নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমার দাবা খেলা.....................

০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:০৬


সুপার হিউমেন ম্যাগনাস B:-/

মাত্রই কাজাকিস্তানে শেষ হলো বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন শিরোপার লড়াই। দীর্ঘ ১০ বছরের চ্যাম্পিয়ন নওরোজিয়ান Magnus Carlsen "বহুত হইছে আর না" এই বলে নিজেকে সরিয়ে নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন লড়াই থেকে। এ ভদ্রলোককে নিয়ে লিখার ইচ্ছে আছে ভবিষ্যতে। কারন, এ ম্যাগনাস ভদ্রলোক মানুষ না, সুপার হিউম্যান। সুপার হিউম্যান ম্যাগনাস এর প্রতিভা শুরু হয় ২ বছর বয়সে ৫০০ পিসের পাজেল সলভ্ এর মাধ্যমে। প্রথমে দাবায় আগ্রহ না থাকলেও তিন বোনের মাঝে বড় হওয়া বোনদেরকে হারাতে দাবায় আগ্রহী হোন আর এর পরই তৈরী হয় ইতিহাস। সে ইতিহাসের রেকর্ড কবে ভাঙ্গবে জানা নেই।

যা বলছিলাম, এপ্রিল ৯ থেকে ৩০ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন শিরোপার এ প্রতিযোগিতায় সুপার হিউম্যান ম্যাগনাস অংশ না নেয়াতে রাশিয়ার Ian Nepomniachtchi অংশ নেন। যদিও নিষেধাজ্ঞার কারনে রাশিয়া নয় FIDE flag নিয়ে খেলেছেন। (FIDE flag মানে International Chess Federation or World Chess Federation এর পক্ষ থেকে খেলা। অর্থ্যাৎ যে সব প্রতিযোগী নিজস্ব দেশের পতাকা নিয়ে খেলতে পারে না তারা FIDE flag নিয়ে খেলায় অংশ নেয়। ই্উক্রেনের ইস্যুতে রাশিয়ার অংশগ্রহন নিষেধাজ্ঞার কারনে Ian Nepomniachtchi FIDE flag নিয়ে খেলায় অংশগ্রহন করেন।) এবং অপর পক্ষ ছিল চীনের Ding Liren। মোট ১৪ টি খেলা ৭-৭ এ ড্র হওয়াতে রেপিড টাইম ফর্মেটে টাইবেকারে ডিং চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে নেয়। যদিও টাইবেকারের প্রথম তিনটি খেলা ড্র হয় কিন্তু ৪র্থ খেলায় ডিং জিতে যায়। অতপর: দীর্ঘ ১০ বছরের চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস এর পর নতুন চ্যাম্পিয়ন হোন ডিং।

একসময় সারা বিশ্বের সাথে আমাদের দেশেও দাবা খুব জনপ্রিয় খেলা ছিল। রাতের পর রাত জেগে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন খেলা দেখতাম আমরা। কার কোন রেটিং বা কে নতুন গ্রান্ড মাস্টার হচ্ছে সেটা ছিল আমাদের প্রধান আলোচনার বিষয়। কিন্তু দাবা তার জৈালুস হারাচ্ছে দিনে দিনে। শুধু মনে হয় আমাদের দেশই না সারা বিশ্বেই একই অবস্থা। ক্রিকেট, ফুটবল বা টেনিসের চাকচিক্যে স্লো গেইম দাবা এখন আর তেমন আকর্ষন করে না তরুনদের। তার উপর ঝলমলে ভিডিও গেমের নেশায় পড়ে থাকা তরুনরা এখন আর দাবা নিয়ে আগ্রহ দেখায় না।

নিয়াজ মোর্শেদ, রানী হামিদ, জিয়া, এনামুল হোসেন সহ অনেকেই ছিলেন নামকরা তখন। এখন যে কে তা ও ঠিক জানি না। স্কুল, জেলা বা জাতীয় পর্যায়ে অনেক খেলা হতো তখন। ঘরে ঘরে দাবা ছিল জনপ্রিয়। ছেলে বুড়ো সবাই বসে পড়তো দাবা নিয়ে। আগের দিনের বেশীরভাগ ছবিতে গুরু গম্ভীর এমন কোন চরিত্র দেখাতে হলে তাঁকে দাবা খেলতে দেখা যেত। প্রতিদিনেই খবরের কাগজে কোন না কোন দাবা খেলার খবর থাকতো। আর আমরা ছোটরা সবসময় খবরের কাগজ থেকে খবর ও খেলোয়ারদের ছবি কেটে কেটে ডায়রীতে জমা করতাম। বিশেষকরে ছুটির দিনের রঙ্গীন ছবিগুলো ছিল আমাদের কাছে প্রধান আকর্ষন।

যাহোক, সবার মতো আমাদের বাসায়ও দাবা ছিল সবারই প্রিয় খেলা। আমরা কম বেশী খেলতে পারতাম দাবা, ছোট বড় সবাই। তবে আমাদের বাসার সব খেলোয়ারদের মাঝে ছিল বিশাল শ্রেণী বিভাজন B:-) । সিডিউলড কাস্ট বা নিম্নশ্রেনী হলো আমরা যারা কম দাবা খেলা পারতাম অর্থ্যাৎ আমার মতো গুড়া বাচ্চারা যারা গুটি চিনতাম ও কোন রকমে গুটি আগায়ে খেলতে পারতাম কিন্তু দু-তিনটা প্যাঁচে আটকা পড়ে যেতাম বড়দের কাছে। আমাদের পরের ছিল ক্ষৈত্রীয় গ্রুপ, মানে যারা মোটামুটি খেলতে পারতো। মাঝারি মানের লড়াই হতো তাদের মাঝে ও মাঝে মাঝে ড্র হতো বড় গ্রুপের সাথে। আর সর্বশেষ ছিল ব্রাম্মণ গ্রুপ, যারা খুব ভালো খেলতো। তাদেরকে হারানো আমাদের জন্য বেশ কঠিন ছিল।

তো এ গুড়া বাচ্চাদলে আমি সহ কিছু কাজিন ছিলাম :-B । মাঝারি গ্রুপে মেঝ বোন, ছোট ভাই ও ছোট কাকা ছিল। আর ব্রাম্মণ গ্রুপে ছিল আব্বু, বড় কাকা, সেজ কাকা।

আমাদের খেলার নিয়ম ছিল, সিডিউলড কাস্টরা নিজেদের মাঝে আগে খেলবে। এর মাঝে যে জিতবে সে মাঝারি মানে ক্ষৈত্রীয় গ্রুপে খেলবে। এবং তার মাঝে বিজয়ী ব্যাক্তিই একমাত্র ব্রাম্মণ গ্রুপে খেলার সুযোগ পাবে। আমরা সরাসরি ব্রাম্মণ গ্রুপে খেলার সুযোগ পেতাম না। তবে ব্রাম্মণ গ্রুপে খেলার ও ভাগ ছিল। সবার প্রথমে কাকাদের সাথে খেলবে, সেখান থেকে জিতে সর্বশেষে আব্বুর সাথে খেলবে। আমি এ জনমে সিডিউলড কাস্ট থেকে উপরে আর উঠতে পারি নাই। কিন্তু আমার মেঝ বোন বা ছোট ভাই ঠিকই আব্বুর সাথে খেলার চান্স পেয়েছিল। দু একবার মনে হয় জিতেও ছিল। B:-/

আমার ছেলের খুব ছোট থাকতেই তার সাথে আমি দাবা খেলা শুরু করেছিলাম। গত বছর পর্যন্ত আমার ছেলে বা মেয়ে আমার সাথে একটা ম্যাচেও জিতে নাই। আমি খেলি ডিফেন্সিফ, ধৈর্য্য নিয়ে। কিন্তু সে ধৈর্য্য আমার ছেলে-মেয়ের তেমন একটা নাই। হঠাৎ ই কয়েক মাস থেকে দেখি আমার ছেলে/মেয়ে রাত দিন দাবার বই, দাবার চ্যানেল নিয়ে পড়ে থাকে কিন্তু আমার সাথে বললেও খেলে না। তার বেশ কিছুদিন পর ছেলে বললো আসো তোমার সাথে খেলি, এবং খেললাম ও প্রথম বারের মতো তার কাছে হারলাম। আমি অবাক হয়ে আবার খেললাম এবং আবারো হারলাম।........... তারপর থেকে এ পর্যন্ত আর জিতি নাই ছেলের কাছে। ছেলে খেলে ট্যাকনিকেল খেলা, অনেকটা ইন্টারন্যাশানাল ম্যাচগুলো ফলো করে। আর মেয়ের সাথে তীব্র লড়াই এর পর জিতেছি কিন্তু কিছুদিন পর মনে হয় না জিততে পারবো......। তবে এ হারে আমার খুব আনন্দ হয় কারন তারা ভিডিও গেইম নিয়ে বসে পড়ে থাকে না, সময় পেলে দাবার বোর্ড নিয়ে বসে পড়ে ভাই-বোন।

যাহোক, যেমনই খেলি না কেন আমার সংগ্রহে বেশ কয়েকটা দাবার বোর্ড আছে। চোখে পড়লেই আমি কিনে ফেলি। এবং একটা হোসেরিয়ার হাতের তৈরী কাঠের দাবা বোর্ড আছে। ছেলেকে গিফট্ করেছিলাম।

আজ এতটুকুই দাবা নিয়ে, অবিষ্যতে আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে নিশ্চয়।

সোহানী
মে ২০২৩


আমার সামান্য সংগ্রহ

প্রথম দু'টি ছবি গুগল মামা ;) , আমার তোলা না নিশ্চিত B-))

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১৪/-০

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪১

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন:


দাবা খেলা আমাকে দিয়ে হবে না, অনেক দিন আগে বুঝেছি। :)

আর, বাংলাদেশের একজন গ্র্যান্ড মাষ্টারের নাম লেখা হয়ে এই পোস্টে। নামটা মনে হয় নিয়াজ মোর্শেদ হবে, রিয়াজ মোর্শেদ নয়।

রানী হামিদের খেলা খুব ভালো ছিলো। ফুটবলার কায়সার হামিদের বোন বা আম্মা হবেন তিনি।

০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫১

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ, টাইপো ছিল। ঠিক করে দিয়েছি।

রানী হামিদ ফুটবলার কায়সার হামিদের মা।

দাবা হলো ধৈর্য্য এর খেলা। তবে আমার ছেলে-মেয়েরা ধৈর্য্য ধরে না, ওরা ট্যাকনিকেল খেলা খেলে। তাই অল্প সময়ে খেলা শেষ।

২| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: শিক্ষার ক্ষেত্রে ছাত্রের কাছে শিক্ষকের পরাজয় এবং খেলাধুলা বা এই জাতীয় জিনিসে সন্তানের কাছে পিতার পরাজয় উভয়ের জন্যই আনন্দদায়ক। হুমায়ূন আহমেদ এই কথা বলেছিলেন।

বর্তমানে আমার মেঝো ছেলে আর আমার মধ্যে দাবা খেলায় ১ - ১ ড্র চলছে। ও জিতলে আমার আনন্দ লাগে। আমাদের বাসায় এক সময় দাবা, ক্যারাম আর তাসের আসর বসতো। আমরা বেশী খেলতাম কাজিন, ফুফু, মামা, মা এদের সাথে।

নিয়াজ মোরশেদ বাংলাদেশের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার ছিলেন। আপনি ভুলে রিয়াজ লিখেছেন। রাণী হামিদের দাবার বইটা আমাদের জন্য বেশ উপকারী ছিল।

০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৩

সোহানী বলেছেন: সত্য, একসময় দাবা কেরাম ছিল আমাদের আনন্দ। আর এখন বাচ্চারা ভিডিও গেমে আনন্দ পায়।

আমি তেমন কিছু শেখাইনি বাচ্চাদের। ওরাই নিজে নিজে শিখেছে। আমি শুধু আগ্রহটা তৈরী করে দিয়েছিলাম।

হাঁ, টাইপো ছিল। নামটা ঠিক করে দিয়েছি। ধন্যবাদ।

৩| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৭:৫৪

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




হা...হা... ব্লগের এই খরায় বেশ ভালো চাল চেলেছেন। :D অন্তত একটা পোস্টতো ব্লগে এলো। :|
দাবার সেই যুগ আর নেই । ববি ফিশার, বরিসস্পাস্কি, গ্যারী কাসপারভদের জমানা শেষ। ঠিকই বলেছেন, এখনকার প্রজন্মের সময় কই ধৈর্য্য ধরে দাবা খেলা বা দেখার ?

স্মৃতিময় লেখা। আপনার পরিবারের দাবারুদের শ্রেনী কৌলিন্য জেনে খুব মজা পেয়েছি। তা ছেলের কাছে হেরে আপনি কি ব্রাহ্মন্য ষ্ট্যাটাস হারিয়ে ফেলেছেন রাশান Ian Nepomniachtchi এর মতো ? :P

জীবনটাই এই দাবার মতো, কোন চালে যে কি ভন্ডুল হয়ে যায়! আবার তেমন চালে বাজীমাৎ!

০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৮:০৭

সোহানী বলেছেন: ঈদ টিড মিলায়ে দৈাড়ের উপর ছিলাম। ব্লগের খড়ার খোঁজ নেবার সময় পাইনি। আজ অনেকদিন পর একটু বসার সুযোগ মিলেছে, যদিও ঘুম পাচ্ছে........ :|

ববি ফিশার, বরিসস্পাস্কি, গ্যারী কাসপারভ.............. আহ্ কি দিন ছিল। কি উত্তেজনা!! কে জিতবে, কে হারবে..... কত কত গবেষনা, ট্যাটিসটিক্স!!

আমার অবস্থা এখন বেশ খারাপই বটে :P। ছেলের দূর্বল পয়েন্টগুলো ধরার চেস্টা করছি। কিছু ধরতে পেরেছি, তাই বেশ লড়াই হচ্ছে এখন। তবে পারবো না ওর সাথে কারন সে যে খেলা দেখে তার চাল মাথায় রাখে। যা আমি কখনই করি না। আমার মনেই থাকে না। আর সে কারনেই ডিফেন্সিভ খেলি।

আমাদের পরিবারের দাবারুদের শ্রেনী কৌলিন্য এখন মজা পাচ্ছি কিন্তু তখন খুব রাগ হতো। কেন কেউ পাত্তা দিচ্ছে না তা নিয়ে খুব অভিমান হতো।....... এখন বুঝি আমরা কেন পাত্তা পেতাম না................হাহাহাহাহা

জীবনটাই এই দাবার মতো হলেও ভুল চালে ভন্ডুল হবে না যদি পরবর্তী চালগুলো ঠিক হয়। বা বলা যায় হতাশ না হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সাহস রাখে। কিন্তু হতাশ হলে সব শেষ!!!!!!!!!!!!!!!!

৪| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ৮:১১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ড মাস্টার ববি ফিশার, আনাতলি কারপভ, গ্যারি কাস্পারভ এদের নাম মনে আছে। প্রথম দিকের শক্তিশালী চেস কম্পিউটারের মধ্যে ১৯৯৬ সালে আই বি এমের চেস কম্পিউটার 'ডিপ ব্লু ' ছিল বেশ আলোচিত। রাশিয়ান গ্র্যান্ড মাস্টার গ্যারি কাস্পরভ ৬ গেমের মধে ৪ টাতে যেতে আর কম্পিউটার যেতে ২ টা তে। ১৯৯৭ সালে 'ডিপ ব্লু ' ২ টা তে যেতে আর কাস্পরভ ১ টা জেতে। বাকি ৩ টা গেম ড্র হয়। এগুলির কথা খেয়াল আছে।

আমার মেঝো ছেলে কম্পিউটারে চেস খেলে আর শেখার চেষ্টা করে। আমিও তেমন কিছু শিখাইনি। তবে অফেন্সিভ খেলতে উৎসাহিত করেছি।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:৫১

সোহানী বলেছেন: হাঁ একসময় ববি ফিশার, আনাতলি কারপভ, গ্যারি কাস্পারভ ছিল ক্রেজ। কিন্তু দিনে দিনে দাবা কেমন যেন স্থির হয়ে যাচ্ছে্। আমি বলবো যারা অর্গানাইজ করে খেলা তারাও খুব একটা এ্যাক্টিভ না। তা না হলে অল্প কয়েক বছরের ব্যবধানে এমন নিষ্প্রান হবার কথা না।

কম্পিউটারে দাবা খেলে আমি মজা পাই না। বোরিং লাগে। বরং সামনা-সামনি ভালো লাগে।

ছেলেকে শেখান বা খেলেন। ভালো সময় কাটবে।

৫| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:২৩

কামাল১৮ বলেছেন: দাবা খেলা গভীর মনোযোগের খেলা।মনোযোগ হারিয়ে ফেললেই ভুল চাল দিয়ে পরাজয় বরণ করতে হয়।বহু দিন খেলি না।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৪

সোহানী বলেছেন: হাঁ, মনোযোগ ধরে রাখা কঠিন বেশ। আবার অনেকেই খুব দ্রুত ধরে ফেলতে পারে বা দ্রুত চাল দিতে পারে। আমি অবশ্য তা পারি না। আমার বোনের ছেলে অসম্ভব দ্রুত চাল দেয় এবং এক সাথে তিন স্টেপ আগে চিন্তা করতে পারে।

৬| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১০:৪৯

শূন্য সারমর্ম বলেছেন:


দাবা খেলার বেসিকটা শিখেছিলাম ছোট বেলায়, কিন্তু প্রাকটিসের অভাবে ভালো কিছু হয়নি।আপনার ছেলে/মেয়ের জন্য শুভকামনা।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৬

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ।

আমরা ছোটবেলায় দাবা শুরু করেছিলাম কিন্তু এখনকার বাচ্চারা তা করে না। বা খেলেই না।

৭| ০৩ রা মে, ২০২৩ সকাল ১১:০৪

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: দাবা আমার ভীষণ পছন্দের খেলা কিন্তু বাস্তবে খেলার মতো মানুষ পাওয়া কঠিন। উপরে যার ব্যাপারে লিখেছেন, তার ব্যাপারে তেমন জানা ছিলাে না অবশ্য বিষয়গুলো কখনো ঘাটাঘাটিও করা হয় নি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:৫৮

সোহানী বলেছেন: আসলেই এখন খুব কম মানুষই দাবা খেলে। তাই পার্টনার পাওয়া কঠিন। বাবা-দাদাদের সময় টিভি/ইউটিউব/ফেসবুক ছিল না বলে তারা ব্যাস্ত থাকতো দাবা নিয়ে। এখন আর সময় কোথায়??

৮| ০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ১২:১৪

রানার ব্লগ বলেছেন: দাবা মজার খেলা । এই খেলায় চাপা একটা উত্তেজনা থেকে । বিশেষ করে প্রতিপক্ষকে চাল দিয়ে প্যাচে ফেলতে পারলে তো কথাই নাই তার যে কি তৃপ্তি তা যে খেলে সে জানে । আমার তো মনে হয় দাবা খেলা আর গোপন প্রেম একই ধরনের শিহরনের সৃষ্টি করে ।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১:০০

সোহানী বলেছেন: ওরে বাপরে...... আপনি দেখি আরেক ডিগ্রি উপরে। দাবা খেলার সাথে গোপন প্রেম এর তুলনা!!!!!! হাহাহাহা

যাহোক, বোঝাই যাচ্ছে আপনি দাবা পছন্দ করেন।

৯| ০৩ রা মে, ২০২৩ দুপুর ২:১৫

মরুভূমির জলদস্যু বলেছেন:
- আমি দাবা খেলতে পারি এইটা আমার দুই কন্যা এবং তাদের জননী বিশ্বাস করতে নারাজ। অথচো এক সময় আমি এলাকার মুটামুটি ভালো খেলোয়ার ছিলাম।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১:০১

সোহানী বলেছেন: তাহলে ভাবী এবং বাচ্চাদের দেখানোর জন্য ব্লগবাসীদের নিয়ে একটা দাবা প্রতিযোগীতার আয়োজন করেন।...........

১০| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:০৪

রাজীব নুর বলেছেন: খুব সুন্দর একটা লেখা লিখেছেন।
দাবা আমার খুব পছন্দের খেলা। আমি জানি দাবা কি করে খেলতে হয়। নিয়ম কানুন সবই জানি। অথচ দাবা খেলার পার্টনার খুঁজে পাই না। শেষে বাধ্য হয়ে মোবাইলে খেলি।

বাংলাদেশের লোকজন লুডু খেলে কিন্তু দাবা খেলে না। দাবা খেলার লোক খুব আছে।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ ভোর ৬:০১

সোহানী বলেছেন: এক সময় দাবাই ছিল দামী খেলা। লুডু ছিল ভাবীদের খেলা।

আমরাও লুডু খেলতাম কিন্তু শেষে বোর্ড ছিঁড়ে মারামারি পর্যায়ে যেত। কারন মেঝ মামা ছিল দারুন গুটি চোর। কাঁচা গুটি পাকা করতে তার জুড়ি ছিল না। তারপর এ নিয়ে ঝগড়া হয়ে খেলা বন্ধ হতো।

এখনো ভালো লাগে বোর্ড গেইম খেলতে। আমার বাসায় প্রচুর বোর্ড গেইম আছে। আমি বাচ্চাদের সাথে খেলতে পছন্দ কার।

১১| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৩:২২

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
অনেক বছর খেলা হয়না। সুন্দর পোস্ট ++++++

০৪ ঠা মে, ২০২৩ ভোর ৬:০১

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ মাইদুল।

১২| ০৩ রা মে, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: একটা সময় এমন নেশা ছিল দাবা খেলার । রাতের রাত কেটে যেত দাবা খেলায় ভাইবোনেরা। এখন কোন খেলাই আর টানে না।

০৪ ঠা মে, ২০২৩ ভোর ৬:০৩

সোহানী বলেছেন: আমি এখনো খেলি। ভালো লাগে। আর সবচেয়ে বড় কথা বাচ্চাদের অভ্যেসটা ধরে রাখার চেস্টা করি।

১৩| ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২০

শায়মা বলেছেন: এই কাঁচের দাবাটা আমার আছে। আরও কিছু দাবা আছে কিন্তু তোমার সবুজ বক্সের দাবার গুটি দেখে আমি মুগ্ধ। এই কাঁচের দাবাটা আমার আছে। আরও কিছু দাবা আছে কিন্তু তোমার সবুজ বক্সের দাবার গুটি দেখে আমি মুগ্ধ।

এই গুটিগুলি দেখো!! :)

০৪ ঠা মে, ২০২৩ ভোর ৬:০৯

সোহানী বলেছেন: ছেলের দাবায় আগ্রহ দেখে কিনেছিলাম। অনেকগুলো আছে তবে এটা ছাড়া বাকিগুলো তেমন একটা দামী না।

তোমার কাঁচেরটাও অনেক সুন্দর।

এখানে দারুন সব বোর্ড পাওয়া যায়। কিন্তু এমন দাম যে সাধ্যের বাইরে।

১৪| ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৭

শেরজা তপন বলেছেন: দাবায় একবার আমি ঢাকা কলেজে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। রাশিয়া গিয়ে বহু গাধা গাধা রাশিয়ান খেলোয়ারের সাথে খেলেছি :)

০৪ ঠা মে, ২০২৩ ভোর ৬:১৪

সোহানী বলেছেন: ওয়াও...... ঢাকা কলেজে চ্যাম্পিয়ন!! তাহলেতো আপনি দারুন খেলেন।

রাশিয়া মানেতো দাবা, জনপ্রিয়তাতো তুঙ্গে।। আপনার সে অভিজ্ঞতা শুনতে চাই। লিখে ফেলুন তাড়াতাড়ি।

১৫| ০৩ রা মে, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৫৮

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



দাবা খেলার ইতিহাস ও উৎপত্তি নিয়ে রয়েছে বেশ কিছু পরস্পর বিরোধি তথ্য উপাত্ত ।
১৮০১ সালে ‘অন দ্য বার্মা গেম অব চেস’ শিরোনামে ‘এশিয়াটিক রিসার্চেস’-এ প্রকাশিত ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স
এর লেখা একটি চিঠিতে দাবা খেলার উৎপত্তি, ক্রমবিকাশ ও রূপভেদ নিয়ে রয়েছে এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল।
সেখানে তিনি যে তত্ত্ব হাজির করেছেন, তা দাবার ‘কক্স-ফোর্বস তত্ত্ব’ নামে বিখ্যাত।
১৭৯৯ সালের ২৮ মে ব্রিটিশ প্রশাসক জন হারবার্ট হ্যারিংটনকে চট্টগ্রাম থেকে একটি চিঠি লেখেন ক্যাপ্টেন হিরাম কক্স।
বিস্তৃত সে চিঠির একটি অংশে তিনি দাবাখেলার উৎপত্তি সম্পর্কে একটি ঘটনার উল্লেখ করেছেন। হিরাম কক্স কেবল
ব্রিটিশ প্রশাসক ছিলেন না। তিনি একজন দাবাড়ু ও দাবা গবেষকও ছিলেন।

‘অন দ্য বার্মা গেম অব চেস’ শিরোনামের সে চিঠির একটি অংশে হিরাম কক্স দাবা খেলার উৎপত্তি সম্পর্কে একটি মিথের
উল্লেখ করেছেন। সে মিথ অনুসারে, দাবা খেলার ধারণাটি লঙ্কার রাজা রাবণের স্ত্রী মন্দোদরীর মস্তিষ্কপ্রসূত। ত্রেতা যুগে
রাম লঙ্কা আক্রমণ করেন। যুদ্ধের ময়দানে রাবণের বাহিনী যখন রামের সেনাদলের মোকাবেলা করছে,তখন ঘরে বসেই
যুদ্ধের স্বাদ নিতে মন্দোদরী আবিষ্কার করে ফেললেন চমত্কার বুদ্ধিবৃত্তিক দাবা খেলাটি।

খেলাটি যখন একজন মহিলা কতৃক উদ্ভাবিত সে দাবা খেলা যে আপনার দাবা খেলাই হবে তাকি আর বলতে ।
সাধারণতঃ গণিতে অভিজ্ঞরাই দাবা খেলায় বেশী আগ্রহী ও উন্নতি করতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা দাবী করে থাকেন।
তবে সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, এ খেলায় নারীদের তুলনায় পুরুষদের অংশগ্রহণের হার খুব বেশি।
শতকরা ৯৮ জন পুরুষ দাবা খেলায় অংশ নেন; যেখানে নারীদের অংশগ্রহণ মাত্র ২%। এই ২% এর মধ্যে আপনার
মত মেধাবী একজন নারী দাবা খেলায় মাতামাতি করেছেন ও এখনো সে ধারা ধরে রেখেছেন সেটাতো আমাদের
কাছে গর্বের বিষয় । এ ছাড়া সামু ব্লগের এই ধীরগতির সময়ে দাবা নিয়ে পড়ে থাকাতেই যথেষ্ট আনন্দ পাওয়া যাবে
বলে মনে হচ্ছে । পোষ্টে মন্তব্যের চালাচালী প্রবনাতেও বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে । চলতে থাকুক দাবা খেলা ।
উঠে আসুক দাবা নিয়ে অতীত ও চলমান ঘটনা প্রবাহ সাথে প্রথিত যশা দেশী বিদেশী দাবারুদের গৌরব গাথা।
আমাদের জ্ঞান ভান্ডার হোক সমৃদ্ধ ও বুদ্ধিমত্তা হোক সমৃদ্ধ ও চৌকুষ।

প্রীয় খেলাটি নিয়ে কথামালা সমৃদ্ধ পোষ্টটি প্রিয়তে তুলে রাখলাম ।

শুভেচ্ছা রইল

০৪ ঠা মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৬

সোহানী বলেছেন: আপনার মন্তব্য মানেই দারুন কিছু জানতে পারা।

দাবার ইতিহাস আমি আসলে খোঁজ নেইনি। আমার ইতিহাস নিয়ে আগ্রহ কম, আমি ম্যাথের মানুষ। কিন্তু ছেলের খুব আগ্রহ ইতিহাস নিয়ে। রাবণের স্ত্রী মন্দোদরীর মস্তিষ্কপ্রসূত........ শুনেছিলাম এরকম কিছু। কিন্তু আগ্রহী ছিলাম না বলে ভীতরে ঢুঁকিনি তাই ইতিহাসটা জানা নেই। আপনার ক্লুটা শুনে আগ্রহী আরো কিছু জানতে। পড়বো..........

২% এ আমি আছি জানতে পেরে খুব ভালো লাগছে। পরিসংখ্যানটা জানা ছিল না। আসলে দাবা অনেকটা ধৈর্য্য নিয়ে খেলতে হয় বলে অনেকে আগ্রহী হয় না। আর তার চেয়েও বড় কথা, অধিকাংশ পরিবারেই মনে হয় খেলাধুলায় মেয়েদের পার্টিসিপেশান কম। খেলা মানেই ছেলে ছেলে বিষয়, এটা একটা অলিখিত বিশ্বাস। আর দাবাতো আরো না, কারন এতো সময় কোথায় মেয়েদের যে ঘন্টার পর ঘন্টা দাবা নিয়ে বসে থাকবে!!

তারপরও এখন সময় ও বিশ্বাস পাল্টেছে বলেই মেয়েদের পার্টিসিপেশান বেড়েছে সবখানে।

কিন্তু দাবার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে আরো প্রচারনা দরকার দাবা ফেডারেশানের। অনেক প্রতিযোগিতার আয়োজন দরকার। কিন্তু তেমন কোন আগ্রহতো দেখছি না। যাহোক, প্রত্যাশা থাকলো।

অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনার আশীর্বাদের জন্য ও প্রিয়তে তুলে রাখার জন্য। লিখবো নিশ্চয় আবারো দাবা নিয়ে।

ভালো থাকুন সবসময়ই।

১৬| ০৩ রা মে, ২০২৩ রাত ৯:০৩

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমাদের কিশোর বয়সের ক্রেজ ছিল রানী হামিদ, নিয়াজ মোর্শেদ। ঘরে ঘরে দাবা খেলা ছিল দারুন জনপ্রিয়। কিশোর বয়সে অনেক টুর্নামেন্টেও পার্টিসিপেট করেছিলাম।

০৫ ই মে, ২০২৩ ভোর ৬:৩৮

সোহানী বলেছেন: যাক লিখাটা সব দাবাড়ুদেরকে সামনে এনেছে।

আসলে আমরা যে সময়ে বড় হয়েছিলাম তখন স্যোশাল মিডিয়া বা ইউটিউব ছিল না বলে হাতে অনেক সময় ছিল খেলার জন্য। যা এখন চিন্তাই করা যায় না। তারপরও প্রত্যাশা দাবা তার জৈালুস আবার ফিরে পাক।

১৭| ০৪ ঠা মে, ২০২৩ রাত ১২:১৭

মহাজাগতিক চিন্তা বলেছেন: একদা আমিও দাবা খেলতাম। পরে কম্পিউটারের সাথে খেলেছি। মাঝে মাঝে জিতেও যেতাম। আমি ওপেন্সিব খেলতাম।

০৫ ই মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

সোহানী বলেছেন: কম্পিউটারের সাথে খেলতে আমি একেবারেই পছন্দ করি না। এ্যাকাউন্ট ওপেন করে মনে হয় আধা খেলেছি। অথচ আমার ছেলে-মেয়ে দেখি ঘন্টার পর ঘন্টা খেলে।

১৮| ০৫ ই মে, ২০২৩ রাত ১:২৩

বোকা মানুষ বলতে চায় বলেছেন: বাহ, আপনার পরিবারের দাবা খেলার মজার প্রচলন এর কথা শুনে মুগ্ধ। অনেকটা লীগের মত, তৃতীয় বিভাগ থেকে দ্বিতীয় বিভাগ হয়ে প্রথম বিভাগে উত্তরণ এবং তারও পরে প্রিমিয়ারে চান্স পাওয়া। ভীষণ মজার শৈশব ছিলো। +++

আমি দাবা খেলা শিখি ক্লাস টু'তে থাকাকালীন; পড়াশোনা গোল্লায় দিয়ে দাবা খেলা শিখি, যার ফলাফল বার্ষিক পরীক্ষায় খারাপ রেজাল্ট... বহু বছর দাবা খেলা হয় না। যদিও আমি খুব আহামরি দাবা খেলা পারি না, কিন্তু দাবা খেলা খুব পছন্দের।

আমাদের এলাকায় একসময় "দাবা ক্লাব" ছিলো, ছোট বেলায় দেখতাম সেই ক্লাবের উদ্যোগে নানান প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো। আর পত্রিকায় খেলার পাতায় দাবা খেলার খবর খুব আগ্রহ নিয়ে পড়তাম। আমি ছোট বেলা থেকে মোহামেডান এর অন্ধভক্ত ছিলাম। ফুটবল, ক্রিকেট, হকির পাশাপাশি দাবা লীগের খবরটাও ফলো করতাম খুব।

ভীষণ নস্টালজিক করে দিলো এই পোস্ট।

০৫ ই মে, ২০২৩ ভোর ৬:৪৮

সোহানী বলেছেন: দাবা খেলতে যেয়ে পড়াশোনা গোল্লা.......... হায় হায় এতো ফাঁকি দেবার সুযোগ তোমারে কে দিসে :D । তাইলে তোমার মা-বাবা তেমন একটা কড়া মেজাজের না। আমার মা হলে বুঝায়ে দিতো কত গমে কত আটা B-)) । মায়ের কাছে ফাঁকি দেবার কোনই সুযোগ ছিল না। পড়ার সময় পড়া, খেলাম সময় খেলা। ব্যাস... এর বাইরে কোন কিছু নাই।

একসময় পাড়ায় দাবা সহ অনেক ধরনের ক্লাব গড়ে উঠতো আর ক্লাবের উদ্যোগে নানান প্রতিযোগিতার আয়োজন হতো। আমি জানি না এখন এমন কিছু হয় কিনা। ওওওওও আমি আবাহনীর ভক্ত ছিলাম। এটা নিয়েতো বাসায় কাকা-মামাদের মারামারি পর্যন্ত হতো। আর আমাদেরকে ঘুষ দিয়ে দলে ভেড়াতো। ওই যে আমি আবাহনীর দলে, কারন আমি বরাবরেই সেজ কাকার দলে থাকতাম তাই। আবাহনী কি কেন তা কিন্তু জানি না এখনো..............হাহাহাহাহা

হাঁ. আমার ভীষণ মজার শৈশব ছিলো। কিন্তু আমার বাচ্চারা সে আনন্দ কোনভাবেই উপলব্ধি করতে পারে না, আফসোস।

১৯| ০৭ ই মে, ২০২৩ রাত ১২:২৪

[email protected] বলেছেন: Very useful and Good post you can also visit : https://jervisai.blogspot.com For Latest Technology Troubleshooting Tips Tutorials For Computer Internet Related Things.

০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:০৫

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ

২০| ১০ ই জুন, ২০২৩ সকাল ৯:১৯

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনার সন্তানদের দাবার প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করতে আপনি যথার্থ ভূমিকা পালন করেছেন, এটা অত্যন্ত চমৎকার একটা কাজ করেছেন। দাবা একটি মেধাচর্চার খেলা। আমাদের ছোটবেলায় পাড়ায় পাড়ায় দাবা খেলার প্রতিযোগিতা হতো এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে উন্নত মানের বই বিতরণ করা হতো। এক সময় দাবার প্রতি আমারও ভীষণ নেশা জন্মেছিল, তবে আমি মাঝারি মানের খেলোয়াড় ছিলাম। আশাকরি, হয়তো পারিবারিকভাবেই আপনার সন্তানদের মধ্যে এই মেধাচর্চার খেলাটির প্রতি আগ্রহ ও আকর্ষণ সঞ্চারিত হয়েছে। এ খেলায় আরও পারদর্শিতা অর্জনে তাদের সাফল্য কামনা করছি।

আমাদের সেই সময় ববি ফিশার, বরিসস্পাস্কি, গ্যারী কাসপারভ প্রমুখেরা বিশ্বনন্দিত দাবারু ছিলেন এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ব দাবার প্রাঙ্গণে তাদের একচেটিয়া আধিপত্য অক্ষুণ্ণ রেখেছিলেন।

ডঃ এম এ আলী এর চমৎকার মন্তব্যটি ভৎালো লেগেছে।


০৩ রা জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১১

সোহানী বলেছেন: অনেক দু:খিত দেরীতে রিপ্লাই দেবার জন্য। আপনি কি এখনো কানাডায়? আপনার লিখাগুলো পড়া হয়নি, সামারের ব্যাস্ততা। কোথাও না কোথাও যাচ্ছি প্রতিদিন।

আসলে আমি ওভার থিঙ্কার। বা বলা যায় বেশী বাচ্চাদেরকে নিয়ে আমি অনেক ক্যালকুলেটিভ। যেসব অভ্যাস সৃজনশীল তা আমি আস্তে আস্তে গড়ে তোলার চেস্টা করি। এর মাঝে বই পড়া, দাবা খেলা ইত্যাদি। তবে খেলাধূলায়ও ট্রাই করেছিলাম কিন্তু ব্যার্থ হয়েছি....... হাহাহাহা। সবসময় বুদ্ধি কাজে লাগে না।

আমাদের সেই সময়ের সেই ববি ফিশার, বরিসস্পাস্কি, গ্যারী কাসপারভ নিয়ে সারাদিন মেতে থাকতাম। কারন আমাদের বাসার সবাই ছিল দাবা পাগল।

যাহোক, আবারো দাবা জনপ্রিয় খেলা হয়ে উঠুক ঘরে ঘরে এ প্রত্যাশায়।

২১| ০৯ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১:৪০

খায়রুল আহসান বলেছেন: আপনি কি এখনো কানাডায়? - জ্বী, আমি এখনও কানাডার রিজাইনাতেই অবস্থান করছি। আর মাস খানেক পর দেশে ফিরে যাবো। এবারে খুব সম্ভবতঃ আর টরন্টোয় যাওয়া হচ্ছে না। আগামী বছরে আবার আসলে আগে কয়েকদিনের জন্য টরন্টো বেড়িয়ে পরে রিজাইনাতে আসার ইচ্ছে রয়েছে।

১৬ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৪০

সোহানী বলেছেন: ঠিক আছে, পরের বারের অপেক্ষায় থাকলাম।

আপনার অনেকগুলো লিখা পড়া বাকি আছে। সামার বলে আপনার মতো আমিও ঘুরাঘুরিতে ব্যাস্ত। সময় নিয়ে আসবো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.