নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাজার হাজার অসাধারন লেখক+ব্লগারের মাঝে আমি এক ক্ষুদ্র ব্লগার। পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া লেখালেখির গুণটা চালিয়ে যাচ্ছি ব্লগ লিখে। যখন যা দেখি, যা মনে দাগ কাটে তা লিখি এই ব্লগে। আমার ফেসবুক এড্রেস: https://www.facebook.com/sohani2018/

সোহানী

আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।

সোহানী › বিস্তারিত পোস্টঃ

এবার না হয় গল্প শুনি

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৫৮

ব্লগ বা অনলাইনে পেঁয়াজ নিয়ে একের পর লিখা আসছে যে অন্য কোন টপিক্স নিয়ে লিখতে ভয় পাচ্ছিলাম। কিন্তু ক'দিন ধরেই কিছু সত্য গল্প মাথায় ঘুরঘুর করছে। না লিখা পর্যন্ত কোনভাবেই শান্তি পাচ্ছিলাম না। লেখক হবার যন্ত্রনা আর কি, বাধ্য হয়েই লিখলাম। লিখাটা অনেক বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আপাতত: অর্ধেক আনলাম ও পরের পর্বে বাকিটুকু আনবো।

প্রথম গল্প:

নাজিয়া হাসান: একজন দু:খী গায়িকার গল্প



আশির দশকের জনপ্রিয় ডিসকো দিওয়ানী গান শোনেননি এমন মানুষ কম আছে। সবার মুখে মুখে ফিরতো এ গান। পাকিস্তানের জনপ্রিয় পপ সঙ্গীত শিল্পী নাজিয়া হাসান এমন কিছু গান গেয়ে রাতারাতি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে। তাঁকে এ উপমহাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ পপসম্রাজ্ঞী বলা হয়। শুধু উপমহাদেশেরই নয়, আরো অনেকে দেশই জনপ্রিয় ছিল এ গায়িকা।

স্মার্ট সুদর্শন জনপ্রিয় এ গায়িকার বেড়ে উঠা লন্ডনে। বিজনেস ইকোনমি আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন সেখানে। পাকিস্তান বা এ উপমহাদেশের প্রথা অনুযায়ি বাবা মায়ের পছন্দের ছেলেকেই বিয়ে করেন। কিন্তু মাত্র পাঁচ বছরের বৈবাহিক এ জীবন ছিল নরকের। মাত্র ৩৫ বছরেই যখন ক্যান্সারে আক্রান্ত তখনই তাঁর সংসার জীবনের নিষ্ঠুরতার কথা প্রকাশ্যে আসে। শারীরিক অত্যাচার, বিষ খাইয়ে মারা চেষ্টা থেকে হেন কিছু বাদ রাখেনি এ ভদ্র(!!)লোক। গানের জগত থেকে আগেই সরিয়ে নিয়েছিল নাজিয়াকে। শুধু তাই নয় সুন্দরী বউ নাজিয়াকে ঘরে রেখে আরেক উঠতি নায়িকার সাথে সম্পর্কের কথা তখন ছিল লোক মুখে। এ লোক সেখানেই ক্ষান্ত হয়নি, নাজিয়ার ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট করতেও অস্বীকার করে। যার কারনে নাজিয়া লন্ডনে মায়ের কাছে ফিরে আসে চিকিৎসার জন্য। আরো বাকি আছে এ ভদ্র(!!)লোকের কীর্তি, চিকিৎসা চলাকালীই নাজিয়াকে ডিভোর্স দেয়। তার এক মাস পরেই ২০০০ সালে মারা যায় নাজিয়া। আরো জানা যায় যে, নাজিয়াকে বিয়ের আগেই আরো দু'টো বিয়ে করেছিল সে। এবং দুই বিয়ের কথা গোপন করেই নাজিয়াকে বিয়ে করে।

এত কিছু পরেও নাজিয়া কেন এ সংসার টিকিয়ে রেখেছিল? কেন নাজিয়াকে এ করুণ পরিনতি ভোগ করতে হলো?

কারন, আমাদের এ উপমহাদেশের মেয়েগুলো কিভা্বে ভালো থাকতে হয় জানে না। তাদের পরিবারও জানে না কিভাবে তাদেরকে ভালো রাখতে হয়।



দ্বিতীয় গল্প:

অন্নপূর্ণা দেবী: একজন শ্রেষ্ঠ শিল্পীস্বত্ত্বার মৃত্যু


আপনারা কি অন্নপূর্ণা দেবীর নাম শুনেছেন? খুব সামান্য তাই না? আচ্ছা রবি শংকরকে নিশ্চয় এক নামেই চিনেন?

অন্নপূর্ণা দেবী হলেন ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ এর ছোট মেয়ে। সঙ্গীত চর্চার কারনে বড় মেয়ের বৈবাহিক জীবনে নেমে আসা দূর্যোগের কারনে তিনি পণ করেছিলেন ছোট মেয়ে রোসনারা খানকে এ জগতে আনবেন না। শুধুমাত্র ছেলেকে শেখাতেন। এমনই এক বিকেলে মেয়ে রোসনারা বাইরের উঠোনে খেলছিল। ভাই এর রেওয়াজের মাঝে রোসনারা দৈাড়ে এসে ভুল ধরিয়ে দিয়ে আবার খেলতে চলে যায়। তা দেখে বাবা আলাউদ্দিন খাঁ অবাক হলেন। কারন শুধুমাত্র শুনে সে ভাইয়ের ভুলটা ঠিক ধরে ফেলে। মেয়ের প্রতিভায় দেখে মুগ্ধ হয়ে একজন প্রকৃত শিক্ষক পারলেন না এমন প্রতিভাকে দূরে সরিয়ে রাখতে। তাই ছেটো মেয়ে শেখানো শুরু করলেন। বলা হয়, ওস্তাদ আলাউদ্দিন এর পরে একমাত্র অন্নপূর্ণা দেবীই তাঁর অভাব পূরন করতে পারবে। একাধারে অসংখ্য বাদ্যযন্ত্র অবলীলায় বাজাতে পারতেন তিনি। বলা হয় তাঁর সুর কেউ শুনতে শুরু করলে সেখান থেকে সরে যাওয়া কঠিন হতো।

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ বড় মেয়ের মত একই দূর্যোগ যাতে ছোট মেয়ের জীবনে না আসে তাই তাঁর ছাত্র রবি শংকর যখন বিয়ের প্রস্তাবে দিলেন তখন আর না করেননি তিনি। হয়তো ভেবেছেন, ছাত্র হিসেবে কিংবা সঙ্গীত জগতের মানুষ হিসেবে রবি শংকর মেয়ের জীবনে সুখ নিয়ে আসবে। আর সঙ্গীতচর্চাটাও চালিয়ে যেতে পারবেন। কিন্তু উনি বুঝতে পারেননি ঠিক একই দূর্যোগ তাঁর প্রিয় কন্যার জীবনেও নেমে আসবে। রবি শংকরকে বিয়ের পরই রোসনারা খান নাম থেকে অন্নপূর্ণা দেবী নাম গ্রহন করেন তিনি।

বিয়ের পর প্রথম প্রথম রবি শংকর ও অন্নপূর্ণা দু'জনে মিলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে একসাথে অংশ নিতে শুরু করেন। কিন্তু দেখা যায় সবাই অন্নপূর্ণা দেবীর সঙ্গীতই বেশী পছন্দ করছে। অসম্ভব প্রতিভাধর অন্নপূর্ণা দেবীর নাম ডাক ছড়িয়ে পরে সবখানে। একের পর এক অনুষ্ঠানের ডাক শুধু অন্নপূর্ণা দেবীর জন্যই আসে। যেকোন অনুষ্ঠানে দেবী গাইবার পর আর কেউ রবি শংকরের জন্য অপেক্ষা করে না। আর এতেই আস্তে আস্তে দেবীর জীবনে দূর্যোগ নেমে আসতে থাকে। এক পর্যায়ে দেবীকে অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাঁধা দিতে শুরু করে স্বামী রবি শংকর। কিন্তু তাতেও থেকে থাকেনি, স্ত্রীকে প্রতিজ্ঞা করায় যে তার সাথে সংসার করতে হলে আর কখনই সে জনসম্মুখে গাইতে পারবে না। এমনও শোনা যায় রবি শংকর অন্নপূর্ণা দেবীর আঙ্গুল কেটে নেয় যাতে কোন ইন্সট্রুমেন্ট বাঁজাতে না পারে (সত্যটা জানা নেই)। তবে অন্নপূর্ণা দেবী জীবনে এ প্রতিজ্ঞা ভাঙ্গেননি, কখনই আর জনসম্মুখে গান গাননি।

১৯৭০ সালে জর্জ হ্যারিসন ভারতে আসেন শুধুমাত্র অন্নপূর্ণা দেবীর মিউজিক শুনতে কিন্তু দেবী তাঁর অনুরোধও রাখেননি। এমতবস্থায়, স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরাগান্ধী দেবীকে অনুরোধ করেন। যার কারনে দেবী জর্জ হ্যারিসনকে গান শোনান কিন্তু শর্ত রাখেন যে উনি যখন রেওয়াজ করবেন তখনই শুধু হ্যারিসন সেখানে থাকতে পারবে। তবে তাঁর গানের কোন রেকর্ড করতে পারবে না। আজ তাই কোন রেকর্ডই নেই অন্নপূর্ণা দেবীর অসাধারন মিউজিকের।

তো সবাই তার পরের গল্পটা নিশ্চয় জানেন। এতো এতো সেক্রিফাইস করে কি অন্নপূর্ণা দেবী তাঁর সংসার ধরে রাখতে পেরেছিল?

না পারেননি। বিয়ের পর থেকেই রবি শংকর একের পর এক নতুন নতুন সম্পর্কে জড়ায়। আর অন্নপূর্ণা দেবী? একাকী বন্দীত্ব বেছে নেয় জীবনের ৬০টি বছর। রিসিকেশ মুখার্যির জনপ্রিয় হিন্দি ছবি অমিতাভ জয়া অভিনিত "অভিমান" কিন্তু অন্নপূর্ণা দেবী ও রবি শংকর এর সাংসারিক টানাপোড়ার ভিত্তি করে নির্মিত। যদিও ছবিটি মিলনাত্বক কিন্তু বাস্তব জীবনে রবি শংকর ও অন্নপূর্ণা দেবী কখনই আর মুখোমুখি হননি। যদিও অন্নপূর্ণা দেবী উনার জীবন নিয়ে কখনো কিছু বলেননি কিন্তু রবি শংকরের তত্ত্বাবধানে ছেলের মৃত্যুর পর এক সাক্ষাতকারে রবি শংকরকে এর জন্য দায়ী করেন। তাকে ক্রনিক লায়ার বলেন ও তাঁর বিবাহিত জীবনের স্ট্রাগল সামনে আনেন।

যাহোক, লিখাটা শুরু করেছিলাম ভিন্ন উদ্দেশ্যে কিন্তু বড় হয়ে যাওয়াতে পর্ব হিসেবে লিখছি। আরো দু'টো পর্ব লিখার ইচ্ছে আছে। ততক্ষন পর্যন্ত সবাই অপেক্ষা করুন আর ভালো থাকুন।

অনেক খুঁজে শুধু একটা মিউজিক পেলাম অন্নপূর্ণা দেবীর, তাই শেয়ার করলাম এখানে।

Annapurna Devi... Raag Manj Khamaj on Surbahar.

সোহানী
ডিসেম্বর ২০২৩

ছবি: গুগুল মামা

মন্তব্য ৩০ টি রেটিং +৯/-০

মন্তব্য (৩০) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:২২

কামাল১৮ বলেছেন: নাজিয়া হাসানের কথাটি জানা ছিল না,তবে হারিয়ে গেছে বিষয়টা বুঝতাম।পরের কাহিনীটা বিস্তারিত জানি।রবি শংকর সুধু ওস্তাদের কাছে গান শিখার জন্য অভিনয় করেছেন।গান শিখা শেষ অভিনয় শেষ।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪০

সোহানী বলেছেন: রবি শংকরের প্রতি একটা বিশাল সন্মান ছিল মুক্তিযুদ্ধে তার কনসার্টের জন্য। কিন্তু যখন এরকম কিছু পড়লাম খুব খারাপ লেগেছিল। একজন প্রতিভাধর তিনি, নিজের বউ এর প্রতি অত্যাচার না করেও উপরে উঠতে পারতেন।

আর নাজিয়া হলো পরিবার বা সমাজের বলি।

২| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৮

মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেছেন:



জেনে খারাপ লাগলো।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৭

সোহানী বলেছেন: এইতো জীবন!

৩| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৪

বাকপ্রবাস বলেছেন: ভাল পোষ্ট।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৮

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ব্রো।

৪| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৫৩

রাজীব নুর বলেছেন: লেখাটা গতকাল পড়েছি। কিন্তু মন্তব্য করা হয়নি।
রবি শংকর একজন প্রেমিক পুরুষ। তাকে দেখলে নারীরা দুর্বল হয়ে যেতেন।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:০৯

সোহানী বলেছেন: হাহাহাহাহা............. প্রেমিক বা অন্য কিছু তা বলা হয়নি। স্ত্রীর প্রতি অবিচার তুলে ধরার চেস্টা করেছি।

৫| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০৫

শেরজা তপন বলেছেন: অন্নপূর্ণা দেবীর কথা জানা ছিল না। তবে আমার মনে হচ্ছে নাজিয়া আর অন্নপূর্ণা দু'জনেই বোকা রমণী। যদিও অন্নপূর্ণা দেবী একটু বেশী মাত্রায় আত্ম অহংকারী ও আবেগী মনে হয়েছে।
ে ধরনের চরিত্রের পুরুষদের জন্য এত সেক্রিফাইস করার কোন মানেই হয়না।

* আজ নতুন পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি, আর বড় নতুন আলু ৫০ টাকা দরে।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৭

সোহানী বলেছেন: অন্নপূর্ণা কিংবা নাজিয়াই নয় এরকম অসংখ্য নারীই চারপাশে অঅছে।

অন্নপূর্ণা দেবী, আত্ম অহংকারী বলবো না তবে আবেগী বলবো। যে কথা সে দিয়েছিল একজন প্রতারক স্বামীকে তা কখনোই ভাঙ্গেনি। এটাই একটা মানুষের পার্সোনালিটি। তবে তাঁকে বোকা বলবো, চরম বোকা। এ ধরনের চরিত্রের পুরুষদের জন্য এত নিজের প্রতিভা, জীবন, ভালোলাগা, সন্মান, অর্থ-বিত্ত......................... সেক্রিফাইস করার কোন মানেই হয়না।

"আজ নতুন পেঁয়াজ কিনেছি ১০০ টাকা কেজি, আর বড় নতুন আলু ৫০ টাকা দরে।"

৩ কেজি আলু কিনেছি ৭ ডলার মানে ৫৬০ টাকা। ৩ কেজি পেয়াজ কিনেছি ৯ ডলার মানে ৭২০ টাকা। আফনারা ভাইজান আমাগো থেইকা ভালো আছেন :( :( :( :( :( :(

৬| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৬

মিরোরডডল বলেছেন:




নাজিয়া হাসান আমার অনেক প্রিয় একজন গায়িকা এবং প্রিয় মানুষ।
এতো ভালো লাগে ওকে আমার!
গল্পটা কিছুটা আগেই জানা ছিলো, ওর জন্য মন খারাপ হয়।
এমন একজন মানুষের জীবনটা অন্যরকম হতে পারতো।

আমার সুইটহার্টের প্রিয় দুটো গান শেয়ার করি।








১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৫

সোহানী বলেছেন: আমার অসম্ভব পছন্দের। কি যে শুনতাম রাত দিন তার গান পাগলের মতো। কি সম্পদ রাস্ট্র হারালো, কত ভালো ভালো গান থেকে শ্রোতা বঞ্চিত হলো............।

এরকম অনেক প্রতিভাই হারিয়ে গেছে বা যাচ্ছে। আমার লিখার মূল বিষয় সেটা। কেন থামবে তারা, কেন তারা অন্যায়ের সাথে কমপ্রোমাইজ করবে??? তাদেরকে ঘুরে দাঁড়াতেই হবে।

প্রিয় গান আবারো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ মিরোর।

৭| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৫

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: নাজিয়া হাসান আর জোহেব হাসানের গান প্রথম সম্ভবত ১৯৮১- ১৯৮৩ সালের দিকে শুনি। সম্ভবত এই সময়েই রিলিজ হয়। ডিস্কো দীওয়ানে আর বুম বুম খুব হিট গান ছিল। নাজিয়ার কান্সারে মৃত্যুর কথা জানি কিন্তু পারিবারিক কলহের কথা জানা ছিল না।

রবি শঙ্কর এবং তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীর ঘটনা কিছুটা জানতাম।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৩৯

সোহানী বলেছেন: হাঁ আশির দশকে নাজিয়া জোহেব মারাত্বক হিট ছিল। সবখানেই তাদের গান বাজতো।

রবি শঙ্কর এবং তার স্ত্রী অন্নপূর্ণা দেবীর বিষয়টি অল্প কিছু মানুষ জানে। অভিমান মুভিতে তেমন কিছুই আনা হয়নি, শুধু গানের রেষারেষিটা আনা হয়েছে যা পাবলিক ওপেনলি জানে। তাই অনেকেই আসল সত্যটা জানে না।

৮| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

খায়রুল আহসান বলেছেন: প্রতিভার অপমৃত্যু।
পুরুষ নামের প্রতি তাদের স্বামীগণ সুবিচার করেন নি।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪১

সোহানী বলেছেন: কথা সেটাই খায়রুল ভাই। এ স্বামীগণ যদি একটু সাহায্যের হাত বাড়াতো নিদেনপক্ষে পিছন থেকে ছুরি না দিতো তাহলে আজ তারা কোথায় যেত????

আমরা বঞ্চিত হলাম প্রিয় কিছু থেকে। দেশ বঞ্চিত হলো এমন সম্পদ থেকে। অথচ তাদের এভাবে চলে যাবার কথা ছিল না।

৯| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৫

প্রামানিক বলেছেন: ওস্তাদ আলাউদ্দি খাঁর মেয়ের সাথে রবি সংকরের বিয়ের কথা জানি তবে এই করুণ কাহিনী জানা ছিল না।

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৪

সোহানী বলেছেন: অনেক কিছুই আলাপ করা হয় না ইচ্ছে করেই। রবি শংকরের জীবোদ্দশায় এ নিয়ে খুব কম কথাই সামনে এসেছেছিল। কার রবি শংকর ছিল পাওয়ারফুল। কে এসব নিয়ে লিখে তার রোষানলে পড়বে।

১০| ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩৮

করুণাধারা বলেছেন: গল্পটা আনন্দের না, এতো কাহানি ঘর ঘর কী! তবু আগ্রহ নিয়ে শুনতে বসলাম। অনেক অজানা জিনিস জানা হলো।

নাজিয়া হাসানের গান শুনেছি, ক্যান্সারে ভুগে তার কষ্টকর মৃত্যুর কথাও জানতাম। কিন্তু বিবাহিত জীবনে তার এই কষ্টের কথা একেবারেই জানা ছিল না। জেনে খারাপ লাগলো।

অন্নপূর্ণা দেবীর কথা কিছুটা জানতাম। অনেকদিন আগে রবিশঙ্করের দ্বিতীয় স্ত্রী সুকন্যার কথা কোথাও পড়েছিলাম, সেখানে পড়েছিলাম সুকন্যা অন্নপূর্ণা দেবীর সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন এবং অন্নপূর্ণা দেবী তাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। তখন আমার মনে হয়েছিল, কি অদ্ভুত অসহায় এক জীবন এই অন্নপূর্ণা দেবীর।

তার স্বামী তার সংগীত প্রতিভার মূল্যায়ন দূরে থাক, প্রতিভা ধ্বংস করে দিয়েছেন!!! জেনে আশ্চর্য হলাম!

পরের গল্পের অপেক্ষায়...

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:০০

সোহানী বলেছেন: কাহানি ঘর ঘর হলেও কেউই শুনতে চায় না, এটা নিয়ে বলতে চায় না। সবখানে চাপিয়ে রাখতেই স্বাচ্ছন্দবোধ করে সবাই।

আমার প্রশ্ন আর কত দিন, কত বছর ধরে এরকম চলবে??

আজ যদি নাজিয়ার বিষয়টি প্রথম থেকেই তার পরিবার সাপোর্ট দিয়ে তাকে সেখান থেকে বের করে নিয়ে আসতো তাহলে তাকে হয়তোবা এভাবে মরতে হতো না। সেইতো সে আসলো মায়ের কাছে কিন্তু যখন সব শেষ তখন।

সুকন্যা রবিশঙ্করের চতৃর্থ স্ত্রী। ১৯৪১ এ অন্নপূর্ণাকে বিয়ে করলেও ১৯৪০ থেকেই নৃত্যশিল্পী কামালার সাথে তার সম্পর্ক ছিল। তারপর আমেরিকান সু জোন্স ও শেষে সুকন্যাকে বিয়ে করে শেষ বয়সে।

রবিশঙ্করকে নিয়ে লিখবো। তার বায়োগ্রাফি জোগারের চেস্টায় আছি। পেলে লিখতে বসবো।

আসলে এরা স্বামী নামের পশু। জেলাস, লোভী, চিটার ......... । এদের পাল্লায় পরে ভালো মেয়েগুলোর জীবনশেষ, প্রতিভা শেষ। দু:খ কেউ তাদেরকে সাহায্যে এগিয়ে আসেনি।

১১| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৩

অপু দ্যা গ্রেট বলেছেন:


নাজিয়া হাসান এর কথা জানতাম তবে অন্নপূর্ণা দেবীর কথা জানতাম না। তখনকার সমাজ ব্যবস্থা ভাঙা কঠিন ছিল।এছাড়া যশ খ্যাতি সবাই আশা করে। তখনকার সময় কোন মেয়ে অনেক বেশি খ্যাতি পেলে সেটা পুরুষের চক্ষূশুল হয়ে যেত।

তবে নাজিয়া এবং অন্নপূর্ণা দেবী সমাজকে ভাঙতে পারেননি বলেই আমার মনে হয়। আসলে শত বর্ষ ধরে চলে আসা রীতি ভাঙা অনেক কষ্টের।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৭

সোহানী বলেছেন: "তখনকার সময় কোন মেয়ে অনেক বেশি খ্যাতি পেলে সেটা পুরুষের চক্ষূশুল হয়ে যেত।"

এটা সব সময়ের জন্যই প্রযোজ্য। তখন হতো এখন হয় না?? ভুল, আরো বরং বেশী হয়। তখনকার মেয়েরা বলতে গেলে অশিক্ষিত স্বামীর উপর নির্ভরশীল ছিল তাই কনফ্লিক্টটা ভিন্ন ছিল, জেলাস বরং কম ছিল। এখন মেয়েরা অনেক স্মার্ট, তাই জেলাস কনফ্লিক্টটা বেশী।

নাজিয়া এবং অন্নপূর্ণা দেবী সমাজকে ভাঙতে পারেননি, এটা সত্য। বা বলা যায় সেরকম সাহস করার মতো ৯৯% মেয়েরাই পারে না। যদি পারিবারের সাপোর্ট থাকে হয়তো পারে কিন্তু বেশীরভাগ সময়েই থাকে না।

১২| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৫

ঢাবিয়ান বলেছেন: দুই জনেরই ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে জানা ছিল না। খুবই দুঃখজনক । নাজিয়ার গান যে কি জনপ্রিয় ছিল আশি / নব্বই দশকে

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: কারন কেউই তেমনকরে মুখ খুলে না। তাদের সোশ্যাল স্টাটাস, পারিবারিক স্টাটাস তাদেরকে মুখ বন্ধ করতে বাধ্য করে।

১৩| ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪১

সেলিম আনোয়ার বলেছেন: তথ্যবহুল সুন্দর শেয়ার ।

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪৯

সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ কবি ভাই।

১৪| ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:১১

ডার্ক ম্যান বলেছেন: এখনকার যুগে হলে উনারা সংসার ভাঙার সিদ্ধান্ত নিতে ৫ মিনিটের বেশি খরচ করতেন না।

আর যাই হোক, কোনো চরিত্রহীন মানুষের সাথে সংসার করা সম্ভব না।

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৬

সোহানী বলেছেন: কথাটা ঠিক না। যুগ বদলালেও মেয়েদের মানসিকতার খুব একটা বদল হয়নি। সংসার ভাঙার সিদ্ধান্ত মেয়েরা খুব সহজে নেয় না। এ নিয়ে আমাদের সমাজের ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।

১৫| ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৪

খায়রুল আহসান বলেছেন: অনেকদিন ধরে আপনি ব্লগে অনুপস্থিত। কারণ কী?

১৬ ই মার্চ, ২০২৪ সকাল ৮:০৭

সোহানী বলেছেন: সরি সরি ভাই। এতো বেশী ব্যাস্ততা যে বলার না। কাজ বা অনেক কিছু নিয়ে খুব ব্যাস্ত সময় যাচ্ছে।

আপনি কেমন আছেন?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.