![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
সুফীবাদের মানে যাই হোক না কেন-এর মূলে রয়েছে প্রেম। যে কারণে তুরস্কের মহান সুফীসাধক মাওলানা জালালউদ্দীন রুমী বলেছেন-"When I come to Love, I am ashamed of all that I have ever said about Love."
সুফী শব্দের অর্থ ধার্মিক। (দ্র. কাজী রফিকুল হক সম্পাদিত "বাংলা ভাষায় আরবী র্ফাসী তুর্কী হিন্দী উর্দু শব্দের অভিধান।" বাংলা একাডেমী।) সুফী শব্দের অন্য অর্থ-ধ্যান-রসিক বা মরমী সাধক। তবে সুফী শব্দটির আরও মানে করা যায়। যেমন এর এক মূলগত অর্থ হল “সুফ”। সুফ আরবী শব্দ; এর মানে উল। আদি মুসলিমরা সাদাসিধে উলের পোষাক পরতেন।
কিংবা আরবী শব্দ সাফা বা শুদ্ধতা থেকেও সুফী শব্দটার উদ্ভব হতে পারে। সব মিলিয়ে বলা যায়-সেই সুফি- যে শুদ্ধতার ওপর উলের পোষাক পরে! এই কথায় কিছু রহস্যময়তা থেকে গেল; যা অস্বাভাবিক বলে মনে হয় না। সুফীবাদ ব্যাপারটাই মিসটিক।
তবে সুফী শব্দটা আরও একটা ব্যাখ্যা সম্ভব। ইসলামের নবীর সময়কালে একদল সাদাসিদে মুসলিম মদীনায় নবীর মসজিদের বারান্দায় থেকে নামাজ পড়ত। কোরানের সদ্য অবতীর্ণ আয়াত মুখস্ত করত। এদের বলা হত, "আসহাব আস সুফা।" মানে বারান্দার লোক। এই সুফা শব্দটি থেকেও সুফী শব্দটির উদ্ভব হতে পারে।
তবে, দশম শতকের পারশিক ঐতিহাসিক আবু রাইহান আল বিরুনীর মতে গ্রিক শব্দ সোফিয়া থেকেই সুফী শব্দটা এসেছে।
২
সুফীবাদের উত্থান সপ্তম শতকে হলেও নবম শতক থেকেই মুসলিম বিশ্বে এর মহাজাগরণ লক্ষ করা যায়। নবম শতক থেকেই সুফিরা বলতে থাকে যে আল্লাকে পাওয়ার রহস্যময় উপায় তাদের জানা। আর, আল্লার জ্ঞান অর্জন সম্ভব। এ জন্য প্রাথমিকভাবে সাতটি শর্ত অনিবার্য। যেমন, অনুতাপ, সংযম, পরিত্যাগ, দারিদ্র, ধৈর্য ও আল্লার ইচ্ছার কাছে সমর্পন। এরপর আল্লার ইচ্ছায় হৃদয়ে এক উচ্চতর চেতনা অনুভূত হতে পারে। এভাবে জ্ঞাত ও জ্ঞাতা অভিন্ন হয়ে যেতে থাকে। যা ভাষায় প্রকাশ সম্ভব নয়। সে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ অনুচিত। কেননা,সে অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ পবিত্রতার লঙ্ঘন।
যা হোক। মুসলিম বিশ্বে সুফীসাধকদের প্রভাব হু হু করে বাড়ছিল। অনেক বিশিষ্ট সুফীই নিজস্ব ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়ে প্রতিষ্ঠা করছিলেন মরমী সম্প্রদায়; আর এভাবে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন ইসলামের মূলস্রোত থেকে। তাতে ইসলামী বিশ্বের মূল ভিতটি হয়ে যাচ্ছিল শিথিল।
তা ছাড়া সেই সময় ইসলামী দর্শনের ওপর গ্রিক দর্শনের প্রভাব পড়েছিল । বিশেষ করে, গ্রিক দার্শনিক আরিসটোটোলের। একাদশ শতকের বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ইমাম গাজ্জালী গ্রিক দর্শনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন। তিনি গ্রিক দর্শনের ধ্বংস কামনা করে লিখলেন "তাহাফাতুল ফালাসিফা।" (দর্শনের ধ্বংস)
সুফীবাদের ক্ষেত্রে ইমাম গাজ্জালী বিশিষ্ট সূফীদের আল্লাতত্ত্ব সংক্রান্ত দাবিদাওয়া অস্বীকার করেন নি; তবে বললেন, সুফীসাধকদের মূল ইসলামী সমাজের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে হবে। বিচ্ছিন্ন হওয়া চলবে না। বিচ্ছিন্নতা মানে দূর্বলতা।
তাঁর মতবাদ ইসলামী বিশ্বে সাদরে গৃহিত হয়েছিল।
তারপর সুফিবাদ আর ইসলামী বিশ্বে বিচ্ছিন্ন হয়ে রইল না। তবে সমগ্র ইসলামী বিশ্বজুড়ে শত শত পৃথক ও স্বতন্ত্র্য সুফীমঠ (খানকাহ্) প্রতিষ্ঠা হওয়ায় সূফীসাধকের মরমী অভিজ্ঞতার শত শত ব্যাখ্যা ও পদ্ধতিতে জনগন বিভ্রান্ত হল।
ত্রয়োদশ শতকের তুরস্কের প্রখ্যাত সূফী সাধক মাওলানা রুমি সুফী সাধানায়
নাচ-এর গুরুত্ব দিলেন। বললেন, Whosoever knoweth the power of the dance, dwelleth in God.তাঁর অনুসারীরা নেচে নেচে সাধনা করে বলে তাদের বলা হল ঘূর্নায়মান দরবেশ (দরবেশ তুর্কি শব্দ মানে ভিক্ষুক); রুমীর অনুসারীরা মৌলভী (তুর্কি শব্দ) নামেও পরিচিত। তুরস্কের কোনিয়ায় রুমীর মাজার।
তাছাড়া, ভ্রাম্যমান সুফিই ফকির নামে পরিচিত হল। বিশেষ করে ভারতীয় উপমহাদেশে। আমরা সেসব সম্বন্ধে কমবেশি জানি।
৩
সুফীবাদ সম্বন্ধে একটি বিশেষ সুফী সম্প্রদায়ের ব্যাখ্যাবিশ্লেষন-
The definition of the Sufi
The sufi is one who is a lover of Truth, who by means of love and devotion moves towards the Truth, towards the perfection which all are truly seeking. As necessitated by love's jealousy, the sufi is taken away from all except the Truth.
The substance and meaning of Sufism
The substance of Sufism is the Truth and the meaning of Sufism is the selfless experiencing and actualization of the Truth.
The practice of Sufism
The practice of Sufism is the intention to go towards the Truth, by means of love and devotion. This is called the tariqat, the spiritual path or way towards God.
তথ্যসূত্র:
http://www.nimatullahi.org/sufism
http://www.allaboutreligion.org/sufism.htm
Sufism
২| ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৭
মেঘবালক অর্ভনীড় বলেছেন: হায়রে প্রেম
৩| ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:৫৩
নাজিম উদদীন বলেছেন: প্রেম দিয়েই স্রষ্টাকে জানতে হবে, জ্ঞান দিয়ে বুঝা সম্ভব নয়।
বাঙালী বাউল (বায়ু+ উল) এটা কি সেই একই উল না অন্য কিছু?
যাই হোক আমার মনে হয় আমরা বাঙালীরা এতবেশী আধ্যাত্মিক, এমনকি বাঙালী নাস্তিকরাও অনেক ধার্মিক (লিটারেলী)।
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:০৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনি লিখেছেন, প্রেম দিয়েই স্রষ্টাকে জানতে হবে, জ্ঞান দিয়ে বুঝা সম্ভব নয়।
একমত।
আপনি লিখেছেন, বাঙালী বাউল (বায়ু+ উল) এটা কি সেই একই উল না অন্য কিছু?
ভাবতে হবে।
আপনি লিখেছেন, যাই হোক আমার মনে হয় আমরা বাঙালীরা এতবেশী আধ্যাত্মিক, এমনকি বাঙালী নাস্তিকরাও অনেক ধার্মিক (লিটারেলী)।
একমত।
এবং ধন্যবাদ।
৪| ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১:২৬
রাঙা মীয়া বলেছেন: হুমম,জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে বিষয়টির ইতিহাস তুলে ধরার জন্য। ড্রাগস এর ইতিহাস জানতে চাই। ভালো থাকুন।
৫| ০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:১৯
ভুডুল বলেছেন: +
৬| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১১
শয়তান বলেছেন: দেরিতে পড়লাম । সুফীজম নিয়া এর পরেও কি পর্ব আছে ??
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:১৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমার তো মনে হয়-সুফীবাদ নিয়ে আমার আরও লেখা উচিত।
৭| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৩০
শয়তান বলেছেন: লিখেন ভাই । অপেক্ষায় রইলাম তাহলে
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১০:৫৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠিক আছে।
৮| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:২৭
অন্যরকম বলেছেন: হুমম.... সুফিবাদ অনেক বেশী রহস্যময়। বরঞ্চ ইসলামী আলেমদের মাঝে এতবেশী রহস্যময়তা নেই!
২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ১১:৩৮
ইমন জুবায়ের বলেছেন: শরিয়তে কী রহস্য থাকবে! রহস্য তো অন্যত্র ...
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৭
সততার আলো বলেছেন: সফল ইসলাম চর্চা সম্ভব শুধুমাত্র কোরআন ও হাদীসের সরাসরি জ্ঞানের সফল বাস্তবায়নের মাধ্যমে।