নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অন্ত্যজ বাঙালী, আতরাফ মুসলমান ...

বাংলার মাটি বাংলার জল, বাংলার বায়ু, বাংলার ফল, পুন্য হউক, পুন্য হউক, পুন্য হউক, হে ভগবান। বাংলার ঘর, বাংলার হাট, বাংলার বন, বাংলার মাঠ, পুর্ন হউক, পূর্ন হউক, পূর্ন হ্‌উক, হে ভগবান।রবীন্দ্রনাথ

ইমন জুবায়ের

জীবন মানে শুধুই যদি প্রাণ রসায়ন/ জোছনা রাতে মুগ্ধ কেন আমার নয়ন। [email protected]

ইমন জুবায়ের › বিস্তারিত পোস্টঃ

একদিন, কবি আবদুল হাকিম ...

২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৩

কবি আবদুল হাকিম লিখছিলেন : যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী / সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি ... ১৬৮০ খ্রিস্টাব্দ। বর্ষাকাল। সন্দীপের আকাশে কালো মেঘ জমে আছে । ঝোড়ে বাতাসে দক্ষিণে বঙ্গপোসাগরের ঢেউ উত্তাল হয়ে উঠেছে। ঝিরঝির বৃষ্টি ঝরছে। বাংলার বর্ষা তার বিখ্যাত জলময় মেঘলা রূপে আত্মপ্রকাশ করেছে। এমনই এক মেঘলা দিনে কবি আবদুল হাকিম কবিতা লিখছেন। কবি আরবি, ফারসি এবং সংস্কৃতি ভাষায় সুপন্ডিত হলেও মাতৃভাষায় বাংলায় লিখতে ভালোবাসেন কবি । কবির মাতৃভাষা বাংলা । বাংলাই কবির অস্তিত্বের ভিত্তিমূল রচনা করেছেন। ... কবি সদ্য লেখা কবিতার নাম দিয়েছেন: ‘বঙ্গবাণী’। লিখেছেন: মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি / দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি ... এদেশের এক শ্রেণির লোক বাংলা ভাষাকে হেয় করে অবজ্ঞার চোখে দেখে। মাতৃভাষাকে সম্মান করতে জানে না। এসব দেখেশুনে কবির প্রবল মানসিক যন্ত্রনা হয়। কবি দীর্ঘশ্বাস ফেলে জানালার দিকে তাকালেন। জানালার ওপাশে একটি মেঘলা বিষন্ন আকাশ। সে দিকে তাকিয়ে কবির মুখে উদ্বেগের ছাপ পড়ল। কাল ভোরে ঢাকা শহরের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা। আবহাওয়া বিরূপ হলে যাত্রা কি ভাবে সম্ভব? অনেক বছর ঢাকা যাওয়া হয় না। কবির মন একবার ঢাকা শহরে যাওয়ার জন্য চঞ্চল হয়ে উঠেছে ।

কুড়ি বছর আগে শেষবার ঢাকা শহরে গিয়েছিলেন কবি ...



... কবির সঙ্গে ছিল কবির স্নেহধন্য শিষ্য সেরাজুল আলম । তরুণ সেরাজুল আলমও কবি । বাংলা ভাষার উপর গভীর ভক্তিশ্রদ্ধা আছে তার । সন্দীপেই বাড়ি সেরাজুল আলম-এর ।

সেরাজুল আলম কে নিয়ে ঢাকায় খান মোহাম্মদ ওয়াহাব- এর চূড়িহাট্টার শিশমহলে উঠেছিলেন কবি । খান মোহাম্মদ ওয়াহাব সন্দীপের তালেবর ব্যক্তি; অঢেল সম্পদের মালিক । ঢাকা শহরে বাদশাবাজারে (পরবর্তীকালে চক বাজার) মোকাম আছে। আবদুল হাকিম আরবি ফারসি এবং সংস্কৃতি ভাষায় সুপন্ডিত এবং প্রজ্ঞাবান । সন্দীপের উজ্জ্বল নক্ষত্র। খান সাহেব কবিকে বিশেষ সম্মান করেন।

খান মোহাম্মদ ওয়াহাব ইরানি বংশোদ্ভূত বলে দাবি করেন । এই দাবির সত্যাসত্য যাই হোক না কে- মুগল সুবাহদার শায়েস্তা খান-এর সঙ্গে খান মোহাম্মদ ওয়াহাব-এর যে আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল তার নিদর্শন কবি আবদুল হাকিম ঢাকা থাকাকালীন স্বচক্ষে দেখেছেন।

তা ঢাকা শহরের এখানে-ওখানে ঘুরে গভীর আমোদ উপভোগ করেছিলেন কবি।

মুগল প্রশাসন ঢাকার নাম বদলে মুগল বাদশা জাহাঙ্গীরের নামে ‘জাহাঙ্গীরনগর’ রাখলেও ঢাকার অধিবাসী তাদের প্রিয় শহরকে কখনও ওই নামে ডাকেনি।

অদ্ভূত এক রহস্য ঘিরে থাকে মুগল শহরজুড়ে ...

ছোট শহরটি বুড়িগঙ্গা নদীর পাড়েই সীমাবদ্ধ ছিল। শহরের উত্তরে গভীর বন। দিনেদুপুরে ঘোর অন্ধকার হয়ে থাকে। পিলখানায় দিনেদুপুরে শেয়াল ডাকত। বুড়িগঙ্গার টলটলে পানি, দু’পাড়ের মনোরম দৃশ্য, চাদনি ঘাট, সরু রাস্তাঘাট, ঘোড়াগাড়ি, আন্তরিক এবং রসিক মানুষজন, মুগলাই খানা (বিশেষ করে শামীকাবাব আর লস্সী ) ...সূক্ষ্ম রূপার তবক মোড়ানো পান এবং ইসলামপুরে সান্ধ্যকালীন মুজরার আসরে ওস্তাদী ধ্রুপদ-সংগীত অপরিমেয় তৃপ্তি দিয়েছিল কবিকে।

মুহাম্মাদ বেগ নামে একজন মুগল কর্মকর্তা চূড়িহাট্টায় একটি মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন।

সে সদ্য নির্মিত মসজিদে খান মোহাম্মদ ওয়াহাব এবং সেরাজুল আলম-এর সঙ্গে জুম্মার নামাজ আদায় করে গভীর শান্তি পেয়েছিলেন কবি।

ঢাকায় থাকাকালীন এক ন¤্র আলোর ভোরে চূড়িহাট্টায় শিশমহলে রঙিলা চিকের আড়ালে খান মোহাম্মদ ওয়াহাব-এর কনিষ্ঠা কন্যা শিরিনবানুকে দেখতে পায় সেরাজুল আলম ... এবং তরুণ কবিটি কেঁপে উঠেছিল ।

হৃদয়বান কবির মধ্যস্থতায় কনিষ্ঠা কন্যাটিকে সেরাজুল আলম-এর হাতে সঁপে দিতে রাজি হন খান মোহাম্মদ ওয়াহাব ।

বিয়ে অবশ্য সন্দীপেই হয়েছিল ...



কবি শুনেছেন গত কুড়ি বছরে মুগল সুবাহদার শায়েস্তা খান ঢাকা শহরের হাল নাকি অনেকখানিই বদলে দিয়েছেন। ওই মুগল সুবাহদারটি ইরানি বংশোদ্ভূত হলে কি হবে- ঢাকা শহরের উন্নতির জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। বর্তমানে (১৬৮০ খ্রিস্টাব্দ ) ১২ ক্রোশ দীর্ঘ এবং ৮ ক্রোশ প্রশস্ত ঢাকা শহরে দশ লক্ষ মানুষের বাস । কবির এখন ষাট বছর বয়েস। আল্লাহ কত দিন আয়ূ রেখেছেন কে জানে । জীবনে শেষবার সুবা বাংলার রাজধানীতে আল্লাহ কি আমাকে নেবেন না? একবার ঢাকা শহরে যাওয়ার জন্য কবির মন উচাটন হয়ে আছে।

কবি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

দরজার ওপাশে কে যেন খুক খুক করে কাশল।

আবদুল হাকিম বাড়ি আছ নাকি?

দরজার বাইরে থেকে দরাজ কন্ঠস্বর ভেসে এল।

কবি মুখ তুলে চাইলেন।

খান মোহাম্মদ ওয়াহাব ঢুকলেন। বৃদ্ধ এখন সন্দীপেই থাকেন। ঢাকার চূড়িহাট্টায় শিশমহলটি বছর দশেক আগে বেচে দিয়েছেন। খান মোহাম্মদ ওয়াহাব সন্দীপে খান সাহেব বলেই পরিচিত। লম্বা । ফরসা। বলিষ্ট গড়ন। মাথায় লাল রঙের তুর্কি টুপি। দরবেশদের মতো দীর্ঘ সফেদ দাড়ি। বৃষ্টিবাদলের দিনেও চোস্ত পায়জামার আর খয়েরি রঙের শেরওয়ানি পরেছেন। সত্তরের মতো বয়স বৃদ্ধর । হাতে একখানি ছড়ি। ছড়ির বাঁটটি হাতির দাঁতে বাঁধানো।

ঘরে ঢুকে ছাতা গুটিয়ে রাখলেন খান সাহেব। বাইরে এখনও ঝিরঝির করে বৃষ্টি পড়ে যাচ্ছে।

কবি সালাম দিয়ে বললেন, বসুন, ভাইসাহেব।

সালামের উত্তর দিয়ে খান সাহেব চেয়ারে বসলেন। বললেন, তা তুমি আছ কেমন আবদুল হাকিম?

কবি বললেন, আল্লাহ যেমন রেখেছেন। আপনার শরীরের গতিক কেমন ভাইসাহেব?

এই বয়েসেও হাঁটতে চলতে পারছি, এই তো অনেক। বলে খান সাহেব মাথা নাড়লেন। তারপর বললেন, সেরাজুল আলমের বাড়ি গিয়েছিলাম। ফেরার পথে ভাবলাম তোমার সঙ্গে একবার দেখা করে যাই। অনেক দিন দেখা হয় না।

খান মোহাম্মদ ওয়াহাব -এর ছোট কন্যা শিরিনবানু বছর দশেক হল ইন্তেকাল করেছে। সেরাজুল আলম এক কন্যাকে নিয়ে একাই থাকে । দেখতে দেখতে আক্তারীর বিবাহের বয়স হল। কবি জিজ্ঞেস করলেন, তা কেমন আছে সেরাজুল আলম? আক্তারীর জ্বর হয়েছিল শুনেছি।

আক্তারী আছে ভালোই। জ্বর সেরে গেছে। তবে-

তবে?

তবে আর কি, আমার জামাইয়ের ভীমরতি ধরেছে।

কেন? সেরাজুল আলম আবার কি করল?

খান সাহেব মুখ কালো করে বললেন, সেরাজুল আলম তফছিরসহ ‘তোতা কাহিনী’ বঙ্গভাষায় অনুবাদ করছে।

কবি খুশি হয়ে বললেন, সে তো খুব ভালো কথা। অনুবাদে একটি ভাষা সমৃদ্ধ হয়। আমিও সংস্কৃত রামায়ন ও মহাভারত পারসি ভাষায় অনুবাদের কথা ভাবছি।

খান সাহেব একটি রূপার ডিব্বা থেকে একটি তবক মোড়ানো পান তুলে মুখে ফেললেন। খানিক ক্ষণ চিবিয়ে গম্ভীর মুখে বললেন, আরবি-ফারসি হল ধর্মের ভাষা, বেহেস্তের ভাষা। আরবি-ফারসি নিয়ে যত মশগুল থাকা যায় ততই ভালো আবদুল হাকিম।

কথাটা হুমকির মতো শোনালেও আবদুল হাকিম তা মানতে পারলেন না। তাঁর কাছে মাতৃভাষার স্থান সবার আগে । তিনি তো ধর্মকে অবহেলা করেন না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। বছর খানেক ধরে তাহাজ্জুদএর নামাজ পড়ছেন। সুবে সাদিকের সময় ওয়াজিফা করেন। তাহলে?

খান সাহেব গজ গজ করতে করতে বললেন, বঙ্গভাষা হল হিন্দুস্থানের আঞ্চলিক ভাষা। এই ভাষাকে এত আমলে নেওয়ার কি মানে?

কবি সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করে উঠে বললেন, বঙ্গভাষা হল বাঙালির মাতৃভাষা। বঙ্গভাষা আমলে নেওয়ার এটাই একমাত্র কারণ। আর কোনও কারণ বোধকরি প্রয়োজন হয় না।

খান সাহেব খানিকটা রূঢ় ভাষায় বললেন, সে বাঙালির মাতৃভাষা হতে পারে। কিন্তু আমাদের মতন ইরানি-তুরানিদের মাতৃভাষা হল ফারসি। আর আমাদের ধর্মের ভাষা হল আরবি। এর বাইরে যাওয়ার কি দরকার?

কবি মুচকি হাসলেন। তারপর জিজ্ঞেস করলেন, আপনাদের মত খানদানের সংখ্যা সুবা বাংলার বাঙালি মুসলিম সমাজে কত বলুন তো? আপনারা কি সুবা বাংলার বাঙালি মুসলিম সমাজে সংখ্যালঘু নন? সুবা বাংলার স্থানীয় যারা ধর্মান্তরিত হয়েছে, তাদের সংখ্যাই কি বেশি নয়? তো, তাদের মাতৃভাষা কি আরবি-ফারসি?

খান সাহেব এবার দমে গেলেন। তবে মুখের হাসি বজায় রাখলেন । সে হাসিতে শ্লেষের চিহ্ন স্পষ্ট। বৃদ্ধ ঝুঁকে একটা পিতলের চিলমচি তে পানের পিক ফেললেন । তারপর বললেন, তোমরা হলে জ্ঞানপাপী আবদুল হাকিম । সহজসরল বিষয় তোমরা বুঝতে চাও না। তোমাদের কাজই হল সহজ বিষয়কে জটিল করে তোলা। বলে ছড়ি দিয়ে মেঝেতে আঘাত করলেন খান সাহেব। ঠক করে শব্দ হল।

কবি নীরব থাকেন। তাঁর শরীরের শিরাউপশিরায় নীরবে ক্রোধের বিস্তার ঘটতে থাকে। এই সব দিবাঅন্ধের সান্নিধ্যে এলে গা রি রি করে তাঁর । এরা মাতৃভাষাকে কি করে অবহেলা করে ... যে মায়ের পায়ের তলায় বেহেস্ত? যে মাতৃভূমির মাটির রস জীবন কে সম্ভব করে তোলে , যে বাতাসে নিঃশ্বাস নিয়ে বাঁচতে হয়, পাখির গান বেঁচে থাকবার প্রেরণা সঞ্চারিত করে, যে আকাশের আলোয় পথ চলা সম্ভব হয় - একে অস্বীকার করে কি করে? খান সাহেবের মতো সীমাবদ্ধ চেতনার অধিকারী লোকেরা বাংলাকে ভালোবাসতে না পারলে আরব- তুর্ক কিংবা ইরান-তুরানে চলে যাক না! কে বেঁধে রেখেছে!

খান সাহেব জানেন আবদুল হাকিম আরবি ফারসি এবং সংস্কৃতি ভাষায় সুপন্ডিত এবং প্রজ্ঞাবান । তিনি জীবনভর বেশুমার ধনদৌলত হাসিল করেছেন বটে তবে আবদুল হাকিম-এর গভীর প্রজ্ঞার কারণে তার সঙ্গে তর্কে এঁটে ওঠা সম্ভবপর নয়। কাজেই খান সাহেব প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে বললেন, তা তোমার শায়েরী কেমন চলছে আবদুল হাকিম?

আল্লাহর ইচ্ছায় ভালো চলছে। কবি অস্ফুটস্বরে বললেন। কবিতার প্রসঙ্গে কবি নরম হলেন। আজ কবিতা লেখার সময় শরীরে রোমাঞ্চ হচ্ছিল। সে ঘন আবেশ এখনও কাটেনি।

শোনাও কি লিখলে। খান সাহেব বললেন।

কবি আবদুল হাকিম মুচকি হেসে সদ্য লেখা ‘বঙ্গবাণী’ কবিতাটি থেকে নির্বাচিত অংশ পাঠ করতে থাকেন-



যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী ।

সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি

দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায় ।

নিজ দেশ তোয়াগী কেন বিদেশে ন যায়

মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি ।

দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।



কবিতার পাঠ শেষ হতেই খান সাহেব ছড়ি দিয়ে মেঝেতে ঠক করে শব্দ করলেন। তারপর উঠে দাঁড়ালেন। জ্বলন্ত চোখে একবার কবির দিকে তাকালেন।



দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায় ।

নিজ দেশ তোয়াগী কেন বিদেশে ন যায়



সম্ভবত এই দুটি চরণ বৃদ্ধের আঁতে লেগেছে।

খান সাহেব টলতে টলতে ছড়ি ঠক ঠক করে গট গট করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন। খান সাহেব ঘর থেকে বেরিয়ে গেলেন বটে ... তবে তিনি কখনও জানতে পারেন নি যে ইতিহাস তাকে মনে রাখেনি। তিনি এও তিনি জানতে পারেননি যে ... কবি আবদুল হাকিম-এর ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার জন্য বাঙালি জাতির মনে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।

খান সাহেব চলে গেলে সদ্য লেখা কবিতাটি আপন মনে পাঠ করতে লাগলেন কবি আবদুল হাকিম ...আবেগে থরথর করে কাঁপছেন ... সময়টা ১৬৮০খ্রিস্টাব্দ। বর্ষাকাল। সন্দীপের আকাশে কালো মেঘ জমে আছে ...

মন্তব্য ৩২ টি রেটিং +১৩/-০

মন্তব্য (৩২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৪৬

আমিনুল ইসলাম বলেছেন: +++++

২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:৫০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: যতই দিন যাচ্ছে, ততই যেন আমাদের জীবনে এই কবির গুরুত্ব বুঝতে পারছি।
ধন্যবাদ।

২| ২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩

১১স্টার বলেছেন: কবিতাটি পাঠ্য বইয়ে পড়েছিলাম কিন্তু এটার ইতিবৃত্ত এখন জানলাম.।


কবি আবদুল হাকিম-এর ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার জন্য বাঙালি জাতির মনে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন।


ধন্যবাদ ইমন জুবায়ের এর স্বভাবসূলব লেখারম জন্য

২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৩| ২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:০৩

অলস রাজা বলেছেন: কবিতাটির জন্ম ইতিহাস পড়ে ভাল লাগল।

২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫১

প্রণব আচার্য্য বলেছেন: দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায় ।
নিজ দেশ তোয়াগী কেন বিদেশে ন যায়

২৬ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:৫৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী ।
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি
দেশী ভাষা বিদ্যা যার মনে ন জুয়ায় ।
নিজ দেশ তোয়াগী কেন বিদেশে ন যায়
মাতা পিতামহ ক্রমে বঙ্গেত বসতি ।
দেশী ভাষা উপদেশ মনে হিত অতি।

৫| ২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৩৬

লাবণ্য ও মেঘমালা বলেছেন: খুব ভালো লাগলো ইমন ভাই।
এই কবিতার প্রতিটি লাইন চরমভাবে সত্য

২৬ শে জুন, ২০১১ রাত ১০:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: কত বছর আগে বুঝেছিলেন কবি আবদুল হাকিম; এখনও অনেকে বোঝে না।

৬| ২৭ শে জুন, ২০১১ রাত ২:০৪

দি ফ্লাইং ডাচম্যান বলেছেন: :)

২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: !:#P

৭| ২৭ শে জুন, ২০১১ ভোর ৪:১৮

রিয়েল ডেমোন বলেছেন: দারুন

২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:১০

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হুমম।

৮| ২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:২৪

রাইসুল জুহালা বলেছেন: আপনার এই নতুন স্টাইলটা বেশ ভাল লাগছে - ঐতিহাসিক ঘটনার কাল্পনিক গল্পরুপ। এর আগে নজরুল, ঈশ্বরচন্দ্র পড়লাম, আজকে আবদুল হাকিম। আলাদা একটা 'একদিন' বিভাগ করতে পারেন আপনার প্রোফাইলে। যারা পরে ব্লগে আসবে, সহজে এই গল্পগুলি খুঁজে পাবে।

২৭ শে জুন, ২০১১ সকাল ৭:২৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: সেরকমই ভাবছি। একটা সিরিজ করব ভাবছি।
ধন্যবাদ।

৯| ২৭ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:১৯

মিথিলা মাহমুদ বলেছেন: কবিতার প্রথম দুলাইন facebook আর awaaj status দিলাম..ভাবছি, এখন আসেপাশে ডিজ্যুস জেনারেশন উল্টা-পাল্টা করলে এই লাইন কয়টি মন্ত্রের মতো আওরাবো..যদিও তাদের এটা না বোঝারই কথা..তবুও চেষ্টা করতে দোষ কি :)

২৭ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: বাংলা স্বর্গের ভাষা। এতটুকু কেবল বুঝি।
ধন্যবাদ।

১০| ২৭ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:২০

রেজোওয়ানা বলেছেন: এই কঠিন কবিতার প্রশ্নের উত্তর লিখতে ছোটবেলায় কত যে মেজাজ খারাপ হইছে!!

পোস্টে প্লাস

২৭ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১২:৫৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: হাঃ হাঃ হাঃ
:)

১১| ২৭ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:২৮

জুবেরী বলেছেন:
দারুন দারুন দারুন দারুন দারুন


বাংলা স্বর্গের ভাষা। এতটুকু কেবল বুঝি।

২৭ শে জুন, ২০১১ বিকাল ৩:১৪

ইমন জুবায়ের বলেছেন: :)

১২| ২৭ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১০

বড় বিলাই বলেছেন: ছোট থাকতে বড় বোনদের এই কবিতাটা পড়তে শুনতাম। তখন কিছুই বুঝতাম না। পরে নিজে পড়তে গিয়ে যখন বুঝলাম আশ্চর্য হয়েছিলাম, তাহলে কি তখনও বাংলা ভাষার প্রতি মানুষের অনাগ্রহ অনাদর ছিল? নইলে কবি এত ক্ষোভ নিয়ে কেন এই কবিতা লিখবেন?

২৭ শে জুন, ২০১১ সন্ধ্যা ৭:১৫

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনাদর নিশ্চয়ই ছিল। এখনও আছে। সে কথাই লিখলাম এই পোস্টে।
অনেক ধন্যবাদ।

১৩| ২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:২৬

সৈয়দা আমিনা ফারহিন বলেছেন: আমার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা ‘বঙ্গবাণী’

আর প্রিয় লাইন

"যে সবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী
সে সব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি"

ধন্যবাদ এত সুন্দর করে এত বিষয়ে জানানোর জন্য। অবসর আর জানার একটু সুযোগ মিলে যায়।

২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৭

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ‘বঙ্গবাণী’ কবিতাটি আপনার সবচেয়ে প্রিয় কবিতা জেনে ভালো লাগল।
ধন্যবাদ।

১৪| ২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪২

মরুর পাখি বলেছেন: কবিতাটি বাংলাদেশের সবাই হয়ত জানে--- আর এর গুরুত্ব আমরা যদি না বুঝি কোন দিন কি এই দেশটাকে ভালবাসতে পারব?

চমৎকার পোষ্ট।

২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৪৯

ইমন জুবায়ের বলেছেন: আপনি লিখেছেন ...কবিতাটি বাংলাদেশের সবাই হয়ত জানে--- আর এর গুরুত্ব আমরা যদি না বুঝি কোন দিন কি এই দেশটাকে ভালবাসতে পারব?

এই প্রশ্নটি আমারও এবং অন্য অনেকেরই।
অনেক ধন্যবাদ।

১৫| ২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫০

পদ্ম।পদ্ম বলেছেন: ++

২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫২

ইমন জুবায়ের বলেছেন: অনেক দিন পর ...
ধন্যবাদ।

১৬| ২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ১:৫৮

হ্যামেলিন এর বাঁশিওয়ালা বলেছেন: কবি আবদুল হাকিম-এর ‘বঙ্গবাণী’ কবিতার জন্য বাঙালি জাতির মনে চিরকাল উজ্জ্বল হয়ে থাকবেন। খুবই সত্যি কথা। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

২৮ শে জুন, ২০১১ দুপুর ২:০৮

ইমন জুবায়ের বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.