নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

একজন জাপানী মায়ের লড়াই

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪৪



বি:দ্র: এডিটেড

আজকে বাইরের তাপমাত্রা মাইনাস ৩৫। এ ঠান্ডায় মেজাজ ঠান্ডার পরিবর্তে গরম হয়ে যাচ্ছে খবরটা দেখে। বেশ অনেকদিন থেকেই নিউজটা ফলো করি আর নিজের মনে গালি দেই। কাকে???

খুব সাধারন ঘটনাকে আমরা অসাধারন করে তুলেছি আমাদের স্বভাবসুলভ কুটিলতায়। জাপানীজ নাকানো এরিকো ও বাংলাদেশী ইমরান শরিফের ডিভোর্সের পর তিন মেয়ের অভিভাবকত্ব নিয়ে লড়াই শুরু হয়। জাপানী আদালতে অভিভাবকত্ব নিয়ে মামলা চলাকালীন সময়ে বয়স বিবেচনায় মায়ের কাছেই ছিল তিন সন্তান। এ অবস্থায় বাবা ইমরান শরিফ বাংলাদেশী পাসপোর্ট বানিয়ে একদিন স্কুল থেকে বড় দুই মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে আসে বাংলাদেশে ২০২১ ফেব্রুয়ারীতে। এর পরই শুরু হয় মেয়েদেরকে ফিরে পেতে মায়ের যুদ্ধ। আদালত চত্বর, জাপান, বাংলাদেশ, এয়ারপোর্ট, দালাল, মিডিয়ায় ছুটতে ছুটতে মায়ের জীবন শেষ।

বাবার করা প্রথম মামলায় হেরে যান মা এরিকো, বাবার পক্ষে রায় দেয় আমাদের মহামান্য আদালত!! হাইকোর্টে ছুটে যান মা। শেষ পর্যন্ত গত পাঁচদিন আগে রায় আসে মায়ের পক্ষে।

তো পাঠক, আপনারা ভাবছেন ঘটনা এখানেই শেষ!!! না শেষ নয়......।

মা তাদের বাচ্চাদেরকে জাপানে ফিরে যেতে এয়ারপোর্টে গেলে বাবা তার দলবল নিয়ে বাধাঁ দেয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে ছোট মেয়েকে নেয়া হয় ভিকটিম সেন্টারে। মহামান্য বাবা বাংলাদেশের দুই নাম্বারী পথ গলিয়ে ভিকটিম সেন্টার থেকে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে। আর মা............. আবার ছুটোছুটি শুরু করেন প্রথম থেকে।

এবার গালি দিতেও ঘৃনা হচ্ছে এমন বাবার প্রতি।

স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে বাচ্চাদেরকে ইউজ করার এরকম নোংরা কাজ মনে আমাদের মতো মানসিকতার পুরুষগুলো ছাড়া আর কেউ করে কিনা জানা নেই। পৃথিবীর কোন সভ্য সমাজ মা এর থেকে বাচ্চাদের আলাদা করার রায় দেয় কিনা সন্দেহ। পৃথিবীর কোন শিক্ষিত সমাজ স্ত্রীর উপর প্রতিশোধ নিতে এভাবে বাচ্চাদের এতোটা মানসিক, শারিরীক কষ্ট দেয় কিনা সন্দেহ।

৯/১০ মাস নয়, পেটের উপর এক কেজি ইট রেখে তারপর একদিন ঘুমায়ে দেখিস কেমন কষ্ট তাতে। এরকম কষ্ট একজন মা করে বিনা অভিযোগে করে দিন রাত, রাতের পর রাত না ঘুমিয়ে থাকে সন্তানের জন্য, নিজের সুখ আনন্দ সব ছেড়ে সন্তানকে আগলিয়ে রাখে..............। কোন পুরুষের একজন মায়ের এক বিন্দু কষ্ট বোঝার ক্ষমতা কখনই হবে না, কখনই না।

ক্ষমা চাচ্ছি ইরিকো। তুমি চেনোনি বাংলাদেশি স্বামীদের, কিংবা তাদের ক্ষমতার দাপট।

ভালো থাকুক মা এরিকো। সকল কষ্টের সমাধান হোক এ প্রত্যাশায়।

সোহানী
ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বি:দ্র: যে সব পাঠক এখনো বুঝতে পারছেন না ইমরান নামক লোকটির অপরাধ কি তাদের জন্য এ অংশটুকু। মি: ইমরান সাহেবের অপরাধের কিছু তালিকা দিলাম;

১) বাচ্চােরে কাস্টডি নিয়ে জাপানে মামলা চলাকালীন আদালতকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশে পলায়ন।
২) মা কিংবা আদালত এর সাথে কোন পরামর্শ ছাড়া বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসাটা এবডাকশান পর্যায়ের অপরাধ।
৩) মায়ের অনুমতি ছাড়া তাদের বাংলাদেশী পার্সপোট বানিয়েছে যেখানে তারা জন্মসূত্রে জাপানী নাগরিক।
৪) যেখানে তারা জন্মসূত্রে জাপানী নাগরিক তাদের বিচার ব্যাবস্থা সেখানেই হওয়া স্বাভাবিক।
৫) জাপানী বিয়ে করেছে, জাপানী স্ত্রী কিন্তু বাচ্চাদের ভাগাভাগির সময়ে বাংলাদেশের আইনের দারস্থ হওয়া মানেই এ স্ত্রীকে ভোগানোর প্রচেস্টা। এটা মানসিক অর্থনৈতিক হয়রানী।
৬) মা বাংলাদেশে এসে বাচ্চাদের সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে চোখ বন্ধ করে নিয়ে যাওয়া হয় অজানা স্থানে।
৭) বাচ্চাদেরকে মিডিয়া আদালতের সামনে কখনই আনা হয় না পৃথিবীর কোন রাস্ট্রে। কিন্তু এ লোক তা করেছে দেশের মানুষের সিম্পেথি পাওয়ার জন্য। বাচ্চাদের মানসিক শারীরিক হয়রানী একবারও চিন্তা করেনি।
৮) জাপানে জন্ম জাপানে বড় হওয়া এ বাচ্চাগুলোর উপর নতুন পরিবেশে জোর করে এনে কি পরিমান মানসিক টর্চার করেছে তার জন্য এ লোকের জেল হওয়ার কথা।

যাহোক, এ লোক যদি আমেরিকা বা কানাডায় থাকতো তাহলে তার জায়গা হতো জেলে।

মন্তব্য ১৬৩ টি রেটিং +১৫/-০

মন্তব্য (১৬৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৭

কামাল১৮ বলেছেন: এই লোকের কঠিন সাজা হওয়া দরকার।যাতে অন্যে শিক্ষা পায়।জাপান এম্বাসির সাহায্যের দরকার।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: এ কাজ যদি জাপান আমেরিকায় করতো এ লোক তাইলে বুঝতো কত ধানে কত চাল। শয়তানীর একটা সীমা থাকা উচিত।

এরিকো কেন এখনো এ্যাম্বেসির সাহায্য নিচ্ছে না সেটাই অবাক হচ্ছি।

২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

বিটপি বলেছেন: আপনি একতরফা দোষ দিচ্ছেন কেন? এরিকোর কি কোন দোষ নেই? সে কি আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে বারবার পালিয়ে যাবার চেষ্টা করেনি? মেয়েদের বাবা ইমরান শরীফ জাপানে তার যত কষ্টার্জিত যত সম্পদ - তা সবই তার স্ত্রী ও শ্বশুরকে দিয়ে এসেছে। পালিয়ে আসার পর থেকে দুটো মেয়েই বলে আসছে যে তারা বাংলাদেশে থাকতে চায়, জাপান যেতে চায়না। মাঝখান থেকে বড় মেয়েটি কি জন্য যেন পল্টি খেল বুঝা গেলনা, কিন্তু ছোট মেয়েটি বেশি সরল বলেই বোধ হয় তাকে কনভিন্স করা যায়নি।

তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে চাই, মেয়ে দুটি তাদের মায়ের সাথে জাপানে ফিরে যাক - সেখানকার হার্শ রিয়েলিটি অনুধাবন করুক। বাংলাদেশের সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধনের ব্যাপারে জাপানের সমাজের সাথে একটু তুলনা করুক। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাবা যদি বেশি বাড়াবাড়ি না করে, তবে মেয়ে দুটি আরেকটু বড় হয়ে আবার দেশে ফিরে আসবে। বাবার আকর্ষণ কোন মেয়ের পক্ষেই অগ্রাহ্য করা সম্ভব নয়।

মিডিয়াগুলোর আচরণ আমার কাছে খুবই আপত্তিকর লাগছে। গোড়া থেকেই তারা জাপানি শিশু, জাপানি শিশু করে আসছে। এরা বড়জোর হাফ জাপানি, কিন্তু অবশ্যই বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

সোহানী বলেছেন: বিটপি, আপনাকে ভাই বলবো নাকি আপা বলবো জানি না। যদি আপা হতেন তাহলে উপরের কথাগুলো বলতে পারতেন না।

এ লোকটি যা বলছে তার ৯০ ভাগ মিথ্যে। জাপানে এ লোক তেমন কোন কাজ করতো না। এরিকোর আয়ে চলতো। তাদের দ্বন্ধ শুরু সেখান থেকেই। লোকটি আমেরিকায় যেতে চাচ্ছিল কারন সে সেখানকার নাগরিক।

আর আপনি অবশ্যই বাংলাদেশে থাকেন। তাই পরের হার্শ রিয়েলিটির নামক শব্দগুলো বলছেন। একবার জাপান বা আমেরকিা বা এরকম কোন দেশেঘুরে যান। দেখবেন পৃভিতীতে হার্শ রিয়েলিটি বলে যদি কিছু থাকে তা একমাত্র বাংলাদেশ ভারত এ আছে।

আর তারা জন্ম সূত্রে জাপানী। তারা কোনভাবেই বাংলাদেশী নয়।

৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২২

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আইনি লড়াই কিন্তু এখনও শেষ হয় নাই। বাবা আবার আপিল করবেন মেঝো মেয়ের জন্য।

বাবাদেরও মেয়ে হারালে অনেক কষ্ট লাগে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৬

সোহানী বলেছেন: বাবাদেরও মেয়ে হারালে অনেক কষ্ট লাগে। কিন্তু মেয়েদেরকে রাস্তায় ফেলে এরকম কষ্ট দিলে তাদের কেমন লাগে????

৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৭

শাহ আজিজ বলেছেন: আইন আদালত বিচারিক পুলিশ সম্পর্কে আবারো নতুন ধারনা গজাল ।


আমার মনে হয় তালেবানিরা বসে গম্বুজের নিচে , ছিঃ ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৯

সোহানী বলেছেন: ভাইরে, কি যে আইন আদালত পুলিশ এয়ারপোর্ট.......। এদের কাজকর্ম ভালোই সুনাম কুড়াচ্ছে দেশের বাইরে।

এখন সময় হয়েছে উপরের তলায় হাত দেয়ার । এ খবর বিশ্বের অনেক পত্রিকায় আসছে যা কোনভাবেই আমাদের জন্য সুনাম আনছে না।

আসলেই তালেবানিরা বসে গম্বুজের নিচে , ছিঃ ।

৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

অনামিকাসুলতানা বলেছেন: বাবা মায়ের এই লড়াইয়ে সবচেয়ে ভিক্টিম মেয়ে তিনটি। মেয়ে দুটিকে
মায়ের সাথে পাঠিয়ে দেয়া হোক জাপানে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০০

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। কি অমানুষিক কষ্ট করছে মা মেয়ে গত দুই বছর তা বলে বোঝানো যাবে না্।

৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৩

করুণাধারা বলেছেন: কাকে ধিক্কার জানাবো... নিজেকেই জানাই, কারণ আমি একজন বাংলাদেশী!!

যে সমস্ত বিবেচনায় মায়ের কাছে দুই মেয়েকে দেয়া হয়েছে তা হচ্ছে,
১)আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী আঠারো বছর পর্যন্ত মেয়ে মায়ের কাছে থাকবে। ছেলে হলে তা ৭ বছর।
২) এই মেয়েগুলার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা জাপানে। তাদের পরিচিত পরিবেশ জাপান, সেখান থেকে তাদের চুরি করে এনেছে বাবা।
৩) বাবা শরীফ যেভাবে তাদের চুরি করেছে তার জন্য তার সাজা হওয়া উচিত। তাকে কোন সাজা না দেয়া হয়নি। কেন?
৪) আদালত মেয়ে দুটিকে মায়ের কাছে দেয়ার রায় দিয়েছে। আদালতের রায় অমান্য করে সে দ্বিতীয় মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়েছে। আদালত এর রায় অমান্য করার জন্য তার শাস্তি হওয়া উচিত। অথচ তাকে একজন নিপীড়িত বাবা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ধিক।
৫)এই লোকটিকে যাকে আমি শয়তান ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিনা তার কাছে এই বাচ্চাগুলোকে দেয়ার আয়োজন করছে আমাদের বাংলাদেশ। ধিক!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

সোহানী বলেছেন: আপুরে, বাংলাদেশী স্বামী কি জিনিস তা এখনো বুঝে নাই। এরা মনে করে স্ত্রী মানেই তার আদেশে উঠবে বসবে। এর বাইরে গেলেই তাকে শাস্তি পেতে হবে।

এ লোকটা একটা অমানুষ, একজন নিপীড়িত বাবা......... কেউ কেন এ কথা বলছে না। আর মা এরিকো এ দেশের কিছুই চিনে না, তারপরও রাস্তায় রাস্তায় ধর্না দিচ্ছে সব ছেড়ে এ দুই বছর।

একজন মায়ের আকুতি আমার মন ছুয়ে যাচ্ছে।

৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

জুল ভার্ন বলেছেন: মা-বাবার বিচ্ছেদের অন্যতম শিকার সন্তানেরা। সন্তানের জন্য মায়ের মাতৃত্বের সম্মান জানাই। একই সাথে সন্তানদের পিতার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা পাওয়া উচিৎ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: সন্তানদের পিতার ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবার জন্য সন্তানকে চুরি করে পালিয়ে আসতে হবে? যদি সে সন্তানদের ভালোই চাইতো তাহলে তাদের ভালোটা সবার আগে দেখতো। কিন্তু সে তা করছে না, প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে।

৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০১

রানার ব্লগ বলেছেন: আচ্ছা আপনার গালি দিতে ইচ্ছা হচ্ছে বাবা কে! কিন্তু কেনো?!! বাবার ইমশন নেই!!?? বাবার তার কন্যার প্রতি মায়া মমতা নেই??! বাবা বারবার আদালত অবমাননা করছেন এটা দেখছেন কিন্তু একজন বাবার তার মেয়েদের প্রতি ভালোবাসা তার সন্তান কে কাছে রাখার আকুলতা দেখছেন না। সারাজীবন বাবাদের ভিলেন বানাতেই হবে? দুইজন মানুষের সাংসারিক জীবিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিধায় একজন পিতা চাচ্ছে তার সন্তান তার কাছে থাকুক এটা অন্যায়??! সে আদালত অবমাননা করে আইনের কাছে দোষী কিন্তু একজন পিতার কাছে সে সঠিক!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১০

সোহানী বলেছেন: পুরো ঘটনায় কোথাও একজন বাবার তার মেয়েদের প্রতি ভালোবাসা তার সন্তান কে কাছে রাখার আকুলতা দেখিনি। শুধু দেখেছি স্ত্রীর প্রতি প্রতিশোধ নেবার ইচ্ছা। জাপানী আদালতে সেটা পারবে না বলে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে স্ত্রীকে শাস্তি দিবে বলে।

একজন পুরুসের কানে কখনই একজন মায়ের আকুতি পৈাছাবে না। সেটা বোঝার জন্য মন মানসিকতা থাকার দরকার তা অনেকেরই থাকে না।

৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: মেঝো মেয়ে বাবার সাথে থাকতে চায়। তাকে বাবার সাথেই থাকতে দেয়া উচিত। আইন কানুন দিয়ে সন্তান আর পিতা/ মাতার আবেগকে বেঁধে রাখা যায় না।

বাবা সন্তানকে রাস্তায় ফেলেছে বলে শুনি নাই এই ঘটনায়। বিস্তারিত বললে বুঝতে পারতাম। আর তাছাড়া এই মামলা এখনও শেষ হয় নাই। আপিল হয়েছে ইতিমধ্যে। আগের আদালতে সন্তানদের দিকটাকেই বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। তাই মেঝো মেয়ের ক্ষেত্রে তার ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে বাবার সাথে থাকতে দেয়া উচিত। ৩ সন্তানের মধ্যে অন্তত একটা সন্তান বাবার সাথে থাকতেই পারে।

বাবাকে যেভাবে ক্রিমিনাল হিসাবে দেখা হচ্ছে আমার কাছে সেটা মনে হচ্ছে না। মেয়েদেরকে কাছে রাখার জন্যই সে এত লড়াই করছে। মেয়েদেরকে ভালোবাসে বলেই সে লড়াই করছে। বড় মেয়েও বাবাকে ভালোবাসে কিন্তু সে জাপানে থাকতে চায়। সেটা কোন সমস্যা না। বাচ্চাদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৬

সোহানী বলেছেন: সন্তানের ভাগাভাগি??? আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে মেয়েকে ভিকটিম সেন্টার থেকে নিয়ে পালিয়েছে, জাপান থেকে পালিয়েছে.....্এই লোক একটা সাইকো। এটা কিভাবে ভালোবাসা হলো??? ভালোই যদি চাইতো তাহলে জাপানে বড় হওয়া বাচ্চাগুলো নিয়ে পালিয়ে আসতো না।

আমেরিকার নাগরিক হয়েও আমেরিকা যায়নি কারন সেখানে গেলে তাকে জেলে ভরতো বাচ্চাদেরকে এমন হেনেস্থা করার জন্য। এ কারনেই বাংলাদেশে এনেছে, এ মহিলাকে শাস্তি দেবার জন্য্।

যদি কোনদিন মায়ের এক বিন্দু কষ্ট বুঝতে পারবেন সেদিন এ কথাগুলো লিখতে কষ্ট হবে।

১০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১২

নিমো বলেছেন: আপনার ধৈর্য্যর প্রশংসা না করে পারছি না। কিছু কিছু মন্তব্যের প্রতিমন্তব্য করার রুচি হওয়ার কথা নয়। একমাত্র কোন অসভ্য ইতরের পক্ষেই এরকম নির্লজ্জ অমানুষের মধ্যে পিতৃভাব দেখতে পাওয়া সম্ভব।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:২৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ নিমো।

আমরা যে বরাবরেই পুরুষ, মানুষ নই। মানুষ হলে বুঝতো যে মা কি জিনিস।

এ লোকটি যদি এক বিন্দু মেয়েদেরকে ভালোবাসতো তাহলে এরকম করে আদালত চত্বরে কোনভাবেই মেয়েদের আনতো না। তাদের সর্বোচ্চ ভালোটা দেখে যে পরিবেশে বড় হয়েছে সেখানে রেখে আসতো।

১১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

ঈশ্বরকণা বলেছেন: পৃথিবীতে সবচেয়ে পিওর ভালোবাসা হলো মেয়ের জন্য বাবার । বাবা জানেন যে মেয়ে বড় হলে তার বিয়ে হবে ।দূরে কোনো জায়গায় চলে যাবে ।তার অন্য একটা আলাদা সংসার হবে । তবুও মেয়ের জন্য একজন বাবা সব করেন কোনো স্বার্থ ছাড়াই । সোহানীর লেখায় কিন্তু বাবার মেয়ের জন্য এই তীব্র ভালোবাসার ব্যাপারে কোনো বেনিফিট অফ ডাউট নেই । সেলোয়ার কামিজের মতো ড্রেসটা দেখার পর থেকেই কেন যেন এই মহিলার ব্যাপারে আমার একটা নেগেটিভ মনোভাব হয়েছে । শুরু থেকেই এই মহিলার মধ্যে একটা ফেক ভাবা আছে মনে হয়েছে ।মনে হয়েছে কোর্ট আর জাজকে ইনফ্লুএন্সড করতেই এই বেশ । হুমায়ুন আহমেদের কোনো একটা নাটকে এরকম ছিল । অনেক বছর আগে দেখা তাই ঠিক মনে পড়ছে না কোন নাটক সেটা । যাক, যাই হোক মেয়েরা ভালো থাকুক ।তাহলেই বাবার ভালো থাকেন ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩২

সোহানী বলেছেন: "পৃথিবীতে সবচেয়ে পিওর ভালোবাসা হলো মেয়ের জন্য বাবার।" হাহাহাহা ........ আপনার কমেন্টস পড়ে হাসতে হাসতে আমি শেষ।

ব্রাদার, আপনার কি কোন সন্তান আছে? তাহলে আপনার স্ত্রীকে বলবেন কথাগুলো।

আর আপনার বাকি লিখার উত্তর দিতে রুচিতে বাঁধছে। সরি। মনটা আরেকটু বড় করেন প্লিজ।

১২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: মহান জাপান দেশের সবই দেবতুল্য, শুধু বাঙালিই ইতর।
https://www.washingtonpost.com/world/asia_pacific/parental-child-abduction-becomes-a-diplomatic-embarrassment-for-japan-ahead-of-g-7/2019/08/21/1e51a7fa-bf34-11e9-aff2-3835caab97f6_story.html

https://www.stopjapanchildabduction.org/

কিন্তু সন্তান অপহরণে মহান জাপানদেশই যে পথিকৃত, তাও শিক্ষিত বাঙাল জানে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৬

সোহানী বলেছেন: সব দেশেই এরকম অপহরন আছে, কিন্তু বাঙ্গালি বাবা যে কায়দায় শক্তি, ধুরন্ধরতা, মাস্তান, ক্ষমতা প্রয়োগ করেছে, এক কথায় সেটাই অসাধারন!!!

১৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: যদি কোন দিন বাবার এক বিন্দু কষ্ট বুঝতে পারবেন সেদিন এ কথাগুলো লিখতে কষ্ট হবে।

এক তরফা লিখে যাচ্ছেন।

মেঝো মেয়ের ইচ্ছার কথা কেন এড়িয়ে যাচ্ছেন। বড় মেয়ে থাকতে চায় না। তাই বাবাও তাকে নিয়ে কিছু করেননি।

জাপানে বড় হওয়া মানেই কি সব কিছু। এই ধারণা কেন হল আপনার। এই দেশের মানুষকে মানুষ মনে করেন না মনে হয়। কে কোথায় থেকে ভালো করবে সেটা আগে ভাগে কেউ জানে না। বাবার সামর্থ্য আছে মেয়েদের বাইরে পড়ানোর। জাপানে থাকলে সে মেয়েদের হারাবে তাই জাপান থেকে চলে এসেছে। চুরি করে মেয়েদের নিয়ে এসেছে কারণ সে মেয়েদের ভালোবাসে। আইন কানুন দিয়ে ভালোবাসাকে ঠেকানো যায় না। মেয়েরা স্বেচ্ছায়ই এসেছিল। তারা কেউ হেনস্তার কথা বলছে না। আদালতও প্রথমে সমঝোতার চেষ্টা করেছে। আমরাই বাবাকে ক্রিমিনাল বানাতে চাচ্ছি। বড় মেয়ে এখনও তার বাবাকে ভালোবাসে। অনেক বাপ তো ছেলে মেয়ের খবরও রাখে না।

একপেশে লেখা এটা। আর তাছাড়া আইনী প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয় নাই। মামলায় যদি বাবা মেঝো মেয়ের দায়িত্ব পায় সেই ক্ষেত্রে আপনি কি বলবেন। যদিও হয়তো সেই রকম রায় হবে না। কারণ জাপানী প্রভাব থাকবে এই মামলায়।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

সোহানী বলেছেন: আইনী লড়াই এ হেরে যেয়ে বাবা আবারো মেয়েকে ভিক্টিম সেন্টার থেকে নিয়ে পালিয়েছে। তাহলে আইনের প্রতি কিভাবে শ্রদ্ধা দেখালো এ লোক। এরতো জেল হওয়া উচিত। তারপর বাকি বিচার।

১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৯

নিমো বলেছেন: @এস এম মামুন অর রশীদ, হঠাৎ করে সন্ত্রাসী দেশের পত্রিকার কদর এত বেড়ে গেল! হা, হা, হা!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪০

সোহানী বলেছেন: উত্তর রশীদ ভাই দিবেন।

১৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:০৬

নিমো বলেছেন: @সাড়ে চুয়াত্তর, লেখকের ইটের উদাহরণটা পড়ুন, কাজে আসবে। বাবা ছাড়াও মা হওয়া সম্ভব কিন্তু মা ছাড়া বাবা হওয়া সম্ভব না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

একজন মায়ের কষ্ট বুঝতে হলে মনটা আরেকটু নিরপেক্ষ করতে হবে, সেটা অনেকেই পারে না। আর আমাদের পুরুষ সমাজতো আরো পিছিয়ে।

১৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

কলাবাগান১ বলেছেন: @নিমো
চিনে রাখুন উপর এর এই সমস্ত ব্লগার দের এরা এখনও রেগে আছে জাপানী মা কেন এ্ত শক্তি নিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে ...
কাল দেখলাম এদের স্বজাতিদের এক ভিডিও তে ...বৃটেন থেকে ৬০ উপর এর অনেক পুরুষ মানুষ বৃটেনে বউ বাচ্চা রেখে এসে বাংলাদেশে এসে গ্রামে কম বয়সী মেয়েদের কে বিবাহ করছে, আর যখন তারা আবার বৃটেনে ফিয়ে যায় তখন ছেলে-মেয়ে এবং তাদের মা রা তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দেয় দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য। কিন্তু মেজোরিটি কমেন্টরা ছিল দ্বিতীয় বিয়ে করা লোকের পক্ষে (উপর এর কমেন্ট করা লোকজন যারা পালিয়ে আসা বাবার পক্ষে কথা বলছে তাদের মত)।

তাদের কথা বিয়েই তো করেছে অবৈধ কিছু তো করে নাই। একটু 'মানিয়ে' নিলেই পারে!!!!!!!!!!

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৪

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা..... আমাদের অনেক ব্লগার এখনো চার বিয়ে নিয়ে স্বপ্ন সুখে বিজি থাকে। তাদেরকে মায়ের কষ্ট বোঝানো সম্ভব নয়। এরা ইরান কিংবা আফগানি গ্রুপের লোক।

১৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @নিমো, লিঙ্কের বিষয়বস্তু পড়েননি, ঠিক আছে। আগে যুক্তিবিদ্যা ১০১-এর ক্লাস করে আসেন, তারপর আপনার সঙ্গে আলোচনা করি।
@কলাবাগান, চিনে রেখে কী হবে? আপনি নাকি আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান, কিন্তু কথা তো বলেন রাজনৈতিক পাতিমাস্তানের মতো?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

সোহানী বলেছেন: রশীদ সাহেব, মন মানসিকতা আরেকটু উদার করেন, পজিটিভ করেন, অন্যের কষ্ট বোঝার মতো মানসিকতা তৈরী করেন। দেখবেন নিমোর উত্তরটা পেয়ে যাবেন।

১৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১৯

নূর আলম হিরণ বলেছেন: ছোট মেয়ে নাকি বাবার সাথে থাকতে চেয়েছে। বাবার স্টেটমেন্ট গুলো নিউজে আসে না, সেগুলোও জন্য দরকার। তার অভিযোগ গুলো কি কি?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৭

সোহানী বলেছেন: বাবা যাই স্টেমেন্ট দিক না কেন সে আদালত অবমাননা করেছে। তার আগে বিচার হওয়া উচিত।

১৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:২৭

কলাবাগান১ বলেছেন: কথা নিজের পক্ষে না গেলেই গালে চপোটাগাত এর মত মনে হয়। এই পোস্টে প্রসংগ ছাড়া আর কোন মন্তব্য না....।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৪৮

সোহানী বলেছেন: সমস্যা সেখানে। সবার নিজের মানসিকতার বাইরে কিছু মানতেই পারে না। আজিব!!!

২০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৭

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: জনাব কলাবাগান১, ট্যাগিং আর ধান ভানতে শিবের গীত গাওয়া তো আপনিই শুরু করলেন। যাহোক প্রসঙ্গে থাকাই বাঞ্ছনীয় এবং আমার দুটো লিঙ্ক পড়লেই বুঝবেন সন্তান অপহরণের আইনি ভিত্তি জাপানই স্থাপন করেছে এবং জাপানী আইনে মা-বাবার বিচ্ছেদের পর একজন অভিবাবকত্ব পায়, বাকি জন সারা জীবন সন্তানের মুখও দেখতে পায় না। শরীফ সাহেব জাপানকে জাপানী হাইকোর্ট দেখিয়েই এসেছেন। এখন দুজনই ন্যায়বিচার পাক, এটিই আমরা চাই, কাউকে ভিলেন বানানোর কোনো প্রয়োজন নেই।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫১

সোহানী বলেছেন: ন্যায়বিচার তো মানছেই না এ লোক। আদালত অলরেডি রায় দিয়েছে। তাহলে বলতে পারেন একপাক্ষিক বিচার মানি..............

২১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪২

নিমো বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @নিমো, লিঙ্কের বিষয়বস্তু পড়েননি, ঠিক আছে। আগে যুক্তিবিদ্যা ১০১-এর ক্লাস করে আসেন, তারপর আপনার সঙ্গে আলোচনা করি।
আমি পড়েছি, আপনিই পড়েন নি বোধহয়। পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গিতে লেখা। মধ্যপ্রাচ্যের বেলায় হলে এটাকে পক্ষপাতমূলক বলতেন, এখন নিজের পক্ষে যাওয়ার সম্ভাবনায় পশ্চিমা গণমাধ্যম সাধু হয়ে গেল! জাপানকে জাপানের মতই চলতে দিন না। এত দ্বিচারিতা, ভণ্ডামী করলে চলবে। কোথায় ক্লাস করতে হবে বলুন ? তারপর না হয়...

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০১

সোহানী বলেছেন: ইয়ে নিমো, বাঙ্গালি মানসিকতা দিয়ে এ ঘটনা বোঝা অনেকের জন্য সত্যিই দূরহ। কারন আমরা এখনো এতোটা উদার হয়নি। তালিবানি মানসিকতা থেকে সরে আসতে পারিনি।

২২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫২

ঈশ্বরকণা বলেছেন: সোহানী, আপনাকেতো খুব যুক্তিবাদী ব্লগারই ভাবতাম আমি। আপনিও যে এই রকম অযৌক্তিক আক্রমনাত্মক প্রতিমন্তব্য করতে পারেন সেটা জানতে প্রায় দশ বছর লাগলো ব্লগে আমার সেটা ভেবেই শান্তনা খুঁজি তাহলে ! ব্যাপার কি জানেন, আপনার টোনটা অনেকটা চাঁদ গাজীর প্রতিমন্তব্যের মতো হয়ে গেছে । আপনি যদি আমাকে জিজ্ঞেস করতেন ড্রেস থেকেই অমন ধারণা করা ঠিক কি না সেটা যৌক্তিক হতো।এখন যেটুকু বলছেন তার ভাষা অনেকটা আক্রমণের মতো হয়ে গেলো না? বাই দ্যা ওয়ে, আমার একটা মেয়ে আছে। আর একটা ছেলেও আছে।ওকে? মন্তব্য শেষ এর উত্তর দেবার দরকার নেই।আপনার এই পোস্টে আর অতীত ভবিষ্যতের সব পোস্টেই আমার বক্তব্য শেষ। ভালো থাকুন ।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৬

সোহানী বলেছেন: আজ যদি ওই জাপানিজ মা স্কার্ট পড়তো তখন আপনারাই বলতেন বেহায়া মহিলা। এ দেশে এসেও এখানকার কালচার জানে না।

মহিলা মার্জিত ড্রেস পড়েছে তাতেও আপনার আপত্তি!! আমার আসলেই রচিতে বাঁধে কেউ পোষাক নিয়ে কথা বললে। তার উপর ভদ্র পোষাক নিয়ে।

আপনি হয়তো দেখেননি যে ব্রিটিশ রাজপরিবার বা কানাডার প্রধানমন্ত্রীর স্ত্রী যেই দেশেই যায় না কেন সেখানকার পোষাক পরে।

আমার লিখা পড়া না পড়া একান্তই আপনার ইচ্ছা। সেখানে আমার বলার কিছুই নেই। ধন্যবাদ।

২৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ঘর জামাই বিয়ে করে সন্তানের আশা করে কোন আক্কেলে? কেন বাংলাদেশে কি পাত্রির টান পড়েছিল? এখন আম-ছালা দু’টা তো গেলোই, উল্টা তিরস্কারও শুনতে হচ্ছে।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৭

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা................... আপনার মন্তব্য আমার ভালো লেগেছে।

২৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনিই যে দ্বিচারিতা ভণ্ডামি, তার প্রমাণ আপনার মন্তব্যে। আপনি অন্তত একটি নিরপেক্ষ বা আপনার দৃষ্টিভগ্নির একটি লিঙ্ক দিতে পারতেন, তাহলে আলোচনা চলতে পারত। আপনি বোধহয় জানেন না, জাপানি সন্তান অপহরণ জাতিগত জাপানিদের জন্যও বড় সমস্যা। এই দেখুন আপনাদের আশাহি শিম্বুনও রয়টার্সের সংবাদ ছাপে। সন্তান অপহরণ সমস্যা না হলে জাপানি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে কেন Class Action হয়? আপনি কী পড়েছেন, আর কী বুঝেছেন, আপনিই জানেন।

Parents’ lawsuit accuses Japan of double standard on child ‘abductions’
https://www.asahi.com/ajw/articles/13166536

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: ওকে

২৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: উপরের মন্তব্য @নিমো

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৮

সোহানী বলেছেন: ওকে

২৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০২

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


এরিকোর দিকে থাকি; তিন সন্তানের মধ্যে এক/দুজন ছেলে হলে ব্যাপারটা ভালোমত পরিস্কার হতো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৯

সোহানী বলেছেন: বুঝলাম না, সন্তান আবার ছেলে মেয়ে ভাগাভাগি কেন?

২৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:০৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: https://www.asahi.com/ajw/articles/13166536
Parents’ lawsuit accuses Japan of double standard on child ‘abductions’

A group of parents fighting against child “abductions” by their partners accused Japan in a lawsuit on Wednesday of having a double standard in how it treats domestic instances of such incidents, compared to international ones.

Fourteen plaintiffs in the Tokyo District Court lawsuit say it is unconstitutional that Japan does not have a system to prevent violation of their parental rights, particularly since it has signed an international treaty on such abductions.

The class action will turn up the heat on Japan’s justice system as more left-behind parents decry the effective condoning by courts and law enforcement of a practice other developed countries treat as a crime.

“It’s time for Japan to solve this issue,” said Catherine Henderson, an Australian schoolteacher in Tokyo who says her husband left with their two children last April without warning, despite divorce court proceedings.

“I had no idea that in Japan, the rights of children to see both parents are not upheld by the family court,” the only non-Japanese plaintiff told a news conference.

There was no immediate government reaction on the filing of the lawsuit, and no date has yet been set for a hearing.

No official figures keep track of the number of families affected, but nonprofit Kizuna Child-Parent Reunion estimates that 150,000 children lose contact with a parent every year because of estrangement from the non-custodial parent.

“Japan made an agreement internationally but hasn’t aligned its domestic laws to make it wrong,” said lead counsel Tomoshi Sakka. “I’m curious to see how the government will explain this discrepancy.”

Japan became the last Group of Seven country to join the 1980 Hague Abduction Convention just six years ago, following intense pressure from the United States and other nations.

The treaty lets parents petition to have children returned to their country of “habitual residence” if that country considers the removal “wrongful.”

Asked about the discrepancy, a foreign ministry official told Reuters the ministry was not aware of how domestic cases were treated, but that it held mediation based on the notion that parental child abduction was “wrongful.”

Since Japan joined the treaty, the foreign ministry has mediated return orders in about 100 cases, with the largest number from the United States.

Last week, two European fathers based in Japan urged European Union lawmakers to pressure Tokyo to tackle parental child abduction by changing a law that does not recognize joint child custody following divorce.

Italy and Germany warn against the practices in Japan in travel advisories they have posted.

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১০

সোহানী বলেছেন: ওকে

২৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১১

রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্ট এবং মন্তব্য গুলো পড়ে অনেক গুলো বিষয় পরিস্কার হলো।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১০

সোহানী বলেছেন: ঠিক আছে।

২৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নিমো- এক সময় মা বাবা ছাড়াই সন্তান জন্ম দেয়া যাবে। এখনই তো পেট ভাড়া পাওয়া যায়। সেটা কোন বিষয় না। আপনি বাবাকে গোনায় ধরতে চাচ্ছেন না মনে হয়। আপনার কাছে মনে হয় বাবারা আবেগহীন প্রাণী। একজন বাবা কেন তার মেয়েদের কাছে রাখার জন্য লড়াই করছে। তার ভালোবাসা ছাড়া আর কি স্বার্থ থাকতে পারে। পৃথিবীতে আইন আছে। সন্তানের কে অভিভাবক হবে সেটা বিভিন্ন দেশের আইনে বিভিন্নভাবে আছে। তবে আইন দিয়ে ভালোবাসার সম্পর্কের সঠিক বিচার হয় না। ইটের উদাহরণ থেকে আপনি বাবাদের অবদানকে ছোট করছেন। এক তরফাভাবে সকল ক্রেডিট মাকে দেয়া যাবে না। তবে এটা ঠিক মায়ের অধিকার সন্তানের উপর বেশী।

এই মেঝো মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হয়তো মার কাছে তাকে পাঠিয়ে দেয়া হবে। সেটা কি খুব মানবিক হবে। অর্থনৈতিক ব্যাপারটাই কি সব কিছু। বাংলাদেশের নীচের আদালতে যে বিচার হয়েছে সেখানে বাচ্চার ভালোর দিকটা বিবেচনা করা হয়েছে। বিচারের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছে। এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হতে আরও অনেক সময় লাগবে। আপনারা বিচার শেষ হওয়ার আগেই অনেক কিছু বলে ফেলছেন। শেষ পর্যন্ত মেঝো মেয়ের ক্ষেত্রে বিচারের রায় বাবার পক্ষে গেলে কি আদালতের বিপক্ষে বলবেন। যদিও সেই রকম হওয়ার সম্ভবনা কম। কারণ জাপানি চাপ হয়তো থাকবে। বিচারাধীন একটা বিষয় নিয়ে এত কথা বলা কতটা যুক্তিসঙ্গত। বাবাকে অনেকে এখানে ক্রিমিনালের পর্যায়ে নামিয়ে এনেছে। সে যা অনিয়ম করেছে আবেগ এবং ভালোবাসা থেকে করেছে। একই কারণে মাও কিছু অনিয়ম করেছে। এই কারণে বিমান বন্দর থেকে তাদেরকে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে এবং মেঝো মেয়েকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছিল। বিচারের পুরনাঙ্গ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত মেঝো মেয়ে একদিন বাবার কাছে এবং একদিন মায়ের কাছে থাকবে। আমাদের উচিত হবে পুরো বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করা।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৩

সোহানী বলেছেন: বাবা ভালোবাসা থেকে এমন কিছু করেছে বলে তো দেখছি না। সেখানে শুধু মায়ের প্রতি প্রতিশোধ দেখছি। আইন আদালতেকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে লোকটি। সেখানে মায়ের কথাতো কোন ছাড়............

৩০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:১৬

নিমো বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনি বোধহয় জানেন না, জাপানি সন্তান অপহরণ জাতিগত জাপানিদের জন্যও বড় সমস্যা। এই দেখুন আপনাদের আশাহি শিম্বুনও রয়টার্সের সংবাদ ছাপে। সন্তান অপহরণ সমস্যা না হলে জাপানি বিচারব্যবস্থার বিরুদ্ধে কেন Class Action হয়? আপনি কী পড়েছেন, আর কী বুঝেছেন, আপনিই জানেন।
জাপানকে জাপানের মতই চলতে দিন না। তাদের সমস্যা তাদেরকেই ঠিক করতে দিন। ইমরান জাপানি আইনেই নিশ্চয়ই বিয়ে করেছিল। জাপানি আইনের প্রতিই তার শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। সেটা না করে যা সে করেছে তাতে মদদ দেয়ার কিছু নেই। পৃথিবীর সকল আইন-আদালত পশ্চিমের মত হতে হবে কেন ? আপনার এই পশ্চিমের ধামাধরা কি এই ঘটনায় শেষ নাকি সকল দেশের সকল ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে, নাকি আবার জায়গা বুঝে পিছলাবেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৬

সোহানী বলেছেন: নিমো, সমস্যা সেই একটাই। পুরুষতান্ত্রিক মানসিকতা থেকে কেউই বেড়িয়ে আসতে পারছে না। তারউপর বাঙ্গালি মানসিকতা যোগ হয়েছে। আর এ লোক সব কিছু গুলে খাচ্ছে মাকে শাস্তি দেবার জন্য। এ লোককে আগে অপহরনের দায়ে জেলে ভরা উচিত। আমেরিকা কানাডায় হলে এ লোকের খবর হয়ে যেত। বাংলাদেশ বলে যা ইচ্ছা তাই করে বেড়াচ্ছে।

৩১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: নিমো, আপনি যে পড়েন, কিন্তু বুঝেন না, তার কুকি রেখে যাওয়ার কী দরকার? ইমরান সাহেব যে অপহরণ করে জাপানি আইন ভাঙেননি, এটুকুও আপনার মস্তিষ্কে এখনও ধরেনি?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৭

সোহানী বলেছেন: ইমরান সাহেব যে অপহরণ করে জাপানি আইন ভেঙ্গেছে। বাংলাদেশের বিচারকে অস্বীকার কার বাংলাদেশেরআইন ভেঙ্গেছে। এর বিচার হওয়া উচিত।

৩২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আর আপনার কথামতো খারাপ আইনকেও যদি সবসময় মানতে হয় (কারণ দেশটি মহান জাপানদেশ), তাহলে দুনিয়া জাপানদেশই হবে, মানুষ হবে না।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:১৮

সোহানী বলেছেন: না আমরা বাংলাদেশের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বাচ্চাকে নিয়ে পালিয়ে যাবো...................

৩৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

নিমো বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: নিমো, আপনি যে পড়েন, কিন্তু বুঝেন না, তার কুকি রেখে যাওয়ার কী দরকার? ইমরান সাহেব যে অপহরণ করে জাপানি আইন ভাঙেননি, এটুকুও আপনার মস্তিষ্কে এখনও ধরেনি?
তা বড় মস্তিস্কের ভাইজান, নিরপরাধ ইমরান জাপানে থেকেই আইনি লড়াইটা চালালো না কেন ? অতটুকু না রাখলে খাবেন কী ?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২০

সোহানী বলেছেন: জাপানে কেন কোন সভ্য দেশেই আইনি লড়াইটা চালাবে না। কারন ও জানে সেখানে ধান চালের হিসাব ঠিকই রাখে। সে আমেরিকান নাগরিক কিন্তু আমেরিকায় না যেয়ে বাংলাদেশে এসেছে। কারন সে জানে এখানে বিচারের নামে প্রহসন সম্ভব হয়, আমেরিকায় নয়।

৩৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৫

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে অনেকদিন ধারে পত্র-পত্রিকায় নিউজ দেখতেছি, এই ঝামেলা কি এখনো শেষ হইনি?

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২১

সোহানী বলেছেন: শেষ হইয়াও শেষ হয় না। এ লোক আবারো বাচ্চা নিয়ে পালিয়েছে।

৩৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:২৯

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @নিমো, ঠিক যে কারণে আপনাদের জাপানি ভদ্রমহিলা আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও কয়েকবার গোপনে বাংলাদেশ থেকে পালাতে চেয়েছেন।

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:২৩

সোহানী বলেছেন: কারন তার আরেকটি ছোট মেয়ে আছে যাকে এ লোক ভাগায়ে আনতে পারেনি।

৩৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৩০

শেরজা তপন বলেছেন: আমার কিছু কথা হয়তো বাবার পক্ষে যাবে, সেজন্য আপনি কষ্ট পেলে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি;
আমার বড় ভাই জাপানে থাকেন ৩৫ বছর যাবত। আমার ছোট ভাই জাপানে ছিল দীর্ঘদিন- ২০১৩ সালে তার অকাল প্রয়ান হয় সেখানেই। আমার চার কাজিন প্রায় তিন যুগের কাছাকাছি জাপানে থাকে। তাদের দু'জন জাপানে বিয়ে করেছিল। একজনের দু'সন্তান- তাদের আপোসে ডিভোর্স হয়ে গেছে। ছেলেরা মায়ের সাথেই ছিল।
আমার বড় ভাই এর স্ত্রী জাপানিজ। তাদের তিন সন্তান বর্তমান(২ মেয়ে ১ ছেলে)। ভাই বছরের অর্ধেকের বেশী সময় বাংলাদেশে থাকেন। আমার ভাবি পেশাদার শিক্ষক হিসেবে বেশ ভাল আয় করলেও সন্তান ও সংসারের বড় একট অংশ ভাই বহন করেন।
বড় মেয়ে সবে চাকুরিতে ঢুকেছে। ছোট মেয়ে কি এক অজানা কারনে তার গ্রাজুয়েশন কমপ্লিট করার জন্য বাংলাদেশে এসে ব্রাক ইনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে। ভাবি তার ছেলে-মেয়েকে বাংলাদেশে রাখার ব্যাপারে কখনোই আপত্তি করেননি। বাংলাদেশের পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন তার খুব পছন্দের।
বহু আগে থেকেই আমরা বিভিন্নভাবে ভিন্ন ভিন্ন প্রফেশনের জাপানিজদের সাথে বেশ ঘনিষ্ঠ। প্রায় সব জাপানিজ আবেগ বিবর্জিত, সুপার প্রফেশনাল, নিষ্ঠুর ও স্বার্থপর টাইপের। যাদের মানবিক আমোদপ্রিয়, ভোজন রসিক ও বন্ধু বতসল দেখেছি তাদের বেশীরভাগেরই অরিজিন জাপানিজ নয়। এদের আদি পুরুষ হয় কোরিয়ান নয় তাইওয়ানিজ বংশোদ্ভূত।
আবেগহীন স্বার্থপর জাপানিজদের আমার ছোট ভাই কখনোই পছন্দ করেনি- আমার বড় ভাই ও পছন্দ করে না। এমনকি কোন এক বিচিত্র কারনে আমার ভাবিও জাপানিজদের পছন্দ করে না।
এখন আসি দ্বীতিয় পর্বে;
আপনার লেখার সুত্র ধরে; বাবা ইমরান ২০২১ সালে বাংলাদেশী পাসপোর্ট করে দুই মেয়েকে নিয়ে এদেশে পালিয়ে আসে।
আমেরিকান পাসপোর্টধারি ( কেউ একজন বলেছে) বাবা জাপানিজ পাসপোর্টধারি দুই মেয়ের বাংলাদেশের পাসপোর্ট করে এদেশে পালিয়ে আসা সম্ভব বলে আপনার মনে হয়?? জাপানিজ কতৃপক্ষের অনুমোদন/ মায়ের অনুমোদন ছাড়া বাংলাদেশে এভাবে পালিয়ে আসা কি মুখের কথা?? বাংলাদেশী এম্বাসির এমন বুকের পাটা আছে এ কাজ করার? দুটো জাপানিজ মেয়ে( সম্ভবত না- বালিকা)দেশী পাসপোর্ট করে জাপান থেকে চলে যাচ্ছে এটা জাপান ইমিগ্রেশন মেনে নিল- আর মেয়েদুটো তার মা কে ছেড়ে আনন্দ চিত্তে চলে আসল??
বাবা মেয়েদের মানসিক শারিরিক কষ্ট দিচ্ছে এটা আপনি নিশ্চিত- না কি এর উল্টোটা, মা-ই বরং মানসিক নিপিড়ন করছে।
মায়ের ব্যাপারে ভালবাসা পুরোটাই আর বাপের ব্যাপারে নিপিড়ন আর প্রতিশোধ- বাঃ

আপনারা মা দেখে শুধু মায়ের ফিলিংসটাই বোঝেন- বাপেরটা একরত্তিও বোঝেন না।
আমার মেয়ের জন্য আমি বিশ্ব সুংসার তছনছ করে ফেলতে পারি -শুধু এটুকুই বললাম।

আমি ইমরান বা তার প্রাক্তন জাপানিজ বউকে চিনিনা- তারা কে কেমন মানুষ তাও আমি জানিনা তবে বাবা হয়ে বাবার আবেগের কথা বললাম। কষ্ট পেলে দুঃখিত।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

সোহানী বলেছেন: আমি মা তাই মায়ের পক্ষ নিবো তবে অবশ্যই অন্ধের মতো নই। এ ইমরান সাহেবের সব কিছু পড়ে শুনে তবেই আমি মাকে পুরোপুরি সাপোর্ট দিয়েছি। আর আপনি সবার আগে বাবা, তাই আপনার বিচার বাবার পক্ষেই বেশী যাবে সেটাই স্বাভাবিক।

আপনার মতো জাপানের তেমন কারো সাথে আমার যোগাযোগ নেই একমাত্র বাবার খুব কাছের বন্ধু টাকোমী সাইতো ছাড়া। উনাকে আমার বরাবরেই নিপাট ভদ্রলোক মনে হয়েছে। আর জাপানীজরা খুব একটা মাইগ্রেট করে না তাই আমার তেমন কোন জাপানীজদের সাথে জানাশোনাও নেই। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে, আপনার আসে পাশে কিছু নেগেটিব চরিত্রের মানুষ থাকলেই পুরো জাপানের সবাই খারাপ হবে এমন টা আমি বিশ্বাস করি না।

আর পার্সপোর্টের যে ব্যাপারটা বলেছেন তা সত্য নয়। এ ইমরান সাহেব মেয়েদের দুই নাম্বারী পার্সপোর্ট বানিয়েই পালিয়েছে।

৩৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪২

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা খারাপ, আমরা গালি দেই। কিন্তু এখন পর্যন্ত এই মামলায় আমাদের বিচার-ব্যবস্থা প্রাজ্ঞতার প্রমাণ দিয়েছে, জাপানি মহিলাও বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থায় যথাযথ অভিযোগ করতে পারছেন।

শরীফ সাহেব জাপানের আদালতে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই পেতেন না, মহিলা বাংলাদেশে পারছেন। মহিলা যদি কোনোমতে বাংলাদেশ ছাড়তে পারেন, শরীফ সাহেবের বিচারের আশা শেষ।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২০

সোহানী বলেছেন: "শরীফ সাহেব জাপানের আদালতে দাঁড়ানোর কোনো সুযোগই পেতেন না" এটা কিভাবে ভাবছেন? আপনি সেখানকার মামলা পরিচালনার কিছু দেখেছেন নাকি তা নিয়ে পড়াশোনা করেছেন?

৩৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৪৮

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার পোস্ট খুব জমে যায়। তাই আপনার প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ মাসে ২ টা করে গরম গরম পোস্ট দেবেন। ঝগড়াঝাঁটি যাই করি ব্লগ তো জমবে। :)

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২১

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা চুয়াত্তর ব্রাদার, এই পোস্ট ঝড়ে বক পড়ার মতো করে জমেছে। আমি তেমন কোন ভালো লেখক বা ভালো ব্লগার নই।

৩৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫০

রেজাউল৭৬ বলেছেন: আপনার পোস্টটা বছরখানেক আসলে অনেক উপকার পেতাম। শিক্ষনীয় এই পোস্ট থেকে
জানতে পারলাম একটা স্পার্ম দেওয়া ছাড়া বাবার আসলে সন্তানের বিষয়ে কোনো কর্তব্য বা দাবি থাকে না। এই জিনিসটা আগে জানতে পারলে স্ত্রীকে বলতাম স্পার্ম ব্যাংক থেকে একটা স্পার্ম কিনে নিতে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫২

রেজাউল৭৬ বলেছেন: জাপানে এ লোক তেমন কোন কাজ করতো না। এরিকোর আয়ে চলতো।


রেফারেন্স যদি অনুগ্রহ করে দিতেন তাহলে আপনার মত জ্ঞানীগুণীরা কোথা থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন জানতে পারতাম।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৪১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১:৫৪

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আমরা আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অভিজ্ঞতা দিয়ে অন্যকে বিচার করি , এটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমাদের বিচার যে সঠিক হবে এমন কোন কথা নেই ।

আপা আপনি এরিকোর মাতৃত্বকে পক্ষ করে সব বিচার করছেন আপনি কেন পিতার পিতৃত্ব নিয়ে ভাবছেন না ? লোকটা মেয়েদর বাংলাদেশে এনে নিজের কাছেই তো মানুষ করছে তাই না ? সে তো আর তাদের দূরে ঠেলে দিচ্ছে না । এরিকোর যেমন অধিকার আছে মেয়েদের চাইবার তেমন তো মেয়েদের বাবারও আছে সেই অধিকার এখন মেয়েরা কার সাথে থাকতে চাইছৈ সেটাই বড় কথা । বড় মেয়ে বাবার সাথে থাকতে চাইছে না মেজো মেয়ে চাইছে তো তাদের চাওয়াকে কেন প্রাধান্য দেব না ?

আমরা আইন নিয়ে ও পরিস্থিতি বিচার না করে কেবল আবেগ দিয়ে কথা বলছি এটাকে কী বিচক্ষণতা ও যৌক্তিক বলা যায় ?

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: আইন যেখানে বিচার করেছে লোকটি সে বিচারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে, সেটা কি বুঝতে পারছেন!

আর আমি দেশ ও দেশের বাইরে থাকি বলে সন্তানের কাস্টডিয়ান লড়াইয়ের দুই পাশের গল্পই জানি। যা আমাদের অনেক বাবারাই জানেন না। আর এ লোক তা জানে বলেই জাপান থেকে পালিয়ে এসেছে।

৪২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:০৮

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আমিও দুই মেয়ের বাবা । ছৌট মেয়ের বাবাকে জড়িয়ে ধরে কান্নার ছবিটা বুকে লাগে

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৬

সোহানী বলেছেন: মায়ের কান্নারও অনেক ছবি আছে। সেটা দেখেই আমারো বুকে ব্যাথা লেগেছে বলেই লিখাটা লিখিছি।

৪৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:২৬

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
এই ঘটনা আমেরিকা হলে বিচার ফিচারের আগে এম্ব্যার এটার্ট জারি করে লোকটিকে গ্রেফতার করে লাল ঘরে ঢুকাতো।

আমাদের দেশ সহ দেশের আইন অনুযায়ী আঠারো বছর পর্যন্ত মেয়ে মায়ের কাছে থাকবে।
এসব ক্ষেত্রে প্যারেন্ট এবং তার আত্মীয়রা ডিসাইড করার কেউ নয়। আইনত হোক বা মানবিক বা সামাজিক হোক।
এমনকি মা অত্যাচারি হলেও বাবা বাচ্চা পাবেনা, আমেরিকান ও সব সভ্য দেশের আইনে।
বাচ্চা যাবে রাষ্ট্রিয় বা সিটি সমজকল্যান হেফাজতে।

এমন কি বাচ্চাদের যথেষ্ট পরিমাণ বয়স (১৮) না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডিসাইড বিবেচিত হয় না,
কারন কম বয়সি বাচ্চারা দির্ঘ বিচ্ছিন্নে ম্যানিপুলেশের শিকার হয়ে না বুঝে দু প্যারেন্টের ভেতর পার্ট নিতে পারে।

লোকটি অনেকগুলি অপরাধ করেছে।
জাপানি মামলা চলমান রেখে তিনি ফেইক কাগজপত্র এবং পাসপোর্ট তৈরি ব্যবহার করেছেন।
বাচ্চাদের দেশের আইনভঙ্গ করে পারিবারিক মামলা চলমান রেখে মিথ্যে ডকুমেন্টসে জিওগ্রাফিক্যাল বর্ডার পার করেছেন!
আন্তর্জাতিক চিল্ড্রেন কনভেনশন অনুযায়ী, প্যারেন্টস যদি দু দেশের ন্যাশনাল হন বা এক দেশের হন, অন্য প্যারেন্টের অনুমতি ব্যাতিরেকে বাচ্চাকে নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারেন না।
এটা প্যারেন্টসদের রাইটসের প্রশ্ন নয়, বাচ্চাদের আরেক প্যারেন্ট থেকে বঞ্চিত করার কোন রাইট নেই, এই জন্য।
সাধারনত প্রথম মামলা, স্থানিয় আদালতে প্রথমত বসবাসরত দেশের (জাপান) আইন ও আদালতের রায় প্রাধান্য পাওয়ার কথা।
আমাদের আদালতও রায়ে অনেকটা এই নির্দেশনা দিয়েছিল। যে এই মামলা করার একতিয়ার বাংলাদেশে নেই।

আবারো বলছি প্যারেন্ট এবং তার আত্মীয়রা ডিসাইড করার কেউ নয়। এমন কি বাচ্চাদের যথেষ্ট পরিমাণ বয়স (১৮) না হওয়া পর্যন্ত তাদের ডিসাইড বিবেচিত হয় না, কারন কম বয়সি বাচ্চারা দির্ঘ বিচ্ছিন্নে ম্যানিপুলেশের শিকার হয়ে না বুঝে দু প্যারেন্টের ভেতর পার্ট নিতে পারে। আমাদের দেশের 'তালেবানি মাইন্ডেড' আদালত কেন এই বাচ্চা চোরের পক্ষে প্রথম দিকে রায় দিল আমি কিছু বুঝলাম না।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমাদের ব্লগাররা দেশীয় বাবার স্টাইলে মন্তব্য করছে ও সাপোর্ট করছে। ্ওরাই যখন দেশের বাইরে যাবে তখনই আপনার বাকি কথাগুলো বুঝতে পারবে।

আমেরিকা কানাডায় হলে রেড এ্যালার্ট জারি করে এ লোককে জেলে ভরতো। এ সত্যটা বোঝার ক্ষমতা দেখছি অনেকেরই নেই।

৪৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪১

ঢাবিয়ান বলেছেন: এই পোস্ট নিয়ে বিতর্ক বাধলো কেন একেবারেই বোধগম্য হয়নি। অনেকেই মনে হয় খবরটা পড়েনি পত্রিকায়। পিতা জনাব ইমরান কেমন ধুরনের মানুষ সেটা পরের ব্যপার । ব্লগার করুনাধারা আপা জানিয়েছেন আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী আঠারো বছর পর্যন্ত মেয়ে মায়ের কাছে থাকবে। ছেলে হলে তা ৭ বছর। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেরশের আদালত প্রথমে আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে এই বাবার পক্ষে রায় দিল কিভাবে? জাপানী মায়েরতো আইনের স্বাভাবিক গতিতেই বাচ্চাদের কাস্টোডি পাবার কথা। কেন পায়নি? কেন এই মাকে ও তার দুই নাবালিকা সন্তানকে দুই বছর ধরে মানসিক টর্চারের মধ্যে রাখা হল?

এইবার আসি এই পিতা কেমন ধরনের মানুষ সেই প্রশ্নে। কোন পিতা সন্তানকে ভালবাসলে এইভাবে বাংলাদেশের আদালতকে প্রভাবিত করে সন্তানদের নরক যন্ত্রনা দেয়ার পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে না। যারা এই পিতার অন্যায়কে সমর্থন করছেন তারা হয়ত না বুঝেই একজন অপরাধীকে সমর্থন করছেন। পিতা মাতা এবং অপরাধী দুইটা ভিন্ন টার্ম । অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই চিহ্নিত করতে হবে স নারী না পুরুষ সে হিসেবে নয়।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৩

সোহানী বলেছেন: এ সহজ সত্যটা দেখি আমাদের বেশীর ভাগই ব্লগাররা বুঝতে পারছে না। বাঙ্গালী বাবার স্টাইলে মানসিকতা তাদেরকে অন্ধ বানিয়ে রেখেছে। মা যে কি জিনিস সেটা বোঝার ক্ষমতা এদের নেই।

এ লোকের শাস্তি হওয়া উচিত বাচ্চাদেরকে এরকম নরকে ফেলার জন্য।

৪৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৪

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @হাসান কালবৈশাখী, এমনকি মা অত্যাচারি হলেও বাবা বাচ্চা পাবেনা, আমেরিকান ও সব সভ্য দেশের আইনে। এটি কী কোনো সভ্য দেশের আইন হতে পারে, আমেরিকা ছাড়া কোনো সভ্য দেশের কথা বলছেন? কিছু দেশের উদাহরণ দিতে পারি যেখানে এরূপ ক্ষেত্রে মাকে জেল-জরিমানা করা হবে এবং তার অভিবাবকত্ব বাতিল হবে।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৬

সোহানী বলেছেন: রশীদ সাহেব, আমার ধারনা আপনি অযথাই উত্তেজিত হচ্ছেন।

আমেরিকা কানাডায় শিশুরা সব কিছুর উর্ধ্যে। উর্ধ্যে মানে উর্ধ্যে। মা বাবা বা অন্য কাউকেই গোনায় তখনই ধরে যখন দেখে সেখানে বাচ্চা নিরাপদ। সেটা মা বা বাবা বলে কথা নেই। কিন্তু যেহেতু ৯৫% মা ই ভালো থাকে তাই বেনিফিট অব ডাউট থেকে প্রথমে বিচার শুরু হলেও পরে তা পরিবর্তন হয়।

৪৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: বাংলাদেশিদের বহির্বিশ্বে ভাল কোন পরিচিতি নেই। এই ঘটনার বাজে প্রভাব পড়বে জাপানে প্রবাসী বাংলাদেসীদের উপর।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৭

সোহানী বলেছেন: একদম সত্য। বিভিন্ন পত্রিকায় এ নিয়ে বেশ গুড়ুত্ব দিয়ে খবর ছাপছে।

৪৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫১

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @ঢাবিয়ান, করুণাধারা ও আপনার বক্তব্য মোটামুটি ঠিক আছে, কিন্তু জাপানের আইনে বাবা বা মার শুধু একজন কাস্টডি পান, অন্যজন সারাজীবন চেষ্টা করেও সন্তানের মুখ দেখতে পান না। বহির্বিশ্বের চাপে জাপান একটি চুক্তি করেছে আইনটি বাতিল করতে কিন্তু জাপানে তেমন এর কার্যকারিতা নেই, কিছু ধনী রাষ্ট্রের কিছু ক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ ছাড়া। এজন্যই আলোচ্য বিষয়টি এত সরল নয়। বিচার-ব্যবস্থা চালিত হওয়া উচিত অগ্রপশ্চাৎ বিবেচনায়। আইনের ক্লজ মুখস্থ বসিয়ে দিলে হয় না। তাহলে প্রতি ঘন্টায় বিচার করা যেত শতেক।

০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৩৮

সোহানী বলেছেন: আপনি কি জানানে আছেন?

৪৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ২:৫৬

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: কোন পিতা সন্তানকে ভালবাসলে এইভাবে বাংলাদেশের আদালতকে প্রভাবিত করে সন্তানদের নরক যন্ত্রনা দেয়ার পরিস্থিতি তৈরী করতে পারে না।

@ঢাবিয়ান কীভাবে তিনি নরকাবস্থা তৈরী করলেন ? এটা যদি একটু বুঝিয়ে বলতেন ভালো হত ।

বাংলাদেশ আইন অনুযায়ী মেয়েকে ১৮ বছর পর্যন্ত মায়ের জিম্মাদারীত্বে থাকতে হবে এটা কে বলল ? সেটা তো বয়ঃসন্ধি পর্যন্ত বলা আছে এখানে তো বয়স নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি তাই না !

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫৬

সোহানী বলেছেন: সন্তানদের নরক যন্ত্রনা দেয়ার পরিস্থিতি তৈরী করেছে কারন এ লোক বাচ্চাদেরকে নিয়ে পালিয়ে এসেছে।
সে কি আলোচনার মাধ্যমে এসেছে?
সে কি জাপানী আদালতের অনুমতি নিয়ে এসেছে?

না আসেনি!!

৪৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩২

মিরোরডডল বলেছেন:




একজন প্যারেন্ট আরেকজন প্যারেন্টের অনুমতি ছাড়া অথবা না জানিয়ে বাচ্চাদেরকে অন্য দেশে নিয়ে চলে যাবে, এই বিষয়টাইতো স্বাভাবিক না। এরকম একটা কাজ অবশ্যই অপরাধ, সে যেই করুক না কেনো।

অন্যদেশের কথাতো জানিনা, তবে এখানে দেখেছি বাচ্চাদের মেন্টাল গ্রোথের জন্য বাবা মা দুজনকেই দরকার, তাই একটা সার্টেইন বয়স পর্যন্ত মায়ের কাস্টডিতে থাকে কিন্তু বাবার এক্সেস থাকে। বাবা সন্তানদের ভিজিট করতে পারে এবং মাঝে মাঝে বাবার কাছে নিয়েও রাখতে পারে।

এরিকো এবং ইমরানের উচিত আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে যেটা হলে বাচ্চাদের মঙ্গল হয় সেরকম কিছু করা।
কি একটা অবস্থা! বাবা মায়ের দ্বন্ধ আর মাঝখান থেকে বাচ্চাগুলোর মানসিক চাপ হচ্ছে :(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৫:৫৭

সোহানী বলেছেন: সেটাই সবচেয়ে বড় কথা। বাচ্চারা মারাত্বক মানসিক প্রেসারে আছে। যা কোনভাবেই কাম্য নয়।

৫০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৪

ঈশ্বরকণা বলেছেন: ঢাবিআন, করুনাধারা বলেছে বলেই আপনিও বলে হুক্কা হুয়া বলে উঠলেন । বোঝাই যাচ্ছে করুনাধারা খানিকটা জেনেই মন্তব্যটুকু করেছেন কিন্তু আপনি আপনার মন্তব্য করার আগে যে কোনো কিছুই চেক করেননি সেটাই বোঝা গেলো । " তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেরশের আদালত প্রথমে আইনের বিরুদ্ধে গিয়ে এই বাবার পক্ষে রায় দিল কিভাবে? জাপানী মায়েরতো আইনের স্বাভাবিক গতিতেই বাচ্চাদের কাস্টোডি পাবার কথা" এই কথাটা যে আপনি ভুল বলেছেন সেটা কি খেয়াল করেছেন ? করুণাধারাপ যা বলেছেন তার পুরোটা কিন্তু ঠিক বলেননি । উনি যা বলেছেন বাচ্চাদের কাস্টডির কথা সেটা বাবা মা দুজনই বাংলাদেশে বসবাস করলেই প্রযোজ্য হবে ।বাংলাদেশ অন্যান্য অনেক মুসলিম দেশের মতোই Hague Convention on Child Abduction-এর সিগনেটোরি না । এর মানে হলো বাংলাদেশের বাইরে বাচ্চাদের নেবার সম্ভাবনা থাকলে সেখানে আদালতের বিবেচনা করার সুযোগ আছে কাস্টডির বিষয়টা। মা -ই শুধু বাচ্চাদের কাস্টোডিয়ান হবে সে কথাটা আর তখন সব সময়ই প্রযোজ্য নাও হতে পারে ।তাছাড়া 'বাংলাদেশের ডিভোর্স ল হচ্ছে মুসলিম শরিয়া আইনের ভিতিত্তে । সেখানে মা নন মুসলিম হলে কাস্টডির বিবেচনার বিষয়গুলো আদালতে অন্য রকম হয়ে যাবে সেটাও মনে রাখতে হবে। দুই দুইয়ে চার হিসেবে করে যা বলেছেন ব্যাপারটা কিন্তু আইনত তেমন না ।তাই বাবা বাংলাদেশের আদালতকে প্রভাবিত করে সেটা সহজেই বলার সুযোগ কিন্তু নেই একেবারেই সাথে সাথে আইনটাও এখানে আনডিস্পিউটেড না সেটাও মনে রাখা জরুরি ।

আর কোনো মন্তব্যঃ করবো না পোস্টে বলেও ঢাবিয়ানের মন্তব্য পরে এইটুকু বলতেই হলো । কিন্তু আমার বক্তব্য শেষ এই পোস্টে ।


০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০০

সোহানী বলেছেন: কিসের বলে এ লোক প্রথম আদালতে বাচ্চাদের কাস্টডি পেয়েছে তা বোঝার জন্য খুব বেশী জ্ঞানের দরকার নেই মনে হয়।বাংলাদেশের আদালতকে প্রভাবিত করা যায় কি যায় না তা আপনি কি জানেন না??

আবারো বলছি, পোস্টে আসা বা মন্তব্য করা সেটা একান্ত যার যার ব্যাক্তিগত পছন্দ।

ধন্যবাদ।

৫১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫০

নিমো বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: @নিমো, ঠিক যে কারণে আপনাদের জাপানি ভদ্রমহিলা আদালতের নিষেধ সত্ত্বেও কয়েকবার গোপনে বাংলাদেশ থেকে পালাতে চেয়েছেন।
তাই কী ? ইমরানের বিয়ে, সন্তানের জন্ম, শিক্ষা, বিবাহ-বিচ্ছেদ ও তৎপরবর্তী সকল ঘটনা ঘটেছে জাপানের সার্বভৌম আইনি ব্যবস্থায় ও পরিকাঠামোর মধ্যে। জাপানে উদ্ভূত সমস্যার সমাধান জাপানেই হওয়া উচিৎ। জাপানের আইনি সমস্যাকে বাংলাদেশের আদালতে টেনে আনাইতো চরম বেআইনি কাজ। সুতরাং মা জাপানে যেতে চাইবে নাতো কি পশ্চিমে যেতে চাইবে ? আপনার কথামত চললেতো বাংলাদেশে হওয়া সকল অপরাধের বিচার পশ্চিমের আদালতে গিয়ে চাইতে হবে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। সহমত।

৫২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫২

নিমো বলেছেন: এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আর আপনার কথামতো খারাপ আইনকেও যদি সবসময় মানতে হয় (কারণ দেশটি মহান জাপানদেশ), তাহলে দুনিয়া জাপানদেশই হবে, মানুষ হবে না।
সেটা জাপানিদেরই ঠিক করতে দিন না। আমি, আপনি বা পশ্চিমাদের মাথাব্যথার কী দরকার ?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৫৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

নিমো বলেছেন: সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: এখনই তো পেট ভাড়া পাওয়া যায়।
আপনার এই বক্তব্যটায় আপনার সভ্যতা, ভব্যতার খানিকটা নমুনা পাওয়া যাচ্ছে।

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি বাবাকে গোনায় ধরতে চাচ্ছেন না মনে হয়।
বাব গর্ভ ধারণ করেন না, কিন্তু মা করেন। সন্তানের খাদ্যের সংস্থানও মায়ের কাছেই থাকে, বাবার কাছে না। আপনি যেহেতু ধর্ম-বিজ্ঞান সব গুলে খেয়েছেন, এর চেয়ে বেশি লিখলে আপনার বদহজম হবে।

এত যে আইন আইন করছেন, তো ইমরানকে বলুন না আগে জাপানের আইনি প্রক্রিয়াটা আগে শেষ করে আসতে।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৪

সোহানী বলেছেন: কিছু কমেন্টস দেখলে অবাক হতে হয়। মায়েদের সামান্য সন্মানটুকু এরা করতে জানে না।

জাপানে কিছু করতে পারেনি বলেইতো পালিয়ে এসেছে। সাহস থাকলেতো সেখানেই মোকাবেলা করতো, চোরের মতো পালিয়ে আসতো না।

৫৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০১

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: কোন পুরুষের একজন মায়ের এক বিন্দু কষ্ট বোঝার ক্ষমতা কখনই হবে না, কখনই না।

প্রিয় ব্লগার আমি আপনার একথাটির সাথে দ্বিমত পোষণ করছি। আপনি আপনার সন্তান, বাবা, আত্নীয়-স্বজন কিম্বা বন্ধু-বান্ধবের মধ্যে নিশ্চয়ই এমন অনেক পুরুষের সাথে পরিচিত হয়ে থাকবেন যারা নারীদের প্রতি এমনকি নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সকলের প্রতি দারুনভাবে অনুভূতিশীল।

তাহলে সকল পুরুষকে এভাবে জেনারেলাইজড করা কি ঠিক হলো?

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৫

সোহানী বলেছেন: মায়ের কষ্ট বোঝা আর সহমর্মিতা এক নয়। একজন মায়ের কষ্ট শুধু একজন মা ই বুঝতে পারে।

৫৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:০৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: নিমো, আপনার চিন্তাভাবনা প্রস্তর যুগের, আপনার সঙ্গে কথা বলার মানে হয় না। বর্তমান বিশ্বে আপনি যেকোনো দেশের অন্যায়ের প্রতিবাদ অন্য যেকোনো দেশে করতে পারেন। শরীফ সাহেব বাংলাদেশে হারলেও তার প্রতিবাদ জাপানী অন্যায়ের বিরুদ্ধে ভূমিকা রাখবে। আপনার মতো লোক নন্দলালের মতো মাছি মারতে থাকেন। বাই বাই।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

সোহানী বলেছেন: শরীফ সাহেব ভীতু, সাহস নেই সত্যকে মোকাবেলা করার। তাই পালিয়ে এসেছে। চোর অপরাধীরাই পালায়, ভদ্রলোক পালায় না।

৫৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:২৫

জিকোব্লগ বলেছেন:



বাচ্চারা যার সাথে থাকতে চায় , তাঁর সাথেই থাকতে দেওয়া হোক।

নিচের ভিডিও দেখুন বাচ্চা কার সাথে থাকতে চায়, কোথায় থাকতে চায় :

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:০৯

সোহানী বলেছেন: আপনার ৭ বছরের বাচ্চাকে এক দঙ্গল অচেনা মানুষের সামনে দাঁড় করাবেন আর সেখানে এ লোকটি মানে যাকে বাবা বলে জেনেছে তাকে ছাড়া এ বাচ্চাটি কাউকে চিনে না। তারপর প্রশ্ন করবেন, দেখবেন উত্তরটা কি আসে।

আপনাদের তা বুঝতে আরো সময় নিবে।

ধন্যবাদ।

৫৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:০৬

জিকোব্লগ বলেছেন:



পুরা ঘটনা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বোঝার চেষ্টা করলাম। সেখান থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার ,
এই জাপানিজ মহিলা নাকানো এরিকো বাংলাদেশকে পছন্দ করে না। পুরুষ / মহিলা যেই
বাংলাদেশকে পছন্দ করে না , তার প্রতি ঘৃনাই জানাই। সেই দৃষ্টি থেকে এই মহিলার প্রতি ঘৃণাই
থাকলো।

এই মহিলা এখন পরোক্ষভাবে জাপানিজ এম্বেসীকে কাজে লাগিয়ে মেয়েকে বাপের কাছে থেকে
ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছে। যদি বাংলাদেশ শক্তিশালী দেশ হত , কোর্টের রায় অবশ্যই ভিন্ন হত ও
বাংলাদেশীকেই বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হত। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত ঘটনা কোথায় গড়ায় !

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১১

সোহানী বলেছেন: জিকো সাহেব, "এই জাপানিজ মহিলা নাকানো এরিকো বাংলাদেশকে পছন্দ করে না।" পছন্দ করার মতো কি কাজ করেছে তার স্বামী বা অন্যরা??? কাস্টডিয়ান আইন বলে যে কিছু আছে তা কি জানেন?

৫৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

রামন বলেছেন: এটি বাস্তব সত্য যদি এই দম্পতির বিবাহ এবং বাচ্চাদের জন্ম বা়ংলাদেশে হত তাহলে এই পরিস্থিতিতে জাপানি মাকে সন্তান ছাড়াই দেশ ত্যাগ করতে হত। সুতরাং এই দিক থেকে জাপানি মা কে ভাগ্যবতী বলা যেতে পারে।

আজকে জাপানি বাচ্চাদের দুঃখ দুর্দশা সৃষ্টির জন্য সিংহভাগ দায়ী তাদের বাবা ইমরান । তিনি জাপানের বিবাহ-বিচ্ছেদ আইন মেনেই বিয়ে করেছিলেন, তিনি অবশ্যই জানতেন বিবাহ বিচ্ছেদের পরিনতি কি হতে পারে। তিনি বাচ্চাদের মাকে না জানিয়ে আদালতের আইন অমান্য করে পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছেন যা নিঃসন্দেহে অপহরণ করার মত একটি ফৌজদারি অপরাধ। এরপর আরো একটি মারাত্মক অপরাধ করেছেন বাংলাদেশের দুতাবাসের সহায়তায় জাপানি বাচ্চাদের বাংলাদেশের পাসপোর্ট বানিয়ে যা তিনি মায়ের সম্মতি ছাড়া করতে পারেন না।

এরপর জাপানি মা বাংলাদেশে এসে মেয়েদের দেখা করতে চাইলে ইমরান সাহেব মায়ের চক্ষুদুটি বেঁধে অজানা স্থানে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেন। ইমরান সাহেবের এহেন বর্বর কর্মকান্ড অনেকের বিবেককে নাড়া দেয়।
সর্বশেষ কথা বিশ্বের সকল দেশের আইনে বলা হয়েছে সংসারে বিরোধ / বিচ্ছেদ হলে নাবালকদের দেখভাল করবে মা যদি মা অপারগ হন তাহলে বাবা এরপর দেখবে সরকার।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৪

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ। অনেক কঠিন সত্য সহজভাবে বলার জন্য।

৫৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:৩০

মিরোরডডল বলেছেন:



এরপর জাপানি মা বাংলাদেশে এসে মেয়েদের দেখা করতে চাইলে ইমরান সাহেব মায়ের চক্ষুদুটি বেঁধে অজানা স্থানে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেন। ইমরান সাহেবের এহেন বর্বর কর্মকান্ড অনেকের বিবেককে নাড়া দেয়।

কি নির্মম!!! :(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৫

সোহানী বলেছেন: হাঁ মিরোর, এ কারনেই আমি খুবই ব্যাথিত বিশেষকরে বাচ্চাদের জন্য। আমার নিজেরেই এ বয়সী বাচ্চা আছে, আমি কোনভাবেই এটা মেনে নিতে পারছি না।

৬০| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২২

অল্পকথা বলেছেন: @শেরজা তপন আপনার ্মন্তব্যটা ভালো ভাবে পড়লাম।
আপনার ভাবী মনে হচ্ছে জাপানীজ ।। একজন জাপানের শিক্ষকের বেতন সম্পর্কে আমার কিছু ধারনা আছে। সুতরাং আপনার ইকথাটা সর্বাংশে ঠিক নয়।জাপানীজ দের সম্পর্কে আপনার মন্তব্যের সবটুকুই আওন্যের দৃষ্টিতে দেখা। আমি ছাব্বিশ বছর ধরে জাপানে আছি। আমার অভিজ্ঞতার সাথে মিলে না। ইমরান সাহেব সম্পর্কে আমার কোন ধারনা না থাকলেও আমি তার স্ত্রীর সম্পর্কে অনেক কিছুই জানি,তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আপনার আত্মীয় স্বজন যেহেতু জাপানে থাকেন তাদেরও জানা থাকার কথা। জাপানী ভাষায় ইমরান সাহেবার নাম লিখে গুগল করলেই অনেক কিছুই জানতে পারবেন.।।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৬

সোহানী বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৬১| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৫

রানার ব্লগ বলেছেন: আমি এই ঘটনা প্রথম থেকেই ফলো করছি। ভদ্রমহিলা প্রথম থেকেই বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতীবাচক মন্তব্য করে এসেছেন। যখন আদালত বাবার পক্ষে রায় দিয়েছিলো ভদ্রমহিলা জঘন্য ভাষায় বাংলাদেশের আইন কে আঘাত করেছেন। একজন বাবার কি কি ধরনের আবেগ দেখাতে হবে তার সন্তানকে কাছে পাওয়ার এটাই বুঝি না। তারপর ছেলে মানুষের আবেগ দেখানো সাধারণ মেয়েদের মতো হয় না। আপনার উচিৎ নিরেপক্ষ অবস্থান থেকে পর্যবেক্ষণ করা। একচেটিয়া জাপানি মহিলা কে আপনি মায়ার সাগরে ভাসাতে পারেন না।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:১৯

সোহানী বলেছেন: আমি সবার প্রথমে মা তারপর অন্য কিছু। এবং সবকিছু বিবেচনা করেই বলছি, এ লোকের জেল হওয়া উচিত। সাধারন চিন্তা করলেও এ লোককে কোনভাবেই সাপোর্ট করা যায় না।

৬২| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

শেরজা তপন বলেছেন: অল্পকথা - ঠিক বলেছেন, তবে উনি শুধু শিক্ষক নন, একটা স্কুল শাখা তিনি নিজেই পরিচালনা করেন ( এত ডিটেলে যেতে চাইনি)। পারিবারিক ও ব্যাবসায়িক সুত্রে প্রায় শতাধিক জাপানিজ আমাদের বাড়িতে আতিথিয়েতা নিয়েছেন। আপনি কিভাবে তাদের সাথে মিশেছেন আমি জানিনা; কিন্তু এদেশে এসে জাপানিজদের সাথে ব্যাবসায়িক লেনদেন করেন তারপরে বুঝবেন । অবশ্য বাঙ্গালীরাও যে খুব ভাল সেটা মোটেও নয়।
আমার নিজের ব্যক্তিগত তথ্যের অনেক অভিজ্ঞতা আমি বর্ণনা করতে পারব- আমি মনগড়া কথা বলিনা তবে সব জাপানিজকে মিন করা ঠিক হয়নি। ব্যতিক্রম সবখানেই আছে।
এখানে ইমরান সাহেব কি বা কে বার তার স্ত্রী কি বা কে সেটা আমার জানার আগ্রহ নেই। এই পোস্টটি মুলত পুরুষ নয় বাঙ্গালী বাবা বিদ্বেষী হয়েছে সেজন্য একজন বাবা হিসেবে আলোচনা বা সমালোচনা করেছি।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২০

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

৬৩| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৬

অল্পকথা বলেছেন: @শেরজা তপন জাপান আসার পাঁচ বছর আগে থেকেই জাপানীদের সাথে সংশ্লিষ্ট। একজন বাবা বা মা হিসেবে কোন বিষয়টি সন্তানের জন্য মংগল হবে তা বিবেচনা করাই কি উচিত নয়। ইমরান সাহেব যে যুক্তিতে বলছেন মেয়েদের সাথে যোগাযোগ করতে দেয়া হবে না এটা ঠিক নয়। মেয়েরা চাইলেই তার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আঠারো বছর পার হলে জাপানী বাচ্চাদের উপর এই বিচারের কোন কার্যকরীতা থাকবে না। মেয়েরা যে কোন সময়ই বাবা মার সাথে দেখা করতে পারেন। আটারো বছরের পর জাপান বা আমেরিকার মধ্যে একটা বেছে নিতে হবে।
সবচেয়ে বড়ো ব্যাপার হলো এই মামলার কোন সংবাদ জাপানী মিডিয়াতে দেখিনি। এই রকম মামলায় জাপানের কোন বাচ্চাকে সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাঁড়িয়ে বলতে হয় না। খুব ভালো করে খেয়াল করুন কখন থেকে ইমরান সাহেবের স্ত্রী মিডিয়া কে কথা বলতে শুরু করলেন। যখন তিনি বুঝতে পারলেন বাংলাদেশে"পাবলিক জাজমেন্ট" একটা বড়ো ফ্যাক্টর।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ। বাংলাদেশ ছাড়া কখনই বাচ্চাদেরকে এভাবে পাবলিকলি দাঁড় করানো হয় না। এ লোক যা করেছে তা অন্যায়।

৬৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:২৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: মন্তব্যে উভয়পক্ষে বেশ কয়েকজন পাঠক হয়তো একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেছেন বলে মনে হচ্ছে, তবে তার চেয়ে বেশি পাঠক তথ্য, উপাত্য, ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সূত্র উল্লেখ করে যৌক্তিক আলোচনা করেছেন। আমি বিষয়টি পূর্বাপর ফলো করিনি বিধায় কেসটির মেরিট নিয়ে আলোচনায় যাচ্ছিনা, তবে আপাততঃ শুধু এটুকু বলছি যে আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দিন।

আবেগের নিক্তিতে জাপানি ও বাঙালির দুই মেরুতে অবস্থান। কিন্তু একসাথে আবেগ এবং আইনকে বিবেচনায় ধরলে আইনই সাধারণতঃ অগ্রগণ্যতা পায়। আমাদের দেশের আইন আদালত ভালো কি মন্দ সে আলোচনায় যাচ্ছিনা, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সবকিছু জেনে বুঝে যা রায় দিবেন, সেটাই বিপক্ষে গেলেও, সকলের জন্য শিরোধার্য। সেটা মান্য করা ব্যতীত অন্য কোন উপায় নেই। সেটার জন্যেই সকলের অপেক্ষা করা উচিত।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২৪

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ খায়রুল ভাই। এ ইমরান লোকটি প্রথম থেকেই আদালত অমান্য করে চলছে। প্রথমে জাপান পরে বাংলাদেশ।

বাচ্চাদেরকে একটু শান্তিতে থাকতে দিতে দিচ্ছে না।

৬৫| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

সোহানী বলেছেন: ও মোর আল্লাহ.......... আমিতো মনে হয় ব্লগে আগুন লাগায়ে দিলাম!!!! কে কয়রে ভাই ব্লগার খরা B-) । সবাই চিপায় চাপায় আছে, একটু আওয়াজেই হাজির হয় B-)) । এইবার জাদিদ আমারে আরেকখান পুরুস্কার দিবে .............হাহাহাহা

যা মন্তব্য দেখছি তাতে একদিন অফিস ছুটি নিয়া উত্তর দিতে হইবে........। ডোন্ট ওরি, আমি উত্তর দিতে প্রস্তুত, সেটা নেগেটিভ বা পজিটিভ যাই হোক না কেন :D

৬৬| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৫১

সোনাগাজী বলেছেন:



দেখছি, ইমরান একা ক্রিকিনাল মাইন্ডেড নয়, অনেক ব্লগারই তার মতো মনোভাবের লোক।

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২৮

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.......................

আসলে আমাদের অনেক ব্লগার বুঝতেই পারছেন না অন্যায়টা কি! কারন তাদের কাছে প্রথমত: স্ত্রীর তেমন কোন সন্মান নেই, দ্বিতীয়ত বাচ্চারা বাবার আদেশেই চলবে এমন মানসিকতা পোষন করে। তারপর মা মানেই যেমন তেমন একটা কিছু, এর কোন গুড়ুত্ব বহন করে না তাদের কাছে। এর বাইরে চিন্তা করলে বুঝতে পারতো এ ইমরান কেমন ক্রিমিনাল।

৬৭| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:৫৩

শায়মা বলেছেন: এই ঘটনা গোলমেলে আমার কাছে কিন্তু সে সব নিয়ে আমার ভাবনা নেই। আমি বুঝতে পারছি ঐ মেয়েদুটি কি মানসিক যন্ত্রনা ও দ্বিধাদ্বন্দের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। কোনো সন্তান চায়না বাবা বা মা কাউকেই হারাতে। কিন্তু নিয়তির পরিহাসে তাদেরকে হারাতে হয় মায়ের ভালোবাসা, বাবার আদর।

অবশ্যই এই জাপানী মায়ের বুক ফেটে যাচ্ছে সেটা যে কোনো মেয়ে কিংবা মা যেভাবে বুঝবে তা হয়ত অন্য কেউ বুঝবে না তবে বাবাও নিশ্চয় বাচ্চাদেরকে ভালোবাসে। এই নিঃস্বার্থ ভালোবাসায় তো কোনো অপরাধ নেই। তবুও অপরাধী তারা। :(

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:২৯

সোহানী বলেছেন: আমারো ঠিক একই কথা।

বাচ্চাদেরকে পাবলি প্লেসে না এনে এরা যা খুশি করুক। কিন্তু এ লোক তা করছে প্রথম থেকেই।

৬৮| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৩৬

স্প্যানকড বলেছেন: বহু মা ও আছে বাচ্চাদের ব্যবহার করে। আমার জানামতে দেখেছি উন্নত বিশ্বে আমার পরিচিত একজন কে। মা বাচ্চা নিয়ে সরকারি বেনিফিট পাওয়া আর ঘর পাওয়ার আশায় বাবাকে বিপদে ফেলেছে। সেক্ষেত্রে কি বলবেন? সে মা নয় নর্দমা !

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩১

সোহানী বলেছেন: এরকম উদাহরন ভুরি ভুরি বিদেশের মাটিতে। কারন সেখানে মেয়েরা শক্ত অবস্থানে আছে, আর আমাদের দেশে ঠিক তার উল্টো।

৬৯| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:৫১

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: কে অপরাধী, কে নিরপরাধ, তা আদালতের রায়েই প্রমাণিত হবে। তবে, যে-দেশে ক্ষমতা ও টাকা দিয়ে আইন বা রায়কে প্রভাবিত করা যায়, সে-দেশে প্রকৃত অপরাধীকে কখনো চিহ্নিত করা যায় না।

তবে, আমার মূল কথা হলো, সন্তানের বয়স যতই হোক না কেন, ১৮ বা তার নীচে, সন্তান কার কাছে থাকতে চায়- যে-আইনে তার সেই প্রত্যাশা সংরক্ষণ করা হয় না, সেই আইন খুবই অমানবিক আইন। সন্তানগুলোর নিশ্চয়ই কিছু ইচ্ছা বা বাসনা আছে, তারা কার কাছে থাকতে চায়, তাদের সেই ইচ্ছার বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেয়া হলো চরম নিষ্ঠুরতা।

ঘটনা আমি মাঝে মাঝে টিভি খবরে দেখেছি, তবে মনোযোগ দিয়ে শুনি নি। আজও যে পুরোটা বুঝেছি তাও না। বিশাল পোস্ট, অজস্র মন্তব্য, প্রতি-,অন্তব্য। আগে থেকে ঘটনা জানা না থাকলে সঠিক কমেন্ট করা সম্ভব না।

তবে, প্রথম থেকেই আমার মনে যে-প্রশ্নটি উঁকি দিচ্ছে তা হলো, ইমরান শরীফ যে মেয়ে দুটিকে নিজের কাছে রাখতে চাইছেন, এতে কি পিতৃত্ব বা মায়ার বন্ধন ছাড়া অন্য কোনো বৈষয়িক বিষয় জড়িত থাকা সম্ভব? এরিকোও কি শুধু মায়ার টানেই সন্তানদের জন্য এত ছোটাছুটি করছেন? সন্তানদের উপর মা ও বাবা উভয়েরই সমান অধিকার আছে।

মানুষের মন সচরাচর মায়ায় পরিপূর্ণ, সে মা হোক, বা বাবা হোক। ছোটোবেলা থেকেই আমার মনে হতো আমার বাবাই মায়ের চাইতে আমাদের বেশি ভালোবাসেন, এবং আমার কাছে কোনোদিনই মনে হয় নি আমার সন্তানদেরকে আমার চাইতে আমার স্ত্রী বেশি ভালোবাসেন। তবে, মানুষের মধ্যে এর ব্যতিক্রম থাকা সম্ভব - বাবারা যেমন স্ত্রীকে ফেলে, সন্তানাদি ফেলে অন্য মেয়েকে বিয়ে করেন (লক্ষ করুন, যাকে বিয়ে করছেন তিনিও কিন্তু নারী), তেমনি কয়েক সন্তানের জননীরাও স্বামী-সন্তান ফেলে অন্য পুরুষের হাত ধরে (লক্ষ করুন, যার হাত ধরে চলে যাচ্ছেন তিনিও কিন্তু পুরুষ) চলে যান। তবে, সার্বজনীনভাবে ও সামগ্রিকভাবে, মায়েরাই সন্তানকে অধিক ভালোবাসেন, তা স্বীকার করছি।

সন্তানগুলোর উপর যে মানসিক নিপীড়ন হচ্ছে, তা আমলে নেবার কোনো অথোরিটি নাই বলেই মনে হচ্ছে।

শেরজা তপন ভাইয়ের মন্তব্যটি ভালো লেগেছে।

সোহানী আপুর প্রতি বিনীত অনুরোধ : আপনি জ্ঞানী ও গুণী ব্লগার। সময় নিয়ে প্রতিটা কমেন্টের মেরিট অনুযায়ী খুব ঠান্ডা মাথায় উত্তর দিন। কিছু কিছু উত্তরে আপনাকে খুব উত্তেজিত মনে হয়েছে, এবং আরো মনে হয়েছে যে, উত্তরগুলো আরো গঠনমূলক হতে পারতো।

শুভেচ্ছা নিন আপু।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ সোনাবীজ ভাই গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য।

মাঝে মাঝে মাথা গরম করে নিজের অস্তিত্ব জানান দিতে হয় .............হাহাহাহা

৭০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৫

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, সুন্দর মন্তব্য বরাবরের মতো। তবে সোহানীকে কী আপনার শুধু কমেন্টেই খুব উত্তেজিত মনে হয়েছে? পোস্ট পড়েই তো মনে হয়েছে শরীফ সাহেব সোহানীর ভয়েই পালিয়ে ছিলেন, আদালত নয়। :)

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহাহা

৭১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:২৬

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: সোহানী সম্ভবত ভুলে গেছেন হাইকোর্টই সর্বোচ্চ আদালত নয়।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৬

সোহানী বলেছেন: না ভুলিনি, বা ভোলার কথাও নয়।

৭২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩৮

রামন বলেছেন: এই পৃথিবীতে খারাপ স্বামী ও দর্জাল স্ত্রীর সংখ্যা অগণিত রয়েছে কিন্তু খারাপ মা ও খারাপ বাবার সংখ্যা সে তুলনায় নেহাৎ কম। প্রত্যেক পরিবারে স্বামী স্ত্রীর মাঝে মান অভিমান, মন মালিন্য হতে পারে এটা স্বাভাবিক ব্যাপার কিন্তু উভয়ের ভিতর যখন অবিশ্বাসের বিষবাস্প জন্ম নেয় তখন বিচ্ছেদের মধ্যে দিয়ে তার পরিসমাপ্তি ঘটে। কখনও কখনও এই বিরোধ তথা বিচ্ছেদ নিজেদের ভেতর সমঝোতার মাধ্যমে শেষ হয় আর তা নাহলে মামলা আদালতের দোরগড়ায় গিয়ে পৌঁছায়।
এই রকম একটি মামলা জাপানের আদালতে নিস্পত্তির অপেক্ষায় ঝুলে ছিল যে মামলার বাদী বিবাদী ছিলেন জাপানি নাগরিক নাকানো এবং বাংলাদেশের নাগরিক ইমরান শরিফ। যেহেতু এই দম্পতির বিবাহ হয়েছিল জাপানের বৈবাহিক আইন অনুযায়ী সেহেতু কেবল সেই দেশের আদালত মামলাটি নিস্পত্তি করার এখতিয়ার রাখে। এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, সংসারে অশান্তি ও বিরোধ দেখা দিলে তার ঋণাত্মক প্রভাব ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের উপর পড়ে। এসব কথা মাথায় রেখে ভাল বাবা মা প্রত্যাশা করেন যাতে সমস্যা দীর্ঘায়িত না হয়ে দ্রুত সমাধান হয়।
কিন্তু এক্ষেত্রে বাবা ইমরান করেছেন উল্টোটি। জাপানের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে, মায়ের কোল থেকে বাচ্চা দুটোকে সরিয়ে অনৈতিক ভাবে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
মা মেয়েদের সন্ধানে এদেশে এলে ইমরান তাঁর সাথে অতিথি সুলভ ব্যাবহার করার পরিবর্তে অমানবিক ও অভদ্র আচরণ করেন।
এরপর মা তাঁর অপহৃত সন্তানদের নিজ জিম্মায় নেয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেন এবং বিলম্ব হলেও আদালত সন্তানদের মায়ের তত্ত্বাবধানে দেয়ার জন্য ইমরান শরিফকে আদেশ দেন। কিন্তু এখানেও ইমরান সাহেব আদালতের রায়কে টেক্কা দিয়ে মামলা দীর্ঘায়িত করার হীন উদ্দেশ্যে অহেতুক একের পর এক রিট পিটিশন দায়ের করে যাচ্ছেন। উনি যদি সত্যিকার স্নেহময় উত্তম পিতা হতেন তাহলে সন্তানদের মানুষিক যন্ত্রনার কথা বিবেচনা করে বাচ্চাদের মায়ের হাতে তুলে দিতেন। তিনি নিশ্চয়ই জানেন তার দায়ের করা রিট পিটিশন ধোপে টিকবে না। বাচ্চারা তার মায়ের রক্তের অধিকারে, জন্মসূত্রে জাপানি নাগরিক, তাদেরকে বিনা দোষে এদেশে আটকে রাখার ক্ষমতা বাংলাদেশের সরকারের নেই।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৮

সোহানী বলেছেন: অসংখ্য ধন্যবাদ সহজ ভাষায় সত্য কথাটা বলার জন্য।

এ লোক যদি বাচ্চাদের প্রতি সদয় হতো তাহলে এভাবে ওদেরকে নিয়ে টানাহ্যাচরা করতো না। প্রতিশোধ পরায়ন হতো না।

৭৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৫০

জিকোব্লগ বলেছেন:



আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হচ্ছে : ভদ্র মহিলা নাকানো এরিকোর আইনজীবী
শিশির মনির জামায়াতের লোক। যুদ্ধপরাধীদের বিচারের দাবিতে সমগ্র বাংলাদেশ
যখন একদিকে লড়ে যাচ্ছিল, অন্যদিকে ঘৃণ্য অপরাধীদের বাঁচাতে মরিয়া ছিল
কতিপয় আইনজীবী। আর তাদেরই একজন শিশির মনির।

জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ছাত্র শিবিরের ২০০৯ সালের কেন্দ্রীয় কমিটির এই সাধারণ
সম্পাদক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেন। ২০১২ সালে
দেশে ফিরে তিনি সুপ্রিম কোর্টে প্র্যাকটিস শুরু করেন। বর্তমানে শিশির জামায়াতের ল
উইংয়ের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে কাজ করছেন।

সূত্রঃ Click This Link

এই সব আইনজীবীতো নিজেদের টিকে রাখার জন্য অন্য দেশের গোলামি করবেই।

-

যাই হোক সব কিছু বিবেচনায় বাচ্চারা যার কাছে থাকতে চায় তার কাছেই থাকতে দেওয়া হোক।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৩৯

সোহানী বলেছেন: হায়রে এবার উকিলের ব্যবচ্ছেদ!!

যেখানে আদালত রায় দিয়েছে তা উপেক্ষা করে আপনিই রায় দিয়ে দিলেন !!!!!!!!!!!!

সত্যিই বিচিত্র আমাদের মন মানসিকতা।

৭৪| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:২৭

জিকোব্লগ বলেছেন:

সূত্রঃ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন জাপানি মা নাকানো এরিকো। তার সঙ্গে জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তাও ছিলেন।

ব্লগে মন্তব্যে যারা নাকানো এরিকোর পক্ষে ফাইট করে গেছেন বা যাচ্ছেন ,
তাদের জন্য আগাম সুসংবাদ : ভবিষ্যতেও যেকোন রায় নাকানো এরিকোর
দিকেই ঘুরে যাবে। কারণ আদালতের আদেশ বাস্তবায়নে জাপানি মা নাকানো
এরিকোকে সহায়তার আশ্বাস দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়াও বাংলাদেশের মন্ত্রী
ফন্ত্রীদের জাপানের ভিক্ষা খেয়ে চলতে হয়।


@সোহানী আপা , আপনার মত তৃতীয় বিশ্বের মায়েরা অসহায় হতে পারে।
কিন্তু নাকানো এরিকোর মত উন্নত বিশ্বের মায়েরা অসহায় নয়। এদের কদর
সন্মান সব খানেই। আপনি আমি যা না করতে পারবো, এরা সেটা করতে পারবে।

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১২:৪১

সোহানী বলেছেন: যে দেশে বিচার কেজি ধরে কিনতে হয় সেখানে এরিকো যা করেছে তা ঠিকই আছে। আর সে জাপানী, এ্যাম্বেসির সাহায্য নেয়াইতো সঠিক। এখানেতো খারাপ কিছু দেখছি না। আর ওই বদলোক যে একজন বিদেশীকে হেনেস্থা করছে তার বিচার কিভাবে করবেন?

৭৫| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৩৮

মিরোরডডল বলেছেন:



সোহানী বলেছেন: ও মোর আল্লাহ.......... আমিতো মনে হয় ব্লগে আগুন লাগায়ে দিলাম!!!! কে কয়রে ভাই ব্লগার খরা

আপু তোমার পোষ্টের শুরু থেকে কমেন্টগুলো পড়লাম।
পোষ্টের মূল থিম ঠিক ছিলো, ভদ্রলোক যেটা করেছে সেটা ঠিক না।
কিন্তু অনেকেই কমেন্টে উত্তেজিত হয়েছে, কারণ তুমি পোষ্টের শেষের দিকে জেনারেলাইজ করে কিছু কথা লিখেছো।

কোন পুরুষের একজন মায়ের এক বিন্দু কষ্ট বোঝার ক্ষমতা কখনই হবে না, কখনই না।

তুমি চেনোনি বাংলাদেশি স্বামীদের, কিংবা তাদের ক্ষমতার দাপট।


সব পুরুষ বা সব বাংলাদেশী হাজব্যান্ড কি খারাপ? অবশ্যই না।
ভেবে দেখো, একজন বাংলাদেশী মা যদি কোনো অন্যায় করে বলে সকল বাংলাদেশী মা বা স্ত্রীকে নিয়ে এভাবে কেউ বললে, তুমিই কিন্তু সবার আগে এসে কাউন্টার পোষ্ট দিবে।

পৃথিবীর কোন সভ্য সমাজ মা এর থেকে বাচ্চাদের আলাদা করার রায় দেয় কিনা সন্দেহ।

সিচুয়েশন ডিম্যান্ড হলে দেয়।
আমি এখানে এই সার্ভিস দেখেছি, ইনফ্যাক্ট আমার কর্মক্ষেত্রেই এই সার্ভিস আছে।
এমন অনেক মা যারা ড্র্যাগ এডিক্টেড অথবা এলকোহলিক ভায়োলেন্ট, বাচ্চার সেফটির জন্য আইনগতভাবে তাদের কাছ থেকে সরিয়ে এনে চাইল্ড এন্ড ফ্যামিলি সাপোর্টে রাখা হয়। আদারওয়াইজ বাচ্চা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা এবিউজের ভিকটিম হয়।
যদিও মায়েরাই মোস্ট অভ দ্যা টাইম বেশি মমতাময়ী এবং সাপোর্টিভ হয়, কিন্তু ক্ষেত্রবিশেষে ভিন্ন চিত্র হয়।

তাই বলবো, প্রতিটা ইন্ডিভিজুয়াল কেইস ইন্ডিভিজুয়ালি স্টাডি করতে হবে।
যে অন্যায় করবে তার কর্মের সমালোচনা হবে কিন্তু একজনের জন্য সবাইকে দোষী সাব্যস্ত করা অনুচিত।

এই ঘটনায় আমার মনে হয়েছে ভদ্রলোক অন্যায় করেছেন, ছলচাতুরীর আশ্রয় নিয়েছেন।
জিকোর দেয়া একটা ভিডিও দেখলাম।
ভদ্রলোকের ইন্টারভিউতে কথায় অনেক গ্যাপ আছে, এমন কিছু বলেছেন যেটা লজিক্যাল না।
যাইহোক বাচ্চাগুলোর জন্য শুভকামনা থাকলো।

৭৬| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৩:৫৩

কামাল১৮ বলেছেন: পোষ্ট পড়ে প্রথমেই লাইক দিয়েছি তাই মন্তব্যে আসি নাই।@রশীদ,আপনি যদি জানেন হাইকোর্ট সর্ব্বোচ আদালত নয় তাহলে এতক্ষন হৈচৈ করলেন কেন।সর্ব্বোচ রায়ের অপেক্ষায় থাকুন।মন্তব্য এসেছে দুদিক থেকে।পিতৃতান্ত্রিক দলের পক্ষ থেকে আবার মাতৃস্নেহের পক্ষ থেকে।বিচার ব্যবস্থা নিয়েও কিছু মন্তব এসেছে।দেখাযাক কার জয় হয়।

৭৭| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:১৮

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: কামাল সাহেব, আমি কেন হৈচৈ করেছি, সে জিনিস আপনার মস্তিষ্কে ধরবে না, তাই বলে দিচ্ছে, জাপানী কালাকানুনটা আমি তীব্র অপছন্দ করি। কালাকানুন জানতে হলে পড়তে হবে, কীচকামি করলে হবে না।

৭৮| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নীচের ভিডিওটা দেখলে অনেক কিছু পরিষ্কার হবে। আমি সংক্ষেপে বলছি যে পয়েন্টগুলি এই পোস্টে সঠিকভাবে আসে নাই।

জাপানের একটা কালা কানুন আছে। ঈশ্বরকণা এই ব্যাপারে বিস্তারিত বলেছে। সেই আইন অনুযায়ী বিচ্ছেদের পরে জাপানে বাচ্চার তত্ত্বাবধান এবং অভিভাবকত্ব শেয়ার হয় না। সাধারণত মাকে দেয়া হয়। এই আইনের ভয়ানক দিক হল বাবার কোন অধিকার থাকে না সন্তানদের এক নজর দেখার। যদি সে দেখা করার চেষ্টা করে সেই ক্ষেত্রে তাকে জেলে যেতে হয়। স্থায়ী ভাবে বাবার অধিকার বাতিল করে দেয়া হয়। উনি ভিডিওতে কয়েকজন বিদেশী নাগরিকের উদাহরণ দিয়েছেন যারা প্রভাবশালী হওয়া সত্ত্বেও আর কোন দিন সন্তানের দেখা পাননি। মুলত এই কারণে তিনি বাচ্চাদের নিয়ে চলে আসেন। তাদের মধ্যে এখনও বৈবাহিক সম্পর্ক আছে তাই জাপানের আইনে বাচ্চা সাথে নিয়ে আসা কোন অপরাধ না। তা না হলে ঐ মহিলা রাষ্ট্রের সহায়তা নিয়ে এটা ঠেকাতে পারতেন। আর ঐ মহিলা ও তার শ্বশুর বাড়ি কেনার ( বাড়ি স্ত্রীর নামে) কিস্তির টাকা না দেয়ার জন্য তাকে আইনের ভয় দেখিয়ে প্রথমে ঘর থেকে বের করে দেয়। বাচ্চারা মায়ের সাথে থাকতে অস্বীকার করে এবং কয়েকদিন আলাদা বাসায় বাবার সাথে থাকে। সোশ্যাল সিকিউরিটি লোকেরা মায়ের অভিযোগ পেয়ে সেখানে যায় কিন্তু সব কিছু ঠিক আছে দেখে ইমরান সাহেবের বিরুদ্ধে কোন অ্যাকশন নেয়নি। পরে মহিলা এই ব্যাপারে কোর্টে যায় এবং জাপানে মামলা চলছিল। এই মামলা কালা কানুন ( অনেক উন্নত দেশ এই ব্যাপারে জাপানকে সতর্ক করেছে এই আইনের ব্যাপারে) দিয়ে পরিচালিত হবে এবং সে স্থায়ীভাবে বাচ্চাদের দেখার অধিকার হারাবে এই কারণে বাচ্চাদের ইচ্ছাতেই জাপান ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ওনারা এখনও স্বামী স্ত্রী। বাংলাদেশে আসার পর হাইকোর্ট প্রথম কিছুদিন তাদের এক সাথে থাকতে বলে এই আশায় যে হয়তো ঠিক হয়ে যাবে। প্রথমে হাইকোর্ট ইমরান সাহেবের কাছেই বাচ্চা দুটিকে রাখতে বলে। পরে আপিল বিভাগ সেটা পরিবর্তন করে মায়ের কাছে দেয়। ইমরান সাহেব এত বড় ক্রিমিনাল হলে বাংলাদেশের কোন আদালত তার কাছে বাচ্চাদের থাকতে দিত না।

এই ধরণের ঘটনায় সাধারণত বাচ্চা মায়ের কাছেই যাবে। কিন্তু জাপানি কালো আইন থেকে বাঁচার জন্য ইমরান সাহেবকে এই লড়াই করতে হয়েছে। অনেক দিন পর্যন্ত ২ বাচ্চাই বাবার সাথে থাকে চেয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে বড় মেয়ে মায়ের সাথে থাকতে চায়।

ইমরান সাহেব জাপানের কোন আইন ভঙ্গ করেননি। উনি বাচ্চাদের জোর করে নিয়ে আসেননি। আর দেশের আইনের কথা বললে দেখা যাবে মা ও আইন ভঙ্গ করে দেশ ত্যাগ করতে চেয়েছে একাধিকবার। ইমরান সাহেবও অনেক ক্ষেত্রে আইন ভঙ্গ করেছেন। ঐ মহিলা প্রথম বার রায় তার কোর্টের নির্দেশনা তার বিপরীতে যাওয়ার কারণে এই দেশের আইন কানুনকে গালি গালাজ করেছে।


এই রায় ইমরান সাহেবের পক্ষে যাওয়ার সম্ভবনা নাই বললেই চলে। কিন্তু ওনাকে ক্রিমিনাল হিসাবে মনে করাটা যৌক্তিক না। হার জেনেও যে কোন ব্যক্তির অধিকার থাকে আইনি লড়াই করার। মুলত জাপানের খারাপ আইনের কারণে ইমরান সাহেব জাপান থেকে চলে আসতে বাধ্য হয়েছেন। জাপানে ঐ মহিলা ইমরান সাহেবের সাথে কোন রকম আপোষ বা সহযোগিতা করতে রাজি হয় নাই। ইমরান সাহেব জাপানের কোন আইন ভঙ্গ করেননি। কিন্তু এখানে অনেকে সেটাই বলতে চাচ্ছেন। উনি জাপানের কালো আইনের অনেকগুলি উদাহরণ ভিডিওতে উল্লেখ করেছেন। মানুষ ব্যাক গ্রাউন্ড না জেনে ওনাকে ক্রিমিনাল বলতে চাচ্ছে। বাংলাদেশে আসলেও সন্তান উনি পাবেন না। কিন্তু সেই ক্ষেত্রে সন্তানকে দেখার অধিকার তার থাকবে এটা তিনি জানেন। বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে বাবাকে দেখার অনুমতি দেয়া হয়। যেটা জাপানে অসম্ভব একটা ব্যাপার। স্থায়ীভাবে পিতার অধিকার তিনি হারাতেন।

স্বাভাবিকভাবে এই বিচার মায়ের পক্ষেই যাওয়ার কথা। কিন্তু তাই বলে পিতাকে ক্রিমিনাল বলার পিছনে কোন যুক্তি নাই। ঐ মহিলা ইমরান সাহেবের পাসপোর্ট লুকিয়ে রেখেছিল জাপানে। অন্য কোন আইনি রাস্তা ঐ মহিলার তখন ছিল না কারণ ইমরান সাহেবের সাথে তার বিচ্ছেদ হয়নি তখনও। এমন কি এখনও প্রক্রিয়া শেষ হয়নি সম্ভবত।

উনি বাচ্চাদের ছিনতাই করে নিয়ে এসেছেন এটাই বড় অভিযোগ হিসাবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু জাপানের খারাপ আইনের কারণে এভাবে জাপান থেকে চলে আসা ছাড়া তার আর কোন উপায় ছিল না। বাচ্চারা বাবার সাথে থাকার জন্য অনেক কান্নাকাটি করেছে জাপানে। মায়ের কাছে শুধু আইন ছাড়া আর কিছু ছিল না। সন্তানরাও বাবাকে বেশী পছন্দ করেছিল ঐ সময়। বর্তমানে দেখা যাচ্ছে বড় মেয়েটা জাপান চলে যেতে চায়। কিন্তু তার বাবাকে সে ভালোবাসে বলেছে। বাবা ক্রিমিনাল হলে এখনও কেন মেঝো মেয়ে বাবার সাথে থাকতে চায়। রায় হয়তো ইমরান সাহেবের বিপরীতে যাবে কিন্তু তাকে ক্রিমিনাল বা অপরাধী বলাটা যৌক্তিক না। এখানে অনেকে পুরো বিষয় না জেনেই অনেক কিছু বলেছে। আপনিও অনেক আইনগত বিষয় না জেনে এক তরফা লিখেছেন। আর আইনের ক্ষেত্রে প্রতিটা কেসের মেরিট আলাদা হয়। এত সহজ বিষয় হলে এই কেস হাই কোর্ট সুপ্রিম কোর্টে দেড় বছর ঘুরত না। দশ মিনিটে রায় দিয়ে দিত মায়ের পক্ষে। বাচ্চারা বাংলাদেশেরও নাগরিক এবং পিতার সুত্রে মুসলমান। মাও মুসলমান হয়ে ইমরান সাহেবকে বিয়ে করেছে। মেয়েদের মুসলমান হিসাবে বড় করতে চান উনি। বাংলাদেশের আইনে পিতাই অভিভাবক। ওনাদের এখনও অফিসিয়ালি বিচ্ছেদ হয়নি। তাই ইমরান সাহেবের পক্ষে কিছু মেরিট আছে। যদিও সেটা দুর্বল। ভিডিওতে ওনার বক্তব্য পুরোটা না শুনে দয়া করে মন্তব্যের জবাব দেবেন না।

৭৯| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নিমো - টাকার বিনিময়ে অন্যের বাচ্চা নিজের পেটে পালন করে অনেক মহিলা ভাড়া হিসাবে এটা আপনি জানেন না। আপনি কোন দেশে থাকেন।

আর আপনি মনে করেন কোরআন, হাদিসের বদলে নতুন কিছু আবিষ্কার করতে হবে। আপনি কি ধরণের মুসলমান আমি বুঝতে বাকি নাই। সরি, আপনি অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমার ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে বলেছেন তাই আমিও বলতে বাধ্য হলাম।

@ সোহানি - সরি এই অপ্রাসঙ্গিক বিষয়টা বলার জন্য। উনি গায়ে পড়ে অপ্রাসঙ্গিকভাবে আমাকে এগুলি বলেছেন তাই আমিও বলতে বাধ্য হলাম। আর আপনার পোস্ট খুব জমেছে। যদিও অনেক কিছু উল্টা পাল্টা বলেছেন (পুরুষ বিদ্বেষের কারণে সম্ভবত। কোন পুরুষকে ধুয়ে দিতে বাদ রাখেননি)। এই ধরণের পোস্ট মাসে দুইটা করে দিলেই হবে। :) আর যদি ফেমিনিসটদের সাথে ওঠা বসা করে থাকেন সেই ক্ষেত্রে পরামর্শ দেব ওদের পরিহার করার জন্য।

৮০| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫১

রানার ব্লগ বলেছেন: এরপর জাপানি মা বাংলাদেশে এসে মেয়েদের দেখা করতে চাইলে ইমরান সাহেব মায়ের চক্ষুদুটি বেঁধে অজানা স্থানে নিয়ে গিয়ে বাচ্চাদের সাথে দেখা করার সুযোগ দেন। ইমরান সাহেবের এহেন বর্বর কর্মকান্ড অনেকের বিবেককে নাড়া দেয়।

ইমরান সাহেবের এহনো কর্মকান্ডের উচিৎ সাজা কামনা করছি । কিন্তু তাই বলে তাকে সন্তান ছাড়া করতেই হবে এমনটা না !!!

৮১| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

জিকোব্লগ বলেছেন:



নিচের ভিডিওটি দেখুন :




জাপানিজ এম্বেসির চাপে যদিও এখন থেকে সব রায়-ই নাকানো এরিকোর
আনুকূল্যই হবে। তবু ও যারা মেঝো মেয়েকেও জোর করে নাকানো এরিকোর
হাতে তুলে দিতে চান, তারা আসলেই বড়ই অমানবিক। এদের প্রতি ঘৃনায় থাকলো।


কত কুলাঙ্গার বাবা বিদেশে দেখেছি ডিভোর্স হওয়ার পর সন্তানকে নিতে চায় না বা
এমনকি কোনোদিন খোঁজ খবর ও নিতে চায় না কোনদিন। ইমরান শরীফ এই
ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। উনাকে এই জন্য রেসপেক্ট দিতে-ই হয়।

৮২| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৫৩

অল্পকথা বলেছেন: জাপানের ডিভোর্স সম্পর্কে এখানে দেখুন Divorce process in Japan⑤Child Visitation
Party A shall cooperate and make necessary arrangements for Party B to meet and spend with two children, Party C and Party D at least 3 hours once a week and stay the night once a month under the following conditions. ※ You can set forth more detailed conditions based on mutual consent.
ইমরান সাহেব বলছেন ডিভর্সের পর মেয়েদের সাথে দেখা করা সম্ভব নয় ,এটা ভুল । আমি যে লিংক টি যুক্ত করেছি তা একজন জাপানী নাগরিকের সাথে একজন বিদেশীর ডিভোর্স সংক্রান্ত.।।

৮৩| ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:৪১

জিকোব্লগ বলেছেন: @অল্পকথা ,

আপনার কথা ঠিক নয়। আপনাকে সরাসরি জাপানের আইন থেকে দেখাচ্ছি। জাপান সিভিল কোড আর্টিকেল ৭৬৬ ও আর্টিকেল ৮১৯ পড়েন। নিচে স্ক্রিনশট :





সূত্রঃ Click This Link

আপনার কি মনে হয় , জাপানীজ কোর্ট বিদেশির আনুকূল্য নাকি জাপানিজদের আনুকূল্য?


জাপান টাইমস থেকেও নিচের আর্টিকেল পড়ে দেখতে পারেন :
https://www.japantimes.co.jp/news/2023/01/25/national/social-issues/child-custody-system/

৮৪| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৪:৫১

কামরুল ইসলাম রুবেল বলেছেন: আমি সাধারণত লগইন করিনা, প্রতিদিন বাইরে থেকে পড়েই চলে যাই। মনে হয় কয়েক বছর পর শুধুই মন্তব্য করার জন্য ঢুকলাম। আপনাকে একজন মেধাবি ব্লগার হিসেবে জানতাম। তবে আপনার প্রতিউত্তরগুলো দেখে এককথায় হতভম্ব। মানসিকতায় আপনি 'বেডি' টাইপের কেউ, এটা প্রমাণিত।

পেশাগত কারণে আমি এই কেসটাকে প্রথম দিন থেকে চুলচেরাভাবে ফলো করি। এই গল্পে উভয়পক্ষ ৫০/৫০ দায়ি। ৪৯/৫১ও না। অনেক লম্বা এবং ভেতরের গল্প পয়েন্ট টু পয়েন্ট জানি। কোর্টের প্রতিটা দিনের সবগুলো কাভারেজ আমার আছে। সেসব আর বলতে চাইনা, অন্তত আপনাকে।

এমনিতেই ব্লগে ঢুকিনা। তারওপর এসব ছাই-পাশ-ভস্ম-বর্জ্য কেন যে সামনে এসে পড়ে!

৮৫| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

রানার ব্লগ বলেছেন: থানার ভেতরে জাপানি বড় মেয়ে ও মা, বাবাকে শাষাচ্ছে ছোট মেয়েকে নেওয়ার জন্য, কিন্তু ছোট মেয়ের একটাই কথা, সে মায়ের কাছে যাবে না! #জাপানি_মা #জাপানি_মেয়ে।

৮৬| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৩৪

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মা জাপানী কিংবা বালদেশী হয় না। মা জন্মদাত্রী । তাছাড়া জাপানিরা নিয়ম নীতি মানাতে সারা বিশ্বে ভালো অবস্থানে আছেন। তারও আবেগপ্রবণ বাংলাদেশীদের মতই। বিশ্বকাপের প্রতিটি খেলা শেষে এমনকি তাদের দল হারার পরও তারা স্টেডিয়াম পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় মনোনিবেশ করেছেন। খেলার মাঠেও তারা ফেয়ার প্লে ট্রফি পাওয়ার উপযুক্ত। সেসব বাদ দিলাম। একটা সন্তানের বেড়ে ওঠার জন্য মা বাবা দুজনের গুরুত্ব অপরিসীম। তবে সন্তানের অল্প বয়সে মা অগ্রাধিকার পাওয়াটাই স্বাভাবিক ।

৮৭| ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৫:১৩

রানার ব্লগ বলেছেন: উওয় পক্ষের বক্তব্য শোনা উচিৎ

৮৮| ০৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১:৩০

জিকোব্লগ বলেছেন:



লেখক বলেছেন: জিকো সাহেব, "এই জাপানিজ মহিলা নাকানো এরিকো বাংলাদেশকে পছন্দ করে না।" পছন্দ করার মতো কি কাজ করেছে তার স্বামী বা অন্যরা??? কাস্টডিয়ান আইন বলে যে কিছু আছে তা কি জানেন?


- তার স্বামী পছন্দ করার মতো কিছু না করলে এমনিই নাকানো এরিকো
তাকে বিয়ে করেনি, একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সংসার করেনি এবং সর্বোপরি
তিন বাচ্চা পৃথিবীতে আনেনি। এটা অবলা বাঙালি নারী পাননি।

এই যে আপা নিচের লিংকে জাপানিজ কাস্টডিয়ান আইন খুঁজে পাবেন

https://www.japaneselawtranslation.go.jp/en/laws/view/2058/en

৮৯| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: এই পোষ্টের মন্তব্যে অনেকের চিন্তা ভাবনা কেমন তা জানা গেলো।অনেকের মুখোশ খুলে গেছে।

৯০| ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:১০

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনি কিছু নতুন তথ্য আপনার লেখার শেষে যোগ করেছেন কালকে। সেগুলির উত্তর নিম্নরুপঃ
১) বাচ্চার কাস্টডি নিয়ে জাপানে মামলা চলাকালীন আদালতকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশে পলায়ন।
উত্তরঃ জাপানের মামলাগুলি ফৌজদারি মামলা ছিল না। ফলে কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না ইমরান সাহেবের উপর। নিষেধাজ্ঞা থাকলে উনি বাংলাদেশে চলে আসতে পারতেন না। ফৌজদারি মামলা হলে ইমরান সাহেবকে গ্রেফতার করা হত। যেহেতু তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি তাই জাপানের আইনে যে কোন অভিভাবক সন্তানদের নিয়ে দেশ ত্যাগ করতে পারে। এতে কোন আইনি বাঁধা নেই। জাপানে বাচ্চার কাসটডি আইনকে কালা কানুন বলা যেতে পারে। এই কারণে এটা পরিবর্তনের চেষ্টা করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক চাপের মাধ্যমে। এই ব্যাপারে ঈশ্বরকণা উপরে বিস্তারিত বলেছে। আরও ভালো করে বলতে গেলে একটা পোস্ট দিতে হবে। এই কালা কানুন থেকে বাঁচার জন্য উনি দেশে এসেছেন যেন বাংলাদেশের আইনে উনি একটু নমনীয় রায় পেতে পারেন। উনি জাপানের আদালত অবমাননা করে থাকলে আদালত চাইলে ইন্টারপোলের সাহায্যে তাকে জাপান নিয়ে যেতে পারতো। আসলে কোন আদালত অবমাননা ইমরান সাহেব করেননি। ইমরান সাহেব আদালতে হাজির না হলে জাপানের আদালত একতরফা রায় দিয়ে তাকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারতো এবং প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সাহায্যে তাকে জাপান নিয়ে যেতে পারতো।

২) মা কিংবা আদালত এর সাথে কোন পরামর্শ ছাড়া বাচ্চাদেরকে নিয়ে আসাটা এবডাকশান পর্যায়ের অপরাধ।
উত্তরঃ ইমরান সাহেব ১ মাস পর্যন্ত তার সন্তান দুটিকে নিয়ে জাপানে আলাদা বাসায় ছিলেন। জাপানি পুলিশ গিয়ে তাকে জেরা করার পর তারা আশ্বস্ত হয় যে এখানে কোন আইন ভঙ্গ হয়নি। তারা বলেছে এটা কোন ফৌজদারি বিষয় না বরং দেওয়ানি বিষয়। ইমরান সাহেব কোন আইন ভঙ্গ করেননি তাই তারা কোন একশন এই কারণে নেয়নি। আমার আগের মন্তব্যে দেয়া ভিডিওটা দেখলে পুরোটা জানতে পারবেন। একই কারণে বাচ্চাসহ বাংলাদেশে চলে আসার জন্য জাপানের আইনে উনি কোন অপরাধী না। উনি অপরাধী হলে ইন্টারপোলের সহায়তায় জাপান সরকার তাকে জাপানে নিয়ে যেতে পারতো। ইমরান সাহেব আসলে জাপানের কোন আইন ভঙ্গ করেননি। অন্য দেশে এই ধরণের ঘটনা এবডাকশন হলেও জাপানের আইনে এটা এবডাকশন না। এবডাকশন প্রমাণ করতে পারলে মা খুব সহজেই জাপানি আইনের সাহায্য নিয়ে ইমরান সাহেবকে গ্রেফতার করাতে পারতেন। জাপানি কোন আইন ভঙ্গ করা হয়নি বলেই মা এখন বাংলাদেশের আদালতে দৌড়াচ্ছেন।

৩) মায়ের অনুমতি ছাড়া তাদের বাংলাদেশী পার্সপোট বানিয়েছে যেখানে তারা জন্মসূত্রে জাপানী নাগরিক।
উত্তরঃ বাংলাদেশী পাসপোর্ট বানাতে মায়ের অনুমতি লাগে না। জাপানি আইনেও কোন বাঁধা নাই। বাচ্চারা দ্বৈত নাগরিক হতেই পারে। এতে কোন সমস্যা নাই। বাংলাদেশের সরকার নিশ্চয়ই জাপানের আইন জেনেই পাসপোর্ট ইস্যু করেছে। যারা পাসপোর্ট ইস্যু করেছে তাদের অপরাধ যখন হয় নাই ইমরান সাহেবের কেন অপরাধ হবে। বেআইনি কিছু হলে বাংলাদেশ সরকার পাসপোর্ট ইস্যু করতো না।

৪) যেখানে তারা জন্মসূত্রে জাপানী নাগরিক তাদের বিচার ব্যাবস্থা সেখানেই হওয়া স্বাভাবিক।
উত্তরঃ আপনার কথা সঠিক হলে বাংলাদেশের আদালত বাংলাদেশে করা মামলা প্রথমেই খারিজ করে দিত। বাংলাদেশের আদালতের এখতিয়ার না থাকলে কিভাবে উচ্চ আদালত নির্দেশনা দিল। আপনার কথা বাংলাদেশের আদালতের নির্দেশনার বিপক্ষে যাচ্ছে। জাপানের আইন এই ব্যাপারে ত্রুটিপূর্ণ এটা উপরে বলেছি। কাজেই যে কোন মানুষ চাবে বিচার যেন ভালো কোন আইনের অধীনে হয়। বাংলাদেশের আদালত যেহেতু এই মামলা চলার অনুমতি দিয়েছে সেই ক্ষেত্রে কোন সমস্যা দেখি না। নতুবা আদালতই বলে দিত যে এই মামলা এই আদালতের জুরিসডিকশনের বাইরে।

৫) জাপানী বিয়ে করেছে, জাপানী স্ত্রী কিন্তু বাচ্চাদের ভাগাভাগির সময়ে বাংলাদেশের আইনের দারস্থ হওয়া মানেই এ স্ত্রীকে ভোগানোর প্রচেস্টা। এটা মানসিক অর্থনৈতিক হয়রানী।

উত্তরঃ আমাদের দেশের আদালত যেহেতু এই মামলা শুনছে এতে প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশের আদালতের জুরিসডিকশন আছে বলেই আদালত মামলা চলতে দিচ্ছে। আদালত কেন বলল না যে এই মামলা জাপানে চালাতে হবে। এতে প্রমাণিত হয় যে বাংলাদেশের আদালতের এই মামলা নেয়ার এখতিয়ার আছে। এই প্রশ্নের ক্ষেত্রেও বলতে হয় যে জাপানি কালো আইন থেকে বাঁচার জন্য ইমরান সাহেব বাংলাদেশের আদালতে এসেছেন। তবে চূড়ান্তভাবে হয়তো বাংলাদেশের আদালত তার বিপক্ষেই রায় দেবে। কারণ এই ধরণের মামলায় বাংলাদেশের আইনেও মাকেই তত্তাবধানের দায়িত্ব দেয়া হয়ে থাকে।

৬) মা বাংলাদেশে এসে বাচ্চাদের সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে চোখ বন্ধ করে নিয়ে যাওয়া হয় অজানা স্থানে।
উত্তর – এই কথা সত্য না ও হতে পারে। কারণ এটার প্রতিবাদ করে ইমরান সাহেব বাচ্চার মাকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১) ইমরান শরীফের পক্ষে তার আইনজীবী ফাওজিয়া করিম মঙ্গলবার দুই সন্তানের মা নাকানো এরিকোর গুলশানের ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠান।

নোটিশে বলা হয়, মা নাকানো এরিকো মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাবা ইমরান শরীফের মানহানি করছেন। ফলে মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় জনসমক্ষে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে নাকানোকে। ক্ষমা না চাইলে তার নামে মামলা করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে নোটিশে।

নোটিশে আরও বলা হয়, বাংলাদেশে এসে নাকানো বিভিন্নভাবে শিশু দুটির বাবাকে হয়রানি ও মানহানি করেছেন। তারা বলছে, শিশু দুটিকে নাকি বাবা জাপান থেকে কিডন্যাপ করে নিয়ে এসেছেন। কানাডিয়ান স্কুলে চিঠি দিয়ে বলা হয়েছে, বাবা নাকি শিশু দুটিকে অপহরণ করেছেন। যাতে শিশু দুটির স্কুলের ভর্তি বাতিল হয়।

সেখানে চোখ বেঁধে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে, যাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে নোটিশে তুলে ধরা হয়। অথচ তার কোনো চোখ বাঁধা হয়নি। এসব মিথ্যা তথ্য দিয়ে শিশু দুটির বাবার মানহানি করেছে। বারবার শিশুর বাবাকে অপহরণকারী বলা হয়েছে। এভাবে বলে বাবাকে নানাভাবে হয়রানি করছে- এমন অভিযোগ করা হয় নোটিশে।

৭) বাচ্চাদেরকে মিডিয়া আদালতের সামনে কখনই আনা হয় না পৃথিবীর কোন রাস্ট্রে। কিন্তু এ লোক তা করেছে দেশের মানুষের সিম্পেথি পাওয়ার জন্য। বাচ্চাদের মানসিক শারীরিক হয়রানী একবারও চিন্তা করেনি।

উত্তরঃ বাংলাদেশের মিডিয়া এবং আদালতে এই বিষয়গুলি আসা দোষনিয় নয় বলেই এমন ঘটছে। এত বড় অপরাধ হলে সেটার বিরুদ্ধে দেশে আইন থাকতো। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম আইন আছে একই বিষয়ের উপরে। আপনি যে অভিযোগ করেছেন সেটা বাংলাদেশের আদালতের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের আইনে বাচ্চাদের আদালতের সামনে আসতে হতে পারে। বিদেশেও প্রয়োজনে আসতে হতে পারে। আর মিডিয়ার ক্ষেত্রেও এই দেশে আইন আছে। আইন ভঙ্গ করে কোন মিডিয়া ছবি প্রকাশ করেছে বলে শুনিনি। এই ধরণের মামলা পৃথিবীর সব দেশে আছে। না চাইলেও সব দেশেই বাচ্চারা এই ধরণের মানসিক কষ্টে ভোগে। আইনি প্রক্রিয়ায় গেলেই সব দেশেই এটা হয়। এই হয়রানির জন্য শুধু ইমরান সাহেবকে দায়ী না করেও বাচ্চার মাকেও করা উচিত। উনি জাপানে ইমরান সাহেবের সাথে কোন ব্যাপারে সহযোগিতা করেননি। সহযোগিতা করলে আদালত পর্যন্ত আসার দরকার পড়তো না। ভুল যাবেন না যে এই মহিলা বাড়ির কিস্তির টাকা না দেয়ার জন্য ইমরান সাহেবকে ঘর থেকে বের করে দিয়েছিলেন। ঐ বাড়ি তার স্ত্রীর নামে ছিল এবং শ্বশুরও কোন ভাবে জড়িত ছিল। তাদের এখনও বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।

৮) জাপানে জন্ম জাপানে বড় হওয়া এ বাচ্চাগুলোর উপর নতুন পরিবেশে জোর করে এনে কি পরিমান মানসিক টর্চার করেছে তার জন্য এ লোকের জেল হওয়ার কথা।

উত্তরঃ এই লোককে জাপান আদালত এখন তাহলে ডেকে নিয়ে যাচ্ছে না কেন। তারা তো ইন্টারপোলের সাহায্য নিতে পারতো। জাপান ত্যাগ করার ক্ষেত্রে জাপানের কর্তৃপক্ষ তাকে বাঁধা দিল না কেন। কারণ জাপানে এই ধরণের বাঁধা দেয়ার কোন আইন নাই। জাপানের আইনের বিভিন্ন দুর্বলতার কারণেই এই মামলা এত জটিল হয়েছে। জাপানের কালো আইনের বিরুদ্ধে উন্নত অনেক দেশ চাপ দিচ্ছে। ইমরান সাহেবকে ঐ মহিলা জোর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছে। তার দুই সন্তানও জাপানে বাবার সাথে থাকার জন্য কান্নাকাটি করেছে এবং শেষ পর্যন্ত জাপানে আলাদা বাসায় তারা বাবার সাথে থেকেছে এক মাস। জাপানের পুলিশের কাছেও সেটা অপরাধ মনে হয়নি। এই পরিস্থিতিতে একজন পিতা হিসাবে তিনি সুবিচার পাওয়ার জন্য বাংলাদেশে এসেছেন। কারণ জাপানের কালো আইনে সুবিচার তিনি পাবেন। অনেক পশ্চিমের মানুষ এই কালো আইনের শিকার হয়েছেন।

আপনার লেখায় যুক্তির চেয়ে আবেগ বেশী থাকে। সুস্থ বিতর্কের ক্ষেত্রে এটা একটা অন্তরায়। খেয়াল রাখতে হবে এটা একটা বহুল আলোচিত মামলা। আপনি যেভাবে এই মামলাকে সরল করার চেষ্টা করছেন তাতে মনে হচ্ছে আদালতের উচিত ছিল ২ বছর আগেই ১০ মিনিটে বাচ্চার মায়ের পক্ষে রায় দিয়ে দেয়া উচিত ছিল। আইনের পথে আবেগ থাকে না এবং পথটা অনেক জটিল। তবে শেষ পর্যন্ত এই রায় বাচ্চার মায়ের পক্ষেই যাবে বলে মনে হচ্ছে।
কেবল নীচের কোর্টের রায় হয়েছে। সুযোগ পেলে এই মামলা হাই কোর্ট বা সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত যেতে পারে। আবার সেই সুযোগ ইমরান সাহেব নাও পেতে পারেন।

বাবা মা চাইলে এই কেস আদালত ছাড়াই মীমাংসা করা সম্ভব। কিন্তু সেটা হচ্ছে না। শুধু বাবাকে এই জন্য দায়ী করা ঠিক না। মা প্রথম আইনি পদক্ষেপ নিয়েছিলেন এটাও ভুললে চলবে না। আপনি সম্ভবত আমার দেয়া ভিডিওটা দেখেননি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.