাঁচাতে হবে। সবাই খেলছে কাজেই সমস্যা কি এটা নিয়ে বসে থাকলে চলবে না। সারাদিনের সময়ের সুষ্ঠ বন্টন শেখানো উচিৎ বাচ্চাদেরকে যা আজ প্রায় অসম্ভব এই বর্তমান পৃথিবীতে।
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩০
সোহানী বলেছেন: আমি জানি তুমি বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করো। তোমার মনের সে ঝড় আমি বুঝতে পারি। পশ্চিমা দেশে শিশুদেরকে লালন পালন করে রাস্ট্রীয়ভাবে। কথাটা শুনতে খুব খারাপ লাগলেও এটাই সত্য। পারিবারিক বন্ধন শক্ত না বলেই সরকার এ গ্যাপটা পূরণ করার চেস্টা করে। কিন্তু এটা কি আদৈা সম্ভব?
আর সে কারনেই আমার ভয়, আমরা পশ্চিমার খারাপদিকগুলো ফলো করি, ভালো দিকগুলো নয়। তার প্রতিফলন দেখছি চারপাশে।
আর যে বল্লা, জয় করে ফেলে। তার জন্য ও কেউ না কেউ ছিল, যাদের মায়া বলে কিছু ছিল। আর এখন, কোথাও কিছু নেই যেন। সেকারনেই রোবট তৈরী হচ্ছে বাচ্চারা।
আর গেইম এডিকশান নিয়ে কি ভয়াবহ ঘটনা ঘটে গেছে চারপাশে। তারপরও কেউ সাবধান হয় না। কেউই না।
৪| ২৮ শে মে, ২০২২ দুপুর ১:১২
রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর ব্লগে আপনার লেখা চোখে পড়লো।
আমি খুব নরম মনের মানুষ। এসব আমি সহ্য করতে পারি না।
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩২
সোহানী বলেছেন: ফালতু সব কাজে বিজি হয়ে গেছি। কোনভাবেই সময় বের করতে পারি না। এ সামারের পর সব বাদ দিয়ে আবার লিখালিখি শুরু করবো।
আমরা আসলে সবাই নরম মনের মানুষ। তাইতো আমাদের এতো সমস্যা।
৫| ২৮ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:০২
শূন্য সারমর্ম বলেছেন:
সমাধানের পথ খুজছে সরকার?
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩২
সোহানী বলেছেন: এরা মাথা মোটা জাতি। সমাধান যা দিবে সেটা আরো সমস্যার সৃষ্টি করবে।
৬| ২৮ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: মর্মান্তিক দুঃখজনক খবর। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার যে এমন ঘটনা আমেরিকায় প্রায়ই ঘটছে।।আপনার সম্ভাব্য কারণগুলোকে উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তবে আপু কারণ যাই হোক সরকারকেও কারণ খুঁজে বার করে এসব বন্ধ করার ব্যবস্থা করতেই হবে যাতে আগামী দিনে এমন কারও মুখ যেন খবরে না আসে।
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩৫
সোহানী বলেছেন: খুব কঠিন! বরং চারপাশ আরো হিংস্র হয়ে উঠছে। কারন নিয়ে চিন্তা করে না বা যা চিন্তা করে তা দিয়ে সমাধান সম্ভব হচ্ছে না বলেই একটার পর একটা ঘটনা ঘটছে।
৭| ২৮ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫৮
বিটপি বলেছেন: এ আর নতুন কি? এরকম ঘটনা কত ঘটে! এগুলা এখন ডাল ভাত।
ফিলিস্তিনি বা সিরিয়ান নিষ্পাপ শিশুদের করুণ মুখাবয়ব যাদের অন্তরে করুণার সৃষ্টি করেনা, তাদের আত্মবিনাশ দেখলে আমার কোন মায়া হয়না।
কুরুক্ষেত্রে শত পুত্র হারানো মা গান্ধারী বাসুদেব বা শ্রীকৃষ্ণকে তার যাদব বংশের শিশুদের গণহারে অনাথ হবার অভিশাপ দিয়েছিল।
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩৬
সোহানী বলেছেন: একটা অপরাধ আরেকটা অপরাধকে জাস্টিফাই করে না। সবগুলোই অপরাধ। এর সমাধান দরকার, এটাই বড় কথা। কিন্তু কেউই ভাবে বলেতো মনে হয় না!!
৮| ২৮ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:০৯
ভার্চুয়াল তাসনিম বলেছেন: কেমন আছেন সোহানী?
২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৯:৩৭
সোহানী বলেছেন: আমি ভালো আছি। আপনি কেমন আছেন?
০১ লা জুন, ২০২২ সকাল ৮:৩৯
সোহানী বলেছেন: আপনার পোস্টে কি আমার মন্তব্য ব্যান করেছেন? ঠাকুর সাহেবের পর এ নিয়ে দেখি দ্বিতীয় কেউ আমাকে ব্যান করলো।
যাহোক ভালো থাকুন।
৯| ২৮ শে মে, ২০২২ বিকাল ৫:৫৪
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: সারা বিশ্বেই পরিবার প্রথা হুমকির মুখে। এটাকে যে কোন মূল্যে উন্নত করতে হবে।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৩৪
সোহানী বলেছেন: কিন্তু কে করবে বা এ নিয়ে কে ভাববে?? কেউ নেই।
এক ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করার জন্য কত কিছু হলো সেটাও সম্ভব হয়নি। আর বাকি কিছু কে চিন্তা করবে।
১০| ২৮ শে মে, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৫
ভুয়া মফিজ বলেছেন: পারিবারিক মুল্যবোধ, ভিডিও গেমের কু-প্রভাব, সামাজিক অবক্ষয়........এসবের স্বল্পমেয়াদে পরিবর্তন সম্ভব না। আর বর্তমান জামানায় দীর্ঘমেয়াদেই বা কতোটা সম্ভব, সেটা তর্কসাপেক্ষ। তবে, আমেরিকার যেটা এক্ষুনি করা উচিত সেটা হলো, অস্ত্র আইনের আশু পরিবর্তন। যে আইন একটা ১৮ বছরের সদ্য প্রাপ্তবয়স্কের হাতে অটোম্যাটিক রাইফেল তুলে দিতে পারে, সেটা আর যাই হোক, কোন সভ্য দেশের আইন হতে পারে না। রাজনীতিবিদদের সদিচ্ছা থাকলে এই আইন যে কোনও সময়ে পরিবর্তন করা যায়। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একটা ঘটনাতেই সেটা করে দেখিয়েছে। আর আমেরিকান অসভ্যগুলো সেটা হাজারো ঘটনার পরেও করতে পারে না। এখানেই সদিচ্ছার প্রশ্ন চলে আসে।
যতোই দুনিয়ার মানুষ চেচামেচি করুক না কেন, আইন না বদলালে এই ধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। সামনে আরো দেখবো আমরা।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৫০
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। শুধু স্বল্পমেয়াদেই নয়, আদৈা পরিবর্তন সম্ভব কিনা সেটাই মিলিয়ন ডলার প্রশ্ন।
সবাই ছুটছে, শুধুই ছুটছে। থামতে জানে না যেন। এতো সময় কোথায় বাবা-মায়ের!
আর অস্র বিক্রি বন্ধ কেন এখনো করছে না? বিলিয়ন ডলার ব্যবসা? ওয়েল.... ইউক্রেন, আফ্রিকা, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়াতে বিক্রি করে কি এখনো লাভ হচ্ছে না? দেশের মাঝেই ব্যবসা করতে হবে??
আর ১৮ বছরের একটা তরুন এর কতটুকু ম্যাচিউরিটি আছে যে তার হাতে অস্র তুলে দিতে হবে?
নীচে হাসান কালবৈশাখী চমৎকার কিছু উদাহরন তুলে ধরেছেন। সামান্য একটা বাসা ভাড়া নেতে হলে হাজারটা কাগজ, গ্যারেন্টার লাগে। ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ৩টা স্টিপ পার হতে হয়। আর অস্র চাইলেই কিনতে পারে। কি অদ্ভুত এদের আইন!!!!!
১১| ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ৮:২৩
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
মানবিক ভাবনার পোস্ট।
আপনার ভাবনাগুলো যথার্থ এবং ঠিক কিন্তু সেসব যে বাস্তবায়ন করবো এমন সময় যে আমাদের হাতে নেই! জীবনযুদ্ধে আমরা আছি দৌঁড়ের উপরে!
স্বল্প সময়ে এমন পৈশাচিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার একটাই পথ - আইন পরিবর্তন।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৫৫
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। কঠোর আইন ছাড়া স্বল্প সময়ে এমন পৈশাচিকতা থেকে মুক্ত হওয়ার আর কোন উপায় নেই। কিন্তু মাথামোটা ব্যবসায়ী/রাজনীতি বা ক্ষমতা ধান্ধা ওয়ালারা এখনো তা বোঝে না। অদ্ভুত একটা অবস্থা।
জীবনযুদ্ধে সবাই আমরা দৌঁড়ের উপরে আছি ঠিকই। কিন্তু এর মাঝেই যে একটু একটু করে আমাদের মানসিকতা পরিবর্তন দরকার। নতুবা যে আমরা দিন দিন দয়া মায়াহীন রোবট হয়ে যাবো।
১২| ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ১০:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ আমার মন্তব্যের উত্তর দেওয়ার জন্য।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৫৬
সোহানী বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ আমাদের জন্য আপনার সময় বরাদ্ধ করার জন্য।
১৩| ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ১১:১৪
শেরজা তপন বলেছেন: আঠারো বছরের আকটা ছেলের কাছে মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি- এমন বর্বর আইনের দেশে এমনটা ঘটতেই থাকবে বলে ধারনা।
আহা কতগুলো বাবা-মায়ের বুক খালি হোল!!!! কচি বাচ্চাদের মুখগুলো চোখের সামনে ভাসছে সব সময়
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৭:৫৮
সোহানী বলেছেন: সেটাই কথা। ওরা শুধু বুঝে কিভাবে অন্য দেশকে বাঁশ দিবে। তাই সাধারন বিবেক বিবেচনাবোধ হারিয়ে ফেলেছে।
আহ্ কি কষ্ট সে বাবা-মাদের।
১৪| ২৮ শে মে, ২০২২ রাত ১১:৪৯
ঢুকিচেপা বলেছেন: যে কারণগুলি উত্থাপন করেছেন তা সবগুলোই যুক্তিযুক্ত।
ভিডিও গেমের আসক্তি কেমন তা আমি নিজেও জানি এবং প্রতিদিনই দেখি, বাচ্চা থেকে শুরু করে ৫০+ মানুষও গেম খেলে।
এদিক থেকে আমাদের এখানকার স্কুলগুলো খুবই নিরাপদ, নো শুটিং।
প্রথম আলোতে পড়লাম বুদ্ধি করে বেঁচে যাওয়া এক বাচ্চার গল্প।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:০১
সোহানী বলেছেন: আমাদের হয়তো স্যুটিং নেই কিন্তু ধর্ষন, ইভটিজিং, বুলিং কোনটারেই কমতি নেই। একবারে মারে না কিন্তু তিলে তিলে ধ্বংস করে।
আর ভিডিও গেমের আসক্তির ভয়াবহতা নিয়ে কেউই কথা বলে না। কারন, সেখানেও বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা।
১৫| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ২:১৫
কালো যাদুকর বলেছেন: ২০১৪ সালে সান্ড্রা হুকের পরে ভাবিনি এরেকটি একই রকম ম্যাসাকার দেখতে হবে। এর থেকে কি এই সমাজের বের হয়ে আসার উপায় নেই?
আপনি যে কারন গুলো বলেছেন, ওগোলোর লং ট্রাম সামাধান সম্ভব। আমার মতে ইমিডিয়েট সমাধান হল গান কন্ট্রোল। ২০০৪ সালে বুশ গান কন্ট্রোলের চুক্তিটি এক্সপায়ার হতে দিয়েছিল। না দিলে, এরকম লাগামহীন ভাবে ম্যাসাকার চলত না।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:০৫
সোহানী বলেছেন: বুশের ছিল তেল আর অস্রের ব্যবসা। কাজেই তার কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
এরকম ম্যাসাকার আরো কত দেখতে হবে জানি না। অস্র বিক্রি বন্ধ না হলে আলো আরো হয়তো দেকতে হবে। কিন্তু এরকম শিশুদের উপর আক্রমন সহ্য করা যায় না।
১৬| ২৯ শে মে, ২০২২ ভোর ৫:১২
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন: আঠারো বছরের নিচে কেউ এদেশে সিগারেট কিনতে পারে না।
২১ বছর বয়সের আগে কেউ বিয়ার বা এলকহল কিনতে পারেনা।
১৬ বছরে ড্রাইভিং অনুমতি দেয়া হলেও বয়স ২৪ বছর নাহলে ও ড্রাইভিং লাইসেন্স কমপক্ষে ২ বছর পুরাতন না হলে কাউকে গাড়ী ভাড়া দেয়া হয় না।
কিন্তু ১৮ বছর বয়স হলে সাথে আইডি কার্ড / ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকলে যে কেউ এক বা একাধিক অস্ত্র কিনতে পারে।
এটাকে ২৪ বছর ও ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের মাধ্যমে অস্ত্র বিক্রি করার আইন করলেই হয়।
যেখানে চাকুরি দরখাস্ত করতে, কার ইনসুরেন্স করতে, ঘর ভাড়া পেতে ব্যাকগ্রাউন্ড চেকের মাধ্যমে যেতে হয়।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:১১
সোহানী বলেছেন: চমৎকারভাবে আমেরিকান লাইসেন্সিং এর পুরো বিষয়টি তুলে ধরেছেন।
অদ্ভুত একটা অবস্থা। এরকম মারানস্ত্র একটা বোধহীন শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছে । যেন এটা কোন খেলনা। এ সামান্য ভাবনাটুকু এদের নেই।
কানাডায় কিন্তু অস্র বিক্রির বিরুদ্ধে সোচ্চার ট্রুডো। অনেক কন্ট্রোলে নিয়ে এসেছে এখন।
১৭| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:০৫
সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি ও বহনে কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:১২
সোহানী বলেছেন: সহমত। কিন্তু এতোদিনেও তা করেনি।
১৮| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:০৮
সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আপনার বিশ্লেষণের সাথে একমত। আমেরিকার মতো উন্নত দেশে এমন নির্মম নৃশংসতা মেনে নেয়া যায় না। খবরটা শুনে যে-কেউ চমকে উঠবে নিঃসন্দেহে।
'সন্ত্রাসী'দের পরিচয় জানা গেছে? ওরা তো আবার 'সন্ত্রাসী'র ডেফিনিশনে পড়ে না, ওরা বন্দুকধারী।
ব্যক্তিগত অস্ত্র বিক্রির নিয়মগুলো কঠোর করা উচিত। আমেরিকানদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা কি খুবই হুমকির মুখে? নইলে অস্ত্র বিক্রি এত অবাধে হয় কীভাবে?
পোস্টে প্লাস রইল আপু।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৮:৪১
সোহানী বলেছেন: যতই ব্যক্তিগত নিরাপত্তা হুমকির মুখে থাকুক না কেন তাই বলে অস্র হাতে তুলে দিবে?? এটা তো যুদ্ধের ময়দান নয়। তারউপর এখানে পুলিশ ব্যবস্থা যথেস্ট ভালো। অল্প কিছু ঝামেলা ছাড়া পুলিশের তেমন বদনাম নেই।
তারপরও কেন অস্র হাতে তুলে দিচ্ছে কোন কারন ছাড়া। তাহলে এটাকে প্রথম শ্রেনীর বেকুব বলতে বাধ্য। আর যার খেসারত দিচ্ছে এ বাচ্চাগুলো। আহ্ কি সুন্দর সুন্দর মুখগুলো। বুকটা ফেটে যায়।
১৯| ২৯ শে মে, ২০২২ সকাল ১০:০৬
শাহ আজিজ বলেছেন: এই ঘটনার শুরুতেই ব্রেকিং নিউজে স্কুলে গুলির কথা শুনছিলাম । এরকম অনেক ঘটনাই আমেরিকাতে ঘটেছে আর আমিও তরুন বয়েস থেকেই তা শুনছি , টি ভি তে দেখছি , বা পত্রিকায় দেখছি শিশু এবং শিক্ষকরা মাথা গুজে কিভাবে আত্মরক্ষা করছে । এ যাবত কোন সরকার গান কন্ট্রোল আইন পাশ করেনি বা করতে চাননি বলে আমার বিশ্বাস । শুধু গান কন্ট্রোল করে হবে না তাদের পারিবারিক মুল্যবোধে এশিয়ান সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে । মা বাবাকে ভালোবাসা এবং কেয়ার আর শেয়ারের মূল্যবোধ জাগিয়ে তুলতে হবে । গার্জেনরা আরও একধাপ এগিয়ে সন্তানকে বুকে টেনে বলবেন তোমায় ভালোবাসি হে প্রিয় সন্তান ।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:০৭
সোহানী বলেছেন: ঠিক সেটাই যে দরকার। কিন্তু এ সত্যটা যে ওরা কিছুতেই বোঝে না। বড্ড আত্মকেন্দ্রিক তারা। নিজের আনন্দটাই মূখ্য, নিজের জীবনটাই প্রধান, নিজের ভালোলাগাটাই প্রথম।
এভাবে এরকম পরিবেশে থাকতে থাকতে কোন কোন শিশু বিদ্রোহ করে উঠে হয়তো। তারই ফলাফল এ রকম ঘটনা।
জানি না আর কত কিছু ঘটলে এরা থামবে।
২০| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১০:৩৪
চাঙ্কু বলেছেন: বাচ্ছাগুলোর ছবির দিকে আমি তাকাতে পারি নাই - মন ভেঙ্গে যায়। পরিবারহীনতা হয়তো একটা কারন তবে গান ল স্ট্রিক না করলে আর এনআরএ এর মত সংগঠন থাকলে, এই গান ভায়োলেন্সের শেষ অন্তত আমি দেখি না।
৩০ শে মে, ২০২২ সকাল ৯:০৮
সোহানী বলেছেন: আসলেই তাই। কিন্তু কেউ যে এ নিয়ে কঠিন সোচ্চার নয়।
২১| ২৯ শে মে, ২০২২ রাত ১১:০৪
রোবোট বলেছেন: আপনার সাথে পুরো একমত নই।
১। অস্ত্র থাকলেই খুন করতে হবে? সেটা আপনার লেখায় এসেছে। ইসরাইল, সুইজারল্যান্ডে তো এমন হয়না। এমনকি সোমালিয়ার মত নৈরাজ্যের দেশেও সেটা হয়না।
২। ভিডিও গেইমতো সারা দুনিয়াতেই। আর কোথাওতো এমন হয়না।
৩। পশ্চিমের অনেক দেশেইতো পরিবারহীনতা প্রকট। আর কোথাওতো এমন হয়না।
৪। তাহলে কি আমেরিকার লোকেরা সব খারাপ। তাও মানতে পারিনা।
৫। ব্যক্তিকেন্দ্রিকতা? হয়তো। তাও আসলে হিসাব মেলেনা।
৬। উপরের সব গুলোই? হয়তো।
- প্রায় পুরো দেশই নিজের চিন্তার বাইরে আর কিছু শুনতে চায় না। কখনই হয়ত জানা যাবে না কেন এমন হয়। কি জানি হয়ত জানতে চাইও না আমরা।
০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৫:৫৭
সোহানী বলেছেন: সমস্যাটাকে খুব সরলীকরন করা সম্ভব নয়। এটি একটি বা দু'টি কারন নয়, অসংখ্য কারনের সমষ্টি হলো আজকের অস্থিরতা।
ইসরাইল, সুইজারল্যান্ড কিংবা সোমালিয়ায় অস্র হয়তো ফ্রি কিন্তু পারিবারিক হতাশা অথবা পারিবারিক বন্ধন অনেক ভালো। তাই সমস্যাটা আমরেকিার মতো মাথা চাড়া দেয়নি।
আসল উত্তর যাই হোক বিষয়টিকে থামাতে হবে। এবং তা এখনই।
অন্যের পিছনে লাগতে যেয়ে আমেরিকা অনেক মূল্য দিচ্ছে। সেটা যতদিন না উপলব্ধি করতে পারবে ততদিন নিজস্ব সমস্যা থেকে কি বের হতে পারবে?
২২| ০২ রা জুন, ২০২২ রাত ২:৪৪
গরল বলেছেন: উপরে রোবটের বক্তব্যে যুক্তি আছে, যেহেতু শুধু আমেরিকাতেই এটা হচ্ছে তার মানে হচ্ছে তাদের রাষ্ট্র পরিচলনাতেই বা স্কুল পরিচালনায় কোন সমস্য আছে। আমার মনে হয় আমেরকার স্কুলগুলোতে বুলিং এর দৌরাত্ব অনেক বেশি যেটার কারণেই সব আক্রমণের ঘটনা কিন্তু স্কুলেই ঘটে থাকে। স্কুলে বুলিং নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না কারণ সেখানে বাচ্চাদের শাসনে কিছু আইংত বাধা আছে এবং বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের নামে অতিরিক্ত স্বাধিনতা দেওয়া আছে আইনে। এমনকি অভিভাবকরাই শসন করতে পারে না সেই একই আইনের কারণে।
০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:০৩
সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক।
রাষ্ট্র পরিচলনা,স্কুল পরিচালনা, পরিবার পরিচালনা সব কিছুতেই সমস্যা। কিন্তু সামাজিক সমস্যার দিকে না তাকিয়ে তারা আছে অন্য দেশের সমস্যার দিকে তাকিয়ে। সমাধান হবে কিভাবে?
তারপরও স্কুল বুলিং, প্রাইভেসী নামক বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি, শাসন না থাকা, অতিরিক্ত ব্যাক্তি স্বাধীনতা ও অন্যতম কারন। তবে সব কিছু হয়তো সমাধান করা যেত যদি একটি সুন্দর পরিবার থাকতো। সেটাও না থাকার কারনে সম্যা আরো প্রকট হয়েছে।
২৩| ০২ রা জুন, ২০২২ সকাল ১০:৪২
খায়রুল আহসান বলেছেন: সমস্যাটি সমাধানের লক্ষ্যৃ কয়েকটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তব কারণ আপনি উন্মোচন করেছেন চমৎকারভাবে। নিরঙ্কুশ ভালবাসা শিশুদের চেয়ে আর কে বেশি বোঝে, এবং এর অভাবে ওদের চেয়ে আর কে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়? কেউ না। শিশুরাই পিতামাতার ভালবাসাহীন, ব্যস্ত জীবনের সবচেয়ে নির্মম শিকার। তাই আপনি যে কারণগুলোর কথা উল্লেখ করেছেন, তার জন্য ওদের বয়স বাড়ার সাথে সাথে মানসিকভাবে প্রতিহিংসাপরায়ন হয়ে ওঠা একটা স্বাভাবিক পরিণাম।
৩ নং মন্তব্যে শায়মা'র মন্তব্যটি অত্যন্ত বাস্তবসম্মত এবং প্রণিধানযোগ্য। হাসান কালবৈশাখী, শাহ আজিজ এবং গরল এর মন্তব্যগুলোও ভালো লেগেছে।
০৭ ই জুন, ২০২২ ভোর ৬:১২
সোহানী বলেছেন: আসলে কি জানেন, আমাদের উপমহাদেশের মতো পরিবার দরকার সবখানে। বাবার বেতের বাড়ি, মায়ের বকুনি, শিক্ষকের কানমলা যে একটি শিশুকে সঠিক মানুষ হতে সাহায্য করে। ওরা তখন আদর বোঝে, শাসন বোঝে, রাগ নিয়ন্ত্রন করতে শেখে।
আর এখানে, "প্রাইভেসী" নামক বিষয় নিয়ে এতো বেশী বাড়াবাড়ি করে যে দেখলে মাথা খারাপ হয়ে যায়। মা সন্তানকে শাসন করতে পারবো না, কোন প্রশ্ন করতে পারবো না, আর চড় থাপ্পড়তো অনেক দূরের কথা। তাহলে সে সন্তান উচ্ছেন্নে যাবে না তো কোথায় যাবে!!!!
আর তার উপর যদি হাতে একে রাইফেল তুলে দেয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা!!!!
২৪| ১৭ ই আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০৯
খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কোথায় হারিয়ে গেলেন?
২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:০৬
সোহানী বলেছেন: হারিয়ে যাইনি খায়রুল ভাই। মারাত্ব বিজি আছি কিছু এলোমেলো কাজ নিয়ে। লিখতে বসাই হচ্ছে না। একটু হাতের ঝামলো শেষ করে আবার আসবো।
স্বরণ করার জন্য অশেস কৃতজ্ঞতা। আপনি কেমন আছেন? কোথায় এখন?
২৫| ২৮ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৯:১৩
খায়রুল আহসান বলেছেন: যাক, ব্যস্ত থাকা ভালো। আরও ব্যস্ত থাকুন, তবে মাঝে মাঝে এসে একটু জানান দিয়ে যাবেন।
আলহামদুলিল্লাহ, আমি ভালো আছি। এখন দেশেই আছি। প্রায় এক মাস আগে ঢাকা ফিরে এসেছি।
৩০ শে আগস্ট, ২০২২ সকাল ৭:৪৪
সোহানী বলেছেন: আপনার নতুন পুঁচকাটা কেমন আছে?
আসলে সামার মানে ঘোরাঘুরি আর সাথে ছবি তোলা। যার কারনে ফেসবুকেই পোস্টের সংখ্যা বাড়তে থাকে, লিখার সংখ্যা নয়। কানাডায় কবে আসবেন?
©somewhere in net ltd.
১| ২৮ শে মে, ২০২২ সকাল ১১:১৩
নতুন বলেছেন: ডানা এখন ক্লাস ২ তে, ডানার কথা ভেবে ঐ বাবা মায়ের কি অবস্থা সেটা কল্পনা করতে তেও ভয় হয়।
কিন্তু আমেরাকাতে অস্র নিয়ে স্কুলে ছাত্রদের গুলি করতে যায় কেন? এটা কোন ধরনের মানুষিক অসুস্থতা?