নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি দেখেছি তার হরিণ কালো চোখ।

আমার পোস্ট আমার মতামতঃ যে কারো মতের সাথেই দ্বিমত হতে পারে।

ডিউরডান্ট ডি শিমুল

বিশেষ কিছু বলার নেই।

ডিউরডান্ট ডি শিমুল › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটা হালকা নৌকা ভ্রমণ ;)

২৪ শে জুলাই, ২০১১ সকাল ১১:১৫



এই মাত্র (লিখেছি আসলে কাল বিকেলে) একটা নৌকা ভ্রমন সেরে এলাম। অফিসে আজ মোটেই কাজের চাপ নাই। সকাল থেকে বসেবসে ফেসবুক আর ব্লগ ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে বেলা পার। লাঞ্চের পর নামাজ পড়ে বসলাম নেটে, ঘণ্টাখানেক পর কলিগ এসে বললেন “চলেন, কর্ণফুলীর ঐপাড়ে যাব” একটু উৎফুল্ল হয়ে উঠলেও আবার দমে গেলাম। শহরে বেড়ে উঠায় সাঁতার জানি সামান্য। সেটা পুকুরে এপ্লাই করা যায় কিন্তু খরস্রোতা কর্ণফুলীতে প্রযোজ্য না। :( তারপরেও কলিগের পীড়াপীড়িতে না উঠে পারলাম্না। অফিসের ক্যামেরা নিয়ে চলে গেলাম নৌকা (সাম্পান) ঘাঁটে। নৌকা ঘাঁট আমাদের অফিসের কাছেই, কিন্তু উদ্যোগের অভাবে কখনও যাওয়া হয়নি নদীর ওপাড়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই নৌকা চলে এল। আমরা সংখ্যায় চারজন। সবাই উঠে বসলাম। তারপর ভটভট শব্দে ইঞ্জিন চালিত নৌকা যাত্রা শুরু করল। ইতোমধ্যে দোয়া-দরূদ পড়ে নিলাম, আল্লাহ্‌ যাতে হেফাজত করেন।





নদীর মাঝখানে পৌছাতেই টের পেলাম নৌকার দুলুনি শুরু হয়ে গেছে। একটু রোমাঞ্চ রোমাঞ্চ লাগছিল। বন্দরের পিছন দিক থেকে দেখতে ভালোই লাগছিল। আমার নদীপথে ভ্রমন এটাই প্রথম। তাই সম্পূর্ণ নতুন অভিজ্ঞতা হচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত ওপাড়ের ঘাঁটে উঠলাম। ঘাঁটের বাজার পেরিয়ে গ্রামের দিকে পা বাড়ালাম। প্রথমেই নজরে আসল একজোড়া রাজহাঁস।





[q]কলিগ তুলে হাসের ছবি, আমি তুলি উনার ছবি ;) ;) [/q]



সাদা রঙের রাজহাঁস দেখে অত্যন্ত পুলক বোধ করলাম। তারপর নদীর কুলে বসে কিছু ছবি তুললাম। আবার হেঁটে অনেকটা গ্রামের ভিতরে ঢুকে ঘুরে আসলাম। একটা বটপাকুড় গাছের দেখা মিলল। আমরা কেউ আবার চুপা সুশীল না যে নৌকা ভ্রমনে গিয়ে কোন ফাঁকে আবার গ্রাম্য বধু দেখা যায় এই চাঞ্চে থাকব, তাই আমার ভ্রমণ কাহিনীতে গ্রাম্য বঁধুর কাঁখে কলসি নেয়ার বর্ণনা থাকবেনা। >:P>:P>:P

সবাই অনেক ফটো তুললাম। আমার আবার ঘুরতে গেলে বালখিল্যটা পেয়ে বসে, ঘাসের উপর বসে শুয়ে শট দিচ্ছিলাম। কলিগদের মধ্যে আমিই জুনিয়র, তাই এসব করে মজাই পাই। :)





তারপর ফেরার পালা। একটু এগুতেই একটা সাপের দেখা মিলল। ডোড়া সাপের মত দেখালেও খেয়াল করে দেখলাম স্পটেড না হয়ে স্ট্রাইপড সাপ, তার মানে ডোড়া না, গ্রামে গেছো প্রজাতির সাপ। আর একটু হলেই পায়ের তলায় পড়তো। শালার সাপ, মরার আর জায়গা পাসনা!!! লাফ দিয়ে রাস্তার বাইরে চলে গেল সাপটা।



গ্রাম্য ছোট ছোট পুকুর দেখলাম, ছোট একটা বাচ্চাকে ডেকে এক কলিগ মাছের খোঁজ নেয়া শুরু করলেন, এখানে কি কি মাছ পাওয়া যায়, কিভাবে জোয়ারের পানি থেকে মাছ আটকানো হয়। দীর্ঘদিন চট্টগ্রামে থাকার সুবাদে ঘেরে মাছ আটকানোর কৌশল সম্বন্ধে আমার জানা আছে কিন্তু কলিগেরা সবাই উত্তর বঙ্গ থেকে এসেছেন তাই তাদের কাছে এসব নতুন ঠেকল।



ঘাঁটের বাজারে এসে ছোলা পেয়াজু খেলাম, তারপর কলা খেতে খেতে ঘাঁটের বেদিতে এসে নৌকার জন্য অপেক্ষা শুরু। প্রায় ১০ মিনিট পর নৌকা আসল। সবাই নৌকায় চড়ে বসলাম। এবার নদীর ঢেউ একটু বেশি মনে হল, নৌকার দুলুনিতে ব্যাপারটা সহজেই অনুমেয় ছিল। অনেক রোমাঞ্চ জড়িয়ে আমার প্রথম নৌপথে নদী পারাপার উপভোগ করলাম।



মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০১ লা নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:২৪

লজ্জাবতী বলেছেন: স্বাগতম

২| ০৮ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:০৭

মুহাম্মদ জহিরুল ইসলাম বলেছেন: নৌকা ভ্রমন ভালা পাইলাম... :)

০৯ ই মার্চ, ২০১২ সকাল ১০:১৯

ডিউরডান্ট ডি শিমুল বলেছেন:

ধইন্যা।


জহির ভাই, আপ্নের লগে কথা আছে ফেবুতে। :)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.