নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন আহমেদ ছফা ও আমার ভাবনা

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৫২




আহমেদ ছফার লিখা যে আগে পড়িনি তা নয় কিন্তু তরুন বয়সে অপরিপক্ক ভাবনায় সে লিখা উপলব্ধি করার মতো যথেষ্ট জ্ঞান ছিল না। যাহোক, আমার অসম্ভব পছন্দের তারেক মাসুদ আর ক্যাথরিনকে নিয়ে পড়তে যেয়ে আহমেদ ছফার কিছু মন্তব্য দেখে তাঁর লিখা পড়তে আবারো আগ্রহী হলাম। তাই একে একে পড়ে ফেললাম ওঙ্কার, হারানো লেখা, যদ্যপি আমার গুরু, গাভী বৃত্তান্ত, বুদ্ধি বৃত্তির নতুন বিন্যাস, বাঙ্গালী মুসলমানের মন ও অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী।

একজন ছফাকে বিশ্লেষন করার মতো যথেস্ট জ্ঞান আমার নেই। শুধুমাত্র পাঠক হিসেবে নিজের ভাবনাটুকু শেয়ার করতে পারি। যদি পলিটিকেল লিখার বিশ্লেষন করি তাহলে বলবো, সমসাময়িক যেকোন পলিটিকেল ঘটনা নিজের আঙ্গিকে বিশ্লেষন করেছেন তিনি। এখন যদি বলি উনার আঙ্গিকটা কি? তাহলে উত্তরে বলবো, যখন উনার মন যেদিকে ধাবিত হতো। তবে যদি আরো গভীরে যাই তাহলে বলবো, প্রায় সব লিখায়ই উনার ব্যাক্তিগত বায়াসের উর্ধ্বে ছিল না। নিজস্ব চিন্তাধারায় উনি যেকোন কিছুর ব্যাখ্যা দিতেন। এর বাইরে যে কোন চিন্তা বা ব্যাখ্যা থাকতে পারে তা নিয়ে তেমন বিশ্লেষন করেননি।

আহমেদ ছফার পুরো জীবনেই কেটেছে বলতে গেলে অভাব অনটনে। তার প্রভাব দেখা যায় প্রায় প্রতিটি লিখায়। সারা জীবন লিখালিখি করে, সবার উপকার করে, আড্ডা, আন্দোলন করে কাটিয়েছেন। বৈষয়িক ছিলেন না বলে অর্থ সম্পদ তাঁর কাছে ধরা দেয়নি। উনি এটাকে অহংকার হিসেবে হয়তো নিতেন। নিজের পেটের ভাতের খোঁজ না করে অন্যের পাতের ভাত জোগাড় করতে যেয়ে উনি পদে পদে ভোগান্তির স্বীকার হয়েছেন। তবে যাদের জন্য করেছেন তা তিনি কোন না কোনভাবে উল্লেখ করেছেন উনার লিখায়।

আহমেদ ছফার ব্যাক্তি জীবনের প্রেম নিয়ে লিখা অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী পড়ে আমি সবচেয়ে বেশী কষ্ট পেয়েছি। দু'জন নারী, শামীম শিকদার ও সুরাইয়া খানমের মতো প্রতিভাবাময় দু'জন নারীর প্রেমে ব্যার্থ হয়ে উনাদের বিরুদ্ধে সে অপমানের প্রতিশোধ নিয়েছেন এ বইটিতে। এ উপন্যাসের প্রতি পদে পদে হেনেস্থা করে ছেড়েছেন এ দু'জন নারীকে। তাদের ব্যাক্তিজীবনের কষ্টকর মূহুর্তগুলো জনসম্মুখে এনেছেন অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষায়। এমন কি শামীম শিকদার এর ব্রেস্টে হাত দিয়ে তার সাইজও জানিয়েছেন এ বইটিতে। সবচেয়ে অপমান করেছেন সুরাইয়া খানমকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ইংরেজী শিক্ষককে উনি যেভাবে চিত্রায়ন করেছেন তা দু:খজনক। সুরাইয়া খানম আমেরিকায় চলে গেছেন বলে উনি অভিযোগ করেছেন, যারা আমেরিকা যায় তারা শুধু সেখানে হোটলে বেয়ারা বা ড্রাইভার আর মেয়েরা ডেকেয়ারে কাজ করে, এর বাইরে নয়।

একজন শামীম শিকদার কে চিনে না এমন কেউ নেই্। একজন ভাস্কর্য্য শিল্পী হিসেবে অত্যন্ত সমাদৃত। আর অপর দিকে সুরাইয়া খানম শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকই ছিলেন না একজন কবিও ছিলেন, নাট্যশিল্পী ছিলেন এবং অসম্ভব আধুনিক মনের মানুষ ছিলেন। ১৯৭৪ থেকে ১৯৮১ সাল পর্যন্ত ঢাবিতে শিক্ষকতা করে ফুলব্রাইট স্কলারশিপ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব অ্যরিজোনাতে পিএইচডি ডিগ্রি নেন সুরাইয়া। পিএইচডি শেষ করে অ্যরিজোনার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন। এমন দু'জন স্কলারের চরিত্র হনন আমার কোনভাবেই ভালো লাগেনি।

অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী পড়ার পরই আমি সুরাইয়াকে নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠি। তার একমাত্র কবিতার বইটি ডাউনলোড করি। কি অদ্ভুত সে লিখা, সে ভাবনা, সে প্রতিবাদী স্বর..........। সেখান থেকে একটি কবিতা শেয়ার করলাম,

আত্মলীনা কবিতায়—

সত্যের গোপন ঘ্রাণ রাখো বক্ষে
রাখো ঐ আত্মার অনল উষ্ণ
তেজস্বী মনন-মনস্বীতা,
নিজের দহনে এত দুঃখিত হয়ো না।

লিখাটা লিখলাম কারন ক'দিন ধরে আহমেদ ছফা মাথায় ঘুরছে। তাই লিখে মাথা থেকে ঝেঁড়ে ফেললাম।

মন্তব্য ৫৪ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৫৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ওনার জীবনের একটা দিক শুধু উঠে এসেছে আপনার লেখায়। উনি ওনার প্রেমিকাদের নাম কি বইয়ে উল্লেখ করেছেন?

ওনার নামের বানানটা আপনি যেভাবে লিখেছেন তা নিয়ে ওনার ঘোর আপত্তি ছিল।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৩

সোহানী বলেছেন: বানানটা ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

হাঁ, সামান্যই আমি লিখেছি। এতোটা গভীরভাবে লিখিনি। মূলত অর্ধেক নারী.... বইটি পড়েই লিখতে বসলাম।

২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:১০

জুল ভার্ন বলেছেন: খুব ছোট করে আহমেদ ছফা সম্পর্কে লিখেছেন। আহমেদ ছফা সব বই আমার সংগ্রহে আছে এবং পড়া। যার জন্য ব্যক্তি এবং লেখক আহমেদ ছফা আমার চিন্তা চেতনায় বিরাট প্রভাব ফেলে। বাঙালি বুদ্ধিজীবীদের প্রতি আহমদ ছফার অনাস্থার ঐতিহাসিক কারণ রয়েছে- যার খেশারত তাকে দিতে হয়েছে। তারপরও উনি কেন এত আলোচিত হয়েছেন, তার অন্যতম কারন উনার সততা, সাহস, আপোষহীন মনোভাব, ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার সদিচ্ছা।

১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৬

সোহানী বলেছেন: অবশ্যই, সততা, সাহস, আপোষহীন মনোভাব, ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার সদিচ্ছার কারনেই তিনি সমসাময়িক সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যাক্তি ছিলেন। অবশ্যই লেখক হিসেবে অসাধারন। কিন্তু ওই যে আমার সমস্যা, প্রথমেই নারী বিদ্বেষী বই পড়ে বাকিগুলো পড়েছি বলে সমালোচনাটা আগে করছি।

তবে উনার ভাবনা চিন্তায় বামধারার প্রভাব স্পস্ট।

৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩০

মোহাম্মদ গোফরান বলেছেন: চমৎকার লিখেছেন আপু। ফেবুতে পড়েছি। এখানে মন্তব্য করলাম। ফেবুর চেয়ে আমার ব্লগে মন্তব্য করতে ভালো লাগে। + ♥️

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৪৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ গোফরান।

ব্লগ আমার সবসময়ই প্রিয়। কিন্তু ব্লগে লিখা দিলে অনেক সময় ধরে লগইন থাকতে হয়। এবং মোবাইল থেকে রেসপন্স করা যায় না। যা আমার জন্য পীড়াদায়ক। কারন আমি খুব দ্রুত রিপ্লাই দিতে ভালোবাসি।

৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩১

কামাল৮০ বলেছেন: লেখাটা নিরপেক্ষ মনে হলো না।অনেকেই আহমেদ সফা বলতে অজ্ঞান।এই ব্লগেই একজন ছিলেন,তিনি নিজেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়র শিক্ষক বলে দাবী করতেন, তার কিছু প্রসংশা মূলক লেখা ছিল সফা সম্পর্কে।আপনি নারী বলে নারীর পক্ষ নিয়ে লিখেছেন।সফার লেখা খুব একটা পড়া হয় নাই,তাই তার সম্পর্কে কিছু বলতে পারছিনা।তার সম্পর্কে জানার আগ্রহ কখনো হয় নাই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৫:৫১

সোহানী বলেছেন: আমি স্বীকার করছি। আমি নারী বলে বরাবরেই সে দৃষ্টিভঙ্গীতে দেখি। কারন আমি যেভাবে একজন নারীর দু:খ কষ্ট বুঝতে পারবো সেরকম ভাবে একজন পুরুষ কখনই বুঝতে পারবে না। এ পর্যন্ত এ বইটি নিয়ে প্রশংসা ছাড়া কোন নিন্দা পড়িনি। আমিই মনে হয় একমাত্র যে এর বাইরে লিখেছে। আমি সত্যিই দু:খ পেয়েছে এরকম চরিত্র হননে।

৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:৩২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বানান আংশিক ঠিক করার জন্য ধন্যবাদ। নামের বানান পুরোটা এখনও ঠিক হয়নি।

মানুষ মাত্রেই কিছু খারাপ দিক থাকে। ওনারও হয়তো কিছু খারাপ দিক ছিল। তারপরও আমার কাছে উনি বাংলাদেশের একজন মহান দার্শনিক, কবি, লেখক। ওনার মত সৎ, সাহসী এবং নির্লোভ বুদ্ধিজীবী এই দেশে বিরল। আমি ওনাকে পছন্দ করি। সব মানুষেরই কিছু খারাপ দিক থাকতে পারে।

উপরে জুল ভার্ন ভাইয়ের লেখার সাথে একমত। আপনিও হয়তো অনেক কিছু ঠিক বলছেন। তবে ওনার ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে তেমন কিছু আসলে জানি না। ওনার সামাজিক, রাজনৈতিক লেখাগুলি পড়েছি।

'যদ্যপি আমার গুরু' একটা গুরুত্বপূর্ণ দলিল বাংলাদেশের ইতিহাসের জন্য।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০০

সোহানী বলেছেন: প্রথমেই ধন্যবাদ বানানের ভুলটা ধরিয়ে দেবার জন্য। আমার সমস্যা হলো একটা লিখা লিখি খুব কম সময়ে, আরো দশটা কাজের মাঝে। যার কারনে সিরিয়াসলি দেখা হয় না লিখা শেষে।

আমি অবশ্যই স্বীকার করি, গুণের মতো কবি যদি বিক্রি হয় তাহলে উনার বিক্রি হওয়া কোন ব্যাপারই ছিল না। কিন্তু উনি তা হননি। সেদিক থেকে উনি অসাধারন। তবে ঠিক বিপরীতে আমি উনাকে ঠিক বুদ্ধিমান ও বলবো না। নিজের বুদ্ধিবৃত্তি উনি অনেকটা অপাত্রে দান করেছেন। আর সাহসীও ছিলেন না। পরিবারের পিছুটান উনাকে অনেকটা দূর্বল করেছেন বলেই মনে করি।

উনার ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে খুব কম লিখাই পেয়েছি সত্য। যেহেতু উনি ফিচার লিখতেন তাই উনার প্রতিটি লিখায় ব্যাক্তিজীবন উঠে এসেছে। এবং যখন পরপর লিখাগুলো পড়বেন তখন পুরো ছফা খুব সহজেই বুঝতে পারবেন।

'যদ্যপি আমার গুরু' বইটি অনেকটা দিনলিপি। প্রফেসর রাজ্জাক স্যারকে নিয়ে আরো গভীর লিখা আশা করতেই পারি.....।

৬| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৪১

জুল ভার্ন বলেছেন: @সাচু, ওনার নামের আংশিক আমিও অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছি। সঠিক বানান- আহমদ ছফা, আমি লিখেছি আহমেদ ছফা। আসল বিষয় হলো- আহমদ লিখতে টাইপ করলেই আহমেদ চলে আসে- যা আর চেক করে সঠিক করে লেখা হয়নি! ভবিষ্যয়তে সতর্ক থাকবো।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০২

সোহানী বলেছেন: আমিও ভুল লিখেছি। তবে এটা ব্লগ বলে এতো শুদ্ধতা নিয়ে চিন্তা করিনি।

৭| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫০

রানার ব্লগ বলেছেন: লেখক যখন হিংস্র হয়ে যায় তখন তার লেখনীর ধার এতোটাই সুক্ষ থাকে যে তা কোন কিছুরই ধার ধারে না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৪

সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক। সেটাই বলতে চেয়েছি। প্ররো বইটি জুড়ে ইচ্ছাকৃত অপমান অপদস্থতা। যে ঘটনা এড়িয়ে যেতে পারতেন সেটাকে আরো বাড়িয়ে লিখেছেন।

৮| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১১:৫৬

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ জুল ভার্ন ভাই- পোস্টের লেখক এবং আপনি উভয়েই আসলে অনিচ্ছাকৃত ভুল করেছেন। ভুল মানুষের হতেই পারে। এটা কোন ব্যাপার না।

আহমদ ছফা তার লেখাতে লিখেছেন যে অনেকে তার নাম 'ছফা' না লিখে 'সফা' লেখে। উনি মজা করে বলেছেন যে তার পিতামাতা এই নামের জন্য আকিকা করেছেন গরু বা ছাগল দিয়ে। তাই এই নাম উনি পরিবর্তন করতে চান না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৬

সোহানী বলেছেন: আমি বইটা যখনই পড়েছিলাম তখনই নোট লিখেছিলাম আমার ডায়েরীতে। কাল লিখতে বসে আর এতোদিকে খেয়াল করিনি। আপনি বলার পর নোট চেক করে দেখি বানান সেখানে ঠিকই লিখেছিলাম।

৯| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুর ১২:৩৭

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন: আহমেদ ছফা পড়া শুরু করবো করবো করে করা হয়ে উঠেনি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৭

সোহানী বলেছেন: পড়ে ফেলুন। আগে পুরোনো লিখা পড়বেন। তাহলে সঠিক ছফাকে পাবেন। শেষের দিকে বোঝায় যাচ্ছিল বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত ছিলেন বলে লিখায় তা ফুটে উঠেছে।

১০| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৩:৩৫

rocky104 বলেছেন: বলেছেন: ওনার জীবনের একটা দিক শুধু উঠে এসেছে আপনার লেখায়। উনি ওনার প্রেমিকাদের নাম কি বইয়ে উল্লেখ করেছেন?

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৮

সোহানী বলেছেন: উনার আত্মজীবনী হিসেবে এটা স্বীকৃত।

১১| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ বিকাল ৪:১২

অপ্‌সরা বলেছেন: প্রেমে ব্যর্থ হলে ওমন অনেকেই খেপে যায়। হাজার হোক উনিও তো একজন মানুষই ছিলেন।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:০৯

সোহানী বলেছেন: কথাতো সেটা। কেউই তার রাগ দু:খের উর্ধ্বে নয়। আর এরকম চরিত্র হনন সবসময়ই দেখি।

১২| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৫৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




"আহমদ ছফা"র রাজনৈতিক প্রবন্ধ ছাড়া আর কোন লেখা পড়া হয়নি। এ আমার কমজোরী!
আপনার এই লেখা পড়ে তার এই বইখানি ডাউনলোড করেছি। পড়তেও শুরু করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।

যেহেতু আহমদ ছফার বাম রাজনীতির সাথে তার সম্পর্কের বাইরে তার নিজের সম্পর্কে কিছু জানা নেই এবং জানা নেই তার গল্প-উপন্যাসও, তাই আপনার এই লেখা নিয়ে মন্তব্য করার ধৃষ্টতা দেখালুম না।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১০

সোহানী বলেছেন: বইটি পড়ে অবশ্যই রিভিউ দিবেন। আমি আপনার মন্তব্য শুনতে আগ্রহী।

আমি বায়াসড্ স্বীকার করছি। কিন্তু একজন অনুভূতিশীল লেখক হিসেবে আপনার মন্তব্য জানতে চাই।

১৩| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ৮:৪৬

শেরজা তপন বলেছেন: যদ্যপি আমার গুরু' ছাড়া আর কোন বই পড়া হয়নি!

এ বই পড়ার আগ্রহ নেই আমার। কেন নেই সেটা আপনি যা বললেন সে কারনেই।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১১

সোহানী বলেছেন: না না অবশ্যই পড়বেন। একজন ছফাকে বুঝতে হলে এ বইটা খুব জরুরী। পরিটিকেল বইতে উনাকে সহজে বুঝতে পারবেন না।

১৪| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:০৬

মনিরা সুলতানা বলেছেন: আহমদ ছফা সামাজিক রাজনৈতিক দর্শনের বই গুলো তো বহুল পাঠ্য এবং বিশাল একটা ফ্যান গ্রুপ আছে। কবি আবুল হাসান আমার প্রিয় কবি। কবি রিলেটেড সবকিছু খুঁজতে গিয়ে আমি আহমদ ছফা, নির্মলেন্দু গুন, শামিম শিকদার সুরাইয়া খানম সবাই কে কিছুকিছু পেয়েছি।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:১৭

সোহানী বলেছেন: আহমদ ছফার বিশাল একটা ফ্যান গ্রুপ আছে। ব্যাক্তি জীবনে যে কোন কিছুতে ঝাঁপিয়ে পড়তেন। এরকম উপকারী মনোভাবের কারনে একটা বিশাল ফ্যান গ্রুপ তৈরী হয়েছিল।

তসলিমা, রুদ্র, তারেক মাসুদ, ক্যাথরিনা, আবুল হাসান সহ অনেকেই উনার বাসায় যেয়ে আড্ডা দিতেন। মোটামুটি বামধারার মনোভাব ছিলেন বলে একটা বিশাল প্রভাব ছিল এদের সবার উপর। তুমি যাদের নাম লিখেছো একটু মিলিয়ে দেখলে বুঝবে সবার অর্ন্তমিল।

তবে সব ছাড়িয়ে আমার কাছে সুরাইয়া খানমকে অসাধারন লেগেছে।

১৫| ১৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১০:১৪

সাসুম বলেছেন: অপ্‌সরা বলেছেন: প্রেমে ব্যর্থ হলে ওমন অনেকেই খেপে যায়। হাজার হোক উনিও তো একজন মানুষই ছিলেন। এটাই সবচেয়ে লজিকাল এক্সপ্লেনেশান।

রুদ্র যখন সব হারিয়ে তাস্লিমার প্রতি তীব্র ঘৃণা থেকে লিখে-

তুমি বরং কুকুর পোষো,
প্রভুভক্ত খুনসুটিতে কাটবে তোমার নিবিড় সময়,
তোর জন্য বিড়ালই ঠিক,
বরং তুমি বিড়ালই পোষো
খাঁটি জিনিস চিনতে তোমার ভুল হয়ে যায়
খুঁজে এবার পেয়েছ ঠিক দিক ঠিকানা
লক্ষী সোনা, এখন তুমি বিড়াল এবং কুকুর পোষো
শুকরগুলো তোমার সাথে খাপ খেয়ে যায়,
কাদা ঘাটায় দক্ষতা বেশ সমান সমান।


তখন আমরা রুদ্র কে দোষ দিতে পারিনা।

একই ভাবে ছফা আজীবন হারিয়েই গেছেন, কখনো পান নি কিছু, তাই ব্যাক্তি জীবনের না পাওয়া কে মলাটে তুলে এনেছেন আর সকল ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রেমিকাদের নামে।

ছফাও মানুষ, ছফার ও ভুল হতে পারে।

বরং ছফা আমাদের কাছে পলিটিকাল কারেক্টনেস এর এক্সাম্পল! এই কারনে ছফা জরুরি, তার দুই একটা পারসোনাল রিভেঞ্জ স্টোরি জরুরি না।


সুন্দর লিখা সোহানী আপু। কইশ্যা প্লাস

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৪

সোহানী বলেছেন: "একই ভাবে ছফা আজীবন হারিয়েই গেছেন, কখনো পান নি কিছু, তাই ব্যাক্তি জীবনের না পাওয়া কে মলাটে তুলে এনেছেন আর সকল ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রেমিকাদের নামে।"...........

এখানেই আমার আপত্তি সাসুম। একজন লেখক সব কিছুর উর্ধ্বে। উনি কেন প্রতিশোধ পরায়ন হবে????

"বরং ছফা আমাদের কাছে পলিটিকাল কারেক্টনেস এর এক্সাম্পল! এই কারনে ছফা জরুরি, তার দুই একটা পারসোনাল রিভেঞ্জ স্টোরি জরুরি না।"....

এখানেও আমার আপত্তি সাসুম। যে পারসোনাল রিভেঞ্জ এর চিন্তা করে তার কাছ থেকে কিভাবে নিরপেক্ষ লিখা আশা করবা? উপন্যাসটিতে উনি আরো সুন্দর কথায় রিভেঞ্জ নিতে পারতেন। এরকম নোংরাভাবে আক্রমন না করলেও পারতেন যা সত্যিই দৃষ্টিকটু। অন্তত আমার কাছে। আমি অনেককেই পছন্দ করি না, তাই বলে তার গভীর ক্ষত পাবলিকলি বলতে যাবো না। রিভেঞ্জ নেয়ার আরো অনেক তড়িকা আছে.................

১৬| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩২

স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: আহমদ ছফা : তার জীবনযাত্রা এবং লেখার দৃষ্টিভঙ্গী এক নাও হতে পারে
তিনি বেচেঁ থাকলে উত্তর হয়তো পাওয়া যেত ।

............................................................................................
তবে উনার বিশ্বাসে যে ১০টি উক্তি আমরা পাই তার একটি নিম্নরুপ :
"সম্যক পরিচয়ের অভাবই
মানুষে মানুষে
হিংসা বিদ্ধেষের মূল কারন "

................................................................................................
সোহানীপু: আপনি লেখক হয়েও নিরপেক্ষ নন, নারীর প্রতি টান অফুরন্ত।


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:২৭

সোহানী বলেছেন: "সোহানীপু: আপনি লেখক হয়েও নিরপেক্ষ নন, নারীর প্রতি টান অফুরন্ত।"

একদম ঠিক। আমি সবসময়ই তা স্বীকার করি। আমার লিখার বিষয়বস্তু সবসময়ই নারী। কারন তোমরা শুধু তোমাদেরটা বুঝো। আমাদেরটা নয়। একজন হুমায়ুন আহমেদ যদি সত্যিই গুলতেকিনকে বুঝতো তাহলে তাকে এভাবে অপমান করতে পারতো না কখনই।

একজন হুমায়ুন আহমেদ যখন এতো স্পর্শকাতর হয়েও নিজের সহধর্মীনিকে বুঝেনি সেখান বাকিদের কথা না বলাই ভালো.....।

১৭| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৩৩

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আহমেদ ছফার অনেকগুলো বই আমার সংগ্রহে আছে। পড়তে শুরু করে আর এগোতে পারি নি। আবার পড়া শুরু করবো।

অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী উপন্যাসের ব্যাপারটা তো তাহলে খুবই দুঃখজনক।

আপনার এ পোস্টে আহমদ ছফার ভালো গুণ বা ভালো ব্যক্তি-বৈশিষ্ট্য খুব অল্পই পেলাম - অন্যের উপকার করার টেন্ডেন্সি, নিজে অনাহারে থাকা। তবে, এটা আবার কোনো না কোনোভাবে উল্লেখ করাটা আবার ঠিক মানায় না।

চমৎকার ছোট্ট পোস্ট।

শুভেচ্ছা আপু।

১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩১

সোহানী বলেছেন: যদি সত্যি বলি সোনাবীজ ভাই, আমি এ পোস্টটি আহমদ ছফার ভালো গুণ বা ভালো ব্যক্তি-বৈশিষ্ট্য নয় তার খারাপ গুন নিয়েই লিখেছি। যদি সত্যি বলতে চাই, তাহলে আমি উনাকে জীবদ্দোশায় একজন ব্যার্থ মানুষের তালিকায় রাখবো। উনার জীবনের সফলতা খুব কমই এসেছে। যা কিছু এসেছে প্রফেসার রাজ্জাক স্যারের বদৈালতে।

বইটি পড়ে ফেলুন সোনাবীজ ভাই। রিভিউ চাই।

১৮| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ২:৫০

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: আগে নিজে কমেন্ট করে পড়ে কমেন্টগুলো পড়লাম। আমি তো আহমদ ছফাই জানি, কিন্তু আমার কমেন্টে আহমেদ ছফা হলো কীভাবে? :)

আচ্ছা, আমার কাছে লেখাটা বায়াস্‌ড মনে হয় নি, দুজন সাবেকা প্রেমিকাকে আহমদ ছফা কীভাবে উপস্থাপন করেছেন উপন্যাসে, আপনি সেটা লিখেছেন, এটা উদ্‌ঘাটিত তথ্যাবলির অংশ, বা ফ্যাক্টস, সাথে কিছু কমেন্ট।

কিছুদিন আগে জুল ভার্ন ভাই এক পোস্ট দিয়েছিলেন সুরাইয়া খানম বা তার বোনকে (সাহিত্যিক) নিয়ে, যিনি কিছুদিন আগে মারা গেছেন। তখন জানা হলো যে কবি আবুল হাসানও তার প্রেমার্থী ছিলেন। সুরাইয়া খানম ছিলেন অনিন্দ্য সুন্দরী।

এই ফাঁকে একটু আক্ষেপ করে যাই। কীসের কবি লেখক হইলাম বুঝতে পারলাম না। আমাদের ক্লাসে ছিল এমন এক সুন্দরী, যার মতো সুন্দরী আমি আজও দেখি নাই। সবাই পাগল, আমি ছাড়া :) আমি খুব বাস্তববাদী তো! ঝানতাম, বামন হইয়া চাঁদের দিকে হাত বাড়ানো ঠিক নাহ। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে, অ্যাটেম্পট নেয়া দরকার ছিল। প্রেমে ছ্যাঁকা খাইয়াই কেবল বড়ো কবি হওয়া যায়।


১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ ভোর ৬:৩৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা........ "প্রেমে ছ্যাঁকা খাইয়াই কেবল বড়ো কবি হওয়া যায়।"

এতো দিনে বুঝলেন কবি লেখক ভাই!! আজ যদি আহমদ ছফা ছ্যাকা না খাইতো তাহলে কোনদিনই এমন লিখা লিখতো না। নজরুল এতো সুন্দর দু:খী প্রেমের লিখা লিখতো না।

আর আমি ও ছ্যাকার অভাবে বড় লেখিকা হইতে পারলাম না :(( :(( :(( :(( :(( :((


১৯| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ৯:৩১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: উনার বই মনে হয় একমাত্র আমিই পড়িনি :(

ভালো লাগলো আপু

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৩

সোহানী বলেছেন: পড়ে ফেলো ছবি। রাজনৈতিক বইগুলো খারাপ লাগবে না। সমসাময়িক ঘটনার উপর ভিত্তি করে।

২০| ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২২ সকাল ১০:২৯

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আহমেদ ছফার মূল্যায় হয়নি দেশে তখনও এখনও।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৪

সোহানী বলেছেন: হয়নি কারন উনি উনাকে বিক্রি করতে পারনেনি। যারা দামী লেখক তারা ব্যবসাটা ভালোই বুঝে। আর যদি বুঝতে না পারো তাহলে কোন মূল্য নেই।

২১| ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা ৭:৩৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি নিশ্চয়ই খুব ফাস্ট রীডার! আমার তো এতগুলো বই পড়ে ফেলতে বছর পার হয়ে যেত।
একটু পরে আবারো আসছি।

৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২২ রাত ১১:৪৮

সোহানী বলেছেন: না লাগবে না কারন বইগুলো খুব ছোট। প্রায়গুলোই এক'শ নীচে পাতা। শুধু অর্ধেক নারী বইটি ১৪৬ পাতা। সময় লাগবে না শুরু করলে। আর রাজনৈতিক বইগুলো আসলে বিভিন্ন পত্রিকায় লিখা উনার ফিচার সমসাময়িক ঘটনার উপর। সেটাও সময় লাগবে না।

শুরু করেন। তবে আমার সাজেশান অর্ধেক নারী বইটা সবার শেষে পড়বেন। আমি আগে পড়ে ভুলটা করেছি। তাই অনেকটা বায়াসড্ ছিলাম বলতে গেলে।

অনেক ভালো থাকুন।

২২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২২ সকাল ১০:৪৮

খায়রুল আহসান বলেছেন: উপরে বলেছিলাম, "একটু পরে আবারো আসছি"। এই বলে এশার নামাজ পড়ার জন্য মাসজিদ পানে ছুটেছিলাম। ফিরে আসার পর নাতনিকে সঙ্গ দিতে হয়, সে সময়টা তার অধিকারে চলে যায়। রাতে আর ল্যাপটপ খুলিনি।

"উনার আঙ্গিকটা কী? উত্তরে বলবো যখন উনার মন যেদিকে ধাবিত হতো" - বেশ মজার কথা বটে!

কবি সুরাইয়া খানম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী বিভাগের একজন মেধাবী ছাত্র তথা শিক্ষক ছিলেন। শুনেছি তার সাথে কবি আবুল হাসান এর গভীর সখ্য এবং প্রণয় ছিল। আবুল হাসান এবং আহমদ ছফা বোধকরি সমসাময়িক ছিলেন, কিংবা সামান্য ছোট বড়। তবে তাদের মধ্যেও বন্ধুত্ব ছিল। একজন উচ্চশিক্ষিত নারী তথা বন্ধুর প্রণয়িনী সম্পর্কে আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার কুরুচির পরিচয় দেয়।

এক ঘরে বোধ হয় দুজন কবি বাস করতে পারেন না। তাই হয়তো সুরাইয়া খানম + আবুল হাসান এর প্রেম ও প্রণয় সংসার পর্যন্ত গড়াতে পারেনি। তবে কবি আবুল হাসানের জীবন প্রদীপ যখন নিভু নিভু, তখন কবির শেষ দিনগুলোতে আরেক কবি এই সুরাইয়া খানম কবির পাশে অবতীর্ণ হয়েছিলেন পরম মমতাময়ীর ভূমিকায়। কবির শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগের সময়েও তিনি কবির পাশে দাঁড়ানো ছিলেন। অসুস্থ কবি তার জীবনের শেষ সময়ে জটিল যকৃত রোগের চিকিৎসার জন্য পিজি হাসপাতালে (বর্তমানে বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। সে সময়ে তিনি হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সামনের রেসকোর্স মাঠের (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) দিকে তাকিয়ে থাকতেন। উল্লেখ্য, সে সময়েই তিনি "বনভূমিকে বলো" শীর্ষক তার বিখ্যাত কবিতাটি রচনা করেছিলেনঃ

বনভূমিকে বলো

"বনভূমিকে বলো, বনভূমি, অইখানে একটি মানুষ
লম্বালম্বি শুয়ে আছে, অসুস্থ মানুষ
হেমন্তে হলুদ পাতা যেরকম ঝরে যায়,
ও এখন সে রকম ঝরে যাবে, ওর চুল, ওর চোখ
ওর নখ, অমল আঙুল সব ঝরে যাবে,
বনভূমিকে বলো, বনভূমি অইখানে একটি মানুষ
লম্বালম্বি শুয়ে আছে, অসুস্থ মানুষ
ও এখন নদীর জলের স্রোতে ভেসে যেতে চায়
ও এখন মাটি হতে চায়, শুধু মাটি
চকের গুঁড়োর মতো ঘরে ফিরে যেতে চায়,
বনভূমিকে বলো, বনভূমি ওকে আর শুইয়ে রেখো না !

ওকে ঘরে ফিরে যেতে দাও। যে যাবার
সে চলে যাক, তাকে আর বসিয়ে রেখো না।"

তার মৃত্যুর আগে কবি আবুল হাসান কবি সুরাইয়া খানমের কাছে অন্তিম ইচ্ছে প্রকাশ করেছিলেন, মৃত্যুর পর যেন তাকে সেই 'বনভূমির' কোন এক কোণে সমাহিত করা হয়। তার মৃত্যুর পর তাই কবি সুরাইয়া খানম তার শয্যাপাশ থেকে সরে এসে ছুটোছুটি করে নানাজনের নিকট কবির এই অন্তিম ইচ্ছেটুকু রক্ষা করার জন্য কারো কারো কাছে আবেদন এবং কারো কারো কাছে সনির্বনদ্ধ অনুরোধ জানিয়েছিলেন। কিন্তু এক কবির অন্তিম ইচ্ছে রক্ষার জন্য আরেক কবির এই হার্দিক মিনতিটুকু সে আমলে কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পায়নি। তবে কবির মৃতদেহ তার গ্রামের বাড়িতে না পাঠিয়ে ঢাকার বনানী ক্ববরস্থানে সমাহিত করে কোনরকমে শেষরক্ষা করা হয়।

০২ রা অক্টোবর, ২০২২ ভোর ৫:০০

সোহানী বলেছেন: বোঝা যাচ্ছে দারুন একজন সঙ্গী পেয়েছেন। এমন সঙ্গীর সঙ্গ ছেড়ে অন্য কিছুতে মনোযোগ দেয়া সম্ভব নয় তা বুঝতে পারি। আমি প্রেগনেন্ট অবস্থায় এমবিএ শুরু করি। পরে সেমিস্টার গ্যাপ দিয়ে ফিরে আসি। আর তখন আমার পড়াশোনার সবচেয়ে কঠিন হতো কারন সারাক্ষনই ছেলেটার ছোট ছোট কাজকর্ম মনোযোগ দিয়ে দেখতে দেখতে পড়ার কথাই ভুলে যেতাম।......

কবি আবুল হাসানকে নিয়ে ও তাদের প্রেম নিয়ে বিশাল অধ্যায় লিখেছেন আহমদ ছফা। যদিও সম্পূর্ণ নিজস্ব আঙ্গিকে। তাই আমি কিছু বল্লাম না তাহলে আপনিও বায়াজড্ হয়ে যাবেন। আর যদি কবি আবুল হাসান এর কবিতার ভক্ত হোন তাহলে বলবো আপনি কষ্ট পাবেন লিখাটাটা পড়ে।

তবে আমি কবি সুরাইয়া খানমের জন্য বেশী কষ্ট পেয়েছি। হয়তো মেয়ে হিসেবে কিছুটা পক্ষপাতিত্বতো আছেই কিন্তু একজন গুনীজনকে সন্মান না দেয়াটা আমার কাছে খুব রুড মনে হয়। যে যেকানেই থাকুক তার সন্মানটা অবশ্যই প্রাপ্য।

একজন অসামান্য সুন্দরী শিক্ষিতা স্বাবলম্বী মেয়ে মৃত্যুপথযাত্রীকে ভালোবেসে এমন করে সেবা করেছেন সেটা অবিস্বাস্য। এখনো মনে হয় যদি আগে আমি এ লিখাগুলো পড়তাম তাহলে যেমন করেই হোক সুরাইয়া খানমের সাথে দেখা করতাম। তার সে কষ্টগুলো শুনতাম, লিখতাম, সবাইকে জানাতাম।

২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২২ দুপুর ২:২৯

স্বরচিতা স্বপ্নচারিণী বলেছেন: আহমদ ছফার কয়েকটা বই আমি ৭/৮ বছর আগে পড়েছিলাম - গাভী বিত্তান্ত, ওঙ্কার, পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ, অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী ইত্যাদি। নিঃসন্দেহে তিনি অনেক ভালো লিখেন এবং তার অনেক বড় ফ্যানবেজ আছে। কিন্তু অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী পড়ে আমিও খুব বিরক্ত হয়েছিলাম। সেই বিরক্তির কারণেই হয়তো পরে আমি তার আর কোনো বই পড়িনি। আমার সাথে আপনার চিন্তার কিছুটা মিল দেখে ভালো লাগলো।

২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২২ সকাল ৮:৪৫

সোহানী বলেছেন: আমার বিশ্বাস, যেকোন মেয়ে এ বইটি মনোযোগ দিয়ে পড়লে বিরক্ত হবে। এভাবে ব্যর্থ প্রেমিককের প্রতিশোধ কোনভাবেই ভালোলাগার কথা নয়। উনার মতো একজন লেখককের কাছ থেকে এরকম লিখা আশা করা যায় না। এ লিখাটি উনাকে বটতলা লেখকের কাতারে নামিয়ে এনেছে। যা খুবই দু:খজনক। আপাদমস্তক যিনি লেখক তিনিতো সব প্রতিশোদের উর্ধে হবেন!!

ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

২৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫১

মন২৩৪৫৬ বলেছেন: আহমেদ ছফার লেখা আমার জন্য একটি নতুন আবিষ্কার keretamoto যেটি পড়িনি তা নয়। তার বিচারে তরুণ বয়সে প্রস্তুতি না থাকলেও, অপরিপক্ক ভাবনা দিয়ে সহজেই আমাদের জীবনের গভীরতা চোখে পড়া সম্ভব হয়েছে। আহমেদ ছফা বোঝাচ্ছেন, একজন লেখক হওয়ার পেছনে মনোভাবের গভীরতা কতটুকু প্রয়োজন।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৯

সোহানী বলেছেন: সত্য মানছি। উনার অনেক লিখা গভীর চিন্তার চাপ আছে। তবে আমার সমালোচনাটুকু একান্তই আমার ভাবনা।

ধন্যবাদ অনেক পুরোনো লিখা পড়ার জন্য।

২৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৩

মন২৩৪৫৬ বলেছেন: ?

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৯

সোহানী বলেছেন: !!!!!

২৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৫৭

মন২৩৪৫৬ বলেছেন: আহমেদ ছফার দৃষ্টিভঙ্গি আমার কাছে একটি নতুন পরিপ্রেক্ষ্য তৈরি করেছে keretamoto তার ব্যক্তিগত ও সামাজিক দৃষ্টিকোণ একটি অদৃশ্য মাধ্যমে উজ্জ্বল করা হয়েছে।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:১০

সোহানী বলেছেন: সত্য। তবে সব বই নয়।

২৭| ১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৩

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আহাম্মেদ ছফার কিছু বই পড়া দরকার, সোশ্যাল নেটওয়ার্ক আমার বই পড়ার নেশাটকে নষ্ট করে দিয়েছে।

১৭ ই মার্চ, ২০২৪ ভোর ৪:৩৪

সোহানী বলেছেন: পড়ুন, উনার আদর্শ জানতে পারবেন। ভালো লাগবে বলেই মনে করি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.