![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
আজ যতই গানের এই ধ্যানী মানুষটি বিশ্বের মানবতাবাদী মানুষের মন জয় করে নিচ্ছেন, ততই প্রতিক্রিয়াশীলদের আক্রমনের শিকার হচ্ছেন!
ধর্মান্ধ প্রতিক্রিয়াশীলেরা যেদিন লাঠিসোটা নিয়ে বাউল-ভাস্কর্য ভাঙ্গতে গেল- সেদিন প্রায় সারাদিনই লালনের এই গানটা আমার খুব মনে পড়েছিল-
এ দেশেতে এই সুখ হলো,
আবার কোথা যাই না জানি।
গানটা কবে লিখেছিলেন লালন? কোন্ বিপর্যয়কর অবস্থায় লিখেছিলেন? কেন তাঁর দেশত্যাগের ইচ্ছে হয়েছিল? কারা তাঁকে মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছিল?
মূলস্রোতের নয়- বরং, ইসলামের এক বিশেষ ব্যাখ্যার বা মতবাদের অনুসারী ছিলেন লালন; যে কারণে সারাজীবনই মূলস্রোতের বিরাগভাজন হয়ে ছিলেন । নিরাকারের বদলে ভিতরের ঈশ্বররুপ সহজ মানুষ ভজতে বলেছিলেন লালন -মূলস্রোতবাদীরা বিরাগভাজন তো হবেই।
ভজ মানুষের চরণদুটি
নিত্য বস্তু হবে খাঁটি।
এসব কথার কোনও মানে হয়!
শুনি মলে পাব বেহেস্তখানা
তা শুনে তো মন মানে না।
এসব কথার কোনও মানে হয়!
এসব গানের গূঢ় সৌন্দর্য তৎকালীন মূলস্রোতের মহাজনের বোঝেনি। বোঝার কথাও নয় শিল্পবিরোধীদে।প্রমান আছে-তৎকালীন একজন মৌলভি এই মন্তব্য করেছিল-গান হিসেবে লালনগীতি নাকি উচ্চাঙ্গের নয়। কাজেই-
লালনও যুদ্ধ চালিয়ে গেছেন সমানে। গেয়েছিলেন-
শোনায়ে লোভের বুলি,
কেউ নেবে না কাঁধের ঝুলি।
কিংবা
বিশ্বাসীদের দেখাশোনা করে লালন এ ভূবনে ...
এর মানে: তোমরা যে এত ধর্ম ধর্ম কর ...দেখব কতটুকু বিশ্বাস কর।
লালনকে তাই গোঁড়াদের এত ভয়। বিশ্বাসের কথা বলে যে সব সময় বিশ্বাস-এর স্থির থাকা যায় না - ঘোর বিশ্বাসীরা সেটা ভালো করেই জানে । কাজেই, তাদের নামাজ আর "পারসোনাল মিরাজ" হয়ে ওঠে না। কাজেই, যে ধর্ম প্রচার করতে হয় অত্যন্ত ধৈর্যের সঙ্গে - সে ধর্ম প্রচারের জন্য মাঝে মাঝে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীর সাহায্য দরকার হয়! আর লালন দূর থেকে বলেন-
বিশ্বাসীদের দেখাশোনা করে লালন এ ভূবনে ...
লালনভক্তরাও আজও তাই করছেন। করবেন।
তখন বলছিলাম যে-লালন ইসলামের এক বিশেষ ব্যাখ্যার বা মতবাদের অনুসারী ছিলেন ; তাঁর পূর্বপুরুষ; সেই মহাত্মা সুফিরা মুগল সম্রাটদের ভোগবাদের তীব্র বিরোধীতা করেছিল। ইতিহাস সাক্ষী: সেই শুদ্ধত্মাদের বন্য হাতির পায়ে নিচে পিষে পিষে মেরে ফেলা হয়েছিল!
মাঝে মাঝে এমন সময়ও আসে। যখন লালনকে লিখতে হয়-
এ দেশেতে এই সুখ হলো,
আবার কোথা যাই না জানি।
গানটা কবে লিখেছিলেন লালন?
কোন্ বিপর্যয়কর অবস্থায় লিখেছিলেন?
কেন তাঁর দেশত্যাগের ইচ্ছে হয়েছিল?
কারা তাঁকে মানসিক যন্ত্রনা দিয়েছিল?
এই প্রশ্নগুলোর উত্তর আজ আমাদের জানা।
২| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬
জেমসবন্ড বলেছেন: একটা মানুষের ধ্যান-ধারণা ভাল হইলে, বা মানুষটা গুণী হইলে তার মূর্তি বানাতে হবে , এটা কোন যুক্তি হইল ?
যারা মুর্তি ভাঙ্গতে গেছে তারা মুর্তিটাই ভাঙ্গতে গেছে , লালনের দর্শনকে ধ্বংস করতে যায় নাই ।
যারা মুর্তি বানাইতে গেছে তারা কয় জনে লালনকে জানে ? তার কয়টা গান বলতে পারবে ? আর অর্থ বুঝা তো বহুত দুর .....
মুর্তি বানাইয়া বড়াই ফালাইলে সংষ্কৃতির র্চচ্চা হবে আর মানুষ না খাইয়া মরলে, ঘুষে সয়লাব হইয়া গেলে, ডিজুস চর্চ্চা হইলে কোন দোষ নাই ?
পেটে ভাত নাই সংষ্কৃতি ! তোহ ! পড়ালখার খবর নাই সংষ্কৃতি ! ফুহ !
যৌতুকের বিরুদ্ধে কথা নাই ! সংষ্কৃতি !
ভন্ডামীর সীমা থাকা উচিত ।
৩| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:২৬
বাংলার কথা বলেছেন: গাজায় টান দিলে তখন সবাই সুখ লাগে। মাথা ঠান্ডা হলে বুঝা যায় কি অবস্থা।
৪| ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪২
রাজর্ষী বলেছেন: আবার ভালো লাগলো
৫| ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:২৪
কানা বাবা বলেছেন:
এইখানে 'দেশ' বলতে বোধ হয় বিশেষ একটা জন্মকে বুঝানো হয়েছে... ভৌগোলিক অর্থে দেশ নয়... নৌকা যেমন এখানে নশ্বর মানবদেহের রূপক হিশেবে এসেছে...
এই জন্মে কৃত কর্মের ভিত্তিতেই নির্ধারিত হবে পরবর্তী জনমে আমার অবস্থান; সেই জন্মে কি এমন মহার্ঘ্য মানবজনম আবার পাবো; আবার পাবো সাধুসঙ্গ, নাকি কর্মদোষে ইতর জনম হবে আমার; পড়ে যাবো চুরাশির ফ্যারে?- গানের সেন্সটা সম্ভবত এরকম।
এই গানটার পরের লাইনগুলো খেয়াল করুন-
"আর কিরে এই পাপীর ভাগ্যে, দয়ালচাঁদের দয়া হবে..."
কিম্বা, "কার দোষ দিবো এ ভূবনে, হীন হয়েছি ভজনগুণে..."
দেশকে ভৌগোলিক অর্থে ধরলে এই লাইনগুলো খাপ খায় কি?
লালনের এরকম আরো গান আছে, যেমন ধরুন-
"আর কি হবে এমন জনম বসবো সাধুর মেলে..."
"কী বলে মন ভবে এলি, এসে এই মায়ার দেশে..."
"এমন মানবজনম কি আর হবে..."
সবখানেই পাবেন লালনের এই একই আকুতি... একই প্রশ্ন...
১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ৮:৪১
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ। নতুন এক উপলব্দিতে পৌঁছে দেবার জন্য।
৬| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:২৬
মহাজাগতিক বলেছেন: হ্যাঁ, লালনের এ গানে দেশ বলতে স্থান বোঝায় না। দেশ বলতে স্পস্ট কথায় 'মানবশরীর'কে বুঝিয়েছে। শরীর আর মনের যোগফলে যে মানবরূপ জগতস্থিত এই নশ্বর মানবঅস্তিত্বকেই 'দেশ' বলা হয়েছে।
তা 'জগতস্থিত এই নশ্বর মানবঅস্তিত্বকে' 'দেশ' হিসেবে উপস্থাপন শুধু লালনগানে নয় রবীন্দ্রনাথের গানে কবিতায়ও দারুণভাবে রয়েছে।
আমার প্রাণের মানুষ আছে প্রাণে ....
................
আজ ফিরে এসে নিজের 'দেশে' এই যে শুনি
শুনি তাহার বাণী আপন গানে ....
কবি ঈশ্বরের সূত্র খুঁজতে আকাশ-বাতাস-জল-স্থল-চরাচর মন্থন শেষে সন্তুষ্ট হতে না পেরে, কোথায়ও তার কাঙ্খিত ঈশ্বরের সাথে মিলতে না পেরে অবশেষে নিজের 'দেশে' অর্থা নিজের 'কায়া'র মধ্যেই ঈশ্বরকে খুজেঁ পেলেন।
খুবই আজিব লাগে যখন এসব ভাবি। রস যেন জীবনের ভান্ড ভরিয়ে উপচে পড়ে ........
চিন্তার সূত্র উস্কে দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
১৭ ই এপ্রিল, ২০১১ ভোর ৬:৫৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১১:৫০
টিপু বলেছেন: এ দেশেতে এই সুখ হলো,
আবার কোথা যাই না জানি।
ভাঙ্গা এক নৌকা পেলাম
সেচতে জনম গেল পানি।