নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি অতি বিরক্ত হয়ে আমার অনেক লিখাই ড্রাফটে নিয়েছি কারন সামুতে আমার কিছু ভাবনা শেয়ার করছি, আর এ ভাবনা গুলো আমার অনুমতি ব্যাতিরেকে কপি না করার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু যত্রতত্র আমার লিখার কপি পেস্ট দেখেই যাচ্ছি দিনের পর দিন।
জাস্ট গত বছর টেক্সাসের স্যুটিং এর ঘটনায় লিখাটা লিখেছিলাম। বছর পার হতেই অনেক কষ্ট নিয়ে আবারো একই লিখা লিখতে বসলাম।
আজ দুপুরে চেকস্লাভিয়ার প্রাগে ঘটে গেছে ভয়াবহ স্যুটিং। যতটুকু জানা যায় চার্লস ইউনিভার্সিটির প্রাক্তন একজন ছাত্র ডেভিড কলা ভবনের তিনতালা থেকে গুলি করে মেরে ফেরে ১৪ জনকে। আরো ২৫ জন গুরুতর আহত। বলা হয় প্রাগের ইতিহাসে এমন রক্তক্ষয়ী ঘটনা আর ঘটেনি। ২৪ বছরের ডেভিড ছিল সেই ইউনিভার্সিটির ওর্য়াল্ড হিস্ট্রির প্রাক্তন ছাত্র। এ ঘটনা ঘটানোর আগে ঘরেই তার বাবাকে প্রথমে গুলি করে। তারপর ইউনিভার্সিটিতে গুলি চালায় এবং শেষে নিজেকেই হত্যা করে।
আমেরিকায় এ ধরনের গোলাগুলি এখন প্রায় সাধারন বিষয়। কিছুদিন পরপরই এমন কিছু শুনতে পাই। এখন তাে দেখি পুরো বিশ্বেই ছড়িয়ে পড়ছে। এখন প্রশ্ন, কেন এমন ঘটনা ঘটছে? কেন প্রায় এ ধরনের ভয়াবহ খবর শুনতে হয়? আমেরিকা/চেক এর মতো দেশের মানুষগুলো আমাদের চেয়ে ভালো আছে। খাওয়া পরার চিন্তা নেই, চাইলেই চাকরীও জোটে, সরকারী বেসরকারী প্রচুর সাহায্য আছে। তারপর তারা কেন মানসিক সমস্যায় ভোগে?? আসল সমস্যা কোথায়????
সবাই আঙ্গুল তুলছে অস্ত্র বিক্রির দিকে কিন্তু আসল সত্য কথা কাউকে বলতে শুনিনি। হাঁ, অস্রের সহজলভ্যতা এরকম ঘটনার জন্য অবশ্যই বড় একটি কারন। কিন্তু প্রশ্ন? অস্ত্র এমন টগবগে যুবক নির্বিচারে রক্তের হলি খেলছে?
উত্তরটা আমি নিজেই খোঁজার চেস্টা করেছি। হয়তো কেউ মানবেন কেউ মানবেন না। কিন্তু যে যাই বলুক সময় থাকতে আমাদেরকে যে এর সমাধান বের করতেই হবে!!
আমার মতে প্রধান কারন, পরিবারহীনতা। এখানকার সমাজ, কালচার, পরিবার সম্পর্কে যতটুকু জেনেছি বুঝেছি এখানকার শিশুদের বড় একটা অংশ নিরাপত্তাহীনতা, ভালোবাসাহীন জীবন, ট্রমাটিক শৈশব কাটায়। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ যেমন একটা কমন বিষয় তেমনি নতুন সংসার গড়াটাও তাদের জন্য স্বাভাবিক বিষয়। কিন্তু এর সবচেয়ে বড় ভিক্টিম হলো শিশুরা। কারন এরা একদিন হঠাৎ করে দেখে তার চেনা পৃথিবী সম্পূর্ণ অচেনা। কেউ হয়তো বাবার কাছে কেউবা মায়ের কাছে থাকে। কিন্তু নতুন পরিবেশে দেখা যায় সে অবহেলার স্বীকার হচ্ছে প্রতি পদে পদে। যে আদরে হয়তো বেড়ে উঠেছিল এতোদিন তা থেকে ছিটকে পড়েছে সে। কেউ মেনে নেয় আবার কেউ পারে না। কিন্তু তাদের ছোট্ট সে মনের ক্ষোভের মেঘ বাড়তে থাকে দিনের পর দিন।
দ্বিতীয় কারনটিও আমি বাবা-মার দিকেই আঙ্গুল তুলবো। জীবনের ব্যাস্ততা এখানে চরম পর্যায়ে। দু'পাশে বাবা-মা দু'জনেই ব্যাস্ত থাকে বাস্তবতায়। ছোট্ট শিশুটিকে নিজের সময় দেবার পরিবর্তে তার হাতে তুলে দেয় মোবাইল বা ট্যাব। আমি এমন কোন শিশু এখানে পাইনি যার হাতে কোন গ্যাজেট দেখিনি। পাশাপাশি বাবা-মা নিজেরাও ব্যাস্ত থাকে স্যোসাল মিডিয়ায়। সেলফি লাইক কমেন্টেস এর নেশায় আর কিছুর দিকে তাকানোর সময় নেই তাদের। এভাবে ধীরে ধীরে শিশুটি চারপাশের ভালোবাসা খুঁজে বেড়ায় গেমের মাঝে। সত্যিকারের ভালোবাসাই ঠিকভাবে বোঝে না। বাবা-মায়ের ভালোবাসা ট্রান্সফার হয় নতুন নতুন গ্যাজটে, খেলনা বা গেইমের মাঝে।
তৃতীয় কারনটি নিয়ে আমি বরাবরেই সোচ্চার। আর তা হলো গেইমের নেশা। শিশুদেরকে ব্যাস্ত রাখতে যে গেইমের পথ বাবা-মা দেখিয়ে দেয় তা থেকে সহজে ফিরতে পারে না তারা। নেশা নেশা নেশা........ গোলাগুলি, রক্তারক্তি, খুনোখুনি খুবই স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে যায় তাদের কাছে। মানবিকতা, ভালোবাসা, আদর-স্নেহ..... সব কিছুই ম্লান হয়ে যায় ধীরে ধীরে। সবাইকে শত্রু মনে করে, সব কিছুর সমাধান মৃত্যু মাঝেই আছে তা ভেবে নেয়, তাই সবাইকে মারার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে। আর গেইমগুলোও এমনভাবে তৈরী তা থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
আমেরিকা কানাডার মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মারাত্বক সোচ্চার। তারপরও কেন কোন সমাধান হচ্ছে না? অবশ্যই কিছু হচ্ছে। যার কারনে হয়তো আরো অনেক ভয়াবহতা থেকে রক্ষা পা্চ্ছি। তবে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সোচ্চারের পাশাপাশি দরকার শিশুদেরকে একটা সুন্দর শৈশব দেয়া, পরিবার দেয়া, নিরাপত্তা দেয়া, স্নেহ-ভালোবাসা দেয়া। সেটা কি খুব কঠিন? মোটেও কঠিন নয় কিন্তু। আমি আপনি চাইলে তা দিতে পারি।
সবাই ভালো থাকুন আর অনুরোধ, পরিবারের ছোট/বড় সদস্যদেরকে দয়া করে ভায়োলেন্স গেইম খেলতে দিবেন না। ওদেরকে মানুষ হত্যা শেখা থেকে বিরত রাখুন। ভালোবাসতে শেখান তবেই ভালোবাসা পাবেন। আর হত্যা শেখালে ঘৃনাই পাবেন।
সোহানী
ডিসেম্বর ২০২৩
ছবি সূত্র গুগুল: আজকের হত্যাকারী ডেভিড
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪২
সোহানী বলেছেন: কানাডায় কিন্তু মেন্টাল হ্যাল্থ নিয়ে মারাত্বক সোচ্চার। স্কুলে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা যেকোন সামাজিক সংস্থায় এ নিয়ে কাজ করে। প্রতিটি শিশু বা ছাত্র/ছাত্রীদেরকে নজরে রাখে। ক্লাস টিচার প্রতিদিন পর্যবেক্ষন করে। কোন ভিন্ন আচরন পেলেই রিপোর্ট করে।
আমেরিকায় কি তা করে?
২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৮
শায়মা বলেছেন: ৩ টা কারনই আসল কারণ আপুনি!
আমিও মনে করি পরিবারের সৌহার্দ্য সম্প্রীতি, ভাঙ্গন এবং সন্তানকে সময় না দেওয়া ও তাদের পৃথিবী সম্পর্কে অজ্ঞানতা এবং সবার উপরে সর্বনাশা গেইম এডিকশন এক একটা বাচ্চাকে মানসিক ভারসাম্যহীন করে তুলেছে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৬:৪৪
সোহানী বলেছেন: হাঁ আম্রি তাই মনে করি। বাচ্চারা এখন আর সৃজনশীল কাজ করে না। গেইমের নেশা তাদেরকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। তারউপর ভঙ্গুর পরিবারতো আছেই।
৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১৯
শেরজা তপন বলেছেন:
শুধু অস্ত্রের সহজলভ্যতা হলে হাজার হাজার এমন ঘটনা ঘটত প্রতিদিন! অস্তের সহজলভ্যতা একটা বিশেষ কারণ বটে।
আপনার ধারনার সাথে সহমত। আমি তো শুধু গেম নয় সব ধরনের ফিল্ম ডকুমেন্টারিতে কোন অস্ত্রের ব্যবহার ও হিংসাত্মক বিষয় নিষেধাজ্ঞার পক্ষে। কিন্তু লোভী ক্ষমতাবানেরা সেটা হতে দেবে না।
*একটা টাইপো আছে অস্র- (অস্ত্র)
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১২
সোহানী বলেছেন: আমার হাতে যতই মারাত্বক অস্ত্র তুলে দিক না কেন আমার জাতশত্রুকেও মারতে পারবো না। অস্ত্র সহজলভ্যতা একটা কারন সত্য। কিন্তু মূল কারনটা কি, কেন মানসিক সমস্যার কথা আসছে............. কেউই প্রশ্ন করে না বা তার উত্তর খোঁজে না।
শুধু গেইম না, যেকোন ভায়োলেন্স এর লাগাম টানা উচিত। কিন্তু হচ্ছে তার বিপরীত। টাকার খেলা সবখানে। তাই কখনোই কিছুই বন্ধ হবে না। আর কিছুদিন পর এরকম মানুষ হত্যা হবে। তারপর একটু চিল্লাপাল্লা হবে। আবার নতুন হত্যা।
লিখাতে অনেক টাইপো আছে ব্রাদার। দশ মিনিটের মাঝে লিখা শেষ করি ........... কি করুম কন, ২৪/৭ দৈাড়।
৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:০১
বিজন রয় বলেছেন: কোনো কোনো দেশে শিশুদের গুলি চালানো শেখানো হচ্ছে।
তারা তাহলে কি আর শিখবে।
আর উন্নত দেশে যদি এই অবস্থা হয় তো বাংলাদেশের মতো দেশে কি হবে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১৫
সোহানী বলেছেন: বাংলাদেশে গোলাগুলি হবে না হয়তো কিন্তু অমানুষ তৈরী হবে ঘরে ঘরে। যার নমুনা দেখা যাচ্ছে এখন সবখানে।
৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১২:১১
বাউন্ডেলে বলেছেন: ভোগবাদী সমাজে ও পরিবারে “প্রেম-ভালোবাসার কৃত্রিমতা” মানুষ নামক প্রানীর মনে হতাশা সৃষ্টির প্রধান কারন। মানুষ যতো বেশী ভোগবাদী হবে ততোবেশী বিকৃত-অবিকৃত মনোবাসনা বৃদ্ধি পাবে। হতাশাগ্রস্ত মানুষ জীবন প্রবাহের এই সামান্য সময়টুকুকেই অফুরন্ত সময় মনে করে।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৪
সোহানী বলেছেন: চমৎকার বলেছেন।
সবকিছুর মূলেই ভোগ, শুধুই ভোগ। আরো চাই? ওর আছে আমার কেন নাই? নতুন নতুন ব্যান্ড, ডিজাইন, গ্যাজেট.......... লোভ আর লোভ। এর বাইরে আর কিছুই নেই। কাজেই এরকম কিছুতো হবেই।
৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:০৯
ক্রেটোস বলেছেন: এটা আসলে নব্য উদারতাবাদ ও নব্য পুঁজিবাদ ও নব্য ব্যক্তিস্বতন্ত্র্যবাদের ফসল। এমন অনেক ঘটনাই সামনে আমাদের আসবে। ভিডিও গেমকে যদি কারণ দেখিয়ে থাকেন তো ৩ নং মন্তব্যের সুরেই বলি যে তাহলে এমন ঘটনা অহরহ ঘটতো সারাবিশ্বজুড়ে। সেটা তো হচ্ছে না। আসলে এমন ভয়ানক মানসিক বিকৃতির পেছনে অন্যতম কারণ বলে কিছুই নেই ভিন্ন ভিন্ন মানুষের ক্ষেত্রে ভিন্ন ভিন্ন কারণ কাজ করে। মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের বিজ্ঞানের যেটুকু বিজয় তা কিছুই নয় আসলে কারণ এখনও আমরা মনের অনেক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে একদম অজ্ঞাত তাই আমরা সঠিকভাবে ধারণা করতে পারি না কী আমাদের মানবিক থেকে চট করে পাশবিক করে তুলছে। ভালো লাগলো আপনার এই লিখাটা, শুভেচ্ছা রইল।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪০
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ ক্রেটোস।
নব্য উদারতাবাদ, নব্য পুঁজিবাদ, নব্য ব্যক্তিস্বতন্ত্র্যবাদ..................... চমৎকার বলেছেন। মূল কারন তাই। কিন্তু এদের নাগাল ধরার মতো অবস্থায় কেউই নেই। যত দিন যাচ্ছে আরো আরো জটিল হচ্ছে।
ভিডিও গেইম মূল কারন অবশ্যই নয়। এটাকে আমি সাইড কারন বলি। আমি যদি ফেইরী টেইল দেখি তাহলে আমার বিশ্বাস সেরকম হবে।। আমি যদি মানবিক মুভি দেখি আমি মানুষের দুক্ষে কষ্টে কাঁদবো। আর আমি সারাক্ষন ভায়োলেন্স দেখবো, গোলাগুলি করে সবাইকে শেষ করে দিবো। এবং তার জন্য পুরস্কার পাবো। তাহলে আমার মন্তিস্ক এটাকেই স্বাভাবিক তরে নেবে। মানুষের মৃত্যুতে চোখে জল আসবে না।
"মনের অনেক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে একদম অজ্ঞাত".... হতে পারে। যা আমাদের হাতে নেই তা নিয়ে ভাবছি না। যা আছে তার থেকেই সমাধান বের করার চেস্টা করছি।
৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:৩০
কাছের-মানুষ বলেছেন: দুঃখজনক ঘটনা। আমেরিকায় আমিও দেখেছি বেশীর ভাগই বড় হয় ব্রোকেন ফ্যামিলিতে! এদের সুন্দর শিক্ষা ব্যবস্থা, বাচ্চারা আনন্দ নিয়ে পড়ছে, শুধু পরিবার-হীনতা সমাজে নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট ফেলছে! এখানে দেখা যায় হয়ত বাবা-মা নিজেরা বিয়ে করে সংসারী হয়, আর ছেলে মেয়েগুলো সেই সংসারে বড় হয়! এরা ফ্যামিলি ভ্যালু নিয়ে বড় হতে পারে না! এই ব্যাপার তাদের জোড় দেয়া উচিৎ।
আপনি সঠিক জিনিষই পর্যবেক্ষণ করেছেন!
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৮
সোহানী বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
ব্রোকেন ফ্যামিলি এখানে একটা কারন। কিন্তু কানাডার সরকার কিন্তু এ বিষয় মাথায় রেখে সে সব বাচ্চাদের মারাত্বক সাপোর্ট দেয়। যদিও এর ফাঁক গলে অনেক বাচ্চারাই নির্যাতনের স্বীকার হয়। তবে দিন দিন মা-বাবা সহ চারপাশের সবাই ভোগী স্বার্থপর হয়ে যাচ্ছে, তা কিভাবে নিয়ন্ত্রন সম্ভব?
৮| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৩
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আপনার উল্লেখ করা ৩ টা কারণই সঠিক।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৪৯
সোহানী বলেছেন: ধন্যবাদ
৯| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩৭
গেঁয়ো ভূত বলেছেন: হ্যা। আপনি সঠিক জায়গাতেই আলোকপাত করেছেন। পরিবারহীন ভালবাসাহীন ভাবে যে শিশুটি বেড়ে উঠছে তার কাছ থেকে নিষ্ঠূরতা ছাড়া পৃথিবী আর কিই বা আশা করতে পারে?
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫২
সোহানী বলেছেন: আমরা কি পরিমান আদরে আহ্লাদে বড় হয়েছি। আর আমাদের সন্তানরা!!! ইউটিউব/টিকটক দেখে বড় হচ্ছে।
১০| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৫
প্রামানিক বলেছেন: আগে আমরা বই পড়তাম এখন ছেলে মেয়েরা গেম খেলে সময় নষ্ট করে যে কারনে তাদের মেধা বিকাশ হচ্ছে না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৩
সোহানী বলেছেন: সত্য।
আগে পাড়ায় পাড়ায় খেলার ক্লাব ছিল। অনুষ্ঠান হতো, খেলাধুলার আয়োজন হতো। আর এখন????
১১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০০
জুন বলেছেন: সোহানী এই ঘটনাটি প্রাগের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কতটা মর্মান্তিক আর লজ্জ্বাস্কর তা বোধ হয় চেকবাসী ভাষায় প্রকাশ করতে পারছে না। শুধু পশ্চিম ক্যানো এই বাচ্চাদের হাতে মোবাইল তুলে দেয়া এখন আমাদের দেশেও ব্যাপকভাবে প্রচলিত। বাচ্চাদের ভাত খাওয়ানো ঘুম পাড়ানো সব কিছুতেই মোবাইল লাগে।আমার গৃহকর্মীর ৪ বছরের বাচ্চার হাতে টাচ মোবাইল দিয়ে না আসলে ছেলে বাসায় থাকতে চায় না। রিকশা আলা বাবা আর মায়ের অনুপস্থিতি কাটায় সারাদিন গেমস দেখে। নেশায় নেশায় পৃথীবি আসক্ত।
+
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:৫৮
সোহানী বলেছেন: ২০১৪ সালে চেক ঘুরতে গেছিলাম। এখন মনে পড়লো। শান্ত শহর গ্রাগ। তেমন কোন কোলাহল নেই। সেখানে এমন মর্মান্তিক ঘটনা........। তার উপর বিল্ডিং এর উপর থেকে গুলি করেছে বলে একেবারে সিনেমার মতো টার্গেট করেছে।
পিয়ার প্রেসার। ওর আছে আমার কেন নেই? ও মোবাইলে খেলে তাহলে আমি কেন খেলতে পারবো না? ওর ল্যাটেস্ট মোবাইল আছে, আমারো চাই।.................
চলছেতো চলছেই এভাবে। জটিল থেকে আরো জটিল হচ্ছে সমস্যা।
১২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১০
রাজীব নুর বলেছেন: অত্যন্ত দুঃখজনজক ঘটনা।
আমাদের দেশটা দরিদ্র হতে পারে কিন্তু এরকম ঘটনা ঘটে না।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
সোহানী বলেছেন: সত্য যে আমাদের কেউ বন্দুক নিয়ে গুলি করতে বের হয় না। কিন্তু আমরা কি করি জানেন? স্লো পয়জনিং। তিলে তিলে মেরে ফেলি...।
মিথ্যা, ভান, অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম, চুরি, ডাকাতি, ঘুষ....................... যা আমরা প্রতিনিয়ত করি। কিন্তু এসব খুব কমই পাবেন উন্নত দেশে।
১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:৪৯
কামাল১৮ বলেছেন: মানষিক রোগ।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৩
সোহানী বলেছেন: এটি অনেকগুলো কারনের একটি। কিন্তু মানসিক রোগ কেন হয় তা কি কেউ খোঁজ নেয়??
১৪| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ ভোর ৪:১৪
মিরোরডডল বলেছেন:
পরিবারের অবহেলা, মানসিক রোগ, গেইম আসক্তি এগুলো অবশ্যই বড় সমস্যা কিন্তু অনেক দেশেই এই সমস্যা থাকলেও এভাবে মানুষ মারতে পারেনা যেটা ওরা পারে, এর প্রধান কারণ অস্ত্রের সহজলভ্যতা।
২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬
সোহানী বলেছেন: অস্ত্রের সহজলভ্য হলেও অন্য কারো বুকে গুলি করার আগে যে মানসিক ভারসাম্যহীনতা দরকার সেটার কথাই বলার চেস্টা করছি। আমাকে ট্রাকভর্তি বন্দুক দিলেওতো আমি কাউকে মারতে পারবো না। তুমি পারবা???? কখনই পারবা না।
কেউই ডিপ থিংক করতে চায় না। স্পট সলিউশান নিয়ে ভাবে................
১৫| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:১৬
শার্দূল ২২ বলেছেন: সব গুলো কারণ যথাযত, কিন্তু আমি শেষেরটাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছি। কারণ হলো এই অস্ত্রের সহজ লভ্যতা কিন্তু আমেরিকা আগেও ছিলো পরিবারহীনতাও এদের পুরনো কালচার। পরিবারহীনতা মানসিক ট্রমা অন্যতম কারণ। সেই সাথে যোগ হয়েছে অনলাইন ফায়ার গেইম। একটা ছেলে যখন রাতদিন এমন ফায়ার গেইম গুলো খেলে, গুলি করে শত্রুকে ডিভাইসের মাধ্যমে মারছে মরছে, এসব তারা ভার্চুয়ালী করতে করতে টায়ার্ড, তখনি তাদের মনে আসে, আর কত ভার্চু্যাল , হোয়াই নট রিয়েল টাইম। আমাদের আমেরিকাতে এই পর্য্ন্ত যতগুলো শুটিং ঘটনা ঘটেছে সব গুলোর প্যটার্ন কিন্তু ঐ গেইম গুলোর সাথে মিল আছে। এই জন্য আমি দায়ী করবো অনলাইন গেইম গুলোকে সবার আগে। ইউরোপ আমেরিকাতে পরিবারহীনতা যেমন ছিলো এখনো আছে অস্ত্রের সহজলভ্যতাও ছিলো, গেইম গুলো ওদের মনকে বিগড়ে দেয় , মানসিক ট্রমা না হলে কেউ এটার সংগ্রহ এবং ব্যবহারের দিকে যাবেনা। সুস্থ্য মানুষ গুলোর হাতে অস্ত্র ধরিয়ে দিলেও এমন মরণ খেলা খেলবেনা।
এখন আমরা প্রতিটা মার্কেটে ঢুকলেই একটা আতংক কাজ করে, মনে হতে থাকে এই বুঝি কেউ আসলো গুলি করতে। গত কিছু বছর এর মাত্রা বেশি। বুঝিনা সরকার কি করে বসে বসে। এত এত বাজেট নানা জায়গায় নানা দেশে, খোদ নিজের দেশে এমন কিছু নিয়ে তারা ভাবছে কিনা কে জানে।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৪
সোহানী বলেছেন: একদম সত্য।
আমার হাতে অস্ত্র থাকলেই গুলি করবো না যদি না আমার ব্রেইন ফুল ফাংশান না করে। এ গেইমগুলো আমাদের মনকে হিংস্র করে দিচ্ছে। অথচ দেখেন স্কুল কলেজে কোথাও এ নিয়ে একটা উচ্চবাচ্চ কেউই করে না। আমি বেশ কিছু স্কুল মিটিং এ কথা বলার চেস্টা করেছি কিন্তু সবাই আমার বিপরিত বলেছে।
১৬| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৯:০৮
সেলিম আনোয়ার বলেছেন: মানব হত্যা জঘন্যতম কাজ । আপনার মানবিক পোস্ট যথেষ্ট অর্থবহ। বিশ্বের দাদা দেশগুলো যুদ্ধ বিগ্রহ বাধিয়ে অস্ব্র বিক্রি করে সম্পদ লুট করে নিরীহ নারী শিশুর জীবন নাশ করে। এগুলোও বন্ধ হওয়া দরকার। আর শিশুদের এসব খেলা থেকে বিরত রাখা দরকার। দরকার নৈতিক শিক্ষার । ঐ যে এখনো সময় আছে এখনই দরকার।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৩৬
সোহানী বলেছেন: দাদারাতো শুধু নিজেদের পকেটের চিন্তা করে। কিন্তু এতে যে তার নিজের ঘরের সন্তানই যে তাকে বন্দুক তাক করছে তা কিন্তু সে এখনো বুঝতে পারছে না।
১৭| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৮
করুণাধারা বলেছেন: পরিবারহীনতা, সন্তানের প্রতি বাবা-মায়ের উদাসীনতা, আর গেমের নেশা এই তিনটাই এমন হত্যাকান্ডের পিছনে মূল কারণ বলে আমার মনে হয়। অস্ত্রের সহজলভ্যতার জন্য বন্দুক চালিয়ে খুন করা সহজ, কিন্তু অস্ত্র হাতে না থাকলেও কিন্তু হত্যাকান্ড ঘটে। আমার এই মূহুর্তে মনে পড়ছে ইউকেতে আট বছরের দুই শিশু মিলে নিষ্ঠুরভাবে দু্ই বছরের এক শিশুকে খুন করেছিল, বিচারের সময় বিচারক বলেছিলেন ভগ্ন পরিবারের কারণেই এদের মনে নিষ্ঠুরতা জন্ম নেয়।
প্রথম দুটি কারণ আমাদের দেশে কম দেখা গেলেও গেমের নেশা কিন্তু ভয়াবহ ভাবে বেড়ে গেছে। স্কুলের শিশুরা যেমন স্কুল পালিয়ে ঘর থেকে টাকা চুরি করে গেম খেলে, তেমনি প্রাপ্তবয়স্ক চাকুরী করা মানুষেদেরো গেমের নেশায় আসক্ত হতে দেখেছি। গেম খেলার জন্য চাকরি ছেড়ে দিতে দেখেছি। এর পরিণামে হতাশাগ্রস্থ হতে দেখেছি। এই ভয়াবহ বিপদ সম্পর্কে কেউ তেমন সচেতন নয়।
২৮ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:৪২
সোহানী বলেছেন: ব্যাক্তিগত অভিজ্ঞতা শেয়ার করি আপু। এক প্রাইভেট অফিসে কাজ করেছিলাম এখানে কিছুদিন। তো মালিক ভদ্রলোক ৭০-৭৫ বয়স, অফিসে সহজে আসতেন না। যখন আসতেন তখন দেখতাম উনি বসে বসে গেইম খেলছেন। যতই কাজ থাকুক ভদ্রলোক ফিরেও তাকাতেন না।
সব নেশাই খারাপ। অন্য সব নেশাকে খারাপ বললেও আমরা গেইমের নেশাকে কোনভাবেই খারাপ বলি না। বরং উৎসাহ দেই। কিন্তু কেউই এর পরিনাম ভেবে দেখে না।
এখনো সময় আছে, চারপাশ দেখে আমাদের সাবধান হবে হবে। কিন্তু কেউ শুনবে কি??
১৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২১
রূপক বিধৌত সাধু বলেছেন: অস্ত্র বিক্রির সহজলভ্যতা না থাকলেও অন্য কোনো উপায়ে ঘটনাগুলো ঘটত। আপনার উল্লিখিত কারণগুলোই যৌক্তিক। এগুলো নিয়ে কি বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে না? অগ্রগতি তেমন নেই কেন?
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:২৩
সোহানী বলেছেন: বিশ্ব মোড়ল যুক্তরাষ্ট্র কাজ করলে অস্ত্র বিক্রির টাকা আসবে কোত্থেকে। হিসাবটা খুব সহজ, তারা চিল্লাবে কিন্তু কোন কাজ করবে না। আর প্রতি বছরই একই ঘটনা ঘটবে।
১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪১
আহমেদ জী এস বলেছেন: সোহানী,
মানবিক বলেই স্যুটিংয়ের ঘটনাগুলোর পেছনের কারনসমূহ নিয়ে ভাবতে পেরেছেন। সন্দেহ নেই আপনার বিধৃত তিনটি কারনই একদম সঠিক।
ছেলেমেয়েরা ( শিশু-কিশোর এমনকি বয়স্করাও) গেমসে শুধু কে কাকে গুলি করে বা তলোয়ার দিয়ে মারতে পারে এমনসব গেমসই খেলে থাকে বেশি। সেখান থেকে তারা '"কিলিং" এর বিষযটাকে আর দশটা খেলার মতোই সহজ একটা খেলা মনে করে বাস্তবেও তেমনটা খেলতে চায়। বাবা-মায়েরা ছেলেমেয়েদের এই সব অস্বাভাবিক মানসিকতার খোঁজ রাখেন না বলে বা ছেলেমেয়েদের প্রতি তাদের উদাসীনতার কারনে অনেক ছেলেমেয়েরা মনের মাঝে আরও বেশী করে তা লালন করার সুযোগ পায়। পরিবার ও সমাজ থেকে অনেকটা বিচ্ছিন্ন থাকতে হয় বলেই একটা সময় তাদের মাঝে পরিবার ও সমাজের প্রতি যে ঘৃনার জন্ম হয় তাতে পরিনামে মানুষের প্রতি তাদের বিদ্বেষ বাড়তে থাকে। এই ঘৃনা আর বিদ্বেষ যখন তাদের সম্পূর্ণ কব্জা করে ফেলে তখনই তারা উদভ্রান্ত হয়ে যায় এবং তার প্রকাশ ঘটিয়ে থাকে ঐসব স্যুটিংয়ের মধ্যে দিয়ে।
সমাজ ও মনোবিদেরা হয়তো আরও ভালোভাবে এসবের ব্যাখ্যা দিতে পারবেন।
২৯ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৩০
সোহানী বলেছেন: অবশ্যই আমি পরিবারকে দায়ী করবো।
বাচ্চাদেরকে ব্যাস্ত রাখতে গেম ধরিয়ে দেয়। আর গেইম মানেই খুনোখুনি, মারামারি। খুব কম গেইমই আছে এর বাইরে। যার কারনে ছোট থেকেই তারা মৃত্যুকে স্বাভাবিক ধরে নেয়। তার উপর ব্যাস্ত জীবনে বাবা-মা বা বাকিদের সময় কোথায় বাচ্চাদেরকে দিবে?
আর পশ্চিমা বিশ্বেতো বাবা-মা আরো স্বার্থপর। নিজেদের সুখ আনন্দ ছাড়া কিছুই বুঝে না। ১৮ হলেই পারলে ঘর থেকে বের করে দেয়।
একবার ট্রেনের প্লাটফর্মে মনে হয় ১৮-১৯ বছরের একটা ছেলেকে মদ খেয়ে মাতাল হয়ে বসে বসে কাঁদতে দেখেছিলাম। এতো খারাপ লেগেছিল ছেলেটাকে দেখে যে কি বলবো। হায়, এ বাচ্চাটা হয়তো অনেক কিছু করতে পারতো। কিন্তু আজ সে প্লাটফর্মে পরে আছে।
আমরা কি ভয়ংকরভাবে অমানবিক হয়ে যাচ্ছি। প্রচন্ড ভয়ংকরভাবে নিষ্ঠুর হয়ে যাচ্ছি।
২০| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৭
খায়রুল আহসান বলেছেন: আমার মনে হয়, এই জীঘাংসার পেছনের কারণগুলো আপনি সঠিকভাবেই চিহ্নিত করেছেন। আরও কারণ থাকতে পারে, তবে আপনি যে তিনটে মূল কারণের কথা বলেছেন, সেগুলো অবশ্যই সঠিক।
মন্তব্যগুলো পড়ে দেখলাম, শায়মাও আপনার উল্লেখিত তিনটে কারণকেই আসল কারণ বলেছেন। তিনি একজন স্কুলশিক্ষক এবং বাচ্চাদের নিয়েই তার স্কুলের সারাটা সময় কাটে বলে তার পোস্ট পড়ে বুঝা যায়। তাই তার এ মূল্যায়ন অবশ্যই প্রণিধানযোগ্য।
"কি করুম কন, ২৪/৭ দৈাড়" - আপাততঃ চট করে শেরজা তপন কর্তৃক ধরিয়ে দেয়া ভুল বানানটা সম্পাদনা করে নিন, তাতেই চলবে। এতে উনিও খুশি হবেন, আমিও হবো।
"বাংলাদেশে গোলাগুলি হবে না হয়তো কিন্তু অমানুষ তৈরী হবে ঘরে ঘরে। যার নমুনা দেখা যাচ্ছে এখন সবখানে" - স্মার্টফোনে সহজলভ্য পর্নোগ্রাফি বাংলাদেশকে এখন গ্রাস করে ফেলছে। শিশু-কিশোর, বালক-বালিকা, ছেলে-মেয়ে--কেউই এই রাহুর করাল গ্রাস থেকে মুক্ত নেই, নিরাপদ দূরত্বেও নেই।
বাউন্ডেলে চমৎকার বলেছেন: "মানুষ যতো বেশী ভোগবাদী হবে ততোবেশী বিকৃত-অবিকৃত মনোবাসনা বৃদ্ধি পাবে। হতাশাগ্রস্ত মানুষ জীবন প্রবাহের এই সামান্য সময়টুকুকেই অফুরন্ত সময় মনে করে"।
"আগে পাড়ায় পাড়ায় খেলার ক্লাব ছিল। অনুষ্ঠান হতো, খেলাধুলার আয়োজন হতো। আর এখন????" - এ ছাড়াও তখন পাড়ায় পাড়ায় ব্যয়ামাগার ছিল, পাঠাগার ছিল, বিভিন্ন উৎসবে পার্বনে সুস্থ প্রতিযোগিতা এবং পুরস্কারের আয়োজন ছিল। এখন সে সবের বালাই নেই।
স্মার্টফোন হাতে পাবার ব্যাপারে শিশু কিশোরদের "পিয়ার প্রেসার" একটা বড় ফ্যাক্টর, এটা আপনি সঠিকভাবে শনাক্ত করেছেন।
আমি খুশি হলাম দেখে যে প্রায় সব মন্তব্যকারী পাঠকই আপনার পোস্টটি মন দিয়ে পড়েছেন এবং প্রায় সকলেই ভালো মন্তব্য করেছেন। ক্রেটোস, কাছের-মানুষ, শার্দূল ২২, করুণাধারা, আহমেদ জী এস, প্রমুখের মন্তব্যগুলো বেশি ভালো লেগেছে।
০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৮:৩২
সোহানী বলেছেন: আসলে খায়রুল ভাই, কানাডা বা অন্যান্য দেশে সবাই শুধুমাত্র অস্ত্র বিক্রির দিকে আঙ্গুল তুলছে কিন্তু কেউই এর পিছনের কারনগুলো নিয়ে চিন্তা করে না।
কেন করে না?
কারন তারা জানেই না যে এর গ্যাপটা। তারা এই একই পরিবেশে বড় হয়েয়ে, তাই তারা উপলব্ধি করতে পারে না।
কিন্তু আমরা পারি, কারন আমরা জানি গ্যাপটা কি, আমরা উপলব্ধি করতে পারি সমস্যাটা কোথায়। তাইতো লিখাটা লিখলাম। আমাকে খুব ভাবায় এসব।
এখানের চারপাশের বাচ্চাদেরকে দেখি আর খুব খুব হতাশ হই। এখনতো শুনি দেশের অবস্থা আরো ভয়াবহ। বাচ্চারা আদর্শলিপি পড়ে না, রাতভর গেইম আর নীল ছবি নিয়ে ব্যাস্ত থাকে। মানুষতো তারা হচ্ছে না, দানব হচ্ছে দিন দিন। কি হবে দেশের???
খুব খুব আতংক হয়।
©somewhere in net ltd.
১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১১:১১
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
স্কুলেই প্রতি বছর পরিক্ষার সাথে একটি মনস্তাতিক পরিক্ষা করে রেটিং স্কুলে রেখে দেয়া উচিত। পরে ফলোয়াপ করা বা পরিবারের সাথে কাউন্সিলিং । কিছু একটা করতেই হবে।