নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

কানাডায় গাড়ি এক্সিডেন্ট ও একজন বাবা কুমার বিশ্বজিত

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৪০




কানাডার এক্সিডেন্ট খুব কমন একটি বিষয়। ওয়েদার যেমন দায়ী তেমনি যেমন তেমন ভাবে গাড়ি চালনাও এর জন্য দায়ী। কিন্তু সব ছাড়িয়ে গত তিনদিন আগের এক্সিডেন্ট এর ঘটনাটি মারাত্বক নাড়া দিয়েছে এখানকার সবাইকে। দু'জনই ঘটনাস্থলে, একজন তার কিছুক্ষন পর মারা যায় ও বাকিজন এখনো আইসিইউতে মৃত্যুর সাথে যুদ্ধ করছে। ২০-২১ বছরের চার তরুন-তরুনীর এমন মর্মান্তিক পরিনতি কোনভাবেই যেন মানতে পারছে না কেউই। পুরো কানাডা জুড়ে চলছে বিতর্ক এ এক্সিডেন্টকে ঘিরে। একপক্ষ গাড়ি চালক কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নিবির কুমারকে দায়ী করছে, আরেকপক্ষ বিষয়টি স্বাভাবিক এক্সিডেন্ট হিসেবে নিচ্ছে।

এতো তর্ক বিতর্কের কারন, এ পুরো এক্সিডেন্টটিতে অনেকগুলো বিষয় চলে এসেছে। আমি আমার দৃষ্টিভঙ্গী থেকে বিষয়গুলো ব্যাখ্যা দেবার চেস্টা করছি। যেমন:

১) ড্রাইভিং এর নিয়ম না মেনে নিবির হাইওয়ের মতো রাস্তায় হাইস্পিডে গাড়ি চালাচ্ছিল। বিশেষকরে রেম্পে সবসময়ই ৪০-৬০ স্পিড রাখতে হয় সেখানে নাকি ১৪০ স্পিডে ছিল গাড়িটি। যার কারনে নিয়ন্ত্রন রাখতে পারেনি ও দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে আগুন ধরে যায়।

২) যতটুকু জেনেছি নিবির এর আগেও বেশ বড় এক্সিডেন্ট করেছে। যার কারনে তার লাইসেন্স বা গাড়ি কেনার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। বাবা কুমার বিশ্বজিত অন্য কোনভাবে ছেলের জন্য গাড়ি কেনার ব্যবস্থা করেন কিছুদিন আগে। তাই অনেকে স্পয়েল্ড সেলিব্রেটি কিডস্ হিসেবে বাবা-মাকেও দায়ী করছে। বাংলাদেশ থেকে যেসব বাচ্চারা আসে তারা ধনী পরিবার থেকে আসে তারা দেশে থাকতেই নিয়ম না মানার মাঝে বড় হয় এবং কানাডায় এসেও অব্যাহত রাখে অনেকেই।

এরকম অনেকগুলো পয়েন্টই উঠে এসেছে কিন্তু সবগুলো নিয়ে আসছি না লিখাটা বড় হয়ে যাবে। আপাতত: এ কয়টা পয়েন্ট নিয়েই কথা বলি।

১) কানাডার ড্রাইভিং লাইসেন্স ও নিয়ম কানুন: কানাডার ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। তিন ধাপে পরীক্ষা দিয়ে সহজেই ফুল লাইসেন্স পেতে পারে ১৬ বছরের উপরে যে কেউই। কিন্তু কঠিন কাজ হলো নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো। এখানে প্রতিটি রাস্তায় স্পিড লিমিট করে দেয়া, রেড লাইট ক্যামেরা দেয়া, হাইওয়ে/রেম্প/লোকাল সবকিছুর স্পিড এর ভিন্নতা দেয়া। কেউ যদি তা না মানে তাহলে সে এক্সিডেন্ট করবেই। যা হয়েছে এদের ক্ষেত্রে।

এই রাস্তায় আমি প্রায়ই ড্রাইভ করি। বিশেষকরে হাইওয়েতে কোনভাবেই ফাজলামো করা যায় না। সামান্য ভুলেই এক্সিডেন্ট হয়। সেখানে রেম্পে ১৪০ স্পিড মানে মারাত্বক বিপদজনক। আর এ রাস্তায় কার রেসিং করা রীতিমত পাগলের কাজ।


২) কানাডায় যদি একবার কেউ নিজের দোষে মানে নিয়ম না মানার কারনে এক্সিডেন্ট করে তাহলে তার খবর হয়ে যায়। লাইসেন্স বাতিল, ইন্সুরেন্স বাতিল, জরিমানা, ডিমেরিটস পয়েন্ট সহ অনেক ধরনের পানিশমেন্ট আছে। একবার যদি লাইসেন্স বা ইন্সুরেন্স বাতিল হয় তা ফিরে পাওয়া অনেক কঠিন। আর এ বিষয়গুলো মানা হয় সেফটির জন্য্। এখানে শুধু ড্রাইভারের সেফটিই নয়, আশে পাশের সবার সেফটি বিষয়ও জড়িত। যেমন সেদিন যদি নিবিরের পিছনে বা সামনে কোন গাড়ি থাকতো তাহলে সে গাড়িও এক্সিডেন্ট করতো। হতাহতের সংখ্যা আরো বেশী হতো।

কানাডায় বড় হওয়া বাচ্চারা এ নিয়ম নীতির বিষয়গুলো খুব ভালো করেই জানে ও বুঝে ও মানে। কারন তাদেরকে স্কুল থেকেই তাদের মগজে গেঁথে দেয়া হয়। তাদের পরিবারও বিষয়গুলো জানে বলে বাচ্চাদের আবদার রাখতে অন্যায় কিছু করে না। চাইলেই ছেলেকে গাড়ি কিনে দেয় না বা ছেলে-মেয়েও তা চায় না। নিজের ব্যবস্থা তারা নিজেরাই করে। আর সর্বোপরি আইনের প্রতি, নিয়ম নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রাখে সবাই। বাতিল লাইসেন্স এর উপর বাবা-মা ছেলেকে অন্তত গাড়ি কিনে দেয় না।

যদি সত্যিই বাবা কুমার বিশ্বজিত ছেলের লাইসেন্স বাতিলের বা আগের এক্সিডেন্ট এর খবর জানার পরও ছেলের জন্য গাড়ি কেনার ব্যবস্থা করেছে তাহলে তাকে আমি দোষী বলবো। স্পয়েল্ড সেলিব্রেটি কিডস্ হিসেবে ট্রিট করবো।

কানাডার বাচ্চাদেরকে দেখি ১৬ বছর হলেই নিজেই কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। নিজের খরচ, কলেজ ফি নিজেই জোগাড় করে। খুব কমই বাবা-মা থেকে টাকা পয়সা নেয়। আমার ছেলে ইউনিভার্সিটিতে পড়ে, আমি একটা পয়সাও ছেলেকে দেইনি। উল্টো ছেলে আমার বাজার করে দেয় মাঝে মাঝে। আমাদের দেশের বড়লোক বাচ্চাদের মতো বাবা-মায়ের পয়সায় ফুটানী করে না। বাবার পয়সা খরচ করে বলেই এদের জীবনের প্রতি মায়া থাকে না, নিয়ম নীতির তোয়াক্কা করে না।

এ ঘটনা আমাদের দেশের ধনী বাবা-মাদের জন্য একটা উদাহরন হয়ে থাকবে। যারা সন্তানদেরকে আতি আদরে নষ্ট করছে তাদের জন্য একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।

সব শেষে অনেক অনেক কষ্ট লাগছে বাচ্চাগুলোর জন্য। আর নিবির বেঁচে বাবা-মায়ের মাঝে ফিরে আসুক এ প্রার্থনা থাকলো।

পরিশেষে প্রিয় আসমা আহমেদ মাসুদের একটি চমৎকার ইন্টারভিউ এড করলাম। উনার সাথে আমি পুরোপুরি একমত।

আসমা আপুর সাক্ষাতকার


সোহানী
ফেব্রুয়ারী ২০২৩

মন্তব্য ৪৪ টি রেটিং +১০/-০

মন্তব্য (৪৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৫

শাহ আজিজ বলেছেন: হুম, সেলিব্রিটি হওয়ার জ্বালা অনেক ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০৯

সোহানী বলেছেন: সেলিব্রিটি বলে কথা নয়, স্পয়েলড সেলিব্রিটি সমস্যা।

২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৯:৫৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: রাম্পের উপরে ১৪০ কিলোমিটার স্পিড কল্পনাই করা যায় না। সম্ভবত এটাই আসল কারণ।

কিছু তরুণের গাড়ি বেপরোয়া চালানোর নেশা থাকে। অনেক আগে আমার এক বন্ধু বেপরোয়া গাড়ি চালিয়ে ভয়ংকর দুর্ঘটনা ঘটায়। গাড়ি কয়েক পাক খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে যায়। রাস্তা থেকে কয়েকশো গজ দূরে চলে যায়। তবে সে বেশী আঘাত পায়নি ভাগ্যক্রমে। এই বন্ধুকেই তারপরও বহুবার বেপরোয়া গাড়ি চালাতে দেখেছি, রেস করতে দেখেছি।

শুনেছি কুমার বিশ্বজিতের ছেলের অবস্থা সংকটজনক অবস্থায় আছে। আগুনে শরীরের বেশীরভাগ অংশ পুড়ে গেছে।
নিজের উপার্জিত টাকা মানুষ হিসাব করে খরচ করে। কিন্তু অন্যের টাকা বেহিসাবে খরচ করে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১২

সোহানী বলেছেন: রাম্পের উপরে ১৪০ কিলোমিটার স্পিড কল্পনাই করা যায় না।

একদম ঠিক। স্পিড লিমিট কমিয়ে আনার জন্যই রাম্প। সেখানে এরকম স্পিড ভয়াবহ।

পুরোপুরি জানি না তবে শুনেছি একটু ভালো। লোকাল নিউজগুলো খবর কাবার দেয়ার চেস্টা করছে। কিন্তু আমি ইন্টারেস্টেড না তাই দেখছি না।

৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:০২

জুল ভার্ন বলেছেন: খুবই মর্মান্তিক দূঃখ জনক!
আমার প্রথম মন্তব্যটা ডিলিট করে দেওয়ার অনুরোধ করছি।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৩

সোহানী বলেছেন: সত্যিই মর্মান্তিক। এর মাঝে একটি ১৬ বছরে বাচ্চা ও ছিল।

৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৬

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: ছেলে-মেয়ে বড় হচ্ছে কিন্তু মানুষ হচ্ছে না, এটাই মূলত সমস্যা। নিয়ম তো নিরপত্তার জন্যই। সেই নিয়ম ভাঙ্গার কি দরকার ছিল? এ ছেলে বেঁচে থাকলেও তাকে একটি ভয়াবহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে থাকতে হবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোহানী বলেছেন: এইটা মূল কথা, নিয়ম তো নিরপত্তার জন্যই। আর তা ভাঙ্গলে যে বিপদ হবে সেটাতো বুঝতে হবে। কিন্তু সমস্যা এরা আসলে বুঝে না। বা বোঝার মতো মানসিকতাই থাকে না।

৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:১৯

নতুন নকিব বলেছেন:



দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা। প্রতিটি এক্সিডেন্টই অপূরণীয় ক্ষতির কারণ। সাবধানতা অবলম্বনের বিকল্প নেই।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫১

সোহানী বলেছেন: হাঁ, তিনটা এমন তাজা প্রান ঝড়ে যাওয়া ভীষন কষ্টের।

৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:২৪

কামাল১৮ বলেছেন: খুবই সুন্দর গুছিয়ে লিখেছেন।প্রয়োজনিয় সকল তথ্যই দিয়েছেন।বাংলাদেশের বাবা মারা এই ঘটনা থেকে কিছুই শিখবেনা।এমন ঘটনা এটাই প্রথম না।বড় লোকদের ছেলে মেয়েদের এমন হাজারো ঘটনা আছে।দুঃখজনক

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: হাঁ, কানাডার ভয়াবহ সব এ্যাক্সিডেন্টের পিছনে এশিয়ান বাচ্চারা বড় অংশ। শুধু আমরাই নই, ভারত/পাকিস্তান/চীন সহ আরো বেশ কিছু দেশের ধনী কিডস্ দায়ী।

৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১০:৩৩

হাসান জামাল গোলাপ বলেছেন: এ ঘটনা আমার শহরেও নাড়া দিয়েছে। আমার এক পরিচিতের বেজমেন্টে দুজন বাংলাদেশি ছাত্র ভাড়া থাকে এবং তাঁরা কোন পার্ট টাইম কাজ করে না, করলে বাবা-মার কস্ট লাঘব হতো। পরিশ্রম করলে উচ্ছন্নে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, সেটা দেশের বাবা-মা বোঝেন না।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৫

সোহানী বলেছেন: একদম ঠিক কথা। আমাদের বাবা-মায়েরা এমন তুলোতুলো করে বড় করে বলেই তারা সহজে ভেঙ্গে পড়ে, নিয়ম ভাঙ্গে কিংবা সফল হতে পারে না।

৮| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

অপু তানভীর বলেছেন: দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মত মর্মান্তিক ব্যাপার আর কিছু হতে পারে না । কিন্তু এখানে আমি ঠিক দুর্ঘটনার কিছু দেখতে পাচ্ছি না । সেখানে স্পিড লিমিট ৬০ কিলো কেউ যদি সেখানে ১৪০ কিলো তোলে ইচ্ছেকৃত ভাবে তার পরিনতি এমনই হবে এবং এটাই স্বাভাবিক ।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৭

সোহানী বলেছেন: কথা সেটাই। তারউপর হাইওয়েতে এমন স্পিড বিপদজনক। আর নিবির নাকি এর আগেও ৪/৫ টা এ্যাক্সিডেন্ট করেছে। তাই তার লাইসেন্স বাতিল ছিল। তা সত্বেও সে গাড়ি চালাচ্ছিল।

৯| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৬

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: খুবই দুঃখজনক।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

সোহানী বলেছেন: সত্যিই তাই। এমন তরুন-তরুনীর মৃত্যু মেনে নেয়া কঠিন।

১০| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৫

রাজীব নুর বলেছেন: খুবই দুঃখ জনক।
আমি ইন্সট্রগ্রামে আখি আলমগীরের এক পোষ্ট থেকে এই ঘটনা জানতে পারি।
উত্তরাতে আমি কুমার বিস্বজিতের বাড়িতে গিয়েছিলাম। তার সাক্ষাৎকার নিতে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৯

সোহানী বলেছেন: হুম খবরটি অনেক নাড়া দিয়ে কানাডা বা কানাডার বাইরে।

১১| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৭

শেরজা তপন বলেছেন: বিষয়টা নিয়ে জানার আগ্রহ ছিল কিন্তু সময় সুযোগ করে উঠতে পারছিলাম না। আপনার পোস্টে একবারে সবকিছু মোটামুটি ভাবে জেনে নিলাম অনেক ধন্যবাদ।
এই ছেলেটার হঠকারিতায় আরো তিনটে জীবন অকালেই চলে গেল!

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০০

সোহানী বলেছেন: অনেকেই এ কারনে ছেলেটাকে দোষী বলছে। বারবার একই ঘটনা সে ঘটাচ্ছিল। তারপরও সাবধান হয়নি। স্টিয়ারিং হাতে পেলেই এরা সব কিছু ভুলে যায়।

১২| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৪

মিরোরডডল বলেছেন:




ঘটনাটা অত্যন্ত মর্মান্তিক !!!!
কোনো বাবা মা চায়না সন্তান নিয়ম অমান্য করুক, লাইফ রিস্ক নিয়ে ওভারস্পিডিং করুক।
বাবা মায়েরা সবসময় সন্তানকে ভালো উপদেশ দেয়, কিন্তু সন্তান যদি অবাধ্য হয়, কথা না শোনে, সেই দায় বাবা মায়ের না।

এই এক্সিডেন্টের জন্য রেস্পন্সিবল নুইসেন্স ড্রাইভারের রোড রুলস নেগলেজেন্সি।
৪০/৬০ জোনে ১৪০ গাড়ি চালানো রীতিমতো সুইসাইডাল।

আই উইশ নিবিড় ভালো হয়ে উঠুক এবং এই ঘটনা থেকে লাইফ টাইমের শিক্ষা নিক।
আশা করি ওদের বয়সী অন্য ছেলেমেয়েরাও সচেতন হবে।

১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:০৮

সোহানী বলেছেন: আদর এক জিনিস আর অতি আদর ভিন্ন জিনিস। ছেলে অবাধ্য হয়ে কথা নাও শুনতে পারে। সেক্ষেত্রে এমন ২০ বছরের তরুনের দায়িত্ব বাবা-মায়ের ঘাড়ে আসে না। সে তার নিজের ব্যাবস্থা করতে পারে যদি বাবা-মা কঠোর হয়। আর যদি বাবা-মা ছেলের কথায় চলে তাহলে অবশ্যই বাবা-মা দায়ী।

এখানে যতটুকু শুনেছি। ছেলেটির যেহেতু লাইসেন্স বা ইন্সুরেন্স পারমিট ছিল না তাই বাবা এক মাস আগে অন্য একজনের নামে গাড়ি কিনে ছেলেকে দেয়। সেখানে বাবাকে দোষী করাই যায়।

কি করতে পারতো বাবা যদি ছেলে এমন জিদ করে,
ছেলেকে টাকা পয়সা পাঠানো বন্ধ করে দিতে পারতো। এতে যখন ছেলে কাজে যেত তখন বিএমডব্লিও কেনা সম্ভব হতো না। ছাত্র অবস্থায় পেটের ভাত জোগাড় করে বিএমডব্লিও কেনা কোনভাবেই সম্ভব নয়।

কিন্তু তা না করে ছেলের আবদারে অন্যায় পথে পা বাড়িয়েছে।

১৩| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৮:৩৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: কুমার বিশ্বজিতের খবরই আছে। দেশ হলে এ ধরনের অপরাধ কোন ব্যপার না। কিন্ত বিদেশে এই ছেলের বেপরোয়া ড্রাইভিং এর কারনে প্রান গেছে আরো তিন জনের। বিষয়টা আদালত পর্যন্ত গড়াবে সামনে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভোর ৬:৪৭

সোহানী বলেছেন: হুম বেঁচে ফিরুক আগে। ভয়ংকর রকম এ্যাক্সিডেন্ট করেছে। আগুন ধরে গিয়েছিল।

১৪| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ৯:০৬

মিরোরডডল বলেছেন:




আদর ভালো কিন্তু অতি আদরে বাঁদর হয় সেটা ভালোনা।
সন্তান যা চায় তাই দিয়ে স্পয়েল করা সেটাও ঠিক না, আই এগ্রি।
লাইসেন্স ক্যানসেল হবার পর অন্যভাবে গাড়ি কিনে দেয়া একেবারেই উচিত না, সহমত।
আই বিলিভ,এর জন্য অবশ্যই পেরেন্টসকে জবাবদিহিতা করতে হবে।

কিন্তু আমার প্রথম মন্তব্যে যেটা বলতে চেয়েছি, ওপরে মেনশন করা এগুলো কোনটাই এক্সিডেন্টের কারণ না।
এটা যদি বাবার প্রেজেন্ট করা BMW না হয়ে নিজের রোজগারে কেনা অন্য গাড়িও হতো, তাও হয়তো একসিডেন্ট হতো।
ওভার-কনফিডেন্ট হয়ে রুলস না মেনে ওভারস্পিডিং করাটাই ছিলো কারণ।
ভালো পেরেন্টস, খারাপ পেরেন্টস কেউই চায়না সন্তান অনিয়ম করে এমন দুর্ঘটনার শিকার হোক।

আমরা প্রায়ই নিউজে দেখি অল্প বয়সীরা বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার, এটা সেরকম একটি ঘটনা।
সচেতনতার অভাব।
এতগুলো তরুণ প্রাণ ঝরে গেলো, খুবই দুঃখজনক!

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৮

সোহানী বলেছেন: সামান্য আয়ে যে কেউই গাড়ি কিনতে পারে। কিন্তু বিএডব্লিউ কিনতে হলে যে পরিমান ইন্সটলমেন্ট দিতে হয় তা একজন ছাত্রের জন্য কঠিন।

আর কথা সেখানেই, ছেলে যে বেপরোয়া তা বাবার জানা ছিল নিশ্চয়। তারপরও কেন ছেলেকে মৃত্যুর টিকেট কিনে দিলো???

গাড়ির লাইসেন্স বাতিলতো আর এমনিতে হয়নি!!! তা জেনেও কেন বাবা ছেলের আবদার রাখলো। সে কি সামান্যতমও বুঝেনি যে কি বিপদে ছেলেটাকে ফেলছে। নাকি পিতৃস্নেহে অন্ধ ছিল?

১৫| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১০:২৫

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:

একসাথে এতগুলো মানুষ মৃত্যুবরণ খুবই দুঃখজনক।
গাড়ির এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকতেও কেন এতগুলো মানুষ মারা গেল খুবই চিন্তার বিষয়।

২০১০ এর পরে গাড়িগুলো নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব পারফেক্ট থাকে
ফ্রন্টে নিরাপত্তা মূলক এয়ারব্যাগ তো থাকেই দুই সাইডে ও উপর দিকেও এয়ারব্যাগ থাকে। আমি দুটো ভয়াবহ এক্সিডেন্ট দেখেছি খুব কাছে থেকে। গাড়ি চুরমার হয়ে গেলেও আরোহীরা মারা যাওয়া তো দূরের কথা, সামান্য আহত ছাড়া আর কিছু হয়নি।

আমার মনে হচ্ছে সেই গাড়ির ড্রাইভার ছাড়া অন্যরা সিটবেল্ট পড়েনি। নবাগত বাংলাদেশীদের এই প্রবণতা দেখা যায়।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৩

সোহানী বলেছেন: অতিরিক্ত গতিবেগ থাকার কারনে এতো জোড়ে দেয়ালে আছড়ে পড়ে আগুন ধরে যায়। গাড়ি থেকে বের হবার কোন সুযোগ ছিল না। এয়ারব্যাগ ছিল বলে ড্রাইভার বেঁচে গেছে। আর সিটবেল্ট না পরাটা নতুনদের জন্য খুব কমন।

আর আধুনিক গাড়ির সেন্সর এতো মারাত্বক যে বেশ বড় দূর্ঘটনাও এড়ানো যায়। কিন্তু তাদের কি হয়েছিল ভীতরে তা জানিনা। কিন্তু বাইরে থেকে যতটুকু জানা যায়, তারা রেসিং করছিল, হাই স্পিড ছিল, দুইবার কনক্রিট দেয়ালে ধাক্কা লেগে আগুন ধরে যায়।

১৬| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:০২

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: যেখানে ৪০-৬০ স্পীড লিমিট সেখানে ১৪০!! এ তো দ্বিগুনেরও বেশি। কুমার বিশ্বজিতের ছেলে নেশাগ্রস্থ অবস্থায় ড্রাইভিং করছিলো কি না বিষয়টি খাতিয়ে দেখা যেতে পারে। অল্প একটু ভুলে অপার সম্ভবনাময় এতগুলো প্রাণ ঝড়ে গেলো!! নিহতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি, আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি এবং কুমার বিশ্বজিতের ছেলের কঠিন শ্বাস্তি আশা করছি।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৭

সোহানী বলেছেন: না নেশাগ্রস্থ ছিল না। ওরা দুই বন্ধুর গাড়ি রেসিং করছিল হাইওয়েতে। আর ৪২৭ রাস্তা হলো টোল এর রাস্তা। সেখানে আমরা সাধারনত উঠি না কারন মারাত্বক এক্সপেন্সিভ। তাই গাড়ি কম থাকে। আর তাই তারা এ সুযোগ নিচ্ছিল। সাধারন হাইওয়ে হলে আরো অনেকগুলো গাড়ি একসাথে দূর্ঘটনা ঘটতো।

ছেলেটা বেঁচে ফিরে আসুক এ প্রার্থনা।

১৭| ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ১১:১৭

নেওয়াজ আলি বলেছেন: দোয়া করি যেনো ভালো হয়ে ফিরে আসে বাবা মায়ের বুকে।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:১৮

সোহানী বলেছেন: ছেলেটা বেঁচে ফিরে আসুক এ প্রার্থনা।

১৮| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাত ২:৫৮

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




মর্মান্তিক তো বটেই তবে একই সাথে বলতে বাধ্য হচ্ছি, আইন অমান্য করে কেরামতি দেখানোর ফল যা হবার তাই হয়েছে।
সমবেদনা জানাবো কাকে ?

আপনার পয়েন্টগুলোর সাথে সহমত।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২২

সোহানী বলেছেন: কানাডায় এমনিতেই ওয়েদারের জন্য দূর্ঘটনা ঘটে। সাথেতো আছে নিয়ম না মানা। কিন্তু এরা যা করেছে তা স্টুপিডিটি।

জেনেশুনে আত্মহত্যাই করেছে। বা বলা যায় সাধারন বিবেক বুদ্ধিও ছেলেটা হারিয়ে ফেলেছিল। এমন বিবেকহীন ছেলের জন্য বাবা মায়ের আরেকটু সাবধান হওয়া উচিত ছিল।

১৯| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৭:২১

শায়মা বলেছেন: বাংলাদেশে অনেক বাবা মায়েরাই মনে করে বিদেশের সুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে একবার অনিয়ন্ত্রিত সন্তানদেরকে পাঠিয়ে দিতে পারলেই বুঝি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। উন্নত দেশের উন্নত রুলস রেগুলেশন বুঝি তাদেরকে সঠিক পথে আনবে।

কিন্তু বাবামায়েদের আরেকটা কথাও মনে রাখা উচিৎ এই টিন এইজ পেরুনো ছেলেমেেয়েগুলি স্বাধীন জীবন পেয়ে বাবা মায়েদের চোখের আড়ালে হয়ে উঠতে পারে আরও বেপরোওয়া অনিয়ন্ত্রিত।

তারই প্রমান এই এক্সিডেন্ট।

ছেলেমেয়েরা বাবামায়েদের সামনে এক রকম স্কুলে আসলে শিক্ষক ও সহপাঠিদের কাছে আরেক রকম।
নিজ দেশের গন্ডি ছেড়ে দূর দেশে গেলেও আরেক রকম।

সবচাইতে অসহায় বাবা মায়েরা তারা জানেন না আসলেই কোথায় সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ।

১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:২৫

সোহানী বলেছেন: একদম সত্যটা বলেছো।

"বাংলাদেশে অনেক বাবা মায়েরাই মনে করে বিদেশের সুনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপনে একবার অনিয়ন্ত্রিত সন্তানদেরকে পাঠিয়ে দিতে পারলেই বুঝি নিশ্চিন্ত হতে পারবেন। উন্নত দেশের উন্নত রুলস রেগুলেশন বুঝি তাদেরকে সঠিক পথে আনবে।"

কিচু যে শিখতে হবে বা মানতে হবে তাইতো অনেকে বুঝে না। আর ভারতীয় ছেলে-মেয়েদের মতো তো কষ্ট করে না। বাবা-মা মাস গেলে টাকা পাঠায়। কষ্ট কি জিনিস বুঝেই না। তাই এরা অমানুষ হয়ে যায়।

২০| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:৪৭

মিরোরডডল বলেছেন:



লেখক বলেছেন: সামান্য আয়ে যে কেউই গাড়ি কিনতে পারে। কিন্তু বিএডব্লিউ কিনতে হলে যে পরিমান ইন্সটলমেন্ট দিতে হয় তা একজন ছাত্রের জন্য কঠিন।

আমি মনে হয় আমার কথা তোমাকে বোঝাতে পারি নাই।
বিএমডব্লিউর দাম সম্পর্কে আমি ভালোই অবগত।
আমি বলিনি যে ছাত্র নিজে বিএমডব্লিউ কেনার কথা।

আমি বলেছি এই ঘটনা নিজের কেনা যে কোনো গাড়িতেও হতে পারতো।
গাড়ি কার কেনা, কত দাম এটা আমার মন্তব্যের সাবজেক্ট ছিলোনা।
দুর্ঘটনার কারণ ওভার-স্পীডিং, এটাই বলতে চেয়েছি।

গাড়ির লাইসেন্স বাতিলতো আর এমনিতে হয়নি!!! তা জেনেও কেন বাবা ছেলের আবদার রাখলো। সে কি সামান্যতমও বুঝেনি যে কি বিপদে ছেলেটাকে ফেলছে। নাকি পিতৃস্নেহে অন্ধ ছিল?

এ বিষয়ে আগের মন্তব্যেও সহমত পোষণ করেছি।
স্নেহের নামে সন্তানের অন্যায় আবদার মেনে নিয়ে স্পয়েল করা একদমই ঠিক না।

আর কথা সেখানেই, ছেলে যে বেপরোয়া তা বাবার জানা ছিল নিশ্চয়। তারপরও কেন ছেলেকে মৃত্যুর টিকেট কিনে দিলো???

মৃত্যুর টিকেট কিনে দেয়া, এখানে আবারো বলবো যে সন্তান বেপরোয়া, বাবা মা এখানে থাকে না, সেই সন্তান এই একসিডেন্ট যেকোনো গাড়িতেই করতে পারতো। ফ্রেন্ডের গাড়ি হোক, রেন্ট-এ-কার হোক।
Accident is an accident.
Can't say parents are responsible.
The driver is 100% responsible for breaking the law and over speeding.

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৪

সোহানী বলেছেন: ড্রাইভার রেসপন্সিবল ঠিক আছে, কিন্তু যে বাবা জানে তা ছেলের কার ড্রিফটিং এর অভ্যাস, রেসিং এর নেশা, যখন তখন রুল ভাঙ্গার প্রবনতা........ তাকে গাড়ি কিনে দেয়ার আগে কি একবারও ভাবেনি ভবিষ্যতে কি হবে?

বাবা যদি এ গাড়ি কিনে না দিতো তাহলে তার পক্ষে সম্ভব ছিল না এমন গাড়ি ড্রাইভ করা। এ ছেলেকে গাড়ি নয় মেন্টাল হাসপাতালে ভর্তি করা দরকার ছিল। তাহলে নিজেও বাঁচতো, বাকি তিনটা প্রানও বেঁচে যেত।

ওও ভালো কথা, যে ছেলের সাথে রেসিং করছিল সে নাকি মাহি বি চৈাধুরির ছেলে B:-/ ........।

২১| ১৯ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: ঠিকই আছে, কারো কোন ভুল হয় নি। যে বা যারা ভুল করেছে, সে/তারা মাশুল দিচ্ছে, হিসেব মোটামুটিভাবে বেশ সোজাই।

২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ সকাল ৮:০৫

সোহানী বলেছেন: সত্য। কিন্তু বাকি বাচ্চাগুলোর দোষ কি ছিল?? স্পয়েলড কিডস্ এর মাশুল দিয়েছে সহজ সরল বাচ্চাগুলো।

২২| ৩০ শে মার্চ, ২০২৩ সকাল ১০:৫৫

খায়রুল আহসান বলেছেন: নিবিড় এর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে কোন আপডেট জানাতে পারবেন কি?
ছোটকাল থেকে যারা পরিবারে 'নিয়ম না মেনে চলা'র প্রশ্রয় পায়, তারা যেখানেই যাক না কেন, আজীবন সে প্রশ্রয়টুকু বক্ষে ধারণ করে চলে। সুযোগ পেলেই নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতায় লিপ্ত হয়।
মৃত দু'জন তরুণের মাগফিরাত কামনা করছি আর আহতের জন্য আশু আরোগ্য।

"পরিশ্রম করলে উচ্ছন্নে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে না, সেটা দেশের বাবা-মা বোঝেন না" - হাসান জামাল গোলাপ এর এ কথাটার সাথে একমত। শায়মা'র মন্তব্যটিও ভালো লেগেছে।

০১ লা এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:০১

সোহানী বলেছেন: ঠিক জানা নেই। শেষ যতটুকু জেনেছিলাম, বেঁচে আছে সত্য কিন্তু ভয়াবহ অবস্থায় বেঁচে আছে। গাড়িতো শুধু এ্যাক্সিডেন্টই নয়, আগুন ধরে গিয়েছিল। তারপরও বেঁচে থাকুক, সুস্থ্য হয়ে ফিরে আসুক।

আসলে, আমরা বাবা-মা অবশ্যই দায়ী। যেভাবে চারাগাছ বড় করবো সেভাবেই তা বেড়ে উঠবে। এ সহজ সত্যটুকু আমরা খুব একটা বুঝি না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.