নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের আদব লেহাজ শিক্ষা B-))

১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:১৩



আমাদের অনেক সমস্যার মাঝে একটা হলো, কোথায় কখন থামতে হবে আমরা জানি না। কোথায় দাঁড়ি, কোথায় কমা, কোথায় কোন প্রশ্নটা করতে হবে আমরা জানি না। কিংবা কোনটা ফান আর কোনটা ফাজলামো আমরা আসলে ঠিক বুঝি না।

যেমন, মা বলে দিয়েছিল শশুড় বাড়ি যেয়ে আদব লেহাজ সহ প্রশ্ন করবি। তো শশুড়কে জামাই বাবাজি আদবের সাথে জিজ্ঞেসা করে, আব্বাজান আপনি কি বিবাহ করিয়াছেন?? :P

অফিসে একটা ট্রেনিং চলছিল। এ ট্রেনিংটা একটু আপ লেবেলের। যাদের মোটামুটি সে বিষয়ে জ্ঞান আছে শুধু তারাই অংশগ্রহন করতে বলা হয়েছে। তো, ট্রেনিং শুরুর এক পর্যায়ে একজন এমন প্রশ্ন শুরু করলো যে ট্রেইনার ট্রেনিং শুরুই করতে পারছিল না। ট্রেইনার বেচারা অসীম ধৈর্য্য নিয়ে অসংখ্য প্রশ্নের উত্তর দেবার পর এক সময় বলেই বসলো, এটাতো দ্বিতীয় লেভেলের ট্রেইনিং। বেসিক নলেজ ছাড়াতো এ ট্রেনিং এ অংশ নেবার কথা না। কিন্তু কে শোনে কার কথা, সে বলেই যাচ্ছে, বলেই যাচ্ছে। আর বাকি ৩৯ জন কিছুই বলছে না। কানাডায় সবাই এতোটাই ভদ্র যে কারো মুখের উপর কিছু বলার চেস্টা কাউকে করতে দেখিনি। শেষ পর্যন্ত আমার ধৈর্য্যের বাঁধ ভাঙ্গার পর (যেহেতু আমি পুরাপুরি কানাডিয়ান না B:-/ ), আমি অত্যন্ত বিরক্তি নিয়ে মোটামুটি ধমক লাগায়ে বললাম, আমি বুঝতে পারছি আপনার বেসিক নলেজের বেশ ঘাটটি আছে। আপাতত: ট্রেইনারকে ট্রেনিং টা নিতে দিন। তারপর ট্রেনিং শেষে আপনার সাথে আমি বসবো। বলা বাহুল্য, সে ভদ্রলোক ছিল আমাদের দেশীয় ভাই। :((

আবার ধরেন, কোনটা ফান বা আনন্দ, কোনটা উপহাস বা অপমান, এখনো আমরা অনেকেই ঠিক বুঝি না। যেমন, আপনি গেস্ট এর জন্য সারাদিন রান্নাবান্না করে সুন্দর করে সাজিয়ে খাবার পরিবেশন করলেন। এক ভাই বললো, এমা মুরগীর রোস্ট এতো ঝাল, আমার বাচ্চারা এটা খেতেই পারবে না। কিংবা ফিরনিটা মুখে দিয়েই এক ভাবী বলেই বসলো, এতো মিস্টি দিয়েছেন মুখেইতো দেয়া যাচ্ছে না। B:-/

অথবা, আপনার স্বামী হয়তো অতিথি আপ্যায়নে আপনাকে সাহায্য করছে, অমনি কেউ টিপ্পনি কাটলো, বুঝলাম, ভাবী ভাইকে দিয়ে ভালোই খাটায়। হয়তো এ নিয়ে ভাই মহলে কিংবা ভাবী মহলে একচোট হাসাহাসি হয়ে গেল। দেখলা, অমুক ভাইতো থালাবাটি মাজে! আরেকজন বললো, আরে ভাইতো ভাবীর শাড়ি পেটিকোটও ধুয়ে দেয়!! =p~

একবার এক অফিস কলিগ অসুস্থ বলে তাকে দেখতে গেলাম বেশ ক'জন। তো, সে কলিগের স্বামী আমাদেরকে দেখে মশারীর পেরেক দেয়ালে ঠুকা শুরু করলো। আমরা যতক্ষন ছিলাম, ভদ্রমহিলা কতবার অনুনয় বিননয় করলো কিন্তু স্বামীজি একবারের জন্যও আমাদের সামনে আসলো না। দেয়ালে মশারীর পেরেক ঠুকেই যাচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আজকে দেয়ালে পেরেক না ঠুকলে পৃথিবী উল্টাপাল্টা হয়ে যাবে। B-)

অথবা, ধরেন আপনি কারো জন্য কিছু গিফট নিয়ে গেলেন। তো, গ্রহিতা তাহা দেখিয়া অত্যন্ত বিরক্তির সহিত কহিল, এইসবতো আমি পড়ি না বা আমরা কেউ খাই না। একবার, শশুড়বাড়ির একজনের জন্য বেশ দাম দিয়ে দুটো শার্ট কেটস্ আই থেকে কিনে নিয়ে গিয়েছিলাম। মনে মনে আমি আটখানা এই ভেবে যে এমন দামী গিফট পেয়ে ভদ্রলোক নিশ্চয় খুশী হবে। হায় আমার কপাল, গিফট দেয়া মাত্রই ভদ্রলোক উঠলো, এইটা কি ফুটপাথ থেকে কিনেছেন ভাবী? আমি ব্রেন্ডের শার্ট ছাড়া পড়ি না। পূনষ্চ, এ লোক কেটস্ আই ই চিনে না তো কেমন ব্রেন্ডের শার্ট পড়ে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। B-))

কানাডায় আসার পরপরই পরিচিত এক ভাইয়ের বাসায় গেলাম দেখা করতে। ভদ্রলোকের স্ত্রীর সাথে এই প্রথম দেখা। তো মহিলা এমন ভাব দেখানো শুরু করলো যেন আমি কোন রিফুউজি ক্যাটাগরিতে কানাডায় আসছি। আর এখনি তার কাছে ভিক্ষার থালা তুলে ধরবো। দেশীয় ভদ্রতায় আমি যাওয়ার সময় কয়েক প্রকার আইসক্রিম নিয়ে গেছিলা, আর ভদ্রমহিলা, এক কাপ চা ও অফার করে নাই। /:)

যেহেতু নতুন, তখন গাড়ি ছিল না। তাই আসার সময় ভদ্রলোক দয়া করে উনার গাড়িতে লিফ্ট দিলেন। আমার ছেলেটা একটু সিক ছিল বলে গাড়ি থেকে বের হয়ে ঠিকভাবে গাড়ির দরজা বন্ধ করেনি, তাই তিনি আমাকে উপদেশ দিলেন, ছেলেকে ম্যানারর্স শেখাবেন নতুবা ক্যানাডায় চলতে পারবে না। আর কানাডা না, বলবেন ক্যান্যাডা, বলুন ক্যা-ন্যা-ডা.......... ক্যা-ন্যা-ডা....... ক্যা-ন্যা-ডা। ;)

আমার বকর বকর শেষ। সবাই ভালো থাকেন।

সোহানী
জুলাই ২০২৩

মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +১৭/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ৯:৪১

কামাল১৮ বলেছেন: পড়লাম এবং জানলাম।কিছুটা মজাও পেলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:১২

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কামাল ভাই।

২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:১৫

সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই বলেছেন: শেষের প্যারাটায় খুব বেদনাহত হলাম। মানুষ এত ম্যানারলেস হয়ে আবার ম্যানার শেখার উপদেশ দেয় কীভাবে??

এক ব্লগারকে দেখতাম, 'ব্লগাররা সারকাজম বোঝে না' বলে দিনরাত গলা ফাডান। পরে দেখলাম, তিনি নিজেই সারকাজম বোঝেন না।

কার্টেসি শেখা ও মেনে চলার জন্য যে সমাজব্যবস্থা, শিক্ষা, অর্থনৈতিক অবস্থা, ইত্যাদির দরকার, আমাদের সেটা নেই। তবে, আজ থেকে ৩০-৪০ বছর আগের অবস্থা থেকে বেশ উত্তরণ ঘটেছে, তা মানতে হবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৭

সোহানী বলেছেন: সোনাবীজ ভাই, আমারতো মনে হয় আমাদের অবনতিই ঘটেছে। আগে আমরা পড়া শুরু করতাম বাল্যশিক্ষা দিয়ে। সব নীতিকথা পড়া, প্রতিদিন তা হাতের লিখা হিসেবে লিখা, তা মেনে চলার শুরু সে ছোটকাল থেকে। তা কি এখন আছে? কিংবা এখনকার বাবা-মায়েরা তা শেখানোর চেস্টা করে? মনে হয় না।

সারকাজম বোঝার মতো জ্ঞান বা বিদ্যা-বুদ্ধিই শুধু নয়, দরকার পরিবেশও। তথাকথিত সে ব্লগার এর জ্ঞান বিদ্যার দৈাড় নিয়ে আমি একটু আতংকেই থাকি। কিছু চামচা তাকে জ্বী জ্বী বলা শুরু করাতে সে নিজেকে মনে করেছে সক্রেটিস টাইপের কিছু............ হাহাহাহা।

শেষের প্যারাটায় খুব বেদনাহত হইয়েন না সোনাবীজ ভাই, এর চেয়েও আমি কঠিন সব লোকজনকে মোকাবেলা করেছি। আমি এসব সস্তা উঠতি নব্য কানাডিয়ানদের ভালোই চিনি। দেশে থাকতে দুই চার হাজারের চাকরী করে কানাডায় যেয়ে মর্টগেজে বাড়ি গাড়ি কিনে মনে করেছে সব তাদের মতো ফকির মিসকিন................ হাহাহাহা

৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৩৬

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: মানুষ মানুষকে নিমেষেই কষ্ট দিয়ে ফেলে। এমন অহরহ ঘটনা আমাদের চারপাশে ঘটে রোজই। কিছু মানুষের আক্কল বুদ্ধি পায়ের তলায় থাকে।

ভালো লাগলো পোস্ট

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৮

সোহানী বলেছেন: "কিছু মানুষের আক্কল বুদ্ধি পায়ের তলায় থাকে।"

একদম ঠিক বলেছো। তাদের এ আক্কেল বুদ্ধরে বৃদ্ধি ঘটাতে কখনই পারবা না। তাই তাদেরকে এড়িয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। যা আমি করি।

৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১০:৫৪

দারাশিকো বলেছেন: শেষের ঘটনাটা কষ্টদায়ক। ঘটনাগুলো প্রায়শই ঘটে। পোস্টটা ভালো লাগলো - কিছু ম্যানার শিখলাম।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:২৯

সোহানী বলেছেন: শেষের ঘটনাটা কষ্ট পাওয়ার কিচু নেই দারাশিকো। এটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আমাদের চারপাশে অহরহই ঘটছে।

৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:১৬

নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ ভাব দেখাতে গিয়ে এমন কাজগুলি করে বসে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩০

সোহানী বলেছেন: ঠিক, কিন্তু ভাব দেখানোর মতো যে কিছুই নেই বা তাদের চেয়ে অনেক বেশী যোগ্যতা সম্পন্য তা তারা বোঝেই না। কারন এরা কুয়ার ব্যাঙ।

৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৩৮

শেরজা তপন বলেছেন: :) এখন কি ক্যানাডা বলতে পারেন?? যাক, শিখলাম কানাডা গেলে কাজে লাগবে।
অনেক স্বামীয় স্বইচ্ছায়/আনন্দচিত্তে স্ত্রীকে কাজে সাহায্য করতে চায় কিন্তু ওরকম কুটনা আত্মীয় পরিচিতজনের জন্য পারেন না।

খাবার দাবার নিয়ে এরকম কথা বলে, তারা ভীষণ চুজি আর উন্নাসিক সেটা বোঝানোন চেষ্টা করে। আসরে ওরা অসভ্য আর গাছ বলদ।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩৪

সোহানী বলেছেন: "অনেক স্বামীয় স্বইচ্ছায়/আনন্দচিত্তে স্ত্রীকে কাজে সাহায্য করতে চায় কিন্তু ওরকম কুটনা আত্মীয় পরিচিতজনের জন্য পারেন না।"

আসলে কি শেরজা ভাই, আমরা এখনো কাজের জেন্ডার করি। একটা পরিবারের সব কাজই যে দু'জনের এ চিন্তাটাই আমাদের নেই। আমরা বরাবরেই বাবি এটা মহিলাদের কাজ। এটা করলে তাদের ইজ্জত যাবে। আর আমাদের কিছু কুটনা আত্মীয় পরিচিতজনতো আছেই খিঁচুড়ি পাকানোর জন্য।

কোন দাওয়াতে খাবার দাবার নিয়ে এরকম কথা বলা যে কত বড় স্টুপিডিটি তা তাদের বোঝাবে কে? একজন হোস্ট অনেক কষ্ট করেই হয়তো আয়োজন করেছে। তার কষ্টের প্রতি সন্মান না দেখিয়ে তাকে অপমান করছি।

৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৪২

বাকপ্রবাস বলেছেন: খ্যা ন্যা ঢা শিখতে না পারলেও আমাদের মেনার এর খুব অভাব, সেটা শেখা উচিত।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৩৫

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা.....................

৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সকাল ১১:৫৮

মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন: ভাবী বললললললললললললল ------- বলুন, ক্যা ----------- না ----------------- ডা ।

আমি বললাম " কানা- ডা (অন্ধ বেটা) , আসলে লেখা পড়ে ভাবীকে ভাব দেকাইয়া তাই বলতে চেয়েছিনু ;)

কিছু মানুষ আছে জায়গা-অজায়গায় কিংবা সময়-অসময়ে প্রমাণে তৎপর হয়ে পড়ে, " মুই কি হুনরে (আসলে ----- ল)।

করলাম শেষ একটা কুবেতের :P মাধ্যমে,

" মহেশপুরের করম শেখ,
খাচছে দেক গরম কেক।
কেকের সাথে লেবুর টক,
মুকে শুধু বকরররররর বক"।


১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৪১

সোহানী বলেছেন: "কিছু মানুষ আছে জায়গা-অজায়গায় কিংবা সময়-অসময়ে প্রমাণে তৎপর হয়ে পড়ে, " মুই কি হুনরে (আসলে ----- ল)।"

আসলে কি এরা অন্তস্বার শূণ্য। তাই ভাব নিয়ে তা পূরণ করতে চায়। তাদের কি হনুরে ভাব দেখে অনেকেই ভয় পায় তাই ্র সুযোগটা নিয়েই চলে।

ছড়ায় ভালোলাগা।

৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৩৫

আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,




বেশ বকর বকর করে গেলেন! কোথায় থামবেন, কোথায় "কমা" টা দেবেন তাতো আপনি নিজেও জানেন না। :((
জানলে বাংলাদেশী পাবলিক কে আদব লেহাজ শেখাতে চাইতেন না।
যে দেশের ১, ২, ৩নং ব্যক্তিবর্গ , তাদের সভাসদবৃন্দ, সভাসদবৃন্দের চ্যালা-চামুন্ডা, চ্যালা-চামুন্ডাদের পোষ্যরা সহ সবাই যেভাবে পথে -ঘাটে- সমাবেশে আদব লেহাজের সাথে কথা বলেন তাদের আপনি আর কতো আদব লেহাজ শেখাবেন ? :((

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৪৪

সোহানী বলেছেন: ওও জী ভাই, আসলেই মাপ কইরা দেন :P

শেখাতে আসি নাইরে ভাই, নিজের দুক্ষের বয়ান দিচ্ছি।

আর আমারে ঘাড়ে কয়টা মাথা যে দেশের ১, ২, ৩ নং ব্যক্তিবর্গ , তাদের সভাসদবৃন্দ, সভাসদবৃন্দের চ্যালা-চামুন্ডা, চ্যালা-চামুন্ডাদের পোষ্যদের আমি আদব লেহাজ শেখাতে আসবো.................... :P
:P
:P
:P
:P

১০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

ফুয়াদের বাপ বলেছেন: বেশ ভালো লাগলো আপনার বকর বকর। সুযোগ পেলেই ব্লগে এমন বকর বকর করার অনুরোধ রইলো। ছোট ছোট ঘটনাগুলোকে নিঁপুন দক্ষতায় মজাদার করে উপস্থাপন করেছেন। সুখ পাঠ্যর সাথে ছিল নৈতিক শিক্ষার উপকরন।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৪৫

সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ ফুয়াদের বাবা।

১১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১:৪১

নীল-দর্পণ বলেছেন: দেয়ালে পেরেক ঠুকার দৃশ্য কল্পনা করে হাসতে হাসতে শেষ! =p~

আমি যখন সিলেটে থাকতাম রেগুলার কাজের মানুষ ছিল না। প্রেগনেন্ট থাকায় তখন মেয়েদের বাবা কাপড় ধুয়ে বাইরে মেলতে গেলে পাশের বাসার ভাই মুচকি হাসতো (তাচ্ছিল্যের আরকি) বলতো ভাই কাপড় ধুইছেন। মেয়েদের বাবা উল্টা হেসে বলতো "বউয়ের কাপড় ধোয়া, কাজে সাহায্য করা সুন্নাত ভাই"।

লেখার ঘটনাগুলো খুব বাস্তব, চারপাশে অহরহ দেখতে পাই আমরা।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৪৮

সোহানী বলেছেন: আসলে কি নীল-দর্পণ, আমরা এখনো কাজের জেন্ডার চিন্তা থেকে বের হয়ে আসতে পারি নাই। একটা পরিবারের সব কাজই যে দু'জনের এ চিন্তাটাই আমাদের নেই। দু'জন দু'জনকে সাহায্য করবে, সেটার মাঝে লজ্জা মান সন্মান যে জড়িত না, ভালোবাসা জড়িত তা বুঝবে কে?

১২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৩

পদাতিক চৌধুরি বলেছেন: আপু আগেই পড়ছি। লাইক দিয়েছি। কিন্তু কমেন্ট করার সুযোগ হয়নি। এরকম উদ্ভুরেড়ে আচরণের সামনে আমিও বেশ কয়েকবার পড়েছি। নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী একটা ফ্লাক্স নিয়ে বিয়ে বাড়িতে গেছি। উপহার প্রদানের পর আমার সহপাঠিনী ফেরার সময় মিস্টি করে,
- কিছু মনে করিস না।আসলে ইতিমধ্যে অনেকগুলো ফ্লাক্স পেয়েছি।তাই তোরটা নিতে পারলাম না।
বুঝতে পারি আমার অবস্থানটা ওদের কাছে।

২- অবসরের পর সহকর্মীরা একটা প্রীতি ভোজের আয়োজন করেন। আমাদের পক্ষথেকে বরাদ্দ টাকা দিয়ে ওনাদের প্রতি সৌজন্য উপহার দেওয়া হয়।করোনার বেশ কয়েকমাস আগের ঘটনা। ভদ্রলোক ভালো করে আমাদের খাওয়ালেন। রীতিমতো তৃপ্তি যাকে বলে।খেয়ে উঠে ওনার সাথে কথা বলছি খোশ মেজাজে। এমন সময় উনি বায়না করলেন,
- দেখো আমি যেহেতু তোমাদের তৃপ্তি করে খাইয়েছি। কাজেই আমার মানপত্রটা সোনার জল দিয়ে মুড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে আমার শেষ অনুরোধটা রাখো। আমরা ঢোক গিলতে গিলতে প্রধান শিক্ষক মহাশয়কে জানালাম। হিসেব করে দেখা গেল সেটা বহু টাকার ব্যাপার।যেহেতু উনি সঙ্গে ছিলেন। কাজেই বিষয়টি হচ্ছে না জেনে তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া দিলেন,
- তাহলে আজকে তোমাদের খাওয়ানোটা সম্পূর্ণ ফালতু হয়ে গেল।
কী আর করার আমাদের। আমরা তো আর ওনার খাবারটি পেট থেকে বের করতে পারবোনা।
কাজেই আমাদের আশেপাশে এরকম অনেকেই আছেন যারা সম্পূর্ণ আপন মনে এমন উদ্ভূতেড়ে আচরণ করেন। কখনো কখনো আমাদের বিব্রত হতে হয়। কিন্তু যতো দ্রুত সম্ভব এসব মনথেকে ঝেড়ে ফেলাই মঙ্গল।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৫৮

সোহানী বলেছেন: এ কি অবস্থা!!! "তাহলে আজকে তোমাদের খাওয়ানোটা সম্পূর্ণ ফালতু হয়ে গেল।"

দু'টো ঘটনাই অত্যন্ত বিরক্তিকর। এরা পুরোপুরি বদ্ধ উম্মাদ, লোভী, অমানুষ।

এ উপহার বা গিফট নিয়ে আমার অনেক বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা আছে। কিন্তু আপনাকে যেভাবে অপমান করার চেস্টা করেছে তা তার মানসিক দৈন্যতাকে প্রমান করে। এসব ফালতু লোকজন থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকবেন ততই মঙ্গল।

অনেকে বলে সম্পর্ক নস্ট হবে কিছু বললে। আমার জীবন থেকে শিক্ষা, এসব লোকজন আমার জীবনে কখনই মঙ্গল আনে না অমঙ্গল ছাড়া। আমিও দীর্ঘদিন সম্পর্ক রেখেছি, চোখমুখ বুঝে সহ্য করেছি। তারপরও দেখি লাথিটা সবার প্রথমে আমাকেই দিচ্ছে।

এখন আমি ডোন্ট কেয়ার এসব নিয়ে। কারো ধার ধারি না। নিজের খাই নিজের পড়ি, এসব ঝন্জাল মাথায় নিয়ে ঘুরার কোন মানে নাই।

১৩| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:০৩

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
শেষের ভদ্র লোক মনে হয় ক্যান্যাডার সব ম্যানার্স শিখে বসে আছে কাউকে শিখাতে না পেরে আপনার উপর প্রয়োগ করলো। বাঙালী সং ধরতে উস্তাদ। সুন্দর পোস্ট +++++++++

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৪:৫৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহা.....

" বাঙালী সং ধরতে উস্তাদ। "..

ভালো কথা বলেছেন।

১৪| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

ঢাবিয়ান বলেছেন: আমারো অনেক অভিজ্ঞতা আছে , আপনার মত। দেশে থাকতে সব সময় মিশেছি নিজের গন্ডির মানুষের সাথে । যেটা আত্মীয় স্বজন এবং স্কুল/ কলেজ /ইউনি ফ্রেন্ডদের মাঝেই সীমাবদ্ধ ছিল । সেখানে হরেক রকম মানুষের সাথে মেলামেশা কখনোই করা হয়নি। যেহেতু নিজের মনমাসিকতার মানুষের সাথেই কেবল মেলামেশা করা হত, অপ্রীতিকর আচরন বা কথাবার্তার শিকার কমই হতে হয়েছে। কিন্ত বিদেশে এসে মুখোমুখি হয়েছি আজব এক জগতের, যার নাম বাংলাদেশী কমিউনিটি। এত বিচিত্র চরিত্রের মানুষের দেখা আগে কখনই পাইনি। আপনি যেসব অভিজ্ঞতার বর্ননা দিলেন, তার অধিকাংশই আমার সাথেও মিলে গেছে। এখন বাঙ্গালীদের চাইতে বিদেশীদের সাথে মিশতে অধিক স্বচ্ছন্দ বোধ করি। আদব, কায়দা লেহাজ কি জিনিষ তাদের সাথে মিশলেই বরং বেশি ভাল করে বোঝা যায়।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:১২

সোহানী বলেছেন: ঢাবিয়ান, আমার জীবন বিচিত্র সব অভিজ্ঞতায় কানায় কানায় পূর্ণ.................হাহাহাহা

আমি খুব মানুষের সাথে মিশি। তাই সব ধরনের অভিজ্ঞতাই আছে। তবে আগে যেটা করতাম, চুপচাপ থাকতাম। ভদ্রতা করে সয়ে যেতাম। এখন অবশ্য করি না। পাত্তাই দেই না। এসব ছাগলদের থেকে দূরে থাকি। তাই শান্তিতে আছি।

আমাদের এখানেও বাংলাদেশী কমিউনিটি নিয়ে বিচিত্র সব অভিজ্ঞতা আছে। তা নিয়ে লিখবো। বিশেষকরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যালাইমনি নিয়ে। তবে এও ঠিক অনেক ভালো মানুষও আছে। কিন্তু তারা আসলেই কিছু করতে পারে না।

১৫| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:১৭

রাজীব নুর বলেছেন: অনেকদিন পর পোস্ট দিলেন।
দেখুন অনেকে মন্তব্য করেছেন। মন্তব্যের উত্তর গুলোও দেন না।
লেখাটা আমি ফেসবুকে আগীই পড়েছি।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:১৮

সোহানী বলেছেন: আপনি যে কি বলতে বা বোঝাতে চেয়েছেন তা আমি বুঝিনি।

অনেকদিন পর নয়, ৫ই জুলাই এর পর ১৭ জুলাইতে পোস্ট দিয়েছি। এক মাসে অলরেডি দু'টো পোস্ট, আমার জন্য বিশাল অর্জন। B:-/

মন্তব্যের উত্তর দিতে সময় লাগে। তার উপর আপনাদের সাথে দিন রাতে পার্থক্য, ৯-৫টা অফিস করি, বাসার সব কাজ একাই করি, বাচ্চাদের দেখাশোনা করি, ওদেরকে পড়াই, সামাজিকতা করি, ঘুরাফিরা করি........................... সময় খুব কমই থাকে। আপনারা যারা দিনরাত ব্লগে পড়ে থাকেন তারা কিভাবে তাকেন তা আমার কাছে বিস্বয়।

১৬| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৯

আমি সাজিদ বলেছেন: বাংলাদেশী কমিউনিটি কোন জায়গাতেই প্রোডাকটিভ না। অদৃশ্য কি দ্বন্দ্ব যেন লেগে থাকে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:১৯

সোহানী বলেছেন: কারন আমরা সবাই নেতা হতে চাই। সবাই ক্ষমতা চাই। যার কারনে কেউ সামনে থাকলে তাকে ল্যাং মেরে ফেলার জন্য মরিয়া হয়ে উঠি।

১৭| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:১৮

প্রামানিক বলেছেন: আদব লেহাজের ঘটনাগুলো মজাদার। তবে বাংলাদেশের আদব লেহাজ শিখতে হলে সুন্দর বনে যেতে হবে।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:২০

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা বাঘ মামার কাছে শিখতে হবে তাইলে প্রামানিক ভাই..............

১৮| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:২৯

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আদব লেহাজ মুলত পরিবার থেকে আসে। কিছু আসে ভালো পরিবেশে বাস করার কারণে। আবার অনেকের মধ্যে অহংকার বেশী। তারা আদব লেহাজের ধার ধারে না।

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৫:৫৬

সোহানী বলেছেন: মূল বিষয় পরিবার। যে শিক্ষা পরিবার থেকে এসেছে তা কোনভাবেই বদলানো যায় না। এটাই সত্য।

যারা আদব লেহাজের ধার ধারে না তারা এমন পরিবেশ থেকে এসেছে যে হাজার শিক্ষাও ওদেরকে শিক্ষিত করতে পারে না।

১৯| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

শ্রাবণধারা বলেছেন: বাস্তবিকই এই ঘটনাগুলো অহরহই ঘটে যেটা খুব দুঃখজনক।

তবে, রিফিউজি হয়ে আসলেই বা দোষ কী? তারা কি সো-কলড স্কিলড ক্যাটাগরি থেকে নিম্ন গোত্রের।

যারা উন্নত দেশগুলোতে গিয়ে স্থায়ী হয়েছে তারা এক অর্থে সকলেই রিফিউজি নয় কী?

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০৪

সোহানী বলেছেন: ওয়েল শ্রাবণধারা, আমি বিষয়টাকে একটু ভিন্নভাবে বিশ্লেষন করি। যেমন,

আমেরিকায় ডিবি নামের অনেক লটারিতে অশিক্ষিত থেকে শুরু করে ইউনিভার্সিটি গ্রেজুয়েটরা সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু কানাডা কখনই এমন লটারির আয়োজন করেনি। বরং সো-কলড স্কিলড ক্যাটাগরির মাধ্যমে হাইলি এডুকেটেড, এক্সপেরিয়েন্সড লোকবল নিয়েছে। যারা রিফিউজি ক্যাটাগরির মাধ্যমে আবেদন করেছে তারা সো-কলড স্কিলড ক্যাটাগরিতে সুযোগ পায়নি বলেই তা করেছে। এর মাঝে কেউ আমেরিকা/মেক্সিকো থেকে বর্ডার পার হয়ে এসেছে, কেউ ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছে, কেউ ছেলে-মেয়েকে স্টুডেন্ট ভিসায় পাঠিয়ে রিফিউজি ক্লেইম করেছে।

এ সূত্রে তারা সো-কলড স্কিলড ক্যাটাগরি থেকে নিম্ন গোত্রের।

যারা উন্নত দেশগুলোতে গিয়ে স্থায়ী হয়েছে তারা এক অর্থে সকলেই রিফিউজি নয় কী?

না, তাদেরকে রিফিউজি বলা হয় না মাইগ্রেন্ট বলা হয়। সেটা আপনি নিশ্চয় জানেন।

২০| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:১০

এস এম মামুন অর রশীদ বলেছেন: আপনার আশেপাশে সবই দেখি বেয়াদব দেশি আর আদবী বিদেশি! মুদ্রার উল্টোপিঠের কোনো ঘটনা নেই শেয়ার করার মতো? এই যেমন উপরের বেলকনি ধুতে গিয়ে আপনার বেলকনি নোংরা করে ফেলল কেউ?

১৮ ই জুলাই, ২০২৩ ভোর ৬:০৬

সোহানী বলেছেন: বুঝতে পারছি বেলকনি নোংরা করা নিয়ে খুব প্যারেশানিতে আছেন।

আমি যে ঘটনাগুলো বলেছি তার বেশীর ভাগই দেশীয় ঘটনা। আর সেখানে বেয়াদব দেশি আর আদবী বিদেশি নিয়ে একটা ঘটনাই তুলে ধরেছি তা আমার অফিসের। আপনি না মানলেও সেটাই সত্য। ধন্যবাদ।

২১| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৪০

মুক্তা নীল বলেছেন:
আপনার উল্লেখিত ঘটনা সমূহের সাথে আমিও কমবেশি পরিচিত । যাদের চক্ষু লজ্জা নেই তাদেরকে আর কি বলবো আপা এই বলেই নিজেকে সান্তনা দেই ।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:২১

সোহানী বলেছেন: দু:খিত দেরি করে উত্তর দেবার জন্য।

আসলে চক্ষু লজ্জা থেকে পারিবারিক শিক্ষার অভাবই আমি বলবো। তার উপর ইনফেরিয়র বা সুপিরিয়র কমপ্লেক্সে ভোগা ও দায়ী। আর আমাদের বেশী ভদ্রতাও অনেকাংশে তাদেরকে বাড়তে দেয়।

২২| ১৭ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১১:৫৪

করুণাধারা বলেছেন: দারুন পর্যবেক্ষণ!! এর অনেকগুলো অভিজ্ঞতা নিজের সাথে মিলে গেছে... আসলেই কষ্ট করে রান্না করার পর কেউ যখন বলে ঝাল লবণ বা মিষ্টি বেশি হয়ে গেছে, তখন এটা বলে নিজেকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার জন্য। এটাকে বলে gas lighting. প্রবাসের প্রথম দিকে আমি এক বাসায় বেড়াতে গেছি, একজন মহিলা সবার সামনে আমাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আচ্ছা, বলতো ডালিম ইংরেজি কী?" আমি এটা বলতে পারিনি। :(

আমার মেয়ের জন্মের পর একজন দেখতে এসেছেন, হাসপাতাল থেকে যেভাবে শিখিয়ে দিয়েছে আমি সেভাবে কম্বল পেঁচিয়ে রেখেছিলাম। তো সেই মহিলা বারে বারে আমাকে বলছেন কম্বল সরাতে বলছেন আর আমিও সরাচ্ছি না, কারন এসির বাতাসে ঠান্ডা লেগে যাবার সম্ভাবনা ছিল। শেষ পর্যন্ত যখন সরালাম, তখন তিনি আমার মেয়ের হাত- পা পরীক্ষা করে দেখলেন সবগুলো আঙ্গুল ঠিকঠাক আছে কিনা!!

তাই বলা যায়, এরকম ঘটনা আমাদের সাথে হরদম হচ্ছে। শেষের যে ঘটনা বলেছেন, এই অতি দাম্ভিকতা আসে ইনফিরিওটি কমপ্লেক্স থেকে।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩৩

সোহানী বলেছেন: দু:খিত আপু, দেরি করে উত্তর দেবার জন্য।

এ ধরনের চরিত্র আমাদের চারপাশেই আছে। কেউ ইনফিরিওটি কমপ্লেক্স ভোগে, কেউ সুপিরিওর কমপ্লেক্স ভোগে। কেউ বা অন্যের ভালো সহ্য করতে পারে না। আবার অনেকেই তার চেয়ে উপরে কেউ থাকুক তা সহ্য করতে পারে না। বিচিত্র সব চরিত্র। তারপরও আছি, আমরা এ সব নিয়ে।

তবে আমার অভিজ্ঞতা বলে, এদের থেকে দূরে থাকা উচিত যে কােন মূল্যে। এরা আপনার জীবনে কখনই ভালো আনবে না। বরং সময় অসময় আপনার জীবন দূর্বিসহ করে দিবে। আমি মানুষের মুখের উপর কখনই কিছু বলতাম না, মনে হতো অপরপক্ষ কষ্ট পাবে। কিন্তু এক সময় দেখলাম, এরা আমাকে কষ্ট দেবার জন্য সব ধরনের পথ খুঁজে খুঁজে বের করে। তাই এ বয়সে এসে উপলব্ধি করছি অনেক আগেই এদের থেকে দূরে থাকা উচিত ছিল।

আপনি ডালিম ইংরেজি পারলে দেখা যেত আপনাকে আরো কঠিন কোন পড়া ধরতো। তাহলে কেন তাকে সুযোগ দিবেন আপনাকে পরীক্ষা দেবার। হয়তো দেখবেন ওই ডালিম ইংরেজি ছাড়া কিছুই আর জানে না.................হাহাহাহা

২৩| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ রাত ১২:৫৬

কাছের-মানুষ বলেছেন: তিন বয়সের বাচ্চাও কথা বলা শিখে যায়! তবে কি বলা উচিৎ নয় সেটা শিখতে অনেকের সাঁরা জীবন লেগে যায়!

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩৪

সোহানী বলেছেন: পারিবারিক শিক্ষা, নিজের শিক্ষা, উপলব্ধি............ অনেক কিছুই লাগে। যার অধিকাংশই আমরা শিখতে জীবন পার করি।

২৪| ১৮ ই জুলাই, ২০২৩ দুপুর ১২:১১

সৈয়দ মশিউর রহমান বলেছেন: এখন কি ক্যা-ন্যা-ডা বলতে পারেন? পড়ে মজা পেলাম।

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯

সোহানী বলেছেন: না পারি না বা বলার চেস্টাও করি না। কারন এটা আমার কোন কাজে লাগবে না। যে শিক্ষা আমার কাজে দিবে না তার পিছনে সময় দেই না।

কানাডা যেহেতু মাল্টি কালচারের দেশ তাই একেক জনের উচ্চারন একেক রকমের। যারা শিক্ষিত তারা তা জানে, তাই তারা এটা নিয়ে মাথা ঘামায় না। অর্ধ শিক্ষিতরাই মাথা ঘামায়। আমি অনেক হাই প্রোফাইলের মিটিং এ এ্যাটেন্ড করি। এবং আমার এ বাংলিশ উচ্চারনেই কথা বলি। তাতে কি, কেউ না বুঝলে সে ভদ্রভাবে জানতে চায়, আমি রিপিট করি। এ পর্যন্ত আমাকে কেউ ক্যান্যাডা বলা শেখাতে আসেনি।

অনেক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

২৫| ২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪০

রানার ব্লগ বলেছেন: আমার কেনো জানি মনে হচ্ছে আপনি একটু বাড়িয়ে বলে ফেলেছেন । কেউ এমন করে বলে নাকি "এটা ফুটপাত থেকে কেনা কি না ? নির্লজ্জতার সীমাহীন উদাহারন !!

২৪ শে জুলাই, ২০২৩ সকাল ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: সরি, উপরের একটা ঘটনাও বাড়িয়ে বলা না।

২৬| ১৬ ই অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:২৬

খায়রুল আহসান বলেছেন: এগুলো আসলে নিজের কিছু অপূর্ণতা ও শূন্যতাকে আড়াল করার ব্যর্থ প্রয়াস থেকে ঘটে থাকে। অন্তঃসারশূন্যতা এবং হীনমন্যতা থেকে এসব জন্ম নেয়। করুণাধারাও তার মন্তব্যের শেষে এ কথাটিই বলেছেন। তিনি ডালিম ইংরেজি বলতে পারলেও, পরে তাকে কদবেল ইংরেজি বলতে বলা হতো! :)
শেরজা তপন গাছবলদ কথাটা সঠিকভাবে ব্যবহার করেছেন।
সবকিছুর একটা সীমা থাকে। পদাতিক চৌধুরি যে দুটো ঘটনার কথা বলেছেন, তা সীমার বাইরে।
"মূল বিষয় পরিবার। যে শিক্ষা পরিবার থেকে এসেছে তা কোনভাবেই বদলানো যায় না। এটাই সত্য" - একমত।

কেন যেন মনে হচ্ছে, উপরের ঘটনাগুলোর মধ্যে কয়েকটার কথা এর আগেও আপনার অন্য কোন লেখায় পড়েছিলাম, বিশেষ করে শেষের ঘটনার কথাটা।

পোস্টে পঞ্চদশ প্লাস। + +

২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৫:৫৭

সোহানী বলেছেন: সরি খায়রুল ভাই, ব্লগ বা নেটওয়ার্ক থেকে একটু দূরে থাকছি কারন এতো রক্ত যুদ্ধ কান্না সহ্য করতে পারছি না। আমার কোন ক্ষমতা নেই কিছু করার, তাই এত মানসিক চাপ নিতে পারছি না।

ব্লগে এ ইস্যু ছাড়া আর কোন কিছু নিয়ে কেউ আলোচনা করছে না, তাই ব্লগেও ঢুঁকছি না।

২৭| ২১ শে অক্টোবর, ২০২৩ ভোর ৬:২২

শার্দূল ২২ বলেছেন: অনেক আগের পোষ্ট আমি আজকে কিভাবে পেলাম জানিনা, কিন্তু পড়ে ভালোই লেগেছে, পায়েশের চিনি কম হওয়া পড়ে একটা ঘটনা মনে পড়লো। এক বন্ধুর বিয়ে খেতে গেলাম বর যাত্রী হয়ে একেবারে গ্রামের একটা বিয়ে । আমাদের বন্ধুদের মধ্যে সবার ম্যনারস এক রকম ছিলোনা, তার মধ্যে ক্ষুর্রাম ছিলো একেবারে ঠোঁট কাটা স্বভাবের। মুখের উপর সব বলে দেয়, জাহিদ ছিলো নরম কোমল ছেলে, কোন অভদ্র আচরণ নিতে পারেনা।
যাইহোক খাওয়া দাওয়া শেষ কনের বাবা আমাদের একটু বেশি খোঁজ খবর নিতে গিয়ে বললো- বাবারা এতো দুর থেকে আসছেন কিছু ঠিক মত খাওয়াতে পারিনি। খাবার ঠিক ছিলো? ক্ষুর্রাম বললো - না আন্কেল সব ঠিক ছিলো শুধু পায়েশে একটু মিষ্টি কম হয়েছে, বস্তুত ওনারা পায়েশ করেননি। বুড়ো মানুষ একটু বিব্রত হলো। জাহিদের সেটা সহ্য হয়নি, সে আমাকে বললো দেখ শার্দুল সে এটা কি করলো মুরুব্বির সাথে। ওকে আমি শাস্তি দিচ্ছি দাড়া। এই বলে জাহিদ ক্ষুররাম কে নিয়ে গেলো বাবুর্চির কাছে, গিয়ে বললো আপনাদের মধ্যে বাবুর্চি কে, আমাদের এই বন্ধু ঢাকা থেকে আসছে তার কাছে গরুর মাংসটা বেশি ভালো লেগেছে সে এখন বাবুর্চিকে ১০০০ টাকা টিপস দিবে। আরকি ক্ষুররাম মদনের মত টাকা বের করে দিয়ে দিলো।

এই দেশে আসলেই অনেক বিব্রত হই আমরা আমাদের কিছু দেশি ভাইদের কান্ড দেখে। এই দেশিরা ভদ্র না হলে সত্যি মার খাওয়ার মত অবস্থা হতো।

ভালো থাকবেন

২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ৯:০০

সোহানী বলেছেন: অনেকদিন পরে হলে পোস্টটা পড়ে মন্তব্য করেছেন সে কারন অসংখ্য ধন্যবাদ।

আসলে কি জানেন, আমাদের শুধু পরিবারই নয়, চারপাশের সব কিছুই আমাদেরকে এমন অভদ্র হতে শেখায়। একটি শিশু জন্ম থেকে যা দেখে আসছে তার বাইরে সে সহজে যেতে পারে না।

তারউপর, কোনটা অপমান আর কোনটা সমালোচনা আমরা তা বুঝি না। কারো সমালোচনা করাকে আমরা বাহাদুরী ভাবি, কাউকে অপমান করতে পারলে আমরা দারুন আনন্দিত হই। এ রকম মানসিকতা থেকে আপনি কিভাবে এদেরকে শিখাবেন??? ..... কঠিন কাজ!!!

২৮| ২৪ শে অক্টোবর, ২০২৩ সকাল ১০:২৯

রাােসল বলেছেন: দৈনন্দিন জীবনের সমস্যা তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ। ব্লগে এরকম মানুষ আছে কিন্তু তারা নিজের দিকে আঙুল তুলে না। আমি আমার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা শেয়ার করছি। আমার এক আত্মীয় একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, আমিও একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছি। তিনি আমার প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে অসৎ বলতে চান। যদিও, তার পদবীর ভিত্তিতে তার সম্পদ ও জীবনধারার মান আর্থিক খুব বেশি।

০৬ ই নভেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৫২

সোহানী বলেছেন: নিজেদের দিকে আমরা তাকাই না তাই নিজেদের অপরাধ দেখি না। কিন্তু খুব সহজেই অন্যের দিকে আঙ্গুল তুলি। এ ধরনের মানুষ চারপাশে অহরহ। আর ব্লগতো আমাদেরই অংশ।

ভালো থাকুন কিংবা এদেরকে ইগনোর করে ভালো থাকার চেস্টা করুন। ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.