নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

রামপ্রসাদ সেন: একজন প্রকৃত কবি ও সাধকের প্রতিচ্ছবি ...

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৪৬



রামপ্রসাদ সেন: বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ট ভক্তিগীতির রচয়িতা। অত্যন্ত উদাসী মানুষ ছিলেন। কলকাতায় এক জমিদারের কাচারিতে মহুরির কাজ করতেন ... কখন যে ঘোরে পড়ে জমিদারির হিসাবের খাতায় লিখে ফেলতেন গান ... যে গান এমন কী বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে মুগ্ধ করেছিল। একবার কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পথে নদীর পাড়ে রামপ্রাসাদের গান শুনে মুগ্ধ হন ... নবাব তারপর সাধক কবিকে নৌকায় আমন্ত্রণ জানিয়ে আরও গান শোনেন ... যে গানের পরতে পরতে বৈরাগ্যের প্রবল হাতছানি... অন্তরে প্রবল বৈরাগ্য নিয়ে সংসারে বেঁচে থেকে রামপ্রসাদ অবিশ্যি গৃহত্যাগ করেননি ... মায়ের উদ্দেশে লেখা একটি গানে বলেছেন: ‘আমি কি দুঃখেরে ডরাই।’ ...



রামপ্রসাদ সেন মূলত কবি। সব কবিই কি আর গান গাইতে পারেন। রামপ্রসাদ গানও গাইতে পারতেন। ছিলেন ধর্মনিষ্ট কালীসাধক, যে কারণে তাঁর সংগীত ও কাব্য প্রতিভা দেবী কালীর চরণে অর্পণ করেছিলেন। তবে তাঁর সব গানই যে কেবল দেবী কালীর চরণে সমর্পিত -তা কিন্তু নয়। কেননা, রামপ্রসাদের গানের বাণীতে রয়েছে মানবঅভিজ্ঞতাপ্রসূত চিরন্তন সত্যের প্রতি দিকনির্দেশ। রামপ্রসাদের সর্বপ্রেক্ষা নন্দিত গানটির প্রাথমিক চরণগুলি স্মরণ করি-



মন রে কৃষিকাজ জান না

এমন মানব জনম রইল পতিত

আবাদ করলে ফলত সোনা।



গানটি যেন বাঙালির কৃষিসমাজের প্রতিচ্ছবি । বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে কৃষিসমাজের সংযোগ নিবিড়। আজও আমরা বাঙালিরা বৈশাখের প্রথম দিবসে লাল রঙের মাটির বাসনে পান্তা ভাত খাই।

রামপ্রসাদের গান সেই বাঙালির কৃষিসমাজের নান্দনিক প্রতিনিধি ...

কিন্তু, রামপ্রসাদ সেন কোন্ সময়ের মানুষ? কবে বেঁচেছিলেন তিনি?

রামপ্রসাদ সেন এর সময়কাল ১৭২০ থেকে ১৭৮১ খ্রিষ্টাব্দ। অর্থাৎ, অষ্টাদশ শতক। যে শতকে বাংলার সমাজে একই সঙ্গে ভাঙন ও পরিবর্তনের সুর বাজছিল। নবাব সিরাজউদ্দেীলা (১৭৩৩-১৭৫৭) ক্রমশ আটকে যাচ্ছেন ইংরেজ বেনিয়া ও স্থানীয় রাজাকারদের ষড়যন্ত্রের জালে। নদীয়ায় রাজত্ব করছেন রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়। তাঁর শাসনকালেই বাংলায় ইংরেজ শাসন কায়েম হয় এবং মুসলিম রাজত্বের অবসান ঘটে।

এমন এক পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা জেলার কুমারহট্ট গ্রামে ১৭২০ সালে রামপ্রসাদ সেন জন্মগ্রহন করেন। পিতার নাম রামরাম সেন। তিনি ভেষজ ঔষুধের ব্যবসা করতেন। রামরাম সেন এর কিছু কাব্য প্রতিভা ছিল বলে জানা যায়। যা হোক। রামপ্রসাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিল না। ছেলেবেলায় অবশ্য পাঠশালায় পড়েছেন। এরপর পারিবারিক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। ব্যবসার প্রয়োজনে সংস্কৃত ভাষা শিখতে হয়েছিল। তবে ব্যবসার প্রতি আগ্রহ ছিল না, আগ্রহ ছিল সংগীত ও কবিতার প্রতি। পিতা তখন ফারসি ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করেন। ফারসি ভাষার জ্ঞান তার গানেও পড়েছিল। যেমন ‘মন রে কৃষিকাজ জান না’ গানটির একটি চরণ-



কালী নামে দেওরে বেড়া, ফসলে তছরুপ হবে না ।



‘তছরুপ’ শব্দটি লক্ষণীয়। রামপ্রসাদের আরও অনেক গানে ফারসি শব্দের আধিক্য লক্ষ করা যায়। উনিশ শতকের লালনের অনেক গানেও আমরা সেরকম আরবি-ফারসির মিশেল লক্ষ করি। নজরুল যে মনোরম লক্ষণটিকে অপ্রতিরোধ্য ভাবে বহাল রেখেছেন কুড়ি শতকের মধ্য ভাগ অবধি।

এ হল আবহমান বাংলার সাংস্কৃতিক ধারাবাহিকতার নজীর।

যা হোক। পিতার মৃত্যুর পর সংসারে আর্থিক অসচ্ছলতা ঘনিয়ে আসে। ১৮ বছরের কিশোরের কাজের সন্ধানে

পাড়ি জমাতে হয় কলকাতায় । আগেই একবার বলেছি- রামপ্রসাদ কলকাতায় জমিদারের কাচারিতের মুহুরির কাজ নেন। একদিন সেরেস্তায় দপ্তরের খাতায় জমিদার ‘আমায় দেও মা তহবিলদারী’ গানটি দেখতে পেলেন। এভাবে রামপ্রসাদের সংগীত প্রতিভার পরিচয় পেয়ে জমিদার মুগ্ধ হন এবং রামপ্রসাদকে মুহুরির কাজ থেকে অব্যাহতি দেন। শুধু তাই নয়, মাসিক ৩০ টাকা বৃত্তি মঞ্জুর করে রামপ্রসাদকে দেশে চলে যেতে বলেন। অস্টাদশ শতকের মাঝামাঝি মাসিক ৩০ টাকা কিন্তু কম টাকা নয়!

যা হোক। রামপ্রসাদ কুমারহট্ট গ্রামে ফিরে আসেন। এবং সংগীত রচনায় নিমগ্ন হন। গান নিজেই লিখতেন নিজেই সুর করতেন। যে গান ২০০/২৫০ বছর পরও বাঙালির হৃদয়ে অম্লান। আজও বাংলাদেশের সন্দীপনের কন্ঠে শোনা যায় ‘মন রে কৃষিকাজ জান না’ ...এপাড় বাংলা-ওপাড় বাংলার বাঙালি গানের অসাধারন মমার্থ বুঝে মাথা দোলায়। কে বলবে এ গান রচনার পর ২০০ বছরের অধিক কাল কেটে গেছে। রামপ্রসাদী সুরের এ গান যেন চিরন্তন। রামপ্রসাদের বলা হয় রামপ্রসাদী সুর। যে রামপ্রসাদী সুর পরবর্তীকালের বাঙালির সুরকারদের প্রভাবিত করেছিল। স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ রামপ্রসাদী সুরে কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান সৃষ্টি করেছেন।

আলোচনার এ পর্যায়ে রামপ্রসাদের একটি গান পাঠ করা যাক।



মায়ের এম্নি বিচার বটে।

যেজন দিবানিশি দুর্গা বলে, তার কপালে বিপদ ঘটে।।

হুজুরেতে আরজি দিয়ে মা, দাঁড়িয়ে আছি করপুটে।

কবে আদালতে শুনানি হবে মা, নিস্তার পাব এ সঙ্কটে।।

সওয়াল-জবাব করব কি মা, বুদ্ধি নাইকো আমার ঘটে।

ওমা ভরসা কেবল শিববাক্য ঐক্য বেদাগমে রটে।।

প্রসাদ বলে শমন ভয়ে মা, ইচ্ছে হয় পালাই ছুটে।

যেন অন্তিমকালে জয়দুর্গা ব’লে, প্রাণ ত্যজি জাহ্নবীর তটে।।



বাংলা গানের একটি মূলভাব এ গানে রয়েছে। পরবর্তীকালে লালন লিখেছেন-



অগতির না দিলে গতি

ঐ নামে রবে অখ্যাতি ...

নাম শুনেছি পতিতপাবন ...



রামপ্রসাদের গানে আমরা একজন মাকে পাই ।

কে তিনি?

করুণাময় গোস্বামী তাঁর ‘বাংলা গানের বিবর্তন’ বইতে লিখেছেন,‘ রামপ্রসাদ শ্যামাসংগীত রচনা করে নতুন ধারার সৃষ্টি করেন।’

শ্যামাসংগীত কি?

শ্যামাসংগীত হল দেবী কালী বা শ্যামা বা শক্তির উদ্দেশে রচিত এক ধরনের ভক্তিগীতি। এর অপর নাম শাক্তগীতি। রামপ্রসাদের গানে যে মায়ের কথা রয়েছে-তিনিই কালী বা শ্যামা বা শক্তি। খ্রিষ্টীয় দ্বাদশ-ত্রয়োদশ শতকে বাংলায় বৈষ্ণবধর্মের পাশাপাশি শাক্তধর্মের উদ্ভব ঘটে এবং একে ঘিরেই শাক্তগীতি চর্চার একটি ক্ষীণ ধারার প্রচলন ঘটে। রামপ্রসাদ শাক্তগীতি চর্চার ক্ষেত্রে প্রাণসঞ্চার করেন। শ্যামাসংগীত রচনা করে ভক্তিগীতির চর্চার ক্ষেত্রে নতুন ধারার সৃষ্টি করেন। রামপ্রসাদের চেষ্টা ছিল শক্তি সাধনাকে নীরস শাস্ত্রাচার ও তান্ত্রিকতা থেকে মুক্ত করে একটি সহজ আবেদন পূর্ণ সাংগীতিক অভিব্যক্তি দান করা। যেমন, মন রে কৃষিকাজ জান না গানের শেষ দুটি চরণ এরকম-



গুরু বপন করেছেন বীজ, ভক্তি করি তায় সেঁচ না ।

তবে একা যদি না পারিস মন, রামপ্রসাদ কে ডেকে নে না ।।



আগেই একবার বলেছি যে সে সময় নদীয়ার রাজা ছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র রায়। তিনি রামপ্রসাদের গান শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন। রাজসভায় রামপ্রসাদকে যোগ দিতে আহবান জানান। বিষয়বিমূখ রামপ্রসাদ প্রত্যাখান করেন। (কতকিছু যে শেখার আছে এই সাধক কবির কাছ থেকে! কৃষ্ণচন্দ্র রায়-এর প্রস্তাব প্রত্যাখান করা সহজ কথা!) এর পর কৃষ্ণচন্দ্র রায় কি করলেন? রামপ্রসাদকে বেঁধে আনতে লাঠিয়াল পাঠিয়ে দিলেন?

না।

রামপ্রসাদকে ‘কবিরঞ্জন’ উপাধিতে ভূষিত করেন। তাঁর ভরণ-পোষণের জন্য একশত বিঘা নিষ্কর জমি দান করলেন।

বাংলার ইতিহাস এমনই বিস্ময়কর।

তখন বলেছিলাম। একবার কলকাতা থেকে মুর্শিদাবাদ যাওয়ার পথে নবাব সিরাজউদ্দৌলা নদীর পাড়ে রামপ্রাসাদের গান শুনে মুগ্ধ হন। নৌকায় আমন্ত্রণ জানিয়ে আরও গান শোনেন।

সিরাজউদ্দৌলা কি বাংলা জানতেন?

জানি না। তবে নবাব গান বাংলাতেই শুনেছিলেন। তখন বলেছিলাম। ... তবে ব্যবসার প্রতি আগ্রহ ছিল না, আগ্রহ ছিল সংগীত ও কবিতার প্রতি। পিতা তখন ফারসি ভাষা শেখানোর ব্যবস্থা করেন। ধরে নিলাম নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও রামপ্রসাদ সেনের মধ্যে কথা হয়েছিল ফারসি ভাষায়। ... নবাব কিন্তু বাংলা গানই শুনে মুগ্ধ হয়েছিলেন।

বাংলার ইতিহাস এমনই বিস্ময়কর।

শ্রীচৈতন্যদেব (১৪৮৬-১৫৩৩) যে ভাববিপ্লব ঘটিয়েছিলেন-তাতে বাংলার সুলতান আলাউদ্দীন হোসেন শাহ সমর্থন জুগিয়েছিলেন। আবদুল মমিন চৌধুরী লিখেছেন, ‘ (আলাউদ্দীন হোসেন শাহ) শ্রীচৈতন্য এর প্রতি তিনি খুবই শ্রদ্ধাশীল ছিলেন এবং তাঁকে তিনি (শ্রীচৈতন্য) ঈশ্বরের অবতার বলে মনে করতেন। শ্রীচৈতন্যের ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে হোসেন শাহ সার্বিক সুবিধা প্রদান করেছেন। (বাংলাপিডিয়া)

বাংলার ইতিহাস এমনই বিস্ময়কর।

আসুন আমরা বাংলার ইতিহাস-এর প্রতি আরও মনোযোগী হই।

রামপ্রসাদের মৃত্যু সম্বন্ধে নানা কথা প্রচলিত রয়েছেন। একবার প্রতিমা বিসর্জনের সময় রামপ্রসাদ নদীর জলে

ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আসল ঘটনা আমরা অনুমান করতে পারি। বিরহ সইতে না পেরে শ্রীচৈতন্যদেব নীলাচলে জীবন বিসর্জন দিয়েছিলেন ...কিংবা মৃত্যু সম্বন্ধে কবিসুলভ কৌতূহল টেনে নিয়ে গেছে সলিল সমাধিতে ...



তথ্য উৎস:



১ করুণাময় গোস্বামী রচিত ‘বাংলা গানের বিবর্তন’।

২ খান মোঃ সাঈদ রচিত বাংলা পিডিয়ার একটি নিবন্ধ ।



উৎসর্গ: পরম সুহৃদ মেঘদূত।



রামপ্রসাদের গানের লিঙ্ক

মন্তব্য ৪৫ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৪৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১০:৫৯

রেজোওয়ানা বলেছেন: গত কাল মেঘদূতের পোষ্ট খানা পড়েই আন্দাজ করেছিলাম.........
যাথারীতি অনেক কিছু জানলাম নতুন করে।
রামপ্রাসাদী ভাল লাগে :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঐ সময়টা নিয়ে সামান্য পড়ালেখা করে এমন সব তথ্য বেড়িয়ে এল-কী বলব। সবচে বড় কথা রামপ্রসাদ খাঁটি সাধক ছিলেন, বেঁচে ছিলেন অসাধারন এক সময়ে।
আর রামপ্রসাদী সুরের কথা আর কী বলব ...

এমন মানব জনম রইল পতিত আবাদ করলে ফলত শোনা ...

এই "আবাদ' শব্দটা কীভাবে গাওয়া হয় খেয়াল করেন ...

২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০১

সব্যসাচী প্রসূন বলেছেন: অপূর্ব!!!!

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ প্রসূন। অনেক দিন পর।

৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৪

আগুন পাখি বলেছেন: কবি ও সাধক রামপ্রসাদ সম্বন্ধে অনেক কিছু জানলাম। ধন্যবাদ আপনাকে এই পোষ্টের জন্য।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:০৮

শিরীষ বলেছেন:
ইমন ভাই ধন্যবাদ। গতকালই বলেছিলেন লেখাটি দেবেন। একটু পরই নেটের বাইরে চলে যাচ্ছি। সময় করে জানাবো।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ঠিক আছে।

৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:২৪

হাজারি বলেছেন: দারুন
শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৩০

সোমহেপি বলেছেন: মেঘদূত পড়েছি,আপনাকেও পড়ব ।সোকেসে।সকালের নাস্তাটা করতে হবে

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সকালের নাস্তা ১১ টা ৩০ এ? আমি তো একটু পরে ভাত খাব। সকালের নাস্তা ৭টা সাড়ে ৭টার মধ্যে সারতে চেষ্টা করবেন। নইলে পরে পস্তাবেন। ;)

৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

প্রতীক্ষা বলেছেন: অনেক সুন্দর লিখছো!! গান শুনে দেখবো! :) :)

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: লেখাটা সুন্দর লাগল? তাই?

৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ১১:৫৯

তাশমিয়া বলেছেন: লেখার ভঙ্গিটা অনেক ভাল লাগল।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সত্যি?

৯| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:১৪

সাপ্নিক বলেছেন: যথারীতি আরো একটি সুন্দর পোস্ট।++

আপনার জ্ঞান, জানাশোনাকে শ্রদ্ধা এবং আন্তরিক ধন্যবাদ এগুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: প্রিয় সাপ্নিককে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।

১০| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৪

প্রতীক্ষা বলেছেন: ইশ!! তাই!
তাহলে পচা হইছে X(

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ১:০৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: X( X( X(

১১| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৩:৩১

জুবেরী বলেছেন:
বাংলার ইতিহাস এমনই বিস্ময়কর।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৪:৩৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হ্যাঁ।

১২| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:১০

কাকশালিখচড়াইগাঙচিল বলেছেন: কপিলমুনি'র গল্পে আমি এখনও আপনার ঘোর কাটিয়ে উঠতে পারিনি ।
আজকাল আমার ভীষনরকম একপ্রকার ব্যামো দেকাদিয়েছে, বোধকরি ব্যামোটি পূর্নরূপে বিকশিত হয়েছে।
রবীন্দ্রগান এবং গল্প-উপন্যাস অল্পবিস্তর, সাহিত্যরস সিঞ্চনে ভূমিকা নেয়নি, সেটা স্বীকার করা ছাড়া উপায় নেই। যদিও রবীন্দ্র কাব্য পাঠের পাশাপাশি, তার গল্প-উপন্যাস পাঠের আগে, মধুকবি,বঙ্কিম ও শরতবাবু আগে আমার কাছে এসেছেন।
রবীন্দ্রগানকে নিজের মত করে আমি তর্জমা করা শুরু করেছি অনেক আগে থেকেই। বস্তুত, সেটি ভাবের ঘরে চুরিও বটে।
তার ইশ্বরচিন্তাকে আমি মানুষের প্রেমের ভাষ্য হিসাবে তর্জমা করি।
এখনবোধ হয় সেটিও আর সম্ভব হবে না।
বাংলা সাহিত্যে তার মূল্য আছে এরকম চিন্তাও আর রসদ জোগায় না।
আর তার জন্য, বিদ্যাপতি, চন্ডীদাসের কৃষ্ণপ্রেম, সেখানে ইশ্বর বড়ই ক্ষীন, তার স্থান যথেষ্ঠ।

ধর্ম বা ইশ্বর এসে গেলেই আমার সমস্যা তৈরী হয়। কপিলমুনিতে সেটা নেই, সেটা ইতিহাস কিংবা ধর্ম বিদ্রোহও একপ্রকার। মানুষের আধিকারই অগ্রাধিকার পেয়েছে।

রামপ্রসাদেও একই কথা। ছোটথেকেই রামপ্রসাদি শুনেছি। বৈরাগ্যে আপত্তি নাই কিন্তু সেটা বাস্তবে শহর থেকে গ্রামে ২।৪ দিনের জন্য বেড়াতে যাবার রোমান্টিকতার সমতুল। গ্রামে সারাজীবন কাটানো যায় না,গ্রামের সব রকম সুবিধা তখন প্রয়োজন হয়ে পরে।

সংসার ত্যাগ , ব্যক্তিগত স্তরে বেশ ভাল। বোধকরি এইজন্য ৩০ বছর পর্যন্ত অবিবাহিত ছিলাম। কিন্তু সেটি আবার সৃস্টিবিরোধিতার সামিল যদি বৈরাগ্য সামাজিকভাবে হয়।

মন রে কৃষিকাজ জান না
এমন মানব জনম রইল পতিত
আবাদ করলে ফলত সোনা

এই কটি লাইন আমার ভীষন পরিচিত এবং সেটি আমি এমনিভেবে থাকি যে, এত প্রাচুর্য মানুষজীবনের। কাজে লাগছে না বা নস্ট করে দেয়া হচ্ছে ইচ্চাকৃত।

কালীসাধনায় কোনও ফল দেয় কী? ঐ মানবপ্রাচুর্যের মুল্যায়নে ?


এবং হিসেব করে দেখলাম, রামপ্রসাদ( তাকে ভিলেন বানাচ্ছি না ) তার শিল্পী স্বত্তাকে কালীকলে আশ্রয়করে গড়ে তোলেন এবং এখনও প্রাচীন হয়ে যান নি কিংবা কালীসাধনা প্রবলবেগে এখনও ধাবমান তাই আমরাও এইসব নিয়ে আলোচনা করি কিংবা যেদিন তাদের বিকল্প শক্তিশালী হবে, সেদিন হয়ত, সুন্দরীকমলার নাচ আরও মহোময় হয়ে উঠবে এবং হাসনরাজা দালাকোঠায় শূন্যের উপর থেকে দেখবেন, দেহের দেউরিতে বেড়াতে এসে, আমি এবং সে কেউ কাউকে ভোলেনি।


লালনের গান কী আর সেইরকম। খাচার ভিতর অচিন পাখি এবং মোনবেড়ি --- এই মারাত্বক বিষ বিবষ করার জন্যই।

লালনের জাত সেইখানে সবাইকে পরাজিত করে, পরাজয়ের গ্লানি সরিয়ে দিয়ে।

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কবির অসাধারন মূল্যায়ন অনেক দিন মনে থাকবে।

১৩| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:০৩

তাশমিয়া বলেছেন: মিথ্যা হবে কেন? :-/

১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:২৩

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :|

১৪| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৩৬

নাজিম উদদীন বলেছেন: এমন মানব জনম রইল পতিত
আবাদ করলে ফলত সোনা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলেই।

১৫| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৫

হারুন আল নাসিফ বলেছেন: অগতির না দিলে গতি
ও নামে রবে অখ্যাতি
(ফকির) লালন কয় অকূলের পতি
কে বলবে তোমায়।

সওয়াল-জবাব করব কি মা, বুদ্ধি নাইকো আমার ঘটে।
+++...

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: মায়ের এম্নি বিচার বটে।
যেজন দিবানিশি দুর্গা বলে, তার কপালে বিপদ ঘটে।।
হুজুরেতে আরজি দিয়ে মা, দাঁড়িয়ে আছি করপুটে।
কবে আদালতে শুনানি হবে মা, নিস্তার পাব এ সঙ্কটে।।

১৬| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:০৭

শিরীষ বলেছেন: অসাধারণ তথ্যযোগ। পড়াশুনো করে তবেই তৈরী। রামপ্রসাদী'র মূল আকর্ষণ হল ভাব উদ্দীপক সুর মাধুর্য। শুনলেই কেমন চোখ বন্ধ হয়ে আসে। অচিনপুরের ডাক শোনা যায়, একটা স্নিগ্ধ সুন্দর নির্ভারতার অনুভব মনটাকে আচ্ছন্ন করে তোলে। গানগুলোর কথাও তেমনি বিশ্লেষণাত্মক - গভীর অর্থময়।
আমি বৈরাগ্য বিরোধী। বর্তমান প্রেক্ষাপটে এ আদর্শ গ্রহণ তো অচিন্তনীয় বলা চলে। তারপরেও কিন্তু ছন্নছাড়ারা থাকে - আমাদের নাড়িয়ে দেয়, ভেতরটা নরোম করে তোলে। পৃথিবীমরুর ওয়েসিস হয়ে থেকে যায় কিছু কিছু সাধক। ধর্ম - অধর্মের বিতর্কে না গেলেও একটি কথা অন্তত ধর্ম সম্পর্কে বলা যা্‌য়, যা আমাকে নিশ্চিন্ত করে, এবং তা হচ্ছে surrender! আমরা প্রত্যেকেই দিনের শেষে, প্রতিনিয়ত জীবনযুদ্ধের সংঘাতের মাঝে অন্তরে কষ্টবোধ জমা করি। এই ভার যখন অসহনীয় হয়ে ওঠে আমরা তা বিভিন্ন উপায়ে রিলিজ করি - হালকা হই। নামাজ, পূজো, প্রেয়ার আমার কাছে আর কিছুই নয় - ঐ surrender । মানসিক ব্যাপ্তি যত বড়ই হোক না কেন, পরমাত্মার কাছে নিজেকে নির্ভার করে তোলার প্রক্রিয়াটি যথেষ্ট কার্যকর বলে মনে হয় আমার কাছে। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কিছু মিডিয়ার হেল্প প্রয়োজন। আর সেজন্যেই হয়ত শত শত বছর পরেও রামপ্রসাদী শুনলে দু'চোখ ভাসে!
আবারও ধন্যবাদ, ইমন ভাই।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:১৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ কবি।

১৭| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১০:৪৫

মে ঘ দূ ত বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ ইমনদা। মনে হচ্ছে সত্যিকার অর্থেই আজ আমার মেঘে মেঘে আনন্দের রঙধনু :)

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:২০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আসলে অনেক দিন ধরেই এই সাধককে নিয়ে লেখার ইচ্ছে ছিল। এতদিনে সে সুযোগ হল। অনেক ধন্যবাদ।

১৮| ১৯ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫৫

আসিফবিডি৫৯ বলেছেন:
রামপ্রসাদীর মধ্যে বৈরাগ্যের যে অর্ন্তনিহিত সুর আছে তার প্রবল উপস্থিতি পাওয়া যায় লালনের মাঝেও। এই ধারাবাহিকতা কিন্তু নজরুল পর্যন্তও ছিলো। রামপ্রসাদের এই কাহিনী পড়লে জানা যায় বাংলা গান কত সমৃদ্ধ আর ঋদ্ধ। দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজকের প্রজন্মের অনেকেই এই রামপ্রাসাদ কে তা জানে না। এটি সত্যি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য। আপনার লেখাটি অনেকেরই রামপ্রসাদ সম্পর্কে কিছু জানার তৃষ্ণা মেটাবে।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে তথ্যবহুল এমন একটি সুন্দর লেখা পোস্ট করার জন্য।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ সকাল ৭:২১

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনি লিখেছেন, দুঃখের বিষয় হচ্ছে আজকের প্রজন্মের অনেকেই এই রামপ্রাসাদ কে তা জানে না। এটি সত্যি আমাদের জন্য দুর্ভাগ্য।

একমত।

১৯| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৭

ভাঙ্গন বলেছেন: মন রে কৃষিকাজ জান না
এমন মানব জনম রইল পতিত
আবাদ করলে ফলত সোনা।
.........
অনেক তথ্যপূর্ণ লেখাটার জন্য ইমন ভাইকে শুভেচ্ছা।
এবং আপনি নিয়মিত তাই লিখে যান,শুভকামনা।

২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৯:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: শুভকামনা রইল ভাঙ্গন।

২০| ২০ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ১১:৫১

দীপান্বিতা বলেছেন: পাঠ্যে সামান্যই পড়েছিলাম...কত কম জানি! গানগুলোও শোনাই যায় না প্রায়! অনেক ধন্যবাদ....

২১ শে এপ্রিল, ২০১০ ভোর ৬:৪৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

২১| ২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:১৮

সালাহ্ উদ্দিন শুভ্র বলেছেন: +

২১ শে এপ্রিল, ২০১০ রাত ৮:২৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।

২২| ২২ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২২

অপু২৮৩৮ বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ। রামপ্রাসাদি শুনার লিঙ্ক দিননা কেঊ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:২৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ

২৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১০ বিকাল ৫:২১

অরুদ্ধ সকাল বলেছেন:

এই লোকটিকে আমি খুব পছন্দ করি কবি

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.