নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কবিতা, তুমি আর আমি....

ইস টু ফিড

পর জনমে না হয় প্রেমিক হয়েই জন্ম নেব....

ইস টু ফিড › বিস্তারিত পোস্টঃ

নকল ও সুইসাইড

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৪:২৬

ক্লাস সেভেন এ ফার্ষ্ট লাইফে নকল করি।
আশে পাশের সিনিয়র ভাইরা দেদারছে নকল করছে দেখে আমিও সাহস পাই।
ইংরেজী ২য় পত্র পরীক্ষা ছিল। বই এর এস্সে এর পার্ট থেকে যা যা ছিল সব কেটে পকেটে করে নিয়ে গেছিলাম।
স্বভাবতই প্রথম বার, তাই ধরা পড়ে গেলাম।
এক্সামের গার্ড ছিল শরীয়ত উল্লাহ স্যার।
তিনি ডেকে সামনে নিয়ে সবার সামনে ষ্টিল এর স্কেল দিয়ে অনেক মারলেন।
খাতা রেখে দিলেন আর সাথে খাতার উপরে ওই কাটা পেজ টা এড করে দিলেন।
আর আমি এদিকে পুরা ভেংগে পড়েছি, আমার এবার কি হবে? সবার সামনে অনেক লজ্জায় পড়ে গেলাম। কোন রকমে বাড়িতে এসেছি।
আমার অবস্থা দেখে আম্মা জিজ্ঞেস করলেন যে কি হইছে?
আমি বলবোনা বলবোনা করে বলে ফেললাম ঘটনা।
আম্মা হাসি দিলেন, আমাকে নিয়ে হালকা উপহাস করলেন নকল করার কারনে, স্যার মারছেন এই কারনে খুঁচিয়ে কথা বললেন। তবে সব ই ছিল যাতে পরের বার এমন না করি তা বলার একটা প্রয়াস।
যেদিন পরীক্ষার রেজাল্ট দিবে,
সেদিন নূর নাহার ম্যাডাম আবার আমাকে সামনে ডাকলেন।
সবাইকে সেই পেজ দেখালেন।
আবার উপহাস করলেন।

এর পরে আমি কয়েক বছর এক্সামের হলে যাওয়ার আগে কয়েকবার করে ব্যাগ, পকেট চেক করতাম যাতে আমার কাছে অবাঞ্চিত কিছু না থাকে। আমি যেন আবার ওরকম পরিস্থিতির শিকার না হই।

হ্যাঁ ওইদিন আমার ভুল ছিল।
আমি হয়তো আশে পাশের সাপোর্ট পেয়েছিলাম,
আবার বাবা মা আমাকে সাপোর্ট দিয়েছিলেন।
যার কারনে আমি ওই পরিস্থিতি কাটিতে উঠেছিলাম।
আচ্ছা ভিকির এই পরিস্থিতি তে কি শুধু শিক্ষক ই দায়ী? তিনি যা করেছেন তা উনার কাছে ঠিক।
মেয়েটা সুইসাইড না করলে সবাই শিক্ষকের ওই সিদ্ধান্ত কে হয়তো বাহবা দিতো।
যাই হোক, আশা করি সুষ্ঠু তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে।।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০০

রাজীব নুর বলেছেন: দানও আসলে ধনীদের বিনোদন।

২| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:১০

রানার ব্লগ বলেছেন: দেখুন শাসন থাকা ভালো কিন্তু তার একটা নিদৃষ্ট মাত্রা আছে যা আমাদের সময় ছিল। নকল এমন একটা শিল্প কর্ম যা খুব কম লোকই করে নাই, যারা করে নাই তাদের মধ্যে ৯৯ ভাগ করার মত সাহস নাই বাকি ১ ভাগ করতে চায় না। যাই হোক আমাদের সময় দেখেছি যে নকল করতে গিয়ে ধরা পড়তো তার সর্বচ্চ সাজা হতো তার উক্ত পরিক্ষা বাতিল আর সর্বনিম্ন সাজা হতো যে অংশটুকু নকল করেছে সেই অংশ কেটে দিয়ে কারন পুর্বক তাকে বিশেষ নজরদারিতে পরিক্ষা দিতে দেয়া তার আগে আধা ঘন্টা থেকে এক ঘন্টা পর্যন্ত পরিক্ষা বিরতি দেয়া। কিন্তু এটা টিসি পর্যন্ত যেত না। আর এই কারনে আমরা ও নকল নামক বস্তু করতে দ্বিধা করতাম। আর আমাদের সামনে আমাদের টিচাররা উধাহারন ছিলেন। শুনতে খারাপ লাগে এখনকার অনেক টিচারদেরই পুরানা হিস্টোরি মোটেও ভালো না (এডূকেশান) শিশুরা তাই শেখে যা তার গুরু শেখায়।

আত্মাহত্যাকারী মেয়েটির বেলায় টিসি নামক এক খানা টিকেট জুটেছে সেই সাথে তার বাবা মা কে ডেকে নিয়ে অপমান। এটা একজন ছেলের পক্ষে মেনে নেয়া অসম্ভব সেখানে একটি মেয়ে তার পক্ষে মানা তো আর সম্ভব নয়, সমজ নামক বস্তুর সাথে সে তো পরিচিত তাই না? একটা ছেলে যতটা সমাজের ঘৃনা না দেখে একটি মেয়ে তার দিগুন দেখতে পায় প্রতিনিয়ত। এটা সয্য করা সম্ভব হয়নি মেটার। আমি মেয়েটা কে সমর্থন করছি না না করছি সমর্থন তার নকল করা কে। আমি প্রতিবাদ জানাচ্ছি শাসন নামক অতিসজ্যা কিছু করতে গিয়ে আজ একটি তাজা প্রান খোয়ালাম। আর হুট হাট করে বাবা মা কে ডাকা বা তাদেরকে অন্য অভিবাকের সামনে অপদস্ত করা ফ্যাশান হয়ে দাঁড়িয়েছে, ভাবখানা এমন সব দায়িত্ব বাবা মা দের তারা বাচ্চা কে স্কুলে পাঠাবে আবার তারাই শেখাবে নকল না করা পড়া তৈরি করে আনা অন্যান্য, স্কুলের শিক্ষকদের কাজ মাথা দুলিয়ে বড় বড় বাক্য বিনিময় করা। বাব মা এর পর শিক্ষক কে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। আর এই গুরুত্বপুর্ন পদের অধিকারী নিজের গুরুত্ব বাড়াতে গিয়ে কান্ড করে বসেন। তাই বলি শুধু শুধু বাচ্চা মেয়েটাকে নিয়ে তামাসা বিশ্লেশান, হাসি ঠাট্টা, না করে বুঝুতে চেষ্টা করুন। আর বয়সন্ধিকাল বলে একখানা ব্যাপার আছে এটাও জানতে হবে।

৩| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৫৮

ইস টু ফিড বলেছেন: তা অবশ্য ঠিক, মানুষ কি বলবে, কি ভাববে এ চিন্তাটাই আমাদের শেষ করে ফেলে অনেক খানি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.