![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]
লি বাই। (৭০১-৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ) তাঙ যুগের চিনের তাওবাদী কবি। চিনের বাইরে ইনিই সবচে বেশি পরিচিত। স্বয়ং এজরা পাউন্ড লি বাই-এর কবিতা অনুবাদ করেছেন। তুমুল বাউন্ডুলে ছিলেন লি বাই আর মদ খেতেন খুব। তাঁর কবিতায় মদের বর্ননায় ভরপুর। জ্যোস্নায় একা একা মদ পান কবিতায় লিখেছেন-
ফুলের বাগানে মদের পাত্র
পান করার বন্ধুরা নেই।
কাজেই উজ্জ্বল চাঁদের পানেই পাত্র তুলছি
এবং আমার ছায়ার প্রতি-এভাবে তিনজন হল
কিন্তু চাঁদ তো আর মদ খাবে না
আমার ছায়াও তো আমার গোড়ালির কাছে লেপ্টে আছে
যদিও হে চাঁদ, হে ছায়া -তোমাদের এই সঙ্গ
বসন্ত শেষে ভালো লাগছে আমার
আমি গান গাইলে চাঁদ ওঠে শিউরে
আমি নেচে উঠলে আমার ছায়াও নাচে
এ ভাবে কত মজা হয়
তার পর ঘুমিয়ে পড়ি
মাঝে মাঝেই এমন শূন্যযাত্রা ভাগ করে নেওয়া যায়
ধবল নক্ষত্রের নদীতে আবার দেখা হবে।
কবি সম্পদশালী ছিলেন-সারা জীবনই ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন। একবার হল কী-নৌকায় করে কবি ইয়াংসি নদীতে যাচ্ছিলেন। তখন রাত, চাঁদ উঠেছে, কবি মদ খাচ্ছিলেন। নদীতে চাঁদের প্রতিবিম্ব। কবি চাঁদটা ধরার জন্য নদীতে ঝাঁপ দিলেন। সময়টা ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ ...
চিনের সিচুয়ান প্রদেশে কেটেছে কবির ছেলেবেলা ।
সিচুয়ান প্রদেশের পাহাড় ও প্রকৃতি
দিনভর মাতলামি
বিশাল স্বপ্ন বাদে বাঁচাই মুশকিল
কাজকর্ম করে নিজেকে শাস্তি দিয়ে কী লাভ!
কাজেই এই দিনভর মাতলামি।
দরজার কাছে মুখ থুবড়ে পড়েছি, বাইরে কী হচ্ছে জানি না
জেগে উঠে বাগানের দিকে তাকালাম
ফুলের মাঝে পাখি গাইছে
ভাবছি-এখন কী ঋতু!
আমার মনে হল যে সে বলছে: “পাখিরা গান গায় বসন্তের বাতাসে।”
বিষাদ বোধ করি, দীর্ঘশ্বাস ফেলি
না! পানপাত্রে মদ ভরে নিই
গান গাই, থাকি চাঁদের অপেক্ষায়
গান শেষ হলে আমি সব ভুলে যাব।
সেকালের চিনা পানপাত্র
পাহাড়ে জিজ্ঞাসা
তুমি জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন আমি পাহাড়ে থাকি
উত্তর না দিয়ে আমি হেসেছিলাম। আমার হৃদয় শান্ত।
ফুলের পাঁপড়ি জলে ভেসে যায়, ফিরে আসে না।
দূরে রয়েছে স্বর্গ আর মত্ত্য
নিচে ভিড়ের নগর।
লি বাই
গান
পুরো জঙ্গলটাই ধূসর
কুয়াশায় মোড়ানো।
ঠান্ডা পাহাড় বিষাদের রং
ফিকে লালচে।
লম্বা বাড়িতে গোধূলি এসেছে
দোতলায় অসুখী কেউ
সাদা রঙের ধাপের ওপর দাঁড়িয়ে।
একজন নারী সময় কাটাচ্ছে, করার কিছুই নেই
পাখিরা ফিরে যাচ্ছে নিড়ে
আমি কোন্ পথে সেখানে যেতে পারি?
আমি কেবলি দেখি দূর দূর দূর ...
ইয়াংসি নদী। মনে থাকার কথা-একবার হল কী-নৌকায় করে কবি ইয়াংসি নদীতে যাচ্ছিলেন। তখন রাত, চাঁদ উঠেছে, কবি মদ খাচ্ছিলেন। নদীতে চাঁদের প্রতিবিম্ব। কবি ধরার জন্য ঝাঁপ দিলেন। সময়টা ৭৬২ খ্রিষ্টাব্দ ...
সাধুর বাজনা
এই সাধুর আছে সবুজ রেশমি তারের বাজনা
ওমেই পাহাড়েরর পশ্চিমে
আর তার বাজনায়
উপত্যকার অজস্র গাছেরা গেয়ে ওঠে।
প্রবাহিত জল আমার ভ্রমনশীল হৃদয়কে স্বচ্ছ করে।
শীতার্ত ঘন্টার মতো শব্দেরা ধ্বনিত হয়
সবুজ গোধুলিতে ঢেকে যাচ্ছে পাহাড়
বসন্তের কালো মেঘ ধেয়ে আসছে দ্রুত ।
কবির আচ্ছন্নতা বর্তমানকালের শিল্পীর তুলিতে ...
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:২৬
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ, আমারই করা। Willis Barnstone এবং Tony Barnstone সম্পাদিত Literatures of Asia, Africa, and Latin America. (From Antiquity to the Present) বইয়ে প্রচুর কবিতা রয়েছে।
২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৩১
সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
"জ্যোস্নায় একা একা মদ পান"--এটা অপূর্ব লিখেছেন।
ধবল নক্ষত্রের নদীতে আবার দেখা হবে। পড়ে মনে হচ্ছে মৌলিক কিছু
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:৩৫
ইমন জুবায়ের বলেছেন: লি বাই ভীষনই হট -চিনে ও পশ্চিমে
http://en.wikipedia.org/wiki/Li_Bai
কবির আরও কবিতার জন্য-
http://www.blackcatpoems.com/b/li_bai.html
আপনি কিছু অনুবাদ করতে পারেন কিন্তু
৩| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২০
কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন:
আপনার সব পোস্টই প্রিয়তে নিতে মন চায়, জায়গা কুলোবে না।
থাক আপনার কাছেই ইচ্ছে হলেই........
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:১৯
ইমন জুবায়ের বলেছেন: হৃদয়, কত টেরাবাইট যেন?
৪| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২০
সাদা কাগজ বলেছেন: +++++++++++++++++++++++++++
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২০
ইমন জুবায়ের বলেছেন: সাদা কাগজ, সাদা কাগজ
এত প্লাস রাখব কোথায়?
৫| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:২৭
পারভেজ বলেছেন: কবির মূল লেখাগুলি কোথায় পাওয়া যাবে? (চাইনিজ ভাষায়)
নব বর্ষের শুভেচ্ছা।
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২২
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমিতো ইংরেজি পেয়েছি।
http://www.blackcatpoems.com/b/li_bai.html
চাইনিজ?
ঠিক বলতে পারছি না।
আপনাকেও নববর্ষের শুভেচ্ছা।
৬| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৯:৫৭
সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: কবি সম্পদশালী ছিলেন-সারা জীবনই ঘুরে ঘুরে বেড়িয়েছেন।
এখানে আমার একটা কথা আছে... একবার বেড়াতে গিয়েছিলাম দক্ষিণেশ্বর ... খুব সুন্দর জায়গা... যা দেখছি তাতেই মুগ্ধ হচ্ছি (এ ক্ষমতা আমার প্রবল)... সবচেয়ে মুগ্ধ হলাম শ্রী রামকৃষ্ণের বাসগৃহ দেখে... গঙ্গার দিকে মুখ করা বাসগৃহ দেখে আমার মনে হয়েছিল তাঁর জায়গায় আমি যদি ঐ জায়গায় থাকতাম তাহলে নির্ঘাত শ্রী প্রসূনকৃষ্ণ হয়ে যেতাম.... এমন সাধনা করতাম মা কালীর সাধ্যি কি আমাকে অবহেলা করে!!!!
আমার মনে হয় পারিপার্শিকতা আমাদের মনের সৃষ্টিশীলতাকে ব্যাপক প্রভাবিত করে.... এটা আরও পরিষ্কার হয়ে উঠছে আপনার ধারাবাহিক কবি বন্দনা থেকে... যেমন চিলির সেই কবিটা হয়ে উঠেছিল বিদ্রোহী আর প্রাচুর্যের মধ্যে থাকা এই তাওবাদি কবির কবিতায় প্রেমের ফল্গুধারা.... অদ্ভুত...
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:২৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আমার মনে হয় পারিপার্শিকতা আমাদের মনের সৃষ্টিশীলতাকে ব্যাপক প্রভাবিত করে....
খুবই সত্যি কথা।
৭| ১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১০:৪১
রশীদ বলেছেন:
কবিতাগুলো খুবই ভালো লাগলো।
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ১১:০৩
ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলে লি বাই একজন অসাধারন কবি।
ধন্যবাদ।
©somewhere in net ltd.
১|
১৫ ই এপ্রিল, ২০০৯ সকাল ৮:২২
সুদীপ চৌধুরী বলেছেন:
আপনি তো দেখছি ছোটখাট একটা উইকিপিডিয়া। অনুবাদগুলো কি আপনার করা?